রাজনীতি


'হাসিনা সরকারের  স্থিতিশীলতা রাখতে, ভারত সাহায্য করলে আমরা খুশি হব'

'হাসিনা সরকারের স্থিতিশীলতা রাখতে, ভারত সাহায্য করলে আমরা খুশি হব'

চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে আজ শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করা নিয়ে দেওয়া বক্তব্য পরিষ্কার করতে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি, আমরা চাই শেখ হাসিনার স্থিতিশীলতা থাকুক। এই ব্যাপারে আপনারা (ভারত) সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হব।’এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’এ বক্তব্যের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কালকে (বৃহস্পতিবার) আমি যে জিনিসটা বলেছি, শেখ হাসিনা, উনি আছেন বলেই আমাদের দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। উনি আছেন বলেই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে। আমি বলেছি, বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর মধ্যে একটি দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন, যে অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুললে সবার মঙ্গল হয়। আর এ দেশে যত নাগরিক আছে, সে যেকোনো ধর্মের হোক, তার সমান অধিকার। সে বাঙালি, আমাদের বাংলাদেশের নাগরিক। আর আমি বলেছি, শেখ হাসিনা যদি সরকারে থাকেন, তাহলে স্থিতিশীলতা থাকে। আর স্থিতিশীলতা থাকলেই আমাদের উন্নয়নের যে মশাল...’জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরভারতের আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ভারতে গিয়ে আমি যেটা বলেছি, আপনাদের আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, শেখ হাসিনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কেন? উনি বললেন, শেখ হাসিনার সেই জিরো টলারেন্স টু টেররিজম (সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা) এটা ঘোষণার পরে। আর দ্বিতীয়ত উনি বলেছেন, বাংলাদেশ ক্যান নট বি আ হাব ফর টেররিস্ট (বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের আস্তানা হতে পারে না)। এরপর আসাম, মেঘালয়—সব কটি জেলায় (রাজ্য) আর সন্ত্রাসী তৎপরতা নেই। সন্ত্রাসী তৎপরতা না থাকায় তাদের দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। উনি বললেন, আমার এখানে বহু হাসপাতাল, বহু ইনভেস্টমেন্ট (বিনিয়োগ) আসছে। যেহেতু এখন আমাদের এই আসামে কোনো সন্ত্রাসী নেই, এই জন্য শেখ হাসিনা, তাঁর আহ্বানে এটা হয়েছে।’রাজধানীর পলাশীর মোড়ে কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরআব্দুল মোমেন আরও বলেন, ‘আমি ভারত সরকারকে বললাম, আপনার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, শেখ হাসিনা থাকায় স্থিতিশীলতা এসেছে। স্থিতিশীল হওয়ায় আমাদের দেশেরও মঙ্গল হচ্ছে, আপনার দেশেরও মঙ্গল হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সুতরাং স্থিতিশীলতা সবচেয়ে ইমপর্ট্যান্ট (গুরুত্বপূর্ণ)। রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা খুব দরকার। তাতে আপনার দেশেরও মঙ্গল হবে, আমাদের দেশেরও মঙ্গল। আমরা চাই, এই অত্র এলাকায় স্থিতিশীলতা। কোনো ধরনের অশৃঙ্খলতা চাই না এবং সেটা যদি আমরা করতে পারি, এই সোনালি অধ্যায় যথার্থ হবে।’পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি, কিছু কিছু লোক সময়-সময় অনেকগুলো উসকানিমূলক কথাবার্তা বলে। আপনার (ভারত) দেশেও কিছু দুষ্টু লোক আছে, আমার দেশেও দুষ্টু লোক আছে। তারা তিলকে তাল করে। আপনার (ভারত) সরকারের একটা দায়িত্ব হবে এবং আমার সরকারেরও দায়িত্ব আছে যে তিলকে তাল করার সুযোগ সৃষ্টি না করে দেওয়া। আমরা যদি এটা করি, তাহলে আমাদের এই সম্প্রীতি থাকবে। আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের আনসার্টেনিটি, অস্থিরতা থাকবে না। আমি বলেছি, ...আমরা চাই শেখ হাসিনার স্থিতিশীলতা থাকুক। এই ব্যাপারে আপনারা (ভারত) সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হব।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ আগস্ট ২০২২


সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা

সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা

"ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক আছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ভারত সফর করবেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেখানে অনেক অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে"ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে বৈরিতা চাই না। ২১ বছর বৈরিতা করে আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু। ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভারতকে অনুরোধ করেনি আওয়ামী লীগ। জনগণ আমাদের ক্ষমতার উৎস। বাইরের কেউ আমাদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পারে না। যিনি বলেছেন, এটা তার ব্যক্তিগত মত।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সরকার, এই সরকার সংখ্যালঘু বান্ধব সরকার বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া। ইদানীং যারা মন্দিরে হামলা করে, তারা দলের নয় দুর্বৃত্ত। তারা সবার শত্রু। এদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিজেদের মাইনরিটি ভাববেন না। সমান অধিকার আছে আপনাদের। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের মুখে মায়াকান্না মানায় না। আমরা আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজমান। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে বহু দিনের সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের ছিটমহল বিনিময় হয়েছে। কয়েকটি সমস্যার অগ্রগতি আসবে। সেপ্টেম্বরে আরও কিছু বিষয়ে সমাধান হবে।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জেএমসেন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলে, ভারতের নয়াদিল্লিতে গিয়ে অনেকের সঙ্গে আমার দেখা হয়। আমি দেশটিতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। আজকে অনেকের বক্তব্যতে সেটাই এসেছে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে এবং সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত একটা দেশ হবে। অনেকেই আমাকে ভারতের দালাল বলেন। কারণ অনেক কিছু হয়, আমি স্ট্রং স্টেটমেন্ট দিই না। কিন্তু আমারও তো একটি কনস্টিটিউয়েন্সি আছে। সেটাকে তো আমি ইগনোর করতে পারি না।এ বক্তব্য প্রসঙ্গে আজ গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কিছু লোক আছে, যারা তিলকে তাল বানায়। আমি গতকাল ভারতের সঙ্গে আলোচনায় তাদের বলেছি যে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশ স্থিতিশীল আছে। আমরা কোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশ চাই না। আপনার ও আমাদের দেশে কিছু দুষ্ট লোক আছে, যারা তিলকে তাল করে। আপনাদের কিছু সাংবাদিক দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় বলেই এসব সংবাদ প্রচার করছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ আগস্ট ২০২২


ঈদের সেমাই বা পুজোর লাড্ডুর কোন ধর্মচরিত্র নেই, এগুলো সার্বজনীন - হুইপ স্বপন

ঈদের সেমাই বা পুজোর লাড্ডুর কোন ধর্মচরিত্র নেই, এগুলো সার্বজনীন - হুইপ স্বপন

জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেছেন, ঈদের সেমাই বা পুজোর লাড্ডুর কোন ধর্ম চরিত্র নেই, এগুলো সার্বজনীন। আবহমান কাল ধরে বাংলার জনগণ যার যার নিজ নিজ ধর্ম, আচার ও সংস্কৃতি উৎসবের সঙ্গে পালন করে আসছে। অপর ধর্ম বিশ্বাসী বাঙালিরা অপরের ধর্ম উৎসবের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে উৎসবকে সার্বজনীন করে তুলেছেন। ঈদের দিন মুসলমানের ঘরে ঘরে অন্য ধর্মালম্বীরা সেমাই, মিষ্টান্ন ও অন্যান্য খাদ্য গ্রহণ করেছেন। তেমনি হিন্দুর পুজোয় তাদের ঘরে লাড্ডু, লাবড়া, লুচি সব ধর্মালম্বীগণ সাদরে আহার করেছেন। কোথাও কোন হিংসা- বিদ্বেষ ছড়ায় নি। কিন্তু সাম্প্রতিককালে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে এক ধর্মের সঙ্গে অন্য ধর্মের সংঘর্ষ বাঁধানোর অপচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। এদের উদ্দেশ্যে পেছনে কোন ধর্ম বিশ্বাস নেই। এরা সমাজে হিংসা- বিদ্বেষ ছড়িয়ে বাঙালি জাতিকে দাবিয়ে রাখতে চায়। আমাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির সংগ্রামকে লক্ষ্যচূৎ করে বাঙালির মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর অবিনাশী স্বপ্ন ধ্বংস করতে চায়। তিনি বলেন, জাতির মহান জনক আমাদের সকল ধর্মের মর্যাদা রক্ষা করে বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের যে পথ নির্দেশ করে গেছেন, প্রত্যেক বিবেকবান দেশপ্রেমিক নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব এই মুক্তির সংগ্রামকে অর্থবহভাবে সফল করতে মানবিক ভুমিকা পালন করা। আজ জয়পুরহাট শহরের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন।জয়পুরহাট শহরের শিব মন্দির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রা পূর্ব সুধী সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ইসলাম, পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভূইয়া, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আরিফুর রহমান রকেট, সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট হৃষিকেশ সরকার, সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক সুমন কুমার সাহা। অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বিশিষ্ট সাংবাদিক এডভোকেট নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল পিপি। অনুষ্ঠান শেষে কয়েক হাজার সনাতন ধর্মালম্বীগণের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ আগস্ট ২০২২


