রাজনীতি


বিএনপির দাবিগুলো ১০টা ঘোড়ার ডিমের মতো : হাছান মাহমুদ

বিএনপির দাবিগুলো ১০টা ঘোড়ার ডিমের মতো : হাছান মাহমুদ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি মনে করেছে সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে সরকারের ভীত নড়ে যাবে। সরকারের একটু কাতুকুতু লেগেছে এর বেশি কিছু হয়নি। তারা যেদিন পদত্যাগ করেছে সেদিনই সংসদ সচিবালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে শূন্য ঘোষণা করেছে। সামনে উপ-নির্বাচন হবে, এখন তারা বুঝবে কী ভুলটি তারা করেছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলেছিল ১০ ডিসেম্বর তাদের এক দফা দাবি। আর সমাবেশে তারা দিল ১০ দফা দাবি। তাদের দাবিগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। দাবিগুলো ১০টা ঘোড়ার ডিমের মতো। এতে নতুন কিছু নেই। গাধা জল ঘোলা করে খাওয়ার মতোই বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করার কথা বলে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করেছে।সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলেছিল, ১০ তারিখের পর সরকারের পতন ঘটাবে, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ চলবে। তারা সরকারের পতন ঘটাতে এসে নিজেদের পতন ঘটিয়ে দিয়েছে। সরকারের পদত্যাগ চাইতে এসে নিজেরা পদত্যাগ করে বসেছে।চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন । সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।বিএনপিকে উদ্দেশ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিতে গিয়ে বিএনপি নিজেরাই ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেছে। আওয়ামী লীগ এমন শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে কেউ ধাক্কা দিলে সেই নিচে পড়ে যায়। কঠিন দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেলে, দেওয়ালের যেমন কিছু হয় না, উল্টো যে ধাক্কা দেয় ব্যথা পায়। তেমনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে ধাক্কা খেতে এলে আওয়ামী লীগের কিছুই হবে না। উল্টো বিএনপি ভেঙে পড়ে যাবে।হাছান মাহমুদ বলেন, '১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। অনেক হিসেব নিকেশ করেই বিএনপি ঢাকায় তিনি বলেন, বিএনপি ৭ তারিখ থেকে সমাবেশ শুরু করে পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করল। যখন সরকার কঠোর হলো তখন আবার তারা বেছে নিল গোলাপবাগ মাঠ। সেখানে চট্টগ্রামের দেওয়ানহাটের মতো গরুর হাট বসে। এতো ময়দান থাকতে তারা বেছে নিল গরুর হাটের ময়দান। ৫০ হাজার বর্গফুটের এই ময়দানে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ ধরে। আশপাশের রাস্তা মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার মানুষের সমাবেশ করলেন তারা। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ ডিসেম্বর ২০২২


কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হলেন আরমিন

কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হলেন আরমিন

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ছাত্রলীগের সহঃ সভাপতি পদে মনোনীত হয়েছে কেরানীগঞ্জের আল আমিন হোসাইন আরমিন। ১২ ডিসেম্বর সোমবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানা শাখার সভাপতি ইমাম হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মাছুদ রানা স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে তার নাম প্রকাশ করা হয়।নব নির্বাচিত সহ-সভাপতি বলেন , জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে গড়ে উঠা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ছাত্রলীগের উল্লেখিত পদ পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি ও আনন্দিত। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার পছন্দের সংগঠন ছাত্রলীগের হাত ধরে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে চাই, দেশের বিরুদ্ধে যত অপশক্তিই আসুক না কেন কঠোর হাতে দমন করার জন্য বদ্ধপরিকর থাকতে চাই। রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য সকলের নিকট দোয়া চান তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ ডিসেম্বর ২০২২


