দেশে রাজনীতি নেই বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। তিনি বলেছেন, দেশে রাজনীতি করার পরিবেশ সীমিত হয়ে গেছে।বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক নেতাদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।জি এম কাদের বলেন, দেশের মানুষের কথা বলার অধিকার সীমিত হয়ে পড়েছে। এটা গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য বড় ধরনের হুমকি। জাপা মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য কাজ করছে।জাতীয় পার্টি গণমানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে রাজনীতি করছে - দাবি করে সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করার অধিকার ছিনতাই হয়ে গেছে। আমরা মানুষের সব অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করব।এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, হুমায়ুন খান, দেলোয়ার হোসেন খান মিলন, যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল দিদার দিপু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য শামীম আহমেদ রাজীব, এ কে এম সাজ্জাদ পারচেজ, রেজাউর রাজী স্বপন চৌধুরী, রাকিব খান প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছেন আগামী নির্বাচনে আপনাদের ইমাম কে, জনগণ তা জানতে চায়। তিনি আজ সকালে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ব্রিফিংকালে ২০১৮ সালে গণফোরাম প্রধান ডক্টর কামালকে ইমাম মেনে ভুল করেছেন, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে একথা বলেন।আগামী নির্বাচন জয়ী হলে জাতীয় সরকার গঠন করবেন বিএনপি, - বিএনপি এবং তার সহযোগীরা এ বিষয়ে নাকি একমত হয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এই প্রসঙ্গে বলেন স্বপ্নতো তারা বারবার দেখেন,গত নির্বাচনেও ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলেন, তাদের স্বপ্নে দেখা জাতীয় সরকার এবারও জাতির সাথে জাতীয় তামাশা কিনা তা দেখা যাবে।ওবায়দুল কাদের বলেন আগে বিএনপি নির্বাচনে আসুক, জনগণ চাইলে জয়লাভ করুক।বিএনপি তো নির্বাচন প্রক্রিয়াই বিশ্বাস করে না, তারা চায় চক্রান্ত করে যে কোন উপায়ে ক্ষমতায় যেতে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি এখন সরকার গঠনের দিবাস্বপ্নে জনসম্পৃক্ততাহীন কিছু নেতাদের নিয়ে ঐক্য করছে।কথিত এ ঐক্য ভোটের মাঠে কোন প্রভাব ফেলবে বলে জনগণ মনে করে না। তিনি বলেন ঐক্যের নামে বিএনপি এবং তার দোসররা মূলত শেখ হাসিনা সরকারকে হটানোর জন্য দেশ-বিদেশে চক্রান্ত করছে, তাদের এ চক্রান্ত প্রতিরোধ এবং প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না, - বিএনপি নেতাদের এমন কাল্পনিক বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া না দেওয়ার বিএনপি কে? ক্ষমতার উৎস এ দেশের জনগণ এবং ক্ষমতা দেওয়ার মালিক মহান আল্লাহ। জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং আছে, জনগণ যতদিন চাইবে ততদিনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে এমন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপির চাওয়া না চাওয়ায় কোন কিছু আসে যায় না।এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি ডানা এল ওল্ডস।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ আগস্ট ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি লাশের ওপরে প্রতিষ্ঠিত, সেই কারণে তারা লাশ সৃষ্টি করতে চায়। আর আগস্ট মাস এলেই তাদের এ প্রবণতাটা আরও বেড়ে যায়।তিনি বলেন, ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপি। সারা বাংলাদেশে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে লাশ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের গত কয়েকদিনের উসকানিমূলক বক্তব্য এটিই প্রমাণ করে। তবে জনগণ তাদের সেই সুযোগ দেবে না।বুধবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান লাশের ওপর পা দিয়েই ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তিনি ক্রমাগতভাবে বহু সৈনিকের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে দেশ পরিচালনা করেছেন। ১৯টি ক্যু হয়েছে। সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর কয়েক হাজার অফিসার ও জওয়ানকে হত্যা করেছেন জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকেও হত্যা করেছেন তিনি। ড. হাছান বলেন, খালেদা জিয়াও একইপথ অনুসরণ করেছেন। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে কীভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে লাশ বানিয়ে সেই লাশ আবার পুড়িয়ে অঙ্গার করে ফেলেছেন! লাশের ওপর দাঁড়িয়েই তাদের রাজনীতিতিনি বলেন, ভোলায় তারা (বিএনপি) যে মিছিল ও সমাবেশ করবে, তা পুলিশকে জানায়নি। এরপরও পুলিশ তাদের সহযোগিতা করেছে। তারা দোকানপাট ভাঙচুর ও পুলিশের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। বিএনপির সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর গুলি ছোড়া হয়েছে। সেই গুলিতে পুলিশের একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। আরেকজন কনস্টেবলকে ধরে নিয়ে গিয়ে বিএনপি অফিসে মারধর করা হয়েছে।তিনি বলেন, আত্মরক্ষার্থে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। সেখানে তাদের দুজন কর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন। আগে যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন, ডাক্তারের রিপোর্ট হচ্ছে তার হেড ইনজুরিতে মৃত্যু হয়েছে। হেড ইনজুরি ইট-পাটকেলের আঘাতেই হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। ইট পাটকেল তো বিএনপিই ছুড়েছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর দায় দায়িত্ব হচ্ছে বিএনপির। প্রকারান্তরে তাদের মৃত্যুর জন্যও দায়ী বিএনপি।নাম ও সাইনবোর্ড সর্বস্ব বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপি মিটিং করছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের এ মিটিং দেখে অনেকে আবার নতুন দল গঠন করতে উৎসাহিত হচ্ছেন, বিএনপি কখন তাদের ডাকে। এ ধরনের পরিস্থিতি হয়েছে।