দেশবাসীকে বিএনপির-জামায়াতের মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, যতদিন শেখ হাসিনা আছেন ততদিন বাংলাদেশের মানুষের কোনো চিন্তার কারণ নেই।তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলেই বিএনপির গা জ্বালা শুরু হয়ে যায় কারণ তাদের প্রভু দেশ পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার পথে তাই বাংলাদেশকে নিয়ে গুজব অপপ্রচার মিথ্যার করছে বিএনপি। তিনি বলেন, রাশিয়ার ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি এটা নিয়েও মিথ্যাচার করছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশের কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি, দেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল। তাই তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি চায় না।বিএনপির দুর্নীতিবাজ দল সেটা বার বার প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি মিথ্যাবাদী দল তারা মিথ্যা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লজ্জা হওয়া উচিত কারণ আপনি মিথ্যাবাদী দুর্নীতিবাজ দলের মহাসচিব। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী দলকে সন্ত্রাসী বললে তাদের গা জ্বালা করে। এই বিএনপি শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করেছিলো এবং হামলা চালিয়েছিল কিন্তু আল্লাহ রক্ষা করেছেন।দেশের রিজার্ভ তলানিতে এসে ঠেকেছে বিএনপির নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির আমলে রিজার্ভ ছিলো ৫ বিলিয়ন ডলার আর এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ আছে। তারপরও বিএনপি এটা নিয়ে মিথ্যাচার করছে।আওয়ামী লীগের কোনো নেতার বিরুদ্ধে কটুক্তি, চরিত্র হরণ, অপপ্রচার করলে বিএনপি জামায়াতকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ কামাল, মহিউদ্দিন মহি সহ সহস্রাধিক নেতৃবৃন্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুলাই ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, শুধু মাত্র এক তারেক রহমানের জিভ আমরা কেটে নেব না, যারা জাতির পিতা ও জাতির পিতার কন্যাকে নিয়ে অন্যায় ভাষায় কথা বলবে, কটুক্তি করবে, অসম্মান করবে তাদের সকলের জিভ আমরা কেটে নিবো। তাদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না এবং কোন সন্ত্রাসীকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ আমরা দেবনা। তিনি বলেন, বিএনপি জানেনা কিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান করতে হয়। তাদের সে শিক্ষা নাই। কিভাবে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের পাশে দাড়াতে হয় তাদের সে শিক্ষা নেই। দেশের মানুষ জানে তাদের দলের লোকজনের মধ্যে মানবিক কোন গুন নেই। একটি দল পরিচালনা করতে যে গুনাগুন প্রয়োজন সেটাও তাদের নেতাদের নেই।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফীর বিএনপি কর্তৃক কুশপুত্তলিকা দাহ ও কুটক্তি করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ( ১৯ জুলাই) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ তিনি এ কথা বলেন।বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যাকে নিয়ে বিএনপি খারাপ মন্তব্য করেছে তিনি বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান মহান মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফী। তিনি একদিনে গড়ে উঠেননি, তিলে তিলে গড়ে উঠেছেন। তিনি হাওয়া ভবন থেকে হাওয়ার মধ্যে দিয়ে তৈরি হননি।তিনি বলেন, হাওয়া ভবনে বসে যিনি চাঁদা খাওয়া জন্য বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে কুখ্যাত হয়েছেন সেই সন্ত্রাসী দেশের বাহিরে বসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে চায়।এ কারনে তারা পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া বিবাদ করার কর্মকাণ্ড করছে। তাদের একটাই লক্ষ্য দেশকে অস্থিতিশীল করা। দেশের মানুষ আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে কোন দূর্যোগ মোকাবিলা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর তখন তারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। তারা শেখ হাসিনাকে উৎখাত ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তারা জাতির পিতার খুনিদের পক্ষ নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি এটা নিয়েও মিথ্যাচার করছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশের কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি, দেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল। তাই তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি চায় না। বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলেই তাদের গা জ্বালা শুরু হয়ে যায় কারণ বিএনপির প্রভু দেশ পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার পথে তাই বাংলাদেশকে নিয়ে গুজব অপপ্রচার মিথ্যার করছে বিএনপি। যতদিন শেখ হাসিনা আছে ততদিন বাংলাদেশের মানুষের কোনো চিন্তার কারণ নেই। বিএনপির জামায়াতের মিথ্যাচারে দেশের মানুষ বিভ্রান্ত হবে না।দেশের রিজার্ভ তলানিতে এসে ঠেকেছে বিএনপির নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির আমলে রিজার্ভ ছিলো ৫ বিলিয়ন ডলার আর এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ আছে। তারপরও বিএনপি এটা নিয়ে মিথ্যাচার করছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুলাই ২০২২
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন খাতের সমস্যাই সরকারের পতন ত্বরান্বিত করবে । শুরু হয়ে গেছে আসল খেলা। তিনি বলেন, ‘আমি না, অর্থনীতিবিদেরা বলছেন প্রতিটি ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। জনগণ ফুঁসে উঠছে, ফুঁসে উঠবে এবং সমস্যাই তাদের পতন ত্বরান্বিত করবে।’আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।বিদ্যুৎ সমস্যার জন্য সরকারের দুর্নীতি দায়ী—এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এ সমস্যা যে সৃষ্টি হবে, তা আমরা বহু আগেই। দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। একটা জায়গা না, সব জায়গাতেই তাদের লক্ষ্য হচ্ছে দুর্নীতি করা। এই দুর্নীতি পয়েন্ট অব নো রিটার্নে চলে গেছে। একইভাবে শ্রীলঙ্কায় যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’মির্জা ফখরুল বলেন, এরা এভাবে টাকা চুরি করেছে। এক দিন তাদের হিসাব দিতেই হবে। এই হিসাব না দিয়ে তারা যেতে পারবে না। তাদের জনগণের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে এবং বিচার হবে।তিনি আরও বলেন, পত্রিকায় দেখেছি ১৭৬০ কোটি টাকা বছরে তাদের জন্য গুনতে হবে। এতে প্রমাণিত শুধুমাত্র দুর্নীতি করার জন্য, বিশেষ কোম্পানিকে অর্থ বানানোর সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, এতে নিজে উপকৃত হওয়ার কারণে এই কাজটা করেছে সরকার।