রাজনীতি


'ওবায়দুল কাদের যদি প্রকাশ্যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে পারেন আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব’

'ওবায়দুল কাদের যদি প্রকাশ্যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে পারেন আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলে খেলা বন্ধ করুন। উনি তত ভালো খেলোয়াড় নন। আপনি পদত্যাগ করে তাকে খেলতে দিন। প্রকাশ্যে যদি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে পারেন আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।’রাজধানীর নয়াপল্টনে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলব- রাষ্ট্রপতিকে বলুন সংসদ বিলুপ্ত করতে। বাংলাদেশের মানুষ পাথরের মতো শক্ত আবার কাদার মতো নরম। তারা আপনাকে ক্ষমা করলেও করতে পারে।’সম্প্রতি গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় জানাজায় অংশ নিতে বাধ্য করা প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, এটা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? দেশে-বিদেশে সবাই দেখেছেন। মড়ার উপর ডান্ডাবেড়ি পরান। আপনাদের তো মরা মানুষের উপর নৃত্য করার অভ্যাস আছে। পৈশাচিক মনোবৃত্তির পরিণতি ভয়াবহ।পুলিশের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের দিন পুলিশের কারা ডিউটি করেছেন আমরা দু-চারজনকে চিনলেও তাদের তালিকা পুলিশের কাছে আছে।গয়েশ্বর বলেন, আন্দোলন করি বা না করি এই সরকারকে যেতে হবে। এখন আপনারা প্রতিদিন আমাদের কোর্টে নেন। কিন্তু ক্ষমতা থেকে গেলে আপনাদের ২৪ ঘণ্টা কোর্টে থাকতে হবে। আমরা মামলা না করলেও দেশের ১৮ কোটি মানুষ মামলার প্রস্তুতি নেবে।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জিয়া মঞ্চ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ ডিসেম্বর ২০২২


ডেলিগেট ও কাউন্সিলর কার্ড বিতরণ শুরু করেছে আ.লীগ

ডেলিগেট ও কাউন্সিলর কার্ড বিতরণ শুরু করেছে আ.লীগ

২২তম জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিলর ও ডেলিগেট কার্ড বিতরণ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে এ কার্ড বিতরণ শুরু হয়।এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও এসএম কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে সারাদেশ থেকে ৭ হাজার কাউন্সিলর এবং লক্ষাধিক ডেলিগেট অংশ নেবেন। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) মঞ্চ সাজ সজ্জা উপ-কমিটির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছিলেন, আমাদের কাউন্সিলে প্রবেশের জন্য ৫টি গেট থাকবে। তার মধ্যে একটি ভিআইপি ও চারটি গেট থাকবে ডেলিগেট ও কাউন্সিলরদের প্রবেশের জন্য।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ ডিসেম্বর ২০২২


বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি/ ‘জাহাঙ্গীরের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি গনভবনে’

বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি/ ‘জাহাঙ্গীরের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি গনভবনে’

বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তিকারী গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বহিষ্কৃত মেয়র এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার নিয়ে ভিন্ন মতামত দিয়েছেন দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতা।তারা বলছেন, গত শনিবার সন্ধায় গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেখানে বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে একক কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, শনিবারের ঐ বৈঠক মূলত- স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যারা নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেছিল এবং আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মীরা বিদ্রোহীদের সমর্থন করেছিল তাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বাংলা ওয়্যার-কে বলেন,‘আমাদের জাতীয় কমিটির ঐ বৈঠকে কোন ব্যক্তির বিষয়ে একক কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। যারা বিভিন্ন সময়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে এবং দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী হিসাবে নির্বাচন করেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের সভানেত্রী তাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন’।আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, "দলের বাইরে গিয়ে যারা নির্বাচন করেছে, যারা বিদ্রোহীদের সমর্থন করেছে তাদের বিষয়ে জাতীয় কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে।"নেত্রী (শেখ হাসিনা) বলেছেন, ‘যারা বিদ্রোহী নির্বাচন করেছে, তারা ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে দরখাস্ত করেছে বা করবে তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হবে।"আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, “ গনভবনের ঐ বৈঠকে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেছিল এবং দল যাদেরকে বহিস্কার করেছিল তাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে কিন্তু তারা তাদের পূর্বের পদ ফিরে পাবে না”।এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বেসরকারি একটি টেলিভিশনের একান্ত সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেকের মত জাহাঙ্গীর তো অ্যাপ্লাই (আবেদন) করেছে। তারটা মওকুফ করেছে। যারাই আবেদন করেছে তাদেরকেই ক্ষমা করেছে। এরকম প্রায় একশর মতো ছিল। অনেকে কলহে-বিবাদে জড়িয়েছে, শৃঙ্খলাবিরোধী বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। এগুলো ক্ষমা করা হয়েছে।‘এদিকে, জাহাঙ্গীর আলমকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে—এমন খবর এখন গাজীপুরবাসীর মুখে মুখে বিশেষ করে জাহাঙ্গীর সমর্থকদের মধ্যে বাঁধভাঙ্গা উল্লাস করতে দেখা গেছে। অপরপক্ষে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলও হয়েছে গাজীপুরে।প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলমের একটি অডিও ছড়িয়ে পড়ে। অডিওতে মেয়র জাহাঙ্গীরকে মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতে শোনা যায়। এতে বঙ্গবন্ধুকেও খাটো করা হয়েছে।স্থানীয়দের বিক্ষোভের পর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ গত ৩ অক্টোবর শোকজ নোটিশ পাঠায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদককে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ ডিসেম্বর ২০২২


ঢাবি ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি মাজহারুল ও সাঃ সম্পাদক তানভীর সৈকত

ঢাবি ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি মাজহারুল ও সাঃ সম্পাদক তানভীর সৈকত

