রাজনীতি


আমরা সিল মারামারির নির্বাচন চাই না, সেজন্যই ইভিএম চাই : কাদের

আমরা সিল মারামারির নির্বাচন চাই না, সেজন্যই ইভিএম চাই : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,আমরা সিল মারামারির নির্বাচন চাই না, সেজন্যই ইভিএম চাই। যারা সিল মারামারির নির্বাচনে অভ্যস্ত; যারা নির্বাচন বলতে কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপারে সিল মারা এটা বোঝে; যারা নির্বাচন বলতে ভোট কারচুপি বোঝে, ভোট জালিয়াতি বোঝে তারা ইভিএমকে সমর্থন করে না।‘পরীক্ষামূলকভাবে অনেকগুলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন এই ইভিএমে হয়েছে। এগুলো কি প্রশ্নবিদ্ধ ছিল? সিটি করপোরেশনগুলোতেও হয়েছে, সিলেটে হয়েছে, বরিশালে হয়েছে, কুমিল্লাতে হয়েছে। কেউ কি কোনো প্রশ্ন করেছে? বিএনপিকে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আগামী নির্বাচনে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।সরকারকে টিকিয়ে রাখতে নির্বাচন কমিশন ইভিএম নিয়েছে, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব সরকারের পরিবর্তন যদি চান, সোজাসুজি কথা হলো—নির্বাচনে আসতে হবে। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের আর কোনো সুযোগ নেই।’বিএনপির মনে আসলে কী, তা জানতে চেয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা একদিকে বলে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে নির্বাচনে আসবে না; আবার বলে, ইভিএমে আসবে না, ইভিএম চান না। তাহলে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে কেন গেলেন না? ওখানে গিয়ে বলতেন।’‘তাহলে আপনাদের মনে কী? আপনাদের মনে কোন খেলা? কোন চক্রান্তের খেলা? কী চান আপনারা? নির্বাচন চান না? তত্ত্বাবধায়ক সরকার উচ্চ আদালতের রায়ে বিদায় নিয়েছে, আবার সেখানে যেতে চান? দুনিয়ার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, এখানেও রুটিন দায়িত্ব নিয়ে সরকার নির্বাচনে সহযোগিতা করবে। আর নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।’বিএনপি নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনে আসবে, দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আসবেন (নির্বাচনে), আসতে হবে, অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চাইলে আসতে হবে। আমরা কারও দয়ায় টিকে থাকতে চাই না। জনগণ আমাদের ক্ষমতার উৎস। জনগণ ভোট দিয়ে আমাদের নির্বাচিত না করলে আমরা কী দায় নেব। কারও দয়ায় বা নির্বাচন কমিশনের ইভিএম দিয়েছে, এইসব দেখে আমরা রাজনীতি করি না।’বর্তমান সরকারের কাছ থেকে জনগণ মুক্তি চায়, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ মুক্তি চায় না, মুক্তি চায় বিএনপি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। একটা পদ্মা সেতুতেই কাত হয়ে গেছে। একটা পদ্মা সেতুতেই আপনাদের বুকের ব্যথা বেড়ে গেছে। সামনে মেট্রো রেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, আরও কত প্রকল্প।’স্বাচিপের বিএসএমএমইউ শাখার সভাপতি আবু নাসার রিজভীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন—আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও বিএমএ’র সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় স্বাচিপের সভাপতি ইকবাল আর্সেনাল ও সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ আগস্ট ২০২২


রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে শেখ হাসিনা সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ : মির্জা ফখরুল

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে শেখ হাসিনা সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ : মির্জা ফখরুল

বিশ্বের অন্যান্য মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেভাবে সাড়া দেয় রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা সেভাবে এগিয়ে আসেনি দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ সরকারের চরম কূটনৈতিক ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই না।মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটি জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে বাস্তবায়িত করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আসার পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়া নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নাগরিক হিসেবে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই উপায়ে মিয়ানমারে ফিরতে চান। সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার কক্সবাজার ক্যাম্প পরিদর্শনে গেলে তার কাছেও একই দাবি জানায় রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধানের জন্য ‘‘নিরাপদ রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন’’ নিশ্চিত করতে হবে।করোনা পরবর্তী সংকটকালে বাংলাদেশের পক্ষে রোহিঙ্গাদের এ অতিরিক্ত বোঝা বহন করা রীতিমতো অসম্ভব হয়ে পড়েছে বলেও উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ আগস্ট ২০২২


অগ্নি সন্ত্রাসরা দেশে ১৫ আগস্টের মতো আরেকটি ঘটনা ঘটাতে চায় : দীপু মনি

অগ্নি সন্ত্রাসরা দেশে ১৫ আগস্টের মতো আরেকটি ঘটনা ঘটাতে চায় : দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ১৯৭১, ৭৫, ২০০৪ এর খুনি ও ২০১৩, ১৪ সালের অগ্নি সন্ত্রাসরা একই আদর্শে বিশ্বাসী। অগ্নি সন্ত্রাসরা দেশে ১৫ আগস্টের মতো আরেকটি ঘটনা ঘটাতে চায়।বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ আইভী রহমানের স্মরণে আইভী রহমান পরিষদ সভাটির আয়োজন করে।‘শিক্ষকরা ক্লাসে না পড়িয়ে কোচিং সেন্টারে পড়ান’- এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য কোচিংয়ের দরকার হতে পারে। বিদেশেও এ ধরনের কোচিং আছে। কিন্তু শিক্ষকরা ক্লাসে ভালোভাবে না পড়িয়ে নম্বর কম দেওয়ার ভয় দেখিয়ে যদি কোচিংয়ে পড়ান তাহলে এটি বৈষম্যজনক এবং অনৈতিক। এটি অপরাধজনক। সেটি যেন না করতে পারে সেজন্য নতুন শিক্ষা আইনে এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দীপু মনি বলেন, আমাদের সচেতন থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দলের পথ কখনো কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। সবসময়ই এটি কাঁটা বিছানো ছিল। আমাদের সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনে প্রাণে ধারণ করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও অসাম্প্রদায়িক শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যাবে।আইভী রহমানের সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বেগম আইভি রহমান রাজনীতিতে শুদ্ধাচার ও শিষ্টাচারের অন্যান্য দৃষ্টান্ত। জিল্লুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনে তার অনেক অবদান ছিল। তিনি স্বামীকে অনুপ্রাণিত করেছেন। নিজেও সোচ্চার ছিলেন। পুরো রাজনৈতিক জীবনে তিনি কর্মীবান্ধব নেতা ছিলেন। জন সভায় তিনি কর্মীদের পাশে বসেছিলেন।আইভী রহমানের রক্তাক্ত শরীর কোনোভাবে ভুলতে পারি না। তৎকালীন সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশেও যেতে দেয়নি। তার সন্তানদের ঠিকমতো দেখতে দেওয়া হয়নি। নাটক করেছে, বলেছে জানাজা পড়ানো যাবে না। তারা গোপনে দাফন করতে চেয়েছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ আগস্ট ২০২২


