বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা জেলা দক্ষিণ শাখার উপ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছে ঢাকা কেরানীগঞ্জের ছেলে ও ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর সাংবাদিকতা বিভাগের মেধাবী ছাত্র আল নুর। উল্লেখ্য, আল নুর বাংলাদেশে বহুল পঠিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ওয়্যার এর একজন গণমাধ্যম কর্মী। গত ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা জেলার দক্ষিণ শাখার সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এহসান আরাফ অনিক স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে তার নাম প্রকাশ করা হয়।নব নির্বাচিত উপ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আল নুর বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে গড়ে উঠা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রলীগের উল্লেখিত পদ পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি ও আনন্দিত। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার পছন্দের সংগঠন ছাত্রলীগের হাত ধরে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে চাই, দেশের বিরুদ্ধে যত অপশক্তিই আসুক না কেন কঠোর হাতে দমন করার জন্য বদ্ধপরিকর থাকতে চাই।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
দীর্ঘ ছয় বছরেও কমিটি না দেওয়ায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।রোববার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেখানে আল নাহিয়ান খান জয়ের গাড়িবহর ঘিরে ধরেন কলেজ ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের একাধিক কর্মী জানান, তারা দীর্ঘ ছয় বছর ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতি করছেন। আন্দোলন-সংগ্রামে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ সবসময় রাজপথে থেকেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তাদের শাখার কমিটি দেয় না। এজন্য তারা ছাত্রলীগ সভাপতিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিঃস্ব আমি রিক্ত আমি দেবার কিছু নেই, আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা-মা, ভাই হারিয়ে পেয়েছি আপনাদের। আপনাদের মাঝেই আমি ফিরে পেয়েছি আমার বাবার স্নেহ, মায়ের স্নেহ ও ভাইয়ের স্নেহ। আপনাদের পাশেই আমি আছি, আপনাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমি যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত, এই ওয়াদা আমি দিয়ে গেলাম।আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিলেন। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন করেছিল। আন্দোলনের মুখে দেড় মাসের মধ্যে ক্ষমতা থেকে নামতে বাধ্য হয়েছিলেন। জনগণের ভোট চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না। কিন্তু বিএনপি গণতান্ত্রিক ধারা পছন্দ করে না। আজ গণতান্ত্রিক ধারা আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।রোববার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। চট্টগ্রামের কথা সবসময় মনে পড়ে বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাবা জেল থেকে বের হলেই চট্টগ্রামে নিয়ে আসতেন। করোনার কারণে দীর্ঘ সময় আসতে পারেনি, তাই আজ হাজির হয়েছি। এই লালদিঘীর সামনে ১৯৮৮ সালে ২৪ জানুয়ারি আমাকে হত্যা করতে গুলি করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে খালেদা জিয়াও জড়িত ছিলেন। সেই হত্যাকারী পুলিশ অফিসারকে প্রমোশন দেয়া হয়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওরা ধ্বংস করে, আমরা সৃষ্টি করি। আমরা উন্নয়ন করি আর ওরা মানুষ খুন করে।এদিন ভাষণের শুরুতেই জনসভায় যোগ দেয়া দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বসাধারণের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘অনারা ক্যান আছন, গম আছননি?’ (আপনারা কেমন আছেন, ভালো আছেন?)সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামবাসীর উদ্দেশে বলেন, বিজয়ের মাসে আমি আপনাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছি। ২৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিজয়ের মাসে এগুলো চট্টগ্রামবাসীর জন্য আমার উপহার।আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘মানুষ পুড়িয়ে মারার হিসাব একদিন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে দিতে হবে। বিএনপি দেশের ক্ষতি করে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নয়ন হয়। এই চট্টগ্রামে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করেছি।’এ সময় চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের প্রয়াত সিনিয়র নেতাদের স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন শেখ হাসিনা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
