বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, বাংলাদেশ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এখন প্রধান লক্ষ্য। এই লক্ষ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সকল রাষ্ট্রকে প্রধান এজেন্ডা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ সমগ্র বিশ্বের মানব সমাজের ওপর এক অভিশাপ হিসেবে নেমে এসেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এতোবড় আপদ মানব জাতির ওপর নেমে আসে নি। উদ্ভুত টালমাটাল পরিস্থিতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য টিকে থাকার সংগ্রাম অত্যন্ত কষ্টকর ও চ্যালেঞ্জিং। এই অবস্থায় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের স্থিতিশীলতা একান্ত অপরিহার্য। স্থিতিশীলতা ব্যতীত বিশ্ব সঙ্কট মোকাবেলা করে টিকে থাকা এবং মানবকল্যাণের অগ্রযাত্রা এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী মিয়ানমার তাদের অভ্যন্তরীণ সঙ্কট মোকাবেলা করতে গিয়ে আমাদের সীমান্তে গুলি ছুড়েছেন। তারা সংযত না হলে এহেন কর্মকান্ড আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবে। মগের মুল্লুকের এই ধরণের উস্কানি এই অঞ্চলের জনগণের জন্য ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনবে। বাঙালি জীবন দিয়ে রক্তবিধৌত স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বাঙালী প্রতি ইঞ্চি মাটির সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সক্ষম। বাঙালীর ধৈর্য্য ও সহনশীলতাকে দূর্বলতা না ভেবে সম্মান করুন।স্থানীয় মডেল স্কুল খেলার মাঠে জনাব মাস্টার জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনাকীর্ণ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, উপ প্রচার সম্পাদক আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম আমিন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, আব্দুর রহমান বদি সাবেক এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা সাইমুম সারোয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, ব্যরিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া, এডভোকেট রঞ্জিত দাস, মাহবুবুর রহমান, ইউনুস বাঙালী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন আলহাজ্ব নুরুল বশর।সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সর্বসম্মতিক্রমে বিদায়ী কমিটির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল বশর সভাপতি এবং বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জনাব মাহবুব মোর্শেদ সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতার জন্য বিদেশিদের কাছে ধর্না দেয়না।বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আস্থাপূর্ণ হওয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আজ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন। বিএনপি দেশ ও জনগণের স্বার্থে প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি নেতারা এই ব্যর্থতা আড়াল করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে নানান অপপ্রচারে লিপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাকি আবারও ক্ষমতায় থাকতে ভারতে গিয়েছিলেন,- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে বলেন বিদেশি কোনো রাষ্ট্র বা সংস্থা কাউকে ক্ষমতায় বসাবে এমন উদ্ভট কথা আপনারা বিশ্বাস করলেও আমরা করি না। তিনি বলেন ক্ষমতায় কে থাকবে সেটা নির্ভর করে দেশের জনগণকে ওপর, জনগণই আমাদের আস্থার ঠিকানা এবং ক্ষমতার উৎস। আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতার জন্য বিদেশিদের কাছে ধর্না দেয়না এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে, কোনো প্রভু নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন আওয়ামী লীগ দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে, জনকল্যাণই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য।জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের ওপর খুশি, সেকারণেই জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের, বলেন জনগণের ওপর আওয়ামী লীগের আস্থা শতভাগ। জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সাথে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।ভারত নাকি আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর খুশি নয়, বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য কি তিনি শুনেছেন? ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত এবং ৭১'এর চেতনায় বিশ্বাসীদের সাথে থাকবে ভারত।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব কি বুঝলেন? এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দুঃসময়ের, ভারত আমাদের দুঃসময়ের পরীক্ষীত বন্ধু। ২১ বছর বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ভারতের সাথে বৈরি সম্পর্ক বিএনপিসহ যারা করেছিল তারা বাংলাদেশেরই বেশি ক্ষতি করেছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা অনুভব করেছিলেন যে ভারতের সাথে বৈরিতা করে আমাদের ক্ষতি হয়েছে বেশি এবং সে কারণেই ২১ বছরের যে সংশয়, অবিশ্বাসের দেয়াল- তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিমান্ত সমস্যার বাস্তবায়ন এবং ছিটমহল বিনিময়সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