আ.লীগকে ক্ষমতায় রাখতেই ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত ইসির : ফখরুল

আ.লীগকে ক্ষমতায় রাখতেই ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত ইসির : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রাখতেই আগামী সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচনে কমিশন (ইসি)। তিনি বলেন, সরকার ৩০০ আসনে ইভিএম চেয়েছিল, কমিশন সমঝোতার মাধ্যমে অর্ধেক আসনে সরকারের সঙ্গে রফা করেছে। এর মাধ্যমে এটিই প্রমাণিত হলো, নির্বাচন কমিশন সরকারের হয়েই কাজ করছে।১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (২৪ আগস্ট) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ফখরুল।বিএনপি নির্বাচন কমিশন নিয়ে ভাবছে না- জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, অবৈধ এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।তিনি বলেন, অনেক চড়াই-উতরাই গেছে বিএনপির। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্নভাবে দেশের জাতীয়তাবাদকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। বিএনপি আবার খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জেগে উঠেছে। কিন্তু তিনি কারান্তরীণ হয়ে আছেন। বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে আর ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে- যারা বলেন, তারা অসত্য বক্তব্য দিচ্ছেন, বরং তারাই সে পথ ধরে নিজেরা আসছেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের অধিকার হরণ করে সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে জবরদখল করে ক্ষমতায় টিকে আছে বর্তমান আওয়ামী লীগ। তারা কথা বলে একরকম, কাজ করে অন্যরকম। প্রধানমন্ত্রী একদিকে বললেন, সভা-সমাবেশ করতে দেবেন, কিন্তু অন্যদিকে ভোলায় দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হলো।বর্তমান সরকারের হাত থেকে জনগণ মুক্তি চায়- উল্লেখ করে সাবেক তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই। আমাদের মূল দাবি, সরকার পরিবর্তন না হলে কোনো কমিশনের অধীনেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তিনি আরও বলেন, সরকারের সঙ্গে ইসির সমঝোতা হয়েছে। যার মাধ্যমে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে৷ ইভিএমে ভোটের মাধ্যমে ইসি সরকারের ইচ্ছার চূড়ান্ত প্রতিফলন ঘটাবে। বিএনপি এসব ইভিএম মানে না। সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে, তবে তা হতে হবে ব্যালটে- দাবি করেন ফখরুল।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ আগস্ট ২০২২


আইভি রহমানের সমাধিতে আ.লীগের শ্রদ্ধা

আইভি রহমানের সমাধিতে আ.লীগের শ্রদ্ধা

২০০৪ সালের ভয়াল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, নারীনেত্রী আইভি রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন দলের নেতাকর্মীরা।বুধবার (২৪ আগস্ট) সকালে বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।এ সময় আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা আইভি রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট তিনি মারা যান।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ আগস্ট ২০২২


বিএনপিরও রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত : হানিফ

বিএনপিরও রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত : হানিফ

বিএনপি আমলে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মী হত্যার শিকার হয়েছিল উল্লেখ করে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ৭১ এর গণহত্যা এবং ২০০১-০৬ পর্যন্ত ২৬ হাজার নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ড দুটো একই সূত্রে গাঁথা। ৭১ এর ঘটনায় জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে, বিএনপিরও রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত।বুধবার (২৪ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে আইভি রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।হানিফ বলেন, ২১ আগস্টের ঘটনা সুপরিকল্পিত। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর, মুফতি হান্নানসহ অন্যান্য জঙ্গিদের নিয়ে হাওয়া ভবনে মিটিং করেন তারেক জিয়া। মুফতি হান্নানের ভাই মাওলানা তাইজুদ্দিন পাকিস্তান থেকে হামলার গ্রেনেড নিয়ে এসেছিলেন। সরকারের ইন্ধন ছাড়া একটি দেশে কীভাবে এই বোমা নিয়ে এসেছে।তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা একটা নিকৃষ্ট, বর্বরোচিত ঘটনা। ৭৫ পরবর্তী সময়ে এটি সবচেয়ে কলঙ্কময় একটি দিন। মূলত এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগকে দমন করা। যাতে বিএনপির আমলের লুটপাটের কোনো জবাবদিহিতা না করতে হয়। মির্জা ফখরুল নাকি শিক্ষক ছিলেন। উচ্চ শিক্ষিত লোক কীভাবে বিএনপির মত দলের রাজনীতি করে, আমার বুঝে আসে না।হানিফ বলেন, কয়েকদিন আগে ফেসবুকে দেখলাম লন্ডনে বসে তারেক জিয়া বলছেন, ২১ আগস্টের ঘটনা আওয়ামী লীগই ঘটিয়েছে। তিনি থিউরি দিলেন কী, সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল মুক্তাঙ্গনে। শুরু হওয়ার মাত্র দেড় ঘণ্টা পূর্বে সেটি ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন নেওয়া হলো। মুক্তাঙ্গনে নাকি ইঞ্চি-ইঞ্চি জায়গার নিরাপত্তা ছিল। কী রকম মশকরা, মিথ্যাচার। এই তারেক রহমান একজন মিথ্যাবাদী, কুলাঙ্গার ও নির্লজ্জ। ন্যূনতম রাজনৈতিক শিষ্টাচার থাকলে এ ধরনের মিথ্যাচার করা সম্ভব না।হানিফ বলেন, ২১ আগস্টের মতো এরকম ঘটনা পৃথিবীতে আর ঘটেছে বলে মনে হয় না। ওই দিন দেখলাম মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির অনেক নেতা এই ঘটনার সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করলেন। অবাক হয়ে যেতে হয়। ২১ আগস্টের ঘটনায় রাজনীতি করার অধিকার তারা হারিয়ে ফেলেছেন। তাদের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ আগস্ট ২০২২


