বিএনপির বিদ্যুৎ নিয়ে বিক্ষোভ বছরের সেরা কৌতুক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আজ সকালে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন। বিএনপি নেতারা বিশ্ব অর্থনীতির সাম্প্রতিক গতিধারা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব, কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার দেখছে না , তারা দেখে শুধু শেখ হাসিনা সরকারের তথাকথিত ব্যর্থতা আর স্বপ্ন দেখে ক্ষমতার মসনদ উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি'র রাজনীতি এখন উটপাখির নীতিতে চলছে।তিনি বলেন বিএনপি বিশ্ব-সংকটে বালুতে মাথা গুঁজে আছে আর চিরাচরিত সরকার বিরোধী বিষোদগার অব্যাহত রেখেছে। তাদের রাজনীতিতে নূতনত্ব নেই,জনমানুষের কল্যাণে নেই কোন ভাবনা।বিশ্ব বাজারে তেল,গ্যাস,ভোজ্যতেল,সারের দাম এখনও অস্থির জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন সরকার জনকল্যাণে ভর্তুকি দিয়ে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখার অব্যাহত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের বলেন অন্যদিকে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে ভালো কথা, তারা বিক্ষোভ করুক, মিছিল করুক - এটা বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকার। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুঁশিয়ার করে বলেন বিক্ষোভের নামে জনশান্তি বিঘ্ন ঘটানোর অপপ্রয়াস চালালে জনস্বার্থে সরকার তা কঠোর হস্তে দমন করবে।বিএনপি নেতাদের নির্বাচনী গণতন্ত্রের কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চান-নির্বাচিত হয়ে সংসদে না যাওয়া কোন নির্বাচনী গণতন্ত্র? তিনি বলেন যাদের নিজেদের সর্বাঙ্গে পংকিলতা তাদের গণতান্ত্রের সবক দেওয়া হাস্যকর এবং অর্থহীন। গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলার আগে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের ব্রিফিংকালে আরো বলেন আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে নিন, নিজ দলে গণতন্ত্র চর্চা করুন।গণতান্ত্রের মুখোশের আড়ালে বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে বর্ণচোরা ফ্যাসিবাদ আর লুটপাটতন্ত্রের সমন্বিত কদর্য রুপ বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।এর আগে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী কার্যালয়ের শান্তি ও উন্নয়ন উপদেষ্টা রেবেকা আদ্দা - দনতো।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জুলাই ২০২২
ভোট দিতে এসে দেখেন তাদের আঙুলের ছাপ নিচ্ছে না ইভিএম মেশিন। পরে টিউবওয়েলের পাশে ঘষে ঘষে আঙুল পরিষ্কার করতে দেখা যায় অনেক ভোটারকে।ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার (২৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে উপজেলার হোসেনগাঁও, বাচোর ও নন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।সকালে নন্দুয়া ইউনিয়নের মীরডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন ভোটাররা।সেখানে আঙুল পরিষ্কার করছিলেন সায়মা আক্তার (৩৫) নামে এক ভোটার। তিনি বলেন, এইবার প্রথম ইভিএম মেশিনে ভোট দিচ্ছি। কিন্তু মেশিন আমার আঙুলের ছাপ নিচ্ছে না। সে জন্য আঙুল ঘষে পরিষ্কার করছি। কীভাবে ছাপ নেয় না এবার দেখবো।অন্যদিকে জিল্লুর রহমান নামে আরেক পুরুষ ভোটারকে মোটরসাইকেলের পেট্রোল বের করে হাত পরিষ্কার করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার মেশিনত ভোট দিবা আসিনু। আঙুলের ছাপ নেয় না। ওই তানে গাড়ির তেল দেহেনে হাত পরিষ্কার করছু।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জুলাই ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, আমাদের দেশের কিছু হতাশ রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের আয়েশী ব্যক্তি আছেন যারা কোন কিছুতেই দেশের মঙ্গল কিছু দেখতে পান না। তারা সব সময়ই শুধু নেতিবাচক প্রচারণায় মগ্ন রয়েছেন, অনেকেই দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত আছেন। তাদের হায় হায় পার্টি বলা হয়। হায় হায় পার্টির নাই নাই আহাজারীতে ভয়ের কিছু নেই।আজ (মঙ্গলবার) কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।তিনি বলেন, কিছু দিন পূর্বে তারা বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মত ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে অর্থনীতিতে অরাজকতা এবং সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে সফল হতে পারেন নি। এখন বিশ্ব বাজারে জ্বালানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন উর্ধগতির প্রভাবে বর্ধিত আমদানী ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার ওপর কিছুটা চাপ পড়ার পর তারা আবার হায় হায়, নাই নাই রোগাক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, ২০০৬ সালে জামাত- বিএনপির শেষামলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৬ বিলিয়নের নীচে, ২০০৯ সালে বাঙালির আপন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব গ্রহণকালে রিজার্ভ ছিল মাত্র ৭.