অসুস্থ রাজনীতি করে নেতাদের পাশাপাশি দলও অসুস্থ হয়ে গেছে তাই বিএনপিকে হাসপাতালে পাঠানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, পদ্মা সেতু মেট্রোরেল টানেল সহ উন্নয়নের একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়নে বিএনপি চোখে শর্ষে ফুল দেখছে কারণ তারা এসব উন্নয়ন কখনোই দেখাতে পারেনি।খাদ্য দেশ সয়ং সম্পুর্ণ তাদের মনে জ্বালা। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শত শত সেতু তাদের জ্বালা সামনে ৩১ কিলোমিটার আরেকটি মেট্রোরেল হবে এবং পাতাল রেলের উদ্বোধন হবে।২০৩০ সালের মধ্যে ৬ টি এমআরটি লাইন গড়ে তোলে ঢাকার আশপাশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। এসময় সেতু মন্ত্রী , মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে বলেন তার সাথে মতবিনিময় হয়েছে এবং নির্বাচন নিয়েও কথা তাঁকে বলা হয়েছে ত্রুটিমুক্ত নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার কথা। বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশে ভেসে আসা দল নয়,এদল শেকড়ের অনেক গভীরের দল। সরকার পতন করবেন শেখ হাসিনাকে হটাবেন বাংলার মানুষ চুপ করে বসে থাকবেন না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ জানুয়ারি ২০২৩
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিকেও সারা বছর দেখা যায় না, শুধু নির্বাচন আসলে দেখা যায়। নেতারা চাঁদা কালেকশন করে, নমিনেশন বাণিজ্য করে আর মোটাতাজা হয়, আর কিছু সমুদ্রের ঐ পারে পাঠিয়ে দেয়, তিনিও মোটাতাজা হন। এই হচ্ছে বিএনপি। সারা বছর খবর নাই।’ ‘বিএনপি হচ্ছে শীতের পাখি। শীতকালে যেমন সাইবেরিয়া ও হিমালয় থেকে পাখি আসে, ধান খায়, বিলের মধ্যে মাছ খায়, মোটাতাজা হয়ে আবার উড়ে চলে যায়।তিনি বলেন, ‘তারা শীতের পাখির মতো ভোটের সময় আসে, চাঁদা কালেকশন-মনোনয়ন বাণিজ্য করে আবার চলে যায়। সুতরাং তারা যদি আসে তাদেরকে বলতে হবে- মেহমান এসেছেন ঘরের মধ্যে যান, ভোট দিতে পারব না।’হাছান মাহমুদ আজ রোববার দুপুরে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে ফাইভ স্টার মাঠে ‘নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি ২০২৩’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।এছাড়াও আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় যোগ দেন। রংপুর বিভাগের সকল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন তারা।হাছান মাহমুদ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে বেশি শীত সে কারণে আমাদের নেত্রীর নির্দেশে অন্য কাজ বাদ দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আমরা এখানে এসেছি। এখানে বিএনপিকে দেখা যায় নাই। মির্জা ফখরুল সাহেবরা এবারে উত্তরবঙ্গ, ঠাকুরগাঁওয়ে একটি কম্বলও বিতরণ করে নাই। করোনার সময়ও তাদের দেখা যায় নাই। পঞ্চগড়ে নৌকাডুবি হয়েছে, বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সেখানে গিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করেছি।’তিনি বলেন, দুর্যোগে মানুষের পাশে কখনো বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না।রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ শীতে কষ্ট পাক সেটি আমাদের নেত্রী চান না বিধায় ইতিমধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ লাখ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং আমাদের দলের পক্ষ থেকেও সমগ্র বাংলাদেশে প্রত্যেক উপজেলায়, প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় হাজার হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে’।উপস্থিত জনতা ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আজকে যারা এখানে এসেছেন আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাবো যে, নির্বাচন বেশি দূরে নাই। আজকে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এসেছি নৌকা মার্কার পক্ষ থেকে এসেছি, শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এসেছি। ’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ জানুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে তাকে হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়।বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, কারাগারে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন মির্জা ফখরুল। কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর চিকিৎসকের পারমর্শে তাকে হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়েছে।এক প্রশ্নের জবাবে শায়রুল কবির বলেন, কতদিন হাসপাতালে থাকবেন সেটা তো আমরা বলতে পারব না। উনার চিকিৎসকরা বলতে পারবেন।গত বছরের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন এবং পুলিশসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষের পর রাতের বেলা বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এতে বিএনপির দুই হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয় ৭২৫ জনের। সেখানে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। দুজনকে প্রথমে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।এক মাস বন্দি থাকার পর গত ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ জানুয়ারি ২০২৩