বিএনপির এ নেতা বলেন, এমন কোনো পরিকল্পনা, এমন কোনো প্রজেক্ট হাতে নেওয়া উচিত নয় যেটা আমরা চালাতে পারব না। সে ধরনের জুতা কেনা উচিত যেটা আমরা পরতে পারব। পায়ের মাপের বাইরে জুতা কিনলে তা পরা সম্ভব হবে না। আজ তাই ঘটছে। এটার মূল্য দিতে হচ্ছে জনগণকে। আমরা অবিলম্বে এই দুর্নীতির কারণে সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এখন হাস্যকর ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশন তারা মনে করে যে, দেশের সব মানুষ আহাম্মক। গত ১০ বছর ধরে প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগের অধীনে, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এ কথা শামসুল হুদা (সাবেক সিইসি) বলেছেন। শেষ মুহূর্তে একেএম নুরুল হুদা তার চাকরি যাওয়ার পরে এই কথা বলেছেন। আর বর্তমান সিইসি এখনই বলে দিচ্ছেন, যে এটা সম্ভব নয়, ইটস নট পসিবল। গতকাল তিনি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুলাই ২০২২
লোডশেডিং এর কারণে সরকারের পতন হবে,- বিএনপি নেতাদের এমন রঙিন খোয়াব অচীরেই দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।তিনি আজ সকালে তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে এ মন্তব্য করেন। বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি নেতাদের কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি কোন মুখে বড় কথা বলে? তাদের কি বিন্দুমাত্র লাজ-শরম নেই? যারা দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিলো, দিনের পর দিন যাদের শাসনামলে দিনের অর্ধেক সময় লোডশেডিং চলতো,শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো, তারা আজ বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলে-বিএনপি নেতাদের স্মরণ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন জনগণ বিদ্যুৎ সংযোগহীন খাম্বা দুর্নীতির কথা এখনো ভুলে যায়নি। ভুলে যায়নি বিদ্যুৎ এর দাবিতে মিছিলে গুলির কথা, হারিকেন-কুপি নিয়ে বিক্ষোভ এবং বিদ্যুৎ ভবব ঘেরাও করার কথা।তিনি বলেন বিএনপি আমলে জনগণ বিদ্যুৎ পায়নি, পেয়েছিলো খাম্বা।করোনার কারণে সারা পৃথিবীর অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যাহত হয়েছে, বাংলাদেশেও করোনার করাল গ্রাসের সঙ্গে সংগ্রাম করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে নিজেদের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন সাম্প্রতিকালে রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর আন্তর্জাতিক পরিণতি বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আবারও কিছুটা হুমকির মুখে ফেলেছে। ওবায়দুল কাদের জানান যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি মার্কেট চরম অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে, - এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি যাতে বড় কোন ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে লক্ষ্যে সরকারকে আগেভাগেই কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।জাপানের মত উন্নত ও অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ দেশও তাদের সাড়ে তিন কোটির বেশি মানুষকে নিয়মিত বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে পারছে না, একই অবস্থা অস্ট্রেলিয়ারও এমনটা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন তাই সবাইকে এই সংকটকালীন সময়ে রেশনিং করতে হচ্ছে। তিনি বলেন যুক্তরাজ্যে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, উন্নত রাষ্ট্র আমেরিকাতেও এসএমএস এর মাধ্যমে জনগণকে এনার্জির ব্যবহার লিমিট করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১৩০০-১৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন,সেখানে শিল্প ও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে সম্ভব হবে বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানকে চাঙা রাখার লক্ষ্যে সরকার শিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন বিশ্বব্যাপী পরিবর্তিত সংকটময় পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় সরকার ও জনগণের সাধ্যের মধ্যে রাখার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে এবং রেশনিং এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে সরকার কর্তৃক গৃহীত এবং গৃহীতব্য ব্যবস্থার সঙ্গে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সাময়িক এ অসুবিধায় ধৈর্য ধরার এবং সহযোগিতা করার জন্য দেশবাসীকে আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দেন তাঁর উপর অতীতে যেমন আস্থা রেখেছেন, এখনও রাখুন।ওবায়দুল কাদের কারো কথায় কান না দেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অল্প সময়ের মধ্যেই এ সংকট থেকে উত্তরণ হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুলাই ২০২২
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের সকল অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কঠোর অবস্থানের বার্তা দিতে আগামীকাল ২০ জুলাই বুধবার সকালে নড়াইল যাচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে থাকছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ। ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টকে কেন্দ্র করে গত ১৫ জুলাই শুক্রবার নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় দীঘলিয়া সাহা পাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি, দোকান ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই নড়াইলে ফেসবুকে এক কলেজ ছাত্রের পোস্টকে কেন্দ্র করে কলেজটির অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনা ঘটে।নড়াইলে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করা কঠোর অপরাধ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপরাধে যেই অপরাধী হোক তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। নড়াইলে নিরপরাধ মানুষের উপর সংঘবদ্ধভাবে হামলা, দোকানপাট লুট, ভাঙচুর, উপাসনালয়ে হামলা করা হলো। যারা ক্ষতিগ্রস্ত তারা তো কোনো অপরাধ করেনি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সুস্পষ্ট কঠোর অবস্থান। বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সকল ধর্ম ও মতের লোকজন এদেশে শান্তিতে বসবাস করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রত্যয়ে আমরা সেখানে যাচ্ছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে জনগণের নিকট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নড়াইলের এই ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের চেতন বিরোধী, বাংলাদেশ বিরোধী। যারা সম্পৃক্ত তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচার করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুলাই ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণের ভোটে নয়,বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে চায় বিএনপি।