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কমিটি অনুমোদন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে মাজহারুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত মনোনীত হয়েছেন।আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর অর্পিত ক্ষমতা বলে আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদকে মনোনীত করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজীবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডমঙ্গলবার রাতে গণভবন থেকে বের হয়ে সভাপতির পক্ষে কমিটি ঘোষণা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ ডিসেম্বর ২০২২


বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নয়া সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নয়া সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নতুন কমিটি অনুমোদন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান দায়িত্ব পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর অর্পিত ক্ষমতা বলে আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার রাতে গণভবন থেকে বের হয়ে সভাপতির পক্ষে কমিটি ঘোষণা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ ডিসেম্বর ২০২২


ওবায়দুল কাদেরের সত্যের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই : বিএনপি

ওবায়দুল কাদেরের সত্যের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই : বিএনপি

বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের কর্মপরিকল্পনার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘এটি উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা।’মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের নেতাদের মুক্তি দাবিতে মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।গতকাল (সোমবার) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপকমিটি এবং মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির যৌথ বৈঠকে বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রকে যারা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে, তারা আবার এ রাষ্ট্র মেরামত করবে! মেরামত তো শেখ হাসিনা করেছেন। এ জন্যই তো আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের দুর্নাম বয়ে এনেছে। দেশের বিচারব্যবস্থা, গণতন্ত্র সামাজিক অবকাঠামো সব ধ্বংস করে দিয়েছে। চাপাবাজি করে বলছে, বিএনপির আমলে নাকি রাষ্ট্র ধ্বংস হয়েছে। উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা জনগণ বিশ্বাস করবে না।’বিএনপি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে- ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যে মোশাররফ বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য বিভিন্নভাবে ইতিহাসকে বিকৃত করছে। তাদের সত্যের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই- এ ধরনের কথা বলে দেশের জনগণকে তারা বিভ্রান্ত করতে চায়।’মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ ডিসেম্বর ২০২২


ক্ষমতায় না আসলে বিএনপির রূপরেখা নদীতে ভেসে যাবে-কাদের

ক্ষমতায় না আসলে বিএনপির রূপরেখা নদীতে ভেসে যাবে-কাদের

বিএনপির ২৭ দফা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় না এলে নদীতে ভেসে যাবে। রাষ্ট্রকে তারা মেরামত করবে কীভাবে। এটা তাদের স্টান্টবাজি। তারা রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দাড়প্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ মাধ্যমে উন্নয়ন সাধন করেছেন।মঙ্গলবার সকালে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত খাদ্য উপ কমিটির প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রস্তুতি সভাটি আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।‘বিএনপি রাষ্ট্রকে মেরামত করবে’— এটা হাস্যকর উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে রাষ্ট্র বিশ্বের বিস্ময়। ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ, আর আজকের বাংলাদেশে উন্নয়ন অর্জনের যে দৃশ্যপট, এই বাংলাদেশকে চেনাই যায় না। অথচ এই রাষ্ট্রকে তারা (বিএনপি) ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। সেই রাষ্ট্রকে দৃঢ় পদক্ষেপে ডিজিটাল হিসেবে মেরামত করেছেন শেখ হাসিনা। এখন ২০৪০ সালে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও খাদ্য উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক র্মিজা আজম, এসএম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যরিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেজবাহুল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ ডিসেম্বর ২০২২


বেকার ভাতা দিবে বিএনপি

বেকার ভাতা দিবে বিএনপি

সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ তুলে ধরল বিএনপি। আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ রূপরেখা তুলে ধরা হয়। এর আগে ঢাকাসহ আট বিভাগেই গণসমাবেশ করে বিএনপি।বিএনপির দেওয়া রূপরেখায় ২৩ নম্বরে বলা হয় দেশের শিক্ষিত বেকারদের ভাতা প্রদান করা হইবে।রুপরেখায় তুলে ধরা হলো, এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হইবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হইবে। বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে নানামুখী বাস্তবসম্মত কর্মসূচি গ্রহণ করা হইবে।যুবসমাজের ভিশন, চিন্তা ও আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করিয়া আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হইবে।যুবসমাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করিয়া ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ আদায়ের লক্ষ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হইবে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পুষ্টির উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়া মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করা হইবে।আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি বিবেচনা করা হইবে। আরও পড়ুন ঃ রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা দিলো বিএনপি/ দুই টার্মের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ ডিসেম্বর ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা/দুই টার্মের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী নয়

বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা/দুই টার্মের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী নয়

সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ তুলে ধরল বিএনপি। আজ সোমবার রাজধানীর এক হোটেলে এ রূপরেখা তুলে ধরা হয়। এর আগে ঢাকাসহ ১০ বিভাগেই গণসমাবেশর করে বিএনপি। সর্বশেষ ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে ঢাকার বিভাগীয় মহাসমাবেশ করে দলটি। সেখানেই এই রূপরেখা দেওয়ার কথা জানানো হয়। আজ রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ রূপরেখা তুলে ধরেন।বিএনপির রূপরেখাটি তুলে ধরা হলো: বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়া এক সাগর রক্তের বিনিময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র গড়িয়া তুলিয়াছিল, সেই রাষ্ট্রের মালিকানা আজ তাহাদের হাতে নাই। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বাংলাদেশ রাষ্ট্র কাঠামোকে ভাঙ্গিয়া চুরমার করিয়া ফেলিয়াছে। এই রাষ্ট্রকে মেরামত ও পুনঃগঠন করিতে হইবে। দেশের জনগণের হাতেই দেশের মালিকানা ফিরাইয়া দেওয়ার লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের পর বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার হটানোর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলসমূহের সমন্বয়ে একটি “জনকল্যাণমূলক জাতীয় ঐকমত্যের সরকার” প্রতিষ্ঠা করা হইবে। উক্ত “জাতীয় সরকার” নিম্নলিখিত রাষ্ট্র রূপান্তরমূলক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করিবে:১. বিগত এক দশকের অধিক কালব্যাপী আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করিয়া রাখার হীন উদ্দেশ্যে অনেক অযৌক্তিক মৌলিক সাংবিধানিক সংশোধনী আনয়ন করিয়াছে। একটি ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ গঠন করিয়া সকল বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক সাংবিধানিক সংশোধনী ও পরিবর্তনসমূহ পর্যালোচনা করিয়া এই সব রহিত/সংশোধন করা হইবে এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সাংবিধানিক সংস্কার করা হইবে। সংবিধানে গণভোট ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করিয়া জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হইবে।২. প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে সকল মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক ‘রেইনবো নেশন’ প্রতিষ্ঠা করা হইবে। এই জন্য অব্যাহত আলোচনা, মতবিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ভবিষ্যৎমুখী এক নতুন ধারার সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছাইতে হইবে। এই জন্য একটি ‘ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ গঠন করা হইবে।৩. বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এবং স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে স্থায়ী সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে একটি ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হইবে।৪. প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি, সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনয়ন করা হইবে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সুসমন্বয় করা হইবে।৫. পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করিতে পারিবেন না।৬. বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সংসদে ‘উচ্চ-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তন করা হইবে।৭. আস্থা ভোট, অর্থবিল, সংবিধান সংশোধনী বিল এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত—এমন সব বিষয় ব্যতীত অন্য সব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মতামত প্রদানের সুযোগ নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়া দেখা হইবে।৮. রাজনৈতিক দলসমূহের মতামত এবং বিশিষ্টজনের অভিমতের ভিত্তিতে স্বাধীন, দক্ষ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও দৃঢ়চিত্ত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠন করিবার লক্ষ্যে বর্তমান ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ সংশোধন করা হইবে। ইভিএম নয়, সকল কেন্দ্রে পেপার-ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান নিশ্চিত করা হইবে। আরপিও, ডেলিমিটেশন অর্ডার এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন সংস্কার করা হইবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করা হইবে।৯. সংকীর্ণ রাজনৈতিক দলীয়করণের ঊর্ধ্বে উঠিয়া সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও বিশ্বাসযোগ্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করিবার লক্ষ্যে এই সকল প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন করা হইবে। শুনানির মাধ্যমে সংসদীয় কমিটির ভেটিং সাপেক্ষে এই সকল প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে নিয়োগ প্রদান করা হইবে। ১০. বাংলাদেশের সংবিধান ও মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হইবে। বর্তমান বিচারব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি ‘জুডিশিয়াল কমিশন’ গঠন করা হইবে। জুডিশিয়াল সার্ভিসে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ, বদলি, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুরিসহ চাকুরীর শৃঙ্খলাবিধান সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক পরিচালিত হইবে। বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি পৃথক সচিবালয় থাকিবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অভিশংসন প্রশ্নে সংবিধানে বর্ণিত পূর্বেকার ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা হইবে। এই জন্য সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়ন করা হইবে। দলীয় বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠিয়া কেবল জ্ঞান, প্রজ্ঞা, নীতিবোধ, বিচারবোধ ও সুনামের কঠোর মানদণ্ডে যাচাই করিয়া বিচারক নিয়োগ করা হইবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের লক্ষ্যে সংবিধানের ৯৫(গ) অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা ও মানদণ্ডসম্বলিত ‘বিচারপতি নিয়োগ আইন’ প্রণয়ন করা হইবে।১১. দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ পরিষেবা, জনপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন গড়িয়া তুলিবার লক্ষ্যে যোগ্য, অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি ‘প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন’ গঠন করিয়া প্রশাসন পুনর্গঠন করা হইবে। মেধা, সততা, সৃজনশীলতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসনে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতিতে যোগ্যতার একমাত্র মাপকাঠি হিসাবে বিবেচনা করা হইবে।১২. সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি, মিডিয়া সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী এবং বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ ও গ্রহণযোগ্য মিডিয়া ব্যক্তিদের সমন্বয়ে মিডিয়ার সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে একটি ‘মিডিয়া কমিশন’ গঠন করা হইবে। সৎ ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ পুনরুদ্ধার করিবার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হইবে; এই লক্ষ্যে আইসিটি অ্যাক্ট-২০০৬–এর প্রয়োজনীয় সংশোধন ও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৮ বাতিল করা হইবে। চাঞ্চল্যকর সাগর-রুনি হত্যাসহ সকল সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার বিচার নিশ্চিত করা হইবে।১৩. দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হইবে না। বিগত দেড় দশকব্যাপী সংঘটিত অর্থ পাচার ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করিয়া একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা এবং শ্বেতপত্রে চিহ্নিত দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে। দেশের বাহিরে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে। দুর্নীতি দমন কমিশন ও দুর্নীতি দমন আইন সংস্কারের পাশাপাশি পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে ‘দুদকের’ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হইবে। সংবিধান অনুযায়ী ‘ন্যায়পাল’ নিয়োগ করা হইবে।১৪. সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হইবে। মানবিক মূল্যবোধ ও মানুষের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং অমানবিক নিষ্ঠুর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অবসান ঘটানো হইবে। ইউনিভার্সেল হিউম্যান রাইটস চার্টার অনুযায়ী মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা হইবে। সুনির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে মানবাধিকার কমিশনে নিয়োগ প্রদান করা হইবে। গত দেড় দশক যাবৎ সংঘটিত সকল বিচারবহির্ভূত হত্যা, ক্রসফায়ারের নামে নির্বিচারে হত্যা, গুম, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, নির্মম শারীরিক নির্যাতন এবং নিষ্ঠুর ও অমানবিক অপরাধের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকল ব্যক্তিকে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সুবিচার নিশ্চিত করা হইবে।১৫. অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ ও গবেষক, অভিজ্ঞ ব্যাংকার, করপোরেট নেতা, প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তির সমন্বয়ে একটি ‘অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হইবে। মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচারের নিরিখে প্রবৃদ্ধির সুফল সুষম বণ্টনের মাধ্যমে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূরীকরণ করা হইবে। উপরোক্ত সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন, প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন, জুডিশিয়াল কমিশন, মিডিয়া কমিশন এবং অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশনগুলি সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্ব স্ব প্রতিবেদন দাখিল করিবে, যেন সংশ্লিষ্ট সুপারিসসমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়।১৬. ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’—এই মূলনীতির ভিত্তিতে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ভোগ করিবেন। দলমত ও জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে পাহাড়ি ও সমতলের ক্ষুদ্র-বৃহৎ সকল জাতিগোষ্ঠীর সংবিধান প্রদত্ত সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্ম-কর্মের অধিকার, নাগরিক অধিকার এবং জীবন, সম্ভ্রম ও সম্পদের পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান করা হইবে।১৭. মুদ্রাস্ফীতির আলোকে শ্রমিকদের প্রাইজ ইনডেক্স বেজড ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা হইবে। শিশুশ্রম বন্ধ করা হইবে। চা-বাগান, বস্তি, চরাঞ্চল, হাওর-বাঁওড় ও মঙ্গাপীড়িত ও উপকূলীয় অঞ্চলের বৈষম্য দূরীকরণ ও সুষম উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হইবে।১৮. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ খাতে দায়মুক্তি আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিল করা হইবে এবং রাষ্ট্রীয় অর্থনীতিতে রক্তক্ষরণ রোধ করিবার লক্ষ্যে জনস্বার্থবিরোধী কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হইতে বিদ্যুৎ ক্রয়ে চলমান সীমাহীন দুর্নীতি বন্ধ করা হইবে। আমদানিনির্ভরতা পরিহার করিয়া নবায়নযোগ্য ও মিশ্র এনার্জি-নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং উপেক্ষিত গ্যাস ও খনিজ সম্পদ আবিষ্কার ও আহরণে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।১৯. বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হইবে। বাংলাদেশ ভূখণ্ডের মধ্যে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী তৎপরতা বরদাশত করা হইবে না এবং কোনো সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা আশ্রয়-প্রশ্রয় পাইবে না। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক ঢাল বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করিয়া এবং সন্ত্রাসবাদের তকমা লাগাইয়া ভিন্নমতের বিরোধী শক্তি এবং রাজনৈতিক বিরোধী দল দমনের অপতৎপরতা বন্ধ করা হইলে প্রকৃত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করা এবং আইনের আওতায় আনিয়া শাস্তি প্রদান করা সম্ভব হইবে।২০. দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সুসংগঠিত, যুগোপযোগী এবং সর্বোচ্চ দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত করিয়া গড়িয়া তোলা হইবে। স্বকীয় মর্যাদা বহাল রাখিয়া প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা হইবে।২১. ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর স্বাধীন, শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান করা হইবে। এই সকল প্রতিষ্ঠানকে এমনভাবে জবাবদিহির আওতায় আনা হইবে, যেন তাহারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান ও উন্নয়ন কার্যক্রমে কার্যকর ভূমিকা রাখিতে পারে।স্থানীয় প্রশাসন ও অন্য কোনো জনপ্রতিনিধির খবরদারিমুক্ত স্বাধীন স্থানীয় সরকার নিশ্চিত করা হইবে। মৃত্যুজনিত কারণ কিংবা আদালতের আদেশে পদ শূন্য না হইলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ করা হইবে না। আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নির্বাহী আদেশবলে সাসপেন্ড/বরখাস্ত/অপসারণ করা হইবে না।২২. রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিবিড় জরিপের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি তালিকা প্রণয়ন করা হইবে এবং তাঁহাদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান করা হইবে। এই তালিকার ভিত্তিতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কল্যাণার্থে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হইবে। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করিয়া একটি সঠিক তালিকা প্রস্তুত করা হইবে।২৩. যুবসমাজের ভিশন, চিন্তা ও আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করিয়া আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হইবে।এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হইবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হইবে। বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে নানামুখী বাস্তবসম্মত কর্মসূচি গ্রহণ করা হইবে।যুবসমাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করিয়া ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ আদায়ের লক্ষ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হইবে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পুষ্টির উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়া মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করা হইবে।আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি বিবেচনা করা হইবে।২৪. নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা হইবে। জাতীয় সংসদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হইবে। স্থানীয় সরকারব্যবস্থায় নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হইবে।২৫. বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান নৈরাজ্য দূর করিয়া নিম্ন ও মধ্য পর্যায়ে চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হইবে। গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হইবে। জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৫% অর্থ বরাদ্দ করা হইবে।২৬. ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’—এই নীতির ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের 'এনএইচএস'–এর আদলে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রবর্তন করা হইবে। জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৫% অর্থ বরাদ্দ করা হইবে।২৭. কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হইবে। প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়া হইলেও শস্যবিমা, পশুবিমা, মৎস্যবিমা এবং পোলট্রিবিমা চালু করা হইবে। কৃষিজমির অকৃষি ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হইবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ ডিসেম্বর ২০২২


