রাজনীতি


তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আর নির্বাচন হবে না : ওবায়দুল কাদের

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আর নির্বাচন হবে না : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল এখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের খোয়াব দেখছেন। কিন্তু বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আর নির্বাচন হবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। রোববার পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জেলার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আয়োজিত সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করে। গ্রেনেড হামলা করে তাকে হত্যাসহ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। আগুন সন্ত্রাস ও বোমাবাজি করে তারা অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে তাদের হত্যার রাজনীতি শুরু হয়। সেই রক্তের দাগ এখনো এ দেশের মানুষ ভুলে যায়নি।জাতীয় ও দলীয় পতাকা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি। বক্তা ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সিনিয়র সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহম্মেদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিল্প ও বাণিজ্যিকবিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম এমপি, অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম এমপি, কেন্দ্রীয় সদস্য আনিসুর রহমান ও গোলাম কবীর রাব্বানী চিনু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএমএ আউয়াল। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এমএ হাকিম হাওলাদার। সম্মেলন সকাল ১০টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় দুপুর ১২টায়।আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনা ’৭১-এর রাজাকারদের বিচারের আওতায় এনে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে এ দেশকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। এখন আবার তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ নভেম্বর ২০২২


রাজপথে নামার পর আবারও মামলার জালে পড়েছে বিএনপি

রাজপথে নামার পর আবারও মামলার জালে পড়েছে বিএনপি

রাজপথে নামার পর আবারও মামলার জালে পড়েছে বিএনপি। ২২ আগস্টের পর থেকে গত ৩ মাসে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৫৮ জেলায় ২৬১টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে গত ১০ দিনেই হয়েছে ১৬৫টি মামলা। এছাড়া সচল করা হচ্ছে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে করা পুরোনো মামলাও। আন্দোলন দমাতে মামলা দায়ের আওয়ামী লীগের ‘রাজনৈতিক কৌশল’ বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। তারা দাবি করেন, সম্প্রতি যেসব মামলা হয়েছে তার সবই ‘গায়েবি’। কোনো ঘটনার সঙ্গেই বিএনপির নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতা নেই। অথচ এসব মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২২ আগস্ট থেকে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা ইস্যুতে রাজপথে কর্মসূচি পালন করছে দলটি। প্রথমে তৃণমূলে বিক্ষোভ সমাবেশের পর এখন বিভাগীয় পর্যায়ে গণসমাবেশ করছে।জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুগান্তরকে বলেন, ‘এই সরকার আবারও পুরোনো খেলা শুরু করেছে। ককটেল ফাটাতে দেখেনি কেউ, অথচ মামলা দিয়েছে পুলিশ। বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা, কিন্তু সাক্ষী কিছুই জানেন না। কারণ ককটেলের কোনো শব্দই হয়নি, কেউ কিছু দেখেনি। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা সবই গায়েবি মামলা।’তিনি বলেন, ‘এই সরকার নির্বাচিত হয়ে আসেনি, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। এখন টিকে থাকতে নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করছে। সরকারের এসব গায়েবি মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীরা ভীত নন। গণসমাবেশের মধ্যে দিয়ে সারা দেশে যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে তারা ভয় পেয়ে এসব করছে। কিন্তু কোনো কৌশলেই আর কাজ হবে না। জনগণ জেগে উঠেছে। এ সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন হবে। যত দিন পর্যন্ত এই সরকার পদত্যাগ না করবে, তত দিন এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই অবৈধ সরকার বিভাগীয় গণসমাবেশে জনস্রোত দেখে ভয় পেয়ে গেছে। তাই গায়েবি মামলা দিচ্ছে। সারা দেশে গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা এসবে আর ভয় পায় না। এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। তাদের পতন ঘটিয়েই নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে।’বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল যুগান্তরকে বলেন, ‘রোববার (গতকাল) পর্যন্ত গত ১০ দিনেই সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৬৫টি মামলা হয়েছে। এতে কয়েক হাজার নামে আসামি আর অজ্ঞাত তো আছেই। এসব মামলার কোনো ধরনের আইনগত ভিত্তি নেই। বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। অতি উৎসাহী কিছু কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃতভাবে মামলাগুলো দায়ের করছে। এসব মামলার জন্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে কেন্দ্রসহ জেলা-থানা পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তার কারণ নেই।’ জানা গেছে, ২২ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৫৮ জেলায় ২৬১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে ঢাকা মহানগরে ১৭টি। রাজশাহীতে ১৩টি, নারায়ণগঞ্জে ১২টি, বগুড়ায় ৭টি, পাবনায় ৬টি, টাঙ্গাইলে ৬টি ও ঢাকা জেলায় ৬টি। এসব মামলায় নামে আসামি ৭ হাজারেরও বেশি এবং অজ্ঞাত প্রায় ২০ হাজার। গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে। দলটির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু জানান, প্রতিদিনই মামলা হচ্ছে। প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।বিএনপির হিসাব অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর নামে ১ লাখ ১৫ হাজার মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৩৫ লাখেরও বেশি আসামি করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের প্রায় সব নেতাই এসব মামলার আসামি। কারও কারও বিরুদ্ধে শতাধিক মামলাও রয়েছে। এসব মামলায় অনেকে কারাগারে। মামলায় হাজিরা দিতে প্রায় প্রতিদিন কেন্দ্রসহ তৃণমূল নেতাকর্মীদের আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে। কেউ কেউ পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেক মামলার বিচারও শুরু হয়েছে। আবার পুরোনো অনেক মামলায় নেতাদের নামে পরোয়ানাও জারি হচ্ছে।অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা পুরাতন মামলা সচল ও নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির আবেদনে উচ্চ আদালতের আদেশে একের পর এক বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলা সচল হচ্ছে। এরই মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, জয়নাল আবদীন ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর মামলা সচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল যুগান্তরকে বলেন, ‘এসব মামলা ওয়ান-ইলেভেনের সময় করা হয়েছে। মামলাগুলোর আইনগত কোনো ধরনের উপাদান নেই এবং ছিলও না। বর্তমান এই সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুদককে দিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে পুরাতন মামলা সচল করছে।গণতন্ত্রপন্থি ও মুক্তিকামী জনগণ এই অবৈধ ও কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আর এজন্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এ মামলাগুলো সামনে নিয়ে আসছে। যেজন্য দেশের সাধারণ মানুষ দুর্নীতি দমন কমিশনকে বিএনপি দমন কমিশন হিসাবে আখ্যা দিয়েছে।’দুদকের সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান যুগান্তরকে বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে দমন করা দুদকের উদ্দেশ্য নয়। দেখুন এসব মামলা অনেকদিন পড়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে মামলাগুলো লিস্টে আছে। দুর্নীতির মামলার বিচার হয় তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে, রেকর্ডের ভিত্তিতে। দুর্নীতি দমন কমিশনের লক্ষ্য দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা। দুর্নীতির মামলাগুলো ত্বরিত নিষ্পত্তি চায় দুদক। এ কারণে আমরা শুনানির উদ্যোগ নিয়েছি।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ নভেম্বর ২০২২


