রাজনীতি


খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নেতারা আহ্লাদী করছেন : শেখ হাসিনা

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নেতারা আহ্লাদী করছেন : শেখ হাসিনা

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ‘ খালেদা জিয়া অসুস্থ তাকে বিদেশে পাঠাও, আহ্লাদের আর শেষ নেই' । মেকআপ নিয়ে ভ্রু এঁকে হাসপাতালে যান। আর তার চিকিৎসকরা বলেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা খুবই খারাপ। ওনার নাকি লিভার পচে গেছে। লিভার কেন পচে যায়, সেই কথা মুখে আনতে চাই না।’তিনি বলেন, দেশে আজ গুম-খুনের কথা বলা হয়, ভোট কারচুপির কথা বলা হয়। কিন্তু এদেশে গুম-খুন, ভোট কারচুপির সৃষ্টি করেছিল জিয়াউর রহমান। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।তিনি বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা ১৫ আগস্টের খুনি, তাদের স্বজন ও কিছু অপরাধী দেশের বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র করেছে। তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বিএনপির ক্ষমতার সময়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কী হয়েছিল ঢাকা শহরে, বিদ্যুতের জন্য হাহাকার, পানির জন্য হাহাকার। সারের জন্য মাঠে নামায় ১৮ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে গেলাম, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সে উৎপাদন কমিয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।জ্বালানি তেলের দাম কমানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তেল পাচার বন্ধ হওয়ায় লিটারে ৫ টাকা দাম কমানো হয়েছে। আমরা কখনও ধার করে ঘি খাই না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের যে ঋণ তাতে আমরা কখনও কারো কাছে আটকে যাব না। বাংলাদেশ সেই অবস্থায় নেই।শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে বন্যা হচ্ছে। সেখানকার নারী-শিশুরা চরম দুর্দশায় রয়েছে। বাংলাদেশ যুদ্ধে বিজয়ী জাতি। আমরা সেখানে সাহায্য পাঠাব।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ আগস্ট ২০২২


আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এবার বাড়ি-ঘরে হামলা শুরু করেছে : মির্জা ফখরুল

আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এবার বাড়ি-ঘরে হামলা শুরু করেছে : মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এবার বাড়ি-ঘরে হামলা শুরু করেছে। ক্ষমতাসীন দল সারা দেশে দলীয় কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলা, নেতা–কর্মীদের মারধর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করছে। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একবারও তারা (ক্ষমতাসীন দল) চিন্তা করছে না, যে কাজটা তারা শুরু করেছে, এটা সমগ্র দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে।’আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে চলমান কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীনদের হামলার ঘটনা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ পর্যন্ত এসব হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৭০০ নেতা-কর্মী। মিথ্যা মামলা করা হয়েছে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর নামে। মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬০ জনের অধিক।মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সারা দেশে এত দিন ধরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ত্রাস সৃষ্টি করেছে। তারা এখন একটা নতুন মাত্রা যোগ করেছে, নেতা-কর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা শুরু করেছে। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে, দলীয় কার্যালয়ে ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে ও নেতা-কর্মীদের খুন-জখম করছে।বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে এই আন্দোলনে সম্পূর্ণভাবে বর্তমান অবৈধ সরকার ভীত হয়ে, সন্ত্রস্ত হয়ে আজকে আবার সেই তাদের দমননীতি চালিয়ে যেতে শুরু করেছে।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছুদিন আগে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বললেন যে কাউকেই গ্রেপ্তার করা হবে না, সভা-সমিতির সবকিছু করতে দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, তারা কথা বলবেন একটা আর কাজ করবেন আরেকটা। এখন দেখা যাচ্ছে যে ঠিক উল্টো কাজটি তাঁরা করছেন। এটাই আওয়ামী লীগের চরিত্র। তাদের যে সন্ত্রাসী চরিত্র, সেটা আরও একবার এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশের জনগণের কাছে উদ্ভাসিত হয়েছে। এভাবেই তাঁরা এ দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন, বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ আগস্ট ২০২২


বিএনপি সারাদেশে আন্দোলনের নামে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে যাচ্ছে : কাদের

বিএনপি সারাদেশে আন্দোলনের নামে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে যাচ্ছে : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সারাদেশে আন্দোলনের নামে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে যাচ্ছে । বিএনপির রাজনীতিই হলো ষড়যন্ত্র -চক্রান্ত-হত্যা-ক্যু ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা । আজ সোমবার তিনি এক বিবৃতিতে একথা বলেন।বিএনপি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে একটি সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের তাঁর বিবৃতিতে বলেন তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণ ও গণতান্ত্রিক ঔদার্য নিয়ে সহনশীল আচরণ করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন, আর এই সুযোগে বিএনপি তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী মাঠে নামিয়ে ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে রাজনৈতিক ফয়দা লোটার অপতৎপরতা চালাচ্ছে।অন্ধকারে অপশক্তি বিএনপি সরকারে থাকা অবস্থায় যেমন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সৃষ্টি করেছিল, তেমনি বিরোধীদলে থেকে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও শান্তি - শৃঙ্খলা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ আগস্ট ২০২২