আবার ক্ষমতায় কীভাবে থাকা যায়, সে ব্যবস্থা করার আশাতেই প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। ভারতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘খুব নাচতে নাচতে চলে গেলেন ভারতবর্ষে। একটা মাত্র আশায় যে ভারতে গিয়ে আবার ক্ষমতায় কীভাবে থাকা যায় তার জন্য একটি ব্যবস্থা ওনারা করে আসবেন। কী এনেছেন? কিছুই না।’ভারত সফর নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিষ্কার করে বলছি, কী এনেছেন। ১৫৩ কিউসেক পানির কথা বলেছেন। এ ছাড়া তো আর কিছুই দেখছি না। বলা হয়েছিল সীমান্তে হত্যা জিরোতে (শূন্য) আনা হবে। সেদিনই আমাদের সীমান্তে গুলি করে ১৪ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। আরও দুজন নিখোঁজ আছে। এটি অহরহ ঘটছে। সেটি কিন্তু এখন পর্যন্ত বন্ধ হয়নি।’‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক হোক—এটি আমরা সবাই চাই’ বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা আমাদের সহযোগিতা করছে। আমরা সে জন্য কৃতজ্ঞ। সব সময় আপনারা বলতে থাকেন এমন পর্যায়ে আপনাদের সম্পর্ক গেছে যে সেই সম্পর্কটা স্বামী–স্ত্রীর সম্পর্ক। আপনাদের মন্ত্রীই বলে সে কথা।’‘আজকে এই রাষ্ট্রের যে অবস্থা, এর জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ’ অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে এই দেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজকে এই দেশে অর্থনীতিকে পুরোপুরিভাবে একটা লুটপাটের রাজত্ব তৈরি করে ফেলেছে। লুটপাটের অর্থনীতি ছাড়া এখানে আর কোনো অর্থনীতি নেই। যে দেশে এখনো ৪২ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে, দুবেলা দুমুঠো খেতে পায় না, মানুষ স্বাস্থ্যব্যবস্থা সঠিকভাবে পায় না, ছেলেদের বিএ–এমএ পাস করার পর কর্মসংস্থান নেই— সেখানে বলছেন উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে গেছে বাংলাদেশ। এ কথাগুলো বলে মানুষকে প্রতারণা করে, মানুষের সঙ্গে পুরোপুরি বেইমানি করে গণতন্ত্রবিনাশী একটি শক্তি হয়ে উঠে সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে।’মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, এই জাতি, রাষ্ট্রকে তারা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে। আজকে কোথাও বিচার নেই। বিচারব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একটি দলীয় বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।বাংলাদেশের মানুষ সব সময়ই সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে তাদের অধিকার আদায় করে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সেই সংগ্রাম শুরু হয়েছে। সেই সংগ্রামে মানুষ অবশ্যই… তা অর্জন করবে। যাঁরা লেখালেখি করেন, যাঁরা বুদ্ধিজীবী, তাঁদের কাছে আহ্বান, আসুন, সত্যটা প্রকাশ করুন। সাধারণ মানুষের সংগ্রামের সঙ্গে, তাদের রক্তের সঙ্গে আপনারা একাত্মতা ঘোষণা করে এই দেশকে আবারও মুক্ত করার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
যতই দৌড়ঝাঁপ করুক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তার মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের এখন সব অবৈধ সত্তা শেষ হয়ে গেছে। ফলে দেনদরবার করে আর লাভ হবে না।শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন রিজভী। নবগঠিত গাজীপুর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।বিএনপির সিনিয়র এ নেতা দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিবেশী দেশ সফরে গিয়েছিলেন কীভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যায় সেই বোঝাপড়া করতে। রিজভী বলেন, দেশের স্বার্থে নয়, তিনি সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে পারেননি। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারেননি।তিনি বলেন, মানুষ বিশ্বাস করে তিনি পর্দার আড়ালে ভারতের কাছে গ্যারান্টি চেয়েছেন টিকে থাকার জন্য। কারণ তিনি এমন বলেছেন, ভারতকে আমি এত কিছু দিয়েছি যে তারা কোনোদিন ভুলে থাকতে পারবে না। কিন্তু কি দিয়েছেন সেটা কোনোদিন বলেননি।আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে সারা দেশের মানুষ জেগে উঠেছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, যত নির্যাতন করুন, মিথ্যা মামলা দিন, হামলা করুন জনগণকে দমিয়ে রাখতে পারবেন না। অচিরেই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গাজীপুর জেলা সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হান্নান, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এসএম জিলানি, সদস্য সচিব রাজিব আহসান প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান বাস্তবতায় জনগণের বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই দিয়েছে ভারত।তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার ভারত সফরকে কেন্দ্র করে বিএনপি গুজব ছড়াচ্ছে। বিএনপি নেতারা যদি হাতের তালু দিয়ে চোখ ঢেকে রাখে তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কোন অর্জন দেখতে না পাওয়ারই কথা বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) তাঁর বাসভবনে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন ।তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হলেও বিএনপির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি, কারণ তারা চায় প্রতিবেশীর সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে।প্রকাশ্যে বৈরিতা দেখিয়ে আবার দূতাবাসের দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকাই বিএনপির রাজনীতি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন তারা দু-দেশের মধ্যে গড়ে তুলেছে সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল,ছড়িয়েছে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প।বিএনপি তাদের শাসনামলে দ্বিপাক্ষিক কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেনি এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে রচনা করেছেন উভয় দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন।তারই ধারাবাহিকতায় এবারের সফরও পারস্পরিক বন্ধুত্ব এবং উন্নয়নের পথরেখায় সম্ভাবনার নতুন আলো ছড়িয়েছে।বিএনপি নাকি সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না, - মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন প্রকৃতপক্ষে দেশের মানুষ জানে বিএনপির বসবাস সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্রের সাথে।বন্ধুকের নলের মুখেইতো বিএনপির জন্ম।আন্দোলনের নামে জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা, পেট্রোল বোমা আর সন্ত্রাস কাদের সৃষ্টি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন সন্ত্রাস সাম্প্রদায়িকতা আর ষড়যন্ত্র এই তিনটি নিয়েই বিএনপির রাজনীতি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের ‘দৃশ্যমান কোনো অর্জন’ নেই। মির্জা ফখরুল বলেন, বলা হয়েছিল সীমান্তে হত্যা জিরোতে আনা হবে। যেদিন এ কথা বলা হয়েছে, সেদিনই দিনাজপুরের সীমান্তে একজনকে হত্যা করা হয়েছে আর দুজন নিখোঁজ হয়েছে, এই হচ্ছে প্রাপ্তি।আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের কী অর্জন হয়েছে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এই সফরে বাংলাদেশের অর্জন এখন পর্যন্ত আমরা যেটা দেখতে পারছি যে ৫৩ কিউসেক পানি কুশিয়ারা নদীর। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত আমরা দৃশ্যমান কোনো অর্জন দেখতে পাইনি।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চার দিনের সফর শেষ করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দেশে ফিরেছেন। এ সফরকালে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহার, রেলের আধুনিকায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের সঙ্গে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি যে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে এ সফরের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী (এ কে আব্দুল মোমেন) বলেছিলেন, তিনি ভারতীয় নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ করেছেন যে আওয়ামী লীগ সরকারকে যেকোনো উপায়ে টিকিয়ে রাখার জন্য তাঁরা যেন ব্যবস্থা নেন।’ফখরুল বলেন, ‘আমরা সব সময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং এটা আমরা বিশ্বাস করি, যেসব দেশ গণতান্ত্রিক, তারা সব সময় সারা বিশ্বে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার জন্য, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাদের ভূমিকা অক্ষুণ্ন রাখবে। ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ, গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা বিশ্বাস করি, ভারতও তাদের যে গণতান্ত্রিক চরিত্র, সেই চরিত্র অক্ষুণ্ন রাখবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে যুবদলের কর্মী শাওন প্রধানের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে শোকমিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা যুবদল। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ভুঁইগড় এলাকায় যুবদলের নেতা–কর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুকের নেতৃত্বে মিছিলে সদস্যসচিব মশিউর রহমানসহ যুবদলের অন্য নেতা–কর্মীরা অংশ নেন। সদর উপজেলার ফতুল্লার ভুইঁগড় এলাকা থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি জালকুড়ি পাসপোর্ট অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে যুবদলের নেতা–কর্মীরা বক্তব্য দেন। এদিকে শোকমিছিল ও সমাবেশ এলাকায় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আহ্বায়ক গোলাম ফারুক বলেন, ‘শাওনকে মিছিলে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শাওন হত্যার পর পরিবারকে দিয়ে আবার বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ মিথ্যা মামলা করিয়েছে। আমরা শাওন হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যত দিন খালেদা জিয়া মুক্ত না হবেন, দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার দেশের মানুষ ফিরে না পাবে, তত দিন রাজপথে এ আন্দোলন চলছে, চলবে।’ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিজাউল হক বলেন, সকালে যুবদলের ৫০ থেকে ৬০ নেতা–কর্মী অল্প সময়ের জন্য শোকমিছিল বের করেছিলেন। পুলিশ তাঁদের সঙ্গে ছিল, তবে বাধা দেওয়া হয়নি।এর আগে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ছয় দিন পর গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল শহরের খানপুর বরফকল এলাকায় শোকমিছিল ও সমাবেশ করেছিল।গত বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদল কর্মী শাওন প্রধানের মৃত্যু হয়। বিএনপি তাঁকে যুবদলের কর্মী বলে দাবি করে। বিএনপির মিছিলে অংশ নেওয়া শাওনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ শাওনকে যুবলীগের কর্মী দাবি করে মিছিল করে। শাওন মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ শাওনে বড় ভাই মিলন হোসেনকে দিয়ে বিএনপির পাঁচ হাজার নেতা–কর্মীসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জেলা বিএনপির ৭১ নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭০০ থেকে ৮০০ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির আন্দোলন মানেই হচ্ছে সন্ত্রাস সৃষ্টির উস্কানি ও রাজপথ দখলের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা ।তিনি আজ এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিবের মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ নির্ভর বিবৃতির নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে এ কথা বলেন ।বিএনপির চিরায়ত আচরণ দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে সর্বদা বাধাগ্রস্ত করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন বৈশ্বিক সংকটে বিএনপি জনগণের পাশে না থেকে বরং তারা দেশ ও সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে।ওবায়দুল কাদের তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেন বিএনপি দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে।আন্দোলনের নামে বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বরাবরের মতো জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।আন্দোলনের নামে কাউকে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জনমনে ভীতি সঞ্চার ও ক্ষতিকর কার্যকলাপ সংঘটন করতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন সন্ত্রাস নির্ভরতা ত্যাগ করে প্রকৃত গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করুন।বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিএনপি বৈশ্বিক সংকট বুঝতে অক্ষম হলেও জনগণ ঠিকই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজেদের মতো করে সাশ্রয়ী ও সংযমী হচ্ছে। ওবায়দুল কাদের তাঁর বিবৃতিতে বিএনপিকে বরাবরের মতো আহবান জানিয়ে বলেন আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নিজেদের জনসমর্থন যাচাই করুন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বর্তমান সংকট মোকাবিলায় ভারতের কাছে আমরা যা চেয়েছি তাই পেয়েছি।আজ বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সংলাপে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, তিস্তা চুক্তি এবার হয়নি, কুশিয়ারা হয়েছে। সাতটি সমঝোতা ও পাঁচটি চুক্তি হয়েছে।শিগগির তিস্তা চুক্তি সই হবে, আশা প্রধানমন্ত্রীরভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে বিবৃতি দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খালি হাতে ফিরে আসিনি। আর আমি তো একটিতেই খুশি, বর্তমান সংকটে আমার কি দরকার? বর্তমান সংকট মোকাবিলায় যা যা দরকার, আমরা যা যা চেয়েছি, তার সবই দিয়েছে। এ মুহূর্তে এটাই প্রয়োজন।’গত সোমবার চার দিনের সফরে দিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে গতকাল মঙ্গলবার নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি দেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সইসহ দুই দেশের মধ্যকার অমীমাংসিত সব সমস্যার শিগগিরই সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সফরে আজ সোমবার সকালে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। দলীয় সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর শেষে নির্বাচনী খেলা শুরু করবে তারা। এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলটির নেতাকর্মীরা এবং পলিশ প্রশাসন বিরোধীদল বিএনপির ওপর আরও চড়াও হতে পারে বলে দলের বিভিন্ন সূত্র বাংলা ওয়্যার কে নিশ্চিত করেছে।আওয়ামী লীগ ও সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বিএনপির কর্মসূচির ওপর নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মিছিলে গুলিও চালিয়েছে পুলিশ যেখানে পুলিশের গুলিতে বিএনপির একজন কর্মীও নিহত হয়। সূত্র বলছে, শেখ হাসিনার ভারত সফর শেষে বিএনপির পরবর্তী কর্মসূচিতেও পুলিশ আরও মারমুখী অবস্থানে থাকবে।সাথে সাথে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরাও চড়াও হবেন বিএনপির ওপর।এ বছরের শুরু থেকে বিএনপি কিছু কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে শুরু করে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এসব কর্মসূচি ছিল বাধাহীন। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে বলা হয়েছিল, কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হবে না। কিন্তু গত আগস্টের শেষের দিক থেকে বিএনপির কর্মসূচির ওপর মারমুখী হয়ে ওঠে সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন।এদিকে, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়। এটির স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় নয়াদিল্লির পালাম এয়ারফোর্স স্টেশনে অবতরণ করার কথা।প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্বালানি, অভিন্ন নদ-নদীর পানি বণ্টন ও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা আলোচ্যসূচির শীর্ষে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।সফরের দ্বিতীয় দিনে ৬ সেপ্টেম্বর হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং একান্ত বৈঠক করার কথা রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।