‘তারেক রহমান বিদেশে বসে শ্লোগান দিচ্ছে ‘টেক ব্যাক’ আর মির্জা ফখরুল বলে ‘বাংলাদেশ’

‘তারেক রহমান বিদেশে বসে শ্লোগান দিচ্ছে ‘টেক ব্যাক’ আর মির্জা ফখরুল বলে ‘বাংলাদেশ’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন আগস্ট মাস এলেই ষড়যন্ত্রকারিরা বিচলিত হয়ে ওঠে কারণ তখন তাদের ষড়যন্ত্রের মুখচ্ছবি ভেসে উঠে।তিনি আজ বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সচিবালয় প্রাঙ্গণে সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন। ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে বিএনপি আর আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে জনগণের জন্য উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে, নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে পরাজিত করা সম্ভব না তাই তাঁকে সরিয়ে দিতে হত্যার বিকল্প নেই, এজন্যই বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে,তবে এবার আর পার পাবে না, আওয়ামী লীগ সতর্ক আছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন কে কোথায় ষড়যন্ত্র করছে, বিদেশে কি ষড়যন্ত্র হচ্ছে সব খবর আমাদের কাছে আছে।আমরা এবার সতর্ক। রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে বসে টেমস নদীর তীরে কলকাঠি নাড়ছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন সেখানে বসে শ্লোগান দিচ্ছে টেক ব্যাক, আর বিএনপি মহাসচিব দেশে শ্লোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ।তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন কাদেরকে টেক ব্যাক করছেন, সেদিন হারিয়ে গেছে, সেদিনের স্বপ্ন দেখেও লাভ নেই।আগস্ট মাস হলো বিএনপির চক্রান্তের মাস এমনটা দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন সারা দুনিয়ার ছবি চোখে ভাসে না শুধু বাংলাদেশের ছবি চোখে ভাসে বিএনপির। নির্বাচনের দরকার নেই, দরকার সরকার পতনের, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন আমরা আছি রাজপথে, সকল অশুভ শক্তিকে মোকাবেলা করা হবে,সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়া হবে।বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামের সভাপতিত্বে শোক দিবসের আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম এবং বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের মহাসচিব মোঃ রুহুল আমিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ আগস্ট ২০২২


বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো ধ্বংসাবশেষ থেকে জেগে উঠছে : মির্জা ফখরুল

বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো ধ্বংসাবশেষ থেকে জেগে উঠছে : মির্জা ফখরুল

এবার গ্রাম পর্যায়ে বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছে জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা জেগে উঠছি, সবাইকে জেগে উঠতে হবে, নেতাকর্মীদের ত্যাগ ও অশ্রু বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। আমাদের আন্দোলনের মাধ্যমে ভয়াবহ এই দানবীয় সরকারকে হটাতে হবে। দানব সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। গত ৯ বছরে গুম, খুনের শিকার বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ১৪ পরিবারকে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি ও আর্থিক অনুদান দেয় জাতীয়তাবাদী হেল্প সেলের উদ্যোগে।মির্জা ফখরুল বলেছেন, চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল থেকে গ্রাম পর্যায়ে বিএনপির আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেই আন্দোলনে মানুষ রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। বিএনপি সেই ফিনিক্স পাখির মতো ধ্বংসাবশেষ থেকে জেগে উঠছে । এতো হত্যা, গুম, নির্যাতনের পরও বিএনপিকে দমাতে ব্যর্থ হওয়ায় শেখ হাসিনার সরকারের বড় ক্ষোভের জায়গা।দেশের উন্নয়ন নয়, জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভরিয়েছে সরকার— এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই অনির্বাচিত দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দলের গুম, খুন, নির্যাতনের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করা হবে।গণতন্ত্র চায় এমন মানুষ এই দেশে এখন কেউ নিরাপদ নয় বলে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়া এ মুহূর্তে কারাগারে অন্তরীণ না হলেও গৃহ অন্তরীণ রয়েছেন। গতকালও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যেতে হয়েছে। চিকিৎসকরা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার কথা বললেও সরকার অনুমতি দেয়নি, দিচ্ছে না।‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না কারণ এ সরকারের ভয় তিনি বের হলে তাকে সামাল দিতে পারবে না’ —দাবি করেন মির্জা ফখরুল। অনুষ্ঠানে ভোলা জেলার নুর আলম, আব্দুর রহিম, নুরুল আলম নুরু, মো. সুমন ইসলাম, মো. লিখন খান, অমিত হাসান, আল আমিন, মনির হোসেন, সানাউল্লাহ, ফেনী জেলার আবুল কালাম, জামশেদ আলম, হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রামের ইয়ামিন আরাফাত, নেত্রকোণার মন্জুরুল হক মঞ্জু পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অর্থ সহায়তা তুলে দেন মির্জা ফখরুল।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ আগস্ট ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় নির্বাচন : আ.লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ এবং ১৪৪ ধারা জারির ‘সংস্কৃতি’ শুরু