আজ সকালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ - বিআরটিএ'র প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কিত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কোন ক্ষমতা নেই, - বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ ধরনের বক্তব্য দেশের গণতন্ত্র, সকল সংসদ সদস্য এবং সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি নির্মম উপহাস ছাড়া আর কিছুই নয়।তিনি বলেন আসলে দেশের সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি বিএনপির কোন বিশ্বাস নেই।বর্তমান সরকার যদি পরিবর্তন না হয় এবং নিরপেক্ষ সরকার যদি না আসে তাহলে দেশে কোন নির্বাচন হবে না,- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিএনপি সরকার পরিবর্তন চায় অথচ নির্বাচনে আসেন না, সরকার পরিবর্তন চাইলে তো নির্বাচনে আসতে হবে। তিনি বলেন নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে বিএনপি নেতাদের বারবার কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন জনগণ বিএনপির তথাকথিত নিরপেক্ষ নির্বাচন আগেই দেখেছে। বিএনপি নেতাদের কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সবক মানায় না, তাদের নেত্রী এক সময়ে বলেছিলেন শিশু ও পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়,- কাজেই বিএনপি নেতাদের নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা দ্বিচারিতার যে রাজনীতি তা আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি উচ্চ আদালত কর্তৃক মীমাসিংত ইস্যু, এনিয়ে নতুন করে আলোচনার কোন সুযোগ নেই। শেখ হাসিনা থাকলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, ওবায়দুল কাদের আবারও বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন শেখ হাসিনা নির্বাচনে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ হোক এটা চান না।সরকার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মত কমিশনকে একটা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা দিয়ে যাবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন সরকার ক্ষমতায় থাকলেও নির্বাচন সংক্রান্ত সবকিছু নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে।।ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপির কাছে নিরপেক্ষতা হলো নির্বাচন কমিশন তখনই নিরপেক্ষ যখন বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হবার শতভাগ গ্যারান্টি পাবে।তিনি বলেন এ নিশ্চয়তা নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে দিতে পারে না।নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ হতে হলে বিএনপির ভাষায় তাদেরকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার গ্যারান্টি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিআরটিএ'র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরি ও বিআরটিএ'র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।মতবিনিময় সভায় যানজট ও দুর্ঘটনা রোধে শতভাগ মনযোগ দিয়ে কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জুলাই ২০২২
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বক্তব্য সকালে এক বিকেলে আরেক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র যেসব দেশে আছে সেখানে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও একইভাবে নির্বাচন হয়। ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইউকে এবং ইউরোপের দেশগুলোতেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংসদীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। সেসব দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় অর্থাৎ যে সরকার দেশ পরিচালনা করে আসছিল তারাই নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও তাই হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্লোগান দিয়ে, স্বপ্ন দেখে কোনো লাভ হবে না ওই সময় সিইসির বক্তব্যের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিইসি সকালে এক কথা বলে, বিকেলে এক কথা বলে। একটি বক্তব্য দেওয়ার পরে আবার পরে সেটি তিনি (সিইসি) প্রত্যাহার করেন। সুতরাং এ নিয়ে আমি ব্যাখ্যা দিতে পারব না, উনি ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জুলাই ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতার দরকার নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দরকার। এই দেশকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছানোর জন্য শেখ হাসিনাকে দরকার আছে।শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবরণ দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেনা সমর্থিত তৎকালীন ১/১১ সরকারের সব অন্যায়, অবিচার এবং দুর্নীতির একমাত্র আপসহীন প্রতিবন্ধক ছিলেন বলেই তাকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেদিন প্রকৃতপক্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে শুধু একজন ব্যক্তি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল। গণতন্ত্রের পায়ে সেদিন শেকল পড়ানো হয়েছিল।তথ্যমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে অন্যায় কাজগুলো করছিল, দুর্নীতির সঙ্গেও তাদের অনেকেই যুক্ত হয়ে গিয়েছিল। এই অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে তখন একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনাই কথা বলেছেন। বিএনপি ও তাদের নেতারা সেভাবে প্রতিবাদ করেনি।তিনি বলেন, তখন আমাদের দলের অনেক বড় নেতা বেসুরে কথা বলেছেন, কিন্তু তৃণমূলে দলীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিল। যারা বেসুরে কথা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন তারা অনেকে ভয়ে দলীয় প্রোগ্রামেও যেতেন না, কেউ কেউ গেলেও অপদস্থ হয়েছেন। নেত্রী গ্রেপ্তার হবে আমরা বুঝতে পেরেছিলাম। নেত্রীও জানতেন, তিনি প্রস্তুত ছিলেন, আমি নিজেও ঘরে থাকতাম না। রাতে জায়গা বদল করে করে থাকতাম। নেত্রীকে গ্রেপ্তারের সময় সুধাসদনে সবকিছু তছনছ করা হয়েছিল। ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছিল।তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা গ্রেপ্তার হওয়ার পর মতিয়া চৌধুরীর মাধ্যমে দলের সভাপতির দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ওপর। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর নেত্রীর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গুলশানে তার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেদিন জিল্লুর চাচার সঙ্গে আমার প্রথম বাক্য বিনিময় ছিল ‘নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এখন দলটা ভাঙার চেষ্টা করা হবে। দল যদি তারা ভাঙতে পারে তাহলে নেত্রীকে মুক্ত করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ জুলাই ২০২২
