রাজনীতি


বিএনপির পিপীলিকার মতো জোট ভাঙা নিয়ে আ.লীগের মাথাব্যথা নেই : হানিফ

বিএনপির পিপীলিকার মতো জোট ভাঙা নিয়ে আ.লীগের মাথাব্যথা নেই : হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন যে সরকার নাকি তাদের জোট ভাঙার চেষ্টা করছে। ফখরুল সাহেব, আওয়ামী লীগ দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগের আপনাদের ওই পিপীলিকার মতো জোট ভাঙা নিয়ে মাথাব্যথা নেই। আপনাদের জোট এমনিতেই ভেঙে যাবে, যদি নির্বাচনে না আসেন।আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।সমাবেশে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আজ এখানে বক্তব্য দিতে এসে মনে পড়ে যাচ্ছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কথা। আজ বিএনপি কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে, আইনের শাসনের কথা বলে। কোথায় ছিল আপনাদের মানবাধিকার বোধ ২১ আগস্ট হামলার সময়।’হানিফ বলেন, বিএনপি আন্দোলন আন্দোলন খেলা শুরু করেছে, তারা চায় নির্বাচনের মাধ্যমে না, আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে দেশে ক্ষমতা পরিবর্তনের। কারণ তারা জানে তাদের জনপ্রিয়তা নেই। নির্বাচনে জয়লাভের কোনো সম্ভাবনা নেই বিধায় তারা নির্বাচন চায় না।‘আপনাদের দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে আগামী নির্বাচন, যেটি সংবিধান মেনে হবে, তাতে অংশগ্রহণ করুন। আর না হয় আপনারা অস্তিত্ব সংকটে পড়বেন,’ বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামাতকে প্রতিরোধ করতে এবং আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় নিশ্চিত করতে আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন।’সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘পদযাত্রা করে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করবেন, এ রকম চিন্তা মাথায় আসে কীভাবে? গণঅভ্যুত্থান করবেন, এর মানে জানেন? গণঅভ্যুত্থান একটাই হয়েছিল ৬৯ সালে, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে।’তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় যেতে পারবেন নির্বাচনের মাধ্যমে, নির্বাচনে আসেন, তারপর দেখেন জনগণ ভোট দেয় কি না আপনাদের। উল্টাপাল্টা রাস্তা দিয়ে ক্ষমতায় যাবেন সে উপায় নাই।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জানুয়ারি ২০২৩


বিএনপির আন্দোলনের মরণযাত্রা শুরু হয়েছে : কাদের

বিএনপির আন্দোলনের মরণযাত্রা শুরু হয়েছে : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ,পথ হারিয়ে বিএনপি পদযাত্রা শুরু করেছে। তাদের রাজনীতি ভুলের চোরাগলিতে আটকে গেছে। পদযাত্রা করে উদ্ধার করা যাবে না। তাদের আন্দোলনের মরণযাত্রা শুরু হয়েছে। ডোনাল্ড লু-এর (মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী) ঢাকা সফর শেষে বিএনপি হতাশায় ডুবে গেছে। বিএনপি ভেবেছিলো ডোনাল্ড লু তাদের পক্ষে কথা বলবে, তাদের আশা পূরণ হয়নি। হতাশায় ডুবতে ডুবতে বিএনপি নেতারা হাসপাতালে। শেখ হাসিনা সরকার পালায়নি, আওয়ামী লীগের নেতারা জেলে ছিলো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপি নেতারা দালালি করে জেলের বাইরে ছিলো। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো পালিয়ে যায়নি। ওয়ান ইলেভেনে পালানোর গল্প শুধু বিএনপির আছে। রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে আছে। রিমোট কন্ট্রোলে অদৃশ্য নির্দেশে চলা আন্দোলন করে বাংলাদেশে জয়ী হওয়া যাবে না। তিনি বলেন, মানু‌ষের ম‌নের জোর যখন ক‌মে যায় তখন গলার জোর বে‌ড়ে যায়। বিএন‌পি ও ফখরুলেরও গলার জোর বে‌ড়ে গে‌ছে। আ‌গে সুর ছিল গরম এখন নরম কে‌নো। পথ হা‌রি‌য়ে বিএন‌পি পদযাত্রা শুরু ক‌রে‌ছে। আ‌ন্দোলনের মরণযাত্রা শুরু হ‌য়ে গেছে। ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না আওয়ামী লীগ, তাই বিএনপিকে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আহ্বান জানাই।আওয়ামী লীগের নেতকর্মীদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগে বিভক্তি নয়, শৃঙ্খলা থাকতে হবে। গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনার কানের শ্রবণশক্তি কমে গিয়েছিলো, তাই চিকিৎসার জন্য সাময়িক সময়ের জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন।ফখরুলকে মিথ্যাচার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে আটকাতে কত আয়োজন করেছিলো বিএনপি সেটা ভুলে গেলে চলবে না। ওয়ান ইলেভেনের পালানোর গল্প বিএনপির, মুচলেকা দিয়ে তারা লন্ডন পালিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জানুয়ারি ২০২৩


মাদক সেবনের অভিযোগে পদ হারালেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী

মাদক সেবনের অভিযোগে পদ হারালেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী

গাজীপুর মহানগরে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতানা লতা শোভাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি তার মাদক সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।রোববার বিকালে গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা সরকার আনু স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যুব মহিলা লীগ গাজীপুর মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতানা শোভার মাদক সেবনের ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এতে দলের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।এ বিষয়ে মহানগর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা সরকার আনু বলেন, তার মাদক সেবনের ছবি ভাইরাল হয়েছে। এতে আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জানুয়ারি ২০২৩