ভয় পাবেন না, আওয়ামী লীগের কর্মীরা আপনাকে পাহারা দেবে : হুইপ স্বপন

ভয় পাবেন না, আওয়ামী লীগের কর্মীরা আপনাকে পাহারা দেবে : হুইপ স্বপন

ক্ষমতা না ছাড়লে দেশ ছেড়ে পালানোর পথ পাবেন না বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের হুমকির জবাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন আজ( রোববার) ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, পলায়নের ইতিহাস আওয়ামী লীগের নেই। আওয়ামী ক্ষমতার অবৈধ দখলদার কোন ডাকাত সরদারের পকেট থেকে জন্ম নেওয়া অবৈধ রাজনৈতিক দল নয়। এদেশের মাটি ও মানুষের দল আওয়ামী লীগ বাঙালির আপন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। আপনার দলের দন্ডমুন্ডের কর্তা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১/১১- র পর তার মামার বন্ধুদের থেরাপি গ্রহণ শেষে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আরেক ৯/১১-এ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। পলাতক নেতার মহাসচিবের এমন আস্ফালন মানায় না। ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা এদেশের যে কোন মতালম্বী কোন নাগরিককে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করি না বা দেশ ছাড়ার পরামর্শ দিই না। আওয়ামী লীগ সরকার এদেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্মগত নাগরিক অধিকার সমুন্নত রাখতে বদ্ধ পরিকর। প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ কর্মীরা পাহারা দিয়ে মির্জা ফখরুলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কারন অচিরেই আস্ফালন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়ার বিএনপির কর্মীদের দ্বারা মির্জা সাহেবদের নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীনগর পাইলট স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী এমপি। ফয়েজুর রহমান বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ বি তাজুল ইসলাম এমপি, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, এবাদুল করিম বুলবুল এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, ঢাকা মহানগর নেতা মোর্শেদ কামাল প্রমুখ।সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে বিদায়ী সভাপতি ফয়েজুর রহমান বাদল সভাপতি এবং বিদায়ী যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী শাহান সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ নভেম্বর ২০২২


'আওয়ামী লীগ নয় বিএনপির প্রধান টার্গেট হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'

'আওয়ামী লীগ নয় বিএনপির প্রধান টার্গেট হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির প্রধান টার্গেট হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ নয়।’তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট দুই বোন (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা) দেশে ছিলেন না। ভাগ্যের কারণে বেঁচে গেলেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হলো। সেদিনও উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে শেষ করা।’শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা না থাকলে পদ্মা সেতু হতো না। আজ কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন করা হয়েছে। এটাও হতো না। এসব দেখে বিএনপি নেতাদের অন্তর জ্বালা। মির্জা ফখরুলদের বুকে বড় জ্বালা।’প্রধানমন্ত্রী জনগণের জন্য রাত জেগেও কাজ করেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে আমি জিজ্ঞেস করেছি, রাতে কতক্ষণ ঘুমান? তিনি জানালেন, রাতে তিন ঘণ্টা ঘুমান। দেশের জনগণের জন্য রাত জেগে তিনি কাজ করেন।’মহিলা আওয়ামী লীগের এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ নভেম্বর ২০২২


মহিলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা

মহিলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা

মহিলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি পদে সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি ও সম্পাদক পদে শবনম জাহান শিলা নির্বাচিত হয়েছেন।শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তাদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।মেহের আফরুজ চুমকি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর ৫ আসনের সংসদ সদস্য। এছাড়া শবনম জাহান শিলা সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য।এদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেরা বেগম, সাধারণ সম্পাদক পারুল আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহিদা তারেক দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক হাসিনা বারী নির্বাচিত হয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ নভেম্বর ২০২২


দেশের যা অর্জন সবই আ.লীগের নেতৃত্বে: হানিফ

দেশের যা অর্জন সবই আ.লীগের নেতৃত্বে: হানিফ

বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশের নামে ষড়যন্ত্র করলে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।আজ শনিবার দুপুরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।হানিফ বলেন, ‘যাঁরা সমাবেশের নামে বিভিন্ন স্থানে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, তাঁদের ধারণা ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের পর এই সরকারই থাকবে না। ডিসেম্বর মাসে রাজাকারদের হুমকি বাংলাদেশের মানুষ কখনো পরোয়া করে না। আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি যদি কোনো ষড়যন্ত্রের পথ খোঁজে, তার উচিত জবাব দেওয়া হবে।’হাজীগঞ্জ পৌর বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন মিয়াজী। সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. মাঈনুদ্দিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নূরজাহান মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির আহমেদ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ নভেম্বর ২০২২