জাতীয় নির্বাচন : আ.লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ এবং ১৪৪ ধারা জারির ‘সংস্কৃতি’ শুরু

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধীদল বিএনপি ইতিমধ্যে রাজপথে বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্যে দিয়ে তাদের নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ইতিমধ্যে বলেছে সারাদেশে তাদের নেতাকর্মীরা আগেই থেকেই মাঠ দখলে রাখবে। অন্যদিকে বিএনপি নেতারা বলছে, তারাও আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবে এবং শেখ হাসিনা সরকারের অনিয়ম, দুর্নীতি, দুঃশাসন নিয়ে কথা বলবে এবং জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করবে।তারই ধারাবাহিকতাই আজ মঙ্গলবার পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একই স্থানে একই সময়ে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়ায় সংঘাত এড়াতে উপজেলা প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।উপজেলা বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মঙ্গলবার (আগস্ট ২৩) সকাল ১০টার দিকে গ্রামীণ ব্যাংক সড়ক এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বলে ঘোষণা দেয়। এ অবস্থায় গতকাল সোমবার রাতেই দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল-ইমরান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আজ সকাল ১০টায় গ্রামীণ ব্যাংক সড়কে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজনের কথা ছিল।একই সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও একই এলাকায় পাল্টা বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এর পর থেকে দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ অবস্থায় উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় ও যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ওই এলাকায় সভা, সমাবেশ, মিটিং, মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।এদিকে ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় একই স্থানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি সভা আহ্বান করায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।গতকাল সোমবার রাতে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা শামসাদ বেগম স্বাক্ষরিত এ–সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়।এতে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পরশুরাম উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে পরশুরাম দলীয় অফিসসংলগ্ন স্টেশন রোডে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা করা হয়। একই দিনে ও একই সময়ে পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা পরশুরাম বাজার ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে পরশুরাম উপজেলা এলাকায় ২৩ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ আগস্ট ২০২২


মির্জা ফখরুল'রা মনের জ্বালা মেটাতে দেশের মানুষকে জ্বালাতে চায়: নানক

মির্জা ফখরুল'রা মনের জ্বালা মেটাতে দেশের মানুষকে জ্বালাতে চায়: নানক

সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবেলায় নেতাকর্মীদের রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্লজ্জ ভাবে বলছে, দেশের মানুষ না কি জ্বলছে? দেশের মানুষ কোথায় জ্বলছে? আপনাদের মন জ্বলছে। কারণ আপনাদের ক্ষমতাটা দখল করা দরকার।সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ২১ আগস্ট উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ষড়যন্ত্র হচ্ছে, যদি দেশে আন্দোলনের নামে কোন নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাহলে তাদেরকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।কারণ বাংলাদেশের এই জনগণ সত্যিকারের ইতিহাস জানতে পারছে। ১৯৭৫’র ১৫ আগস্টের ইতিহাস জানতে পেরেছে। ৭ই মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলেন, সেই ৭ই মার্চের ভাষণ এখন সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের প্রাণের স্পন্দন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজেই অনেক জ্বালা আপনাদের আছে। কারণ আপনি আপনার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে কোন দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। সব নির্দেশনা আসে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারী যাকে দেশের আদালত যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে, অর্থলোভী লুটপাটকারী তারেক রহমানের কাছ থেকে। লন্ডন থেকে আপনাকে নির্দেশ দেয়, তাই জ্বালা আপনাদের রয়েছে।সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপির আগুন সন্ত্রাস, পেট্রোল বোমার মাধ্যমে মানুষকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মারার প্রসঙ্গ টেনে জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, নির্বাচন ও আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যারা করেছেন আপনারা।আপনাদের পলাতক তারেক রহমানের নির্দেশে এই দেশে ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা হয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৩ সালে ক্লিনহার্ট অপারেশনের নামে আমাদের শতাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিলেন আপানারা। আওয়ামী লীগকে পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়াতে দেন নাই। আর আপনারা একদিকে কথা বলবেন আরেকদিকে বললেন কথা বলার অধিকার নাই।আমাদেরকে ক্ষমতা থেকে টেনে হেঁচড়ে নামানোর কথা বলবেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কথা বলবেন। তারপরও বলবেন আপনাদের কথা বলার স্বাধীনতা নাই।বিএনপি-জামায়াতের দিকে ইঙ্গিত করে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরা একাত্তরে যারা পরাজিত হয়েছিল সেই চক্রের উত্তরাধিকার। ওরা বাংলাদেশকে মানতে পারে না। ওদের ভিতরে চরম প্রতিশোধ রয়ে গেছে।কাজেই ওদের মনের জ্বালা পোড়ার কারণে মাঝে মধ্যে দেশের মানুষকে জ্বালাতে চায়।দলের নেতাকর্মীদের স্বাধীনতার ইতিহাস রক্ষার ব্রত নিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমরা পরিস্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের দলের নেতাকর্মীরা দেশের সকল কঠিন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আপনাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এই দেশে যদি আন্দোলনের নামে কোন নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাহলে তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা মাথা ছাড়া দিয়ে উঠলেই প্রতিহত করতে হবে। এজন্য আমাদের সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের ইতিহাসের সঙ্গে অবিচ্ছিত অংশ।তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।নির্বাচনে বিজয় ছাড়া কোন বিকল্প নাই। আগস্ট মাসের এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ওই পরাজিত অপশক্তিকে আগেও প্রতিহত করা হয়েছে এবারও প্রতিহত করতে হবে। আমাদের নেতাকর্মীদেরকে বলব- আপনারা সবাই সজাগ থাকুন।যেখানে ষড়যন্ত্র হবে সেখানেই প্রতিহত করতে হবে। দেশবিরোধী এ ধরনের ষড়যন্ত্রকারীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে। এই হোক আজকের দিনে আমাদের শপথ।আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের সেকেন্ড হোম রাজপথ। সুতরাং আওয়ামী লীগের কর্মীদের রাজপথের ভয় দেখিয়ে লাভ নাই । আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ রাজপথে প্রস্তুত। বিএনপি জামায়াত যত বার এদেশে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করবে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ রাজপথে তার সঠিক জবাব দিবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ আগস্ট ২০২২


'ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো, আওয়ামী লীগ এলো দেশে'

'ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো, আওয়ামী লীগ এলো দেশে'

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,‘আমি সবসময় বলার চেষ্টা করি এই সরকার বর্গীদের সরকার। ছোটবেলায় শুনতাম- খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে। আজকে এরা ঠিক বর্গীদের ভূমিকা পালন করছে। আজকে বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানোর জন্য বলতে হবে আওয়ামী লীগ এলো দেশে।’তিনি বলেন, ‘রাস্তায় সিনেমার পোস্টারে দেখেছি, সেখানে লেখা রয়েছে 'জন্ম থেকেই জ্বলছি'। এ সরকারের আমলে বলা যাবে না যে- জন্ম থেকেই জ্বলছি। বলতে হবে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জ্বলছি। এই জ্বালা এমন একপর্যায়ে যাচ্ছে সেটা অসহনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লা‌বের আব্দুস সালাম হ‌লে বিএন‌পি আ‌য়ো‌জিত দুর্নী‌তি জ্বালা‌নি সঙ্কটের উৎস শীর্ষক এক সে‌মিনা‌রে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা ব‌লেন।ফখরুল বলেন, ‘আজ জ্বালানির যে সংকট, এর মূল উৎস হচ্ছে দুর্নীতি। আজ তারা (আওয়ামী লীগ) জ্বালানিকে দুর্নীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। শুধু জ্বালানি খাত নয় সমস্ত খাতকে। বাংলাদেশের কোনো খাতকে তারা বাকি রাখেনি। আপনারা দেখেছেন আওয়ামী লীগ সরকার করোনার সময় কীভাবে মানুষের জীবন নিয়ে, স্বাস্থ্য নিয়ে দুর্নীতি করেছে। গার্ডার পড়ে কীভাবে পাঁচজনের জীবন গেল। সড়ক খাতে সারাদেশ প্রতিদিন লোক মারা যাচ্ছে।’বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছিলাম। ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছিল, আমাদের ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম চলে গিয়েছিল। বর্তমানে এই দেশটাকে দেখার জন্য নয়। আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতন্ত্র সমাজ দেখতে চেয়েছিলাম। একটি মুক্ত উদার গণতন্ত্রের মধ্যে আমরা বাস করতে চেয়েছিলাম। আজকে এরা কি করেছে? সম্পূর্ণভাবে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। কোথাও কথা বলতে পারবেন না, কোথাও লিখতে পারবেন না, কোথাও যেতে পারবেন না। এরা প্রতিমুহূর্তে বাংলাদেশকে মিথ্যার মধ্য দিয়ে প্রচারণার মধ্য দিয়ে জনগণকে বোকা বানিয়ে যাচ্ছে।’চা-শ্রমিকদের প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আজ শ্রমিকরা রাস্তা নেমেছে, তাদের ন্যূনতম দাবি ৩০০ টাকা মজুরির জন্য। সেখানে কিন্তু তাদের ১০-১২ হাজার টাকা আসে না। যেখানে মানুষের মাথাপিছু আয় ২৮০০ ডলার, আর এখানে তারা বেতন পাচ্ছেন ১২০ টাকা। এই যদি একটা দেশ হয়, এই যদি একটা সমাজ হয়, এ যদি অর্থনীতির হিসাব হয়, তাহলে তো স্বাধীনতার মূল্য আছে বলে আমার কাছে মনে হয় না।’অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস খান, সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ আগস্ট ২০২২


গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে বিএনপি কখনো হৃদয়ে ধারণ করে না : কাদের

গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে বিএনপি কখনো হৃদয়ে ধারণ করে না : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে বিএনপি কখনো হৃদয়ে ধারণ করে না।বিএনপি এদেশের হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্র- দুর্বৃত্তায়ন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক।তিনি আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদের দুরভিসন্ধিমূলক মিথ্যা অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একথা বলেন। বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিএনপি নেতারা তাদের চিরায়ত মিথ্যাচারের রাজনীতি অব্যাহত রেখে নানামুখী ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও অন্তরে তাদের ১৫ আগস্টের নির্মম-নিষ্ঠুর পাশবিক মানসিকতা এবং ২১ শে আগস্টের বর্বরতা ও পৈচাশিকতাকে ধারণ করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের তাঁর বিবৃতিতে বলেন ঐতিহাসিক ভাবেই বিএনপি স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ এবং জঙ্গি-সন্ত্রাস ও প্রতিহিংসার রাজনীতিকে লালন করে আসছে। তিনি বলেন গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে বিএনপি কখনো হৃদয়ে ধারণ এবং রাজনৈতিক কার্যক্রমে চর্চা করে না।করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে যখন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে তখন এই বৈশ্বিক সঙ্কটকে পুঁজি করে জাতীয় রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন আর এই ষড়যন্ত্রের মূলে রয়েছে ২১ শে আগস্টের মাস্টার মাইন্ড খুনি তারেক রহমান ও তার দল বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ আগস্ট ২০২২


১৫ আগষ্টে বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারে হত্যাকান্ড কারবালার হত্যাকান্ডকেও হার মানায়: শাহীন আহমেদ

১৫ আগষ্টে বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারে হত্যাকান্ড কারবালার হত্যাকান্ডকেও হার মানায়: শাহীন আহমেদ

কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেছেন ১৫ আগষ্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারসহ যে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে তা কারবালার হত্যাকান্ডকেও হার মানায়।রবিবার (২১ আগষ্ট) দুপুর ১টায় ইস্পাহানি কলেজ মাঠে ১৫ আগষ্ট ও ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্বরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, কারবালার প্রান্তে যে হত্যাকান্ড হয়েছিলো সেখানে কোন শিশু ও নারী নিহত হয়নি, কিন্তু ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের শিশু ও অন্ত্বসত্তা নারীসহ সকল সদস্যকে ঘাতক বাহিনী নির্মম ভাবে হত্যা করে যা কারবালার হত্যাকান্ডকে হার মানায়।২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার স্মৃতি চারণ করে শাহীন বলেন কিছু পাকিস্তানিদের দোসর, কুচক্রী মহল বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় তিনি বেঁচে যান। মারা যান আইভি রহমানসহ শতশত নেতাকর্মী।কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমাম হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।অনুষ্ঠানে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ী দের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়।সবশেষে ইস্পাহানি কলেজ ছাত্রলীগের আয়োজনে গরীব অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।ইস্পাহানি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ জালাল অপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাকুর হোসেন সাকু, ঢাকা জেলা (দক্ষিণ) ছাত্রলীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এহসান আরাফ অনিকসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

Harun Ur Rashid । ২১ আগস্ট ২০২২


পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে লিগ্যাল নোটিশ

পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে লিগ্যাল নোটিশ

বিতর্কিত’ বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ এবং সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।রোববার (২১ আগস্ট) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. এরশাদ হোসেন রাশেদ এ নোটিশ পাঠান।নোটিশে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আপনি ভারত সরকারকে যে অনুরোধ করেছেন, এটা আপনি করতে পারেন না। কারণ সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আপনি সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি মন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদ বলেন, ১৯ আগস্ট বিকেলে গণমাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত বিষয়ক বক্তব্যের তথ্য পান। ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। এর মাধ্যমে তিনি তার শপথ ভঙ্গ এবং সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তার এ বক্তব্য সার্বভৌমত্মকে আঘাত করেছে। তাই নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলেছি। অন্যথায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেটি করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছে। তিনি বলেন, আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) গোপালগঞ্জের টুঙ্গি পাড়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে। সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করার ব্যাখ্যায় ড. মোমেন বলেন, আমি বলেছি, আমরা চাই শেখ হাসিনার স্থিতিশীলতা থাকুক। এই ব্যাপারে আপনারা (ভারত) সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হব।এর আগে, গত ১২ আগস্ট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। দেশের মানুষ ‘বেহেশতে’ আছে।মন্ত্রীর এমন বক্তব্যে দেশজুড়ে প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা হয়। এর দুই দিনের মাথায় গত ১৪ আগস্ট রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাশেলের সঙ্গে বৈঠকের পর ড. মোমেন গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, আমি তো ট্রু সেন্সে ‘বেহেশত’ বলিনি। কথার কথা। কিন্তু আপনারা সবাই আমারে খায়া ফেললেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ আগস্ট ২০২২


'অহংকার করেন না, দরজা খুলে দিলে দেখবেন আ.লীগে যোগদানের লাইন কত বড় হয় বিএনপি নেতাদের কাদের'

'অহংকার করেন না, দরজা খুলে দিলে দেখবেন আ.লীগে যোগদানের লাইন কত বড় হয় বিএনপি নেতাদের কাদের'

বিএনপি নেতাদের অহংকার না করার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “আপনাদের জেলা উপজেলা থেকে যোগাযোগ করছে, দরজাটা খোলে দিলে দেখবেন আওয়ামী লীগে যোগদানের লাইন কত বড়।”শনিবার বিকালে রাজধারি বিএনমএ অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের শোক দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা যাদের প্রতিপক্ষ ভাবি তারা আমাদের শত্রু ভাবে। পচাত্তরের হত্যা কান্ডে তাদের দোষররা, এর পর তেশরা নভেম্বর। এটা কি প্রতিপক্ষের? না শত্রুর? শত্রুর মত ব্যবহার তারা আমাদের সঙ্গে করে। কোকোর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শোকার্ত মাকে শান্তনা দিতে ছুটে গেছে, মুখের উপর ঘরে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে, মূল ফটক বন্ধ করে দিয়েছে। এই দুর্ব্যবহারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেয়েছেন।“২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে টেলিফোন করেছেন, আসুন গণভববনে ডিনার করুন, আমরা কথাবার্তা বলি। কি দুর্ব্যবহারটা করেছে। বারে বারে দেয়াল তুলছেন আপনারা, সম্পর্কের সেতুটা আপনারাই ধ্বংশ করে দিয়েছেন এদেশের রাজনীতিতে।”বিদেশে আওয়ামী লীগের কোন প্রভু নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা বঙ্গবন্ধু, জননেত্রী শেখ হাসিনা, তাদের আদর্শ ধারণ করি এবং সেটাই আমাদের বড় অস্ত্র। আমাদের ক্ষশমতার উৎস বাংলাদেশের জনগণ, অন্য কেউ না। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে প্রভু নেই। আপনাদের মত আমাদের প্রভু নেই। আমরা বন্ধুত্ব করি আমাদের সার্থে, আমরা বন্ধুত্ব করি আমাদের অতীতে, খারাপ সময়ে কে আমাদের সঙ্গে ছিল। এটা আমরা স্বরণ করি।“কিন্তু আমি কারও দয়ায় তো ক্ষমতায় আসি নি। আমার দেশের জন্যগণ আমাদের সমর্থন করেছে। আল্লাপাকের অশেষ রহমত আছে সেজন্যই আমরা ক্ষমতায় আছি। ইনশাআল্লাহ ফখরুল সাহেব তাদের সহকর্মীরা জনমতে তলানীতে।”বিএনপি নেতাদের অহংকার না করার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সারা দুনিয়া এখনও বলে, শেখ হাসিনা জনপ্রিয় নেত্রী। জনপ্রিয়তার প্রমান আপনারা বার বার ডাক দিয়েও মাঠে নামাতে পারেন নি, ইনশাল্লাহ পারবেন না। নির্বাচনটা আসুক তখন প্রমান পাবেন শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা অপ্রতিরোদ্ধ, তুঙ্গে। কত উচুতে নির্বাচনে টের পাবেন। আমাদের প্রমান করতে হবে না।“বড় বড় কথা বলবেন না, বড় বড় কথা বললে আসল কথা বেড়িয়ে আসবে। একটা মিছিল হলে খোলা মাঠে মারা মারি, সেই দল কলহ কোন্দলে ভরা কেউ কাউকে মানে না। কারও প্রতি কারও কোন আস্থা নেই। প্রস্তাব তো আমাদের কাছেও আসে জেলা পর‌্যায়ের, কেন্দ্রীয় পর‌্যায়ের। অনেকে যোগ দিতে চায়। দরজাটা খুলে দিলে টের পাবেন লাইন কতটুকু, আওয়ামী লীগে যুগদানের লাইন। আপনারা আপনাদের দোষত্বের পক্ষ থেকে। কাজেই এক অহংকার ভালো নয়। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি মানুষের সঙ্গে থাকবো।”বিএমএ এর সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বিএমএ এর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ আগস্ট ২০২২