দেশের চলমান পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা এখন সারা রাত জেগে থাকেন বাংলাদেশের মানুষ যাতে ঘুমাতে পারে।তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত পরিস্থিতি তিনি সামাল দিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত করোনা, বন্যা অতিক্রম করে; এই যুদ্ধের ইমপ্যাক্ট সেটাও তিনি মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। শক্ত করে হাল ধরে আছেন। তাকে শক্তি দিতে হবে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে। শক্তি দিতে হবে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে।আজ শনিবার দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের দিনটি যখন আমাদের সামনে আসে তখনই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে ওয়ান-ইলাভেন নামে অমাবশ্যার অন্ধকার। বাংলাদেশে ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ রাজনীতিতে হঠাৎ করে বিরাজনীতিকরণের একটা ঝড় এলো। এই দিন শুধু শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস নয়, এই দিন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বন্দি দিবস। এ দিন শেখ হাসিনাকে বন্দি করে আমাদের বিকাশমান গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল।তিনি বলেন, অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করতেই বঙ্গবন্ধু হত্যার ৬ বছর পর তার সুকন্যা শেখ হাসিনা এসেছিলেন জন্মভূমিতে পিতার রক্ত ভেজা মাটিতে। তার প্রথম কাজ ছিল গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে সমস্ত শক্তিকে, গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা। শেখ হাসিনা পণ নিয়ে এসেছেন, পিছু হটেননি। ভয়কে জয় করতে এসেছেন, ভয় করেননি। প্রতি বিল্পবী শক্তির ভ্রুকুটির সামনে মাথানত করেননি।রাজনীতির অনেকেই জেলে গেছেন, আমাদের নেত্রী বন্দি হয়েছিলেন। ক্ষমতায় ছিল বিএনপি কিন্তু প্রথম বন্দি হন শেখ হাসিনা। তারা এসে বিরোধী দলকেই প্রথম বন্দি করে। সরকারি দলের নেতা তখনো বাইরে। এত অপমান করেছে তারা। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সামান্য শ্রদ্ধা তারা দেখাতে পারেনি, দেখায়নি—বলেন কাদের।নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, চলার পথে শত্রু-মিত্র চিনতে হবে। একটা কথা আছে—ওয়ানস বিট্রেয়ার, অলওয়েজ বিট্রেয়ার। আওয়ামী লীগের কর্মীদের হুঁশিয়ার থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কথায় কথায় অন্তঃকলহ করবেন না। খুব খারাপ সময়, খুব ঝুঁকিপূর্ণ সময়। এ সময় ঐক্যের বিকল্প নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন, কেউ কিছু করতে পারবে না।বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি বলে আমাদের পতনের নাকি সাইরেন বাজে; কোথা থেকে শুনলেন? রাস্তায় যখন গাড়ি চলে ওই সাইরেন শুনেছেন? শুনবেন, শুনতে পাবেন আপনাদের বিদায়ের ঘণ্টা যখন বাজবে। নেতিবাচক রাজনীতি আপনাদের অপ্রাসঙ্গিক করে ফেলেছে। আপনাদেরই বিদায়ের ঘণ্টা দূরে বাজছে, আওয়ামী লীগের বিদায় নয়। খেলা হবে, রাজনীতি-নির্বাচনের মাঠে খেলা হবে। খেলায় আসুন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ জুলাই ২০২২
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সক্রিয় থাকলেই আওয়ামী লীগ শক্তিশালী থাকবে।তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা সর্বদা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, তাদের কথা ভাবেন।কালকিনির নিজ বাসভবনে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ( ১২ জুলাই) মঙ্গলবার বিকেলে তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তাঁদের উদ্দেশে তিনি একথা বলেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাদারীপুর পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন, ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক কাজী মাহমুদুল হাসান দোদুল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদার, ডাসার উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক সাহাবউদ্দিন মিঠু, কালকিনি উপজেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব মো. ইকবাল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. ফরিদ সরদার, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আমিন মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন বেপারী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান বাকামিন খান, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম খলিলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জুলাই ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল। এমনকি স্বৈরাচার জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষায় প্রথমে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ এবং পরে তা আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথকে রুদ্ধ করেছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা দ্বিতীয় আর একটি নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তিত হবে। বুধবার দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে সরকার পতনের হুমকি দিয়ে কোনো লাভ নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তিত হবে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তার কোনো ব্যত্যয় ঘটাতে চাইলে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে দাঁত ভাঙা জবাব দেবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে মিথ্যাচারনির্ভর এবং বিভ্রান্তিমূলক দাবি করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বিবৃতিটি বিএনপির প্রতিদিনের চিরাচরিত ভাষায় দেওয়া মিথ্যাচারে ভরপুর অপরাজনীতির অংশ ছাড়া আর কিছু নয়। যশোর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেওয়া বিএনপি মহাসচিবের বিবৃতিতে যে বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তা সত্যের অপলাপ।তিনি বলেন, বিচারাধীন কোনো বিষয়ে মন্তব্য করা আইন সিদ্ধ নয়। কারও রাজনৈতিক পরিচয় কোনো হত্যাকারীর অপরাধকে আড়াল করতে পারে না। হত্যাকারী/অপরাধী যেই হোক তার বিচার হবেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও অপরাধীদের শাস্তি ভোগ সেটাই প্রমাণ করে। এমনকী সরকার দলীয় পদে থেকেও বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার কারণে অনেকেই আজ সাজাভোগ করছে।