৪ বিলিয়ন। এরপর তাঁর প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে ২০১০ সালে রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন অতিক্রম করে, এরপর ২০১৪-তে ২০, ২০১৬-তে ৩০, ২০১৯ -এ ৩৩ এবং ২০২২- এ ৪৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ সৃষ্টি হয়। বর্ধিত আমদানী ব্যয়ের চাপ সামলাতে আপাতত রিজার্ভ ৪০- এর সামান্য নীচে দাঁড়িয়েছে। এখোনো জামাত- বিএনপির মত ৬ অথবা সুশীল তত্ত্বাবধায়ক আমলের মত ৭ বিলিয়ন থেকে যোজন যোজন উপরে অবস্থান করছে। এই সময়ে আমাদের ১০ বিলিয়ন ডলার বিদেশের বিভিন্ন বাংলাদেশী শাখা ব্যাংকে গচ্ছিত এবং বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানীর নিকট পাওনা রয়েছে। সুতরাং হায় হায় পার্টির নাই নাই বিলাপ এবারও উন্নয়ন ও মানব কল্যাণের সুবাতাসে হারিয়ে যবে। আজ সকালে পেকুয়া কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। উদ্বোধন করেন জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলামের চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারন সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান মুজিব, আলহাজ্ব জাফর আলম এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, সাইমুম সারোয়ার কমল এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ রেজাউল করিম, এডভোকেট রঞ্জিত দাস, মাহবুবুর রহমান, লায়ন কমর উদ্দিন আহমেদ, এডভোকেট জিয়া উদ্দিন জিয়া, এডভোকেট উম্মে কুলসুম মিনু, আমিনুর রশীদ প্রমুখ। সম্মেলন পরিচালনা করেন আলহাজ্ব আবুল কাশেম।সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আলোচনার ভিত্তিতে সর্বসম্মতিভাবে জনাব মোঃ শহীদুল্লাহ বিএ সভাপতি, জনাব সাইফুদ্দিন খালেদ, জনাব একেএম মহিউদ্দিন বাবর, জনাব ফরহাদ ইকবাল, জনাব নজরুল ইসলাম বাবুল সহ সভাপতি, আলহাজ্ব আবুল কাশেম সাধারন সম্পাদক, জনাব মোঃ মফিজুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক এবং জনাব আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জনাব মোঃ ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেসী, এডভোকেট উম্মে কুলসুম মিনু সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ জুলাই ২০২২
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, গত এক যুগেরও বেশি , বিএনপি এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের রাজনীতিতে কখনোই আস্থা রাখেনি। তাদের রাজনৈতিক দর্শনই ছিল লুটপাটতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।যারা তাদের শাসনামলে হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন খুলে পাহাড় সমান দুর্নীতি আর লুটপাটে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিল, দেশের মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়িত মেগাপ্রকল্পগুলো তাদের গাত্রদাহের সৃষ্টি করবে, সেটাই স্বাভাবিক ।মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের রাজনীতিতে কখনোই আস্থা রাখেনি। তাদের রাজনৈতিক দর্শনই ছিল লুটপাটতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। পাহাড় সমান প্রতিবন্ধকতা ও অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। শুধু মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে তা নয়, আজকে দেশের শতকরা ২৯ শতাংশ পরিবারের মানুষ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় কোনো না কোনো ভাতার আওতাভুক্ত হয়েছে। আজকের বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সফল রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি আজ বিশ্ব সভায় প্রশংসিত। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যারা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাদের মনে রাখা উচিত, তাদের শাসনামলে দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণেই দেশের অর্থনৈতিক ভীত অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তাদের শাসনামলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কোনোদিন ৫ বিলিয়নের উপরে ছিল না। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সুশাসনের কারণেই বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সাময়িকী নিউজ উইক যখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করে, তখন আমাদের দেশের একদল হতাশাবাদী ব্যর্থ রাজনীতিক হায় হায় রব তোলে। তাদের মনে রাখা উচিত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত রাষ্ট্রগুলো যেখানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না, সেখানে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববাজারে ক্রমাগতভাবে জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেক উন্নত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে।বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান সংকট একটি বৈশ্বিক সংকট। বাংলাদেশ যাতে এই সংকটের অভিঘাতে জর্জরিত না হয় সেজন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার সামনের সংকট মোকাবিলার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনে করে, জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস থাকলে কোনো সংকটই মোকাবিলা করা কঠিন নয়। আমরা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাব, আসুন সবাই দায়িত্বশীল হই, সবাই মিতব্যয়ী এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হই।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ জুলাই ২০২২
বিএনপিকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর চায়ে কী থাকবে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এই চায়ের দাওয়াতে কী আছে, সেখানে কী থাকবে—ধুতরার ফুল থাকবে, নাকি হ্যামলকের রস থাকবে। এটা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে।’তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আগেও চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলেন। পরে আমাদের নামে ব্যাপকভাবে মামলা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি যাঁরা হজে ছিলেন, চিকিৎসা নিচ্ছিলেন, তাঁদের নামেও মামলা দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সারা দেশের বিদ্যুতের চরম সংকট এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।হঠাৎ বিএনপিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরম সুরে কথা বলছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘চায়ের দাওয়াত দিচ্ছেন। এসব স্বাভাবিক বিষয় না, এর ভেতর নতুন ষড়যন্ত্র রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও কর্মসূচি করলে চায়ের দাওয়াত দেব, হঠাৎ আপনার গলার সুর নরম হলো কেন? এটা তো অদ্ভুত ব্যাপার। আপনার গলার সুর যখন ক্ষীণ হয় তখন বুঝতে হয়, বিরোধী দলের ওপর মনে হয় আরও ভয়ংকর নির্যাতন নেমে আসছে।’