আন্দোলন করে লাভ নেই, বিএনপিকে হানিফ

আন্দোলন করে লাভ নেই, বিএনপিকে হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘বিএনপির আর আন্দোলন করে লাভ নেই। বিএনপিকে এখনো আহ্বান জানাই, নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনেই ফয়সালা হবে এই দেশ কারা চালাবে।’রবিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এই জনসভার আয়োজন করে।আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল সরকারের পতন হয়ে যাবে। কিন্তু সরকারের পতন হয়নি। বিএনপির পতন হয়েছে। বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দেশের সর্বক্ষেত্রে আজ উন্নয়ন। এ জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি এই রাজশাহীকে অনন্য নগরীতে পরিণত করেছেন। এ জন্য মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনকেও ধন্যবাদ জানাই। ১০ বছর আগে যা ছিল, সেই রাজশাহী এখন আর নেই। কিন্তু বিএনপি উন্নয়ন দেখে না। তারা দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চায়।’নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘আসুন সবাই অঙ্গীকার করি, আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনব। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে।’জনসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় অন্য নেতারা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জানুয়ারি ২০২৩


প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠবো, তবুও পালাবো না - কাদের

প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠবো, তবুও পালাবো না - কাদের

বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের সূত্র ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'পালাবো না, প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠবো।'আজ রোববার দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে আয়োজিত জনসভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজশাহী নগরী ও জেলা ইউনিট এ জনসভার আয়োজন করছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিএনপির মরণযাত্রা হচ্ছে এখন। তারা এখন সরকারকে পালাতে বলে; পালানোর পথ নাকি খুঁজে পাবেন না। ফখরুল সাহেব, পালিয়ে তো আছেন আপনারা। তারেক রহমান আর রাজনীতি করবে না; মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছে লন্ডনে। ৭ বছরের দণ্ডিত পলাতক আসামি আপনাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পালিয়ে যায়, আমরা পালাতে জানি না।''আমরা এই দেশে জন্মেছি, এই দেশে মরবো। পালাবো না। কোথায় পালাবো! পালাবো না, প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠবো। জায়গা দেবেন? না হলে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়ি আছে না! ওই বাড়িতে গিয়ে উঠবো,' বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন কাদের।খেলা হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'বিএনপির এখনো শিক্ষা হয়নি। শিক্ষা হবে যখন আগামী নির্বাচনে আবারও পরাজয়ের মুখ দেখবে।'

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জানুয়ারি ২০২৩


পদত্যাগ করুন, অন্যথায় পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না - মির্জা ফখরুল

পদত্যাগ করুন, অন্যথায় পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না - মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। অন্যথায় ভারাক্রান্তভাবে চলে যেতে হবে।আজ শনিবার দুপুরে ঢাকায় বাড্ডায় পদযাত্রা শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন।বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি পদযাত্রার আয়োজন করে।মির্জা ফখরুল বলেন, 'আজকে কোনো বক্তব্য নেই। আজকে আমরা এক নতুন আন্দোলন শুরু করলাম। ঢাকা শহরে নিরব প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে, নিরব যাত্রার মধ্য দিয়ে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই ভয়াবহ, দানবীয় সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করবো।''আমাদের চালের দাম, ডিমের দাম, তেল-লবণের দাম বেড়ে গেছে। আমার শ্রমিক ভাইরা জীবন-যাপন করতে পারছে না। চাল-ডাল-তেল কিনতে পারছে না। কথা বলতে গেলেই গ্রেপ্তার, প্রতিবাদ করতে গেলেই মামলা। মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা দিয়ে বিরোধী সব দলকে আটক করে রাখা হচ্ছে। সারা বাংলাদেশকে এরা কারাগারে পরিণত করেছে,' বলেন তিনি।ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'আমরা বলেছি, এই সরকার থাকলে কোনো দিন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সেই কারণে আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, এই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে, একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণ তার ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করবে, সরকার নির্বাচন করবে, সেই সরকার দেশ পরিচালনা করবে।''পদযাত্রার মধ্য দিয়ে সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, আর কাল বিলম্ব নয়। অবিলম্বের পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে জনগণকে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করার ক্ষমতা দিন। অন্যথায় আপনাদের অত্যন্ত ভারাক্রান্তভাবে চলে যেতে হবে, পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না,' আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বলেন ফখরুল।তিনি আরও বলেন, 'আমরা এখন পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে করছি। আমরা দেখাতে চাই, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এদের পতন ঘটাবো।'

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ জানুয়ারি ২০২৩


বিএনপির এত লাফালাফি, ছোটাছুটি, লোটা-কম্বল, কাঁথা-বালিশ কোথায় গেল?