সহিংস রক্তপাতের মধ্য দিয়ে অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার- মির্জা ফখরুলের দেওয়া এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবে আইনের শাসনের প্রতি পরিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধাশীল এবং সাংবিধানিক বিধি-বিধান অনুযায়ী নির্বাচন ছাড়া আওয়ামী লীগ কখনও দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেনি। স্বাধীন বাংলাদেশে সাংবিধানিক পন্থায় স্বেচ্ছায় শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের একমাত্র নজির সৃষ্টি করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। কাদের বলেন, স্বৈরাচার জিয়ার উত্তরাধিকার বেগম খালেদা জিয়াও অনুরূপভাবে ১৯৯৬ সালে ও ২০০৬ সালে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে অগণিত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী হত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। বিএনপির শাসনামলে হত্যা, ক্যু, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। বিএনপি তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একুশে আগস্টের মতো ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল।বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাই এদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং স্বাভাবিক ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকার্য সম্পন্ন করেছেন। পক্ষান্তরে বিএনপি, স্বাধীন বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায়ন ও পুরস্কৃত করেছে, এমনকী দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকলেও তারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচারের কোনো প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি; এমনকী বিচারের দাবি পর্যন্তও করেনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জুলাই ২০২২
নির্বাচনকালীন সরকারের বাইরে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনায় যেতে রাজি নয় বিএনপি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আসন্ন সংলাপেও না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। ২০ জুলাই বিএনপির সঙ্গে সংলাপের তারিখ নির্ধারণ করেছে ইসি।জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে মতবিনিময়ের পরপরই এবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে উন্মুক্ত সংলাপে বসতে যাচ্ছে ইসি। এতে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। কোরবানির ঈদের পর ১৭ জুলাই সংলাপ শুরু হবে। ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে ইসির এ কার্যক্রম শেষ হবে।জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন। তারই ধারাবাহিকতায় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন এ কমিশনও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করছে। এর আগে শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট নাগরিক, সাবেক নির্বাচন কমিশনারসহ সাংবাদিকদের সঙ্গে কয়েক ধাপে সংলাপ করেছে।শুরু থেকেই নির্বাচনকেন্দ্রিক সব ধরনের সংলাপ বর্জন করে আসছে বিএনপি। ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আনুষ্ঠানিক সংলাপ বর্জনের মধ্য দিয়ে এর শুরু। এর পর ইভিএম নিয়ে ইসির মতবিনিময়েও যায়নি বিএনপি।রাষ্ট্রপতির সংলাপের সময় বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটি বলেছে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ প্রশাসনের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা ছাড়া শুধু নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংলাপকে কেবল সময়ের অপচয় বলে মনে করে বিএনপি। তাই তারা অর্থহীন কোনো সংলাপে অংশ নেবে না।এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘যখন এই নির্বাচন কমিশন তৈরি করা হয়, আমরা প্রথম থেকেই এর কিছুতেই সম্পৃক্ত নই। আমাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। এই সরকার পদত্যাগ করবে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে, সেই সরকারের অধীনে ছাড়া আমরা নির্বাচনে যাব না।’বিএনপির নীতিগত অবস্থান হচ্ছে, তারা আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকার বা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় যাবে না। আলোচনা হবে শুধু নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়—এটাই তাদের মূল দাবি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ জুলাই ২০২২
জনগণের মতপ্রকাশের সর্বোত্তম মাধ্যম হচ্ছে নির্বাচন, আর সেই নির্বাচনী ব্যবস্থাকে অধিকতর গণতান্ত্রিক ও আধুনিক করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ সকালে তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা জানিয়েছেন।আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা কতটুকু - নির্বাচন দিয়ে দেখতে বলেছন বিএনপি মহাসচিব, এই প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের তাঁর উদ্দেশে বলেন নির্বাচনে আসুন,যথাসময়ে নির্বাচন হবে সংবিধানসম্মত ভাবে।তিনি বলেন নির্বাচনেই প্রমাণ হবে - জনগণ কি ইতিবাচক রাজনীতির দিকে, নাকি নেতিবাচক রাজনীতির দিকে।বাংলাদেশের জনগণ কি উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিবে,নাকি লুটপাটের পক্ষে রায় দিবে, এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের "মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের" উদ্দেশে বলেন দেশে যে উন্নয়নের জোয়ার বইছে, মানুষ কি উন্নয়ন আর অর্জনকে ভোট দেবে - নাকি দুর্নীতিকে ভোট দেবে?সারাক্ষণ নির্বাচন আতঙ্কে ভুগতে থাকা বিএনপি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়েই আগে ভাগে তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একথা সেকথা বলছেন বলে মত প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হলে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ নাকি দৃশ্যমান হবে, - মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের নিরপেক্ষতার কথা প্রসঙ্গে বলেন আপনাদের দৃষ্টিতে নিরপেক্ষতার মানদন্ড কী? তার প্রমাণ আপনারা ক্ষমতাসীন হয়ে বারবার দেখিয়েছেন। বিএনপি নেত্রী এক সময় বলেছিলেন " দেশে শিশু আর পাগল ছাড়া কেউই নিরপেক্ষ নয়",দেশবাসী জানে যতক্ষণ বিএনপির ক্ষমতা দখলের পথ নিরাপদ না হবে,নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি না পাবে - ততদিন তাদের নিরপেক্ষতার মানদন্ড নিশ্চিত হবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন বিএনপি যে কোন উপায়ে নির্বাচনে জয়ের নিশ্চয়তা এবং পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারার মানসিকতাই এখন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রধান অন্তরায়। জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপির রাজনীতি ক্ষমতা দখলের রাজনীতি এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন ক্ষমতার প্রশ্নে তাদের কাছে স্বৈরতন্ত্র ও গণতন্ত্র সবই সমান।