বড় প্রকল্পের নামে টাকা লুট হচ্ছে জানিয়ে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, দেশে বড় বড় মেগা প্রজেক্টের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছে, তাই তাদের হয়তো আদালতে জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। কিন্তু জনগণের আদালতে জবাবদিহি করতে হবে।রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চায়ের দাওয়াত কেন দিচ্ছেন। যদি নিরপেক্ষ সরকার দিতে চান। তবে আলোচনা হতে পারে। তবে তাঁরা তো গণতন্ত্রকে জাদুঘরে রেখে দিয়েছেন। তাঁরা প্রশ্ন তোলে সংবিধানে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুযোগ নেই। এর দৃষ্টান্ত তো ১৯৯৬ সালে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছে দস্যুদের মতো। গণতন্ত্র আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ জুলাই ২০২২
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানলে বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর চা পান করবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের জবাবে এ কথা জানান তিনি।আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না।’গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে চাইলেও বিএনপিকে বাধা দেওয়া হবে না উল্লেখ করে শনিবার বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমি তো বলে দিয়েছি, তারা যদি, এমনকি প্রাইম মিনিস্টার অফিসও যদি ঘেরাও করতে আসে, তাদের পুলিশ যেন বাধা না দেয়। বিশেষ করে বাংলামোটরে বাধা দেওয়া হত, সেটা বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যতদুর আসতে পারে আসুক। আমি চা খাওয়াব, বসাব, কথা বলতে চাইলে শুনব। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।’আজ ফখরুল আরও বলেন, ‘দেশকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কানাডা বানিয়ে দিচ্ছে অথচ দেশের বিভিন্ন জেলায় মানুষ দুই বেলা খেতে পাচ্ছে না। জ্বালানির ব্যাপারে সরকার পরিকল্পনা করেনি তাই এই সংকট দেখা দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বোরো ধানের মৌসুম শুরু হতে হচ্ছে। গ্রামে ৭ থেকে ৮ঘণ্টা বিদ্যুৎ যাচ্ছে। এতে ধান উৎপাদন কমে যাবে। খাদ্য সংকট হবে। কিছুদিন পর সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। সারের সংকট হবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জুলাই ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির সাথে তত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনার কোন সুযোগ নেই। ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন করে তত্বাবধায়ক সরকারের যে কথা বলছেন সেটা একটা মীমাংসিত বিষয়, সুতরাং এ নিয়ে নতুন করে আলোচনার কোন সুযোগ নেই’ তিনি বলেন।তিনি আজ সকালে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে ব্রিফিংকালে বিএনপি মহাসচিবের নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে যে সংকটের কথা বলেছেন তার জবাবে একথা বলেন। কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দেশে কোন সংকট নেই, সংকট আছে বিএনপিতে এবং তাদের নেতৃত্বে ও সিদ্ধান্তে। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারও বলেন নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকারের অধীনে নয়, সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আন্দোলন - সংগ্রামের মধ্য দিয়েই এই দল গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে কিভাবে আন্দোলন মোকাবিলা করতে হয়।.কাদের বলেন রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয় নি, আওয়ামী লীগ রাজপথে ছিলো,আছে এবং থাকবে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ যে কোন কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণের জানমাল রক্ষায় জনগণকে সাথে নিয়ে সমুচিত জবাব দিতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে, - বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যে দেশের জনগণ হাসে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন যে দল তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য রাজপথে একটা মিছিল পর্যন্ত করতে পারে না তারা আবার আন্দোলন করে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে - এমনটা জনগণ বিশ্বাস করে না।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারও স্পষ্ট করে বলেন সরকার নয়, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে বিএনপি নেতাদের দল থেকে পদত্যাগ করা উচিত। রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ ও নির্বাচন কমিশনের ডাকে সংলাপে না গিয়ে বিএনপি এবং তার দোসররা এখন নিজেদের মধ্যে সংলাপ করছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের তাঁর বক্তব্যে বলেন এটা আসলে সংলাপ নয়, সংলাপের নামে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জুলাই ২০২২