সরকার নিজেরাই নাশকতা করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমি আজকে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে চাই, সরকার নাশকতা করছে। সরকার জঙ্গিবাদ করছে। সরকার এখন জঙ্গিদের ধারণ করছে।রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা গণপরিবহন বন্ধ করেছে। পুলিশকে ব্যবহার করে বেআইনি অসংখ্য গায়েবি মামলা দিয়ে অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।সরকার বিএনপির ১০ তারিখের সমাবেশকে ঘিরে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার প্রতিশোধে মেতে উঠেছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকারের একেবারে উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রীরা অহেতুক কথা বলে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য যা যা করার দরকার তাই করছে।বিএনপির খেলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাস্তবতার খেলায়। অধিকার ফিরে পাওয়ার রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি।আগামী ১০ তারিখ বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ দাবি ও কর্মসূচিগুলো সমাবেশ থেকে দেওয়া হবে। আমরা কখনও বলিনি এখানে এমন কিছু করা হবে, যেটাতে সমস্যা হবে। বরং সমস্যা তৈরি করছে সরকার।সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগরে একটা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, নাশকতা তারাই শুরু করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বাসার সামনে সেই বালির ট্রাকের কায়দায় চেকপোস্ট-ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ অবরোধ করে রেখেছে। এটি নেত্রীর ওপর নির্যাতনের আরেকটি নতুনমাত্রা। এমনিতেই খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, তার ওপর একের পর এক বন্দিত্বের ঘেরাটোপে তাকে আরও কঠোরভাবে বন্দি করে রাখার পায়তারা চলছে।রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।এসময় কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বিষয়ে রিজভী বলেন, রাজশাহীর সমাবেশ থেকে ফেরার পথে আমিনবাজারে টুকু, নুরুল ইসলাম নয়নসহ যুবদলের নেতাদের তুলে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ। তুলে নিয়ে যাওয়ার পরও তাদের কোনো খোঁজ দেয়নি।১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের জনসমাবেশকে বানচাল করতে সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘অন্তর্ঘাতমূলক’ কাজে নেমেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।তিনি বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকারের সিংহাসন নড়ে উঠাতেই ওরা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, অর্থপাচার ও ভূমি দখলের মতো অপরাধগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকায় তারা ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। কারণ অবৈধভাবে অর্থবিত্তের মালিক হওয়ায় ওরা বিচারের হাত থেকে বাঁচতে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছে। তাই ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে নিরাপদ মনে করছেন না শেখ হাসিনা।এসময় রুহুল কবির রিজভী খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনের চেকপোস্ট প্রত্যাহারের দাবি জানান। একই সঙ্গে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সহ-সভাপতি নয়নকে তার পরিবারের কাছে হাজির করার আহ্বান জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেছেন, ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশের ভয় দেখাবেন না। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন জানে কিভাবে গণসমাবেশ করতে হয়।শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের টঙ্গী সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত পূর্ব ও পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপি-জামায়াতের দোসররা এদেশের মানুষের অগ্রগতি চায় না উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এভাবে এগিয়ে গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে ২৩তম অর্থনৈতিক দেশ হবে। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হবে।ফারুক খান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ঢাকার কাছাকাছি হওয়ায় এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি জামায়াত দেশব্যাপী যে অসত্য তথ্য দিয়ে গুজব রটানোর চেষ্টা করছে তা আপনাদের বন্ধ করতে হবে। সঠিক তথ্য জানাতে হবে। কোনোভাবেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে অগ্রগতি তা যেন বিএনপি জামায়াতের গুজব, মিথ্যাচারে থমকে না যায়। এছাড়া প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে এখনই ভোট কেন্দ্র কমিটি গঠন করে নির্বাচনে প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান ফারুক খান।এর আগে ২০০৩ সালে সর্বশেষ টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ ডিসেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগ এখন আর কোন রাজনৈতিক দল নয়, সব সেক্টরে দুর্নীতি করে লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার বিকালে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানে (হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ) বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ ডিসেম্বর ২০২২
প্রতিপক্ষকে মোকাবিলায় রাজপথসহ পাড়া-মহল্লায় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। রাজপথ, জনপদ, শহর, গ্রাম, পাড়া-মহল্লা সবখানেই সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুত থাকতে হবে। হামলা হলে পাল্টা হামলা হবে কি না সময়ই বলে দেবে।শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান গতকালও ঢাকার এক ক্যাডারের সঙ্গে কনভারসেশন করেছেন। লন্ডন থেকে বলেছেন, তোমরা রাস্তা ছাড়বে না, শেখ হাসিনা পালানোর পথ খুঁজছে। তার এমপি-মন্ত্রীরাও পালানোর পথ খুঁজছে।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকার সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোহিত উর রহমান শান্তর সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, সদস্য মারুফা আক্তার পপি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মো. শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বাবু, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরুসহ প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ ডিসেম্বর ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে উপলক্ষ্য করে চট্টগ্রাম জুড়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে, মানুষের মধ্যে সাড়া জেগেছে। আমরা আশা করছি, জনসভায় পলোগ্রান্ড মাঠ পূর্ণ হয়ে বাইরে আরও আট-দশগুণ মানুষ হবে, ইনশাআল্লাহ।শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শন শেষে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জনসভার সার্বিক প্রস্তুতি এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক বলে এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান।হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গতকালও বলেছেন, নয়াপল্টনের সামনেই তাদের জনসভা হবে। আসলে ওদের উদ্দেশ্য জনসভা করা নয়, দেশে একটা গণ্ডগোল লাগানো এবং দেশকে অস্থিতিশীল করা। বিএনপির সুবিধার্থে তাদের আবেদন অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, তারা সেখানে না গিয়ে নয়াপল্টনে জনসভা হবে, এটি বারবার ঘোষণা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে দেশে একটি গণ্ডগোল লাগানো। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশেই তারা এটি বলছে। সরকার দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য কাউকে অনুমতি ও লাইসেন্স দিতে পারে না। তারা তো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, সেটি আমরা হতে দেব না। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড অনেক বড় মাঠ, এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জনসভা করেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও জনসভা করেছেন। কানায় কানায় পূর্ণ জনসভা হয়েছে। অতীতেও মাঠ ছাড়িয়ে মানুষ বাইরে দাঁড়িয়েছে। আমরা যেভাবে সাড়া দেখতে পাচ্ছি, এবার কিন্তু মাঠের তুলনায় আট-দশ গুণ বেশি মানুষ মাঠের বাইরে থাকতে হবে। ক’দিন আগে এখানে বিএনপি জনসভা করেছিল। মাঠের তিন ভাগের একভাগ পেছনে রেখে তারা মঞ্চ বানিয়েছিল। আর সামনে যে মাঠ ছিল তার অর্ধেক পূর্ণ হয়েছিল।জনসভার মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে আওয়ামী লীগ কী বার্তা দিতে চায়?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যেহেতু জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছি, জনগণের সামনে হাজির হওয়া আমাদের দায়িত্ব। দেশ আগে কোথায় ছিল, এখন কোথায় গেছে, আমরা জনগণের জন্য কী করেছি, দেশকে আমরা কোথায় নিয়ে যেতে চাই, এগুলো জনগণের সামনে উপস্থাপন করা আমাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জনগণের নেত্রী, তিনি সেই কথাগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরবেন।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণমানুষের দল, আমরা জনগণের জন্যই কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা গত চৌদ্দ বছরে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছেন। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে উন্নীত হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানকে তো বহু আগেই ছাড়িয়েছে, ভারতেকেও ছাড়িয়ে গেছে। চট্টগ্রামে জনসভার পূর্বে প্রধানমন্ত্রী অনেকগুলো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন করবেন।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি স্লোগান দেয় ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’, বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যাও। অর্থাৎ আবার বাংলাভাই, শাইখ আবদুর রহমানের জমানায় নিয়ে যাও। আবার হাওয়া ভবন ও খোয়াব ভবন সৃষ্টি কর, পাঁচশ’ জায়গায় বোমা ফোটাও, দুর্নীতিতে দেশকে আবার পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বানাও। তাদের স্লোগান অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে পারি না।তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজকে উন্নতির সোপানে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে, আমরা দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে পারি না। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এই জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। তাদের হাতে তো আমরা দেশটা তুলে দিতে পারি না। সেটাও আমরা জনগণের সামনে ব্যাখ্যা দেব।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ ডিসেম্বর ২০২২
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের যৌথ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে শুক্রবার (২ ডিসেম্বর)। সম্মেলনজুড়েই ছিল বিশৃঙ্খলা। ছাত্রলীগ নেতারাও দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন সম্মেলনে। এতে এক পর্যায়ে অতিথির চেয়ার ছেড়ে চলে যান জাহাঙ্গীর কবির নানক, বাহাউদ্দিন নাছিম এবং আব্দুর রহমান। সার্বিক পরিস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদেরও।শুক্রবার সম্মেলন সকাল দশটায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয় সাড়ে এগারোটার পর। সম্মেলনের বিভিন্ন পর্যায়েই বিশৃঙ্খলার ছাপ ছিল লক্ষ্যণীয়। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাদের দীর্ঘ বক্তব্যের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা মাইক ধরলে ছাড়েন না। পরে যে আরও মানুষ বলবে এটা খেয়াল থাকে না। আজকে জুম্মার দিন এটাও খেয়াল থাকে না?এ সময় উত্তেজিত হয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই ছাত্রলীগ আমরা চাই না। সুশৃঙ্খল করুন, সুসংগঠিত করুন। কথা শুনবে না, এই ছাত্রলীগ আমাদের দরকার নেই।ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য শুরুর পরই একই সাথে মঞ্চ ত্যাগ করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, বাহাউদ্দিন নাছিম এবং আব্দুর রহমান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ ডিসেম্বর ২০২২