বিএনপির এত লাফালাফি, ছোটাছুটি, লোটা-কম্বল, কাঁথা-বালিশ কোথায় গেল?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মরণযাত্রা শুরু হয়ে গেছে। এভাবেই তারা পরাজিত হবে। আন্দোলনে হবে, আগামী নির্বাচনেও তাদের মরণ হবে। রাজনৈতিক মরণ। এত লাফালাফি, এত ছোটাছুটি, এত লোটা-কম্বল, এত কাঁথা-বালিশ। সমাবেশ হলে সাতদিন ধরে সমাবেশস্থলে শুয়ে পড়ে, আর পাতিলের পর পাতিল খাবার তৈরি হয়, কোথায় গেল সে দিন। কোথায় গেল লালকার্ড? কোথায় গেল গণঅভ্যুত্থান? কোথায় গেল গণজোয়ার? গণজোয়ারে এখন ভাটার টান। তাই এটা পদযাত্রা নয়, পেছনযাত্রা। এটা পদযাত্রা নয়, মরণযাত্রা।শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে উত্তরা আজমপুর আমির কমপ্লেক্সের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তো এখন কথার রাজা। মির্জা ফখরুল, কাজ নেই শুধু কথা আর কথা। শুধু কথার মালার চাতুরী। কাজ করছি, আর বাধ্য হয়ে তাদের কথার জবাব দিচ্ছি। তারা একতরফা মিথ্যাচার করবে। আমরা কী চুপচাপ বসে থাকব? আমাদের অবশ্যই জবাব দিতে হবে।তিনি বলেন, আজকে শান্তি সমাবেশ থেকে বলব, ডাক দিলে চলে আসবেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়াই করছি। রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথ আমরা ছাড়ব না। আমরা মানুষের পাশে ছিলাম, এ শীতের কষ্টেও মানুষের পাশে আছি। মানুষের দুঃখে, মানুষের কষ্টে, দুর্যোগে, ঝড়ে, বন্যায় মানুষের পাশে ছিলাম।সেতুমন্ত্রী বলেন, এ দলের শিকড় বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে। অনেক গভীরে। তাই আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেবেন, এ দিবাস্বপ্ন দেখে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ পালাবে না। আওয়ামী লীগ পালাবার দল নয়, এ দেশেতে জন্ম আমার যেন এ দেশেতে মরি। ষাটের দশকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে যখন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাচ্ছিল, কুর্মিতলা জেল গেটে কুয়াশা ভেজা একখণ্ড মাটি কপালে ঠেকালেন।কপালে ঠেকিয়ে বঙ্গবন্ধু বললেন, হে বাংলার মা আমি যেন জীবনে মরণে সবসময় তোমার পাশে থাকি। আজ কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, আমি জানি না। কিন্তু বলতে চাই, এ দেশেতে জন্ম আমার যেন এ দেশেতে মরি। এটা বঙ্গবন্ধুর কথা।এজে/

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ জানুয়ারি ২০২৩


বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে সরকারের গায়ে আঁচড় লাগেনি - নানক

বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে সরকারের গায়ে আঁচড় লাগেনি - নানক

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৬ জন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে সরকার পতন হয় না। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, ভোটারদের অপমান করে তারা পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করে তারা (বিএনপির এমপিরা) বলেছেনÑ শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের আন্দোলনকে বেগবান করতে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এটা তারা বুঝতে পেরেছেন; তাদের পদত্যাগে সরকারের কিছু যায় আসে না। বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে সরকার পতন হয়নি। সকারের গায়ে আঁচড় লাগেনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীতে শেখ হাসিনা সেতু হয়েছে, আমানুরায় বাইপাস রেল স্টেশন হয়েছে, ২৫০ শয্যার ৮ তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন হয়েছে, মহানন্দা নদীতে রাবার ড্যাম নির্মাণ হচ্ছে। শেখ হাসিনা আপনাদের জন্য অনেক উপহার দিয়েছেন আপনারা আগামী ১ ফেব্রæয়ারি শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন।এই জনসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে আবদুর রহমান বলেছেনÑ বিএনপি বলেছিল, ১০ তারিখের পরে খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। কিন্তু এখনো শেখ হাসিনার নির্দেশেই দেশ চলে। সরকার পতনের দুঃস্বপ্ন নিয়ে বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করেছেন। এতে সরকার পতন হয়নি, শুধু হারুনরা হারিয়ে গেছেন। তিনি আরও বলেন, সংসদ হারুন সাহেবরা (বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদ) যত কথা বলতেন তার ৯৯ ভাগ মিথ্যা কথা। বিএনপিতে সংকট আছে। তাদের নেতা তারেক রহমান বিদেশে পালিয়ে আছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিদেশে বসে রাজনীতি করছেন। তবে তিনি (তারেক রহমান) যদি দেশে আসতে চান তার আসার পথ আমরা করে দেবো। কিন্তু গণতন্ত্র নিয়ে, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, ষড়যন্ত্র করার অধিকার তার নাই।নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল ওদুদ। জনসভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিবগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র মো. মোখলেসুর রহমান, শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ গোলাম রাব্বানী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শরিফুল আলম প্রমুখ।প্রসঙ্গত, বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের পদত্যাগ করা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে আগামি ১ ফেব্রæয়ারি উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ জানুয়ারি ২০২৩