দেশ মেরামত করছেন শেখ হাসিনা-কাদের

দেশ মেরামত করছেন শেখ হাসিনা-কাদের

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারকে হটাতে ডান-বাম এক হয়েছে। প্রগতিশীল আর প্রতিক্রিয়াশীল একসঙ্গে হয়ে গেলে প্রতিক্রিয়াশীল কি থাকে? সোমবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষ্যে গঠিত স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপকমিটির প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে, তারা কি করে দেশের মেরামত করে। দেশ মেরামত করেছেন শেখ হাসিনা। বিএনপির আমল থেকে এখন সব কিছু ভালো আছে। দেশের মধ্যে যা মেরামত করেছে তা আওয়ামী লীগই করছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা সুশৃঙ্খল সন্মেলন করে দেখতে চান। আওয়ামী লীগ আবারও দেশের মধ্যে দেখাতে চান আওয়ামী একটা সুশৃঙ্খলভাবে দেশের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।তিনি বলেন, শৃঙ্খলা উপকমিটির সদস্যরা বিগত সম্মেলনেও তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভূমিকা পালন করেছে এবং আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো।স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপকমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপকমিটির সদস্য সচিব আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাহ উল হক সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুসহ বিভিন্ন নেতাকর্মী।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ ডিসেম্বর ২০২২


বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে যুব মহিলা লীগের নতুন কমিটির শ্রদ্ধা

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে যুব মহিলা লীগের নতুন কমিটির শ্রদ্ধা

যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নতুন নেতৃত্ব। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখার নতুন নেতৃত্ব এ শ্রদ্ধা জানান।বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা শেষে যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারওয়ার ডেইজি সাংবাদিকদের বলেন, আজকে আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করলাম। আমরা আমাদের নেত্রীর সঙ্গে দেখা করব। কিভাবে কমিটি করা হবে সেটা পরবর্তী সবাই মিলে আলোচনা করব। যেটা ভালো হবে সেভাবে আমরা কমিটি করব। আমাদের দেশে নারী ভোটার অনেক বেশি, জামায়াতপন্থী মহিলা গ্রাম গঞ্জের মহিলাদের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে। আমরা আমাদের মেয়েদের নিয়ে আমাদের উন্নয়নকে সবার কাছে তুলে ধরব। তিনি আরও বলেন, যুব মহিলা লীগের জন্ম হয়েছিল দেশের খুবই ক্রান্তিলগ্ন সময়ে, তখনও আমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম নেত্রীকে মুক্ত করে ঘরে ফিরবো, আমরা তাই করেছিলাম। আমরা মাঠে ছিলাম, মাঠে আছি, আগামীতেও মাঠে থাকব। সদ্য নতুন সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি বলেন, আমাকে যে বিশ্বাস করে সাধারণ সম্পাদক করেছেন সেজন্য জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার মাধ্যমে আমরা আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করলাম। খুব দ্রুত সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করার জন্য আমরা চেষ্টা করব।তিনি আরও বলেন, বিগত দিনের মতো রাজপথ যুব মহিলা লীগ থেকে জামায়াত, বিএনপির যে অরাজকতা, তারা যে দেশকে ধ্বংস করার জন্য চেষ্টা করছে, আমরা এ সম্পর্কে সর্তক থাকব। এ সময় যুব মহিলা লীগের সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ ডিসেম্বর ২০২২


উন্নয়ন ধরে রাখতে আবারও শেখ হাসিনাকে ভোট দিন : মানিক

উন্নয়ন ধরে রাখতে আবারও শেখ হাসিনাকে ভোট দিন : মানিক

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর লালবাগ এলাকায় রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক। এ-সময় অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গোড়ার ক্ষেত্রে তার-ই (বঙ্গবন্ধু) কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা তিনি তুলে ধরেন।শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে আজিমপুরে 'ডে-নাইট এপিএল' আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসিবুর রহমান মানিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারণে আমরা মানচিত্র, পতাকা পেয়েছি। এবং তার-ই (বঙ্গবন্ধু)কন্যা শেখ হাসিনার (প্রধানমন্ত্রী)কারণে পেয়েছি ডিজিটাল বাংলাদেশ। সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আজ থেকে ১৫ বছর আগে এখানে ( আজিমপুর) বিদ্যুৎ থাকতো না, লাইট থাকতো না। দু- একটি লাইট জ্বলতো। তবে অন্ধকারেই খেলতে হতো।লালবাগ আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সারারাত লাইট জ্বলে। বিজয় উল্লাস করি তারপরও বিদ্যুৎ চলে যায় না। এ কারণে আবারও শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট দিতে উপস্থিত সকলের প্রতি অনুরোধ জানান হাসিবুর রহমান মানিক।তিনি বলেন, আজকে এই (১৬ ডিসেম্বর) দিনটি মহান বিজয় দিবস। বিজয় উল্লাস। এই বিজয়কে আরও ভালো উল্লাস করতে হবে। মাদকের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স বিষয়টি উল্লেখ করে ডিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত সাবেক এ মেয়র বলেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) বলেছিলেন মাদকের প্রতি জিরো টলারেন্স। সেটি আমাদের এলাকাবাসী( আজিমপুর) মোটামুটি চলে এসেছে। আগে এখানে( আজিমপুর) চিপায়- চাপায়ে মানুষ গাঁজা খেত। এবং বিভিন্ন মাদক জাতীয় নেশা করতো। এখন আর কিন্তু সেটি নেই। তরুণ প্রজন্মও সজাগ। তারা আর মাদকের দিকে ঝুঁকতে চায় না। এখন তরুণ প্রজন্ম পড়াশোনা এবং খেলাধুলা নিয়েই থাকতে চায়।ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার পেছনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদান উল্লেখ করে হাসিবুর রহমান মানিক বলেন, জয়ের কারণে ঘরে বসে মোবাইলের অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারি। এটাও কিন্তু পরিবর্তন। আজকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে। যা,অনেক রাষ্ট্রের- ই নেই। তিনি আরও বলেন, আমরা উন্নয়নের জোয়ারে আছি, উন্নয়ন ধরে রাখতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ ডিসেম্বর ২০২২


বিজয়কে সংহত করার কাজে বড় অন্তরায় সাম্প্রদায়িকতা, যার উস্কানিদাতা বিএনপি : কাদের