বিএনপির বিরুদ্ধে আরও শক্ত অবস্থান তৈরির নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনের নামে নাশকতা সৃষ্টি করে বিএনপি আবারও দেশে ১/১১ মত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও নির্বাচনে জিতবে এমন কোন আস্থা তাদের মধ্যে নেই। তাই তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। একটা ওয়ান ইলাভেন হয়েছে, আরেকটা ওয়ান ইলাভেন বা ১/১১ এর পূনরাবৃত্তি করে বেনিফিসিয়ারী হতে চায়। এই লক্ষে তারা অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে।’আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সহযোগী ও ঢাকার মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের এক যৌথ সভায় তিনি এসব কথা জানান।বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, ‘ইদানিং আমরা লক্ষ করছি হঠাৎ করে বাস পোড়ানো, যেটা ফরিদপুরে ঘটেছে, সেখানে পুলিশের উপর আক্রমন করেছে, সেখানে সবাই এক বাক্যে বলেছে পুলিশ আক্রমনকারী নয় তারা আক্রান্ত।’কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের আলোকে আমরা নিজেদের প্রস্তুত রাখবো। আমরা ক্ষমতায় রয়েছি তাই এই দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই আমাদের দেখতে হবে। আন্দোলনের নামে ভাংচুর অগ্নি সংযোগ করে তারা জনজীবনে দুর্ভোগ ডেকে আনবে, রাস্তা অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা ডেকে আনবে এই অবস্থায় আমরা চুপ থাকতে পারি না।’তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ১২টা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত আমাদের নেত্রী সভা করেছে। সভা শেষে আমরা এখানে যৌথ সভায় এসেছি। আমরা আরও সতর্ক থাকবো, আমাদের নেতাকর্মীদের আরও সুদৃড় করতে হবে। আরও শক্ত অবস্থানে থাকতে হবে।’যুক্তরাষ্টের একজন মন্ত্রী পদমর্যাদার সদস্য বাংলাদেশে আসার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্টের একজন সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যিনি দক্ষিন এশিয়া ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্ব প্রাপ্ত। তিনি আসতেই পারেন, সফর বিনিময় হতেই পারে। এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়, এটা নিয়ে নতুন করে বিষ্মিত হওয়ার কিছু নেই।’যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দীপু মনি, সাংগঠনি সম্পাদক আহমেদ হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সুবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ জানুয়ারি ২০২৩
চাঁদপুর- ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মো. নুরুল আমিন রুহুল বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। দেশে কোন অভাব অনটন থাকে না। বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিল থেকে গরীব, অসহায় ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।এমপি নুরুল বলেন, দেশের গরীব, অসহায় ও অস্বচ্ছল মানুষের পাশে শেখ হাসিনা সরকার সবসময় ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। বর্তমান সরকারের আমলে তাদের কোন কষ্ট নেই। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকবে না।এসময় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।তিনি বলেন, আপনারা শেখ হাসিনা সরকারের পাশে থাকবেন, শেখ হাসিনা সরকারও আপনাদের পাশে থাকবে।উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাসের সভাপতিত্বে ও বিআরডিপির চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএইচএম কবির আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মবিন সুজন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী বেগম রুনু, অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন প্রধান, কাউন্সিলর সারোয়ার সরকার লিখন, মৎস কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জানুয়ারি ২০২৩
বিয়ে করলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান জয়। জয়ের স্ত্রীর নাম কাকন ভুঁইয়া। তিনি ইডেন কলেজ থেকে অনার্স, মাস্টার্স করেছেন বলে জানা গেছে।শুক্রবার বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার আকদ সম্পন্ন হয়।এসময় তার স্বজনদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নসহ অনেকে।আকদ অনুষ্ঠানে ঘিয়া রঙের পাঞ্জাবি, হালকা গোলাপি কটি পরেছিলেন জয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জানুয়ারি ২০২৩