এ সময় বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের পরিচালক এ এস এম আবুল হোসেন, সিনিয়র প্রকৌশলী ভাস্কর দেওয়ান, আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক হীরক খান উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ আগস্ট ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন,জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত শেখ মুজিব অনেক শক্তিশালীবুধবার বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বিশ্ব দুইভাবে বিভক্ত। একদিকে শোষক, আরেক দিকে শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে। বাঙ্গালি জাতির জন্য তিনি তার জীবন বিলিয়ে দিয়ে গেছেন। সুজিত রায় নন্দী বলেন, বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের যারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ হয়েছিল তাদের আত্নার শান্তি কামনা করছি।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শিশুদের প্রতি বন্ধুবৎসল। শিশুরা যেন সুন্দর আগামী ভবিষ্যৎ এর জন্য বড় হতে পারেন তার জন্য তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। শিশুদের অধিকার আদায়ে তিনি সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন।ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন সমকাল ইউটিউবএর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মিয়া মুনসেফ আলী। এসময় বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ আগস্ট ২০২২
গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টার সংলাপ শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীন কোনো নির্বাচন নয়—সে ব্যাপারে তাঁরা একমত হয়েছেন। সেই সঙ্গে এ সরকারকে সরানোর জন্য লাগাতার আন্দোলন এবং নির্বাচন-পরবর্তী রাষ্ট্র মেরামতে ‘জাতীয় সরকার’ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও তাঁরা একমত হয়েছেন।আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে পৌনে একটা পর্যন্ত রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংলাপ হয়। সংলাপ শেষে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘খুব ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং আমরা অনেক ব্যাপারে দেখলাম একমত—এখনকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর আমরা বুঝেছি যে আমরা একই পথে একই চিন্তায় আছি। এটা একটা খুশিকর খবর বিরোধী দলের জন্য, যারা বাংলাদেশের একটা পরিবর্তন চায়, তাদের জন্য।’বুধবার (৩ আগস্ট) পল্টন গণঅধিকার পরিষদে কার্যালয়ে সংলাপ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে আলোচনায় অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়েছি। তারা আমাদের সঙ্গে সবগুলো বিষয়ে একইমত ধারণ করেন। বিশেষ করে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়, সেই ব্যাপারে তারা একমত। আমরা একমত হয়েছি যে, এই সরকারকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায় না। কারণ তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে বাংলাদেশের অর্জিত সব অর্জনগুলো- গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা, সাম্য ও সামাজিক মূল্যবোধ, ন্যায় বিচারের অধিকার সব ধ্বংস করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন প্রভৃতি বিষয়ে গণঅধিকারের সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি জনগণের পার্লামেন্ট ও সরকার গঠন করতে হবে। যা সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে। তারপর আমরা রাষ্ট্র মেরামতের জন্য সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করব। এ বিষয়টি আলোচনা মধ্যে আছে। গণঅধিকার পরিষদে আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, খুব ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং অনেক ব্যাপারে একমত হয়েছি। বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর বুঝেছি যে, আমরা একই পথে, একই চিন্তায় আছি। খুব বেশি ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই।এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় আমরা সেটা মনে করি না। অনেক দলের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে, আরও হবে। একটা জাতীয় ঐক্য তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমাদের দুই দলের অবস্থান খুব কাছাকাছি এবং একসঙ্গে কাজ করব।গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, দেশের চলমান সংকটে রাজনৈতিক দলগুলোর করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চলমান সংকটকে যেভাবে আমরা দেখি তাতে বিএনপির সঙ্গে আমাদের খুব একটা পার্থক্য নেই। আজকের আলোচনায় আমাদের দশটি বিষয় ছিল। সেই বিষয়গুলোতে আমরা একমত পোষণ করেছি।তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটাতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির দাবির সঙ্গে আমরাও একমত। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা, সংসদ বিলুপ্ত করা, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা এবং এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং ইভিএম বাতিল করে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ আগস্ট ২০২২
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এই সরকার আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচন করে যেতে পারবে না। তার আগেই বিদায় নেবে। রাস্তায় সকল সমস্যার সমাধান হবে। রাস্তা দখল করতে পারলেই এই স্বৈরাচারের আগের স্বৈরাচারদের মতো পতন ঘটবে। খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০ নিয়ে আমরা এগুচ্ছি। তার চূড়ান্ত রূপরেখা এখনো আসেনি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ হলে সরকার হঠানোর চূড়ান্ত রূপরেখা দেব।বুধবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘সরকার ইভিএম-এ নির্বাচন করতে চায় কেন?’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ইভিএম হলো ভোট ডাকাতির মেশিন। তাই ভোট শেষে পেপার ট্রেইল দেওয়া হয় না। নির্বাচন কমিশন সংলাপের নামে নাটক করছে। কমিশন বলেছে সংলাপে অংশ নেওয়া অধিকাংশ দল ইভিএমের বিরোধিতা করছে। আমরাও ইভিএম চাই না। যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে তাদের অধীনে নির্বাচন করা একটি পোস্ট বক্স ছাড়া কিছুই না। তাই ইভিএম বাতিল করতে হবে। খন্দকার মোশাররফ বলেন, সরকার নতুন পদ্ধতিতে ভোট ডাকাতি করে টিকে থাকতে চায়। এটা হতে দেওয়া যায় না। আমরা আব্রাহামের গণতন্ত্রের সংজ্ঞা থেকে অনেক দূরে চলে গেছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা হয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীনরা গণতন্ত্র ধ্বংস হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছে। এখন শেখ হাসিনা সরকার অঘোষিতভাবে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। মেগা প্রজেক্টের নামে করেছে মেগা দুর্নীতি। এই দুর্নীতির মাধ্যমে আমাদের নিজস্ব রিজার্ভকে সংকটে ফেলেছে। বিদ্যুৎ নিয়ে তিনি বলেন, সরকার সাময়িক ব্যবস্থা কুইক রেন্টালকে প্রতিষ্ঠা করেছে স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে। সংসদে ইনডেমনিটি দিয়ে তাদেরকে যা ইচ্ছা তা করার সুযোগ দিয়েছে। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে কোটি কোটি টাকা দিয়েছে অথচ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়নি। এরা সবাই সরকারপুষ্ট। দেশকে আমদানি নির্ভর করে দিয়েছে। কারণ আমদানি করতে পারলেই দুর্নীতি করা যায়। আইএমএফ সরকারকে বলছে সরকারের হিসেব সঠিক নয়। সরকার বলছে আইএমএফকে কেন সব হিসেব দিতে হবে। আবার অর্থমন্ত্রী আইএমএফের কাছ থেকে মূলধনের জন্য ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছেন।তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় প্রথম সংকট শুরু হয়েছিল জ্বালানি আর লোডশেডিং দিয়ে আমাদের এখানেও সেইভাবে শুরু হয়েছে। সুতরাং দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই দেউলিয়াত্ব দেখবেন। শ্রীলঙ্কার স্বৈরতন্ত্রের মতো বাংলাদেশেও ফ্যাসিবাদ চলছে। তিনি আরও বলেন, গত নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনকে আমরা নেতা বানালেও নির্বাচন ঘোষণার পর তিনি বললেন তিনি নির্বাচন করবেন না। তখনই ঐক্যফ্রন্টের রূপরেখা ধূলিসাৎ হয়ে যায়। ফলে ফ্যাসিবাদী সরকার বাংলাদেশের বৃহত্তম দল বিএনপিকে ৬টি আসন ধরিয়ে দেয়। আগের মতো বিপর্যয় যাতে না আসে সেজন্য আমরা দলগুলোকে যাচাই বাছাই করছি। মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার বলছে রিজার্ভের সংকট নেই, তাহলে ব্যবসায়ীদের এলসি কেন রিফিউজ করে দেওয়া হচ্ছে। বিএনপিকে সরকারের হারিকেন ধরিয়ে দেওয়া নিয়ে বলেন, ৫ কোটি হারিকেন কেনার টাকা সরকারের নেই। তাই তারা হারিকেন ধরিয়ে দিতে পারবে না। জনগণ তাদেরকে হারিকেন ধরিয়ে দেবে।বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন-অর-রশিদ, বিএনপির ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, ড. মো. আব্দুস সেলিম, আনোয়ার হোসেন বুলু, কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির হুমকি-ধামকি যতটা গর্জে বাস্তবে ততটা বর্ষে না।আওয়ামী লীগের লড়াকু নেতাকর্মীদের রাজপথ দখলের হুমকি দিয়ে কোন লাভহুমকি দিয়ে কোন লাভ নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের ব্রিফিংকালে আরও বলেন আওয়ামী লীগ রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেই সরকারে এসেছে।তিনি আজ সকালে রাজধানীর সেতু ভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের রাজপথ দখলের হুমকি দেওয়া প্রসঙ্গে এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন রাজপথ কোন ব্যক্তি বা দলের সম্পত্তি নয়, রাজপথ জনগণের সম্পত্তি, কাজেই জনগণের সম্পত্তি সুরক্ষার দায়িত্ব সরকারের।তিনি বলেন রাজপথে ত্যাগ-তিতিক্ষার অভিজ্ঞতা আমাদের ( আওয়ামী লীগের) আছে।আওয়ামী লীগ নয়,বাংলাদেশ থেকে পালানোর ইতিহাস বিএনপির এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি, রাজনীতি করবেনা বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছে। আওয়ামী লীগের পালানোর কোন ইতিহাস নেই। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা আওয়ামী লীগের শিকড় এদেশের মাটি ও মানুষের অনেক গভীরে এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন যত সংকট আর ষড়যন্ত্রই হোক না কেন আওয়ামী লীগ এদেশেই থাকবে।দেশের মাটি ও মানুষের মাঝে থাকবে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন রাজপথ দখলের নামে তারা যদি আবারও জ্বালাও পোড়াও এবং আগুন সন্ত্রাসের পথ বেছে নেয় তাহলে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে জনগণকে সাথে নিয়ে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে। এর আগে সেতু ভবনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত চায়না রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় পিরোজপুর জেলার কচা নদীর উপর নবনির্মিত অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু ( বেকুটিয়া) হস্তান্তর ও এর উদ্বোধন এবং এ বছরের শেষ দিকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের বিষয়ে আলোচনা হয়।এছাড়াও চীনের সহায়তায় অন্যান্য প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ আগস্ট ২০২২
ইভিএমে ভোট গননা সম্পর্কে আমার দেওয়া বক্তব্যকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিকৃতভাবে প্রকাশ করে আমার চরিত্রহনন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পটুয়াখালীর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জোবায়দুল হক রাসেল।বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবার আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে উঠান বৈঠক হয়। তাঁতেরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।রাসেল বলেন, "২৪ জুলাই আমি বলেছি, ২৭ তারিখের পরদিন দেখা হবে, ভোট কোন সেন্টারে কয়টা ভোট পরে। ভোট গুনবে ইভিএমে কে কোথায় ভোটে দেয় সব আমাদের কাছে চলে আসবে। অতএব, ভয় পাওয়ার কোন কারণ নাই, টেনশনের কোন কিছু নাই, যারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন ইনশাআল্লাহ নৌকায় ভোট দিবেন। আপনাদের প্রতি কোন দাবী দাওয়াও নাই। ২৭ তারিখের পরে ২৮ তারিখে দেখা হবে।""কিন্তুবক্তবের আগের অংশ থেকে কেটে বিভিন্ন পত্রিকায় এবং ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় আমার বক্তব্য বিকৃতভাবে ভোট গুনবে জায়গায় ভোট হবে সহ মনগড়া বক্তব্য উপস্থাপন করে আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। এ নিয়ে আমি গণমাধ্যমে প্রতিবাদ লিপি দিয়েছি।"