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে চাইলেও বিএনপিকে বাধা দেওয়া হবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি চা খাওয়াবেন, কথা বলতে চাইলে শুনবেন।শনিবার বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, “তারা সারাদিন এত কথা বলছে, আমি বলি বলুক, কারও না কারও তো কথা বলতে হবে। কথা যত পারুক বলুক, যদিও সারাদিন কথা বলে..., বলে আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না।“মিছিল করে লোক হয় না, বলে আমাদের লোক আসতে দেওয়া হয় না। এই রকম অভিযোগ তো তারা করে। তাদের কাছে আসবে কেন? কোন আশায় আসবে? সেটা হলো বাস্তব কথা। সেটা তো চিন্তা করতে হবে।"গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ঘেরাও করলেও পুলিশ বাধা দেবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি তো বলে দিয়েছি, তারা যদি, এমনকি প্রাইম মিনিস্টার অফিসও যদি ঘেরাও করতে আসে, তাদের পুলিশ যেন বাধা না দেয়।"বিশেষ করে বাংলামোটরে বাধা দেওয়া হত, সেটা বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যতদুর আসতে পারে আসুক। আমি চা খাওয়াব, বসাব, কথা বলতে চাইলে শুনব। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।"তবে সতর্ক করে তিনি বলেন, "যদি বোমাবাজি করে, ভাঙচুর করে, সেটা করলে বাধা দেব, সেটা করলে উপযুক্ত জবাব দেব, এটা বাস্তবতা। কিন্তু গণতান্ত্রিকভাবে করতে চাইলে কোনো অসুবিধা নেই। তারা তো আন্দোলন করেই যাচ্ছে।”সমালোচকদের কাছে গত নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা।“২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলে তাদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন, বাংলাদেশে তিনশ সিটের মধ্যে সাংবাদিক বুাদ্ধিজীবী যারাই লেখেন, আমাদের জ্ঞানী-গুণী যারাই কথা বলেন। তারা কী একটা কথা চিন্তা করেন?"তিনশত সিটে একটা দল যদি সাড়ে সাতশ নমিনেশন দেয়, সেখানে নির্বাচন কী করে হয়? পার্টি অফিস থেকে একজন দিচ্ছে, আবার আরেকজন লন্ডন বসে দিচ্ছে, গুলশান অফিস থেকে দিচ্ছে একজন। যারা এইভাবে নির্বাচন করেছে তারা জিতবে কী করে?বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নেতা কে হবেন এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “আপনারা বিএনপিকে জিজ্ঞাসা করেন, তাদের নেতা কে? ক্ষমতায় গেলে কাকে বসাবে?"অর্থ আত্মসাৎকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরা কারবারি? ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারী? হত্যাকারী? খুনি? এই হচ্ছে তাদের নেতা। বাংলাদেশে একটা মানুষ পায়নি তারা নেতা বানাবে?"দলটির গঠনতন্ত্রের উল্লেখ করে তিনি বলেন, "বিএনপির গঠনতন্ত্রের সাত অনুচ্ছেদে আছে, কেউ যদি সাজাপ্রাপ্ত হয়, তাহলে দলের নেতা হতে পারবে না। কিন্তু বিএনপি তাই করছে।"
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জুলাই ২০২২
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশ আজ গভীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে বিপন্ন। সরকারের গণবিরোধী কার্যক্রম ও অধিকার হরণে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। দেশের সংকট নিরসনে গণবিরোধী অনির্বাচিত সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের সংকট নিরসনে একমাত্র বিকল্প বিএনপি। আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবো।শনিবার (২৩ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ‘মিট দ্য ওকাব উইথ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওভারসিজ করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওকাব) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।সংগঠনটির সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম মিঠুর পরিচালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন ওকাবের আহ্বায়ক কাদির কল্লোল।মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার বাংলাদেশকে কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মানুষ তাদের ন্যূনতম অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আজ দেশে সুশীলরা কথা বলতে ভয় পান। সাংবাদিকরা লিখতে ভয় পান, বিচারপতিরা ন্যায় বিচার করতে ভয় পান।তিনি বলেন, অর্থনীতিকে সরকার একটি ত্রাসে পরিণত করেছে। দেশব্যাপী একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা লুটপাট-দুর্নীতি হচ্ছে। দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশ হয়েছে, যা আগে ৪০ শতাংশের নিচে ছিল। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, তেল গ্যাস জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করেছে।নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাকে সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। যে দেশের মানুষ উৎসব করে ভোট দিতো তারা আজ ভোটকেন্দ্রে যায় না। ভোট দেওয়াকে ঘৃণা করে। মানুষের কোনো আস্থা নেই নির্বাচনে। বিদেশিরা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনকে ইতোমধ্যে ভূয়া নির্বাচন বলে দিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জুলাই ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নামসর্বস্ব নানা দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা চরম রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে।শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত করোনা ও দ্বিতীয়ত ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবী আজ সংকটের মুখে। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারের জন্য সবাইকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইউরোপের অনেক দেশে যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়নি, সেখানেও কোথাও কোথাও লোডশেডিং হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথা বলা হচ্ছে।মন্ত্রী বলেন, ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি যুক্তরাষ্ট্রে ৮.৬ শতাংশ ও যুক্তরাজ্যে ৯.১ শতাংশ, তুরস্কে ৭৩.৫ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৩৯.১ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৩.৮ শতাংশ, ভারতেও ৭ শতাংশের ওপরে। সমগ্র পৃথিবী আজ সংকটের মুখে। বাংলাদেশ তো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। সমগ্র পৃথিবী সংকটে থাকলে বাংলাদেশে তার কিছুটা আঁচড় পড়বে সেটা স্বাভাবিক। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক দেশের চেয়ে পরিস্থিতি অনেক ভালো সামাল দিচ্ছেন। সেজন্যই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত অর্থনীতিবিদদের গবেষণায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই।বিএনপি চরম রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, গত নির্বাচনে তারা বাম-ডান, অতিবাম-অতিডান সব দলের ঐক্য করে মাত্র পাঁচটি সংসদীয় আসন পেয়েছে। এবার দেখি কিছু কিছু দলের সঙ্গে তারা বৈঠক করছে, যেসব দল অণুবীক্ষণযন্ত্র দিয়ে দেখার বিষয়। এ ধরনের নামসর্বস্ব দল যে আছে, সেটি আমরা বিএনপির বৈঠকের পর জানতে পারছি। এদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা চরম রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জুলাই ২০২২