সর্বাধিক পঠিত

মির্জা ফখরুলের ‘আ.লীগ ও আজরাইলের’ গল্প সম্পর্কে যা বললেন কাদের

মির্জা ফখরুলের ‘আ.লীগ ও আজরাইলের’ গল্প সম্পর্কে যা বললেন কাদের

নিজ দলের নেতাকর্মীদের ‘আজরাইলের’গল্প শোনানো বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনি কি আল্লাহর ফেরেশতা? আপনি কি করে জানেন আজরাইল কার পেছনে ঘুরছে? ফখরুল সাহেব আল্লাহ আপনাকে কবে ফেরেশতা বানাল, নবী বানাল?গত ২৫ জানুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে বলে দাবি করেন। কিভাবে সময় শেষ হয়েছে, তা বোঝাতে দলীয় নেতাকর্মীদের ফেরেশতা ‘আজরাইলের’একটি গল্পও শোনান বিএনপি মহাসচিব।ফখরুলের সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তার উদ্দেশে শুক্রবার বিকালে এক সভায় এসব প্রশ্ন করেন ওবায়দুল কাদের।২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, সব আজগুবি খবর, সব নষ্ট রাজনীতি, তারা করে নষ্ট রাজনীতি, ওসব নষ্ট কথা তারাই বলেন। কী ভয়াবহ? এসব রাজনীতিতে এসব কুসংস্কার আছে? যে প্রতিপক্ষকে মেরে ফেলছে। এই রকম ভয়াবহ গুজব ছড়ায়।তিনি বলেন, তারা আজকে পথহারা পথিকের মতো, কী করবে, কী কর্মসূচি দেবে এ নিয়ে ৫৪ দল, ৫৪ পথ, ৫৪ মত। এ দল ছোট হয়ে আসবে বেশি দেরি নয়। ডানে বামে একাকার, এখন অদৃশ্য রিমোট কন্ট্রোলে বিএনপি চলে। বিএনপির এখন আন্দোলন চলে রিমোট কন্ট্রোলে, অদৃশ্য নির্দেশে। বিদেশিরা কখন সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দেবে, আল্লাহর ওপর ভরসা করে বিদেশিদের ওপর তাকিয়ে আছে। জনগণ নেই, পাবলিক নেই, নিষেধাজ্ঞা ও অদৃশ্য নির্দেশ তাদের রাজনীতি।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা তাদের (বিএনপি) দুর্বল ভাবি না। আওয়ামী লীগ বিরোধী সব শক্তি, কিছু অপশক্তি, আওয়ামী লীগ বিরোধী নিয়ে গঠন করেছে বিএনপির নেতৃত্বে। আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা নাকি জিয়াউর রহমান, এটা আজগুবি কথা। ফখরুল সাহেব মাঝেমধ্যে উদ্ভট কথা বলেন। জিয়াউর রহমান পারলে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দেন। ১৯৭৫ সালের ঘটনা ঘটানোই হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকে, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্যে। তিনি করবেন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, তাহলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করল কেন? জয় বাংলা নিষিদ্ধ হলো কেন? বাংলাদেশ বেতার, রেডিও বাংলাদেশ হলো কেন? স্বাধীনতার আদর্শ ধ্বংস হলো কেন?সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এজে/

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ জানুয়ারি ২০২৩


রবিবার প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় বিএনপির লোকেরাও আসবে : নানক

রবিবার প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় বিএনপির লোকেরাও আসবে : নানক

আগামী রবিবার রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় উন্নয়নের বার্তা শুনতে লাখ লাখ মানুষ আসবেন, সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরাও আসবেন বলে মন্তব্য করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।তিনি বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলের মানুষ অধীর আগ্রহে বসে আছেন। আমরা বিশ্বাস করি, রবিবারের জনসভায় বিএনপির লোকেরাও উপস্থিত হবে। কারণ যারা বিএনপি করে তারা এই দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপের নাগরিক নয়।শুক্রবার দুপুরে জনসভাস্থল রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্র্রাসা মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।এদিকে, এই জনসভা ঘিরে রাজশাহীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের পুলিশ হয়রানি করছে বলে দুদিন আগে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু। তার এ বক্তব্যকে মিথ্যাচার উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘বিএনপি আমাদের কাছে কোনো সাবজেক্ট নয়। টুকু মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন।’জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘ইকবাল মাহমুদ টুকুরা এভাবেই মিথ্যা বলেন। সত্যকে আড়াল করা তাদের কাজ। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃতি করার চেষ্টা করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে বিলীন করে দিয়েছিল এই টুকু সাহেবরা।’এ সময় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিএনপি যে ১০ দফা দাবি দিয়েছে- তা দেশের মানুষ পাত্তা দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান।তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনকেই ভণ্ডুল করার জন্য অসাংবিধানিক-অগণতান্ত্রিক দাবি সামনে নিয়ে আসে। এই দাবিকে এই দেশের মানুষ পাত্তা দিচ্ছে না, আমলে নিচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন হবে’।আবদুর রহমান বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির কথা বিএনপি বহু আগে থেকেই বলছে, এটা নতুন কথা না। বিএনপি একটা দেউলিয়া রাজনৈতিক দল, নেতৃত্বহীন দল। বেগম খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া দুজনেই সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাদের দলে একটা সংকট আছে, সেই সংকটে তারা ভুগছেও। সুতরাং বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে-মধ্যে একটু উৎসাহ-উদ্দীপনা দেওয়ার জন্যই তারা এসব কথা বলে।’এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আনজুম মিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এজে/

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ জানুয়ারি ২০২৩


দেশে গণতন্ত্রের চর্চাকারী দল একমাত্র আওয়ামী লীগ- কাদের

দেশে গণতন্ত্রের চর্চাকারী দল একমাত্র আওয়ামী লীগ- কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের চর্চা করি, বিএনপি করে না। দেশে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চাকারী একটি মাত্র দল আওয়ামী লীগ।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের পথে কখনো চলে না। তারা যে কায়দায় আন্দোলন করতে চায় তাদের সেই সাম্প্রদায়িক কায়দা, সন্ত্রাসী কায়দা, জঙ্গিবাদী কায়দার রাজনীতির কঠোর জবাব দেওয়া হবে।বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিজের লোক, আত্মীয়স্বজন দিয়ে কমিটি করা চলবে না। ত্যাগী, দুঃসময়ে যারা ছিল তাদের দিয়ে কমিটি করবেন। পদ না থাকলে কেউ সালামও দেবে না, মুখের দিকে চেয়ে নেতা বানাবেন না।বিএনপির উদ্দেশে কাদের বলেন, বিদেশিদের কাছে নালিশ করে আওয়ামী লীগে গণতন্ত্র নেই। অথচ বিএনপির কেন্দ্রীয়ভাবেও কোনো সম্মেলন হয় না, মিটিং হয় না। দেশে তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, উদ্ভট।ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র বিকাশমান প্রক্রিয়া, ত্রুটিগুলো সংশোধিত হয়ে গণতন্ত্রে রূপ নেয়। ৫০ বছরের স্বাধীনতায় পুরোটা গণতান্ত্রিক শাসনে থাকতে পারিনি। এর মধ্য জিয়া-এরশাদের স্বৈরাচারী শাসন ছিল। খালেদা জিয়ারও শাসন ছিল।তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারা চায়, যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হওয়ার পর ১৩ জন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়। বঙ্গভবন থেকে গণভবনে গিয়ে শেখ হাসিনা দেখেন বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই, টেলিফোন লাইন কাটা। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই না। সাইকেল ফেডারেশন পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছিল। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০১ সালে গণতন্ত্রের নামে দেশকে ধ্বংসের কিনারে নিয়ে গিয়েছিল।সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে। অপপ্রচার রোধে সেল গঠন করুন, লোক নিয়োগ করুন। কি রকম নিষ্ঠুর, আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারিকে মেরে জানাজা পড়িয়েছে। এটা কারা করে তা আপনারা জানেন।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপিসহ ময়মনসিংহ বিভাগের সব সংসদ সদস্য ও জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শুরুতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।এজে/