আওয়ামী লীগের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ হচ্ছে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ : মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ হচ্ছে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ হচ্ছে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। দলটির রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে বল প্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। বিএনপির চলমান আন্দোলন কর্মসূচিতে সরকার ভীত হয়ে দমন পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। অথচ ‘অবৈধ’ সরকার প্রধান কয়েক দিন আগে বলেছিল— বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে আর বাধা দেওয়া হবে না। এর মানে হচ্ছে মুখে এক কথা বলবে আর কাজ করবে আরেকটি। এটাই তাদের আসল চরিত্র।সোমবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতের ‘জোট ত্যাগ’ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, আপনারা বলতে পারেন, জিজ্ঞাসা করতে পারেন। কিন্তু এ ব্যাপারে আমি উত্তর দেব না। জিজ্ঞাসা করাটা আপনাদের যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার, ঠিক তেমনি উত্তর না দেওয়াটাও আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। আপনারা গণতান্ত্রিকভাবে যা খুশি বলতে পারেন, লিখে দেন নো প্রবলেম।জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির কর্মসূচি ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচি গত ২২ আগস্ট থেকে চলমান রয়েছে, এই কর্মসূচি সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। কর্মসূচিতে আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। যেসব জেলা উপজেলা ইউনিয়ন মহল্লায় কর্মসূচি পালন করা সম্ভব হয়নি সেসব স্থানে চলমান কর্মসূচি আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ আগস্ট ২০২২


বিএনপি ও জামায়াত একই মায়ের দুই সন্তান : হানিফ

বিএনপি ও জামায়াত একই মায়ের দুই সন্তান : হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি ও জামায়াত কখনো আলাদা হতে পারে না। কারণ বিএনপি ও জামায়াত একই মায়ের দুই সন্তান। দুইটি দলেরই জন্মই হয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আই এস আই এর মাধ্যমে।‘বিএনপি-জামায়াতের কর্মকাণ্ড পাকিস্তান দূতাবাস থেকে মনিটরিং করা হয়। এদের সম্পর্ক কখনো ছিন্ন হবে না। জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এখন বিচ্ছেদের কথা প্রচার করছে’। সোমবার (২৯ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।হানিফ বলেন, 'বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানের আইএসআই'র দ্বারা পরিচালিত। বিএনপি-জামায়াতের জন্মই হয়েছে একই জায়গা থেকে। ওই পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই'র থেকে। এই দুটি দল পরিচালিত হয় একই জায়গা থেকে৷ এরা কখনো আলাদা হবে না।'বিএনপির প্রতিষ্ঠা মেজর জিয়াউর রহমানও বাংলাদেশে পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেন বলেও দাবি করেছেন হানিফ।তিনি বলেন, 'জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বাংলাদেশে কাজ করেছে৷ তার প্রমাণও সে রেখে গেছে৷ কর্নেল ফারুক এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের আগে তারা দফার দফার জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছে।'তিনি বলেন, 'এই দুটি দলকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে হবে।'বিএনপির শাসনামলের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। তারা আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেয়াকর্মীকে হত্যা করেছিল। ২৬ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল এই বিএনপি - জামায়াত। যারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছিল, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল, তারা এ বিষয় নিয়ে এখন মিথ্যাচার করে।'

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ আগস্ট ২০২২


বিএনপি'র গায়ে পোড়া মানুষের গন্ধ : আ.লীগ নেতা সৈয়দ শামীম

বিএনপি'র গায়ে পোড়া মানুষের গন্ধ : আ.লীগ নেতা সৈয়দ শামীম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম বলেছেন, বিএনপি এখন গণতন্ত্রের কথা বলছে অথচ নির্বাচন ঠেকানোর নামে ২০১৪ সালে পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে।তিনি বলেন, 'আপনারা দেখেছেন কিভাবে তারা পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। বিএনপির গায়ে হত্যা সন্ত্রাস, ধর্ষণ ও দুর্নীতি ও ভোট ডাকাতির গন্ধ লেগে আছে অথচ তারা এখন গণতন্ত্রের কথা বলে, যা হাস্যকর'।রবিবার (২৮ আগষ্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী হকার্স লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বছরের পর বছর ঘিরে রাখা হয়েছিল। দলের নেতাদের সেখানে যেতে দেয়া হয়নি, কোন মিছিল, কোন প্রোগ্রাম, কোন সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। অথচ তারা এখন গণতন্ত্রের কথা বলে।আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার অপরাধে কেরানীগঞ্জে পিতার সামনে কন্যাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল, বিএনপি নেতারা ভুলে গেছেন বোধহয় সে কথা, তিনি যোগ করেন। তিনি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন এবং তখন বঙ্গবন্ধুর হত্যার সংবাদ পাওয়ার পরে এই জিয়াউর রহমান বলেছিলেন ''so what, Vice-president will take over". কিন্তু সে সময়ে বাংলাদেশ সংবিধানে উপরাষ্ট্রপতির কোন পদ ছিল না। এ থেকে প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে যারা পর্দার অন্তরালে থেকে সহযোগিতা করেছিল তাদের মুখোশ উন্মোচন করে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে তাদের বিচারের দাবীও জানান এই আওয়ামী লীগ নেতা। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন বিএনপি-জামাত এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, এবং ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের মোকাবেলা করতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ আগস্ট ২০২২


দেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আশার আলো দেখছে-বাহাউদ্দিন নাছিম

দেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আশার আলো দেখছে-বাহাউদ্দিন নাছিম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচানোর সকল চেষ্টাই করেছে সে। তাদের রক্ষায় জিয়া ইনডেমনিটি আইন জারি করেছিলো। জিয়া দেশের সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি জঘন্যতম এক অধ্যায়।জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আগমনের মধ্য দিয়ে তিনি খুনিদের বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে এসেছেন। তাদের বিচার কার্যকর করেছেন এবং তাদের একটি অংশ এখনো পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অচিরেই তাদের ধরে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে।রবিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ খামারবাড়িতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে 'শোষিত মানুষের কণ্ঠস্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা' শিরোনামে প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমাদের ভিতরে কখনো কখনো দিক ভ্রষ্ট হওয়ার বিষয়টি বারবার প্রতিফলিত হয়েছে। আমাদের ভিতরেও বেইমান এর সংখ্যা কম নয়। এদের প্রতি লক্ষ্য রেখে আমাদের জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যেতে হবে এবং শেখ হাসিনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এর মধ্যে যারা বাধা সৃষ্টি করবে তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে।তিনি আরও বলেন, জাতির পিতাকে আমরা কখনো ফিরে পাবোনা। তবে তার অসম্পূর্ণ কাজ আমারা সম্পূর্ণ করতে পারি। এতে তার আত্মা শান্তি পাবে। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আমরা জাতির পিতার আত্মাকে শান্তি দিতে চাই এবং তার হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিশোধ নিতে চাই। প্রতিশোধ হলো মানুষের হৃদয়ে তাদের জন্য ঘৃণা। আজ বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আশার আলো দেখছে। দেশে উন্নয়ন ও অগ্রগতি হচ্ছে। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে ও বাংলাদেশ আজ বিশ্বের সম্মানিত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এই সবকিছু সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ আগস্ট ২০২২


বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকরের দাবী যুবলীগ নেতা অনুর

বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকরের দাবী যুবলীগ নেতা অনুর

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের বিদেশ থেকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজবিরুল হক অনু।‘বঙ্গবন্ধু হত্যার রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। আমরা চাই যেসব খুনি বিদেশে পলাতক আছে তাদেরকে ইন্টারপোলের সহযোগিতায় দ্রুত এই বাংলার মাটিতে ফিরিয়ে এনে ফাঁসীর রায় কার্যকর করা হোক,’ তিনি বলেন।রোববার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।যুবলীগের এই নেতা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খু‌নিরা দেশকে পি‌ছি‌য়ে দিয়ে‌ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতির স্বপ্নকে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যেত।’ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ আগস্ট ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে চাইলে নির্বাচনে আসুন, বিএনপিকে নানক

জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে চাইলে নির্বাচনে আসুন, বিএনপিকে নানক

বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি নেতারা যদি তাদের দলের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে চায় তাহলে তাদের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।“আগামী জাতীয় নির্বাচনে আসুন, দেখুন কার জনপ্রিয়তা কত বেশি রয়েছে। জনগণ আগুন সন্ত্রাসের পক্ষে রায় দিবে নাকি শেখ হাসিনার উন্নয়নের পক্ষে রায় দেবে। সেটি প্রমাণ হবে আগামী নির্বাচনে,” তিনি বলেন।রোববার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপি এবং জামায়াতের সম্পার্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপিকে ছেড়ে জামাত চলে গেছে, না জামাতকে ছেড়ে বিএনপি চলে গেছে, তা বোধগম্য নয়। আসলে রসুনের গোড়া এক জায়গায়। তিনি বলেন, ওদের চরিত্র এক, ওদের লক্ষ্য এক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে তারা মুছে ফেলতে চায়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করাই তাদের উদ্দেশ্যে।বিএনপিকে হুশিয়ারী দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগে ভোট দেওয়ার অপরাধে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি নেতারা ভাইয়ের সামনে বোনকে ধর্ষণ করেছে, পিতার সামনে কন্যাকে ধর্ষণ করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এসব কিছুই করেনি।‘আমরা তো ইচ্ছে করলে গত সাড়ে ১৩ বছরে আপনাদেরকে পিষে দিতে পারতাম। কিন্তু নেত্রী শেখ হাসিনার গণতন্ত্র বিশ্বাস করে বলেই আমাদেরকে সেটা করতে দেননি। করতে দেয়নি বলেই যারা আমাদেরকে রাজনৈতিক অফিসে ঢুকতে দেয় নাই, তারা আজকে গণতন্ত্রের কথা বলে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কথা বলতেই থাকে। তার পরেও বলে আমাদেরকে(বিএনপি) কথা বলতে দিচ্ছে না। এতটা নির্লজ্জ- বেহায়া। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।‘তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারনী ফোরামে এই নেতা বলেন, এই প্রজন্ম ১৫ আগস্ট দেখেনি, এই প্রজন্ম ২১ আগস্ট দেখেনি, ১৭ই আগস্ট সারাদেশে এক যুগে সিরিজ বোমা হামলা দেখেনি। এ প্রজন্ম জিয়াউর রহমানের অত্যাচার দেখেনি। এই প্রজন্ম হাওয়া ভবনের কর্তা দন্ডিত পলাতক তারেক রহমানের রক্তের হোলি খেলা দেখেনি। এই তরুণ প্রজন্মকে বুঝতে হবে সমাজের শত্রু কারা, দেশের সার্থবিরোধী কারা এ বিষয়গুলো জানতে হবে। তরুণ প্রজন্মের উপরে বিরাট দায়িত্ব রয়েছে জানিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, দিন-রাত পরিশ্রম করে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা এবং তাকে নিরাপদ রাখা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব এবং কর্তব্য।ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ আগস্ট ২০২২