বিজয়কে সংহত করার কাজে বড় অন্তরায় সাম্প্রদায়িকতা, যার উস্কানিদাতা বিএনপি : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিজয়ের একান্ন বছর পরও এদেশকে এখনও সুষম করতে পারিনি। বিজয়কে উপভোগ করা যায়নি। এখনও সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজয়কে নস্যাৎ করতে তৎপর। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান।শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় এখনো সংহত হয়নি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরাজিত আর অসাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিজয়কে সংহত করার কাজে বড় অন্তরায় সাম্প্রদায়িকতা। এই বিষবৃক্ষ উৎপাটন করতে হবে। বিএনপি এদের উসকানি দিচ্ছে। ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির পৃষ্ঠপোষক সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করতে হবে। বিজয়ে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ ডিসেম্বর ২০২২


জেনারেল জিয়ার তত্ত্বাবধানে পাকিস্তানী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল - হুইপ স্বপন

জেনারেল জিয়ার তত্ত্বাবধানে পাকিস্তানী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল - হুইপ স্বপন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, দেশের নাম বাংলাদেশ থাকলেও কার্যত জেনারেল জিয়া বাংলাদেশে পাকিস্তানীদের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পাকিস্তানের বিশ্বস্ত সেবাদাস সাবেক বিচারপতি, আমলা, শিক্ষাবিদদের দিয়ে তিনি সায়েম সাহেবের উপদেষ্টা পরিষদ গঠণ করেন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পর সেনাশাসক জিয়াউর রহমান সকল ক্ষমতার দন্ডমুন্ডের কর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন। কাগজে কলমে বিচারপতি আবু সাদাত মোঃ সায়েম রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক থাকলেও ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন জেঃ জিয়া ও তার সহকর্মীরা।আজ(বৃহস্পতিবার) সকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি আরো বলেন, বিচারপতি আব্দুস সাত্তার ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদেশে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণের আসন অবৈধভাবে শূণ্য ঘোষনা করে লোক দেখানো উপ-নির্বাচন করে জামাত- মুসলিমলীগারদের বিজয়ী ঘোষণার প্রহসন হয়। সেই বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে জিয়াউর রহমান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির বিশেষ সহকারী নিযুক্ত করে ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দখলদার পূর্ব পাকিস্তান সরকারের মূখ্য সচিব শফিউল আজমকে করা হয় কেবিনেট সেক্রেটারী। পরবর্তীতে তাকে উপদেষ্টা ও মন্ত্রী করা হয়। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান রুলার ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত আজিজ উল হককে উপদেষ্টা করা হয়। পাকিস্তান পুলিশের আইজি, পূর্ব পাকিস্তানের চীফ সেক্রটারী, পিএসসি'র চেয়ারম্যান ও আইয়ুব খানের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী কাজী আনোয়ারুল হককে জিয়া উপদেষ্টা বানান। পাকিস্তানের হিলাল- ই- খিদমত উপাধি প্রাপ্ত আইয়ুব আমলে প্রাদেশিক সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মির্জা নুরুল হুদাকে জিয়া উপদেষ্টা, পরবর্তীতে মন্ত্রী বানান এবং রাষ্ট্রপতি সাত্তার তাকে উপ রাষ্ট্রপতি বানান। পাকিস্তান ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ওয়েলফেয়ারের সচিব আকবর কবিরকে উপদেষ্টা বানান। নরঘাতক ইয়াহিয়া খানের শিক্ষা মন্ত্রী অধ্যাপক মুহাম্মদ শামসুল হককে জিয়া উপদেষ্টা বানান। পাকিস্তান পিএসসি'র চেয়ারম্যান ডঃ এম এ রশীদকে জিয়া উপদেষ্টা বানান। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী, চাকুরিচ্যূৎ , জার্মান প্রবাসী সিতরাত-এ- জুররাত খেতাব প্রাপ্ত এম জি তওয়াব কে বিদেশ থেকে ডেকে এনে জিয়াউর রহমান বিমান বাহিনীর প্রধান, উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও উপদেষ্টা বানান। ১৯৭৬ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এমজি তওয়াবের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত ইসলামী জলসায় যুদ্ধাপরাধী সাঈদীরা শ্লোগান দেয় ' তওয়াব ভাই তওয়াব ভাই, চান তারা পতাকা চাই।' তিনি বলেন, মূলতঃ মুক্তিযোদ্ধা নামধারী জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বরের পরপর ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত বিধৌত বাংলাদেশে পাকিস্তানীদের অতি বিশ্বস্ত সেবাদাসদের দিয়ে সায়েম সাহেবের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেন। উপদেষ্টা পরিষদই মার্শাল ল' সরকারের মন্ত্রিসভা। জিয়ার তত্ত্বাবধানে পাকিস্তানী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত সব কিছু পরিবর্তন করতেন। তিনি বলেন, ধূর্ত জিয়াউর রহমান প্রথমে উপদেষ্টা পরিষদে সরাসরি নরঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের আনেন নি। কৌশলে যুদ্ধাপরাধী নয়, কিন্তু পাকিস্তানের বিশ্বস্ত সেবাদাস এবং মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ বিরোধীদের দিয়ে সরকার গঠণ করে নতুন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে সরাসরি যুদ্ধাপরাধীদের সুযোগমত মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষে গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী চাকুরীচ্যূৎ ১৯ জন সেনা কর্মকর্তাকে বাংলাদেশ পুলিশের এসপি পদে আত্তীকরণ করে তাদের দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগার নিধন করেছেন। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা সভাপতি ম. রুহুল আমিন। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব আব্দুস সবুর, জেলা সাধারন সম্পাদক রৌশন আলী মাস্টার, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম সরকার, বেগম সেলিমা আহমাদ এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হানিফ সরকার, আলহাজ্ব হারুনুর রশীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, সৈয়দ আব্দুল কাইউম খসরু, উপজেলা চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোর প্রমুখ। সম্মেলনের ২য় অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ সভাপতি এবং সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম সারোয়ার চিনু সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ ডিসেম্বর ২০২২