তিনি বলেন ষড়যন্ত্রের মন্ত্র ও ক্ষমতার তন্ত্রে বিভোর বিএনপির এ দেশের গণতন্ত্র, জনমত,নির্বাচন এবং রাজনীতির অর্থবহ ও কল্যাণকর কোন পন্থাতে আস্থা ছিলো না,এখনও নেই।আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত জনগণের মতামতের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শ্রদ্ধাশীল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস। তিনি বলেন এদেশে এ যাবৎ নির্বাচন ব্যবস্থা যতটুকু উন্নতি হয়েছে বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারই এ উন্নতি করেছেওবায়দুল কাদের বলেন গনতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করেনি শেখ হাসিনা সরকার বরং অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছে।দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি নেতারা রাতদিন সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছেন, মিডিয়ায় ঝড় তুলছেন, সংসদে আনুপাতিক হারের চেয়ে বেশি সময় পাচ্ছেন,বক্তব্য দিচ্ছেন পার্লামেন্টে, পার্লামেন্টের বাইরে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিএনপি থেকে গণতন্ত্র শিখতে চাই না,বিএনপির গনতন্ত্রের মূলে রয়েছে জনগণের অধিকার হরণ,ভোটারবিহীন নির্বাচন, হ্যা- না ভোট,সোয়া এক কোটি ভুয়া ভোটার,আগুন সন্ত্রাস আর দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর শেখ হাসিনা সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় বিএনপি নেতাদের বুকে বিষজ্বালা বেড়েই চলছে, আর এ থেকেই হতাশায় ভুগতে থাকা বিএনপি নেতারা আবোলতাবোল বলছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ জুলাই ২০২২
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকুল বোসের মরদেহ ভারত থেকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রোববার বিকেল পৌনে ৬টায় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল মরদেহ গ্রহণ করে শ্রদ্ধা জানান।এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস এমপি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি প্রমুখ।এর আগে ২ জুলাই কিডনি জটিলতা, হৃদরোগে আক্রান্তসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরপারে পাড়ি জমান মুকুল বোস। চেন্নাই অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সোয়া ৫টায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
Harun Ur Rashid । ০৩ জুলাই ২০২২
আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসনির্ভর রাজনৈতিক দল- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ ভালো করেই জানে, কোন দল সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক।রোববার (৩ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা হাস্যকর অভিযোগ করেছেন যে, আওয়ামী লীগ নাকি সন্ত্রাসনির্ভর রাজনৈতিক দল। অথচ দেশের মানুষ ভালো করেই জানে, কোন দল সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক, কাদের রাজনৈতিক দর্শনে সন্ত্রাসনির্ভরতা রয়েছে।বিএনপি এদেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাসের জন্মদাতা ও লালনকর্তা জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের নির্মম-নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারি (লাভবান) বিএনপি। ক্ষমতায় থাকাকালে তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে।‘তাদের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রত্যক্ষ মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট নৃশংস গ্রেনেড হামলা সংঘটিত হয়েছিল। এদেশে আগুন সন্ত্রাস আর জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার ভয়াবহ অপসংষ্কৃতিও তারা চালিয়ে যাচ্ছে।’বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন দল উল্লেখ করে কাদের বলেন, যারা জনবিচ্ছিন্ন, যাদের পায়ের তলায় মাটি নেই, যারা অপরাজনীতির কারণে জনপ্রত্যাখ্যাত, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তাদেরই রাজনৈতিক হাতিয়ার। এই সন্ত্রাসের বিপরীতে দাঁড়িয়ে গণআকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে জনকল্যাণের রাজনীতি করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।‘গণভিত্তির মধ্য দিয়ে কিংবা জনগণের সংগঠিত প্রয়াস হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠা হয়নি। এক নিষ্ঠুর স্বৈরশাসকের বন্দুকের নলের মুখে জনগণকে জিম্মি করে বিএনপির সৃষ্টি হয়েছিল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএনপি একটি সন্ত্রাসনির্ভর ও ষড়যন্ত্রমুখী রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের কাছে চিহ্নিত।’‘শুধু দেশেই নয়, কানাডার আদালতও বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। শুধু সন্ত্রাসনির্ভরতাই নয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিবিরোধী অপশক্তি হিসেবেও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে বিএনপি। তাদের বোঝা উচিত কথামালার বৃষ্টিতে এদেশের জনগণের মন ভেজে না। জনগণ মুখোশের অন্তরালে থাকা তাদের প্রকৃত চেহারা চেনে ও জানে।’বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে দলের রাজনৈতিক শক্তি ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু, তাদের কাল্পনিক অভিযোগ দিন দিন বাড়বে- এটাই স্বাভাবিক। বিএনপি নেতারা বানভাসি মানুষের সঙ্গে লোকদেখানো ফটোসেশন করছে। তাদের এক চিমটি সাহায্য মানুষের ভোগান্তির সঙ্গে নির্মম পরিহাস ছাড়া কিছু নয়। সাহায্যের নামে বিএনপির লোকদেখানো ত্রাণ থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়।‘সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনমানুষের পাশে রয়েছে। অতীতেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। আর যারা রাজনীতিকে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের হাতিয়ার মনে করে, যাদের জন্মই হয়েছিল স্বৈরতন্ত্রকে দীর্ঘস্থায়ী করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য, তারা জনগণের দুর্দশা নিয়েও অপরাজনীতি করে।’তিনি আরও বলেন, ফেনীর সোনাগাজীতে বিএনপি নেতারা ত্রাণ বিতরণের নামে নাটক করেছে। তারা ফেনী থেকে ফেরত এসে সংবাদ সম্মেলন করেছে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সাহস থাকলে নিশ্চয়ই তারা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতো।‘বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রম এক ধরনের ত্রাণ বিলাস। তারা সাহায্য দেওয়ার চেয়ে প্রেস-ব্রিফিংয়ে অধিক মনোযোগী। যতদিন পর্যন্ত বিএনপি অপরাজনীতি ছেড়ে জনকল্যাণে মনোনিবেশ না করবে, ততদিন পর্যন্ত তাদের সকল অপকৌশল জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ জুলাই ২০২২