জনগণ বিএনপির দুঃশাসনের কাছে এদেশকে আর ফিরিয়ে দিতে চায় না - কাদের

জনগণ বিএনপির দুঃশাসনের কাছে এদেশকে আর ফিরিয়ে দিতে চায় না - কাদের

জনগণ আর বিএনপির সেই দুঃশাসনের কাছে এদেশকে ফিরিয়ে দিতে চায় না,কোনদিন ফিরিয়েও দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপি ও তার দোসররা টাকার বিনিময়ে নানা ধরনের ফ্রন্ট করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পায়তারা করছে তিনি আজ সকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন।ওবায়দুল কাদের তাঁর বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।বিএনপি জানে নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে না, সেজন্য তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন এদেশে আর ক্ষমতার পরিবর্তন পেছনের দরজা দিয়ে হবে না, নির্বাচন করেই জনগণ যাকে চাইবে সেই ক্ষমতায় যাবে।তিনি বলেন নির্বাচনের মাধ্যমেই ফয়সালা হবে কে ক্ষমতায় থাকবেএদেশে আর ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন ৭৫ এর ১৫ আগস্ট ও ২১ শে আগস্ট রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, আমরা এখন অনেক সতর্ক। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিলো, তাদের হাতে এখন সেই রক্তের দাগ দগদগ করছে।ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি লুন্ঠনের মাধ্যমে হাওয়া ভবন তৈরি করেছিলো, দুর্নীতিতে ৫ বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।তিনি আরও বলেন কোটি কোটি টাকা কালো টাকার মালিক যারা হয়েছিল, বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা যারা বিদেশে পাচার করেছিল, সেই অপশক্তি বিএনপি নির্বাচনে জনগণের ভোট পাবে না।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন গুজবে কান দিবেন না,বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্ট দুঃসময় কেটে যাবে,সুদিন ফিরে আসবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন।রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ভারপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে শোক সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এবং রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ আগস্ট ২০২২


আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করা মানে আল্লাহকে অবিশ্বাস করা: গয়েশ্বর

আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করা মানে আল্লাহকে অবিশ্বাস করা: গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুখে যা বলে, করে তার উল্টো। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলেই ক্ষমতায় এসেছে। অথচ আজ ঠিক তার উল্টোটাই করছে। এই দলকে বিশ্বাস করা মানে আল্লাহকে অবিশ্বাস করা। আল্লাহকে তো আর অবিশ্বাস করা যাবে না তাহলে আওয়ামী লীগকে অবিশ্বাস করতে হবে। এই সরকারের অধীনে যেহেতু নির্বাচনে যাচ্ছি না সুতরাং ইভিএম ১টা আসনে দিবে না ১০টা আসনে সেটা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই। রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়নে জাতীয়তাবাদী প্রজম্ম ৭১ এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না এ সিদ্ধান্তে আমাদের অটল থাকতে হবে। আমাদের অ্যাকটিভিটির মাধ্যমে এখন থেকেই যেন জনগণ সেই বার্তা পায়। আমাদের আরও সাহসী হতে হবে। আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত করতে হবে। রাজপথে সক্রিয় থেকে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, একটা পজিটিভ দিক হলো বিএনপি এখন শুধু মার খায় না তারা মার দেয়। এটা বিএনপির জন্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যুদ্ধ। জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার যুদ্ধে অনেক রক্ত যাবে, অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে। জনগণের জন্য বিএনপিকে এই যুদ্ধে নামতেই হবে। পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশ্য তিনি বলেন, পুলিশকে আক্রমণ করা ঠিক নয়। তারা কর্তব্য পালন করছে। যদি তারা বাড়াবাড়ি করে আর জনগণ মনে করে ইউনিফর্মকে সম্মান করবে না তাহলে কিছুই করার নেই।তিনি আরও বলেন, বিদেশি চাপে সরকার হয়তো বলছে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আমরা কোনো হামলা মামলা করব না কিন্তু গত ১৫ দিনের পত্রিকার দিকে খেয়াল করেন। গত কয়েকদিন আগে যশোরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তরিকুল ইসলামের বাসায় হামলা করা হয়েছে।গয়েশ্বর বলেন, সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সিক্রেট ডায়েরি ফাঁস করে দিয়েছে। এই সিক্রেট ডায়েরির রাজ সাক্ষি তিনি। যেহেতু জনগণের কাছে তিনি এটি প্রকাশ করছেন সেজন্য তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাতে পারি। প্রধান আলোচকের বক্তব্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেন, সরকার অনুগত নির্বাচন কমিশন বসিয়েছে। এই আউয়াল কমিশন আমরা মানি না। বর্তমানে বিএনপির সঙ্গে সব দল একমত তারা নির্বাচনে যাবে না। বর্তমান সরকার গণতন্ত্র চায় না। সরকার জানে জনগণ তাদের সমর্থন করবে না। তাই তো তারা ভারতের সাহায্য চায়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ আগস্ট ২০২২


আমি খালেদা জিয়ার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করি : শামীম ওসমান

আমি খালেদা জিয়ার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করি : শামীম ওসমান