আবারও এমপি পদে নির্বাচন করবেন হিরো আলম

আবারও এমপি পদে নির্বাচন করবেন হিরো আলম

হারুন উর রশিদ: বগুড়া ৪ আসনে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইউটিউব বিখ্যাত তারকা, মডেল হিরো আলম।১১ ডিসেম্বর রবিবার বেলা ৩ টায় হিরো আলম তার ভেরিফাইড ফেসবুকে একটি ক্যাপশনে লিখেছে 'বগুড়া ৪ আসনে আসছে হিরো আলম'।এব্যপারে হিরো আলম মুঠোফোনে বাংলা ওয়্যার কে বলেন, 'আপনারা জানেন গত নির্বাচনেও হিরো আলম ছিলো এবার ও থাকবে। ইতোমধ্যে বিএনপির বগুড়া - ৪ আসন (কাহালু-নন্দীগ্রাম) সংসদ সদস্য পদত্যাগ করায় আসন শূন্য হওয়ায় উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো'।এছাড়াও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন হিরো আলম।উল্লেখ্য, বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।এসময় সশরীরে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া–৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।তবে বিদেশে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ এবং অসুস্থতার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের পক্ষে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।তবে হারুন অর রশিদ ও আবদুস সাত্তার এমপি সশরীরে উপস্থিত না থাকায় তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি স্পিকার।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ ডিসেম্বর ২০২২


এখন থেকে সংসদ সম্পূর্ণ অবৈধ, পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বললেন বিএনপির এমপিরা

এখন থেকে সংসদ সম্পূর্ণ অবৈধ, পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বললেন বিএনপির এমপিরা

জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির এমপিরা। রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে পদত্যাগপত্র নিয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে প্রবেশ করেন তারা। এর পর পদত্যাগপত্র জমা দেন।পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে জাতীয় সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমকে বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেছেন, গত ৪ বছরে বিরোধী দল বলতে শুধু আমরা ৭ জনই ছিলাম। আর যে বিরোধী দল নামকা ওয়াস্তে আছে, তারা তো পোষা বিরোধী দল। এই পোষা বিরোধী দলের ৪টি বছর গীত-বন্দনা করতে করতেই গেছে। তাই আজকে থেকে সংসদে বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মানুষ তো নেই, মশা-মাছিও নেই। আমি মনে করি, আজকে থেকে সংসদ সম্পূর্ণ অবৈধ।রোববার সকালে ৭ জনের পদত্যাগপত্র সশরীরে জমা দিতে তারা সংসদ ভবনে প্রবেশের আগে তিনি এ কথা বলেন।গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, গতকাল সংসদ বন্ধ থাকায় আমরা ইমেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলাম জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে। আজ আমরা সশরীরে পদত্যাগপত্র জামা দিতে এসেছি।তিনি বলেন, আমরা যখন জনগণের কথা বলতাম, ৩৫০ জনের মধ্যে শুধু ৭ জনের কথা জনগণ শুনতো। ৩৪৩ জন যারা কথা বলতো, সেটা শুধু দেয়াল শুনতো, মানুষ শুনতো না। জাতীয় পার্টি যখন কথা বলতো, মানুষ অন্য চ্যানেলে চলে যেত। আমাদের আন্দোলনের এটাই শুরু, পদত্যাগ দিয়ে শুরু করেছি। ১০টি দফা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর যুগপৎ আন্দোলন; আমাদের একই দফা, এই সরকারের পতন। জনগণ সরকারকে বাধ্য করবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে। এই দেশে মানুষ যাতে ভোটাধিকার ফিরে পেতে পারে, মানুষ যাতে বাকস্বাধীনতা ফিরে পায় এবং অনতিবিলম্বে এই সংসদ ভেঙে দিতে হবে।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম ও সংরক্ষিত নারী আসনের রুমিন ফারহানা।চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ দেশের বাইরে থাকায় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভূঞা অসুস্থ থাকায় তারা উপস্থিত থাকতে পারেননি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ ডিসেম্বর ২০২২


'আন্দোলন অনেক হয়েছে, এবার বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নেন'

'আন্দোলন অনেক হয়েছে, এবার বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নেন'