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৩ জুলাই) জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন এবং বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন। শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমেরিকা রাশিয়ার ওপর ডলার আদান-প্রদানে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এতে শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক উন্নত দেশও ভুক্তভোগী।তিনি বলেন, এই একটা সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের সার কেনা, খাদ্য কেনা অথবা জ্বালানি তেল কেনা, সব ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। শুধু আমরা নই, সারা বিশ্বই একটা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছে। এটা হলো বাস্তবতা।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার প্রভাব সবাই ভোগ করছে। এতে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের দেশে যেমন মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, ঠিক একইভাবে উন্নত দেশগুলোতে অনেক অনেক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। সঙ্গে জ্বালানি তেলের দামও।তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলোও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। আমি উন্নত দেশগুলোর কথা বেশি বলব। কারণ আমরা তো অনেক দূরে রয়ে গেছি কিন্তু তাদের অবস্থাই হচ্ছে করুণ। সেখানে আমরা কোথায়। তারপরও বলব প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সবাই স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করছে বলেই আমরা এখনও ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। তবুও ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আমাদের সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে। অহেতুক অপচয় যাতে না হয়, সেই দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি এ ক্ষেত্রে পত্রপত্রিকা নানা কথা লিখবে। টকশোতে অনেক কথা বলবে। বিরোধী দলও কথা বলবে। এটা বলাই তাদের কর্তব্য। তারা বলে যাক। আমাদের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে এবং দেখতেহবে আমরা সঠিক পথে আছি কি না, সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করছি কি না, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি কি না, দেশের সাধারণ মানুষ সঠিক সেবা পাচ্ছে কি না? আমরা যদি সেভাবে চিন্তা করি, তাহলে কে কী বলছে, সেদিকে খুব বেশি নজর দিতে হবে না।তিনি বলেন, কে কী বলল সেটা শুনে হয়ত দেখতে পারি কোথাও আমাদের কোনো ঘাটতি আছে কি না। ওইটুকু আমরা নেব। কিন্তু ওই কথায় যেন বিভ্রান্ত না হন, কেউ যেন হতাশ না হন। এটুকু বলব। কেউ যেন হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়েন সে ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। যখন যে অবস্থা হবে, সেই অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে আমাদের চলতে হবে। তারপরও আমাদের নিজেদের যা কিছু আছে, তা নিয়ে চলব।সরকারপ্রধান বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারির সময়েও দেশের অর্থনৈতিক গতি ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার সক্ষম হয়েছে। এটা ঠিক আজ বিশ্বের কোনো দেশ এককভাবে চলতে পারে না। বর্তমান বিশ্ব হচ্ছে গ্লোবাল ভিলেজ। একে অপরের ওপর আমরা অনেক ক্ষেত্রে নির্ভরশীল।দেশের মানবসম্পদ ও মাটি কাজে লাগাতে পারলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, জনগণের অর্জিত অর্থ দিয়ে সবার বেতন-ভাতা, আরাম, আয়েশ সবকিছু। তাই কাজ করতে হবে তাদের জন্য, তাদের স্বার্থে এবং কল্যাণে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জুলাই ২০২২
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীশনিবার (২৩ জুলাই) সুজিত রায় নন্দী এক শোকবার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।শোকবার্তায় তিনি বলেন, এডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ হিসেবে বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাসে তিনি ছিলেন একজন জ্ঞানতাপস পার্লামেন্টেরিয়ান। একজন সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার হিসেবে তাঁর সংসদীয় ভূমিকা ছিল অনন্য। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে।এরআগে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২২ জুলাই) দিনগত রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান। যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে দীর্ঘ নয় মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।এসময় তার বড় মেয়ে ফাহিমা রাব্বী রিটা এবং একান্ত সচিব তৌফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের এই সংসদ সদস্য দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জার রহমান এবং মাতার নাম হামিদুন নেছা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জুলাই ২০২২
