বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।শুক্রবার সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পের 'ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ক' মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, 'একটি পক্ষ থেকে এমন প্যানিক ছড়ানো হচ্ছে যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই।'সুইজারল্যান্ডের কাছে অর্থ পাচারকারীদের তথ্য আবারও চাওয়া হবে কি না, এর জবাবে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়, তাদের কাছে তথ্য চাওয়া হলে তারা তথ্য দিতে চায় না। এটা তাদের মজ্জাগত সমস্যা।''অতীতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৬৭ জনের নামোল্লেখ করে সুইস ব্যাংকে তাদের অর্থের তথ্য চাওয়া হয়েছিল, সেসময় তারা শুধু একজনের তথ্য দিয়েছিল। আরও কয়েকবার তথ্য চাওয়া হলেও রাষ্ট্রদূত বলছেন তথ্য চাওয়া হয়নি।'তিনি সুইজারল্যান্ডকে বাংলাদেশের বন্ধু দেশ উল্লেখ করে তথ্যের বিভ্রাট না করার আহ্বান জানান।এর আগে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী।উপস্থিক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে রিজিওনাল হাব হিসেবে ব্যবহার করতে এ বিমানবন্দরে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। রানওয়ে বড় করাসহ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নতুন টার্মিনাল ভবনের কাজ চলছে। আগামীতে সিলেট থেকে নিউইয়র্কে সরাসরি ফ্লাইট যাবে।'
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ আগস্ট ২০২২
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ইভিএম হচ্ছে ভোট জালিয়াতির মেশিন, নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনেই ইভিএম চেয়েছে। এই মেশিন তারা চেতনায় ধারণ করে। কারণ ইভিএম মেশিন ছাড়া তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো উপায় নেই। ভোট দেবেন ধানের শীষে, ভোট চলে যাবে নৌকায়। এ কারণেই তারা ইভিমএম মেশিন চায়। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে তারা আবারও নতুন করে পাঁয়তারা করছে।নির্বাচন সামনে রেখে সরকার বিদেশি চাপে আছে। তাই বেশ কিছুদিন ধরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে কোনো ঝামেলা করছে না।আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দেশের চাপ, বিভিন্ন চাপ যে তোমরা বিরোধী দলকে সভা সমিতি করতে দাও না। এখন তারা দেখাচ্ছে যে বিরোধী দলকে সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছি। গতকালকেও আমরা সমাবেশ করেছি, খুব বেশি ঝামেলা করেনি। আজকেও চারদিকে পুলিশ আছে, কিন্তু ঝামেলা করছে না। কারণ, তারা দেখাচ্ছে, আমরা তো গণতান্ত্রিক দল, আমরা কোনো ঝামেলা করি না। এগুলো প্রতারণা। এই প্রতারণা তাদের চরিত্রের সঙ্গে জড়িয়ে।’ভোলায় সম্প্রতি বিনা কারণে দুজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল। গত ১৫ বছরে সরকার বিএনপির ৬০০–এর বেশি নেতা–কর্মীকে গুম করেছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ব্যাংকগুলো খালি হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে সরকার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। কিন্তু এখন রিজার্ভ কমছে। সরকার ঋণ চেয়ে বেড়াচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বে জ্বালানির দাম কম, কিন্তু দেশে দাম বাড়ছে। সরকার তাহলে সমন্বয় কীভাবে করছে, সে প্রশ্ন তোলেন।’মির্জা ফখরুল দেশকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তিনি আন্দোলন করতে আহ্বান জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগ কর্মীরা মাঠে নামলে বিএনপি অলিগলিও খুঁজে পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগকে অচিরেই রাজপথে দেখা যাবে এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, বিএনপির হাঁকডাক লোক দেখানো। কর্মীদের চাঙ্গা রাখার অপকৌশল মাত্র। শুক্রবার (১২ আগস্ট) নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পরিকল্পিতভাবে অপরাজনীতির মাধ্যমে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। আওয়ামী লীগ কর্মীরা মাঠে নামলে রাজপথ নয়, বিএনপি অলিগলিও খুঁজে পাবে না।বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার সুযোগ নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়াই বিএনপির জন্য মঙ্গল। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া- এসব দিবাস্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই। বিএনপি নেতারা কর্মীদের রাজপথ দখলের নির্দেশ দিয়েছে- এ প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজপথ কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়, রাজপথ জনগণের সম্পদ। কাজেই অতীতের মতো আবারও যদি রাজপথ দখলের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিএনপি চায় সরকারে গিয়ে আবার লুটপাটের অবাধ সুযোগ সৃষ্টি করতে। আবার হাওয়া ভবন তৈরি করে দেশের অমিত সম্ভাবনার পথ রুদ্ধ করে অন্ধকার পথে হাঁটতে। জনগণ তাদের সে সুযোগ আর কখনো দেবে না। এদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যর্থ বিরোধীদল হিসেবে বিএনপি নিজেরাই চাচ্ছে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে, দেশকে সংকটে ফেলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে।আওয়ামী লীগের এ শীর্ষ নেতা বলেন, জনগণের প্রতি আস্থাহীন এক রাজনৈতিক দল বিএনপি। তাদের রাজনৈতিক মেরুদণ্ড অত্যন্ত ভঙ্গুর। বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায় কিন্তু নির্বাচনে যেতে ভয় পায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ আগস্ট ২০২২
পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন,বঙ্গবন্ধুর কাছে মানুষের মানুষের অধিকার রক্ষায় দেশ স্বাধীন করাই ছিলো লক্ষ্য-উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। আসলে তিনি স্বাধীণতা চেয়েছিলেন। অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সংগ্রাম করেছিলেন।’ বঙ্গবন্ধু হচ্ছে পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র নেতা, যিনি প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি না হয়েও যা বলতেন তৎকালীণ পূর্ব বাংলার সাড়ে ৭ কোটি মানুষ তাই করতেন। একটি রাজনৈতিক দলকে তিলে তিলে গড়ে তুলে সেই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে একটি দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। সেই দেশের নাম হচ্ছে বাংলাদেশ।শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘নজরুল হামিদ’ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।১৫ আগস্ট ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি।এনামুল হক শামীম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে অনেকেই মহাত্মাগান্ধী, কায়েদ-ই-আজমসহ অনেক বিশ্ব নেতার সঙ্গে তুলনা করেন। মহাত্মগান্ধী কিন্তু কংগ্রেস সৃষ্টি করেন নাই। কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। কায়েদ-ই-আজমও মুসলিম লীগ সৃষ্টি করেন নাই। মুসলীম লীগে যোগ দিয়েছিলেন। আর বঙ্গবন্ধু হচ্ছে পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল একজন নেতা, যিনি একটি রাজনৈতিক দল গড়ে তুলে সেই দলের নেতৃত্বে একটি দেশ স্বাধীন করেছিলেন।’“প্রধানমন্ত্রী তিনি হতে পারতেনই। মন্ত্রীত্বকে তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার জন্য। কারন তার লক্ষ্য নির্ধারিত ছিলো। তার লক্ষ্য ছিলো আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে তিলে তিলে গড়ে তুলে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে এবং পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের বিজয়ী হতে হবে।”বঙ্গবন্ধু অগ্নিঝরা সেই ৭ মার্চের ভাষনের আবেদন তুলে ধরে এনামুল হক শামীম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষনের আব্রহাম লিংকনের গেটিসবার্গের ভাষনের সঙ্গে তুলনা করেন, আরো অনেক ভাষনের তুলনা করেন। আসলে এই ভাষনের সঙ্গে অন্য কোনো ভাষনের তুলনা হয় না।’“একটি জাতিকে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে মুক্ত করার জন্য স্বাধীন করার জন্য যা কিছু করার দরকার তিনি তা করেছিলেন। চিন্তা করেন একটি বাক্য যদি ভুল হতো সেখানে অনেক কিছুই হয়ে যেতে পারতো।”তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের নামও আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন। তিনি ছাত্রলীগকে দিয়ে আগেই পতাকা উড়িয়েছিলেন সবুজের বুকে লাল। রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ জাতীয় সংগীত করার বিষয়ে আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন।এ সময় দেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের অবদান স্বীকার করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জেলে, সেই সংকটকালে সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু সঙ্গে কারাগারে দেখা করে তার বার্তা আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে পৌঁছে দিতেন শেখ ফজিলাতুন্নেসা।এ সময় মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য ভারতের তৎকালীণ প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্ধিরা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।এনামুল হক শামীম বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলো..খুনি জিয়া, মোশতাকরা ভেবেছিলো বঙ্গবন্ধুতে হত্যা করে তার নাম মুছে ফেলা যাবে। পোস্টারের বঙ্গবন্ধুকে ছিড়ে পেলা যায়, দেয়ালের বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায়; কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ের শেখ মুজিবুর রহমানকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। কারন বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ এবং স্বাধীনতা এক ও অভিন্ন।সভায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের আংশিক বিচার হয়েছে। যারা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে তাদের দেশে এনে বিচার শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে ওই হত্যাকান্ডে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যে ষড়যন্ত্র ছিলো, তা উন্মেচন করতে তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। তা হলে ইতিহাসের এই অপূর্ন অধ্যায়ের জন্য রাজনীতিবিদদের ভবিষ্যতের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি এম শফিকুল করিম বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীন করার লক্ষ্য ধারন করেছিলেন এবং একটি স্বাধীন জাতি আমাদের উপহার দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত নিজের রক্ত দিয়েছেন এই দেশের জন্য। বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু থেকে এবং বঙ্গবন্ধু থেকে বাংলাদেশকে কখনো আলাদা করা যাবে না।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পেরেছে, কিন্তু দেশের মানুষের হৃদয় থেকে তার নাম মুছে ফেলতে পারে নি। এটা কখনো সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিলো, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আজ বিচার হয়েছে। এর মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মুখচ্ছবি, তিনি চিরঞ্জিব। যারা বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে, তারাই ইতিহাস থেকে মুছে গেছে। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব। এ সময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল কাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক তাপসী রাবেয়া আঁখি, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কামাল মোশারেফ, ক্রীড়া সম্পাদক মাকসুদা লিসা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নাদিয়া শারমীন, আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান, কল্যান সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, কার্যনির্বাহী সদস্য হাসান জাবেদ, এসকে রেজা পারভেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ আগস্ট ২০২২
আগামী ২২ আগস্ট থেকে দেশের প্রতিটি থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছড়িয়ে পড়তে বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, প্রথমে উপজেলা, এরপর প্রতিটি ইউনিয়ন-গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ব। পরে জেলা ও মহানগর গুলোতে বিক্ষোভ সমাবেশ করব। জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এ অনির্বাচিত অবৈধ সরকারকে পতনে বাধ্য করব।বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং এবং সব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনা সরকারকে বলতে চাই, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। এই মুহূর্তে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নতুন নির্বাচন দিয়ে সংসদ গঠন করতে হবে। সরকার গঠন করতে হবে।দলের নেতাকর্মীদের রাজপথ দখলের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের রাজপথ দখল করতে হবে। রাজপথে দখলের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।মির্জা ফখরুল বলেন, তরুণ সমাজই দেশকে স্বাধীন করেছে। আমরা যখন তরুণ ছিলাম, যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছি। আজ আবারও এ তরুণ সমাজকে জেগে উঠতে হবে। তরুণদের নতুন করে দেশ স্বাধীন করতে হবে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, সংগ্রাম শুরু হয়েছে, লড়াই শুরু হয়েছে। এ লড়াই আমাদের বেঁচে থাকার লড়াই। এ লড়াই বিএনপির নয়, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বাঁচা মরার লড়াই। আমাদের লড়াইয়ে শরিক হতে হবে, ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আমরা ফ্যাসিস্ট, দানবীয়, মাফিয়া সরকারকে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।তিনি বলেন, আগামীকাল (শুক্রবার) উপজেলা পর্যায়ে সমাবেশ আছে। আগামী ২২ তারিখ থেকে আমরা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ব। প্রতিটি উপজেলায় শন্তিপূর্ণ সমাবেশের মধ্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে পরাজিত করতে বাধ্য করব।প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করারতেও সমাবেশ থেকে আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।এদিকে, সমাবেশ চলাকালে পল্টন পলওয়েল ও চায়না টাউন মার্কেট বরাবর আকাশে কয়েকটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। যদিও কে বা কারা এ ড্রোন ওড়ায়, তা জানা যায়নি।ড্রোন ওড়ানোর প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা অনেকে ড্রোনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন আগে একটি খবর আমার চোখে পড়েছে, সরকার বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরান থেকে ২১টি ড্রোন আমদানি করেছে। তারা বলেছেন, এ ড্রোন নিয়েছে ভাসানচরে রাখা রোহিঙ্গাদের মনিটরিং করবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে গিয়ে ছিলেন, তিনি দেখেছেন ড্রোন দিয়ে কিভাবে কী করে। আসলে তারা এগুলো নিয়ে এসেছে এ দেশের মানুষকে মনিটরিং করার জন্য, যারা গণতন্ত্র চায় তাদের মনিটরিং করার জন্য। তিনি বলেন, ড্রোনের নাম শুনলেই আমরা ভয় পাই। ভয় পাই কারণ আমরা দেখেছি, ড্রোন দিয়ে কীভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে গিয়ে বিভিন্ন নেতাদের হত্যা করা হয়। আমরা দেখেছি এ ড্রোন দিয়ে কীভাবে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই-সংগ্রামকারীদের হত্যা করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ আগস্ট ২০২২
সমাবেশে অংশ নিতে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন থানা-ওয়ার্ডের বিএনপির নেতাকর্মীরা ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে আসতে শুরু করেন। যার ফলে আনুষ্ঠিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার আগে নয়াপল্টনের ভিআইপি সড়কের একপাশ বিএনপির নেতাকর্মীদের দখলে চলে যায়। ফলে, ফকিরাপুল থেকে কাকরাইলগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে আশপাশের সড়কেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ ভোলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি।সড়কের ওপর পিকআপ ভ্যানে অস্থায়ী মঞ্চে দুপুর ২টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। এছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির নেতারাও বক্তব্য রাখবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ আগস্ট ২০২২
কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের ফলে অভাবনীয় পরিবর্তন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘দেশে প্রতিবছর ২০ থেকে ২২ লাখ মানুষ বাড়ে, ২ লাখ একর কৃষিজমি কমে। এরপরও আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ আছি এবং কৃষিপণ্য রপ্তানিও করছি।’ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় তিন দিনব্যাপী কৃষিপ্রযুক্তি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে দেশে ৯০ ভাগ কৃষি যান্ত্রিকীকরণ হয়েছে। ফলে কৃষিপণ্য রপ্তানি করে বছরে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি উপার্জন হয়। ভবিষ্যতে তা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) জামশেদুল আলম।হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে সাফল্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেখাতে পেরেছে, এটি অভাবনীয় ও সারা পৃথিবীর জন্য একটি উদাহরণ। বাংলাদেশ আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর ৯২তম দেশ। কিন্তু বাংলাদেশ ধান ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে পৃথিবীতে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে চতুর্থ ও আলু উৎপাদনে সপ্তম।রাঙ্গুনিয়ায় অনেক কৃষিজমি পতিত থাকে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এসব পতিত কৃষিজমিতে শাকসবজি থেকে শুরু করে নানা ধরনের কৃষিপণ্য উৎপাদন করা সম্ভব। আমাদের এখান থেকে সারা দেশে কিংবা সারা চট্টগ্রামে কৃষিপণ্য যাবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখন উল্টো হচ্ছে। তাই আগামী শীত মৌসুম সামনে রেখে একটি পরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’পৃথিবীতে খাদ্যসংকট চলছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীতে এখন সংকট চলছে। পৃথিবীতে খাদ্যসংকটও তৈরি হয়েছে। কারণ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ; করোনা মহামারি এখনো যায়নি। আবার কোন মহামারি আসে, তা বলা যায় না। তাই প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন, যেন দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না থাকে।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার। সঞ্চালনায় ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন 'বিএনপিরই রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে'বিএনপি নেতারা বলছেন আওয়ামী লীগ সরকারের নাকি বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে! গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত একটি সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের বক্তব্য শুধু সংবিধান পরিপন্থিই নয়, গণতন্ত্রের নীতি বহির্ভূতও বটে। যা গণতন্ত্রের প্রতি হুমকিস্বরূপ। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস হলো এদেশের জনগণ এবং ক্ষমতা দেওয়ার মালিক মহান আল্লাহ্। বিএনপিরই রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার সময় এসেছেবুধবার (১০ আগস্ট) দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।বিএনপি নেতাদের বক্তব্য উস্কানিমূলক ও মিথ্যা অপপ্রচার দাবি করে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় বিবৃতিতে। বিবৃতিতে আরো বলেন' নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, বিএনপির মতো জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দলের মুখের কথায় জনগণ কখনো আস্থা রাখেনি। বিগত ১৪ বছর লাগাতারভাবে বিএনপি নেতারা এ ধরনের কথা এবং আন্দোলনের হাঁকডাক দিয়েই চলেছে। কিন্তু এদেশের জনগণ বিএনপির ডাকে সাড়া দেয়নি। কারণ জনগণ ভুলে যায়নি, বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দেশবাসীকে কী ধরনের দুঃশাসন ও অপশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট হতে হয়েছিল।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ব্যর্থতা বাংলাদেশকে চরম অনিশ্চয়তা ও দুরবস্থার মুখে ঢেলে দিয়েছিল। তারা সরকার পরিচালনায় যেমন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, বিরোধী দল হিসেবেও চরম দায়িত্বহীনতার নজির স্থাপন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের নয় বরং নেতিবাচক রাজনীতি ও নির্বাচন বিমুখতার জন্য বিএনপির রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে।তিনি বলেন, প্রতিদিনই বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনগুলো মিটিং-মিছিল সভা-সমাবেশ করছে। অথচ তারা অভিযোগ করছে তাদের সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না; রাজনৈতিক অধিকার থেকে নাকি বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে নিজেদের ব্যর্থতা ও নানা অপকর্মের দায় সরকারের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করা বিএনপির চিরাচরিত অভ্যাস। মিথ্যার মোড়কে লুকায়িত তাদের অগণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বরূপ জনগণের কাছে এখন স্পষ্ট। তাদের শাসন আমলেই তো দেশ মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছিল। ওবায়দুল কাদের বলেন, ধর্মীয় উগ্রবাদ, উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছিল। সার ও বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছিল। সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভয়াবহ ও নিকৃষ্টতম নজির স্থাপন করেছিল। আবারও তারা দেশকে সে অরাজকতায় ডুবিয়ে দিতে চায়। কিন্তু জনগণ বর্ণচোরা বিএনপিকে চেনে। সুতরাং সে সুযোগ জনগণ আর তাদের দেবে না।তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। কারণ গত চার দশক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাঙালি জাতি সব সংকট ও চ্যালেঞ্জ জয় করতে সক্ষম হয়েছে এবং এদেশের জনগণের সব স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। এ দেশের যা কিছু মহৎ অর্জন এবং সংকট জয়ের সাফল্য তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা ভরসা ও বিশ্বাস।আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ অভিঘাতের মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সংকট দেখা দিয়েছে এবং আমাদের জনজীবনেও তার অনাকাঙ্ক্ষিত ঢেউ লেগেছে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সবাই ধৈর্য ও দায়িত্বশীল আচরণ করলে অতীতের মতো সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভিশনারি ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বৈশ্বিক এই সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ্। জয় আমাদের হবেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন নির্বাচনে আসা না আসা যে কোন দলের নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যাপার, কিন্তু নির্বাচন হতে না দেওয়ার আস্ফালন করে লাভ নেই । তিনি বলেন যতই বাধা আসুক সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।ওবায়দুল কাদের আজ সকালে তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে একথা বলেন।সরকার নাকি আন্দোলনে ভীত, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য কমেডি ক্লাবের জন্য যুৎসই হতে পারে কিন্তু দেশের বাস্তবতার সাথে কোন মিল নেই এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন দেশে কোথায় তাদের আন্দোলন? কোথায় তাদের উত্তাপ? জনগণতো কিছু দেখছে না।তিনি আরও বলেন একবার শুনি রাজপথ দখলে নিবে,আবার শুনি সরকারকে টেনে নামাবে,কখনো শুনি নির্বাচন হতে দিবে না।আসলে বিএনপির সক্ষমতা কতটুকু তা আমাদের জানা আছে।বিএনপি নেতাদের প্রতিদিন অভিন্ন বক্তব্য, হুমকি-ধামকি শুনতে শুনতে জনগণ এখন হাসে বলেও মনে করেন তিনি।বৈশ্বিক সংকটের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির সরবরাহে অস্থিতিশীলতা ও মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন এ সংকট কোন দেশের নয়,এ সংকট সারা বিশ্বের। মন্ত্রী বলেন এ বাস্তবতা অনুধান না করে বিএনপি ও তার দোসররা শুধু বাংলাদেশ সরকারকে দায়ী করছেন।