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নিখোঁজ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।তিনি বলেছেন, কপর্দকহীন এবং উদ্ভ্রান্তের মতো কথা বলা বিএনপির মজ্জাগত হয়ে গেছে। পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় সারাদেশের মানুষ যখন উল্লসিত তখন বিএনপি খেই হারিয়ে ফেলেছে, কী বলবে। বিএনপি এবং পদ্মা সেতু নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের যখন মানুষ ধিক্কার দিচ্ছে, তখন তারা খেই হারিয়ে নানা ধরনের উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিচ্ছেন।শনিবার (২ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের বাসায় প্রেস ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।‘সরকার পদ্মা সেতু নিয়ে সংসদে গান করছে। এটার পরিবর্তে বন্যায় দুর্গত মানুষের সহায়তায় যেন আওয়ামী লীগ ঝাঁপিয়ে পড়ে’ রিজভীর এমন বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পর রিজভী সাহেব কয়েকদিন নিখোঁজ ছিলেন, হঠাৎ বের হয়ে তিনি এখন নানা ধরনের কথা বলছেন।হাছান মাহমুদ বলেন, বন্যা হওয়ার পর সেখানে বিএনপির কেউ যায়নি এবং বিএনপি বলেছে, ত্রাণ দেওয়া তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য নয়। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখন বন্যা, জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন দুর্যোগ দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ সবসময় দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের নেত্রী ছুটে গেছেন দুর্গতদের পাশে। এবার তারা কিন্তু যায়নি।মন্ত্রী বলেন, সংসদে এমপি মমতাজ যখন বক্তব্য শেষ করতে যাচ্ছিলেন তখন বিএনপির সংসদীয় দলের নেতা হারুনুর রশীদ আরেকটি গান গাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন মমতাজকে। তার অনুরোধে মমতাজ আরেকটি গান গেয়েছিলেন। সেটি মনে হয় রিজভী সাহেব জানেন না।‘পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে তাই সরকারকে বিএনপি ধন্যবাদ দেবে না’ দলটির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে সারাদেশের মানুষ উল্লসিত, বিএনপি এবং পদ্মা সেতু নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের যখন দেশের মানুষ ধিক্কার দিচ্ছে, তখন তারা খেই হারিয়ে উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিচ্ছেন।‘আওয়ামী লীগের গাফিলতির কারণে দেশে করোনা বাড়ছে’ বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এমন বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে তাহলে কী জন্য বাড়ছে করোনা? ভারতে কী জন্য বাড়ছে? ভারতে বিজেপির কারণে বাড়ছে কি না বিএনপির কাছে এমন প্রশ্ন রেখে সেটার ব্যাখ্যা দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী।তিনি আরও বলেন, বিএনপি বন্যা হওয়ার পর বলেছে সরকারের কারণে বন্যা হয়েছে। আসাম এবং মেঘালয়ে দুই হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি কি আমাদের সরকারের কারণে হয়েছে? নাকি আওয়ামী লীগের কারণে হয়েছে? সিলেটে একদিনে প্রায় এক হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সেটি কী কারণে হয়েছে। ১২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেজন্যই বন্যা হয়েছে।‘বন্যা হওয়ার পর আমাদের সরকার এবং দল সর্বাগ্রে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। দল এবং সরকারের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে এবং সাপের কামড়ে কয়েকজন মারা গেছে- সেটা সত্য। কিন্তু অনাহারে কোনো মানুষ মৃত্যুবরণ করেনি।’ড. হাছান বলেন, নিজেরা বন্যার্ত হবার পরও সেখানে আমাদের দলের নেতারা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের নিজেদের বাড়ির নিচ তলা পানিতে ডুবে গেছে। দ্বিতীয় তলায় নিজেরা আশ্রয় নিয়েছেন। তৃতীয় তলায় বন্যার্ত মানুষদের আশ্রয় দিয়ে খাবার দিয়েছেন। এ ধরনের বহু ঘটনা সিলেট অঞ্চলে হয়েছে।পদ্মা সেতুর ব্যাপারে যারা বাংলাদেশে থেরিজভী নিখোঁজ ছিলেন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর: তথ্যমন্ত্রী নেবে কি-না এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টের একটি রায় আছে। পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের খুঁজে বের করার জন্য কমিশন গঠন করতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কী করা যায় সরকার বিবেচনা করবে।এর আগে তথ্যমন্ত্রী রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) তৃতীয় সম্প্রচার সম্মেলনে চট্টগ্রাম থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ঢাকা প্রান্তে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ জুলাই ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অশুভ শক্তি মেনে নিতে পারছে না। দেশে তারা মাথা চাড়া দিয়ে দাঁড়াতে পারেনি শুধু মাত্র শেখ হাসিনার কারণে। সন্ত্রাসীদের কোনো জায়গা বাংলাদেশে হবে না। বাংলাদেশ হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গণতান্ত্রিক দেশ।বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকালে রাজধানীর গুলশান লেকশোর হোটেলে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই) কর্তৃক আয়োজিত তরুণ নেতৃত্ব গঠন ফেলোশিপ প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন।সুজিত রায় নন্দী বলেন, গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু আমাদের মর্যাদার প্রতীক, সক্ষমতার প্রতীক, সাহসিকতার প্রতীক। এর সফল নায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, শান্তি, মানবতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার কখনই অশুভ শক্তির কাছে মাথা নত করবে না।আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা থাকবে কিন্তু প্রতিহিংসা নয়। আমরা কেউ হিংসাত্মক মনোভাব পোষণ করব না। মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই কাজ করতে হবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল পার্টির প্রধান ডানা ওল্ডস, ক্রিস্টিন ওয়াল, ডিরেক্টর অফিস অফ ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড গভর্নেন্স, ইউএসএআইডি, লেসলি রিচার্ডস,ডেপুটি চিফ অফ পার্টি, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদনান এমপি, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জুন ২০২২