শেখ হাসিনা মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বাংলার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন: এমপি অপু

শেখ হাসিনা মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বাংলার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন: এমপি অপু

শরীয়তপুর- ১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. ইকবাল হোসেন অপু বলেছেন, এই মাস শোকের মাস, এই মাসে আমরা হারিয়েছি বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই শোককে শক্তিতে পরিণত করে আগামীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবার ও রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে।শনিবার (২০ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কাজির হাটে দোয়া মাহফিল ও গণভোজ এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হলেন সেই ব্যক্তি যিনি জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন বাঙালির অধিকারের জন্য। বাঙালির অধিকারের কথা বলতে গিয়ে ১৪ টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। গণতন্ত্র, স্বাধীনতাসহ সব আন্দোলনে নেতৃত্বের সম্মুখ সারিতে ছিলেন তিনি। এদিকে তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কাজ করে যাচ্ছেন। ডুবিসায়বর বন্দর সভাপতি এম এ ওয়াহাব মাদবরের সভাপতিত্বে এসময় সাবেক সংসদ সদস্য মাস্টার মজিবর রহমান ও জাজিরা উপজেলা চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার, জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার জিএম নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেবসহ উপজেলা- পৌরসভা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ আগস্ট ২০২২


'আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে বিএনপি নেতাকর্মীদের রাজপথে খুঁজে পাওয়া যাবেনা'

'আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে বিএনপি নেতাকর্মীদের রাজপথে খুঁজে পাওয়া যাবেনা'

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম বলেছেন আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখাবেন না, আওয়ামী লীগের সৈনিকরা যদি মাঠে নামে আপনারা আবার ঘরের ভেতর ঢুকে যাবেন, রাজপথে আপনাদের খুঁজে পাওয়া যাবেনা।"আমরা মাঠে নামলে আপনাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা যদি মনে করি ঢাকা শহরে আগামীকাল বিএনপি রাস্তায় নামবে না... সেটিই সত্য। কিন্তু আমরা হিংসার রাজনীতি করিনা। প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন আপনারা"।শনিবার (২০ আগস্ট) রাজধানীতে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনেক ক্ষতি করেছেন, তার দলের ক্ষতি করেছেন, তারপরও তিনি আপনাদের চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছেন এর অর্থ হলো আপনারা ভালো হয়ে যান, রাজনীতিতে ফিরে আসুন । জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি থেকে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসুন। গণতন্ত্র চর্চা করেন গণতন্ত্র কাকে বলে শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখুন ।তিনি আরো বলেন, 'বিএনপি-জামাত সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষা করেছিলেন। এদেশে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উল্টো পথে পরিচালিত করেছিল বঙ্গবন্ধুর নাম এদেশ থেকে চিরতরে মুছে ফেলার জন্য। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় আমরা বঙ্গবন্ধুর শোক দিবস পালন করতে পারিনাই। পুলিশ দিয়ে আমাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে । এমন কোন রাত নেই যে আমরা শান্তিতে ঘুমোতে পেরেছি। নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে ছোট্ট মেয়ে পূর্ণিমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে'।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ আগস্ট ২০২২


'পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে অটল অর্থাৎ ভারতের আনুকূল্যে এই সরকার ক্ষমতায় আছে'

'পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে অটল অর্থাৎ ভারতের আনুকূল্যে এই সরকার ক্ষমতায় আছে'