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বিএনপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, পলাতক আসামির কথায় অনেক আন্দোলন করেছেন, এখন বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নেন। শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে সহায়তা করুন। দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ান।‘বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে’ সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে রেডিও কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।হানিফ বলেন, 'বিএনপি নেতারা মনে করেছেন দুয়েকটা জনসভা করে দেশকে পালটায় ফেলবে। তারা বলেছিল, ১০ তারিখের পর শেখ হাসিনা থাকবে না, দেশ চালাবে খালেদা জিয়া। আমি বলতে চাই, জোশে হুঁশ হারাবেন না। শেষে হাত-পা ধরে না মাফ চাইতে হয়।’জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের ঘোষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা না দিয়ে জনসভায় পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া তাদের রাজনৈতিক ‘স্ট্যান্ডবাজি’।এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ থেকে দলটির নির্বাচিত ৭ জন সংসদ সদস্যই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে সংসদ সদস্যরা এই ঘোষণা দেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ ডিসেম্বর ২০২২


১৩ ডিসেম্বর সারাদেশে গণমিছিল ও বিক্ষোভ করবে বিএনপি

১৩ ডিসেম্বর সারাদেশে গণমিছিল ও বিক্ষোভ করবে বিএনপি

নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হত্যার প্রতিবাদে আগামী ১৩ ডিসেম্বর সারাদেশে গণমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি। আজ শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে গণসমাবেশ থেকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।এ ছাড়া ঢাকা বিভাগীয় এই গণসমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বিএনপি।শনিবার দাবিগুলো তুলে ধরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সমবেশের প্রধান অতিথি খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ ডিসেম্বর ২০২২


জাতির পিতার হত্যাকারীকে ফেরত দিয়ে গণতন্ত্র-মানবাধিকারের কথা বলুন - হুইপ স্বপন

জাতির পিতার হত্যাকারীকে ফেরত দিয়ে গণতন্ত্র-মানবাধিকারের কথা বলুন - হুইপ স্বপন

আজ (শনিবার) সকালে কুমিল্লার হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, দাম দিয়ে কিনেছি স্বাধীনতা, কারো দয়ায় প্রাপ্ত নয়। জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের সার্বভৌমত্ব নিরঙ্কুশ, সমুন্নত। আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব প্রদানের সার্বভৌম অধিকার কেবল মাত্র বাংলার জনতার। আমরা কারো দাস নয়, আমরা এখন ভিক্ষুক নয়। নিজের হাঁটুতে ভর করে আমরা দাঁড়িয়েছি। এখন কোন বড়লাট বা ভাইসরয়ের অধীন নয় আমরা। যারা আমাদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ছবক দিচ্ছেন, তাদের বলি, আপনারা আগে আয়নায় নিজের চেহারা দেখুন। আমাদের দেশের সংবিধান, আমাদের ফৌজদারি আইন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ। আমাদের আদালত নির্বাহী বিভাগ থেকে স্বাধীন হয়ে স্বকীয় সত্ত্বায় সমুন্নত। এই সার্বভৌম রাষ্ট্রের আদালত দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আমাদের জাতির পিতার হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করেছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দুর্নীতিবাজকে সাজা দিয়েছে। আপনারা আইনের শাসন চান, আমরাও চাই। আপনারা জঙ্গীবাদ দমন করে শান্তি চান, আমরাও চাই। আপনারা দূর্নীতির বিরুদ্ধে উচ্চকন্ঠ, আমরা দূর্নীতির বিনাশ চাই। আপনারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চান, আমরাও চাই। সুতরাং আইনের প্রতি, বিচার ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আপনারা আমাদের জাতির পিতার সাজাপ্রাপ্ত হত্যাকারীকে ফেরত দিন, আপনারা দূর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত দূর্নীতির বরপুত্রকে ফেরত দিন, তারপর গণতন্ত্র- মানবাধিকারের কথা বলুন। হোমনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ম. রুহুল আমিন। উপজেলা সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব আব্দুস সবুর, বেগম সেলিমা আহমাদ এমপি, জাহাঙ্গীর আলম সরকার, রৌশন আলী মাস্টার, আবুল হোসেন, রেহেনা বেগম, মেয়র এডভোকেট নজরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন খন্দকার প্রমুখ। সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ সভাপতি, আবুল হোসেন সাধারন সম্পাদক, মেয়র এডভোকেট নজরুল ইসলাম প্রথম সহ সভাপতি, মহিউদ্দিন খন্দকার প্রথম যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ ডিসেম্বর ২০২২