আজ (বৃহস্পতিবার) নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, প্রত্যেক পিতামাতা তার সন্তানকে সাধ্যমত ভাল খাওয়াতে পছন্দ করেন, তেমনি অধিকাংশ সন্তান তার পিতামাতাকে খাওয়াতে পছন্দ করেন। বঙ্গবন্ধুর এতিম কন্যা বিশ্বসেরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তাঁর পিতামাতাকে রান্না করে এক লোকমা ভাত খাওয়ানোর সুযোগ নেই। নরপিশাচ ঘাতকেরা সেই সুযোগ ছিনিয়ে নিয়েছেন। এজন্যই জনতার নেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশের প্রতি গ্রামে বসবাস করা মুরব্বী নিরন্ন মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, নিরন্ন নাগরিক রাষ্ট্রের অর্থে পেট ভরে ভাত খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে আলহামদুলিল্লাহ উচ্চারণ করলে কবরে শুয়ে জাতির পিতার পবিত্র আত্মা শান্তি লাভ করেন। জাতির পিতা বাংলার প্রত্যেক মানুষের পেট ভরে ভাত খাওয়া এবং প্রত্যেকের মুখে সুখের হাসির জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন। জাতির পিতার আত্মার শান্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী মুরব্বী গরীবের মুখে খাবার তুলে দেন।তিনি আরও বলেন, জগৎসেরা উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচন বিশারদ শেখ হাসিনা স্বল্প সম্পদ নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে একই সঙ্গে অভূতপূর্ব উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে রেকর্ড সৃষ্টি করে মানবতার অপরিসীম সেবা করে চলেছেন। যূগপৎভাবে উন্নয়ন ও মানবকল্যাণের ইতিহাস পৃথিবীতে কম। তিনি তাঁর বিজ্ঞতা দিয়ে অসাধ্য সাধন করেছেন। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আজ প্রধানমন্ত্রীর পদে জননেত্রী শেখ হাসিনা অপরিহার্য হয়ে উঠেছেন।উপজেলা পরিষদ মাঠে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নোয়াখালী।জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আবুল হাসনাত মোঃ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ সানাউল্লাহ বিকমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় সম্পাদক বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, মোঃ একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত, ফরিদা খানম সাকী এমপি, শিহাব উদ্দিন শাহীন, মেয়র সহীদুল্লাহ খান সোহেল প্রমুখ। সম্মেলনের ২য় অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে মরহুম আব্দুল মালেক উকিলের পুত্র বাহার উদ্দিন খেলন সভাপতি এবং বিদায়ী সভাপতি মোঃ হানিফ চৌধুরী সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ ডিসেম্বর ২০২২
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশ ছাড়ার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার বিদেশে অর্থ পাচার করছে।তিনি বলেন, 'এটা খুব দুঃখজনক যে সরকার দেশের কথা একেবারেই মনে না রেখে সবকিছু বিদেশে পাচার করছে। দেখে মনে হচ্ছে দেশের প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই। তারা নিজেরাও বাইরে চলে যাবে এবং সেটার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে টাকা পাচার করছে।'দলের নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্যপদ নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন করে ড. কামাল হোসেন আজ এসব কথা বলেন। ঢাকার মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের কার্যালয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।গণফোরাম সভাপতি বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সবক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা, দলীয়করণ ও দুর্নীতি ফলে দেশ আজ ভয়াবহ সংকটের দিকে যাচ্ছে।'মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও অর্জনগুলি দেশের কিছু দুর্নীতিবাজ ও স্বার্থান্বেষী মহলের জন্য আজ বিসর্জন হতে চলেছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে দলীয়করণের সুযোগ নিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ যারা আত্মসাৎ করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। আর্থিক খাতে এসব দুর্নীতিগ্রস্তদের বিচারহীনতা, ক্রমাগত অর্থপাচার, লুটপাট আজ মহামারি আকার ধারণ করছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে যেখানে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে সেখানে ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লুটপাট জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।'গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, 'পত্র-পত্রিকাগুলোতে দেখবেন এসব ব্যাপারে একেবারে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে। দেশের অর্থনীতি অনেকাংশে ধ্বংস হয়ে গেছে। পত্রিকার তথ্যগুলোকে গুরুত্ব না দিলে অর্থনীতি ভেঙে পড়বে এবং ফল হিসেবে বেকারত্ব বাড়বে, আয় কমে যাবে, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।'তিনি বলেন, 'সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিকে বাঁচাতে দুর্নীতি ও অর্থপাচার রোধ করতে হবে।'
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ ডিসেম্বর ২০২২