সদ্য সমাপ্ত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি দলীয় সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, ইসির যে নতজানু-মেরুদণ্ড ভাঙা অবস্থা, তাতে খুব পরিষ্কার বুঝা যায় আগামীতে যে জাতীয় নির্বাচন হবে, সেটা কোনভাবেই এ কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়।তিনি বলেন, যে কমিশন একজন এমপিকে সামাল দিতে পারে না। সেই কমিশন কীভাবে ৩০০ জন সিটিং এমপিকে সামাল দিয়ে নির্বাচন করবে? সেটা বড় প্রশ্ন।বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচন কমিশনার সচিবালয়ের অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবের ছাঁটাইয়ের আলোচনায় তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।রুমিন ফারহানা বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে থাকলে সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে সুষ্ঠু দেখানো সরকারের পুরোনো খেলা। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এ নাটক দেখেছি। কিছুদিন আগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেখলাম মাত্র একজন এমপির হুমকি-ধামকি নির্বাচন কমিশন সহ্য করতে পারেনি। বারবার তাকে অনুরোধ করা হয়েছে, চিঠি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কমিশন তাকে এলাকা থেকে সরাতে পারেনি।রুমিন ফারহানা বলেন, নির্বাচন যে মল্লযুদ্ধ, তার বড় প্রমাণ এ নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য। শপথ নেওয়ার পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন জেলেনস্কির (ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট) মতো বিএনপিকে মাঠে থাকতে হবে। ভোট কি যুদ্ধ যে জেলেনস্কির মতো বিএনপিকে মাঠে থাকতে হবে?গোপন কক্ষে ডাকাত ধরাই বড় চ্যালেঞ্জ- ইসির এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ডাকাত যে শুধু দলীয় ক্যাডার তাই নয়, এর মধ্যে রয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন। এই ডাকাতদের পরবর্তী সময়ে যেভাবে পুরস্কৃত করা হয়, সেই পুরস্কার দেখে বুঝা যায় ভবিষ্যতে এ ডাকাতের সংখ্যা বাড়বে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে পুরস্কার হিসাবে স্থানীয় সরকার বিভাগে পদায়ন করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জুন ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পদ্মা সেতু বিষয়ে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান ইউনূস সেন্টার যে ব্যখ্যা দিয়েছে তা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো।মন্ত্রী বলেন, ইউনূস সেন্টারের ব্যাখ্যা সত্যের অপলাপ। ড. ইউনূস পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছেন এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এ সময় তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন যে গ্রামীন ব্যাংককে নোবেল দেওয়া হয়েছে , সেখানে কি তিনি টাকা রাখেন?বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ে এসব কথা বলেন তিনি।তথ্যমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে অনেকেই বিরোধিতা করেছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান ব্যক্তি ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, পদ্মা সেতুর বিরোধীতাকারী বিশেষ করে অর্থায়নের বিরোধিতাকারী অর্থায়ন বন্ধের ক্ষেত্রে যারা কুশীলব হিসেবে কাজ করেছিল তাদের মধ্যেও অন্যতম তিনি।তিনি বলেন, ড. ইউনূসের সঙ্গে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বিশেষ সখ্যতা থাকার সুবাদে হিলারির মাধ্যমে পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের যে চেষ্টা চালিয়েছেন, বন্ধ করার ক্ষেত্রে যে মূল কুশীলবের ভূমিকা পালন করেছিলেন, সেটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। আর সে ঘটনা দেশ-বিদেশের সকলেই জানেন।পদ্মা সেতু ইস্যুতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অবস্থান, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদের বৈধতা, গ্রামীন ব্যাংকের ক্ষদ্র ঋণ কর্মসূচি ও দেশের বাইরে অর্থপাচার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের বিভিন্ন বক্তব্য ও অভিযোগের ব্যখ্যা দিয়ে বুধবার (২৯ জুন) রাতে ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এর প্রতিবাদ জানানো হয়।সেখানে পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে ড. ইউনূস চাপ "প্রয়োগ করেছেন" প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যায় ইউনূস সেন্টার বলেছে ড.ইউনূস পদ্মা সেতু বিষয়ে বিশ্বব্যাংক বা অন্য কোনো অভিযোগ জানায়নি। সুতরাং বিষয়টি নিতান্তই কল্পনাপ্রসূত। এ বিষয় নিয়ে কথা বলতেই তাৎক্ষনিক সংবাদ ব্রিফিং এর আয়োজন করেন তথ্যমন্ত্রী।সেখানে ওই ব্যাখ্যার বিষয়ে তিনি বলেন, ইউনূস সেন্টার যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তা সত্যের অপলাপ। তবে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতিতে পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারকে অভিনন্দনও জানানো হয়। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা সেদিন করেছিলো, আজ দেশের মানুষ যখন উল্লসিত, তখন তারা (ড.ইউনূস) লজ্জা ঢাকার অপচেষ্টায় অভিনন্দন জানাচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জুন ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উল্লেখ্যযোগ্য হারে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বাড়াতে হবে। রাখঢাক করার কিছু নেই। দিস ইজ লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার।মঙ্গলবার (২৮ জুন) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন দলগুলোর সঙ্গে কারিগরি বিষয়ে ভোটদান নিয়ে আলোচনার আয়োজন করেছে। আমাদের আমন্ত্রণ জানানোয় আওয়ামী লীগে সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসির গ্রহণযোগ্যতা, নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ইসির দায়িত্বশীল নিরপেক্ষ আচরণ, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ইভিএমে ভোটগ্রহণের পদ্ধতি বৃদ্ধি করতে হবে।ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের বক্তব্য লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার। আগেও আমরা ইসিকে এসে বলেছিলাম। এখানে রাখঢাক করার কিছু নেই। আগামী নির্বাচনে উল্লেখযোগ্যহারে ইভিএম বৃদ্ধি করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়া তিনি বিতর্কিত কাউকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়া, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের রিটার্নিং অফিসার থেকে পোলিং অফিসার নিয়োগসহ একগুচ্ছ দাবির কথা বলেন।১৩ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করতে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে দুই ধাপে ২৬টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি। গত ১৯ ও ২১ জুন ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের ইভিএম যাচাই বিষয়ক সভা করেছে সংস্থাটি। তবে এতে বিএনপিসহ আটটি দল সাড়া দেয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ জুন ২০২২