স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য

স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য

জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য (এমপি)। আজ শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।ওই ৭ এমপি হলেন— বগুড়া-৬ আসনের এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৪ আসনের এমপি মোশারফ হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এমপি জাহিদুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের এমপি আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি হারুনুর রশীদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি আবদুস সাত্তার ভূঞা এবং সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি রুমিন ফারহানা।হঠাৎ কেন এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রশ্নের জবাবে বগুড়া ৬ আসনের এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বাংলা ওয়্যারকে বলেন, 'বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলের স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ে আমাদের এ সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজ বিএনপির গণসমাবেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে'।এ ব্যপারে সাংসদ রুমিন ফারহানা বলেন, 'ইমেলে স্পিকারের কাছে আমরা ৭ জনই আমাদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি। আজ অফিস বন্ধ। তাই কাল আমরা সরাসরি সেখানে পদত্যাগপত্র জমা দেবো।'তিনি আরও বলেন, 'সংসদে আমরা জনগণের পক্ষে কথা বলতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু বারবার আমাদের মাইক বন্ধ করে দিয়েছিল৷ এই সংসদে থাকা আর না থাকা সমান৷'

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ ডিসেম্বর ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

গোলাপবাগ মাঠে জায়গা না পেয়ে বিএনপির সমাবেশ কমলাপুরের রাস্তায়

গোলাপবাগ মাঠে জায়গা না পেয়ে বিএনপির সমাবেশ কমলাপুরের রাস্তায়

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে সারা দেশের নেতাকর্মীরা রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আসছেন। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাতেই নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় সমাবেশস্থল। তবু সমাবেশ উপলক্ষে দলটির নেতাকর্মীরা সকাল থেকে দলে দলে গোলাপবাগ মাঠে আসতে থাকেন। কিন্তু মাঠে জায়গা না পাওয়ায় তারা সমাবেশস্থলের আশপাশের এলাকা ও রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন।রাস্তায় অবস্থান নিয়ে এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, তারেক জিয়ার অ্যাকশন’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।সরেজমিনে দেখা যায়, গোলাপবাগ মাঠে জায়গা না পেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা মানিকনগর, টিটিপাড়া ও কমলাপুরের রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন। দলটির নেতাকর্মীরা গ্রুপে গ্রুপে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের স্লোগানে সমাবেশস্থল ও এর আশপাশে এলাকার রাস্তায় মুখরিত হয়ে আছে।সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের কেউ গাজীপুর আবার কেউ নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। তারা সকালে সমাবেশস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মাঠে নেতাকর্মীদের প্রচুর ভিড় থাকায় ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। তাই তারা মানিকনগর, টিটিপাড়া ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকার রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন।১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য বিএনপি শুরু থেকেই নয়াপল্টনের সড়ক ব্যবহারের দাবি জানিয়ে আসছিল। আর সরকার শুরু থেকেই বলে আসছিল নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। বিএনপিকে সমাবেশ করতে হবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।তবে সোহরাওয়ার্দীর বিষয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল বিএনপি। তারা আরামবাগ ও সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট স্কুলের মাঠের প্রস্তাব দিলেও পুলিশ তাতে রাজি হয়নি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ ডিসেম্বর ২০২২


পরাজয় কার হলো, আমাদের নাকি বিএনপির : কাদের

পরাজয় কার হলো, আমাদের নাকি বিএনপির : কাদের

নয়াপল্টন ছেড়ে গোলাপবাগে সমাবেশে রাজি হয়ে বিএনপির অর্ধেক পরাজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।‘নয়াপল্টনে সমাবেশ আমরা করবই, এ কথা যারা বলেছে, তারা এখন গোলাপবাগে’—এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পরাজয় কার হলো, আমাদের নাকি বিএনপির। অর্ধেক পরাজয় হয়ে গেছে।‌ তারা পল্টনে সমাবেশ করতে পারেনি।’আজ শুক্রবার বিকেল রাজধানীর গুলিস্তানে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।সমাবেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ রাস্তায় বের হয়েই বুঝতে পারলাম আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। শেখ হাসিনার কর্মীরা আজ প্রস্তুত। রাতে ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়া আর আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের খেলা হবে কাতারে। আর বাংলাদেশে খেলা হবে অপশক্তির বিরুদ্ধে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, দুঃশাসন ও আগুন–সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। সব অপশক্তি বনাম আওয়ামী লীগ এই খেলা হচ্ছে রাজনীতির মাঠে।বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেক ছাড় দিয়েছি। আর ছাড় দেব না। লাঠি নিয়ে এলে, আগুন নিয়ে এলে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। পুলিশের ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ ডিসেম্বর ২০২২