বিয়ে করলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান জয়। শুক্রবার বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার আকদ সম্পন্ন হয়।এসময় তার স্বজনদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নসহ অনেকে।জয়ের স্ত্রীর নাম কাকন ভুঁইয়া। তিনি ইডেন কলেজ থেকে অনার্স, মাস্টার্স করেছেন বলে জানা গেছে।আকদ অনুষ্ঠানে ঘিয়া রঙের পাঞ্জাবি, হালকা গোলাপি কটি পরেছিলেন জয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জানুয়ারি ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে খালেদা জিয়া যদি গণভবনে সংলাপে যেতেন তাহলে গণতন্ত্রের পথে নতুন দুয়ার খুলে যেতে পারত। আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে বিষোদ্গার, পাল্টাপাল্টি চায়না। সুষ্ঠু রাজনীতি চর্চায় সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।’ আজ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এই দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে শুধু দেয়াল তুলেছে, সেতু তৈরির চেষ্টা করেনি।সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছি। তারপরও খালেদা জিয়ার ছেলের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা তার বাড়িতে গেছেন। ঘরের দরজা, বাইরের গেট সব বন্ধ করে দিয়েছে। ইস ইট ডেমোক্রেসি? (এটা কি গণতন্ত্র)। অপমান করে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দোষটা কোথায়?’নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের আরেকটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আগামী নির্বাচন। সেটা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে হবে বলে নির্বাচন কমিশন আভাস দিয়েছে। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে করণীয় সম্পর্কে গত বৃহস্পতিবার এমপিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদানের সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। তার নির্দেশ আমরা পালন করছি। একইসঙ্গে আমরা বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলা করছি। জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ রাজপথে সতর্ক অবস্থানে থাকবে বলেও জানান তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমদের পাঁচ মাস আমদানি করার মতো রিজার্ভ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা আছে। আমাদের মুদ্রাস্ফীতি ৯-এর ওপর চলে গিয়েছিল। এখন ৮ এর নিচে নেমে গেছে। আইএমএফের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর ৩৫তম অর্থনীতির দেশ।’এসময় চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রায় শেষ বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।সভায় আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জানুয়ারি ২০২৩
পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদে নিজের নাম আলোচনায় থাকার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাষ্ট্রপতি হবার যোগ্যতা আমার নেই।‘সামনে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ হবে, সেখানে আপনার নাম শোনা যাচ্ছে’— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার তিনি এমন মন্তব্য করেন।বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আমরা সতর্ক থাকব। তারা যাতে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করিনি। আমরা রাজপথে আছি। রাজপথ আমরা ছাড়বো না। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব পালন করবো। গতকাল বিএনপির বৈঠক অনেক বড় হয়েছে। আমাদের আলোচনা সভাও বড় সমাবেশে রূপ নিয়েছে।বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরের নির্বাচনে আমাদের নেতৃত্ব দেবেন শেখ হাসিনা। কিন্তু তাদের নেতা কে? গত নির্বাচনে তারা কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচন করেছে।তিনি বলেন, বিএনপির জগাখিচুরি ঐক্যের পরিণতি হয়েছে। অর্থহীন ঐক্য কতটা টেকসই হয় সেটা সময় গড়ালে বোঝা যাবে। গতবার ২১ দল ছিলো, নির্বাচনের সময় তারা এলোমেলো হয়ে গেছে।জামায়াত নিষিদ্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, এটা আদালতের বিষয়। এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেইনি। আদালতের বিষয়ে দলীয় ভূমিকা যুক্তিসঙ্গত হবে না। তবে জামায়াত ছাড়া বিএনপি শক্তিহীন। বিএনপি-জামায়াত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জানুয়ারি ২০২৩