বর্ণিল সাজে মহিলা আ.লীগের সম্মেলনে নেত্রীরা

বর্ণিল সাজে মহিলা আ.লীগের সম্মেলনে নেত্রীরা

মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দল বেঁধে নানা রঙের শাড়ি পরে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। সম্মেলন ঘিরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা এখন বর্ণিল ও উৎসবমুখর। আওয়ামী লীগের সহযোগী এই সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পদচারণা ও স্লোগানে মুখর সমাবেশস্থলের আশপাশের এলাকাও।মহিলা আওয়ামী লীগের এটি ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় সম্মেলনস্থলে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।সম্মেলনে যোগ দিতে সকাল থেকেই উৎসবের মেজাজে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা সম্মেলনস্থলে আসতে শুরু করেন। নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে সম্মেলনস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট নেতার ছবিসংবলিত ব্যানার নিয়ে এবং গলায় কার্ড ঝুলিয়ে নেতা-কর্মীদের সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করেন। এ সময় অনেকের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। আবার কোনো কোনো অঞ্চলের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করেন একই রঙের ক্যাপ পরে।লাল পাড়ের সবুজ শাড়ি পরে রাজধানীর ভাষানটেক থানা মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সম্মেলনস্থলে আসেন। টিয়া রঙের শাড়ি পরে সম্মেলনস্থলসংলগ্ন এলাকায় সমবেত হন আদাবর থানার নেতা-কর্মীরা। দল বেঁধে গোলাপি রঙের শাড়ি পরে সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করেন বেলকুচি উপজেলার নেতা-কর্মীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ নভেম্বর ২০২২


এক ঘণ্টা আগেই কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশ শুরু

এক ঘণ্টা আগেই কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশ শুরু

নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগেই কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও বেলা ১১টায় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে গণসমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন জেলা, মহানগর ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। এদিকে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা আগেই টাউনহল মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত সমাবেশস্থল। মাঠে জায়গা না পেয়ে সড়কেও অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মীরা।সমাবেশস্থল ছাড়াও পূবালী চত্বর সড়ক, জাতলা সড়ক, চমচম ব্রিজ সড়ক, রানীবাজার সড়ক, চকবাজার সড়ক, ভিক্টোরিয়া ঈদগাহ মাঠ বিএনপি নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে।সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি কুমিল্লায় এসে পৌঁছান।এদিকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার থেকেই ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ কুমিল্লার দূরের উপজেলাগুলো থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে কুমিল্লায় এসে অবস্থান নেন। স্লোগান আর বিপ্লবী গানে মুখরিত ছিল টাউনহল মাঠ।বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোশতাক মিয়া বলেন, ‘কুমিল্লায় হবে সর্ববৃহৎ সমাবেশ। যা কুমিল্লার মাটিতে এর আগে কেউ দেখেনি। এ সমাবেশ হবে দেশের সর্ববৃহৎ সমাবেশ। যার প্রমাণ আপনার শুক্রবার দুপুর থেকেই দেখেছেন।তবে কুমিল্লা বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। গণসমাবেশ ঘিরে নেই পরিবহণ ধর্মঘট। রাজনৈতিক উত্তেজনাও নেই তেমন। অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশের মতো পথে পথে বাধা দেওয়ার তেমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তাই কুমিল্লার সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের স্রোত শুরু হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ নভেম্বর ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

খেলা অবশ্যই হবে, আগামী ডিসেম্বরে, আগামী নির্বাচনে : কাদের

খেলা অবশ্যই হবে, আগামী ডিসেম্বরে, আগামী নির্বাচনে : কাদের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনেরই নয়, আগামী প্রজন্মেরও নেত্রী বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, খেলা অবশ্যই হবে, আগামী ডিসেম্বরে, আগামী নির্বাচনে।শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত স্বাচিপের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের অন্তর জ্বলে। এতো কথা কেন বলেন? বুকে বড় জ্বালা। বঙ্গবন্ধু সেতু, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল হয়েই গেলো।তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্টের রক্তের দাগ আপনাদের (বিএনপির) হাতে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, নেতিবাচক রাজনীতি, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক আপনারা।সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান। এতে বক্তব্য রাখেন স্বাচিপের বর্তমান মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজসহ চিকিৎসক নেতারা।সকাল থেকে সম্মেলনে যোগ দিতে আসা সদস্যদের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে। তাদের গায়ে বিভিন্ন রংয়ের পোশাক, অনেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল আর ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সম্মেলনস্থলে আসেন।সাত বছর পর অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সম্মেলন সফল করতে গত দুই সপ্তাহ ধরে স্বাচিপের নেতাকর্মীরা রাতদিন পরিশ্রম করছেন।সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরুর সার্বিক কার্যক্রম আজ সন্ধ্যায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে।স্বাচিপের সম্মেলনে সভাপতি ও মহাসচিব পদে কোন দুজন আসছেন তা নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। কেউ বলছেন পুরোনো, অভিজ্ঞ ও দলের প্রতি আনুগত্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এমন প্রবীণ চিকিৎসক নেতাদের মধ্যে থেকেই সভাপতি ও মহাসচিব নির্বাচিত হবেন।.