রাসেল বলেন, আপনাদের জ্ঞাতার্থে ২৪ জুলাই আমার দেয়া সম্পূর্ণ বক্তব্য হলো:আমার নাম অনেকেই শুনেছেন। ছোটবেলায় শৈশব কৈশর আমার এখানেই কেটেছে, আমি এই ফফির বাড়ি স্কুলে পড়েছি। আমি ৮৫/৮৬ সালের দিকে এইখানে আমার শৈশব কৈশরের স্মৃতি আছে। এইখানে আমার যারা আছেন আমার এই এলাকায় মুরব্বিরা যারা আছেন। তাদের কাছে যেহেতু আমি এসেছি, আপনাদের এখানে যেহেতু আমি এসেছি আপনাদের কাছে শুধু আমার একটাই দাবী বলতে পারেন যেহেতু আমি বর্তমানে না ব্যবসায়ী বড় ইঞ্জিনিয়ারও না বড় কোন ডাক্তারও না যেহেতু আমি রাজনীতির সাথে জড়িত আমি যেহেতু রাজনীতি করি শেখ হাসিনার কর্মী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক নৌকার একজন কর্মী, যেখানেই নৌকার নির্বাচন হয় সেখানেই আমাদের নেতা জনাব ওবায়দুল কাদের তিনি আমাদের পাঠান নৌকার নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য। আর এটা আমার ইউনিয়ন, এটা আপনাদের ইউনিয়ন এটা আমাদের সকলের ইউনিয়ন। আমরা একটা সুন্দর উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা যারা কেন্দ্রে যাব তারা নৌকায় ভোট দিব। আমি আবারও বলি এই ইজ্জত আপনাদের, আপনার বাড়ির, আপনার ঘরের, আপনাদের সম্মানের। এখানে কিছু ভাই ব্রাদার আছেন, কিছু আত্মীয় স্বজনেরা আছেন, কালকের বক্তব্যের পরে তাদের মন টোন খুব খারাপ হয়ে গেছে। অনেক ধরণের কথা বলতেছে। আমার ফোনে ফোন দিয়ে বিভিন্ন ধরণের কথা বলা হচ্ছে। আমি শুধু বলতে চাই একটা কথাই, যে ভাবেই ফারুক আপনাদের কাছে যদি খারাপ হয় আপনারা ফারুক ভাইকে কোন ভোট দিয়েন না, আপনার ভোট দিবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মার্কা নৌকাকে। আপনারা ভোট দিবেন পদ্মা সেতুর রুপকার শেখ হাসিনার মার্কা নৌকাকে। আপনারা ভোট দিবেন এই এলাকার এই জনগণের আপনাদের প্রিয় ভাই ইব্রাহিম ফারুককে। আমার বয়সী যারা আছেন, আমার ছোট বড় মুরব্বিরা যারা আছেন, এইখানে বসে ওইখানে বসে বিভিন্ন ধরণের কথা বার্তা হয়। ভোট আসলে আপনাদের এত দাম বাইড়া যায়, আমি একটা জিনিস বুঝি না, এই সরকার থেকে নুন্যতম একটা সাধারণ মানুষও ৫০ টাকা নেয়। এ টাকায় তার দৈনন্দিন জীবন-যাপনের জন্য, এই আপনার ঘরের বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে আপনি যে রাস্তার উপরে হাটেন, আপনাদের চিকিৎসা ভাতা, আপনাদের আপনারা যদি দৈনিক ৫০ টাকা করে ধরেন আপনার নিজেদের জন্য, তাহলে মাসে আপনার ১,৫০০/- টাকা, বছরে আপনার ৯,০০০/- টাকা, পাঁচ বছরে ৪৫,০০০/- টাকা। একজন যদি পান ৪৫,০০০/- টাকা আপনি সরকার থেকে নেন, আপনার পরিবারে যদি ৫ জন থাকে, তাহলে কত টাকা আপনি সরকার থেকে পাচ্ছেন হিসাব করেন। এখন নির্বাচন আসলে নতুন টাকার ছড়াছড়ি এখন তো টাকা দিতে পারছে না, বিকাশ নাম্বারে, আকাশ নাম্বারে, পাতাল নাম্বারে, যা আছে দিয়ে দেন। অসুবিধা নাই টাকা নেন সমস্যা নাই, কেন্দ্রে কিন্তু নৌকা নিয়ে যেতে হবে। নৌকার প্রার্থী আমি আবারও বলি জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। এটা কিন্তু আমার স্বাধীনতার মার্কা। এটা কিন্তু আমাদের স্বাধীনতার কথা। এই স্বাধীনতার মার্কা হলো নৌকা। এই নাজিরপুরে এই এলাকায় বিগত ১৫ টি বছর অনেকে অনেক দলের সাথে জড়িত, বুকে হাত দিয়ে বলুন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আমি ছাত্রলীগ করতাম, আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী আমি আওয়ামী লীগের নেতা, কোনদিন যারা বিএনপি করেন বা অন্য দলের সাথে জড়িত তাদের নামে একটা মামলা দিয়েছি আমরা বা কোন বাড়িতে হামলা করেছি তাহলে বলেন যারা বিএনপি করেন, বিএনপি তো ভোট করতেছে না, তাহলে আপনি কার পিছে ঘোরেন। ২৭ তারিখের পরদিন দেখা হবে ভোট কয়টা সেন্টারে পরে ভোট গুনবে ইভিএমে কে কোথায় ভোটে দেয় সব আমাদের কাছে চলে আসবে। অতএব, ভয় পাওয়ার কোন কারণ নাই, টেনশনের কোন কিছু নাই, যারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন ইনশাআল্লাহ নৌকায় ভোট দিবেন। আপনাদের প্রতি কোন দাবী দাওয়াও নাই। ২৭ তারিখের পরে ২৮ তারিখে দেখা হবে।সবাই ভাল থাকবেন, বাসায় থাকবেন, শান্তিতে থাকবেন, সুখে থাকবেন। জয়া বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।"
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ আগস্ট ২০২২
ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির কর্মীরা হরতালের দাবি তুলে স্লোগান দিয়েছেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগে রাস্তা দখল করো।’ আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল। ফখরুলের বক্তব্যের শেষ দিকে উপস্থিত কর্মীরা ‘হরতাল’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। বিএনপির মহাসচিব তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘আগে রাজপথ দখল করো।’ ফখরুলের বক্তব্য শেষ হয়ে গেলেও কর্মীরা ‘হরতাল’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা ঘোষণা করছি, আগামী পরশু দিন থেকে প্রতিটি অঙ্গসংগঠন বিক্ষোভ করবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে পরবর্তী কর্মসূচি দেব।’কর্মীদের রাস্তায় নামতে আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাস্তায় না নামলে কিছুই হবে না। রাস্তা দখল করতে হবে। সবাই তৈরি হয়ে যান। এই সরকারকে টেনেহিঁচড়ে নামাব।’ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার মৃত্যুর প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার মৃত্যুর প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ। সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের উদ্দেশে সরকারকে আর কোনো সময় দেওয়া যাবে না বলেও জানান ফখরুল। তিনি বলেন, ‘গর্জে উঠতে হবে। রাস্তাঘাট দখল করতে হবে। ক্ষমতাসীনদের নামিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে হারিকেন হাতে বিএনপির নেতাদের বিক্ষোভের ঘটনায় গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির নেতাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিতে বলেন। এর জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হারিকেন ধরিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে আপনাদের। হারিকেন ধরার টাইম পাবেন না। পেছনের দরজা দিয়ে যাওয়ারও সময় পাবেন না।’ শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে ফখরুল বলেন, ‘জনগণ পালাতে দেয় না। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে বর্তমান সরকার শ্মশানে পরিণত করেছে।’মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘ভোলায় নিহত রহিমের মায়ের বুক চাপড়ানোর দৃশ্য নতুন নয়। ফিলিস্তিনের মায়েরা যেভাবে বুক থাপড়ে কাঁদে, এটা সেই দৃশ্য। ১৪ বছর ধরে বিএনপি সেই দৃশ্য দেখে আসছে।’ তাঁদের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ভয়ে পালিয়ে থাকতে থাকতে হয়রান হয়ে গেছেন বলেও জানান ফখরুল।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘রহিমের রক্তের মধ্য দিয়ে সরকারের বিদায়ের সূচনা শুরু হয়েছে। পুলিশ একটি দলকে খুশি করতে জনগণের ওপর গুলি ছুড়ছে।’সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ে মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি, যা অন্তত ৩০ শতাংশ হবে।ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ আগস্ট ২০২২