প্রধানমন্ত্রী ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরার আগে রাজস্থানের খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফ, আজমির (আজমির শরীফ দরগাহ) এবং ৫ সেপ্টেম্বর ভারত সফরের প্রথম দিনে দিল্লিতে নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগাহ পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আওয়ামী লীগকে এখন আর কেউ ভালোবাসে না, স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটির জনপ্রিয়তা আজ শূন্যের কোঠায় এসে দাঁড়িয়েছে। গুলি আর প্রশাসনের কারণে তারা টিকে আছে।আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক যোগদান অনুষ্ঠানে মান্না এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট আইনজীবীসহ টাঙ্গাইল জেলার ১১ জন নাগরিক ঐক্যে যোগ দেন।মান্না বলেন, রাজনৈতিক কর্মীদের বিশ্বাস রাখতে হবে, এই সরকার ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাবে। যেমন বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস রেখেছিলেন, তাই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। দেশে কেউ বলবে না যে খুশি আছে। যে সব ক্ষমতা নিয়ে বসে আছে, সে–ও খুশি নয়। এ ভয়ে থাকে যে কখন ক্ষমতা চলে গেল। তিনি বলেন, যে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের আজ কেউ ভালোবাসে না। সবচেয়ে প্রবীণ, স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটির জনপ্রিয়তা আজ শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে। গুলি আর প্রশাসনের কারণে টিকে আছে। তাই ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে খুনের ঘটনা ঘটেছে।নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, এসব ঘটনা কিন্তু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য নয়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদের কারণে হয়েছিল। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উৎসবে হামলা চালানো হয়েছিল। এখন গুলি, লাঠি, কাঁদানে গ্যাসের শেল ছাড়া প্রতিবাদ বন্ধ করতে পারছে না সরকার। এভাবে পারবে না প্রতিবাদ বন্ধ করতে। তিনি বলেন, ‘বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে এখন ৫ পয়সা কমায়। এ সরকার ফোরটোয়েন্টি সরকার। দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় আট কোটি। ক্ষুধা আমাদের প্রধান সমস্যা। সমস্যা রুখতে প্রয়োজন কল্যাণ রাষ্ট্র।’অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, প্রেসিডিয়াম সদস্য মমিনুল ইসলাম, জিন্নুর চৌধুরী দীপু ও মোফাখখারুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক কবীর হাসান প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
বিএনপি এবার কোনোভাবেই পরাজিত হবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এবার আমাদের বিজয় লাভ করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ ভোলায় নুরে আলম ও আব্দুর রহিম এবং নারায়ণগঞ্জে শাওনের আত্মত্যাগকে কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।পুলিশ ও আওয়ামী লীগ বিএনপিকে আর কোনো ছাড় দেবে না, জনগণের শক্তি দিয়ে ছাড়টা আদায় করে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, আমাদের বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। পুলিশ ও সরকার কোনো ছাড় দেবে না, প্রশ্নই উঠতে পারে না। ।শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত রাজা আহমেদ শাওন যুবদলের কর্মী ছিলেন বলে এসময় আবারও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব। আমরা খুব পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, শাওন অবশ্যই যুবদলের কর্মী ও নেতা। শাওন অবশ্যই বিএনপিকে সমর্থন করত এবং কাজ করত।সরকার বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এজন্য আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত সতর্কভাবে নিতে হবে। আমরা যেন নতুন কোনো চক্রান্তের মধ্যে না পড়ি, আবার যেন আমাদের দমন করার জন্য তাদেরকে (সরকার) কোনো সুযোগ করে না দিই, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।এত সহজে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সহজ সমাধানও নেই যে আমরা পুরোপুরি মুক্তি পেয়ে যাব। এই লড়াইটা লড়তে হবে। আমাদের তো অনেক বয়স হয়েছে। আমরা এই লড়াই লড়ছি ছাত্র অবস্থা থেকে। আমাদেরকেও এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আর আজকে এই লড়াইয়ের দায়িত্ব এসে পড়েছে তরুণ সমাজের ওপর।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলায় ফয়সালা হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলন আন্দোলন করতে করতে মির্জা ফখরুল সাহেবের গলা শুকিয়ে ফেলছেন। কিন্তু মরা নদীতে জোয়ার আসে না। জোয়ার কি আসবে কখনও? নেতাকর্মীর আন্দোলন দিয়ে ইতিহাসে সরকার হটানো যায় না। এখনও আপনাদের সঙ্গে নেতাকর্মীর বাইরে জনগণ যোগদান করেনি, কোন মুখে বলেন ফয়সালা হবে। হবে, হবে, ফয়সালা হবে। ফয়সালা হবে আগামী নির্বাচনে। তখন দেখা যাবে কে হারে কে জেতে।শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতিতে একটা সংকটময় অবস্থা চলছে। সারা বিশ্বেই অস্থিরতার মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনিই প্রথম সরকার প্রধান যিনি বলেছেন আমাদের মানুষ কষ্টে আছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কষ্টে আছে। তার মানে বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তারপরও এখানে আন্দোলনের হাঁক ডাক শোনা যায়। । তিনি বলেন, রাজপথে এখন কি চক্রে আছেন আমরা জানি। ট্যামস নদীর ওপার থেকে দণ্ডিত অর্থপাচারকারী, অপরাধী যুবরাজ হাঁক ডাক দিচ্ছে। সেই ডাকে ট্যামস নদীতে ঢেউ উঠেছে কি-না? জানি না। তবে পদ্মা মেঘনা, যমুনায় ঢেউ নেই। বিএনপির শুকন নদীতে জোয়ার আর আসে না। চিৎকার যত পারেন করুন ফয়সালা হবে। আমিও বলছি ফয়সালা হবে। ফয়সালা হবে নির্বাচনে। আগামী নির্বাচনে ফয়সালা হবে।বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, রাজপথে হুমকি দিয়ে লাশ ফেলতে চান? আপনারা লাশ ফেলার দুষ্ট চক্রে আবদ্বিত। লাশ ফেলে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো আন্দোলনে ফয়সালা বিরোধী দল করতে পারেনি। সরকার হটাবেন? জনগণ সাড়া দেক, দেখি না। এখনও কোথাও জনগণ সাড়া দেওয়ার কেউ নেই। জনগণ কারো সাথে মারামারি করে না। আপনাদের আন্দোলন মানেই হচ্ছে নিজেরা নিজেরা মারামারি। আপনাদের বিক্ষোভ মানেই হচ্ছে পুলিশের দোষ, পুলিশের ওপর হামলা। পুলিশের ওপর হামলা পুলিশ আত্মরক্ষা করবে না?তিনি বলেন, আপনাদের হাতে রক্তের দাগ। মির্জা ফখরুল আপনাকে সতর্ক করে দিতে চাই। আপনাদের হাতে রক্তের অনেক দাগ। ২১ হাজার আওয়ামী লীগ কর্মী, আহসান উল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, শাহ এ এম এস কিবরিয়া, এদের রক্তে আপনাদের হাত রঞ্জিত। আমরা আপনাদের কাউকে হত্যা করিনি। হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না। আমাদের নেত্রী ২০ বার হত্যার টার্গেটে পড়েছেন, কিন্তু খালেদা জিয়াকে কেউ মারতে যায়নি। কাকে অপবাদ দেন?তিনি বলেন, যখনই আইনমন্ত্রী বললেন কমিশন হবে, সঙ্গে সঙ্গেই বলে কি জিয়াউর রহমান হত্যার কমিশন হবে। এ কমিশন ক্ষমতায় গেলে হবে, কবে? ক্ষমতায় যখন ছিলেন তখন কেন করলেন না? তাহলে নিশ্চই আপনাদের মধ্যেও অনেকেই আছেন জিয়াউর রহমানকে হত্যার পেছনে দূরবিসন্ধিও আছে, চক্রান্তও আছে। তানা হলে কেন কমিশন করলেন না। লাশের কাহিনীও সবাই জানে। আমার প্রশ্নের জবাবে ফখরুল সব সময় নিরুত্তর।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। তিনি সূচনা করেছিলেন গণতন্ত্রের অধ্যায়। তিনি সূচনা করেছিলেন মুক্তবাজার অর্থনীতি। সূচনা করেছিলেন সংবাদপত্রের স্বাধীনতার। তিনি সূচনা করেছিলেন মানুষের মুক্তি, মানুষের স্বাধীনতার।’বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে নতুন কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমরা নতুন কমিশন গঠন করব। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা ষড়যন্ত্রকারী ছিল তাদের খুঁজে বের করা হবে।’বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর শেষে তিনি এসব কথা বলেন।ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। যিনি এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে একটি বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের নতুন দর্শনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেছেন।’তিনি বলেন, ‘একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া বিএনপির সামনের দিনের চ্যালেঞ্জ। কারণ অনির্বাচিত সরকার হত্যা, গুম, খুন নির্যাতন করে জনগণের ন্যায় দাবির আন্দোলন নস্যাৎ করতে চায়। কিন্তু আমাদের পরিষ্কার কথা জনগণের ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন, হত্যা, গুম, খুন করেও নস্যাৎ করা যাবে না। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। জনগণের বিজয় হবেই।’বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অত্যন্ত লজ্জা ও ঘৃণার সঙ্গে আমরা বলতে চাই গত কয়েকদিনে এই ফ্যাসিবাদী সরকার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। জনগণের ন্যায্য আন্দোলন জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করতে গেলে হামলা করা হচ্ছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২
মানিকগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের খালপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকারসহ তিন পুলিশ সদস্য ও দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশের লাঠিপেটায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের অন্তত ২৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পরে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বিএনপির পাঁচ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।পুলিশ ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বেলা ১১টার দিকে শহরের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহরের উত্তর সেওতা এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে দিকে যাচ্ছিলেন। পথে খালপাড় এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ নেতা–কর্মীদের লাঠিপেটা করে। এতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা–কর্মী আহত হন।জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে পুলিশ অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে। পুলিশের লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেলে দলের ২৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। এ ছাড়া পাঁচ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।’এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ভাস্কর সাহা বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।সদর থানার ওসি বলেন, আহত দুই কনস্টেবলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনিও আহত হয়েছেন। আটকের বিষয়সহ বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২
নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শাওন (২০) নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাওন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার বাবার নাম শাহেদ আলী। তিনি ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য।এছাড়া যুবদলের আরো পাঁচ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা হলেন- মো. বাদল ভূঁইয়া (৩৫), নাবির হোসেন নবীন (৩০), মো রাসেল প্রধান (৩০), জুয়েল আরমান (৪০) ও মো. ফারুক (৩০)।নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, কোনো পূর্ব অনুমতি না নিয়ে একটি মিছিল নিয়ে তারা সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপর বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ককটেল ছুঁড়ে মারে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে আমাদের ১০-১২ জনের মতো সদস্য আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ জানান, শাওন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। পরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শোভাযাত্রা বের করতে গেলে শহরের ২ নং রেলগেট এলাকায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছে।নারায়ণগঞ্জ সদর (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে মরদেহ রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক নাজমুল হোসেন।জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ বলেন, নিহত শাওন ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য। পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা গেছেন।ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে যুবদলের পাঁচ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে এসেছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বলেছেন, জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে গণহত্যাসহ সব ধরনের অপরাধ করেছিল। বিচারে অনেক শীর্ষ নেতা মৃত্যুদন্ডিত হয়েছেন, রায় কার্যকর হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে অনেক আগেই জামায়াতের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল। এটা না করে অনেক আগেই তারা এ রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। আর কোনোদিনই এই দলটি এ দেশে রাজনীতি করতে পারবে না। তবে এই দলের কোনো নেতা কী নামে রাজনীতি করবে তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু জামায়াতের আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশে আর রাজনীতি করার সুযোগ নেই। আজ সন্ধায় কুষ্টিয়া শহর ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত মাসব্যাপী ১১টি ইউনিয়ন ও ২১টি ওয়ার্ডে শোক সভার সমাপনী দিনে পৌর ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আয়োজিত শোক সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেন, ৭৫’র ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ওই মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা এ দেশে পাকিস্তানের শাসন কায়েম করতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, এ দেশে ধর্মের নামে অধর্মের কাজ করবে, নাশকতা করবে এটাকে বরধাশত করা হবে না। আলোচনা সভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ ১৫ আগষ্ট নিহত সকল শহীদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইনতাজুল ইসলাম ও কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবু।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ আগস্ট ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি'র দলের দুর্নীতিবাজ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৭ হাজার মাইল দূরে বসে বাঁশিওয়ালা সাজার চেষ্টা করছে। মানুষ তো দূরের কথা একটি ইঁদুর ও তার বাঁশিতে সাড়া দিবে না।বিএনপি'র বিরুদ্ধে আমাদের সব সময় সজাগ থাকতে হবে। জনতার শক্তিতে ও জাতির পিতার আদর্শে বলীয়ান হয়ে এ সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে আমাদের মোকাবেলা করতে হবে।বুধবার (৩১ আগষ্ট) বিকেলে বাংলাদেশ কৃষক লীগের উদ্যোগে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন অবৈধ রাষ্ট্রপতি ও একইসাথে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান সেনা ছাউনিতে বসে নিজস্ব গোয়েন্দাদের সহযোগিতায় জামাত, দেশ বিরোধী অপশক্তি, রাজাকার ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি এবং ঘাতক দালাল ও সুবিধাবাদীদের নিয়ে বিএনপি গঠন করেন।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রক্ষা ও তাদের জীবন বাচানোর জন্য সংবিধান কলঙ্কিত করে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স আইন জারি করেছিল জিয়াউর রহমান। সে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে।কারাগারের ভিতরে বিচারের নামে বহু মানুষকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। আমাদের সেনা বাহিনীর বহু অফিসার ও সৈনিকদের হত্যা করেছে। হত্যা করার কারণ নিজের দূঃশাসনকে পাকাপোক্ত করা।বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আজকে বিএনপি বলে বেড়ায় তারা নাকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক। তারাই সব থেকে বেশি মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে। এই বিএনপি-জামাত যুদ্ধাপরাধীদের সংসদে নিয়ে মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল। গত কয়েকদিনের নিউজে দেখলাম তাদের মধ্যে নাকি মনোমালিন্য চলছে। গতকাল বিএনপি নেতারা বলেছে এটা নাকি সামান্য মান অভিমান। তেমন কিছু না। আমি বলতে চাই এটা কিসের মান, কিসের অভিমান। এটা হলো বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর মান অভিমান, কত দ্রুত পাকিস্তান বানাতে পারে এ নিয়ে। এরা বেইমান, এরা কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ আগস্ট ২০২২