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জানুয়ারি ২০২৩


ঢাকায় চার দিনব্যাপী বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা

ঢাকায় চার দিনব্যাপী বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দশ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকায় চার দিনব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হচ্ছে। এরমধ্যে আন্দোলনে বিএনপির ১৫ জন নিহত হয়েছে। ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীতে পদযাত্রা করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আগামী ২৮ জানুয়ারি দুপুর ২টায় বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে মালিবাগ আবুল হোটেল পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে। আর ৩১ জানুয়ারি দুপুর ২টায় গাবতলী থেকে শুরু হয়ে মাজার রোড হয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে গিয়ে পদযাত্রা শেষ হবে।অন্যদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ৩০ জানুয়ারি দুপুর ২টায় যাত্রাবাড়ী থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত পদযাত্রা করবে। আর ১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় মুগদা থেকে শুরু হয়ে মালিবাগে গিয়ে শেষ হবে ‌পদযাত্রা।এই পদযাত্রা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালানো হচ্ছে। নিম্ন আদালত সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলছে। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে নিম্ন আদালতে গেলে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে প্রমাণ হয় নিম্ন আদালত সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলছে। নির্যাতন নিপীড়ন ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে গেছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জানুয়ারি ২০২৩


আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে বিএনপিকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না - ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে বিএনপিকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না - ওবায়দুল কাদের

বিএনপির আন্দোলন ও কর্মসূচির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা। খেলা এখনো শুরুই করিনি আমরা, কেবলমাত্র সুচনা করেছি। বিএনপির আন্দোলনের নেতাকর্মী ছাড়া কোনো জনগণ নেই।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে বিএনপিকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না। খেলা যখন শুরু হবে তখন বিএনপির গনজোয়ারের নামে আন্দোলন ভেস্তে যাবে।ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল লালকার্ড দেখাতে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরেছেন। সরকার পতন আন্দোলন, ৫৪ দল, ১০ দফা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সবই ভুয়া।বুধবার ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী উদ্যোগে গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি এখন পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা। খেলা এখনো শুরুই করিনি আমরা, কেবলমাত্র সুচনা করেছি। বিএনপির আন্দোলনের নেতাকর্মী ছাড়া কোনো জনগণ নেই।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে বিএনপিকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না। খেলা যখন শুরু হবে তখন বিএনপির গনজোয়ারের নামে আন্দোলন ভেস্তে যাবে।সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি'র আন্দোলন জোয়ার থেকে ভাটার দিকে যাচ্ছে। ভুয়া জোটের মাধ্যমে গঠন করা বিএনপি ভুয়া, তাদের জনগণ বিশ্বাস করে না। তাদের হাঁকডাক, লোটাকম্বল, মশার কয়েল, ৭ দিন আগ থেকে সমাবেশের প্রস্তুতি সবই ব্যার্থ।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতা লাখো শহীদের রক্ত,মা-বোনেট সম্ভ্রম, বিনিময়ে আশা এক সংগ্রামের নাম। স্বাধীনতা একদিনে আসেনি হাজার বছরের আন্দোলন সংগ্রাম আর লড়াইয়ের মাধ্যমে এসেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৩ বছর সংগ্রাম করে এদেশের স্বাধীনতা এসেছে।বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয় না। এটা গনঅভ্যুত্থানের কর্মসূচি। বিএনপি এসব দিবস পালন করে না। আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে বিএনপির কেনো অন্তর জ্বালা?’ বাকশাল ‍সম্পর্কে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে কাদের বলেন, বাকশাল ছিল জাতীয় দল যেদলে বঙ্গবন্ধুর কাছে জিয়াউর রহমান দরখাস্ত করে সদস্য হয়েছিলো। কৃষক শ্রমিক আন্দোলন করেছিলো, তাদেরকে আপনারা গুলি করে হত্যা করেছিলেন। কৃষক শ্রমিককে বিএনপির পছন্দ নয়। দেশের উন্নয়নের জ্বালায় জ্বলছে বিএনপি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ জানুয়ারি ২০২৩