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগে ভর্তি হয়ে এখন পর্যন্ত তৃতীয় বর্ষের গণ্ডি পার হতে পারেননি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও ঢাবির সিনেট সদস্য তিলোত্তমা শিকদার।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থীরাই ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের প্রথম ব্যাচ। এক বছরের সেশনজটসহ এই ব্যাচের নিয়মিত অনার্স শেষ হয় ২০১৮ সালে। তিলোত্তমা শিকদার সেই ব্যাচের সাথে সর্বশেষ ২০১৬ সালে তৃতীয় বর্ষের পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু পঞ্চম সেমিস্টারের রেজাল্ট শিটে তার নাম না আসায় তিনি ষষ্ঠ সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি।এই বিষয়ে বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতি ইয়ারের দুই সেমিস্টারের কোনো কোর্সে ফেল গিয়েও যদি কারো গড় সিজিপিএ ২.২৫ এর উপরে হয় তাহলে সে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারবে। আর যেগুলোতে সে ফেল করেছে পরবর্তী দুইটি ব্যাচের সাথে সেই কোর্সগুলোর ইম্প্রুভমেন্ট দিতে পারবে। আর যদি দুইটা ব্যাচ ওভার করে ফেলে তাহলে তাকে স্পেশাল পারমিশন নিয়ে সেই কোর্সের পরীক্ষা দিতে হবে। তিনি বলেন, তার (তিলোত্তমা) প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের গড় সিজিপিএ ২.২৫ এর উপরে না আসায় তার নাম রেজাল্ট শিটে আসেনি। আর তার প্রথম সেমিস্টারের একটি, দ্বিতীয় সেমিস্টারের দুইটি আর চতুর্থ সেমিস্টারে একটি কোর্সে ফেল আছে। সুতরাং গড় সিজিপিএ ২.২৫ এর উপরে না আসার এটাও একটা কারণ হতে পারে। এখন তিনি যদি চতুর্থ বর্ষে উত্তীর্ণ হতে চায় তাহলে তাকে আগের বাকি থাকা চার কোর্সের মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে হবে। এসব পরীক্ষা দিয়ে সেসব পরীক্ষার রেজাল্ট মিলিয়ে যদি তার সিজিপিএ ২.২৫ এর উপরে হয় তাহলে তিনি চতুর্থ বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারবেন। আট সেমিস্টারের সব কোর্সের মধ্যে যদি একটা কোর্সেও কোনো শিক্ষার্থী ফেল করেন। সেই কোর্সে পাস না করা অবদি কেউ অনার্স পাস করতে পারবে না।এর মধ্যে তিলোত্তমা শিকদার ২০১৯ সালে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে সদস্য পদে ডাকসু নির্বাচন করে নির্বাচিত হন। এরপর জুন মাসে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে ভিসি অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামান তাকে সিনেট সদস্য পদে মনোনয়ন দেন। এই সময়ে অনুষ্ঠিত সিনেটের বিভিন্ন অধিবেশনে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।এ বিষয়ে তিলোত্তমা শিকদার বলেন, রোল না আসায় আমি থার্ড ইয়ারের চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে পারিনি। রোল না আসার কারণ হলো, আমার সিজিপিএ ২.২৫ এর উপরে ছিল না। আমি সে সময় কয়েকটি কোর্সে ফেল করেছিলাম। তবে এখন আমিসহ একই সেশনের আরো কয়েকটি বিভাগের মোট ছয়জন পরীক্ষা দেয়ার স্পেশাল অনুমোদন পেয়েছি।এ ব্যাপারে বিভাগের ওই কর্মকর্তা বলেন, তার আবেদন ইম্প্রুভ হয়েছে। এখন তার এই পরীক্ষাগুলো কবে নেয়া হবে সেটি বিভাগের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে এটা ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তিলোত্তমা বলেন, আসলে ব্যাপারটা হলো দীর্ঘ দিন ধরে আমি রাজনীতি করছি। ২০১৩ সালে হলের সেক্রেটারি হওয়ার পর থেকে নিজের জন্যে একটা দিনও ব্যায় করিনি। সামনে সম্মেলন চলে আসছে। তাই এখন আমার ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করার উদ্দেশ্যেই অনেকে এগুলো করছে। আরো তো অনেকেই এমন আছে, তাদের নিয়ে তো কেউ কিছু বলছে না। আমাকে মানসিক চাপে রেখে, চরিত্র হননের উদ্দেশ্য ছাড়া আর এটা কিছু না।সুত্রঃ নয়া দিগন্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ ডিসেম্বর ২০২২
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির মেয়াদ এক বছর। কিন্তু সেই কমিটি চলেছে চার বছরের বেশি সময় ধরে। তবে কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়েছে মেয়াদ শেষের দুই মাস আগে। আর হল কমিটি হয়েছে মেয়াদ শেষ হওয়ার আড়াই বছর পর। সেই কমিটিতে স্থান পেয়েছে চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত, ছাত্র নির্যাতনকারী, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের দায়ে বহিষ্কৃত এবং মাদকসেবীরা। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কমিটির মেয়াদকালে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলা, হলে শিক্ষার্থী নির্যাতন এবং ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।২০১৮ সালের জুলাই মাসে দায়িত্বে আসা সনজিত-সাদ্দাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এক বছরের মধ্যে করলেও হল সম্মেলন করেন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। দীর্ঘ এই সময়ে ঝরে যায় অসংখ্য নেতাকর্মী। তবে হল কমিটি হওয়ার প্রায় ৮ মাস পর হয় হলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এসব কমিটিতে প্রায় অর্ধশত বিতর্কিতদেরকে পদায়ন হয়েছে।২০১৭ সালে ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থী এহসান রফিক নির্যাতনে বহিষ্কৃত আহসান উল্লাহকে সিনিয়র সহসভাপতি, ফারদিন আহমেদ মুগ্ধকে ৩ নম্বর সহসভাপতি, সামিউল ইসলাম সামিকে ৪ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং রুহুল আমিন বেপারিকে ৫ নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। বিজয় একাত্তর হলে সহ-সভাপতি পদ পেয়েছেন আয়ান হোসেন জজ। যার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে ছিনতাই মামলা রয়েছে। ছিনতাই মামলার আসামি তুষার হোসেন পান সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদ।২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন শেখ মারুফ হোসেন সুজন। সূর্যসেন হলের ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাকে দেওয়া হয়েছে সহ-সভাপতির পদ। একই হল থেকে সহসভাপতির পদ পেয়েছেন মাহমুদ অর্পণ; যার বিরুদ্ধে নারী ও ছেলে শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার হন তিনি। এমন প্রায় অর্ধশত ব্যক্তিকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদ দেওয়া হয়েছে।