বিএনপি নেতাদের কথায় কথায় দুর্নীতি আর লুটপাটের কথা বলা বিষয়ে ওবায়দুল কাদের তাদের উদ্দেশে বলেন অন্ধকারে ঢিল না ছুঁড়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিয়ে বলুন, কোথায়,কারা, কে দুর্নীতি করছে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন দুর্নীতির প্রশ্নে শেখ হাসিনা সরকারের শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির কোন নড়চড় হয়নি।জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পরিবহন ভাড়া সমন্বয় করা হয়েছে কিন্তু কোন কোন পরিবহন বাড়তি ভাড়া আদায় করছে এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন পরিবহন মালিক শ্রমিকগণ সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকছেন,তারাসহ বৈঠক করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা বাস্তবে প্রয়োগ করবেন।মন্ত্রী বলেন যারা সমন্বয়কৃত ভাড়ার বেশি আদায়ের চেষ্টা করছেন - আমাদের মনিটরিং এর আওতায় তারা রয়েছেন, তাই আবারো তাদের সহযোগিতা চাচ্ছি, অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পরিবহনে যারা পরিকল্পিত ভাবে ধর্ষণ ও ডাকাতির মত ঘটনা ঘটায় তাদের গণশত্রু আখ্যায়িত করে বলেন তারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করছে। এদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ আগস্ট ২০২২
পঁচাত্তরের পনোরো আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কুশীলবদের বের করতে তদন্ত কমিশণ গঠনের দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। একই সঙ্গে ওই হত্যাকাণ্ডে বিদেশে পালিয়ে থেকে আত্মস্বীকৃত ও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের বাংলাদেশের কাছে তুলে দিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।সোমবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে বাঙালির গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামের নেপথ্যের সংগঠক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।বঙ্গমাতার ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এর আয়োজন করে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটি। হানিফ বলেন, "পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের শিকার হননি বঙ্গমাতাও হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিলেন। তার হথ্যকারী যারা তাদের যারা দণ্ডপ্রাপ্ত বিদেশে পালিয়ে আছে তাদের বাংলাদেশের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ঐ সকল রাষ্ট্রগুলোকে অনুরোধ করবো।“যারা কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলেন, মানবতার কথা বলেন, মানবতার পক্ষে অবস্থান নিতে বলেন; তাদের কাছে জাতির পক্ষ থেকে আমাদের অনুরোধ, আপনারা তো সবচেয়ে মানবাধিকারের দেশ হিসেবে চিহ্নিত, আপনারা তো গণতন্ত্রের বড় দেশ হিসেবে চিহ্নিত, আপনাদের মতো দেশে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত এবং দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের অবস্থান বিশ্বের কাছে এবং বাঙালি জাতির কাছে সবচেয়ে বড় বেমানান।”বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, কিন্তু এই হত্যকান্ডের নেপত্যে কুশীলবদের মুখোশ এখনো উন্মেচন হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, "পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলো, যাদের জন্য সমাজ ও দেশ বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলো; এই বিভক্ত দুর করতে হলে পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের যারা কুশীলব ছিলো, সেই জিয়াউর রহমনাসহ তাদের মুখোশ উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন।“এজন্য তদন্ত কমিশন গঠন করে পঁচাত্তরের এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নেপথ্যে থেকে যারা ভুমিকা রেখেছিলো, তাদের মুখোশ উন্মেচন করা হোক। তাহলে আমাদের ভবিষ্যতে যুব সমাজ ইতিহাস জানতে পেরে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে এবং এই জাতি আস্তে আস্তে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।”পচাত্তরের হত্যাকাণ্ডেরর পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়ার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, "জিয়াউর রহমানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিলো, যারা আত্মস্বীকৃত ঘাতক তাদের বিচার করতে গেলে নেপথ্যে খলনায়কদের নাম বেরিয়ে আসবে। আর এতে জিয়াউর রহমানের নাম সবার আগে চলে আসবে। এজন্য তিনি ঘাতকদের বিচার বন্ধ করেছিলো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার কারনেই এই বিচার করা সম্ভব হয়েছে।"বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, কিন্তু এই হত্যকান্ডের নেপত্যে কুশীলবদের মুখোশ এখনো উন্মেচন হয়নি জানিয়ে করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, "পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলো, যাদের জন্য সমাজ ও দেশ বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলো; এই বিভক্ত দুর করতে হলে পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের যারা কুশীলব ছিলো, সেই জিয়াউর রহমনাসহ তাদের মুখোশ উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন।“এজন্য তদন্ত কমিশন গঠন করে পঁচাত্তরের এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নেপথ্যে থেকে যারা ভুমিকা রেখেছিলো, তাদের মুখোশ উন্মেচন করা হোক। তাহলে আমাদের ভবিষ্যতে যুব সমাজ ইতিহাস জানতে পেরে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে এবং এই জাতি আস্তে আস্তে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।”পচাত্তরের হত্যাকাণ্ডেরর পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়ার কথা স্বরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, "জিয়াউর রহমানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিলো, যারা আত্মস্বীকৃত ঘাতক তাদের বিচার করতে গেলে নেপথ্যে খলনায়কদের নাম বেরিয়ে আসবে। আর এতে জিয়াউর রহমানের নাম সবার আগে চলে আসবে। এজন্য তিনি ঘাতকদের বিচার বন্ধ করেছিলো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার কারনেই এই বিচার করা সম্ভব হয়েছে।"বঙ্গবন্ধুর জীবনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসার অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, "বেগম মুজিবের বিচক্ষনতা ছিলো প্রখর। রাজনীতিতে তিনি যুক্ত ছিলেন না কিন্তু নেপথ্যে থেকে রাজনীতিতে সহায়তা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তার যে পরামর্শগুলো ছিলো তা ছিলো অবিস্মরনীয়। তিনি অনেক অনুপ্রেরণাময়ী ছিলেন।"ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনে অনেকে অনেক পরামর্শ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকে। কিন্তু বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে নিজের মনে যা আসবে তা বলতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে যখন কারগারে থাকতেন তখন তার সাথে দেখা করে তার নির্দেশনা দলের নেতাকর্মীদের জানাতেন।"দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা,কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, ইতিহাসবিদ ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক সুভাষ সিংহ রায়। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও উপ কমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন , বেগম মুজিবের আত্মত্যাগের অবদানকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।বঙ্গবন্ধুর কর্মীবান্ধব গুণাবলির শতভাগই আমরা বেগম মুজিবের মধ্যে দেখতে পাই। দলীয় কর্মীদের সুখ-দুঃখের সাথী ছিলেন তিনি। হোক সে রাজনৈতিক কর্মী অথবা সাধারণ নিম্নবিত্ত মানুষ, তার কাছ থেকে সাহায্য চেয়ে কেউ কখনও খালি হাতে ফিরে যেত না।সোমবার (৮ আগস্ট) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের ৭২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অসহায় দুস্থ নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।