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, আমার সত্যি খালেদা জিয়ার জন্য কষ্ট লাগে। আমি তার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করি। শেখ হাসিনা বলেছিলেন- মানুষ অসুস্থ হলে সে যদি শত্রুও হয়, তার জন্য দোয়া করবে। লন্ডন থেকে নির্দেশ আসছে আর আপনারা বাংলাদেশে বসে লাফাচ্ছেন।শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে নারায়ণগঞ্জে ২নং রেলগেট এলাকায় আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।খেলার জন্য তারিখ চেয়ে শামীম ওসমান বলেন, আপনারা খেলতে চান, আমরাও খেলতে চাই। আপনারা আমাদের সঙ্গে কবে খেলবেন বলেন। তারিখ দিন কবে খেলবেন।তিনি বলেন, আপনারা ধ্বংসের পক্ষে, আমরা খেলবো ধ্বংসের বিপক্ষে। আপনারা খেলবেন সাম্প্রদায়িকতার ক্ষেত্রে, আমরা খেলবো অসাম্প্রদায়িকতার ক্ষেত্রে। সারা দেশে ঝামেলা করার দরকার কী? আসুন নারায়ণগঞ্জে খেলি। তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজনীতি করার কথা ছিল না বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে। বঙ্গবন্ধু আর পনেরো বছর পেলে বাংলাদেশ জাপানের মতো উন্নত দেশ থাকত। শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের স্বপ্ন না, তিনি আগামী দিনের সুন্দর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। জাতির পিতার কন্যাকে বলতে চাই- হতে পারেন আপনি নীলকণ্ঠী, চেষ্টা করেছি আপনার মতো হওয়ার। আমাদের ভুল থাকলে ভুল ধরিয়ে দেন। আপনারা তা করছেন না।আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আপনাদের টার্গেট সরকার ফেলে দেওয়া নয়, শেখ হাসিনাকে ফেলে দেওয়া। ওরা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায়। ওরা ওদের জায়গায় ঠিক আছে। আমরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বিভক্ত। বলেছিলাম- আমি স্লোগান দেব, আপনারা বক্তৃতা দিয়েন। সবাই তো বুঝল না। অনেকেই বুঝে না বোঝার ভান করেন। তারা আমাদের হুমকি দেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়েছেন। আল্লাহ তাকে সুস্থ রাখুক। তাদের সময় আমার বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছিল, আমার বহু লোককে হত্যা করা হয়েছিল। আমি যদি দোয়া করি আল্লাহ অবশ্যই দোয়া কবুল করবেন। লন্ডন থেকে যিনি হুকুম দিচ্ছেন, ছেলে হয়ে তো আসলেন না বাংলাদেশে। বুকে কলজে নাই নাকি সাহস নাই? আপনি লন্ডনে আরামে থাকেন নিজের ছেলের বউ তো বড় নামকরা ডাক্তার। শাশুড়ি তো মায়ের মতোই। তিনিও তো আসতে পারতেন, আসলেন না। তাদের একজন মেয়েও আছে। দাদীকে দেখতে তো একবারও আসলেন না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ আগস্ট ২০২২


ইসলামের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা- আউয়াল শামীম

ইসলামের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা- আউয়াল শামীম

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম বলেছেন, বিএনপি সারাজীবন ইসলামের দোহায় দিয়ে অপকর্ম করেছে কিন্তু ইসলামের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, সারাদেশে প্রতি উপজেলায় ১টি করে মোট ৫৬০ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে, ইতিমধ্যে ৬০ টি মসজিদ নির্মাণ সম্পন্ন করে দিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেখানে নারী-পুরুষের আলাদা নামাজের ব্যবস্থা করেছেন। ইমামদের চাকুরীর ব্যবস্থা করেছেন।আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, পবিত্র হজ্জ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মডেল মসজিদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যা পৃথিবীর কোন মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধান করেনি। ভিটা মাটিহীন মানুষকে থাকার জন্য সারাদেশে ঘর প্রদান করেছেন শেখ হাসিনা। সুতরাং এই দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য যিনি জীবনবাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন তার নাম শেখ হাসিনা।আরও পড়ুন- ‘জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাসিনো, জুয়া, মাদক ব্যবসায়ীসহ জঘন্য অপরাধীরা ছাড়া পাচ্ছে’আজ শনিবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীতে হাতিরঝিল থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃতিকরে ‘পাকিস্তানি কায়দায়’ দেশকে পরিচালিত করেছিল তারা। সেই সময় জিয়াউর রহমান খুনিদের বিদেশে চাকরি দিয়েছিল। তারেক জিয়া সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে ২০০৪ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।তিনি অভিযোগ করেন, ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার এই জঘন্যতম হত্যাকান্ডের জন্য সংসদে শোক প্রস্তাবও তুলতে দেয়নি তখনকার প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বরং তিনি বলেছিলেন শেখ হাসিনা তার সাইড ব্যাগ হতে গ্রেনেড বের করে সমাবেশে মেরেছিলেন।খালেদা জিয়ার জন্মদিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর স্কুল সার্টিফিকেটে ১৯৪৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর এবং বিবাহ সার্টিফিকেটে ১৮ অক্টোবর জন্মদিনের তারিখ কিন্তু খালেদা জিয়া উপহাস করার জন্য, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়ন করার জন্য ১৫ আগষ্ট জন্মদিন পালন করেন।শামীম বলেন, করোনার সময় আমরা কেউ ঘুমাতে পারিনি। খাদ্য সামগ্রী, চিকিৎসা সহ যাবতীয় খরচ আমরা বহন করেছি। তখন কোথায় ছিলো বিএনপি?আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন বিএনপির ষড়যন্ত্র, ধোঁকাবাজি থেকে সতর্ক থাকতে হবে। নতুন প্রজন্ম আপনারা তাদের মিষ্টি কথায় ভুলে যাবেন না। ওরা খুনি, ভোট ডাকাত, ওদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিবেন না।আরো পড়ুন: আমি খালেদা জিয়ার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করি : শামীম ওসমান

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ আগস্ট ২০২২


‘জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাসিনো, জুয়া, মাদক ব্যবসায়ীসহ জঘন্য অপরাধীরা ছাড়া পাচ্ছে’