১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশের স্থান ঘোষণা

১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশের স্থান ঘোষণা

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশ রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। আজ (শুক্রবার) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের সাথে দেখা করে এসে ডিবি কার্যালয়ের সামনে তারা এ কথা জানান।বিএনপির এই দুই নেতা আরও জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তরফ থেকে দলের আবেদনের প্রেক্ষিতে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। ডা. জাহিদ বলেন, আমরা কমলাপুর স্টেডিয়াম চেয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে খেলা চলায় সম্ভব না। পুলিশের কাছে তারপর আমরা গোলাপবাগ মাঠের কথা বলেছিলাম, পুলিশ লিখিতভাবে অনুমতির জন্য আবেদন করতে বলেছিল, আমরা লিখিত আবেদন করেছি। তারা অনুমতি দিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ ডিসেম্বর ২০২২


মধ্যরাতে মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে তুলে নিয়ে য়াওয়া হয় : বিএনপি

মধ্যরাতে মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে তুলে নিয়ে য়াওয়া হয় : বিএনপি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তাদের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান। এছাড়া মির্জা আব্বাসকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের আরেক সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।তারা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার কিছুক্ষণ পর রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসা থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও শাহজানপুরের নিজ বাসা থেকে মির্জা আব্বাসকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এখন পর্যন্ত আমরা সেটা জানি না। এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কমলাপুর স্টেডিয়াম ও মিরপুর বাঙলা কলেজের মাঠ পরিদর্শন শেষে বাসায় ফেরেন মির্জা আব্বাস।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ ডিসেম্বর ২০২২


'বিএনপি-জামায়াত সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা করলে কঠোর ব্যবস্থা'

'বিএনপি-জামায়াত সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা করলে কঠোর ব্যবস্থা'

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত সমাবেশের নামে কোনো বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। তারা আইন মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করলে সরকারের পক্ষ থেকে আপত্তি কিংবা কোনো বাধা নেই।তিনি আরও বলেন, বিএনপি দেশের চলমান উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলার পথ বেছে নিয়েছে। তাদের এ অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা দেশের মানুষ মেনে নেবে না।বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাইদ আল মাহমুদ স্বপন এসব কথা বলেন।উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগের পরিচালনায় প্রথম অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আবু নইম পাটওয়ারী দুলাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মোতালেব প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ ডিসেম্বর ২০২২


১০ ডিসেম্বর নয়া পল্টনে'ই বিএনপির সমাবেশ হবে : ফখরুল

১০ ডিসেম্বর নয়া পল্টনে'ই বিএনপির সমাবেশ হবে : ফখরুল

বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিকদল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষণা দিয়েছেন, ১০ই ডিসেম্বর সমাবেশ করার উদ্দেশ্যে তারা নয়াপল্টনে যাবেন। বুধবার পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘাতের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং নয়াপল্টনের আশপাশের রাস্তা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পুলিশ।এমন অবস্থায় বিএনপির মহাসচিব আজ বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ব্যাপারে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “১০ তারিখে আমরা সেখানে যাবো, জনগণ কী করবে সেটা জনগণ জানে।”এর আগে ডিএমপি ২৬টি শর্ত দিয়ে সোহরাওয়ার্দী ময়দানে বিএনপির সমাবেশের অনুমতি দেয়ার কথা জানায়। এটা বিএনপির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না উল্লেখ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে অসম্মতি জানায় বিএনপি।সংবাদ সম্মেলনে মি. ইসলাম বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বিএনপির সমাবেশের উপযোগী নয়।তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনেক স্থাপনা রয়েছে বিধায় সেখানে বিশাল সমাবেশ করার পর্যাপ্ত জায়গা নেই।এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চারপাশে দেয়াল দিয়ে ঘেরা বলে, বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হলে পদদলিত হয়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। যার কারণে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করতে চান না তারা।সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আরেক নেতা দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানও বলেন যে, নয়াপল্টনেই সমাবেশ করতে চান তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ ডিসেম্বর ২০২২