বিদ্যুৎ নিয়ে যারা দুর্নীতির কথা বলেন-তারাই প্রকৃতপক্ষে দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ এক বিবৃতিতে বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপির অব্যাহত মিথ্যাচারের জবাবে এ কথা বলেন।শেখ হাসিনা সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে দুর্নীতি করলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত করা সম্ভব হতো না, শিল্পায়নের বিকাশ ঘটতো না,অর্থনীতির সমৃদ্ধি এবং প্রবৃদ্ধি ঘটতো না বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন বরং শেখ হাসিনা সরকার বিএনপির বেসামাল দুর্নীতি ও লুটপাটের পথ বন্ধ করে দেশের জন্য এনার্জি সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন বিদ্যুতের আলো।বিএনপি নেতারা সহজেই তাদের অতীত ভুলে যেতে চাইলেও জনগণ ঠিকই তা মনে রাখেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন তাদের সময়কালে দেশে দিনে ১৩ থেকে ১৪ ঘন্টা লোডশেডিং চলতো।বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরে শেখ হাসিনা সরকার বৈপ্লবিক সাফল্য দেখিয়েছেন এমন দাবি করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে দেশে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিলো ২২০ কিলোওয়াট, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৫৬০ কিলোওয়াট। মন্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেন ২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতাভুক্ত ছিলো মোট জনসংখ্যার ৪৭ শতাংশ, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে শতভাগ। ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিলো ৩ হাজার ২৬৭ মেগাওয়াট, বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে বলেন শুধু তাই নয়, ২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুেৎ গ্রাহক সংখ্যা ছিলো ১ কোটি ৮ লক্ষ। তিনি জানান ২০২২ সালের এপ্রিলে এসে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৭ লক্ষ। সরকারের এ সাফল্যে বিএনপি ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার আশঙ্কা কাটাতে আগাম ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশকেও কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের, বলেন এর অংশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে রেশনিং করা হচ্ছে, যা একটি সাময়িক পদক্ষেপ। বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন একটি মহল ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ভুঁয়া জিগির তুলছেন, প্রকৃতপক্ষে ভারত থেকে দেশে আমদানিকৃত বিদ্যুতের পরিমাণ মোটের উপর মাত্র ১০ শতাংশ। আবার কেউ কেউ বলছেন, দেশে নাকি ১৩ দিনের অকটেন এবং ১৭ দিনের পেট্রোলের রিজার্ভ আছে।অথচ প্রকৃত সত্য হচ্ছে, সামান্য পরিমাণে বুস্টার ছাড়া দেশে অকটেন ও পেট্রোল আমদানিই করা হয় না উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বিবৃতিতে বলেন প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রের কনডেনসেট থেকে রিফাইন করে পেট্রোল ও অকটেন তৈরি করা হয়।আবার কেউ কেউ বলছেন, দেশে তেল মজুদ আছে ৩৭ দিনের, তারা এ কথা বলছেন জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য। প্রকৃত সত্য হচ্ছে দেশে তেল মজুদের সক্ষমতা রয়েছে ৪০ দিনের। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে বিএনপি যে অব্যাহত অপপ্রচার আর মিথ্যাচার করছে, তা নিজেদের ব্যর্থতা আড়ালের অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয় - এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন তাদের সময়ে দেশ ছিলো অন্ধকারে নিমজ্জিত। তিনি বলেন তারা দেশের মূল্যবান খনিজ সম্পদ ক্ষমতায় আসার জন্য বিদেশি প্রভুদের হাতে তুলে দিয়েছিলো।বিদ্যুতের পরিবর্তে স্থাপন করেছিলো খাম্বা। বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন বিকল্প ক্ষমতা কেন্দ্র হাওয়া ভবন আর খোয়াব ভবন আলোকিত রাখতে গিয়ে সারা দেশকে অন্ধকারে রেখেছিলো বিএনপি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ আগস্ট ২০২২
সরকার পুলিশ দিয়ে আন্দোলন দমনের পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত আবদুর রহিমের স্মরণে আজ সোমবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গায়েবানা জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার পুলিশ দিয়ে গুলিবর্ষণ করে জানান দিয়ে দিয়েছে যে, তারা পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করে এই আন্দোলনকে দমন করতে চায়। কিন্তু ভোলার মানু্ষের রক্তের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এদেশের মানুষ কখনো ফ্যাসিবাদী সরকার, আওয়ামী লীগ সরকারের দমননীতিকে মেনে নেবে না।'মির্জা ফখরুল বলে, 'পুলিশের গুলিতে আমার গণতান্ত্রিক ভাইদের রক্ত ঝরেছে, রক্ত ঝরেছে ভোলায়। ভোলায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ গুলিবর্ষণ করেছে। সেখানে স্বেচ্ছাসেবক দলের ভাই আবদুর রহিমকে হত্যা করেছে। এতে আহত হয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন। এক শ জনের উপরে নেতা-কর্মীকে গুলিবর্ষণ করে আহত করা হয়েছে।''এটা ছিল একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। বিদ্যুতের দাবিতে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল। সেই সমাবেশে আজকে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পুলিশ দিয়ে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে।'বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে রোববার বিভিন্ন জেলায় সমাবেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলার নির্ধারিত কর্মসূচিতে পুলিশ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুর রহিমসহ ৫০ এর অধিক নেতা-কর্মী আহত হয়। বিএনপি এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ সারাদেশে গায়েবানা জানাজা ও আগামীকাল বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে।দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ভোলায় নিহত আবদুর রহিমের স্মরণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি মহানগর, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুব দল, কৃষক দলসহ অঙ্গসংগঠনের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন। গায়েবানা জানাজার পর আবদুর রহিমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ আগস্ট ২০২২