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।শনিবার (২৩ জুলাই) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এক শোকবার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।শোকবার্তায় তিনি বলেন, এডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ হিসেবে বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাসে তিনি ছিলেন একজন জ্ঞানতাপস পার্লামেন্টেরিয়ান। একজন সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার হিসেবে তাঁর সংসদীয় ভূমিকা ছিল অনন্য। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে।এরআগে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২২ জুলাই) দিনগত রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান। যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে দীর্ঘ নয় মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এসময় তার বড় মেয়ে ফাহিমা রাব্বী রিটা এবং একান্ত সচিব তৌফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের এই সংসদ সদস্য দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জার রহমান এবং মাতার নাম হামিদুন নেছা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জুলাই ২০২২
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। শোক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ হিসেবে বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাসে তিনি ছিলেন একজন জ্ঞানতাপস পার্লামেন্টেরিয়ান। একজন সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার হিসেবে তাঁর সংসদীয় ভূমিকা ছিল অনন্য। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গ ও তাঁর অগণিত সহকর্মী, স্বজন ও শূভানুধ্যায়ীগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।এরআগে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২২ জুলাই) দিনগত রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান।যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে দীর্ঘ নয় মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এসময় তার বড় মেয়ে ফাহিমা রাব্বী রিটা এবং একান্ত সচিব তৌফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের এই সংসদ সদস্য দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জার রহমান এবং মাতার নাম হামিদুন নেছা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জুলাই ২০২২
নড়াইলে লোহাগড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, ‘অপরাধীদের এমন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে এ ধরনের অপকর্ম করতে না পারে।’নড়াইলের লোহাগড়ায় সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি, দোকানপাট পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘২০১১ সালে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম শুরু হয় তখন থেকেই হঠাৎ করে ধর্মীয় উসকানি দিয়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। রামু থেকে শুরু করে নাসিরনগর প্রত্যেকটি ঘটনার একটি যোগসূত্র পাওয়া যায়। দেখে মনে হয় ঘটনাগুলো পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। এগুলো ঘটানোর উদ্দেশ্য একটাই, সমাজের মধ্যে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে সংঘাত সৃষ্টি করে সরকারকে বিব্রত করা। দেশের জনগণকে অস্থিতিশীল করাটাই মূল লক্ষ্য।’লোহাগড়ার হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা-অগ্নিসংযোগ অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, দোষীদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ শুরু থেকেই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছেন। দুর্ভাগ্যক্রমে দুষ্কৃতিকারীরা আগুন দিয়ে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কেউ কোথাও ধর্মকে আঘাত করে কথা বললে বিক্ষুব্ধ হলে দেশের আদালতে মামলা করতে পারেন। কেউ ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছে এই দোহাই তুলে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই। এই ক্ষমতা কাউকে দেওয়া হয়নি। যে আইন নিজের হাতে তুলে নেবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’হানিফ বলেন, ‘আমাদের দেশে রাজনীতির ধারা দুটি। একটি পক্ষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বাধীনতার পক্ষের, যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ চার মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই আদর্শে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের জাতীয় চার মূলনীতির অন্যতম।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জুলাই ২০২২
দেশের মালিকানা ছিনতাইজাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, জনগণের থেকে দেশের মালিকানা ছিনতাই হয়ে গেছে।গতকাল জাপা বনানী চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জি এম কাদের এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল আলম রুবেলকে শুভেচ্ছা জানান জাপা চেয়ারম্যান।জি এম কাদের বলেন, দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ। তারা যাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে তারাই জনগণের মতামতের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করবেন। কিন্তু এখন দেশের মালিকানা সাধারণ মানুষের কাছে নেই। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে যে দল পরাজিত হবে তারা হয়তো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন বাস্তবতায় দাঁড়িয়েছে। এজন্য দেশের রাজনৈতিক নেতারাই দায়ী। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের সরকার পরিবর্তন হয়, আবার শান্তিপূর্ণভাবে সরকার গঠন হয়। আবার সরকারের কেউ পদত্যাগ করলে শান্তিপূর্ণ ভোটের মাধ্যমে তা পূরণ হয়। কিন্তু আমাদের দেশের বাস্তবতা ভিন্ন। এখানে নির্বাচন যেন যুদ্ধ, নির্বাচনে পরাজিত হলে তাকে মরতে হবে। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এমন বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। এমন বাংলাদেশের জন্য বীর শহীদরা আত্মত্যাগ করেননি।এ সময় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বাস্তবতা অনেকটাই এক বলে মন্তব্য করেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, অভিযোগ আছে লুটপাটের কারণে মেগা প্রকল্পগুলোয় অনেক বেশি ব্যয় হয়। ফলে ওই প্রকল্পের আয় দিয়ে ঋণ শোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু যখন সুদসহ ঋণ পরিশোধ করতে হবে, তখন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ পেতে পারে এমন আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জুলাই ২০২২