নয়া পল্টনে বিএনপি পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১

নয়া পল্টনে বিএনপি পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১

রাজধানীর নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রধান কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মকবুল হোসেন (৪০)।ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, 'নিহতের শরীরে শটগানের গুলির আঘাত ছিল।'বিকেল ৪টার দিকে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ ডিসেম্বর ২০২২


'আমাদের অনেক জ্ঞানীগুণী বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে’

'আমাদের অনেক জ্ঞানীগুণী বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে’

বাংলাদেশের অনেক 'বুদ্ধিজীবী' সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে নেতা মেনে তাদের সঙ্গে জড়ো হয়ে সরকার উৎখাতের চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, 'আমাদের অনেক জ্ঞানীগুণী বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তত্ত্ব কথা শুনায়, গণতন্ত্রের সবক দেয়, গণতন্ত্র উদ্ধার করতে চায়। আবার সেই আমাদের বুদ্ধিজীবী, এরা বুদ্ধিজীবী নিজেদের অনেকে বলে। আমি বলি বুদ্ধিজীবী, বুদ্ধি প্রতিবন্ধীজীবী। তারা আসলে বুদ্ধিজীবী না, বুদ্ধি প্রতিবন্ধীজীবী। তারা সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে নেতা মেনে তাদের সঙ্গে জড়ো হয় সরকার উৎখাতের জন্য।'তিনি আরও বলেন, 'হ্যাঁ, খালেদা জিয়াকে আমরা উৎখাত করেছি, এরশাদকে উৎখাত করেছি, জিয়াকেও আমরা উৎখাত করতে পারতাম। কিন্তু আগেই মরে গেছে। ওখানে একটি দুঃখ যে ওর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আগেই অক্কা পেলো। নিজের লোকদের হাতেই মারা গেল।'তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, 'এই সমস্ত দুর্বৃত্তায়ন যারা করেছে, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা কেন? আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী?'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেছে। আমি ৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি, ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল, স্বাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৪৩ থেকে ৪৫ ভাগ। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশন জট, অস্ত্রের ঝনঝনানি, অস্ত্র আর গোলাবারুদের গন্ধ। দেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ রসাতলে, রিজার্ভ মাত্র ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ এ এসে রিজার্ভ পেলাম মাত্র ৫ বিলিয়ন ডলার। ৯৬ সালে খাদ্য ঘাটতি পূরণ করে বাংলাদেশকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি।'তিনি বলেন, '২০০১ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বারই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল। ২০০১ সালে আমাদের ৫ বছর যখন সম্পন্ন হয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি। এ ছাড়া আর কোনোদিন কি বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে? হয়নি।'জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৪ জাতীয় নেতা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও নির্যাতিতদের স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য শুরু করেন।তিনি বলেন, 'বিজয়ের মাসে ছাত্রলীগের সম্মেলন হচ্ছে। ছাত্রলীগের সব নেতা-কর্মীকে বিজয়ের মাসের অভিনন্দন জানাচ্ছি। কারণ, এ দেশের প্রতিটি সংগ্রামেই ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে।''প্রতিটি আন্দোলনে শহীদের তালিকা যদি দেখি, সেখানে ছাত্রলীগের শহীদের তালিকাই বড়। ৭৫ এর পর জিয়াউর রহমান যখন অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করে, তার প্রতিবাদকারী হাজারো সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে জিয়াউর রহমান যেমন হত্যা করেছে, ঠিক একইভাবে ছাত্রলীগের নেতা সেই বাবুসহ অনেককে গুম করে নিয়ে গেছে। তাদের পরিবার লাশও পায়নি। এভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছে', বলেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ ডিসেম্বর ২০২২