বেহেশত থেকে তো মিথ্যা বলা যায় না, সত্যটাই বলে দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: রিজভী

বেহেশত থেকে তো মিথ্যা বলা যায় না, সত্যটাই বলে দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: রিজভী

সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারত সরকারের কাছে অনুরোধের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বেহেশত থেকে তো আর মিথ্যা কথা বলা যায় না, তাই সত্যটাই বলে দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।রিজভী বলেন, ‘এ কথাটা কিন্তু আজ দেশের প্রত্যেকটি গণমাধ্যমে এসেছে। তার মানে কী- জনগণের সমর্থন নেই। প্রধানমন্ত্রীর পায়ের নিচে মাটি নেই, এ কথাটাই তো সত্য প্রমাণিত হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনেক সময় তার অজান্তেই অনেক সত্য কথা বলে বসেন।’তিনি বলেন, ‘এ সরকার সম্পর্কে বিএনপি ও দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের যে ধারণা, সেটাই এ সরকারের মন্ত্রীরা প্রমাণ করছেন। বেহেশত থেকে তো আর মিথ্যা কথা বলা যায় না, তাই সত্যটাই বলে দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।’রিজভী বলেন, ‘জনগণের ভিত্তির ওপর তারা তো দাঁড়িয়ে নেই। তারা দাঁড়িয়ে থাকতে চায় অন্যের শক্তির ওপর। এরা যে দড়িটা ধরে আছে, সেটা জনগণের দড়ি নয়, বাইরের। আজ সেটা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।’তিনি বলেন, ‘সরকার গঠনের প্রশ্নে বিএনপি সবসময় জনগণের শক্তির ওপর সাহস করেই কথা বলে। সেজন্য সবার অংশগ্রহণে স্বচ্ছ নির্বাচন আমরা চাই। আমরা কারও কাছে ধরনা দিই না যে, আমাদের ক্ষমতায় বসাতে হবে। আওয়ামী লীগ সব কিছু হারিয়েছে, জনগণ তাদের ত্যাজ্য করেছে বলেই অন্যের কাছে যাচ্ছে তাদের টিকিয়ে রাখার জন্য।’দেশের মানুষ বেহেশতে রয়েছে -বলে মন্তব্য করে সমালোচিত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। সবশেষ ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে তিনি সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে বলেছেন বলে জানান।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ আগস্ট ২০২২


ভারতকে বলেছি হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রী

ভারতকে বলেছি হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। "আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে," বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জেএম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাকে টিকিয়ে রাখতে পারলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে এবং সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক একটা দেশ হবে। শেখ হাসিনার সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।’সম্প্রতি নিজের ভারত সফরের প্রসঙ্গ টেনে মোমেন বলেন, ‘আমি বলেছি, আমার দেশে কিছু দুষ্ট লোক আছে, কিছু উগ্রবাদী আছে। আমাদের দেশ সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন না। আপনার দেশেও যেমন দুষ্টু লোক আছে, আমাদের দেশেও আছে। কিছুদিন আগে তাদের দেশেও এক ভদ্রমহিলা কিছু কথা বলেছিলেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে একটি কথাও বলিনি। বিভিন্ন দেশ কথা বলেছে, আমরা বলিনি। এই ধরনের প্রটেকশন আমরা আপনাদের দিয়ে যাচ্ছি।সেটা আপনাদের মঙ্গলের জন্য, আমাদের মঙ্গলের জন্য। আমরা যদি একটু বলি, তখন উগ্রবাদীরা আরও সোচ্চার হয়ে আরও বেশি বেশি কথা বলবে। তাতে ক্ষতিটা হবে কী? আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হবে। স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হবে।’তিনি বলেন, ‘ভারতকে বলেছি, আমরা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড কখনও প্রশ্রয় দেব না। এটা যদি আমরা করতে পারি, ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ের মঙ্গল। শেখ হাসিনা আছেন বলে ভারতের যথেষ্ঠ মঙ্গল হচ্ছে। বর্ডারে অতিরিক্ত খরচ করতে হয় না। ২৮ লাখ লোক আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর ভারতে বেড়াতে যায়। ভারতের কয়েক লাখ লোক আমাদের দেশে কাজ করে। এটি সম্ভব হয়েছে আমাদের সুন্দর অবস্থানের কারণে। সুতরাং আমরা উভয়ে এমনভাবে কাজ করব যাতে কোনো ধরনের উসকানিমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। ভারত সরকারকে বলেছি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকবে যদি আমরা উভয়ে শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিই।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ আগস্ট ২০২২