নানক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদীর্ঘকাল বাঙালির জাতির অধিকার আদায়ের অঙ্গীকার ও দৃঢ় প্রত্যয়ের নেপথ্যে আড়াল থেকে প্রচ্ছন্ন ভূমিকায় ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী। কাল থেকে কালান্তরে জাতির পিতার বর্ণিল সময়, কারান্তরিত সময় কিংবা উত্তাল ছাত্র জীবনের বিদগ্ধ সময় সকল রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক দিনযাপনের ব্যবচ্ছেদ করলে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সর্বংসহা ভূমিকা বেরিয়ে আসবে।তিনি বলেন, খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু এবং সবশেষে বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে যে নারীর অবদান অনস্বীকার্য তিনি আর কেউ নন, তিনি আমাদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধু তার জীবনের পুরোটা সময় ব্যয় করেছেন জনগণের সেবায়, দেশের কল্যাণে, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সংকল্প ও স্বাপ্নিক সাহসে।সেই সাহসের অন্তমিলে যে নামটি জুড়ে রয়েছে তা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধুর সাহসের অভিযাত্রায় দিগ্বিজয়ী দৃঢ়চেতা সুরে একটি নাম বারবার তিনি উচ্চারণ করেছেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে নামটি রেণু, আমাদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। মানুষের ভালোবাসার কাঙ্গাল ছিলেন বঙ্গবন্ধু। নেতা-কর্মীদের প্রাণ উজাড় করে ভালোবাসতেন তিনি।নানক জানান, ১৯৪৬ সালে দাঙ্গার সময় বেগম মুজিব নিজে অসুস্থ থাকা অবস্থায়ও বঙ্গবন্ধুকে দাঙ্গা উপদ্রুত এলাকায় যেতে বারণ করেন নি। সেই সময় বেগম মুজিব বঙ্গবন্ধুকে চিঠিতে লিখেছেন - “আপনি শুধু আমার স্বামী হবার জন্য জন্ম নেননি, দেশের কাজ করার জন্য জন্ম নিয়েছেন। দেশের কাজই আপনার সবচাইতে বড় কাজ। আপনি নিশ্চিন্তমনে সেই কাজে যান। আমার জন্য চিন্তা করবেন না। আল্লাহর উপর আমার ভার ছেড়ে দিন।” এভাবে নিজের জীবনটা উনি দিয়ে গেছেন। সবাইকে নিয়ে চলে গেলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে মহাপ্রয়াণের পরও বঙ্গমাতা আজও স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর আত্মত্যাগের অবদানকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার দায়িত্ব আমাদের সকলের।সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বধীনতা এনে দিয়েছেন। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপ্রেরণার উৎস। সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে থেকে অনুপ্রাণিত করেছেন। বঙ্গবন্ধু রাজনীতির করেছিলেন দেশের জনগণের জন্য এবং বেগম মুজিবের কর্মকাণ্ডও ছিল এ দেশের মানুষের জন্য। তিনি ছায়ার মতো বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে দলের নেতাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ আগস্ট ২০২২
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রবীণ মানুষ। সত্তরোর্ধ্ব এই বয়সে কঠিন এক সময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন তিনি। যে সময়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, গণতন্ত্রের মাতা, দেশনেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে রেখে বিনা ভোটের সরকার জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। দেশনেত্রী কারাগারে, দলের পরবর্তী কান্ডারী বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের শক্তির প্রতীক বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশদরদী তারেক রহমান সুদূর লন্ডনে। বিএনপি মহাসচিব নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো'র ঐক্য তৈরি করতে।এখানে বলে রাখা দরকার, ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি'র সভায় দেশনেত্রী তার বক্তৃতায় ঐক্যপ্রক্রিয়ার দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। ম্যাডাম কারাগারে যাবার পর মহাসচিবসহ স্হায়ী কমিটি সদস্যগণ যখন কারাগারে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তখন তিনি চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছিলেন। জাতীয় নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময় তাদের বক্তব্যে তা উল্লেখ করেছেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সরাসরি তদারকিতে বিএনপি স্হায়ী কমিটির দুজ'ন সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে (প্রয়াত) সঙ্গে করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট রেখেই অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যৌক্তিক ভাবে তৈরি করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যার অগ্রভাগে ছিলেন সংবিধান প্রণেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। বলা চলে নিয়তির টানেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই লড়াইয়ের সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে যেমন কাজ করতে হয়েছে এবং এখনো কাজ করতে হচ্ছে। একনিষ্ঠভাবে তিনি লক্ষ্য স্থির রেখে ধৈর্যের সাথে সঠিক পদক্ষেপ রেখে গুরুদায়িত্ব এখনো পালন করে যাচ্ছেন। বিশেষত, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ সাল থেকে আজ অবধি যা ঘটেছে সেখানে তিনি নিজেই নিজের পথপ্রদর্শক।গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অভিভাবক স্থানে রেখে, সুদূর লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় রাজনৈতিক জীবনে সবচাইতে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে দেশ ও দলের জন্য উজ্জ্বল এক যাত্রাপথ রচনা করে চলেছেন; সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীর প্রত্যাশার চূড়া নির্মাণে যিনি নিবেদিত, তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রহীন বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠা ম্যাডাম খালেদা জিয়ার নবদিগন্তের সূচনা বড় সাফল্য ছিল। তার এই সাফল্যের ছায়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুই অর্জনে হতে পারেন কীর্তিমান। প্রথমত, অঘোষিত বাকশাল, বিনাভোটের আওয়ামী সরকার ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করার গভীর ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আস্থা অর্জনের মধ্যে দিয়ে এবং দলের স্বার্থ রক্ষায় বড় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন নিজে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নিয়ে। দ্বিতীয়ত, দেশে লাগামহীন দূর্নীতি, নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, অর্থনীতি সংকট, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি, পরিবহন খাতে নৈরাজ্য, কৃষি খাতে ব্যয় বৃদ্ধি, নজিরবিহীন বিদ্যুৎ লোডশেডিং-এ নাভিশ্বাস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বানিজ্য, পররাষ্ট্র নীতিতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যেখানে সরকার সর্বতই বীরদর্পে ব্যর্থ, সেখান থেকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বর্তমানে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য "সরকার বিরোধী ঐক্য গঠন", আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করানো, দেশনেত্রী'র মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সম্মানজনকভাবে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করানো, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় গুণগত পরিবর্তন প্রতিজ্ঞায়, ‘জাতীয় সরকার গঠন করা’। প্রথম রাজনৈতিক সংগ্রামের পর দ্বিতীয় এই সাফল্যের মধ্যে দিয়ে অর্থনীতির শিক্ষক, ছাত্ররাজনীতির অভিজ্ঞান থেকে বাংলাদেশের রাজনীতির ক্রান্তিকাল পরিভ্রমণশেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হয়ে উঠতে পারেন একজন কীর্তিমান। লেখক : শায়রুল কবির খান, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিকর্মী, সদস্য, বিএনপি মিডিয়া সেল ও চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ আগস্ট ২০২২