প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট ডাকাতি বন্ধ করতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন ইভিএম ব্যবহারে প্রথম দিকে কিছু কিছু ভোটারের অনিচ্ছা থাকলেও সময়ের পরিক্রমায় প্রমাণিত হয়েছে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল বন্ধ করে স্বচ্ছ নির্বাচন পদ্ধতি বাস্তবায়ন সম্ভব।রোববার (৩১ জুলাই) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে বিকেল ৩টায় এ সংলাপ শুরু হয়।ভোটকেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতি বন্ধ, ভোট জালিয়াতির মতো অপসংস্কৃতি রয়েছে। ভারতের মতো আমরাও মনে করি প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট ডাকাতি, কারচুপির বন্ধ করতে ইভিএম এর কোনো বিকল্প নেই।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক পদে দলীয় আনুগত্যের লোক নিয়োগ দিয়েছিলো। সেই সময়ে কর্মকর্তা পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ সকল দলীয় ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনের আওতাভুক্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। নির্বাচনকে নিরপেক্ষ এবং প্রভাবমুক্ত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দলীয়করণের অংশ হিসেবে যাদের নিয়োগ দিয়েছিলো তাদের অনেকেই জেলা পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আবার অনেকে দায়িত্ব পাওয়ার জন্য অপেক্ষমান। এ সকল কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদেরকে নির্বাচনের সকল ধরনের কার্যক্রমের বাইরে রাখার দাবি জানান তিনি।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ১২ জন কেন্দ্রীয় নেতা সংলাপে অংশ নিচ্ছেন।আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে আছেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহ, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপপু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন নাহার।এদিকে সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ২০২১ পঞ্জিকা বছরের নিরীক্ষিত হিসাব প্রতিবেদন দাখিল করে আওয়ামী লীগ।প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রবিবার (১৭ জুলাই) থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রবিবার (৩১ জুলাই) ধারাবাহিক সংলাপের শেষ দিন। সংলাপে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জুলাই ২০২২
শোকের মাসকে ঘিরে আগস্টের প্রথম প্রহর থেকে পুরো মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।রোববার (৩১ জুলাই) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি জানানো হয়।৩১ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ধানমণ্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর অভিমুখে আলোর মিছিল করবে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। একই সময়ে ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করবে মহিলা আওয়ামী লীগ৷সোমবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে কৃষক লীগের আয়োজনে রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এভাবে পুরো মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ এবং দলের সহযোগী সংগঠনগুলো।৩১ আগস্ট ছাত্রলীগ ও কৃষকলীগের আয়োজনে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শোকের মাস আগস্টের কর্মসূচি শেষ করবে আওয়ামী লীগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জুলাই ২০২২
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু বলেছেন, এই সরকারের আমলে সাড়ে ১৪ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।রোববার (৩১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে ফরিদপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে সারা দেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।বুলু বলেন, বাংলাদেশের চাল-ডালের দাম বেড়েছে। শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়েছে। পাকিস্তান দেউলিয়া হওয়ার পথে। আর এই সরকারের অনেক নেতা মালয়েশিয়া, দুবাইয়ে সেকেন্ড হোম বানিয়েছে।খালেদা জিয়ার চরিত্র হনন করার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, শেখ হাসিনার পর আওয়ামী লীগের হাল কে ধরবে? কে তা কেউ বলতে পারে না।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, আপনাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে হটাতে হবে। আপনারা একতাবদ্ধ না হলে এটা সম্ভব হবে না। আমরা এই সরকারকে টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাব।বিএনপি ফরিদপুর মহানগরের আহ্বায়ক এ এফ এম কাইয়ূমের সভাপতিত্বে সমাবেশে কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় দলের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।সভায় বক্তারা বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কার্যক্রমের সমালোচনা করে বলেন, তারা শুধু নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। এ দেশের জনগণের প্রতি তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। প্রতিদিন দ্রব্যমূলের দাম বাড়ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে। অথচ তাদের কোনো খেয়াল নেই।বক্তারা বলেন, ক্ষমতা কারও চিরস্থায়ী নয়। রাতের আঁধারে ক্ষমতায় গিয়ে এই সরকার জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তারা অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষিণা করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জুলাই ২০২২
অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মের বন্ধুদের সাম্প্রদায়িকতার বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।শনিবার বিশ্ব বন্ধু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল হলে ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশ নির্মাণে বন্ধুত্বের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। সুজিত রায় নন্দী বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিষাক্ত ছোবলে আক্রান্ত হচ্ছে আমাদের সমাজ। সাম্প্রদায়িক সংঘাতে আজ মানুষ ও মনুষ্যত্বের মানবীয় মর্যাদা অস্তিত্বের সংকটে। ধর্মের নাম ব্যবহার করে একটি চক্র আমাদের সমাজে অধর্ম ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই চক্রের হাতে ধর্মও আজ নিরাপদ নয়। এরা ধর্মকে কলুষিত করছে। মানবতা ভূলুণ্ঠিত করছে। প্রতিটি ধর্ম মানবতার কথা বলে, শান্তির কথা বলে, সম্প্রীতির কথা বলে। বন্ধুত্বের মধ্য দিয়েই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করা সম্ভব। বন্ধুত্বের শক্তি কাজে লাগিয়ে যুব-তরুণদের সম্প্রীতির বাংলাদেশ নির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বন্ধুত্বের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতা সভ্যতার শত্রু, মানবতার শত্রু। দেশের ও জাতির শত্রু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা ঐক্যবদ্ধ হলে যে কোনো বিষয়ে সফলতা অর্জন করতে পারি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তা প্রমাণ হয়েছে।আওয়ামী লীগের এ নেতা আরও বলেন, সব ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বন্ধু দিবসে আমাদের সব ধর্মের বন্ধুদের প্রতি আহ্বান- বন্ধুদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে, প্রতিহিংসা নয়। প্রতিহিংসা সব কিছু ধ্বংস করে দেয়। হানাহানি থাকবে না। ভেদাভেদ থাকবে না। শ্রদ্ধা-সম্মান থাকবে। সব ধর্মের বন্ধুরা একে অপরকে শ্রদ্ধা-সম্মান করবে। একজনকে সম্মান করলে আমার সম্মান বাড়বে।সুজিত রায় নন্দী বলেন, সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে সত্য-সুন্দর ও ন্যায়ের বিষয় তুলে ধরতে হবে। ফেসবুকের মাধ্যমে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হবে আত্মহত্যার শামিল। অসামাজিক ও অশ্লীলতা ফেসবুকে ছাড়ানোও হচ্ছে অপরাধের কাজ। এদের বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জুলাই ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন,যেভাবে বিএনপি হারিকেন নিয়ে মিছিল করছে, মনে হচ্ছে তাদের প্রতীক বদলে গেছে। বিএনপির মধ্যে নির্বাচনী ভীতি শুরু হয়েছে, সে কারণে নির্বাচন নিয়ে তারা নানা কথা বলছে।শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিএনপিকে নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসেছে। কারণ ২০১৮ সালে বিএনপি মাত্র পাঁচটি আসন পেয়েছিল। এজন্য তারা নির্বাচনে আসতে ভয় পায়।এর আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা সভায় যোগ দেন তিনি।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সাখাওয়াত হোসেন শফিক, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও সাফুরা বেগম রুমী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হকসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনকে ঘিরে সকাল ১০টা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কলেজ মাঠে আসতে শুরু করে। সম্মেলনে প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জুলাই ২০২২
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করা। নির্বাচন কমিশন তাদের সেই দায়িত্বটাই পালন করবে। নির্বাচনকালীন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য যা দরকার তা সরকার দিবে। শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে সায়েন্স ক্লাব আয়োজিত অষ্টম জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য যত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তার সবগুলো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে পৃথক, স্বাধীন করা, সবকিছুই আওয়ামী লীগ করেছে।দীপু মনি বলেন, শেখা হবে আনন্দময়। যদি কোনো বিষয় আনন্দ নিয়ে শেখা যায়, তাহলে তার চারপাশের পরিবেশ আরও সুন্দর হবে। আনন্দের সঙ্গে শিখলে নতুন দক্ষতা গড়ে উঠবে। শিক্ষকের মূল দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধিৎসু করে তোলা। শিক্ষার্থীদের ভেতরে জ্ঞানের পিপাসা জাগ্রত করে দিতে হবে। যদি এমনটা করা যায়, তাহলে শিক্ষার্থী নিজে নিজেই শিখতে আগ্রহবোধ করবে।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চা, বিজ্ঞানচর্চা হয়ে থাকে। আমাদের চারপাশে যা ঘটছে, তা বুঝতে হলে গণিত বুঝতে হবে। এই অলিম্পিয়াডগুলো গণিতের প্রতি শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা তৈরি করে।‘গণিতের মাঝে বিজ্ঞানের বাস, গণিতে করি মেধার বিকাশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত ১ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব (জেইউএসসি) আয়োজিত অষ্টম জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড-২০২২-এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের আজ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।শ্রেণি বিভাজনের ভিত্তিতে এবারের অলিম্পিয়াডে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সাতটি ক্যাটাগরি ছিল। এতে দেশের ২০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৪ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া প্রথম পাঁচজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সে হিসেবে ৩৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির আহমদ বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য দৃষ্টান্ত। যেখানে ভালো লেখাপড়া হয়, আবার গবেষণা হয়।সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব এবং সাহসিকতায় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। মেট্রোরেল হয়েছে। তিনি দেখিয়েছেন আমরাও পারি। ২০৪১ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলবেন। উপাচার্য বলেন, দেশে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে উন্নয়ন হয়নি। জাবিতেও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। ১৪০০ কোটি টাকা বাজেট দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী, যা কোনো সরকার দিতে পারেনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জুলাই ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বদলে গেছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী তার মেধা ও চিন্তার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।শুক্রবার (২৯ জুলাই) শরীয়তপুর শিল্পকলা মাঠে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক এই সহ-সভাপতি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এবং মানুষের ভাগ্য পারিবর্তনের জন্য আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন, তার কাছে চাওয়ার আর কিছু নেই। তিনি আমাদের না চাইতেই অনেক দিয়েছেন। এই বাংলাদেশের মানুষ যেন ভবিষ্যতে কোনো সংকটে না পড়ে, সরকার সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।