ব্যক্তিগত সহকারীসহ ইশরাক নিখোঁজ, দাবি বিএনপির

ব্যক্তিগত সহকারীসহ ইশরাক নিখোঁজ, দাবি বিএনপির

ব্যক্তিগত সহকারীসহ ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য কাদের গনি চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, সোমবার বিকেল থেকে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক ও তার ব্যক্তিগত সহকারীর হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ ডিসেম্বর ২০২২


যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে, তারাই ১০ ডিসেম্বরের হুমকি দেয় : নিখিল

যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে, তারাই ১০ ডিসেম্বরের হুমকি দেয় : নিখিল

বিএনপির উদ্দেশ্য যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেছেন, যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে, অগ্নি-সন্ত্রাস করে তারাই আবার ১০ ডিসেম্বরের হুমকি দেয়। তিনি বলেন, ' আগামী ১০ ডিসেম্বর যুবলীগ সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে রাজপথেই থাকবে। কোথাও সাধারণ মানুষের উপর আঘাত বা জনগণের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হলে তাঁর দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে যুবলীগ।'যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগের অসহায়-দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাইনুল হোসেন খান নিখিল এ কথা বলেন। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশে গতকাল রাজধানীর ডেমরা রানী মহল সিনেমা হল অডিটোরিয়ামে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং দুপুর ২টায় তেজগাঁওয়ে উত্তর বেগুন বাড়ি উত্তর যুবলীগের উদ্যোগে এ দুই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যাকে উদ্দেশ্য করে এই অনুষ্ঠান তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা, যুবসমাজের আইকন শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণিকে হত্যা করেছিল খুনি জিয়াউর রহমান। এই জিয়াউর রহমান একটি জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেটা হলো বিএনপি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় এসে হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ ডিসেম্বর ২০২২


বিএনপির ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ

বিএনপির ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ করছে বিএনপি। সোমবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোড ও আশপাশের এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে দলটির বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।লিফলেট বিতরণ করার সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আগামী ১০ তারিখ বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের তৎপরতা চালিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বিএনপির ঢাকা বিভাগের গণসমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, দেশের ৯টি বিভাগে ইতমধ্যে যেভাবে গণসমাবেশ হয়েছে, ঠিক সেভাবে ঢাকায়ও গণসমাবেশ হবে। এখানে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন। কিন্তু সরকার সেটাকে ব্যাহত করতে চাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড তো ফ্যাসিস্ট, কর্তৃত্ববাদী সরকার করে থাকে। গ্রেপ্তার করে বিএনপির কর্মসূচিতে জনতার ঢল থামানো যাবে না বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আমরা যাদেরকেই লিফলেট দিচ্ছি তারাই বলছেন আমাদের সমাবেশে তারা উপস্থিত থাকবেন। তাদের মনের আকুতি ও আকাঙ্ক্ষা কিন্তু সরকার বন্ধ করতে পারবেনা।শিগগিরই ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির গণসমাবেশের স্থান নিয়ে জটিলতা নিরসন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ ডিসেম্বর ২০২২


ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরে ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে বললেন  নানক-নাছিম

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরে ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে বললেন নানক-নাছিম

কমিটির দাবিতে সড়ক অবরোধ করা ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরে ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে বলেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। রোববার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক। এর আগে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে কমিটি ঘোষণার দাবিতে রাজধানীর নিউমার্কেট ও সায়েন্স ল্যাব মোড় এলাকায় জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করেন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এ সময় এই তিন নেতার গাড়ি বহরও নেতাকর্মীদের অবরোধের মাঝে পড়ে। পরে কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ‘কমিটি চাই’ ‘কমিটি চাই’ স্লোগান দিয়ে তাদের গাড়ি বহর ঘিরে ধরেন। নেতাকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে একপর্যায়ে গাড়ি থেকে নেমে আসেন জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারা বলেন, ধৈর্য ধরে ক্যাম্পাসে ফিরে যাও। কমিটির বিষয়টি আমরা পরবর্তীতে দেখব। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তোপের মুখে সামনে গাড়ি নিয়ে এগোতে না পেরে হেঁটেই সড়কের সামনে এগিয়ে গাড়িতে ওঠেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২