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর যেকোনো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি রাজপথে মোকাবিলা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা রাজপথের পুরাতন খেলোয়াড়। বিএনপি তো এই পথে নতুন। আসুন, রাজপথে মোকাবিলা হবে, ফয়সালা হবে।’বিএনপিকে আগুন নিয়ে না খেলার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আগুন নিয়ে খেলতে এলে পরিণাম হবে ভয়াবহ।সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির জনক হতে পেরেছেন তাঁর পাশে সহযোদ্ধা-সহযাত্রী হিসেবে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের মতো মহীয়সী নারী ছিলেন বলেই। তাঁর মতো প্রজ্ঞা ও ধৈর্যশীল নারী না থাকলে একটি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দেওয়া জাতির জনকের জন্য অত্যন্ত দুরূহ হতো।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বঙ্গমাতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ওবায়দুল কাদের। পরে দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বঙ্গমাতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বঙ্গমাতাসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময়ে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, আবদুর রহমান ও এ এইচ এম খাইরুজ্জমান লিটন; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম; সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম; মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান প্রমুখ।বঙ্গমাতা ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাকনাম ছিল রেণু। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক। মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির জনকের হত্যাকারীদের হাতে নির্মমভাবে শাহাদাতবরণ করেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দেশবাসী শঙ্কিতমন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।জনগণের বিরুদ্ধে জুলুমের আরেকটি নগ্ন বহিঃপ্রকাশ রোববার শাহবাগে বাম ছাত্র সংগঠনের ডাকা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের অমানবিক হামলা এবং অসংখ্য ছাত্রকে আহত করা। মূলত, গণআন্দোলনের ভয়ে অবৈধ সরকার কর্তৃক এখন জুলুমের বৈচিত্র্যময় বিন্যাস দেখা যাচ্ছে। সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি। ফখরুল বলেন, ভোলায় গুলি চালিয়ে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতার প্রাণ নেওয়ার পর জনদৃষ্টিকে বিভ্রান্ত করতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের লাগামহীন ও অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি ও লুটপাটের প্রতিবাদে গতকাল (রোববার) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে ‘প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের’ ব্যানারে ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ বর্বরোচিত হামলা চালায়। এ পৈশাচিক হামলায় অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।আওয়ামী সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্তে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ বৃদ্ধিতে জনজীবনে এক দুর্বিষহ নৈরাজ্য নেমে এসেছে- দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, কৃষি ও শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধিসহ নজিরবিহীনভাবে মূল্যস্ফীতি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়াতে শুরু করেছে।ফখরুল বলেন, যখন বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, তখন বাংলাদেশে এর দাম বাড়ানো কর্তৃত্ববাদী নব্য বাকশালী সরকারের দম্ভের বিকৃত প্রকাশ। জ্বালানি তেলের দাম কমানোর যৌক্তিক দাবি নিয়ে জনগণ যখন রাস্তায় নেমে আসতে শুরু করেছে, তখন তা দমন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রাইভেট লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।সরকার দেশকে ‘ডেঞ্জার জোনে’ পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এ সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নিজেদের পেটোয়া ছাত্রলীগ-যুবলীগ দিয়ে গোটা দেশকে ডেঞ্জার জোনে পরিণত করেছে।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের গণভিত্তি ধসে যাওয়ায় তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে জনগণের ওপর হামলা চালিয়ে প্রতিনিয়ত রক্ত ঝরাচ্ছে। নিজেদের লুটপাট, হরিলুট ও দুর্নীতিসহ সব অপকর্ম ঢাকার জন্যই গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করে বাংলাদেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে আগামী নির্বাচন একতরফা করার জন্য জনগণের ওপর পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন চালাবে, এ পুলিশি হামলায় তারই নমুনা ফুটে উঠেছে। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, দুঃশাসনের পরিকাঠামো নির্মাণ করে কেউ বেশিদিন মসনদে বসে থাকতে পারেনি।ফখরুল বলেন, দেশের জনগণ কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। আমি বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর ওপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ আগস্ট ২০২২
৫১ শতাংশেরও বেশি জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নির্দয় ও নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, জ্বালানি তেলের এমন মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে মহাবিপর্যয় সৃষ্টি হবে। প্রমাণ হলো দেশের মানুষের প্রতি সরকারের কোনো দরদ নেই। শনিবার (৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, অকটেনের মূল্য এক লাফে ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। ৮৬ টাকা লিটারের পেট্রোলের দাম ৫১ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি লিটার ৮০ টাকার বদলে বিক্রি হচ্ছে ১১৪ টাকায়। অথচ বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম এখন নিম্নমুখী। গত ৪/৫ মাসে বিভিন্ন স্থানে বেঞ্চমার্ক ক্রুড অয়েলের দাম কমেছে ২৯ থেকে ৩০ শতাংশ উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ইউএস বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮৯ ডলারের নিচে নেমে গেছে। গত মার্চে যার দর উঠেছিল ১২৪ ডলারে। আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল বিক্রি হচ্ছে ৯৪ ডলারে। সারাবিশ্বে যখন জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে, তখন দেশে তেলের মূল্য বৃদ্ধি সব মহলকে হতাশ করেছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেড়ে যাবে পরিবহন ব্যয় উল্লেখ জিএম কাদের আরও বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। পাশাপাশি দেশীয় পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে, বাড়বে দামও। এতে রপ্তানি শিল্পেও বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। ভয়াবহ পরিণতির দিকে অগ্রসর হবে দেশের অর্থনীতি। হাহাকার উঠবে সাধারণ মানুষের পরিবারে। তাই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ আগস্ট ২০২২
ভোলায় পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,আগস্ট মাস এলেই বিএনপির ঘাতক চরিত্র বেপরোয়া হয়ে উঠে। এই মাসে দলটি সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পায়।আওয়ামী লীগ প্রস্তুত রয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখলে বোঝা যাবে কারা অস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। হামলা করলে পুলিশ কি আঙুল চুষবে- প্রশ্ন করেন তিনি।শুক্রবার (৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো পর এসব কথা বলেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোলার ঘটনা কে ঘটিয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখুন। কীভাবে ঘটেছে, কারা আক্রমণ করেছে, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কারা মিছিল করেছে, কারা সেই অস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ কি করবে? আঙ্গুল চুষবে? ভোলায় বিএনপির ঘাতক চেহারা স্পষ্ট হয়েছে। তারা চেয়েছে নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও অস্থির, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে। আগুন সন্ত্রাস করে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে।কাদের বলেন, শেখ কামালের জন্মদিনে আবাহনী মাঠে ও বনানী কবরস্থানে এত মানুষ, এত তরুণের সমাবেশ। এতে প্রমাণ হয়, আমরা প্রস্তুত। হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি আমরা রুখবই। এটা আমাদের শপথ। জন্মদিনের আনন্দ হারিয়ে গেছে পঁচাত্তরের রক্তাক্ত বিদায়ের মাধ্যমে। শহীদ শেখ কামালের কাছে বাংলাদেশের তরুণ সমাজের অনেক কিছু শেখার আছে। বহুমাত্রিক প্রতিভা ও মেধার অধিকারী ছিলেন।তিনি বলেন, ক্রীড়াঙ্গনে ক্রিকেট ও ফুটবল, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রতিদিন দেখা যেত শেখ কামালকে। আবার মধুর ক্যান্টিনে এসে ছাত্রলীগ সংগঠন করতেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল হতে পারেন দেশের তরুণ সমাজের কাছে রোল মডেল।প্রসঙ্গত, সারা দেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৩১ জুলাই ভোলায় আয়োজিত বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বাধা দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। ওই ঘটনায় পুলিশ ছাড়াও বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী নিহত হন। একই ঘটনায় গত বুধবার বিকেলে মারা যান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম।বনানী কবরস্থানে দলীয় নেতাদের নিয়ে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানান ওবায়দুল কাদের। পরে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।পরে বনানী কবরস্থান মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ আগস্ট ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব:) ফারুক খান এমপি বলেছেন, আমি আর শেখ কামাল একসাথে ঢাকা কলেজে লেখাপড়া করেছি। ঢাকা কলেজের সব থেকে জনপ্রিয় ছাত্র ছিলেন শেখ কামাল। তার ব্যবহার ছিল অমায়িক। তার মাঝে ছিল নেতৃত্বের সকল গুণাবলী। শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সাহসিকতার সাথে মুক্তিবাহিনীকে পরিচালনা করেছেন। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে শেখ কামাল সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদেরকে শেখ কামালের মতো সাহসী ও দেশ প্রেমিক হতে হবে। তিনি বলেন, ঢাকা কলেজে থাকা অবস্থায় পাকিস্তান শিক্ষা সাপ্তাহের অনুষ্ঠান ছিল ঢাকা কলেজে। আমরা জানতে পারি মোনায়েম খান ঢাকা কলেজে আসবেন। তখন শেখ কামাল আমাকে বলে মামা মোনায়েম খানের অনুষ্ঠান আমরা ঢাকা কলেজে হতে দিব না। সেদিন হাতে কালো পতাকা নিয়ে শেখ কামাল মোনায়েম খানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। সে থেকে আমরা বুঝতে পারি শেখ কামাল কি পরিমান সাহসী নেতা ছিলেন। শুক্রবার (৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ শেখ কামাল এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১০ টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরস্থ ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।ফারুক খান বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের বাংলাদেশ সারা বিশ্বের রোল মডেল। বিশ্বের সকল বড় বড় প্রতিষ্ঠান বলছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এভাবে যদি আরো ৪/৫ বছর এগিয়ে যায় তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৩ তম অর্থনৈতিক দেশ হবে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশের উন্নয়ন চায় না। বিএনপি নেতারা প্রতিদিন অর্থনীতি নিয়ে গুজব রটাচ্ছে, জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।স্বেচ্ছাসেবক লীগকে উদ্দেশ্য করে কর্নেল ফারুক খান বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ আজ একটি শক্তিশালী সহযোগী সংগঠন। আপনারা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত শেখ কামালের মতো সাহসিকতার সাথে বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। শেখ হাসিনাকে ২০০৭ সালে আটকের পর আপনারা যে আন্দোলন করেছেন সেটা সারাদেশ দেখেছে। আপনাদের শেখ কামালের মতো সাহসিকতার সাথে সকল কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এই আগস্ট মাসে আমরা এমন একজনের জন্মদিন পালন করছি যে তরুণ প্রজন্মের কাছে আইকন। শহীদ শেখ কামাল একজন বিনয়ী ও নিষ্ঠাবান মানুষ ছিলেন। ছাত্রজীবনে তিনি সফলতার সাথে পড়াশোনা শেষ করেছেন। কিন্তু ঘাতকদের বুলেটের আঘাতের কারনে তিনি তার সফলতাটুকু দেখিয়ে যেতে পারেননি। আজকের এ দিনে আমরা তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। এছাড়াও ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা সহ তার পরিবারের যে ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে তাদের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তিনি বলেন, এ আগস্ট মাসে আমরা যা হারিয়েছি তা কোনদিন আমরা ফিরে পাবোনা। বাঙালি জাতি হারিয়েছে তাদের পিতাকে। আমরা হারিয়েছি আমাদের আদর্শকে। যাকে নিয়ে বাঙালি জাতি স্বপ্ন দেখতো। যিনি স্বপ্ন দেখতেন বাঙালি জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে নিয়ে। খুনি জিয়া মোস্তাক গংরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট তাকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকারীদের প্রতি রয়েছে আমাদের তীব্র ঘৃণা। আমরা জাতির পিতার আদর্শ বুকে নিয়ে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জেগে আছি। যতদিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রেতাত্মাদের শেষ করতে না পারব ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তিনি আরও বলেন, শহীদ শেখ কামালের আদর্শ আজকের তরুন প্রজন্মের গ্রহণ করা উচিত, কারণ শহীদ শেখ কামাল শুধু একজন ভালো ছাত্রই ছিলেন না, একজন ভালো ছাত্রনেতা ও দক্ষ সংগঠক ছিলেন। তিনি শুধু ছাত্র রাজনীতি করেননি তিনি একজন ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। তিনি ক্রীড়াকে নিয়ে ব্যাপক কাজ করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি মজিবর রহমান স্বপন, ফারুক আমজাদ খান, আব্দুল সালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, খায়রুল হাসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা, আব্দুল্লাহ আল সায়েম, আ ফ ম মাহবুবুল হাসান, প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বিটু, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ আগস্ট ২০২২
ছাত্রলীগের অগ্রজ শেখ মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন ভাই এর লেখা 'ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা' বইটি পড়ছিলাম। এক জায়গায় এসে চোখ থমকে দাঁড়ালো, অশ্রুসজল অনুভব করছিলাম এই ভেবে যে, একজন অমায়িক সজ্জন একজন মানুষকে, কতভাবেই না মৃত্যু পরবর্তীতে ইতিহাস বিকৃতির স্বীকার হতে হয়েছে। জাহিদ ভাই, ৬৯ এর গন অভ্যুত্থান এর স্মৃতিচারণ করে উনি লিখেছেন, "১৯৬৯ সাল। সেই উত্তাল সময়ের ফেব্রুয়ারীর ১৯ অথবা ২০ তারিখ, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে ঢাকা শহরে এক বিশাল মিছিল বের করা হয়েছিল। দুই লাইনের বিশাল সেই মিছিলটি উত্তেজনা, বিশালতা এবং নিয়ন্ত্রণের বিবেচনায় আজও সম্ভবত অনন্য। যাহোক, সেই মিছিলে আমরা পূর্বপরিকল্পনা মতো ছড়িয়ে ছিলাম এবং ভাগ ভাগ করে দুই লাইনের মাঝখান দিয়ে হেঁটে স্লোগান দিচ্ছিলাম। আমার পরেই ছিল শেখ কামাল। মাথায় রুমাল বেধে শেখ কামাল তার নিজস্ব ভঙ্গিমায় আগে পিছে দুলে দুলে স্লোগান দিচ্ছিল আর তার চারপাশের সঙ্গীরাও বেশ সাড়া দিচ্ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে খেয়াল করলাম লোকজন আস্তে আস্তে শেখ কামালের কাছ থেকে সরে যাচ্ছে। বেশ কিছু লোক এগিয়ে আমার দিকে চলে এসেছে আবার কিছু লোক পিছিয়ে সৈয়দ শাহেদ রেজা এবং নজরুল ইসলাম (ঢাকা কলেজ) যেখানে স্লোগান দিচ্ছিল সেদিকে চলে যাচ্ছে। বিষয়টি চোখে পড়ার মতো, আমি আমার স্লোগান সহকর্মী শাহাবউদ্দিনকে ধরিয়ে দিয়ে এগিয়ে আসা একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম তাদের সামনে-পিছনে সরে পড়ার কারণ। লোকটি কোনরকম দ্বিধা না করে সরাসরি শেখ কামালের দিকে আঙ্গুল উচিয়ে বেশ জোরে প্রচণ্ড ঝাঁঝের গলায় বলল, 'ওই বেটা নিশ্চয়ই পাকিস্তানীদের দালাল, সব স্লোগান দেয় কিন্তু শেখ মুজিবের মুক্তির স্লোগান দেয় না।' স্পষ্টতই আমি হতবাক। কামালও ওইভাবে ওর দিকে আঙ্গুল উচিয়ে জোরে কটাক্ষ করে কথা বলায় হতভম্ব হয়ে থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছে। কোনোরকমে নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম যাকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে একথা বলছেন, সে শেখ মুজিবের বড় ছেলে শেখ কামাল। সেজন্যই বাবার মুক্তির স্লোগান নিজে দিতে পারছে না। লোকটি কতক্ষণ শেখ কামালের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে এক দৌঁড়ে গিয়ে সোজা শেখ কামালকে ঘাড়ে তুলে নিল, তারপর শুধু একই স্লোগান, তোমার নেতা আমার নেতা, শেখ মুজিব-শেখ মুজিব, জেলের তালা ভাংবো শেখ মুজিবকে আনবো, শেখ মুজিবের মুক্তি চাই, দিতে হবে ইত্যাদি। সেদিন মিছিলের অন্যান্য যায়গায় দুই লাইন রাখা সম্ভব হলেও শেখ কামালের স্থানে আর সেটি রাখা সম্ভব হয়নি। আর দেখলাম সদা প্রাণচঞ্চল শেখ কামালকে, একটু আগেও যে নেচে নেচে হেলে দুলে তার স্বাভাবিক ভঙ্গিমায় স্লোগান দিচ্ছিল, এখন বাকহারা হয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে নীরবে হেঁটে চলছে। হয়ত সে মুহুর্তে সাধারণ মানুষের ভালোবাসার অনুভূতি তার অন্তরকে গভীরভাবে আপ্লুত করেছিল।" শেখ কামালের জীবন অধ্যায়ের শুরু কথা বঙ্গবন্ধু তার 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী'তে লিখেছেন এভাবে,"একদিন সকালে আমি ও রেণু বিছানায় বসে গল্প করছিলাম। হাচু ও কামাল নিচে খেলছিল। হাচু মাঝে মাঝে খেলা ফেলে আমার কাছে আসে আর 'আব্বা' 'আব্বা' বলে ডাকে। কামাল চেয়ে থাকে। একসময় কামাল হাচিনাকে বলছে, "হাচু আপা, হাচু আপ, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলি।" আমি আর রেণু দুজনেই শুনলাম। আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠে যেয়ে ওকে কোলে নিয়ে বললাম, "আমি তো তোমারও আব্বা।" কামাল আমার কাছে আসতে চাইত না। আজ গলা ধরে পড়ে রইল। বুঝতে পারলাম, এখন আর ও সহ্য করতে পারছে না। নিজের ছেলেও অনেকদিন না দেখলে ভুলে যায়! আমি যখন জেলে যাই তখন ওর বয়স মাত্র কয়েক মাস। রাজনৈতিক কারনে একজনকে বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা আর তার আত্মীয়স্বজন ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে দূরে রাখা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা কে বুঝবে? মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়।"বাংলাদেশ ছাত্র লীগের একজন নিবেদিত, সংগ্রামী, আদর্শবাদী কর্মী হিসেবে ৬৯-র গণঅভ্যুত্থান ও ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে যথোচিত সাহসী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ রাতে পাকহানাদার বাহিনী কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত ৩২ নম্বর সড়কস্থ বাসভবন আক্রান্ত হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে বাড়ি থেকে বের হয়ে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি অঙ্গনের শিক্ষার অন্যতম উৎসমুখ ছায়ানট-এর সেতার বাদন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি সমাজের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে সমাজ চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণে মঞ্চ নাটক আন্দোলনের ক্ষেত্রে তিনি প্রথমসারির সংগঠক ছিলেন। বন্ধু শিল্পীদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী। শেখ কামাল ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অভিনেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধূলায় প্রচণ্ড উৎসাহ ছিল তাঁর। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। শহীদ শেখ কামাল আমাদের দেশে নান্দনিক ফুটবল ও ক্রিকেটসহ অন্যান্য দেশীয় খেলার মান উন্নয়নে তাঁর অক্লান্ত শ্রম দিয়ে অপরিসীম অবদান রেখেছিলেন। নতুন নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টির লক্ষে প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলতেন এবং তাদের সাথে নিয়মিত অনুশীলন করতেন। ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক শেখ কামাল অমর হয়ে থাকবেন তার সৃষ্টি আবাহনীর মাঝে। বাংলাদেশ তাকে মনে রাখবে আধুনিক ফুটবলের জনক হিসাবে।১৯৪৯ সালের এই দিনে তিনি তদানীন্তন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে জাতির জনকের হত্যাকারী মানবতার ঘৃণ্য শত্রুদের নির্মম-নিষ্ঠুর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়ে শাহাদাত বরণ করেন।বহুমাত্রিক অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক শেখ কামালের আজ জন্মদিন। অনন্য প্রতিভার অধিকারি শেখ কামালকে স্মরণ করছি বিনম্র শ্রদ্ধায়।লেখক- কৃষিবিদ দীপক কুমার বনিক দীপু। সদস্য, কেন্দ্রীয় উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ আগস্ট ২০২২
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের উপ-ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক মনোনিত হয়েছেন আমির হামজা।৩১ জুলাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল— নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশ ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে দেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদর্শিক ভ্যানগার্ড হিসেবে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনিমার্ণে আপনার সর্বাত্মক অংশগ্রহণ ছাত্রলীগের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করবে।আমির হামজার বাড়ি বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন।
Harun Ur Rashid । ০৪ আগস্ট ২০২২
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী জুলুম সরকারের হাত থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হবে। ‘পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ। এর চেয়ে যন্ত্রণার কিছু নেই। আমাদের ছেলে নুরে আলম ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি। তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাহিনী। গুলি করে হত্যা করেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিমকে। আরও ১৯ জন ঢাকায়, বরিশাল হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।’ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ভোলা জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নুরে আলমের জানাজায় এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জানাজা হয়।নুরে আলমের জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকে বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত হন। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তাঁরা। রাস্তা বন্ধ করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের জমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিলের কারণে নয়াপল্টনের ভিআইপি রোডের এক পাশে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।জানাজার পর মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে নতুন নয়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর একদলীয় শাসন পোক্ত করার জন্য ১৫ বছর ধরে ৬০০ নেতা–কর্মীকে গুম করেছে। ৩৫ লাখ নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন আর ক্রন্দন নয়, আমাদের জেগে উঠতে হবে। এই ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী জুলুম নির্যাতনকারী সরকারের হাত থেকে এই জাতিকে মুক্ত করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। শান্তিপূর্ণভাবে গণ–আন্দোলন শুরু করে নুরে আলম এবং রহিমের হত্যার প্রতিশোধ নেব।’বক্তব্যের একপর্যায়ে বিএনপি মহাসচিব আজ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আগামী ৫ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত শোক পালন করার জন্য বিএনপি সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করবে, কালো পতাকা উত্তোলন করবে। ৬ আগস্ট ছাত্রদল ঢাকায় সমাবেশ করবে, ৭ আগস্ট কৃষকদল সমাবেশ করবে, ৮ আগস্ট যুবদলের উদ্যোগে সমাবেশ হবে।গত ৩১ জুলাই ভোলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে আহত হন নুরে আলম। পরে তাঁকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার তিনি মারা যান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ আগস্ট ২০২২