টানা দ্বিতীয়বার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হয়ে চট্টগ্রামের নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত বিপ্লব বড়ুয়া।বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।অনুষ্ঠানে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, আমাকে সম্মান, ভালোবাসা দেখিয়ে তিনি চট্টগ্রামের মানুষের প্রতিও সন্মান দেখিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃত্বে আমার মতো একজন নগণ্য মানুষকে তিনি দ্বিতীয়বার দপ্তর সম্পাদক করেছেন।"আপনাদের (চট্টগ্রামের নেতাকর্মী) ভালোবাসায় আমি অভিভূত, আনন্দিত, আমার মত একজন ক্ষুদ্র কর্মীকে চট্টগ্রাম শহরে বরণ করেছেন। আপনাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।"চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতৃত্বসহ প্রয়াত নেতাদের স্মরণ করে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, "আওয়ামী লীগে চট্টগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচজনকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে রেখে চট্টগ্রামবাসীকে সম্মানিত করেছেন।"দায়িত্ব পাওয়া মানে সংবর্ধনা নেয়া নয়, দায়িত্ব পাওয়া মানে দায়িত্ব পালন করার একটি দায়িত্ববোধ, কর্তব্যবোধ।"দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক বলেন, "আজকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, দেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রকারিরা শুধু দেশে নয়, দেশের বাহিরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে ব্যহত করতে চায়। আসুন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে, দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নিজেদের শক্তির অপব্যবহার না করে আমরা যুদ্ধাপরাধি, জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসবাদী গোষ্টির বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক, সাংগঠনিক শক্তি ব্যয় করি।"চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামের সভাপতিত্বে সংবর্ধনায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পিয়ারুল ইসলাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাতকানিয়া পৌর মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হক চৌধুরী বাবুল, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাইদী, বাঁশখালি উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালীব, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য রাশেদুল মাহমুদ রাসেল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপরকমিটির সদস্য জিয়াউদ্দিন শিপু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় পানি সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক রাহুল বড়ুয়াসহ চট্রগামের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জানুয়ারি ২০২৩
বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচির কারণে রাজধানীর নয়া পল্টন ও নাইটেঙ্গেল এলাকায় সকাল থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকে। আর অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের কর্মসূচির কারণে গুলিস্তান এলাকায়ও যান চলাচল ব্যাহত হয়। যার রেশ পুরো আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। অবস্থান আর কর্মসূচির কারণে সৃষ্ট যানজট এখন পর্যন্ত চলমান রয়েছে।দুপুরের পর রাজনৈতিক কর্মসূচি শেষ হলেও, বিকেলেও রাস্তায় যানজট রয়ে গেছে। এতে করে এসব এলাকা দিয়ে চলাচলকারী মানুষজনকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।বুধবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর পল্টন, শান্তিনগর, কাকরাইল, রামপুরা, মতিঝিল ও মৎস্য ভবন এলাকায় এই যানজটের চিত্র দেখা গেছে।সরেজমিনে দেখা যায়, পল্টন এলাকার চলাচল বন্ধ থাকার কারণে সকাল থেকেই আশপাশের এলাকাগুলোতে যানজট লেগেই ছিল। তবে বিকেল থেকে পল্টন এলাকায় যান চলাচল শুরু হলেও সেই রেশ এখনো রয়ে গেছে। পল্টন থেকে সৃষ্ট হয়ে হওয়া যানজট একদিকে যেমন মতিঝিল পর্যন্ত পৌঁছেছে অন্যদিকে শান্তিনগর হয়ে রামপুরা পর্যন্ত গাড়ি থেমে আছে।অন্যদিকে গুলিস্থানে ক্ষমতাসীন দলের কর্মসূচি থাকায় ওইদিকেও দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়। এর ফলে যানজটের প্রভাব পুরাতন পল্টন হয়ে মৎস্য ভবন পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে।রাজধানীর কাকরাইল এলাকা হয়ে মতিঝিলগামী যাত্রী মো.আনোয়ার বলেন, ব্যক্তিগত কাজে মতিঝিল যাচ্ছি। সকাল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি থাকায় বিকেলে বের হয়েছি, তারপরও এখনো রাস্তায় যানজট রয়েছে। গাড়ির চাকা সামনের দিকে এগোচ্ছেই না।গাজীপুর থেকে সদরঘাটগামী ভিক্টর ক্লাসিক বাসের চালক মো. সিদ্দিক বলেন, সকালে তো এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায়নি। এখন একটা ট্রিপ নিয়ে সদরঘাট যাচ্ছিলাম কিন্তু শান্তিনগর থেকে গাড়ি আর সামনে এগোচ্ছে না। রাস্তায় প্রচুর গাড়ির চাপ।এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, আজকে রাজধানীতে গাড়ির চাপ প্রচুর। বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় যানজটের প্রভাব বিকেল পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে রাস্তার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কর্তব্যরতরা কাজ করছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ জানুয়ারি ২০২৩