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ নভেম্বর ২০২২


অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সুন্দর সমাজ গঠনের অন্যতম পূর্বশর্ত - হুইপ স্বপন

অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সুন্দর সমাজ গঠনের অন্যতম পূর্বশর্ত - হুইপ স্বপন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন আজ( শুক্রবার) জয়পুরহাট জেলা ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে বলেছেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন পরমতসহিষ্ণু সুন্দর সমাজ গঠনের একটি অন্যতম পূর্বশর্ত। এজন্য দলের জয়- পরাজয়ের হিসাবের চেয়ে দেশের ভাবমূর্তি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি সকল দলের রাজনীতিবিদদের অধিক যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। দলের চেয়ে দেশের প্রতি অধিক দায়িত্বশীল হওয়া আবশ্যক। নেতিবাচক রাজনীতি জাতিকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করবে, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা ব্যহত করবে। দেশের রাজনীতিবিদরা গণতন্ত্র হত্যার হাতিয়ার হতে পারে না। তিনি বলেন, বিশ্বসেরা রাষ্ট্রনেতা জননেত্রী শেখ হাসিনার অকুতোভয় নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন, শান্তি রক্ষা, দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক উৎকর্ষ সাধনে বিশ্বে রোল মডেলের আসন দখল করেছে। কিন্তু প্রায়শঃ নির্বাচন কেন্দ্রিক বিতর্ক এবং আন্তর্জাতিক মহলে নেতিবাচক প্রচারণা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এক সাগর রক্তস্নাত আমাদের জাতীয় সার্বভৌমত্বের ওপর অন্ধকার ছায়া পড়ছে। আমাদের এই কলঙ্ক তিলক ও দেশবিরোধী প্রচারণা বন্ধ করতে গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তাঁর নেতৃত্বে নির্বাচনকালিন সরকার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলকভাবে অনুষ্ঠিত করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্মোহভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। নির্বাচনের ইতিহাসে এক নতুন মাইল ফলক রচিত হবে।জেলা প্রশাসক মোঃ শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা কালেক্টরেট মাঠে আজ সকালে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক,প্রফেসর খাজা শামসুল আলম, সর্দার মোঃ সোলায়মান আলী, এডভোকেট মমিন আহমেদ চৌধুরী, এডভোকেট নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল প্রমুখ।অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ নভেম্বর ২০২২


দেশ বাঁচাতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই - হুইপ স্বপন

দেশ বাঁচাতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই - হুইপ স্বপন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, দেশ বাঁচাতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। দলগত হিসেবে আওয়ামী লীগ বাঙালির সবচেয়ে আপন রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশ যে স্বপ্ন দেখে, আওয়ামী লীগ সেই স্বপ্ন সম্ভব করে।আজ (বৃহস্পতিবার) নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, সরকার, আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বা নেতাকর্মীদের ভুল অথবা আচরণগত কারনে কেউ কোন কষ্ট পেয়ে থাকলে জনগণের নিকট নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, আমরা মানুষ, আমরা বাঙালি। বাঙালির চরিত্রে যত গুণাবলী আছে সেগুলো আমাদেরও আছে, বাঙালির যত দোষ আছে তাও আমাদের আছে। আমরা ফেরেশতাও না, শয়তানও না। ফেরেশতা ভুল করেও মন্দ কাজ করতে পারেন না, শয়তান ভুল করেও ভাল কিছু করতে পারে না। মানুষ মাত্রই ভুল হয়। আমরাও ভুলের উর্ধে নয়। আওয়ামী লীগের মত ঐতিহ্যবাহী- সংগ্রামী দলেও কিছু মন্দ মানুষ আছে। দুই চারজনের কারনে আমাদের শাস্তি দেবেন না। আমাদের ওপর অভিমান করলে দেশের প্রতি শাস্তি প্রদান করা হবে। আওয়ামী লীগের আন্তরিকতা ও একাগ্রতার কোন ঘাটতি নেই। তিনি বলেন, ১৯৪৫ সালে সমাপ্ত ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর সমগ্র পৃথিবীর মানব জাতির ওপর সম্মিলিতভাবে বর্তমানের মত কোন অভিশাপ নেমে আসেনি। করোনার চরম অভিঘাত এবং বর্তমান ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ, স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশনের কারনে সমগ্র মানব জাতির ওপর মহাসঙ্কট নেমে এসেছে। বাংলাদেশও এই সঙ্কটের মহাপ্লাবনে আক্রান্ত। বর্তমান সঙ্কট মোকাবেলার জন্য বিশ্বের অন্যতম সিনিয়র, অভিজ্ঞ, মানবহিতৈষী ও দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনেতা শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। সুতরাং দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ করছি, আমাদের জনপ্রতিনিধিবৃন্দ ও নেতাকর্মীদের ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে আগামী নির্বাচনে অনুগ্রহপূর্বক নৌকা মার্কায় ভোট দিন। দীর্ঘ ১৯ বছর পর সোনাইমুড়ি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। উপজেলা সভাপতি আলহাজ্ব মমিনুল ইসলম বাকেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত, মোরশেদ আলম এমপি, এম এইচ ইব্রাহিম এমপি, শিহাব উদ্দিন শাহীন, সহিদুল্লাহ খান সোহেল, খন্দকার রুহুল আমিন, আফম বাবুল বাবু, নিজাম উদ্দিন সুজন প্রমুখ। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে সাবেক সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের সভাপতি এবং সাবেক সাধারন সম্পাদক আফম বাবুল বাবু পুনরায় সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ নভেম্বর ২০২২


১০ ডিসেম্বরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পাহারায় থাকবে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা: তথ্যমন্ত্রী

১০ ডিসেম্বরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পাহারায় থাকবে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা: তথ্যমন্ত্রী