বিএনপি মিথ্যাচার ও গুজব রটিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়: নাছিম

বিএনপি মিথ্যাচার ও গুজব রটিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়: নাছিম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা জাতির পিতার হত্যাকারীদের রক্ষা করেছিল ও সরকারি চাকরি দিয়েছিল তারা এখনও বাংলাদেশের রাজনীতিতে রয়েছে। এখনও তারা ধ্বংস হয়নি। এখন তারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মোহে রয়েছে। তারা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান চায়। এখন শুধু তারা বঙ্গবন্ধুকন্যার বিরোধিতা করে না তারা তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। তারা যে কোন উপায়ে যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় আসতে চায়। এর জন্য তারা দেশে ও আন্তর্জাতিক ভাবে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারা মিথ্যাচার ও গুজব রটিয়ে দেশ অস্থিতিশীল করতে চায়। এরাই দেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, শুধু গণতন্ত্রের লেবাস ধরে থাকে। দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুনবৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৭ তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। আজ বিশ্বে বাংলাদেশ মর্যাদার আসন রয়েছে। এই বিএনপি-জামাত আমাদের এই মর্যাদার আসন থেকে ছিটকে ফেলে দিতে চায়। তারা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কোন কর্মসূচি দিতে পারে না। তারা উন্নয়ন ও গঠনমূলক সৃজনশীল কোন কর্মকাণ্ড করতে পারে না। তারা উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে উস্কে দিয়ে দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটাতে চায়। তারা জঙ্গিদের সাথে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এই বিএনপি-জামাত ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর হাজার হাজার গণতান্ত্রিক ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের হত্যা করেছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর আঘাত এনেছে। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছু উচ্চাভিলাসী অফিসার জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেসময় কিছু সংখ্যক সেনা অফিসার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিল না তারাই এ ঘটনা ঘটায় এবং তাদের সাথে দেশে ও আন্তর্জাতিক শক্তি মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এখানে মূল সেনাবাহিনী সংযুক্ত ছিল না। এরা মহান স্বাধীনতাকে মেনে নেয়নি। জাতির পিতার নেতৃত্বে যখন মুক্তিযুদ্ধ চলেছে তখন এই অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যুদ্ধের নামে পাকিস্তানীদের সহায়তা করেছিল। ১৫ ই আগস্ট সকল অপশক্তি এক হয়ে জাতির পিতাকে হত্যা করে। তারা আমাদের বাঙালি জাতির সংস্কৃতি, সত্তা, ভাষা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। তারা চায়নি বাংলাদেশে কোন মুক্তিযুদ্ধের শক্তি থাকুক।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ আগস্ট ২০২২


খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো সংলাপ হতে পারে না: ফখরুল

খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো সংলাপ হতে পারে না: ফখরুল

দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো সংলাপ হতে পারে না। এ সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমতা হস্তান্তর না করবে, সংসদ বিলুপ্ত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না।’বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।যে বুলেট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে এতিম করেছে, খালেদা জিয়া সেই বুলেট আপনাকেও ছাড়েনি ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা তো ভয়ঙ্কর কথা। এ বুলেটের কথা যদি তিনি বলে থাকেন, তাহলে আমর সন্দেহ হয়। যদিও আমি শুনিনি তিনি ঠিক কী বলেছেন। যদি তিনি এটা বলে থাকেন, তাহলে বোঝা যাবে, তিনি পুরোপুরিভাবে এই ধরনের একটি চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত।’ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে তারা রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চান। জীবন থেকেও সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত রয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন নিশ্চয় আসে। এটা তাকে অবশ্যই জবাব দিতে হবে। কারণ তিনি দায়িত্বশীল সরকারের মন্ত্রী। এটা প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ নেই। তিনি যদি বলে থাকেন যে, আমি এটা বলিনি তাহলে তাকে এটা বলতে হবে। তিনি যদি বলে থাকেন, তাহলে অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।’মানবাধিকার ইস্যুতে বিএনপি যতগুলো অভিযোগ করেছে, সবকিছু রাজনৈতিক বলে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি (ওবায়দুল কাদের) তো গুম-অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। আমি তো টেলিভিশনে দেখলাম, তিনি বক্তব্যে বলেছেন, গুম বা অপহরণ হয়ে যাওয়া বিষয়গুলোর বিচার করার জাতিসংঘের কোনো ক্ষমতা নেই। তার মানে এগুলো সংঘটিত হয়েছে, এটা স্বীকার করছেন। নেত্রনিউজের প্রতিবেদনে আরও বেশি প্রমাণিত হয়েছে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ আগস্ট ২০২২


জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী

জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী জিয়া ও তার দল। জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছিলেন, খুনিদের পুনর্বাসিত করেছিলেন।তিনি বলেন, ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে হাজারো সেনাসদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিলেন জিয়া। ২০১৩-১৪-১৫ সালে তার তৈরি করে রেখে যাওয়া দল বিএনপি ও তাদের দোসর জামায়াত হরতাল-অবরোধের নামে শতশত নিরীহ মানুষকে পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে মেরেছে।বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট তার সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ সফরকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যে কথা বলেছেন, সে পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এই আইন। আমাদের এ আইন নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন, তাদের বলব অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুরের আইনের দিকে তাকাতে। সেখানকার আইনে আমাদের চেয়েও কঠিন ধারা আছে। আমাদের যে ধারাগুলো নিয়ে কথা হয়, ভারত ও পাকিস্তানেও একইরকম ধারা আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফ্রেমওয়ার্ক ‘ল' করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। সেটির আলোকে সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের আইন করেছে। কই, সেগুলো নিয়ে তো কোনো কথা বলেন না। ‘অনেক সময় আইন না পড়ে, না বুঝেও নানা ধরনের কথা বলা হয়’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, এই আইনের যাতে কোনো অপপ্রয়োগ না হয়, সে জন্য আমরা সতর্ক আছি, কেউ যাতে নিগৃহীত না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ আগস্ট ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

আমরা দোষী না, আমরা অপরাধীও না: কাদের

আমরা দোষী না, আমরা অপরাধীও না: কাদের

বর্তমান সংকটের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন ‘আমরা দোষী না, আমরা অপরাধীও না। আমাদের আর্থিক সংকটের বৈশ্বিক পরিস্থিতির মূল্য দিতে হচ্ছে। শেখ হাসিনাকে মূল্য দিতে হচ্ছে। রাত জেগে জেগে দেশের মানুষের কথা ভাবতে হচ্ছে। ধৈর্যহারা হবেন না কেউ, ইনশা আল্লাহ এই দিন থাকবে না।’বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে ঢাবি ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘পিতার শোক, কন্যার শক্তি : বাংলার অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা মানুষের কষ্ট বোঝেন। সরকার প্রধান হয়ে তিনি প্রকাশ্যেই বলেছেন, ‘মানুষ কষ্ট করছে’। এই কষ্ট লাঘবে তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কষ্ট সাময়িক, এই দুর্দিন চলে যাবে। সুদিন আবার আসবে।তিনি আরও বলেন, ১৩ বছর ধরে কত শুনলাম, রোজার ঈদের পরে, কোরবানির ঈদের পরে, দেখতে দেখতে ১৩ বছর। দিন যায়, সপ্তাহ যায়, মাস যায়, পদ্মা-মেঘনা নদীতে কত পানি গড়িয়ে যায়। কিন্তু, ফখরুল সাহেবদের আকাঙ্ক্ষিত আন্দোলনের সোনার হরিণ দেখা যায় না। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন দিল্লি দূর অস্ত।খালেদা জিয়ার জন্মদিন কয়টা?- এমন প্রশ্ন তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই দিন আগে দেখলাম, বেগম জিয়ার জন্ম দিবসে এবার কেক কাটা হচ্ছে না। ১৫ তারিখে কেক কাটা হয়নি। কিন্তু ১৬ তারিখে দোয়া মাহফিল করা হয়েছে। বেগম জিয়া অসুস্থ, দোয়া মাহফিলে আমাদের আপত্তি থাকার কথা না। কিন্তু দোয়া মাহফিলের উপলক্ষ্য কী? উপলক্ষ্য খালেদা জিয়ার জন্মদিন। এখনো ভুয়া জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। একটা মানুষের কয়টা জন্মদিন? এ পর্যন্ত সর্বশেষ করোনা টেস্টে ষষ্ঠ জন্ম দিবস পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে এ তামাশার নাটক আর কতদিন করবেন তিনি।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে তিনি বলেন, কষ্ট প্রকাশ করে কী করবেন? শেখ হাসিনাকে আল্লাহ ক্ষমতা দিয়েছেন। তিনি ভাগ্যবতী। আল্লাহ এই দেশে একজনকে সৃষ্টি করেছেন স্বাধীনতার জন্য, আরেকজনকে সৃষ্টি করেছেন মুক্তির জন্য। শোককে শক্তিতে পরিণত করে মুক্তির লড়াইয়ের আপসহীন কাণ্ডারি শেখ হাসিনা।বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান আলোচক ছিলেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ আগস্ট ২০২২