ইকবাল হোসেন অপু বলেন, দলের মধ্যে যারা পোড় খাওয়া লোক, পরীক্ষিত লোক এবং বহু অভিমানী কর্মী আছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে নেতৃত্বে বসাতে হবে। অনেক জ্যেষ্ঠ্য নেতা আছেন যারা বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে গেছেন, তারা দলের জন্য রক্ত, ঘাম, শ্রম এবং যৌবনের সোনালী দিনগুলো উৎসর্গ করেছেন, তাদেরও খোঁজ-খবর রাখা প্রয়োজন।এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলি সিকদার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর, পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান জন, সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন খান, জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাস্টার জি এম নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌকিদার, সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিনা ইয়াসমিন জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামান রাশেদ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জুলাই ২০২২
মানুষকে জেগে উঠতে বিএনপি নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন মানুষ ঠিকই জেগে আছে, কেউ ঘুমিয়ে নেই বরং বিএনপি নেতারাই জেগে জেগে ঘুমাচ্ছেন। যে দল নিজেদের নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করতে পারে না তারা নাকি আবার সরকার পতন ঘটাবে- এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।তিনি আজ সকালে তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের সরকার পতনের আন্দোলন প্রসঙ্গে একথা বলেন।আন্দোলনের ফানুস উড়িয়ে তারা গভীর শীত নিন্দ্রায় চলে যাচ্ছেন এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিএনপির সরকার পতন আন্দোলন মানে নিজ দলের নেতাকর্মীদের মাঝেই এক গভীর দীর্ঘশ্বাস আর হতাশার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন কিছু একটা বলতে হবে তাই এসব হাই সাউন্ডিং শব্দ তারা ব্যবহার করে, বাস্তবে তাদের সক্ষমতা কতটুকু তা আমরা জানি, আন্দোলনের বস্তগত পরিস্থিতিও বিরাজমান কিনা সেটাও বিএনপি নেতারা জানে না । বিএনপি এখন কুম্ভকর্ণ, তাদের কুম্ভকর্ণের নিন্দ্রা ভাঙ্গানো দরকার সবার আগে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগকে নাকি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবে,- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন ধাক্কা দিয়ে কাকে ফেলে দিবেন? আওয়ামী লীগকে? আওয়ামী লীগ কি অত ঠুনকো দল? বন্দুকের নল থেকে আওয়ামী লীগ জন্ম নেয়নি। আওয়ামী লীগের শিকড় এদেশের মাটি ও মানুষের অনেক গভীরে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিলে নিজেরাই খাদের কিনারায় আছেন,আপনাদেরই খাদে পড়ে যেতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন যারা এদেশে বসে ফরমায়েশি রাজনীতি করে তারা জনপ্রত্যাশা থেকে যোজন যোজন দূরে অবস্থান করছে এবং তাদের অবস্থানই জনগণের কাছে ঠুনকো ও ভঙ্গুর।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জুলাই ২০২২
আজ (বুধবার) কক্সবাজারের মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আমাদের অর্থনীতির ক্রমবিকাশের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে সরকার ও জনগণের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলসমূহকে কৃচ্ছতা সাধনের অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, ১৯৪৫ সালে সমাপ্ত ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর সমগ্র বিশ্বের মানবজাতির উপর এই সময়ের মত ভয়াবহ দুর্যোগ আর কখোনো নেমে আসে নি। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু এর ব্যাপ্তি বিশ্ব মানবতাকে কঠোরভাবে আঘাত করে নি, বিশ্ব অর্থনীতিকে একযোগে আঘাত করতে পারে নি। কোভিট-১৯ অদৃশ্য শত্রু হিসেবে একযোগে সমগ্র বিশ্বের মানব জাতিকে আঘাত করেছে। এর ভয়াবহতা ব্যাপক ও দীর্ঘস্থায়ী। ওপরন্তু মরার মত খাড়ার ঘা'র রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে টালমাটাল করে তুলেছে। আয়তনের দিক থেকে রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম রাষ্ট্র; যা পৃথিবীর আবাসযোগ্য ভুমির এক অষ্টমাংশ, ইউক্রেন রাশিয়ার পর ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র। দু'টি রাষ্ট্রই জ্বালানি, খাদ্য ও সার উৎপাদনে বিশ্বের অন্যতম। করোনার অভিঘাতের পর রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রগুলোর রাশিয়াকে অর্থনৈতিক অবরোধ করার তুঘলকি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিশ্বের দরিদ্র্য ও আমাদের মত উদীয়মান রাষ্ট্রগুলো চরম বিপদের মুখে পতিত হয়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্ব বাস্তবতার প্রেক্ষিতে অনেক ধনী রাষ্ট্র সহ মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশগুলো কৃচ্ছতা সাধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই বাঙালির আপন প্রধানমন্ত্রী, সকল ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বের যোগ্যতম রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সরকারী ব্যয়ে কৃচ্ছতা সাধনের উদ্যোগ নিয়েছেন এবং জনগণকে মিতব্যায়ী হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ও আহ্বান আমাদের জাতীয় অর্থনীতির ধারাবাহিক উন্নয়নের গতি সংহত ও শক্তিশালী করবে। যেহেতু রাজনৈতিক দল সমূহ রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি নির্ধারণ করে এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করে সেহেতু রাজনৈতিক দলসমূহকে অভ্যন্তরীণ কৃচ্ছতা সাধনের উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি মূল্যবান জ্বালানি নষ্ট করে অপ্রয়োজনীয় মোটর শোভাযাত্রা, বিভিন্ন কর্মসূচী কেন্দ্রিক অসংখ্য বাহুল্য গেট নির্মাণ, সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা ও শোডাউন মত রাজনীতির মৌলিক নীতি বহির্ভূত কর্মসূচীগুলি পরিহার করার জন্য নিজ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং সকল রাজনৈতিক দলসমূহের প্রতি বিনীত অনুরোধ করেছেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের ভোটে জনাব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সভাপতি এবং জনাব মকছুদুল হক সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জুলাই ২০২২