দেশকে সিঙ্গাপুর বানাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার আজিমপুর বানিয়ে ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, অনেক উদ্ভট প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারে এসে সর্বপ্রথম তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বললেন, বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বানাবেন। এখন বাংলাদেশটা আজিমপুরের কাছাকাছি। সুতরাং সিঙ্গাপুর বানাতে গিয়ে তিনি দেশকে আজিমপুর বানিয়ে ফেলছেন।দেশকে আজিমপুর ‘বানানোর’ ব্যাখ্যা দিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘তাঁরা বলেন, ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, আর আমাদের প্রয়োজন ১১ হাজার মেগাওয়াট। এখন বলে তা–ও ঘাটতি। কুইক রেন্টালের নামে লাখ লাখ কোটি টাকা লুটপাট করেছে, যে টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে।’ গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের দেশে গ্যাসের দাম বাড়ে, তারপরও দিতে পারে না, আবার প্রতিবেশী দেশে গ্যাস রপ্তানির চুক্তি করে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বসে আছেন। আমার দেশের মানুষ শুষ্ক মৌসুমে পানি পায় না, অথচ ফেনী নদীর পানি তাদেরকে খাবার জন্য আমাদেরকে দিতে হয়। বর্ষা মৌসুমে যখন তাদের পানি বাড়ে তখন স্লুইচগেটগুলো খুলে দিয়ে আমাদেরকে পানিতে মারে।’এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার একটিই পথ, তা হলো শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে বলে মনে করেন তিনি। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজকে মূল দায়িত্ব হলো এই সরকারকে বিদায় দেওয়া। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমরা কেন কথা বলব, আমরা নির্বাচনে যাব না। নির্বাচন কমিশন বলেছে, ভোটের দিন যদি কেউ তলোয়ার নিয়ে আসেন, তাহলে প্রতিপক্ষও পাল্টা রাইফেল নিয়ে নামবেন। আমরা যদি তলোয়ার আর রাইফেল হাতে নিই, তাহলে আমরা নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করব কেন? তার আগেই আপনাদেরকে বিদায় দেব। একটি সাংবিধানিক পদে থেকে সন্ত্রাসকে উসকে দেওয়া ও জনগণকে আতঙ্কে রাখা ভোটকেন্দ্র শূন্য রাখার একটি প্রয়াস মাত্র।’অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ।অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম জিলানী। আর সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম এবং স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জুলাই ২০২২
আজান এবং নামাজের সময় যেন তার এলাকায় বিদ্যুৎ না সরানো হয় এ বিষয়ে বিদ্যুৎ অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু।জানা যায়, গতকাল বুধবার বিকেলে সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু সাধারণ মানুষের খোজ খবর নিতে রুদ্রকর ইউনিয়ন সুবচনী বাজার যায়। কিছুক্ষণ পর মাগরিবের আজান চলাকালীন সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। সাথে সাথে তিনি বিদ্যুৎ অফিসের জেনারেল ম্যানেজারকে ফোন করেন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।আপনারা এলাকাভিত্তিক এক ঘন্টা লোডশেডিং করবেন, করেন তাতে আমাদের সমস্যা নেই কারণ এটা জাতীয় সিদ্ধান্ত, কিন্তু আজান ও নামাজের সময় যেনো বিদ্যুৎ না যায় সেদিকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন, শুধু সুবচনী এলাকা নয়, কোথাও যেনো এমনটা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন এমপি অপু। এ ব্যপারে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসের জেনারেল ম্যানেজার আশ্বস্ত করেন আজান ও নামাজের সময় বিদ্যুৎ যাবে না।এদিকে জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় গতকাল বুধবার (জুলাই ১৯) থেকে সারা দেশে রুটিন করে এক থেকে দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হবে। আর ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ থাকবে। সেই সাথে সপ্তাহে এক দিন করে বন্ধ থাকবে পেট্রল পাম্প। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক সমন্বয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানির দাম। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। তাই সংকট এড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বসে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। নেয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত।আপাতত ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে দিনে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জানান, সেটি সমন্বয় করতে দিনে এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করা হবে। যা মঙ্গলবার থেকে শুরু। সেই সাথে সপ্তাহে একদিন পেট্রল পাম্প বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে প্রতিদিন নির্দিষ্ট এলাকায় ১ ঘন্টা করে লোড শেডিং কার্যকর করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকেই সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ১ ঘন্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জুলাই ২০২২