ভারত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, "ভারত আমাদের পাশে আছে এটাই একটা ব্যাপার। ভারতকে পাশে পেলে আমরা শক্তি পাই।"মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের মত বিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, "আমরা ৭১ সালের রাখিবন্ধন কখনো ভুলি নাই, ভুলতে পারি না। এটাই আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। "সব কিছু মিলিয়ে ভারতের কাছে, ভারত তো আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে না। কিন্তু ভারত আমাদের পাশে আছে। এটা একটা ব্যাপার। ভারতকে আমাদের বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই। আমাদের ভোট জনগন দেবে। ভারতেকে পাশে পেলে আমরা শক্তি পাই।কারন, আমাদের এখানে শত্রু বেশি,অনেক ষড়যন্ত্র হয়।"তিস্তা পানি চুক্তির বিষয়ে ভারতীয় সাংবাদিকদের অনুরোধ করে কাদের বলেন, "ছিটমহল বিনিময় এখানে এতো শান্তিপুর্ন ছিল। এটা একটা বিরাট অর্জন। এর কৃতিত্ব আমাদের নেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবশ্যই দিতে হবে। তারপরও আমাদের কিছু কিছু ব্যাপার আছে। যেমন ওয়াটার। এসব বিষয়গুলো আছে। সেটা আলোচনার মধ্যে আছে, আমরা বিশ্বাস করি, ভারতের সাথে বৈরি সস্পক রেখে আমরা আমাদের যে পাওনাটা ভারতের কাছ থেকে আমরা সেটা পাব না। যেসব বিষয়গুলো আছে, সমাধান করতে হলে বন্ধুত্ব রাখতে হবে। আলোচনা করতে হবে। আলোচনার টেবিলে করতে হবে। সেটা আমরা বিশ্বাস করি।"পানিচুক্তি নিয়ে দুদেশের আলোচনাকে আমরা পজেটিভ ভাবে দেখছি। এখানে রাজ্য সরকারের বিষয় আছে। আপনারা যারা পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিক আসেন আপনারাও বলবেন বাংলাদেশের দিকে একটু তাকাতে।"ওবায়দুল কাদের বলেন, "আমাদের ভুল ত্রুটিও আছে। কিন্তু তার পরেও একটা কথা মনে রাখবেন, বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের শেখ হাসিনার চেয়ে কোনো বিশ্বস্ত বন্ধু আরেক জন আপনাদের নাই। এটা ভারতকে মনে রাখতে হবে। আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্ব। যখন যারা ক্ষমতা আছে তখন তাদের সাথেও সম্পর্ক থাকবে। যদি তারা বন্ধুত্ব রাখেন। নরেন্দ্র মোদির রেখেছেন সেজন্য আছে। এই সম্পর্ক বিকশিত। আমাদের মধ্যে অনেক মিল আছে।"রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, "আমাদের প্রতিপক্ষ দল বিএনপি। তাদের সঙ্গে আছে জামায়াত, জঙ্গিবাদী কিছু দল। তাদের সাথে আছে আলট্রা ল্যাফট, আলট্রা রাইট কিছু দল, সব মিলিয়ে ৩৩৷ তারাসহ ৩৪। এটা একটা জগাখিচুরি ঐক্য। এই ঐক্য গতবার ফল দেয়নি। আমরা দল ভাঙ্গা ভাঙ্গিতে নেই। বিএনপি নিজেরা নিজেদেরকে ভাঙ্গা ভাঙ্গি করে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ।"এ সময় পদ্মা সেতু ও মেট্রো রেলের আয় তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, "পদ্মাসেতুতে প্রতিদিন ২ কোটি ১০/১২ লাখ টাকার টোল আদায় হচ্ছে। প্রথম ৬ সাসে ৪০৩ কোটি টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। মেট্রোরেলে গত ১০ দিনে ৮৮ লাখ টাকা ভাড়া হিসেবে পেয়েছি।"
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ জানুয়ারি ২০২৩
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদী শক্তি মাঠে নেমেছে। এদেরকে পরাজিত পর্যদুস্ত করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের কাছে সোনার দেশের ক্ষমতার মঞ্চ ফিরিয়ে দিব এটা হতে পারে না, হতে দিব না।মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন কাদের।সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষের কাছে অবশ্যই আমাদের অঙ্গীকার আছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতেই হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আদর্শ রাষ্ট্র গড়তে হবে। আইডিয়াল স্টেট গড়তে হবে। মুক্তির কান্ডারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো। সেটাই আমাদের শপথ।তিনি বলেন, বাংলাদেশে দু’জন মানুষ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। একজনকে রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্য আর আরেকজনকে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। দিস ল্যাগাসি নেভার ডাই। শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম করছেন। বাংলাদেশেকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।