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গতকাল এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার সম্পর্কে যে উক্তি করেছেন আমরা কল্পনাও করতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী অবৈধভাবে বসে থাকলেও এই ধরনের উক্তি করতে পারেনা। এটা সমস্ত রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত। এর কারণ এটা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, প্রতিমুহূর্তে খালেদা জিয়াকে তিনি হিংসা করেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে একেবারে অনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কথা বলেন, যা দেশের মানুষ ভালো চোখে দেখে না।খালেদা জিয়া তার মৌলিক অধিকার চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ম্যাডামের চিকিৎসকরা বারবার বলছেন— বিদেশে একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে তার চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, রাষ্ট্র ক্ষমতায় অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বসে আছেন, যার মধ্যে ন্যূনতম রাজনৈতিক শিষ্টাচার পর্যন্ত নেই। তিনি বিদেশ যেতে অনুমতি দিচ্ছে নাবুধবার (৩১ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে পরাজিত করতে হবে বলে মনে করছেন মির্জা ফখরুল ।তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে দলকে সংগঠিত করা। এরপর জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করতে হবে।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার রোগমুক্তি কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে যুবদল।সরকারকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে বলে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এরপর সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবে এবং এর অধীনে একটি সুষ্ঠু-অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করব যেন আমাদের সবাইকে তৌফিক দেন যে সংগ্রামের মধ্যদিয়ে অবৈধ সরকারকে পরাজিত করতে পারি। বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতা যেন ফিরিয়ে দিতে পারি। খালেদা জিয়াকে যেন যেন মুক্ত করতে পারি।তিনি বলেন, আজকে বিএনপির সবচেয়ে বড় দায়িত্ব খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের সৈনিক হিসেবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে আমাদের সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের সামনে আরও কোনো বিকল্প রাস্তা নেই। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দিনরাত কাজ করছেন গণতন্ত্রকে ফিরে আনার জন্য।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বোঝেন । তিনি জনগণের পাশে রয়েছে বলেই তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন।এর আগে গতকাল ডিজেল-অকটেন-পেট্রল-কেরোসিনের দাম লিটারে ৫ টাকা করে কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সোমবার রাত ১২টা থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকালে তার বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।‘সরকার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার কেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে? সরকার চায় জনগণের স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা। প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে।বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দেয়নি, এখনও দিচ্ছে না উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির দুঃশাসনের ভয়াবহতা এখনও দেশ ও জাতি ভুলে যায়নি।তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আবারও দেশে নৈরাজ্য তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তাদের কথিত আন্দোলনে জনসমর্থন না থাকায়, তারা সন্ত্রাস নির্ভর হয়ে পড়েছে।জনগণের সম্পদ এবং স্বস্তি নিশ্চিতে বিএনপিকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের পথ পরিহারের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে। এসব স্বপ্ন দেখে লাভ নেই।কথা দিয়ে কথা না রাখা বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যা বলেন, করেন তার বিপরীত। নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ভোটধিকার নিয়ে কথা বলে— অথচ এর সবকটি তাদের হাতে ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির দ্বিচারিতা দেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট।ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও জনমুখী রাজনীতি বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। তাই বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতা দখলের পায়তারা করছে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি কাকে বলে তা অতীতে প্রমাণ করতে পারেনি, আমরা রাজনৈতিকভাবে সব কর্মসূচি মোকাবিলা করব। কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে তা জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকার কঠোরভাবে দমন করবে।তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন মানে সহিংসতা, জনগণের সম্পদে আগুন দেওয়া, তাই তাদের কোনো অপকর্ম আওয়ামী লীগ বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ আগস্ট ২০২২