যারা দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছে, তারা করবে রাষ্ট্র মেরামত? -কাদের

যারা দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছে, তারা করবে রাষ্ট্র মেরামত? -কাদের

৫ বার যারা দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছে, তারা করবে রাষ্ট্র মেরামত? যারা আমাদের দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, যারা দণ্ডিত হয়েছে, তারা করবে রাষ্ট্র মেরামত? এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা তৈরি করছেন, ঘোষণা দেবেন,’ বিএনপির এক নেতার এমন বক্তব্যের জবাবে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের সম্মেলনে বক্তব্য দিতে এ প্রশ্ন করেন কাদের।তিনি বলেন, বিএনপির এক নেতা বলেছেন, ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা তৈরি করছেন, ঘোষণা দেবেন।’ এটা বিএনপি তৈরি করবে? যাদের হাতে ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২১ আগস্টের রক্তের দাগ, তারা করবে রাষ্ট্র মেরামত? বঙ্গবন্ধুর খুনীদের মুক্তি দিতে যারা আমাদের সংবিধান সংশোধন করেছে।। মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে চলে গেছেন, তিনি হবেন আপনাদের নেতা? ১০ ডিসেম্বরের পর নাকি খালেদা জিয়া দেশ চালাবেন, কোথায় গেল সেই অহংকার। বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের দম্ভ চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দিয়েছে।তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। এত ঝুঁকিপূর্ণ জীবন ৭৫-এর পরে আর কোনো রাজনীতিকের জীবনে হয়নি। তিনি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না।কাদের বলেন, শেখ হাসিনার অপরাধ, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু। ১০০ সেতু একদিনে উদ্বোধন। ১০০ রাস্তা একদিনে উদ্বোধন করবেন। মেট্রোরেল উদ্বোধন হবে, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল হয়েছে। উন্নয়নের নেত্রী শেখ হাসিনা। এ কারণে বড় জ্বালা, বিএনপির অন্তর্জ্বালা। জ্বালায় জ্বালায় মরেরে। কেন এগুলো হলো, কেন এগুলো করলেন।আন্দোলনের জন্য যুব মহিলা লীগকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রস্তুত হয়ে যান। আবারও সংগ্রাম, আবারও আন্দোলন মোকাবিলা হবে। নির্বাচনে আবারও মোকাবিলা হবে।এসময় যুব মহিলা লীগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, যুব মহিলা লীগ আমাদের দেশের রাজনীতিতে এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। শেখ হাসিনা সেটি করেছেন। তরুণদের যুবলীগ আছে। তরুণীদের কী হবে! এই চিন্তা থেকে তিনি যুব মহিলা লীগ করেছেন। রাজপথে নিপীড়ন, গণনির্যাতন, জেল জুলুমের ইতিহাস যুব মহিলা লীগের।ওবায়দুল কাদের বলেন, পলাশীর ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট। পলাশীর মীর জাফর ও ইয়ার লতিফের জায়গা ১৫ আগস্টে ছিল খুনি মোস্তাক ও জিয়াউর রহমান। পৃথিবীর ইতিহাসের কোনো হত্যাকাণ্ডে, কোনো অবলা নারী, অবুঝ শিশু টার্গেট হয়নি। কিন্তু ১৫ আগস্টে হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ছিল এটি।যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে ও অপু উকিলের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ ডিসেম্বর ২০২২


যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজী সারোয়ার-সাধারণ সম্পাদক লিলি

যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজী সারোয়ার-সাধারণ সম্পাদক লিলি

আওয়ামী যুব মহিলা লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে ডেইজী সারোয়ারকে সভাপতি ও শারমিন সুলতানা লিলিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।এরআগে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সম্মেলন শুরু হয় বেলা ১২টা ১ মিনিটে। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।২০০২ সালের ৬ জুলাই যুব মহিলা লীগ গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালে সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রীদের নিয়ে ১০১ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সে কমিটিতে বর্তমান সভাপতি নাজমা আক্তার আহ্বায়ক ছিলেন। বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল সে কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।যুব মহিলা লীগের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৪ সালে। সে সম্মেলনে নাজমা আক্তার সভাপতি ও অপু উকিল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিন বছর পর পর সম্মেলনের কথা থাকলেও ১৩ বছর পর সংগঠনের দ্বিতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ। ওই সম্মেলনে নাজমা আক্তার ও অপু উকিল পুনর্নিবাচিত হন।এছাড়া সম্মেলন থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুব মহিলা লীগের কমিটিও ঘোষণা করা হয়। মহানগর উত্তরের সভাপতি হয়েছেন তাহেরা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শামীমা রহমান। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি পদে দায়িত্ব পেয়েছেন ফারজানা ইয়াসমিন আর সাধারণ সম্পাদক পদে এসেছেন নিলুফা রহমান।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ ডিসেম্বর ২০২২


'মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে হেনস্তার ঘটনায় সরকার জড়িত'

'মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে হেনস্তার ঘটনায় সরকার জড়িত'

রাজধানীর শাহীনবাগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের যে অপরাজনীতি, তা থেকে বাংলাদেশের কেউ তো নয় বিদেশিরাও আজকে নিরাপদ নয়। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে হেনস্তার ঘটনায় সরকার জড়িত।বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রিন্স বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ব্যাপক ক্ষুণ্ণ হবে। বাংলাদেশে যে আজকে গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই, মানবাধিকার নেই, এখানে যে অপশাসন চলছে সেটা আরও ফুটে উঠবে। সরকারের মদদে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে হেনস্তা করা হয়েছে দাবি করে প্রিন্স বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে প্রমাণ করে এর সঙ্গে তারা জড়িত। তারাই উস্কানি দিয়ে, সেখানে লোক পাঠিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকাবাহী গাড়িতে আঘাত করিয়েছে। রাষ্ট্রদূতকে হেনস্তা করা হয়েছে। এর আগেরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গাড়িতে এই সরকারের নির্দেশে হামলা করা হয়েছে। এই কথা কেউ ভুলে যায়নি।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ আরও অনেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ ডিসেম্বর ২০২২