৭২-৭৫ কী হয়েছিল জনগণের সামনে প্রকাশ করুন : ফখরুল

৭২-৭৫ কী হয়েছিল জনগণের সামনে প্রকাশ করুন : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে কী হয়েছিল তা জনগণের সামনে প্রকাশ করুন। ফখরুল বলেন, 'কেন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল? কেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষের প্রাণ নেওয়া হয়েছিল? কেন সেদিন আওয়ামী লীগ থেকে জাসদ তৈরি হলো? আওয়ামী লীগ এগুলোর উত্তর দেয় না।'আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ 'বিএনপি ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফা ও তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা' শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।ফখরুল বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের মূল কথা ছিল বাংলাদেশ একটি উদার গণতান্ত্রিক দেশ হবে, সাম্য, ন্যায় বিচার, মানবিক মর্যাদা নিয়ে এ দেশ পরিচালিত হবে। সেটাকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে।'তিনি বলেন, 'স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমাকে একই কথা বলতে হচ্ছে, বুকের রক্ত দিতে হচ্ছে, রাস্তায় নামতে হচ্ছে গণতন্ত্র; আমার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমি স্বাধীনভাবে কথা বলতে চাই, আমার ভোট আমি দিতে চাই।'আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংস করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'গণতান্ত্রিক প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান তারা ধ্বংস করেছে। এখন যে পার্লামেন্ট তারা তৈরি করেছে সেটা ক্লাব অব আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, মানুষ এখন ভোট দিতে যায় না।''আমরা একটি অসম লড়াইয়ের মধ্যে আছি। আমাদের প্রতিপক্ষ প্রবল প্রতাপশালী, তাদের হাতে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র, পিস্তল, গ্রেনেড—অবলীলায় তারা সেগুলো মারে এবং আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে, মানুষকে বাঁচাতে হবে, আমাদের রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখতে হবে,' বলেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জানুয়ারি ২০২৩


বিএনপি  আমাদের বিশ্ব দরবারে কলঙ্কিত ও অসম্মানিত করেছিল : নাছিম

বিএনপি আমাদের বিশ্ব দরবারে কলঙ্কিত ও অসম্মানিত করেছিল : নাছিম

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, আজ যারা দেশে দুর্নীতির কথা বলে তারা পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এরাই বিশ্ব দরবারে আমাদের কলঙ্কিত ও অসম্মানিত করেছিল। শেখ হাসিনার অনন্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে সম্মানিত। শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার। এ সরকার উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ২৫ বছর আগের বাংলাদেশের সঙ্গে বর্তমান বাংলাদেশের তুলনা করার কোনো সুযোগ নেই।রোববার (২২ জানুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও তার সহধর্মিণী ডা. সুলতানা শামিমা চৌধুরী রিতাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় দেশের মানুষের কথা ভাবতেন। তিনি ৭ কোটি বাঙালির মুক্তির জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত করার জন্য যতদিন বেঁচে ছিলেন, কাজ করেছেন। তিনি কৃষি শিক্ষা ও কৃষি বিজ্ঞান শিক্ষায় দেশের মেধাবীদের আকৃষ্ট করে সম্মানিত করেছেন। যার কারণে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা কৃষি শিক্ষায় আগ্রহী হয়েছে।কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি কৃষিবিদ ড. আব্দুস সাদেকের স্বাগত ভাষণের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অস্ট্রেলিয়ার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ হোসেন বিপু।অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার, জাতীয় চার নেতাসহ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহীদদের এবং প্রয়াত কৃষিবিদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বাহাউদ্দিন নাছিম অস্ট্রেলিয়া কেআইবির কর্মকর্তাদের এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কেআইবির লাইফ মেম্বার কৃষিবিদ মনোয়ার হোসেন, কৃষিবিদ আনোয়ারুল ইসলাম বকশী, কৃষিবিদ রনি, কেআইবি অস্ট্রেলিয়ার কার্যকরী সদস্য কৃষিবিদ নির্মল পাল, কৃষিবিদ ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ ও কৃষিবিদ আব্দুল জলিল। অতিথিদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন এমিরিটাস অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, ড. সিরাজুল হক, প্রকৌশলী আব্দুল মতিন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক গামা আব্দুল কাদেরসহ অন্যান্য অতিথিরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জানুয়ারি ২০২৩


আ.লীগের উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ও কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন যারা

আ.লীগের উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ও কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন যারা

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন বিভাগীয় উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ও কো-চেয়ারম্যান মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা গঠনতন্ত্রের ২৫(৬) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অর্পিত ক্ষমতাবলে এই মনোনয়ন দেন।রোববার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।উপ কমিটিতে মনোনীত নেতারা হলেন-অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ড. মসিউর রহমান, কো-চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, আইনবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান কৃষিবিদ ড. মির্জা জলিল। তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর সাইদুর রহমান খান, কো-চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম, দপ্তর উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. অনুপম সেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান একেএম রহমত উল্লাহ, কো-চেয়ারম্যান চৌধুরী খালেকুজ্জামান।ধর্মবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন খন্দকার গোলাম মওলা নকশবন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, কো-চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সাদেকা হালিম, বন ও পরিবেশবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর খন্দকার বজলুল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুর, মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সুলতানা শফি, কো-চেয়ারম্যান মাজেদা রফিকুন্নেছা। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রশিদুল আলম, যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন পল্টু, কো-চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ।শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাহিদ, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দীন আহমদ, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আব্দুল হাফিজ মল্লিক পি.এস.সি (অব.), কো-চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সিরাজ, সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. আফম রুহুল হক এমপি।গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগীয় উপ-কমিটি হয়। তাতে চেয়ারম্যান ও কো-চেয়ারম্যান মনোনয়ন দেন শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সম্পাদক সেই কমিটির সদস্য সচিব। বাকি ৩৩ সদস্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞ ও সাবেক ছাত্রনেতাদের থেকে মনোনীত করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জানুয়ারি ২০২৩


মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তিকারী জাহাঙ্গীরকে শর্ত সাপেক্ষে ক্ষমা করলো আ.লীগ