জানা যায়, হল কমিটি গঠনের ৮ মাস পর পূর্ণাঙ্গ করা হলেও সেখানে পেয়েছে এলাকার প্রাধান্য। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ কয়েকজন নেতৃত্ব যুগান্তরকে জানান, হল কমিটি গঠনের সময় কেন্দ্রীয় দুই শীর্ষ নেতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শীর্ষ নেতার অনুসারীরাই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করেন। এদের মধ্যে একমাত্র সনজিত ছাড়া অন্য তিন নেতা বিভিন্ন অঞ্চলের সক্রিয়দেরকে দায়িত্ব প্রদান করেন। একমাত্র সনজিত চন্দ্র দাস ১৮ হলের ৮ জনকে ময়মনসিংহ থেকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এছাড়া অধিকাংশ হলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে ময়মনসিংহের শিক্ষার্থীদেরকে পদায়ন করার জন্য সনজিত চন্দ্র দাস কমিটি আটকে রাখেন।বিভিন্ন হল সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি হলে ময়মনসিংহের বড় একটা অংশের শিক্ষার্থীকে কমিটিতে পদায়ন করা হয়েছে। তাদেরকে হল কমিটিতে না রাখলে সনজিত চন্দ্র দাস কমিটির অনুমোদন দিতেন না। সূত্র জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স কমিটির সময় হলগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হতো। তবে সনজিত-সাদ্দামের ৪ বছরের কমিটিতে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। স্টুডেন্ট এগেইনেস্ট টর্চারের হিসাবমতে, গত চার বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করেছে। গত এক বছরে এ ঘটনা সবচেয়ে বেশি। অধিকাংশ নির্যাতনকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী।বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর ও ছাত্রলীগ নেতাদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, সনজিত-সাদ্দামের সময়ে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে হামলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পহেলা বৈশাখী কনসার্ট, কনসার্ট ফর অয়ন, কাওয়ালিসহ বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে টিএসসিতে কাওয়ালি গানের আসরে হামলা হয়। এর আগে গত বছরের মার্চ মাসে শহিদ মিনারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা বিদেশি অতিথিদের আগমনকে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠানে ঢাবি ও মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অনুষ্ঠানের সাউন্ড সিস্টেম ভাঙা হয়। ওই হামলার জন্যও অভিযোগের তির সাদ্দাম ও তার অনুসারীদের দিকে। অন্যদিকে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তুচ্ছ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকে সনজিত চন্দ্র দাসের উপস্থিতিতে মারধর করা হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভবনের ভেতরে হামলার শিকার হন তৎকালীন ভিপি নুরুল হক নূর ও তার অনুসারীরা। এ ঘটনায় সনজিত চন্দ্র দাস ও সাদ্দাম হোসাইনসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসাইন। এছাড়া বিগত কয়েক দিনে একের পর এক ইনস্টিটিউট, অনুষদের কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সম্মেলনের মাধ্যমে এসব কমিটির বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা করা হয়নি।এদিকে দায়িত্ব পালনকালে সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে সনজিত চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে। চার বছরের বড় একটা সময় অসুস্থতাসহ নানা কারণ দেখিয়ে বাড়িতে কাটিয়েছেন তিনি।জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস যুগান্তরকে বলেন, মানুষ তো অসুস্থ থাকতেই পারে। এতে আমার কোনো হাত নেই। তবে আমি সব সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলাম। মূলত আমরা যারা মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অপপ্রচার থাকবেই।কমিটিতে বিতর্কিতদের পদায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, করোনার কারণে আমাদের কমিটি করতে একটু সময় নিতে হয়েছে এটা সত্য কথা। তবে আমাদের কমিটিতে কোনো বিতর্কিতদের পদায়ন করা হয়নি। যেসব জায়গায় আমাদের সমস্যা মনে হয়েছে সেখানে আমরা গোয়েন্দা সাহায্য নিয়ে তথ্য যাচাই-বাছাই করেছি।ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলা করার বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বলেন, শিক্ষার্থীদের চাহিদা মেটানো এবং তাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করার জন্য কাজ করছি। সে কারণে বিভিন্ন সময় মৌলবাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছে। ওদের বিরুদ্ধে ছাত্রীলীগের নেতা-কর্মীরা কখনোই পিছপা হননি।শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রকৃতভাবে যারা হলগুলোতে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন তাদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হৃদয়ের বন্ধন রয়েছে। যাদের রাজনৈতিক দুর্বলতা রয়েছে এবং মৌলবাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তারা তা লুকাতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করেন। সূত্র- যুগান্তর
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ ডিসেম্বর ২০২২