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে অটল। উনি সেটার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। এর মানে দাঁড়ায়, ভারতের আনুকূল্যে এই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে। এখন সাধারণ মানুষ না খেয়ে থাকছে। দিন দিন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তবে ভালো আছে লুটেরা এলিট শ্রেণি। তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। তাই যে সরকার অন্যের জোরে টিকে আছে, তাদের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।’শনিবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নজিরবিহীন লোডশেডিং, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং হত্যা, গুম, দমন-পীড়নের প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সামনে নির্বাচনের কারণে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারকে দেশে আসার অনুমতি দিয়েছে সরকার। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই বর্গীদের মতো সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে। সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আজ বিভিন্নভাবে ডাইভার্ট করতে চায়। আওয়ামী লীগ তাদের অপকর্ম-দুর্নীতি থেকে মানুষের মনকে অন্য দিকে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে দেশের মূল সংকট একটা সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। আওয়ামী লীগ জোর করে বিনা ভোটে শুধু রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। এই আওয়ামী লীগকে সরাতে আমাদের পবিত্র দায়িত্ব আন্দোলন, আন্দোলন, আন্দোলন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনগণকে রাস্তায় নিয়ে এই ভয়াবহ রাষ্ট্র ধ্বংসকারী সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন আর কোনো নির্বাচনের কথা নয়। এখন আর ঘুম পাড়ানির কোনো কথা নয়। এখন একটা মাত্র দাবি, এই সরকার কবে যাবে। তাই আমরা বলেছি, সবার আগে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমানসহ ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল একটি পার্লামেন্ট ও সরকার গঠন করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘দুঃখ হয় আমার, একটা দলের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করেন। দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনাও বলে থাকেন, জিয়াউর রহমান নাকি যুদ্ধ করেননি। জিয়াউর রহমানের নাকি বাইরে মুক্তিযোদ্ধার পোশাক ছিল, ভেতরে নাকি ছিল পাকিস্তান চর, ধিক্কার দেই আমি যারা জিয়াউর রহমানের ভূমিকাকে অস্বীকার করে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে।’বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশকে স্থায়ীভাবে একটি অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক। এটা আমার কথা নয়, এটা খালেদা জিয়ার কথা যিনি গণতন্ত্রের জন্য আজও বন্দি হয়ে আছেন। তিনি বলেছিলেন বাংলাদেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, ব্যর্থ রাষ্ট্র করা হচ্ছে, এখন তাই হচ্ছে। প্রত্যেকবার নির্বাচনের আগে জনগণকে ভোট দেওয়ার জন্য লড়াই করতে হবে, সংগ্রাম করতে হবে। আর এটা যার জন্য হচ্ছে, তার জন্য দায়ী ওই খায়রুল হক সাহেব। এটাই হচ্ছে আমাদের প্রধান সমস্যা যে বিচার বিভাগ ধ্বংস হয়ে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ আগস্ট ২০২২


পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে: জিএম কাদের

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে: জিএম কাদের

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের দায় সরকার এড়াতে পারে না। এমন বক্তব্যে প্রতিবেশী বন্ধু দেশ ভারতকেও অস্বস্তিতে ফেলেছে। শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে বনানী জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতিবছর দেশ থেকে লাখো-কোটি টাকা পাচার হচ্ছে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, জবাবদিহিতার অভাবে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। কেউ দুর্নীতির সমালোচনা করলে সরকার তাকে ষড়যন্ত্রকারী ও রাষ্ট্রবিরোধী মনে করে। সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করতে চাইলে, সমালোচনা শুনতে হবে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।জিএম কাদের বলেন, হিন্দু শাস্ত্রমতে শিষ্টের লালন আর দুষ্টের দমনের জন্যই শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব। কিন্তু এখন দেশে চলছে, দুষ্টের লালন আর শিষ্টের দমন। এখন শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন না, এখন মুসলিমরাও সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়ে দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন। এখন সৎ মানুষ হলে চাকরি মেলে না, আদর্শবান হলে ব্যবসা করতে পারছেন না। বেঁচে থাকার তাগিদেই এখন দেশ ছেড়ে অন্যদেশে যাচ্ছে সবাই।জিএম কাদের বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা উঠলে সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে হাস্যকর হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে সারাবিশ্বের কাছে আমরা মিথ্যেবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হচ্ছি। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। আবার প্রতিনিধি পছন্দ না হলে ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তন করার অধিকার চায়। প্রজাতন্ত্র মানে দেশের মালিকানা সাধারণ মানুষের। দেশের মালিকানা সাধারণ মানুষের না থাকলে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে কখনোই দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হবে না।এ বছর সরকারকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা ঋণের সুদ দিতে হচ্ছে উল্লেখ করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ২-১ বছরে আসলসহ সুদের টাকা পরিশোধ করতে হবে। তখন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়তে পারে দেশ। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, তখন শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হতে পারে দেশ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ আগস্ট ২০২২


সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতের সাহায্য কেন দরকার ব্যাখ্যা চান মির্জা ফখরুল

সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতের সাহায্য কেন দরকার ব্যাখ্যা চান মির্জা ফখরুল

সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতের সাহায্য কেন দরকার, এর ব্যাখ্যা জানতে চায় বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতের সাহায্য কেন দাবি করেছেন, এর ব্যাখ্যা সরকারের কাছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে, এমনকি ভারত সরকারের কাছেও জানতে চাই।’জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সভা হয়।গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেটি করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছেন তিনি।পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মিছিল–সমাবেশে মন্ত্রীরা বড় বড় বক্তৃতা করেছেন, হুমকি দিয়েছেন। সন্ত্রাসী ভাষায় কথা বলেছেন। এতই যদি হুমকি দেন, তাহলে আপনাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতের সাহায্য দাবি করেন কেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, সে কথার অর্থ কী? তাতে কি এটা দাঁড়ায় এই সরকার টিকে আছে ভারতের আনুকূল্যে। এই কথার জবাব তো এ দেশের মানুষ জানতেই চাইবে।’পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে আজ সকালে পৃথক এক অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এ কে আব্দুল মোমেন অনেক সময় নিজের অজান্তেই সত্য কথা বলে বসেন। ‘বেহেশতে’ থেকে তো আর মিথ্যা কথা বলা যায় না। তাই সত্যটাই বলে দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের আলোচনা সভায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা শেষ হয়ে গেছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এর আগের অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন পুঁজিবাজার যে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, লুট হয়ে যাচ্ছে, তাদের ধরা যাচ্ছে না। কারণ, তাদের হাত অনেক লম্বা। তখন যে প্রতিবেদন বেরিয়েছিল, তার মধ্যে পরিকল্পনামন্ত্রীও ছিলেন। এখন তিনি অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ এই সরকার দুর্নীতিবাজদের সরকার। এই সরকার চোর ও ডাকাতের সরকার। এরা অবৈধ। এদের বৈধতা নাই। এরা রাতের অন্ধকারে নির্বাচন করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ আগস্ট ২০২২