যুব মহিলা লীগের সম্মেলন আজ / নাজমা-অপুকে আর দেখতে চায়না নেতাকর্মীরা

যুব মহিলা লীগের সম্মেলন আজ / নাজমা-অপুকে আর দেখতে চায়না নেতাকর্মীরা

আজ ১৫ ডিসেম্বর যুব মহিলা লীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ।এবারের সম্মেলনে সংগঠনটির নেতৃত্বে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করছেন সংগঠন সংশ্লিষ্টরা। ২০০৪ সালের ৫ মার্চ নাজমা আক্তার ও অপু উকিল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবার পর থেকে দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তাদের নেতৃত্বই চলছে সংগঠনটি।দলীয় সুত্র বলছে, এবার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সহযোগী সংগঠনের জন্য নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। দীর্ঘদিন একই নেতৃত্ব থাকায় যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সংগঠন বিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়ছেন।দলীয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় অর্ধেক পদেই পরিবর্তন আসতে পারে। এছাড়া পাপিয়া কান্ডে সংগঠনটি আরও বিতর্কিত হয়ে পড়ে। সেজন্য মার্জিত ও সুসংগঠিত নেতৃত্ব আসবে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।সংগঠনের কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় নেত্রী জানিয়েছেন, এবারের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন-পুরনো মিলিয়ে ভালো একটি কমিটি আসবে। এটাই তাদের প্রত্যাশা। আর যারা মাঠের রাজনীতি করেন, সক্রিয় ও ত্যাগী তাদের মূল্যায়ন হবে বলেও আশা করেন তারা। আবার কমিটিতে জায়গা পেতে অনেকে তদবিরে ব্যস্ত বলেও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।সংগঠনটির বর্তমান সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি বলেন, ‘আমি সভাপতি পদপ্রার্থী, কমিটিতে কোন পরিবর্তন আসবে কিনা বলতে পারিনা এটা একমাত্র শেখ হাসিনা জানেন। তবে আশা করি নতুন নেতৃত্ব আসবে।’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় এক নেত্রী বলেন, ‘যুব মহিলা লীগ মাঠের রাজনীতি করে। এটাকে শক্তিশালী হিসেবে দেখতেই পছন্দ করেন শেখ হাসিনা। কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব আসবে এটাই প্রত্যাশা করি।’বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতির বয়স ৫৫ বছর, সাধারণ সম্পাদকের বয়স ৫০ বছর। এছাড়া অন্যান্য পদেও পঞ্চাশোর্ধ ও পঞ্চাশ বছর বয়সের কাছাকাছি অনেক নেত্রীরা রয়েছেন। যুব মহিলা লীগের গঠনতন্ত্রে কোনো বয়সসীমা উল্লেখ না থাকার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। অনেকের আক্ষেপও রয়েছে। আবার দীর্ঘদিন রাজপথে যারা আন্দোলন-সংগ্রাম, লড়াই করেছেন তারা বঞ্চিত হয়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেউ কেউ। তাই এবার শীর্ষ পদে পরিবর্তনের প্রত্যাশা করেন যুবনেত্রীরা।মাস ছয়েক আগেও অনেকে এ পদের জন্য হাক ডাক দিলেও শেষ পর্যন্ত তারা তেমন আলোচনায় উঠে আসতে পারেনি। জানা গেছে, সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল সভাপতি পদের জন্য জোর চেষ্টা ও তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া সংগঠনের কয়েকজন সভাপতির ও সহ-সভাপতি পদ পাওয়ার জোর দাবি নিয়ে এগোচ্ছেন।এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপু উকিল সভাপতি হলে তার স্থলাভিষিক্ত হতে চান বর্তমান কমিটির কয়েকজন সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সাধারণ সম্পাদকের পদের জন্য আলোচনায় আছেন দুইজন। তারা হলেন— সংগঠনটির সহ-সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের ছোট বোন আফরোজা মনসুর লিপি।এছাড়া বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে শাহনাজ পারভীন ডলি, শারমীন আক্তার নিপা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি ও মাহফুজা রিনাও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ডিসেম্বর ২০২২


জাপার সঙ্গে সরকারের টানাপোড়ন/দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না কাদের

জাপার সঙ্গে সরকারের টানাপোড়ন/দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না কাদের

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে নিম্ন আদালতে চলমান মামলা আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।একই সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন বলে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ।বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।এদিকে জাপার সাবেক এক নেতার করা মামলায় আদালতের আদেশের কারণে গত ৩০ অক্টোবর থেকে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে দূরে আছেন।গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জি এম কাদের ও রওশন এরশাদের সাক্ষাতের পর জাপার সঙ্গে সরকারের সম্পর্কে যে টানাপোড়েন চলছে, সেটার একটা সুরাহা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সংখ্যায় সাতজন হলেও জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে সরকার রাজনৈতিকভাবে কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে। ফলে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাপার গুরুত্ব সরকারের কাছে বেড়েছে। তাই রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে বিএনপির শূন্য আসনগুলো জাপাকে দিতে চায় সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ডিসেম্বর ২০২২


জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান গ্রেপ্তার

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান গ্রেপ্তার

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে তাঁকে ঢাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন আজ মঙ্গলবার সকালে বলেন, সিটিটিসি শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে।এর আগে দলটির পক্ষ থেকে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ ডিসেম্বর ২০২২