‘জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাসিনো, জুয়া, মাদক ব্যবসায়ীসহ জঘন্য অপরাধীরা ছাড়া পাচ্ছে’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সরকার ক্যাসিনো, জুয়া, মাদক ব্যবসাসহ জঘন্য অপরাধে জড়িত অপরাধীদের ছেড়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাঁরা বলেন, সরকার গুন্ডা, মাস্তানদের দিয়ে জনগণকে ভয় দেখিয়ে দমন–পীড়ন করে রাখতে চায়।রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ শনিবার দুপুরে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচিতে এসব অভিযোগ করেন সাত দলীয় এ জোট নেতারা। ‘সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন কর, জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার কর ও দাম কমাও-মানুষ বাঁচাও’ স্লোগানে এই কর্মসূচি পালিত হয়।সমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘যাঁরা বাংলাদেশে ক্যাসিনো চালু করেছেন, জুয়া খেলা চালু করেছেন, তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোর্টকাছারি কোথায়? তাঁরা গিয়ে বঙ্গবন্ধুর কবরে ফুল দিচ্ছেন।’গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হকও তাঁর বক্তব্যে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িত ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ক্যাসিনো, মাদক ব্যবসাসহ জঘন্য অপরাধে জড়িত অপরাধীদের শেখ হাসিনা নির্বাচন উপলক্ষে ছেড়ে দিচ্ছে। যাতে ঢাকায় তাঁরা গুন্ডামি, মাস্তানি করেন। জনগণের ওপর দমন–পীড়ন চালিয়ে জনগণকে ভয় দেখিয়ে দমন–পীড়ন করে রাখতে চায়। গত ১০ বছরে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে এই সরকার কোনো অভিযান চালায়নি। কারণ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুন্ডাদের প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাঁরা দাসত্বের শৃঙ্খলায় আবদ্ধ করেছে।’সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে একটি পদযাত্রা বের হয়ে পল্টন মোড় হয়ে কাকরাইলে গিয়ে শেষ হয়।সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অনেক দেনদরবার করার পর পুলিশের সবচেয়ে বড় কর্মকর্তাকে জাতিসংঘ আমন্ত্রণ জানিয়েছে, ভিসা পেয়েছেন। কিন্তু তিনি এই কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না। এর চাইতে লজ্জার কিছু থাকতে পারে? পুলিশকে আজ সারা পৃথিবীর বুকে নিন্দার পাত্র বানানো হয়েছে।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নানা জায়গা বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশে এ সরকারের গুন্ডা বাহিনী ছাত্রলীগ, যুবলীগ নানাভাবে হামলা করছে এবং একই সঙ্গে রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীও হামলা চালাচ্ছে। হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। এ সরকার ডলারসংকটে আমদানির বিল দিতে পারছে না। দুর্নীতির কারণে হচ্ছে। জ্বালানি তেলে লাভ করেছেন, কর, ভ্যাট নিয়েছেন, সমন্বয় করেন। তাহলে এই দাম বাড়ানোর দরকার নেই। মানুষের ভয়াবহ নাভিশ্বাস অবস্থা। মানুষের পেটে লাথি মারবেন না।’বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাউয়ূমবক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে একটি পদযাত্রা বের হয়ে পল্টন মোড় হয়ে কাকরাইলে গিয়ে শেষ হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ আগস্ট ২০২২


জাতীয় কবির মাজারে বিএনপির পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ

জাতীয় কবির মাজারে বিএনপির পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।শনিবার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির মাজারে যান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে জাতীয় কবির মাজারে বিএনপির পক্ষে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ সময় তার সাথে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়। আমরা বর্তমানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে সংগ্রামে আছি তার মূল প্রেরণা যোগায় কিন্তু কবি নজরুল ইসলাম এবং তার রচিত গান ও কবিতা। তিনি নিজেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে দুঃশাসনের অভিঘাত সয়েছেন। জেলে গিয়েছেন। আজকে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নেই। কেউ সত্য উচ্চারণ করতে পারেন না। চলাচল করতে গেলে ভীতির সঞ্চার হয়। কথা বলতে গেলে ভীতির সঞ্চার হয়। এ সময়ও তার তুঙ্গস্পর্শী লেখনী আমাদেরকে উজ্জীবিত করে। যে কারণেই আমরা তাকে স্মরণ করছি।তিনি বলেন, কবি নজরুল দ্রোহের কবি। তিনি অন্যায় অত্যাচার ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়েছেন। এজন্য তিনি দ্রোহের কবি। তিনি বিশ্ব মানবতার কবি, অসাম্প্রদায়িক কবি। একইসাথে তিনি মানুষকে ভাসিয়ে দিয়েছেন প্রেম ভালোবাসার অভূতপূর্ব জগতে। তিনি তার লেখনী দিয়ে আমাদেরকে পৌঁছে দিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ আগস্ট ২০২২


'মহিলা দলের ১০ নেত্রীর বহিস্কারের চিঠি ভুয়া'

'মহিলা দলের ১০ নেত্রীর বহিস্কারের চিঠি ভুয়া'