কাদের বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়েন সারাবিশ্বের বিস্ময়। আমাদের রিজার্ভ স্ট্যাবল আছে। মূল্যস্ফীতি ৮ এর নিচে আছে। আমরা গর্ব করে বলতে পারি যে উন্নয়ন অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। আমরা আরও এগিয়ে যাবো। মানুষের মাথাপিছু আয় আড়াই হাজার ডলার। বাংলাদেশে এখন পৃথিবীর ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। ২০২৬ সালে ৪ হাজার ডলারে উন্নীত হবে।বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, যারা বাংলার সহস্র জননীর বুক খালি করেছে। যারা বাংলার শত শত মায়ের বুক খালি করেছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসিত পুরস্কৃত করেছে, কুখ্যাত ইনডেমনিটি জারি করেছিলো। যারা গগণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিলো। এই বাংলায় শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল। আমরা তাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে পারি না। তাদের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে পারি না।বিএনপি সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা এদেশে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল। যারা এ দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। তারেক রহমান অর্থপাচারের কারণে ৭ বছরের দণ্ড নিয়ে ব্রিটেনে অবস্থান করছে। জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছে।দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, গেট রেডি। প্রস্তুত হোন। সামনে নির্বাচন। ইনশাআল্লাহ, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সকল ষড়যন্ত্র ভেদ করে এগিয়ে যাব। বিজয়ের সোনালী বন্দরে নৌকার বিজয়ের অভিযাত্রা শেষ করবো।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ জানুয়ারি ২০২৩
কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের পিছু হটার কোনো পথ নেই। আমাদের পথ শুধু সামনে এগিয়ে চলা।’আজ সোমবার সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সরাসরি নয়াপল্টনে আসেন। সেখানে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী দুই নেতাকে ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান। তাঁরা মুহুর্মুহু স্লোগানে দুই নেতাকে বরণ করে নেন।মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ গ্রেপ্তার করে, কষ্ট দিয়ে, নির্যাতন করে আমাদের দমন করতে পারবে না। এ দেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য জেগে উঠেছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারকে পরাজিত করব। যত বেশি অত্যাচার করবে, নির্যাতন করবে, তত বেশি মানুষ ফুঁসে উঠবে।’বিএনপির মহাসচিব বলেন, তারা ভেবেছিল বিএনপির অফিস আক্রমণ করে, একেবারে দিনদুপুরে ডাকাতের মতো হামলা করে, নেতা-কর্মীদের হত্যা করে এ আন্দোলনকে বন্ধ করে দেবে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বন্ধ করে দিতে পারবে। কিন্তু পারেনি। এটা আরও শক্তিশালী হয়েছে। ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ, এরপর গণমিছিলে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে ঢাকা শহর সয়লাব হয়ে গেছে। আজ গোটা বাংলাদেশ প্রতিবাদের ঝড়ে প্রকম্পিত হয়েছে।মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মাত্র দুজন বেরিয়েছি। আরও হাজারো নেতা-কর্মী কারাবন্দী রয়েছেন এবং তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এই সরকার সারা দেশকে একটি কারাগারে পরিণত করেছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ জানুয়ারি ২০২৩
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০০৯ সালে আমাদের সরকার গঠনের সময় বাংলাদেশ ছিল ৬০তম অর্থনীতির দেশ, গত ১৪ বছরে ২৫ দেশকে পেছনে ফেলে আজকে সেটি ৩৫তম অর্থনীতির দেশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে গেছে এবং বদলে যাচ্ছে।তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া জিডিপির আকারে আমাদের চেয়ে ছোট অর্থনীতির দেশ, পাকিস্তান তো বটেই। কোনো কোনো সমীক্ষামতে বাংলাদেশের অবস্থান পিপিপিতে ৩১তম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে, সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যদি অব্যাহত থাকতো তাহলে দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া এমনকি সিঙ্গাপুরের আগেই পৃথিবীর মানুষ বাংলাদেশের বদলে যাওয়ার গল্প শুনতো।সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের জহির রায়হান হলে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) এ উৎসবের আয়োজন করেছে।সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত ‘দি টপ হেভি গ্লোবাল ইকনোমি’ তালিকায় ৩৫তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।অনুষ্ঠানে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আজকে এই খবরে দেশের গণমাধ্যমে যেভাবে প্রশংসা হওয়া দরকার আমি কিন্তু সেটা দেখছি না। যদি বাংলাদেশ কোনো সূচকে পিছিয়ে যায়, তখন গণমাধ্যমে সেটি যেভাবে ফলাও করে প্রচার হয়। কিন্তু অর্থনীতির আকার অনুযায়ী, জিডিপির হিসাব অনুযায়ী আমরা যখন এগিয়ে গেলাম, সেটিও ফলাও করে প্রচার হওয়া প্রয়োজন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ জানুয়ারি ২০২৩
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, আকাশ থেকে বাংলাদেশে এখন আর কুঁড়েঘর দেখা যায় না। বাস্তবিক অর্থেই দেশ থেকে কুঁড়েঘর হারিয়ে গেছে। মেঠো পথও আর দেখা যায় না। মেঠো পথ এখন কবিতাতেই সীমাবদ্ধ। এটিই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশে সফরে আসা একদল ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দুই দেশের নাগরিক বটে, কিন্তু আমরা একই পাখির কলতান শুনি, একই নদীর অববাহিকায় বেড়ে উঠি। একই মেঘ আমাদের এখানে বর্ষণ করে। কাঁটাতারের বেড়া এই বন্ধনকে বিভক্ত করতে পারেনি।’বিরোধী দল দেশের উন্নয়ন দেখে না মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘পুরো পৃথিবী আজ বাংলাদেশের প্রশংসা করে। কিন্তু এই দেশের বিরোধী দলের রাজনীতিকেরা দেখেও দেখেন না। তাঁরা উড়ালসড়ক পার হয়েও বলেন, কোনো উন্নয়ন হয়নি। পদ্মা সেতু দিয়ে ওপারে পার হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বক্তৃতায় বলেন কিছু হয়নি।’সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসেছেন ভারতের ৩৪ জন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। এর মধ্যে ২৫ জন পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার, ৯ জন আসামের গুয়াহাটির। আজ রোববার তথ্যমন্ত্রী এসব ভারতীয় সাংবাদিককে নিয়ে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেল ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের আত্মাহুতির স্থান পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রামে ফিরে প্রেসক্লাবে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ জানুয়ারি ২০২৩
নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ প্রশ্ন করেছেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজন কী?বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করা হবে কি না? তার উত্তরে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন শিল্পীদের সংগঠন ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’ নেতাদের সাক্ষাৎ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন সংলাপের প্রয়োজনীয়তা কী? নিবার্চনের আয়োজক সংস্থা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তারা প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসতে পারে। যদিও নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তারপরও যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেটা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে।বিএনপি বলছে, আমরা ক্ষমতা চাচ্ছি না, আমরা চাচ্ছি শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়। সাংবাদিকদের এ ধরনের আরেক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো অস্থিরতা তৈরি করতে চায়। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের কর্মসূচি সেটিই প্রমাণ করে। তারা ১০ তারিখ ঘিরেও আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছে। আগামী ১১ তারিখ আবার তারা অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে। সেখান থেকেও আবার অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। আমরা ১০ তারিখ যেমন সতর্ক পাহারায় ছিলাম, ৩০ তারিখও আমরা সতর্ক অবস্থানে ছিলাম। ভবিষ্যতেও যদি তারা এ রকম বিশৃঙ্খলা করতে চায়, তাহলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে উচিত জবাব দেবো।তিনি বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে কোনো বাধা নেই। সরকার সেক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে এবং করবে। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যদি সহিংসতা করার অপচেষ্টা চালায়, সেক্ষেত্রে সেটি জনগণ প্রতিহত করবে। জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা থাকবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ জানুয়ারি ২০২৩