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তিকারী জাহাঙ্গীরকে শর্ত সাপেক্ষে ক্ষমা করলো আ.লীগ

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বহিষ্কৃত মেয়র এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে আওয়ামী লীগ।গত ১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তাকে ক্ষমা করা হয়। সেই চিঠিটি (২১ জানুয়ারি) হাতে পায় বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত জাহাঙ্গীরকে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য এর আগে আপনাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার/অব্যাহতি প্রদান করা হয়।’‘আপনার বিরুদ্ধে আনিত সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ স্বীকার করে আপনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কোনো কার্যকলাপে সম্পৃক্ত হবেন না মর্মে লিখিত অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।’‘এ অবস্থায়, গত ১৭ ডিসেম্বর গণভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৭(৬) এবং ৪৭(২) ধারা মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনা করে আপনার প্রেরিত লিখিত আবেদন পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে আপনার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করা হলো।’‘ভবিষ্যতে কোনো প্রকার সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে, তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।’আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আগে অনুষ্ঠিত জাতীয় কমিটির সভায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে অব্যাহতিপ্রাপ্তদের ক্ষমা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক দলের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠিতে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জাহাঙ্গীর আলমের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই অডিওতে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ লোক শহীদ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে শোনা যায় জাহাঙ্গীর আলমকে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৯ নভেম্বর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে বেশকিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ নভেম্বর তাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জানুয়ারি ২০২৩


রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল

রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল

রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। রোববার সকালে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাতিরঝিল মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মু. আতাউর রহমান সরকার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য এডভোকেট ইব্রাহিম খলিল, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান,কুতুব উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার নোমান আহমেদী, ইউসুফ আলী মোল্লা ও ছাত্রনেতা সালাহউদ্দিন প্রমুখ।ড. রেজাউল করিম সরকারকে হুশিয়ার করে বলেন, অবিলম্বে কারারুদ্ধ সব আলেম, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে জনগণ দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে তাদের মুক্ত করবে।তিনি বলেন, সরকার নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে বিরোধী দলের আন্দোলনকে বিভ্রান্ত ও বিপথগামী করতে চায়। কিন্তু তাদের এ ষড়যন্ত্র জনগণ কখনোই সফল হতে দেবে না।ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। অন্যথায় সরকারের জন্য লজ্জাজনক পরিণতি অপেক্ষা করছে।তিনি সরকার পতনের লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে আসার আহবান জানান।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জানুয়ারি ২০২৩


"আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে সফল হয়েছে'

"আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে সফল হয়েছে'