কেন্দ্রীয় ও মহানগর মহিলা দলের দশ নেত্রীকে বহিস্কারের একটি চিঠি ফেসবুকে ভাসছিল, যা ভুয়া বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদ।সাধারণ সম্পাদিকা স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।চিঠিতে সুলতানা আহমেদ বলেন, "জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের বিভিন্ন থানার নেত্রীদের ও সদস্যদের বহিস্কার প্রত্যাহারে অবগত। পত্র অনুযায়ী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের আদের্শে 'মহানগর, কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন থানার মহিলাদের কে বহিস্কারের নির্দেশ এবং নোটিশ বা পত্র, দপ্তরে কারো কাছে এর সত্যতা পাওয়া যায় নাই।"আমি কাউকে বহিস্কারের স্বাক্ষর ও নির্দেশ দেই নাই। জাতীয়তাবাদী মহিলা দল একটি সু-শৃখল দল এরা দীর্ঘদিন দরে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামকরছে। দলে এদের কে খুবই প্রয়োজন।"চিঠিতে তিনি বলেন, "তাই সকলের অবগতির জন্য সার্বিক বিবেচনা করে এদের বহিস্কার উড়ো চিঠি প্রত্যাহার করা হল এবং তারা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাথে সংযুক্ত থাকবে।"যাদের বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে তারা হলেন-১। সামসুন নাহার ভুঁইয়া, কাউন্সিলর, সাবেক সাধারন সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য মহিলা দল।২। মনি বেগম, সাবেক কাউন্সিলর, কেন্দ্রীয় সদস্য, সদস্য সচিব বৃহত্তর সুত্রাপুর থানা।৩। মাকসুদা খান লতা, সভানেত্রী যাত্রাবাড়ী থানা ও কেন্দ্রীয় সদস্য।৪ । বিউটি বেগম, সভানেত্রী মতিঝিল থানা।৫। মুন মুন, সহ সভানেত্রী যাত্রাবাড়ী থানা।৬। নাসিমা তালুকদার, সভানেত্রী শ্যামপুর থানা।৭। কোহিনুর বেগম, সাংগঠনিক মতিঝিল থানা।৮ । অধ্যাপক নায়লা বেগম, সভানেত্রী ডেমরা থানা।৯ । আলেয়া বেগম, যুগ্ম আহবায়িকা, বৃহত্তর সুত্রাপুর থানা।১০। মহুয়া, প্রচার সম্পাদক যাত্রাবাড়ী থানা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ আগস্ট ২০২২


বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ করলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের কথা বলে না : কাদের

বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ করলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের কথা বলে না : কাদের

বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ করলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের কথা বলে না অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে নালিশ করে। কোথাও কি রোহিঙ্গাদের কথা বলেছে? গতকাল (বৃহস্পতিবার) শুনলাম, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, তারা রোহিঙ্গাদের কিছু লোককে পুনর্বাসিত করবেন। এভাবে বাংলাদেশে নিযুক্ত ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূতেরা আশ্বাস দিয়েছেন, তারাও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন। এদের কাছে নালিশ করে (বিএনপি), কিন্তু রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে একটা কথাও বলে না।’এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন— ‘শুরু থেকেই এই সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।’রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের আসার পর কক্সবাজারের কুতুপালং শিবিরে ত্রাণসামগ্রী দেওয়ার নামে ফটোসেশন করেছিলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে বিএনপি এই রোহিঙ্গাদের নিয়ে কথা বলেনি। একদিনও বলেনি। এখন এই বিশ্ব সংকটে কথা বলে। ভাসানচরে পুনর্বাসনসহ তাদের জন্য কিনা করেছে সরকার। সাড়ে ১১ লাখ লোক আমার ঘাড়ে, মাথার ওপর। এত কিছু করার পরেও তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে লিপ সার্ভিস দেয়। এখনও সরকারবিরোধী বিষোদ্গার করছে।’১৫ আগস্টের ঘটনা প্রবাহ বর্ণনা করে কাদের বলেন, ‘কে জড়িত, কে জড়িত নয়, যখন তাঁর বাড়িটি ঘেরাও করে, বঙ্গবন্ধু ওপরে উঠে গিয়ে কয়েকজনকে টেলিফোন করেছিলেন। তাদের মধ্যে সেনা কর্মকর্তা ও তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মী ছিলেন। কে সাড়া দিয়েছিল জানি না। শুধু জানি, টেলিফোন যাদের করেছিলেন, তাদের মধ্যে সাড়া দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল। তিনি ছাড়া আর কেউ ছুটে আসেনি বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে।’তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যেমন তার সহধর্মিণী সহযোগিতা করেছিলেন। ঠিক তেমনিভাবে শেখ রেহানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।’দেশবাসীকে আরও কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘আমরা কোনও বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা না। এই বৈশ্বিক বৈরী পরিস্থিতি আমরা সৃষ্টি করিনি। কিন্তু তারপরেও মূল্য দিতে হচ্ছে আমাদের।’বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি ও সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন— মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ আগস্ট ২০২২


সরকার মানুষের পেটে তিনবার লাথি মেরেছে : জি এম কাদের

সরকার মানুষের পেটে তিনবার লাথি মেরেছে : জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, ‘সরকার মানুষের পেটে তিনবার লাথি মেরেছে। একবার রিজার্ভ সংকটের ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন করে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বেশি দামে আমদানি করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়। আবার তেলের দাম বাড়িয়ে মানুষের পেটে লাথি মারা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশ আল্লাহর ওয়াস্তে চলছে। সরকার আছে বলে মনে হচ্ছে না। সব সেক্টরে দুর্নীতি হচ্ছে।’শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সনাতন পার্টির (বিএসপি) আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জিএম কাদের এসব কথা বলেন।বিদ্যুৎ-জ্বালানি এ দুই খাতকে দুর্নীতির আখড়া উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, ‘আমি জ্বালানি খাতে চাকরি করেছি। অয়েল সেক্টরে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে। অনেক পরিচিত লোক থাকায় আমি দুর্নীতির অনেক খবর পাই।’জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যবসার নামে আমলাদের সহযোগিতায় লুণ্ঠনের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দুর্নীতির কারণে ভালো উদ্যোগ সফল হচ্ছে না। দলীয় লোক, যাদের টাকা-পয়সা আছে, তাদের লিস্ট করে টিসিবির কার্ড দেওয়া হচ্ছে। দেশের জনগণ এগুলো থেকে মুক্তি চায়।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ আগস্ট ২০২২