বগুড়ায় উপমহাদেশের বৃহৎ ও প্রাচীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি এ সংগঠনটির জন্ম হয়।ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় সহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে তারা ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন। প্রধান অতিথি ও প্রধান বক্তার বক্তব্য শেষে এক বিশাল র্যালী বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য মজিবর রহমান মজনু বলেন, ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৮’র আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করা, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে রাজপথে নেতৃত্ব দেয় বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগ। ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনন্য ভূমিকা পালন করে ছাত্রলীগ। তিনি আরও বলেন, বগুড়ার মানুষ বারবার ভুল প্রার্থীকে নির্বাচন করছেন তারা নির্বাচিত হয়ে বগুড়ার মানুষের সাথে তামাশা করতেছে। তাই আসন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা বদ্ধপরিকর হয়ে এমন প্রার্থী নির্বাচন করি যাকে দিয়ে বগুড়ার মানুষের উপকার হবে তামাশা নয়।উক্ত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে উপস্থিত ছিলেন আসাদুর রহমান দুলু সাবেক সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগ, শাহাদৎ আলম ঝুনু সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ, রফি নেওয়াজ খান রবিন সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগ, আবু সুফিয়ান সফিক সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ, এ্যাড. মকবুল হোসেন মুকুল সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ, ভি.পি সাজেদুর রহমান শাহিন সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, জেলা ছাত্রলীগ, আল রাজী জুয়েল সাবেক সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ জানুয়ারি ২০২৩
বগুড়ায় একের পর এক চমক দেখাচ্ছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বগুড়ার ৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তিনি। মনোয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, হিরো আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ওই দুই আসন থেকে ফরম সংগ্রহ করছেন। একজন প্রার্থী চাইলে তিনটি আসন থেকে মনোনয়নপত্র নিতে পারেন।বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হিরো আলম তিনি ব্যক্তি জীবনে কেবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা (ডিশ সংযোগ) করতেন। ২০০৮ সালে ২৩ বছর বয়সে মডেলিংয়ে যুক্ত হন। এরপর নিজের অভিনয় ও গানের দৃশ্য রেকর্ড করে ক্যাবল নেটওয়ার্কে প্রচার করতে থাকেন। এতে নিজ এলাকার লোকজনের কাছে জনপ্রিয়তা তৈরি হয় তার। ২০১৬ সালে তিনি ‘হিরো আলম’ নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেজ খুলে তাতে অভিনয় ও গানের দৃশ্যগুলো ছড়িয়ে দেন।পরে ইউটিউবেও একটি চ্যালেন খুলে সেখানে তার গান-বাজনা ও নিত্তর ভিডিও আপলোড করতে থাকেন। এইখান থেকে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের জনপ্রিয়তা শুরু হয়। হিরো আলম তার নিজ নিজ এলাকা থেকে দুই দুইবার ইউপি সদস্য নির্বাচন করেন যদিও এ দুইবার তিনি পরাজিত হন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেন। তবে তার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন এবং সিংহ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।দলীয় সিদ্ধান্তের দোহায় দিয়ে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনের বিএনপি দলীয় দুই সংসদ সদস্য ১১ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করে। ১৮ ডিসেম্বর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুসারে ১ ফেব্রুয়ারি আসন দুটিতে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ জানুয়ারি ২০২৩
টানা তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনীত হয়েছেন পারভীন জামান ।পারভীন জামানের জন্ম ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানার বাখরগা গ্রামের ভাষা সৈনিক মরহুম অধ্যক্ষ মো: কামরুজ্জামানের মেয়ে। তাঁর মায়ের নাম নূরুন নাহার বেগম।পারভীন জামান পেশায় একজন শিক্ষিকা, রাজধানীর বাংলাবাজার কে এল জুবিলি স্কুল ও কলেজের সিনিয়র শিক্ষক তিনি।তিনি অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন, শৈলকূপা এর মাধ্যমে এলাকার দুস্থ, অসহায়, অবহেলিত জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন । এছাড়াও তিনি একাধারে ঢাকা মহিলা পরিষদের সদস্য, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও ঝিনাইদহ জেলা নারী কল্যাণ সমিতির সদস্য হিসাবে তার যথাযথ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ জানুয়ারি ২০২৩