১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঢাকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পাহারায় থাকবেন, জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান। হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি সারা দেশে সমাবেশের নামে যে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে, তার সঙ্গে জঙ্গিগোষ্ঠীর সাম্প্রতিক অপতৎপরতা একসূত্রে গাঁথা। টার্গেট কিলিং-সন্ত্রাসসহ তাদের নানা পরিকল্পনা রয়েছে। ১০ ডিসেম্বর পরিবহন ধর্মঘট থাকবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেখুন, বাস ট্রাক মালিক সমিতি, এগুলো বেসরকারি সংগঠন। এখানে সব দলের নেতা আছেন। সব দল মিলেই বাস ট্রাক মালিক সমিতি এবং শ্রমিকসংগঠনগুলোতেও সব দল আছে। এটি তাদের ব্যাপার, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো জানাশোনা নেই, আমাদের কোনো হাতও নেই।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ নভেম্বর ২০২২


বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই নয়াপল্টনে সমাবেশ চায় বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই নয়াপল্টনে সমাবেশ চায় বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

তামাক-ইলেকট্রনিক সিগারেট-সীসায় আসক্তি রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা আহবানতামাক, তামাকজাত পণ্য, সিগারেট, ইলেকট্রনিক সিগারেট ও সীসায় আসক্তি রোধে ভূমিকা রাখতে গণমাধ্যমের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর দুপুরে রাজধানীতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনে 'উন্নয়ন সমন্বয়' সংস্থা আয়োজিত 'তামাকজাতপণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপ ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে গণমাধ্যমের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময়' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। সংস্থার চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।আজীবন অধূমপায়ী তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সিগারেটের পাশাপাশি এখন উচ্চ মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ছেলেমেয়দের বিভিন্ন ক্যাফেতে সীসাবারে গিয়ে সীসা পান, ইলেক্ট্রনিক সিগারেট পান একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তরুণ ছেলেমেয়েরা এগুলোতে প্রচন্ডভাবে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। এটা রোধ করতে গণমাধ্যম নানাভাবেই ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, এখন ৩৬টির মতো টিভি চ্যানেল। তারা ভেপিং মেশিন, ইলেক্ট্রনিক সিগারেট ও সীসার ক্ষতিকর প্রভাবের ওপর নিয়মিত প্রতিবেদন করতে পারে। অন্য গণমাধ্যমও এটি করতে পারে। অপকারিতা ছাড়া এগুলোর কোনো উপকারিতা নাই। সুতরাং এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। তামাকজাত পণ্য আমদানি ও বিপণন নিয়ন্ত্রণ এবং বিশেষ করে অনলাইনে অর্ডার বন্ধ করতে এ সব বিষয়ে কর্মরত বেসরকারি সংস্থাগুলোকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দেওয়ার পরামর্শ দেন ড. হাছান মাহমুদ। উন্নয়ন সমন্বয় সভাপতি ড. আতিউর রহমান বলেন, নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে, জাতিকে সুস্থ রাখতে হলে তামাকজাত পণ্য নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। গণমাধ্যমকে এর সহযাত্রী হতে হবে। আয়োজক সংস্থার গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নদভী মূল প্রবন্ধ ও জ্যেষ্ঠ প্রকল্প সমন্বয়ক শাহীন উল আলম স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপির উদ্দেশ্য ভালো না। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই তারা ময়দান ছেড়ে নয়াপল্টনের রাস্তায় সমাবেশ চায়।'মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর রাজধানীতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয় এনজিও'র তামাকবিরোধী মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। উন্নয়ন সমন্বয় চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন। 'আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি তাদের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ মাঠে নয়, নয়াপল্টনের রাস্তায় করতে চায়' প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ঢাকা শহরে এবং আশেপাশে এতো মাঠ থাকতে উনারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, উদ্দেশ্যে কি! নয়াপল্টনে সমাবেশ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে গাড়িঘোড়া ভাংচুর করা যাবে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে, জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে। এই উদ্দেশ্যে তারা নয়াপল্টনে পার্টি অফিসের সামনে ব্যস্ত রাস্তায় সমাবেশ করতে চায়! এর পেছনে হীন উদ্দেশ্য আছে।' মির্জা ফখরুলের মন্তব্য 'কোনো বাধাই বিএনপির ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে ঠেকাতে পারবে না' এর প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমরা তো কাউকে কোনো বাধা দিতে চাইনি এবং বাধা দিলে তারা সমাবেশ করতে পারতো না। বরং বাধা তারা আমাদের দিয়েছিল উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, আমাদের বিভিন্ন সমাবেশে সারাদেশব্যাপী বোমা হামলা চালিয়েছে, বহু মানুষকে হত্যা করেছে। অথচ তাদের মিটিংয়ে কি আজ পর্যন্ত একটি পটকা ফুটেছে! একটা মিটিং পন্ড করতে দু'টি পটকাই যথেষ্ট। যে দিন সভা হয় তার দু’-তিনদিন আগে তিন-চারটা পটকা ফুটলেই তো মিটিং পন্ড। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে সর্বোতভাবে সহায়তা করছি যাতে করে তারা ভালোভাবে সমাবেশ করতে পারে এবং তারা ভালোভাবে সমাবেশ করছে।' জঙ্গিবাদ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'এদেশে জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও অর্থদাতা হচ্ছে বিএনপি। বেগম জিয়া জঙ্গিদের গ্রেফতারের বিরোধিতা করেছিলেন এবং বিএনপির জোটের মধ্যেই জঙ্গিগোষ্ঠি আছে। আজকে জঙ্গিদের আস্ফালনের সাথে মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য একসূত্রে গাঁথা।তারা দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চায় কারণ তারা চায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে।''কিন্তু বিশ্বে যখন যুদ্ধ চলছে, বিশ্ব অর্থনীতি যখন টলায়মান তন্মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এবং মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব, গয়েশ্বর বাবু তারা যাই বলুক না কেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বলে গেছেন- বাংলাদেশ এই সংকটের মধ্যেও যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি অন্য দেশের জন্য উদাহরণ' জানান ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'ফখরুল সাহেব তো শিক্ষিত মানুষ। আমি আশা করবো, তিনি একটু পড়াশোনা করবেন, বিশ্ব প্রেক্ষাপট দেখবেন আর বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সম্পর্কে কি বলছেন সেটাও শুনবেন।'