১৫-ই আগস্টের কুশিলব'রা পরবর্তীতে বিএনপি নামক দল গঠন করে : বাহাউদ্দীন নাছিম

১৫-ই আগস্টের কুশিলব'রা পরবর্তীতে বিএনপি নামক দল গঠন করে : বাহাউদ্দীন নাছিম

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন,১৫-ই আগস্টের কুশিলব রা পরবর্তীতে বিএনপি নামক দল গঠন করে। তিনি বলেন, এই কুশীলব যারা পরবর্তীতে বিএনপি নামক দল গঠন করেছে, জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি উন্মুক্ত করেছে। সেই অপশক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়নি। তারা এখনো বেঁচে আছে। তারা এখনো বারবার বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সন্তান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে নিঃশেষ করার জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা চাই সেই অপশক্তির মূলোৎপাটন করতে, তাদেরকে পরাজিত করতে।পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে যারা সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে সেই ঘাতকদের বিচার হয়েছে কিন্তু যারা ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল, সমর্থন ও সহযোগিতা করেছে সেই কুশীলবদের বিচার হয়নি। এদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।আজ ২৬ আগস্ট শুক্রবার সকালে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তন, রমনায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য আমদের কাজ করতে হবে। জাতির পিতার আদর্শের প্রতি বিশ্বস্ত হয়ে তার আদর্শ বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার পাশে থেকে আমাদের নীতিবান হতে হবে, আদর্শবান হতে হবে, নৈতিক শক্তিতে বলিয়ান হতে হবে। জাতির পিতার অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ আগস্ট ২০২২


বিএনপি নির্বাচনে আসলে, বাংলার জনগন উচিত শিক্ষা দিবে : নানক

বিএনপি নির্বাচনে আসলে, বাংলার জনগন উচিত শিক্ষা দিবে : নানক

বিএনপি নির্বাচনে আসলে,বাংলার জণগণ উচিত শিক্ষা দিবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহিলা বিষয়ক উপ কমিটির শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন ।নানক বলেন, লন্ডনে থেকে নির্দেশ দিয়ে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চান। আসেন না খেলার মনোভাব নিয়ে, আসেন না নির্বাচনে, দেখি বাংলার জনগণ কাকে রায় দেয়। উন্নয়নের পক্ষে রায় দেয় নাকি ধ্বংসের পক্ষে রায় দেয়। মির্জা ফখরুল সাহেবরা আগামী বছর ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারীর নির্বাচনে আসে। আমি জানি আপনারা আসতে পারবেন না। কারণ পলাতক ও দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান দেশে আসতে পারবেন না। সেহেতু মির্জা ফখরুল সাহেব, তারেক রহমান আপনাদের নির্বাচনে আসতে দিবে না। আসেন নির্বাচনে, বাংলার জনগণ আপনাদের শিক্ষা দিয়ে দিবে।নানক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের অনুচর জিয়াউর রহমানকে ঢুকিয়ে দিয়ে, খন্দকার মোশতাকদের ঢুকিয়ে দিয়ে আমাদের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে চেয়েছিলো। ব্যর্থ হয়ে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ ষড়যন্ত্র শুরু করে। সেদিন আমাদের দলের ভেতরে অস্থিরতা ছিলো, সেই অস্থিরতা শুভফল বয়ে আনে নাই। তিনি বলেন,“জেনারেল জিয়াউর রহমানরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মানতে পারে নি। মোশতাকরা মানতে পারে নাই বলে বাংলাদেশ মুসলিম বাংলা নামে সংগঠন প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৯৭২ সালে। এরা সারাদেশে আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। সেসময় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছিলো। ইতিহাস আলোচনা করতে গেলে সত্য কথা আমাকে বলতেই হবে। সেদিন জাসদ সৃষ্টি, গণবাহিনী সৃষ্টি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের আড্ডা খানায় পরিণত হয়েছিলো। সেদিন আমাদের বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার করা হয়েছিলো।”বামজোটের হরতাল দেশের জনগণ টের পায়নি বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নানক বলেন, আজকে যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। তখন কিছু অপশক্তি মাঠে নেমেছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য জনগণের মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে। গতকাল একটি হরতাল পালন হয়ে গেলো বাংলাদেশ, কেউ টেরই পেলো না। রাস্তায় যানজট ছিলো। দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে নানক বলেন, “আমাদেরকে খুব সর্তক হতে হবে। ওরা আবার নেমেছে। ওরা বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিবে না। সে কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা নেমেছে। আপনারা পাকিস্তানি প্রেসক্রিপশনে চলছেন। এদেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেট হামলা হয়েছে, কোথায় ছিলো মানবতা? এই দেশে ৭৫ এ ১৫ আগস্ট হত্যার পরে সুশীল সমাজরা কথা বলে নি, তাদের প্রতি ধিক্কার দেই। তারা আজকে বড়-বড় কথা বলে। আজকে সেই সুশীলদের বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে। আর জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বাড়াতে হবে।”

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ আগস্ট ২০২২