বিএনপি সমাবেশকে ঘিরে আন্দোলনের নামে যদি সহিংসতার উপাদান যুক্ত করে তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দিবে। পার্টি অফিসে সমাবেশ করার জন্য বিএনপির এতো দৃঢ়তা কেন? এখানে তাদের কি কোন বধ উদ্দেশ্য আছে? কোন মতলবে কি তারা এটা চায়?আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে বিএনপির উদ্দেশে একথা বলেন।বিএনপি কেন তাদের সমাবেশকে ঘিরে ১০ ডিসেম্বর বেছে নিয়েছে তাদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি কি জানে না বাংলাদেশের ইতিহাস? ১৯৭১ সালে ১০ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা নীল নকশা বাস্তবায়নে প্রক্রিয়া শুরু হয়।১০ ডিসেম্বর সিরাজ উদ্দিন হোসেন এবং সাংবাদিক সৈয়দ নাজমুল হক - এই দুই জনকে পাক-হানাদার বাহিনী দেশের আলবদর বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে যায় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বুদ্ধিজীবি হত্যার মতো নৃশংসতম ঘটনা বাংলাদেশে সংগঠিত হয়। জ্ঞান, গরিমা যাদেরকে ঘিরে সেই সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, সাংবাদিক, চিকিৎসকদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয় স্মরণ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য কেন বিএনপি বেছে নিলো এটাই প্রশ্ন? সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন বিএনপি যেতে চায় না, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাক-হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে, সেই ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ ভাষণ বিএনপির পছন্দ নাও হতে পারে - যদিও জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে সর্বকালের সেরা ভাষণ হিসেবে।সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক স্থান,যেখানে স্বধীনতা,মুক্তিযুদ্ধ,১৬ ডিসেম্বর যারা বিশ্বাস করে, সেখানে পাক-হানাদার মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন - সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন বিএনপির অপছন্দ তা জানতে চেয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক উদ্যান। বিশাল জায়গা এখানে,আওয়ামী লীগ সব সমাবেশ, জাতীয় সম্মেলন করে এখানে। তাহলে বিএনপি কেন তাদের পার্টি অফিসের সামনে ছোট এলাকায়, যেখানে ৩৫ হাজার স্কোয়ারের ফিটের মতো একটা ছোট জায়গায় তাদের সমাবেশের বেছে নিলো প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের।আওয়ামী লীগ সতর্ক পাহারায় থাকবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ ডিসেম্বর ২০২২
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন,২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার গঠন করে সারা দেশে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্ত শুরু করে। খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ মদদে সারা দেশে ছাত্রলীগ যুবলীগের অসংখ্য দক্ষ নেতাকর্মীকে বেছে বেছে হত্যা করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। গতকাল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-পাঠাগার সম্পাদক ও ওমরগণি এম.ই.এস. বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মহিম উদ্দিন মহিমের ১৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিমের সভাপতিত্বে ওমরগণি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন আবুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। শিক্ষা উপ-মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন ধরনের সরকারবিরোধী কার্যকলাপের সাথে জড়িত। তারা এদেশে অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসগুলোতে ধর্ণা দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচারে জড়িত। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা গোষ্ঠী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের লিপ্ত রয়েছে। এসকল চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতাকর্মীদের সজাগ ও সচেতন থেকে রাজপথে দাঁত ভাঙা জবাব দিতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ নভেম্বর ২০২২
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে ও বোমাবাজি করে দেশ চালোনো যায় না। বিএনপির উদ্দেশ্য হাসিল করতে দেবে না যুবলীগের নেতাকর্মীরা। তাই আমি আমাদের নেতাদের নির্দেশ দিচ্ছি আপনারা রাজপথে থাকবেন। আপনাদের সাথে নিয়েই এই সন্ত্রাসীদের আমরা শায়েস্তা করব। তিনি আরও বলেন, বিএনপির কোনো নেতার রাষ্ট্র পরিচালনা করার কোনো যোগ্যতা নেই। না আছে খালেদা জিয়ার, না আছে তার গুণধর পুত্র তারেকের। দক্ষতা নেই বলে আজ তারা এ দেশকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এ দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে, হয়তো তাদের বিদেশি প্রভুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে। কিন্তু কোনো বিদেশি প্রভুর নির্দেশনায় বা হস্তক্ষেপে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না। সরকারও পরিবর্তন হবে না। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে বিভাগীয় সমাবেশের আয়োজন করে যুবলীগ।পরশ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজ অতুলনীয় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, এমন কোনো গোত্রের মানুষ নাই যেখানে তার সেবার সুফল পৌঁছায়নি। আজ পদ্মা সেতুর পর চট্টগ্রামবাসীর স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল দৃশ্যমান এবং চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষমান। এই টানেল দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে। দেশের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করবে। টানেল নির্মাণ শেষ হলে চট্টগ্রাম শহর চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ এর মডেলে গড়ে তোলা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ নভেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেছেন, বিএনপির যদি প্রকাশ্যে কথা বলতে হয় তাহলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কথা বলতে পারে। নয়াপল্টন ছোট জায়গা। সেখানে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলা মানেই তাদের মধ্যে দুরভিসন্ধি আছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আশঙ্কা করছি।মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ঢাকা পোস্টের এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।আহমদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার হচ্ছে গণতান্ত্রিক সরকার। জনগণের নির্বাচিত সরকার এবং নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। এখানে গণতন্ত্র অক্ষুণ্ন আছে। যেকোনো রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করবে, কারণ দেশে সবার বাক স্বাধীনতা আছে। সেক্ষেত্রে বিএনপিও স্বাধীনভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকার রাখে। সেই অধিকারকে সরকার সংরক্ষণ করে। এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তারা (বিএনপি) যদি শান্তিভঙের কারণ হয়, অশান্তি সৃষ্টি করে, জনজীবনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাহলে আইনগতভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ওপর সাংবিধানিক দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবে।তিনি বলেন, আমরা কারো সঙ্গে গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে চাই না। রাজনৈতিকভাবে পাল্টা কোনো কর্মসূচি আমাদের নেই, আমরা দেবও না। আমরা আশা করি বিএনপি তার উগ্রবাদ, মতলবাজ সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসবে। বিএনপি সন্ত্রাসের পথে না গিয়ে, জনজীবন বিশৃঙ্খল সৃষ্টি না করে, শান্তির পথে আসবে।আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির চিপাগলি, ফুটপাত, রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথার বলার মধ্যে কোনো মতলব থাকতে পারে। যা জনগণের জানমালের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সমস্যার কারণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব তারা সক্রিয়ভাবে পালন করবে এবং তারা সর্তক থাকবে। আমরা কোনো পাল্টা কর্মসূচি দিতে চাই না। তারা যদি মনে করে যে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে না করে গায়ের জোরে যেখানে ইচ্ছা সেখানে মিটিং করবে, সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। সাংবিধানিক সরকার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে কোনো দ্বিধা করবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ নভেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না, মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে, শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী হতে হবে।মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) নোয়াখালী শহর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার রাজধানীর বাসভবন থেকে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।তিনি বলেন, শেখ হাসিনা শাসক নন, তিনি জনগণের সেবক। মির্জা ফখরুল সাহেবদের অপপ্রচারের বিপরীতে আমরা গঠনমূলক সত্য প্রকাশ করব এবং কাজ দিয়ে প্রমাণ করব।আন্দোলনের মাধ্যমে নির্যাতনের জবাব দেওয়া হবে— মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন রেখে বলেন, নির্যাতন কাকে বলে, বিএনপি কত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে? ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড।আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে বিএনপি হত্যা করেছে— উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন বিএনপি নেতারা ঘরে আছে অথচ আমরা তাদের শাসনামলের পাঁচ বছরে পাঁচ দিনও ঘরে থাকতে পারিনি।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আন্দোলন করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে।বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করুক কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আগুন নিয়ে খেললে, সহিংসতা করতে এলে আমরা সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুত। জনগণের জানমাল রক্ষায় তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন, সহিদ উল্লাহ খান সোহেল এবং সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ নভেম্বর ২০২২
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। গতকাল সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের বাসায় নৈশভোজের আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন পিটার হাসসহ মার্কিন দূতাবাসের কয়েকজন কর্মকর্তা। সেখানেই বৈঠকটি হয়।এ সময় শাম্মী আহমেদ ছাড়াও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাথিউ বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।শাম্মী আহমেদ আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, পিটার হাস নৈশভোজে যোগ দিতে এসেছিলেন। এ সময় কিছু সাধারণ বিষয়ে যেসব আলোচনা হয়, তা–ই হয়েছে।বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের বাসায় নৈশভোজের দাওয়াত ছিল এটি। কোনো দাওয়াতে গেলে যেসব কথাবার্তা হয়, তা–ই হয়েছে। এর বেশি কিছু নয়।’মাহবুব উল আলম হানিফ জানান, বৈঠকে পিটার হাসের সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করা, ব্যবসা–বাণিজ্য প্রসারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ হয়। বৈঠকের পর তাঁরা একসঙ্গে রাতের খাবার খান।হানিফ বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের ইপিজেডে মার্কিন বিনিয়োগের বিষয়ে কথা বলেছি। রাষ্ট্রদূত এসব বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। আমরা সব বিষয়ে সহযোগিতার কথা জানিয়েছি।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ নভেম্বর ২০২২