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ নভেম্বর ২০২২


বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ হবে জঙ্গিবাদের চারণভূমি : হানিফ

বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ হবে জঙ্গিবাদের চারণভূমি : হানিফ

বিএনপি যদি আর কখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারে তাহলে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের চারণভূমি বানাবে বলে দেশের মানুষকে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।তিনি বলেন, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের জনক তারেক রহমান। সে এখন বিএনপির শীর্ষ নেতা। দুর্নীতি, জঙ্গিবাদের কারণে মানুষ তাদের আস্তাকুড়ে ফেলে দিয়েছে। তারা আবার ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ হবে তালেবান, জঙ্গিবাদের দেশ।মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র বানিয়েছিল। বাংলাদেশ পৃথিবীতে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, জেএমবিসহ জঙ্গিদের প্রতিষ্ঠিত করে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের চারণভূমি বানিয়েছিল। সেই দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। বাংলাদেশের মানুষ ব্যর্থ রাষ্ট্রে ফিরে যেতে চায় না, জঙ্গিবাদ দেখতে চায় না।ঢাকার আদালত পাড়া থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খুব খুশি হয়েছেন- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত পরশু দিন ঢাকা আদালত এলাকা থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব খুঁচিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি এ ঘটনায় খুব খুশি হয়েছেন। কারণ বিএনপির দ্বারাই জঙ্গিবাদের সৃষ্টি।বিএনপি নেতারা এখন স্লোগান দেন ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে আপনাদের কি অর্জন ছিল। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকতে আপনাদের অর্জন কি ছিল বলুন? সেই সময়ে বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বে এক নম্বর বানিয়েছিলেন। হাওয়া ভবন বানিয়ে সরকারের মধ্যে সরকার প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। ৬০ ভাগ মানুষ দরিদ্র ছিল। মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলারের নিচে।বিএনপির জনসভায় কিছু কর্মী উপস্থিত হয়েছে। এই দেখে বিএনপি নেতাদের মনে হচ্ছে তারাই বোধ হয় রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে যাচ্ছে। পরিস্কার ভাবে বলে দিতে চাই, আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছি। আওয়ামী লীগ নিবাচিত সরকার। আওয়ামী লীগের শেকড় এই বাংলার মাটির অনেক গভীরে। এই সরকাকে আন্দোলন করে পতন ঘটনো যাবে না।তিনি বলেন, যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন তাদের প্রতি আহবান জনপ্রিয়তা আছে কি-না যাচাই করতে নির্বাচনে অংশ নিন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে নির্বাচনে আসতে হবে। সংবিধান বহির্ভূত দাবি করে নির্বাচনের বাইরে থাকলে দায়ভার আপনাদের, দেশের মানুষ এর দায় নিবে না। নির্বাচনে আসুন, প্রমাণ হয়ে যাবে জনগণ কার সঙ্গে যাবে।এছাড়া সম্মেলনে বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ নভেম্বর ২০২২


অভিবাদন শেখ হাসিনা এ'বিশ্ব বিস্ময়ে তাকিয়ে রয় - হুইপ স্বপন

অভিবাদন শেখ হাসিনা এ'বিশ্ব বিস্ময়ে তাকিয়ে রয় - হুইপ স্বপন

আজ( শনিবার) কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের কারনে দূর্নীতি প্রচেষ্টার কল্পনাপ্রসূত অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাংক বাঙালির প্রাণের পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে গিয়েছিল। প্রাজ্ঞ, দৃঢ়চেতা, অকূতোভয় রাষ্ট্রনেতা শেখ হাসিনা তাঁর মহৎ কর্ম, অভূতপূর্ব উন্নয়ন, মানবকল্যাণ, দূর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, তিনি সঠিক পথে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। এ' কারনেই ২০১৬ সালে বৈরী বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়াং কিম স্বয়ং ঢাকায় এসে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ মডেল অনুসরণের জন্য বিশ্বকে আহ্বান জানিয়েছেন। সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার ঢাকায় এসে বলেছেন, উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফ মিশন এসে স্টাডি করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তির প্রশংসা করেছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন খ্যাতনামা সংস্থা ও স্টাডি গ্রুপ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন ও অর্জনের প্রশংসা করে চলেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণকালে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের ৬০ তম অর্থনীতির দেশ, আজ ৪১ তম, আমাদের জিডিপি ছিল ৯১ বিলিয়ন ডলার আজ ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার, মাথাপিছু আয় ছিল ৬৮৬ ডলার, আজ ২,৮২৪ ডলার, রপ্তানী ছিল ১৪.১ বিলিয়ন ডলার, আজ ৫০ বিলিয়ন ডলার, বাৎসরিক রেমিটেন্স ছিল ৭.৯ বিলিয়ন, আজ ২৪.৮ বিলিয়ন, জাতীয় বাজেট ছিল ৭৯,৬১৪ কোটি টাকা, আজ ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। আগে একটা ছোট্ট সেতু করতে দাতাদের পেছনে বছরের পর বছর ঘুরতে হত, আজ প্রিয়তমা বাংলাদেশ নিজের টাকায় প্রমত্তা পদ্মার ওপর সেতু নির্মাণের সক্ষমতা অর্জন করেছে। এই সকল মহৎ অর্জন সাধিত হয়েছে বিশ্বসেরা রাজনীতিবিদ, বাঙালির আপন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেশনায়ককোচিত দক্ষ নেতৃত্ব এবং সকল জনগণের অন্তর্ভূক্তিমূলক অবদানের কারনে। অভিবাদন শেখ হাসিনা, এ'বিশ্ব বিস্ময়ে তাকিয়ে রয়, কৃতজ্ঞতা বাংলাদেশের সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকের প্রতি। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মাহমুদুল করিম মাদুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব আব্দুস সবুর, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সাইমুম সারোয়ার কমল এমপি, কানিজ ফাতেমা আহমেদ এমপি, সালাউদ্দিন আহমেদ সিআইপি, মোস্তাক আহমেদ, জসিম উদ্দিন, এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান রেজা প্রমুখ।সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আলোচনার মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে বিদায়ী আহ্বায়ক, সাবেক ছাত্রনেতা মাহমুদুল করিম মাদু সভাপতি এবং বিদায়ী যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান রেজা সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ নভেম্বর ২০২২


শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক প্রাজ্ঞতা দিয়ে বাংলাদেশকে পরিচালিত করছে : হুইপ স্বপন

শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক প্রাজ্ঞতা দিয়ে বাংলাদেশকে পরিচালিত করছে : হুইপ স্বপন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক প্রাজ্ঞতা দিয়ে বাংলাদেশকে পরিচালিত করছেন। শকুনের দোয়া কাজে আসছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন সম্প্রতি আইএমএফ মিশন এবং বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর ও মন্তব্যের কারনে বিএনপি- জামাতের টিমটিম করে জ্বলে ওঠা আশার প্রদীপটিও ধপ করে নিভে গেছে। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাহ্ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন,সম্প্রতি করোনার মরণাঘাত এবং ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ ও স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশনের কারনে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিএনপি- জামাত মনে করেছিল বাংলাদেশ চরম সঙ্কটে পড়বে। দেশ ধ্বংস হোক আপত্তি নেই, আওয়ামী লীগ বেকাদায় পড়বে। তারা সারাদিন প্রচার শুরু করে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, শ্রীলঙ্কা হবে। কিন্তু বিশ্বের অন্যতম সিনিয়র ও সফল রাষ্ট্রনেতা জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর অপরিসীম প্রাজ্ঞতা দিয়ে বাংলাদেশকে সফল পথে পরিচালিত করছেন। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে মাত্র ৩০ আসনে বিজয়ের পর থেকেই বিএনপি- জামাত শিবিরে হতাশা নেমে আসে। এরপর ২০১৪ সালে নির্বাচন বয়কটের হঠকারিতা, সরকার পতনে ব্যর্থতা, ২০১৮ সালে দলের মূখ্য নেতা কর্তৃক দলের নেতাদের চরম শোষণ করে মনোনয়ন বাণিজ্যের কারনে তাদের হতাশা বেড়ে গিয়েছে। ঈদগাহ্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আবু তালেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট আলহাজ্ব ফরিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব আব্দুস সবুর, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান। বক্তব্য রাখেন সাইমুম সারোয়ার কমল এমপি, কানিজ ফাতেমা আহমেদ এমপি, ব্যরিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া, কর্ণেল( অবঃ) ফোরকান আহমেদ, মাহবুবুল হক মুকুল, ইমরুল হাসান রাশেদ, হুমায়ুন কবির হিমু প্রমুখ। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলদের সরাসরি ভোটে আবু তালেব সভাপতি এবং ইমরুল হাসান রাশেদ সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ নভেম্বর ২০২২


ছাত্রলীগের মেয়েদের কাছে শুনি 'আমি অমুক নেতাদের মেইনটেইন করি' - কাদের

ছাত্রলীগের মেয়েদের কাছে শুনি 'আমি অমুক নেতাদের মেইনটেইন করি' - কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ছাত্রলীগের মেয়েদের কাছে বেশি শুনি, আমি অমুক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে মেইনটেইন (সম্পর্ক রাখা) করি। ইডেন গার্লস কলেজের ছাত্রীদের কাছে এটা বেশি শুনি। এটা খুব সাহসের সঙ্গে উচ্চারণ করে। আমি অমুক ভাইকে মেইনটেইন করি।’ আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত দপ্তর উপ-কমিটির প্রস্তুতি সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, ‘তোমরা মেনটেইন করবা আওয়ামী লীগকে, শেখ হাসিনাকে। আর কাকে মেনটেইন করবা? আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু। তার আদর্শ। শেখ হাসিনার কর্মী আমরা। এর বাইরে কিসের মেনটেইন। এটা কি ঘর-বাড়ি মেইনটেন হচ্ছে নাকি? আশ্চর্য ব্যাপার। এসব বদ অভ্যাসগুলো...স্লোগানও দেয়। এসব বিষয়গুলো সুশৃঙ্খল করতে হবে। দপ্তরেরও দায়িত্ব আছে।’ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা নাম-পরিচয় উল্লেখ করে সালাম দেয়, যা অতীতে দেখেননি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নাম বলতেই হবে! আমি এ জন্য নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁটি। ডানে কে? বায়ে কে? এটা আর দেখি না। সালাম দিচ্ছে নাম ধরে ধরে। এ কি অনুশীলন। হলের নাম, অমুক ভাইয়ের নাম।’ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ধানমন্ডিতে আসার সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ ছাত্রসংগঠন। এদের সকাল নেই, দুপুর নেই, বিকেল নেই এসে এখানে লাইন ধরে। আমি আসলে রুমে ঢুকতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। এটা একটা লড়াই। এটা এই বয়সে সম্ভব না। তারপরও কষ্ট করে আসি।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ নভেম্বর ২০২২