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম বলেছেন, "আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে সফল হয়েছে । আনলাইন গণমাধ্যম সারাবাংলা ডট নেটের সঙ্গে আলাপচারিতায় ব্যক্তিগত অনুভূতির পাশাপাশি রাজনৈতিক পথচলার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন তিনি।আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবার আপনাকে উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোনীত করেছেন? এই অর্জনকে কীভাবে দেখছেন?জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি আমাদের অভিভাবক। ব্যক্তিগতভাবে আমি মাতৃতুল্য জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে চির কৃতজ্ঞ। কারণ অনেক যোগ্য প্রার্থীও এখানে ছিলেন। এই পদে আসীন হওয়ার জন্য শেখ হাসিনা হয়ত আমাকে যোগ্য মনে করেছেন। এই কারণে তিনি গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন। আমি মনে করি, মাননীয় নেত্রী আমার ৩০ বছরের অভিজ্ঞতাকে মূল্যায়ন করেছেন। আমি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রচারিক কাজে, দাফতরিক কাজে গত ৩০ বছর নেত্রীর সঙ্গে কাজ করেছি। প্রচার কাজে আমার যে অভিজ্ঞতা তার পুরোটা দলের জন্য দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করব।সারা বাংলাদেশে ৭৮ সাংগঠনিক জেলা, আটটি মহানগরে দলের পক্ষ থেকে এমন প্রচার কর্মকাণ্ড চালাব যেন জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাস-নৃশংসতা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ সম্পর্কে দেশের আপামর মানুষ জানতে পারেন। জামায়াত-বিএনপির নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পিছিয়ে গিয়েছিল, রাজনীতির সুষ্ঠু ধারা দেউলিয়া হয়েছিল। তাদের ওইসব হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সচিত্র প্রচারকার্য চালানো হবে। পাশাপাশি আমাদের টিম ভিজ্যুয়াল জগতেও সাইবার প্রচারণা চালাবে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ধারাবাহিক বিজয় অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে বর্তমান কমিটির সামনে কী চ্যালেঞ্জ থাকতে পারে বলে মনে করেন?সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম বলেন আমাদের কাছে বিএনপি পক্ষে যে সত্য ইতিহাস আছে তা আমরা জনসম্মুখে তুলে ধরব।বিএনপি ক্ষমতায় আসার যে দুঃস্বপ্ন দেখছে, তাদের এই দুঃস্বপ্ন কোনোভাবেই সফল হবে না। ওদের (বিএনপি) বিক্ষোভ-সমাবেশ ঘেরাও কর্মসূচির কোনো প্রয়োজন ছিল বলে মনে করি না। আমার কথা হলো- ভোটে জিততে হলে জনমত তৈরি করতে হবে। ক্ষমতায় আসতে হলে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হয়। সেই আস্থা বিএনপি-জামায়াত বেশ কয়েকবার হারিয়েছে। এর বিপরীতে আওয়ামী লীগের প্রতি, আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি শেখ হাসিনার প্রতি জনমনের আস্থা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনা আস্থা অর্জন করেছে। দেশের মানুষ পাশে আছে বলেই আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থন নিয়ে বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পেরেছে। আগামীতে আওয়ামী লীগ অনিবার্যভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে। আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের এই আস্থা কীভাবে অর্জন হয়েছে বলে মনে করেন?সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম বলেন, কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের দল, গণমানুষের দল। আওয়ামী লীগের ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে সবসময় জনগণ থাকে। আওয়ামী লীগ মানেই দেশের উন্নয়ন, জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন। আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নে সফল হয়েছে। এমন কোনো খাত নেই, যেখানে উন্নয়ন হয়নি। সর্বশেষ বাংলাদেশ মেট্রো রেলের জগতে প্রবেশ করেছে। এর আগে বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজেদের অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতু উপহার দিতে পেরেছি।বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রসহ অনেক মেগা প্রজেক্ট এখন চলমান। একদিকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অন্যদিকে মানুষের সুখ-শান্তি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। গত করোনার সময়ও দেখেছি আওয়ামী লীগ সরকার একমাত্র রাজনৈতিক সরকার এবং দল হিসেবে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্মুখসারিতে থেকে দলের নেতাকর্মীরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাস্তবায়ন করেছেন। আপামর নেতাকর্মীরা করোনা ভুক্তভোগীদের কাছে ছুটে গিয়েছেন। মানবিক সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন।অপরদিকে বিএনপি বিক্ষোভ-সমাবেশের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমার কাছে মনে হয়, এটি তারা ভোটের জন্য করছেন না। ভোটের জন্য করলে তারা গ্রামগঞ্জে যেতেন, ভোট চাইতেন। ওরা ভোট চাইছে না। ওরা চায় শেখ হাসিনার পদত্যাগ। ওরা ভোট চায় না, চায় আওয়ামী লীগ সরকারের পতন। কিন্তু ওদের পতনের ডাকে কেউ সাড়া দিচ্ছে না। যে কয়টা লোক ওদের সমাবেশে দেখা যায়, তারা বিএনপির বেনিফিশিয়ারি। তারা বিএনপির কাছ থেকে টাকা-পয়সা পেয়ে সমাবেশে আসে। তারা তাদের আদর্শে লালিতপালিত। এরা এন্টি আওয়ামী লীগ, স্বাধীনতাবিরোধী, পাকিস্তানপন্থী। তবে আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার আমরা কখনও আমাদের দেশকে পাকিস্তান হতে দেব না। পাকিস্তানের মতাদর্শ দেশে ফিরিয়ে আসতে দেব না।আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এই জায়গায় বিএনপিকে কোনো হঠকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হতে দেওয়া হবে না। বাংলার মানুষ দেবে না। আমরা বিএনপির যে কোনো অপকর্ম সন্ত্রাস, অপকৌশল রাজপথে প্রতিহত করব।স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে দলের সামনে আগামীতে কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে বলে মনে করেন?সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম বলেন, এখন বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। পৃথিবীর অনেক দেশ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে মন্দায় ভুগছেন। দক্ষিণ এশিয়ায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশ পরিচালনার কারণেই একমাত্র বাংলাদেশে আমরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করছি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, রেমিট্যান্সের ইতিবাচক প্রবাহ- সবকিছু মিলে আমরা এখন অর্থনৈতিকভাবে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় আছি। শুধুমাত্র শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী বিচক্ষণতার কারণে আজকে বাংলাদেশ নিরাপদ। বাংলাদেশের জনগণ নিরাপদ। এই কারণে মনে করি, যে চ্যালেঞ্জেই আসুক, আমরা জাতি হিসাবে যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে সেগুলো মোকাবিলা করতে পারব।বর্তমান সংকট মোকাবিলা করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্ব যথেষ্ট। তার নেতৃত্বে এই দেশের যে কোনো সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব। যেমন আমরা করোনা মোকাবিলা করেছি। এখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্য ঠিক আছি এবং টিকে থাকব। চ্যালেঞ্জ থাকবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আমরা এগিয়ে যাব। সেই বিশ্বাস, সততা, পরিশ্রম, দেশপ্রেম; আওয়ামী লীগের মধ্যেই বর্তমান। আর কোনো দলের মাঝে নেই।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সারাবাংলা ডট নেটের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট নৃপেন রায়

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ জানুয়ারি ২০২৩


বিএনপির ১০ দফা কর্মসূচির মূল কথা হচ্ছে সরকারের বিদায় - মোশাররফ

বিএনপির ১০ দফা কর্মসূচির মূল কথা হচ্ছে সরকারের বিদায় - মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দলটির ১০ দফা কর্মসূচির সারাংশ বা মূল কথা হচ্ছে এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। এই লক্ষ্যে আন্দোলন হচ্ছে। এরপর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হবে।আজ শনিবার রাজধানী জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান-এর ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে ক্ষমতায় থেকে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। আজ কেউ আওয়ামী লীগ করেও ভোট দিতে পারে না। তারা ভোটের অধিকারও হত্যা করেছে। অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ করেছে মেগা প্রজেক্টের নামে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে অলিখিত বাকশাল বাস্তবায়ন করছে এ সরকার।’সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যারা অন্যায় করেছে, তাদের আর ক্ষমতায় আনবে না। আমরা আন্দোলনে আছি। কোন স্বৈরাচার আপসে ক্ষমতা ছাড়ে না। মানুষ গণতন্ত্রের জন্য গণ–আন্দোলন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে।ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ড্যাবের সভাপতি হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে সভায় ছিলেন ড্যাবের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম, মহাসচিব আবদুস সালামসহ অনেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ জানুয়ারি ২০২৩