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ায় সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি ও মন্দির পরিদর্শনে এসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, নড়াইলে হামলাকারীরা একটি অভিন্ন গোষ্ঠী। এরা আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যকে ধ্বংস করতে চায়।‘এ দেশে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টান সকলেই এক সাথে হাজার বছর ধরে বসবাস করছে। এটা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। একটি গোষ্ঠী আমাদের এই সম্পর্কের বন্ধন নষ্ট করতে চায়’ ।বুধবার (২০ জুলাই) সকালে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের সকল অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কঠোর অবস্থানের বার্তা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের নেতৃত্বে ঢাকা থেকে সড়কপথে দিঘলিয়ার সাহাপাড়ায় পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি, দোকানপাট ও মন্দির পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় লোকজনদের সাথে কথা বলেন।নাছিম বলেন, নড়াইলে যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে এর কারণে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। সেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ভাই বোনদের মন্দির, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সহিংসতা হয়েছে। একটি সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এই ঘটনা ঘটিয়েছে।তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এই ঘটনা শুরু হওয়ার পরপরই যখনই বিষয়টা জানতে পেরেছেন তিনি খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। মতবিনিময় সভায় নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা বলেন, শান্তি প্রিয় নড়াইলে যারা এ ঘৃণিত ঘটনার সাথে জড়িত তাদের অবশ্যই বিচার হবে। আপনাদের সাহস বাড়াতে হবে। মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়লে হবে না । আমরা আপনাদের পাশে সবসময় ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতে থাকবো। সভা শেষে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে নগদ টাকা প্রদান করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জুলাই ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অল্প সময়ের মধ্যেই এ সংকটের সমাধান হবে।আজ সকালে রাজধানীর সেতু ভবনে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, পদ্মাসেতু হয়ে যাওয়ায় বিএনপি নেতাদের যে অন্তর জ্বালা বেড়েছে তা এখনো কমেনি বরং দিনদিন বাড়ছে এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন সমনেই আসছে তরুণ প্রজন্মের মেট্রোরেল, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ অনেক মেগা প্রকল্প, তাই বিএনপি নেতারা চোখে শুধু সর্ষে ফুলই দেখতে পাচ্ছেন। সামেনে যখন এসব প্রকল্পের উদ্বোধন হবে তখন বিএনপি নেতারা চোখে সর্ষে ফুল ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবেন না বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিদ্যুৎ নিয়ে সাময়িক যে সংকট সেটা নাকি সীমাহীন দুর্নীতির কারণে হয়েছে এবং এ সংকট নাকি সরকারের পতনের দিকে নিয়ে যাবে, - বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের আবারও বলেন সরকার পতনের যে দিবা স্বপ্ন বিএনপি দেখছে সেটা অচীরেই দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।দুর্নীতিতে সিদ্ধহস্ত বিএনপি নেতারা সব কিছুতেই দুর্নীতির গন্ধ খুঁজে বেড়ান, এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন সবকিছু নিয়ে মিথ্যাচার করা বিএনপির এখন দৈনন্দিন রুটিন হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন দেশবাসী জানেন বিশ্বব্যাপী এখন জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে এবং ইউক্রেন - রাশিয়া যুদ্ধ এ সংকটকে আরো প্রকট করেছে। যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি মার্কেট চরম অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে, এ পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি যাতে বড় ধরনের কোন ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে লক্ষ্যে সরকারকে আগেভাগেই কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ বিশ্বব্যাপী এ সংকটের কোন সমাধানের কথা না বলে বরং দুর্নীতির কাল্পনিক অভিযোগ তুলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে এবং দুরভিসন্ধিমূলক শান্ত জনগণকে উস্কে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বিএনপির এসব মিথ্যাচার আর ষড়যন্ত্র জাতির কাছে এখন স্পষ্ট। বিএনপির কথা মানুষ এখন আর বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন যে কোন সংকট ও দুর্যোগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আজ পরীক্ষীত। তিনি বলেন করোনা সংকট মোকাবিলায় যেখানে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ হিমশিম খেয়েছে সেখানে শেখ হাসিনা সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করোনা সংকট মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন দেশবাসী ভালো করেই জানেন, যে কোন সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অন্য যে কোন দলের থেকে অনেক অনেক এগিয়ে। কাজেই মিথ্যাচার আর অপপ্রচার করে জনগণকে উস্কে দেওয়ার যে ষড়যন্ত্র বিএনপি করছে সে ফাঁদে দেশবাসী পা দেবে না।তিনি বলেন অতীতেও জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের ওপর আস্থা রেখেছে এবং এখনো রাখছে।বিশ্ব পরিস্থিতি ও বাস্তবতা বিএনপি অনুধাবন করতে না পারলেও জনগণ ঠিকই বিষয়টি অনুধাবন করে সরকারকে সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওবায়দুল কাদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জুলাই ২০২২