বিএনপির সমাবেশ সিলেটে, পরিবহন ধর্মঘটের কবলে নগরবাসী

বিএনপির সমাবেশ সিলেটে, পরিবহন ধর্মঘটের কবলে নগরবাসী

শনিবার (১৯ নভেম্বর) সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে জেলার সঙ্গে সারা দেশের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।আজ সিলেটের কুমারগাও বাসস্ট্যান্ড থেকে সুনামগঞ্জগামী কোনো বাস ছেড়ে যায়নি বা কোনো বাস সিলেটে প্রবেশ করেনি। একই অবস্থা সিলেটের সবচেয়ে বড় বাস টার্মিনাল কদমতলীতেও। সেখান থেকেও আন্তঃজেলা বা দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।হঠাৎ করে বাস চলাচল না করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। টার্মিনালে এসে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন কি না তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে।হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসের কাউন্টারে এসে কাউন্টার বন্ধ পেয়েছেন শ্রীমঙ্গলের বাসিন্দা রাহিমা খাতুন। তিনি বলেন, আমি জরুরি কাজে গতকাল সিলেট এসেছিলাম। এখন এখানে এসে শুনি বাস বন্ধ। বাস যদি বন্ধ থাকে তাহলে আমি বাড়ি যাবো কীভাবে?ঢাকাগামী যাত্রী আব্দুল্লাহ আল জুবেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে বেলা ১১টায় হুমায়ুন রশীদ চত্বরের হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে আসি। তবে কাউন্টার তালাবদ্ধ অবস্থায় পেয়েছি। সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবীর পলাশ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। হয়তো এজন্য গাড়ি চলছে না। আর তিন আগে ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়ায় যাত্রী নেই বললেও চলে। যাত্রী না থাকায় অনেকেই গাড়ি বের করেনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ নভেম্বর ২০২২


বিএনপির মুখে রক্ষাণাত্বক হলেও অন্তরে রয়েছে আক্রমণাত্মক শোডাউন: কাদের

বিএনপির মুখে রক্ষাণাত্বক হলেও অন্তরে রয়েছে আক্রমণাত্মক শোডাউন: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই, বিএনপির মুখে রক্ষাণাত্বক হলেও অন্তরে রয়েছে আক্রমণাত্মক শোডাউন। তিনি আজ রাজধানীর কেবিআই অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। ১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে বিএনপি এখন ডিফেন্সিভ কেন?এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন মনে হচ্ছে যেন তারা ক্ষমতায় এসে গেছে, হাওয়া ভবন ফিরে পেলো, ঢাকার রাজপথে বিজয় মিছিল করবে- সরকারের পতন ঘটাবে, এমন অনেক কথা এর আগেও তোতাপাখির মতো বুলি আউলিয়ে গেছে ।প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতা হচ্ছে বিএনপি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন জিয়াউর রহমানই প্রতিহিংসার রাজনীতি সূচনা করেছে। সারাদেশে শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জনে বিএনপির অন্তরজ্বালা বাড়ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন তারা দিনের বেলায় রাতের অন্ধকার দেখে,তাই তারা সরকারের কোন উন্নয়ন দেখতে পায় না। বাংলাদেশ কখনো অনিশ্চয়তার দিকে যাবে না, বিএনপি যেভাবে অনিশ্চয়তার দিকে চলছে তাতে বিএনপিই অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের আহবায়ক শিরীন আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডক্টর আবদুস সোবহান গোলাপ ও বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি হারুনুর রসীদ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ নভেম্বর ২০২২


প্রধানমন্ত্রী জনগণের দুয়ারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করার আহব্বান জানিয়েছেন - হুইপ স্বপন

প্রধানমন্ত্রী জনগণের দুয়ারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করার আহব্বান জানিয়েছেন - হুইপ স্বপন

আজ (বৃহস্পতিবার) কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, অভূতপূর্ব উন্নয়ন, মানবকল্যাণের দিশারী, বিশ্ব শান্তির স্বপক্ষে উচ্চকন্ঠ নেতৃত্ব, বিশ্বের অন্যতম সিনিয়র ও সফল রাজনীতিবিদ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে জনগণের দুয়ারে দুয়ারে যাওয়ার জন্য সদয় নির্দেশ প্রদান করেছেন। তিনি বলেছেন, উন্নয়ন ও মানবকল্যাণে সফলতা নিয়ে কোন ধরণের আত্ম-অহমিকায় আক্রান্ত হওয়া যাবে না। জাতির পিতার রাজনীতি ছিল, বাংলার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য সমগ্র জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে ঐতিহাসিক লড়াই করা। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে আমাদের শেষ ঠিকানা প্রত্যেক জনগণের ঘরে ঘরে গিয়ে বিনয়ের সঙ্গে দেশ গড়ার দাওয়াত পৌছাতে হবে, এখন থেকেই নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করতে হবে। মাননীয় সভানেত্রী সমাজের সকল শ্রেণী-পেশার যে সকল ভাল মানুষ আওয়ামী লীগের নীতি ও আদর্শের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করবেন তাদের আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যভুক্ত করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও আদর্শিক শিক্ষণের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতব্বরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট আলহাজ্ব ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা সাধারন সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, বিশেষ বক্তা আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, জাফর আলম এমপি প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ নভেম্বর ২০২২