'বিএনপি গত নির্বাচনে জগাখিচুড়ি করে ধরা খেয়েছে, এবারও খাবে'

'বিএনপি গত নির্বাচনে জগাখিচুড়ি করে ধরা খেয়েছে, এবারও খাবে'

সরকার পতনে বিএনপির আন্দোলন রাজপথে মোকাবিলার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নেতারা বলছে, হুমকি-ধামকি এবং বিদেশিদের কাছে নালিশ দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে নামাতে পারবে না বিএনপি। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে।বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন গেটে ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা এবং বিএনপি-জামায়াত জোট গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে দাবি করে তার প্রতিবাদে আয়োজিত মিছিল বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন দলটির নেতারা।বিএনপিকে রুখতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, "আজকে বোমাবাজির দিন শেষ, গ্রেনেডবাজির দিন শেষ। আগুন সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় আসার দিন শেষ। আপনারা অনেক দেশ প্রেমিক বীরের রক্তে হাত রঞ্জিত করেছেন।"বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের ঠিকানা পৃষ্ঠপোষক বিএনপি উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এদের রুখতে হবে। মোকাবিলা করতে হবে এবং আগামী নির্বাচনে প্রমাণ করে দিতে হবে, এই দেশ বঙ্গবন্ধুর দেশ। এই দেশ মুক্তিযোদ্ধার দেশ। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।"আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, "এই সরকারের অধীনে বিএনপিকে নির্বাচন আসতে হবে। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৫ সালে যেভাবে লেজগুটিয়ে খালেদা জিয়া বাড়ি ফিরে গিয়েছিল, আজকের সমাবেশ প্রমাণ করে আরেকবার বিএনপিকে আমরা ঘরে তুলে দেব। দেশের জনগণ আবারও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে।"জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, "বিএনপির কিচ্ছু করার ক্ষমতা নেই। আওয়ামী লীগকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা রাজপথের দল।"তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কখনো আসবে না, আসতে দেওয়া হবে না জানিয়ে আবদুর রহমান বলেন, "ওরা বলে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে আসবে না। আগামী নির্বাচন এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে। সেই সরকারের প্রধান হবেন শেখ হাসিনা। নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলে যারা দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করতে চায় তাদের মোকাবিলায় নেতা কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।"বিএনপিকে রাজপথে মোকাবিলার করার নেতা কর্মীদের শপথ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, "আগস্ট মাসের পরে সেপ্টেম্বরে মাস থেকে সারা বাংলাদেশ থেকে জামায়াত, শিবির ও বিএনপিকে বঙ্গোপসাগরে ফেলব।"বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে হাওয়া ভবন বানিয়ে দেশের সম্পদ লুট করেছে উল্লেখ করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, "আজকে আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতা-কর্মী মাঠে নেমেছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই, যেকোনো মূল্য সকল চক্রান্ত প্রতিরোধ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে উন্নয়ন অগ্রগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।"আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা মাঠে নেমেছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, "পেট্রল বোমা বাহিনীকে (বিএনপি) আমরা জনগণকে সঙ্গে এ রাজপথ থেকে তাড়িয়ে দেব। । আমাদের নেতা কর্মীরা বেঁচে থাকতে জনগণকে আবারও পেট্রল বোমা কেউ মারতে পারবে না।"বিএনপির বর্ষাকালের প্রথম বৃষ্টির পানির পুঁটি ও মলা মাছের মতো লাফাচ্ছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, "তাদের হাঁকডাক ওই বর্ষাকালের ব্যাঙের ডাকের মত। তাদের জনগণের সহায় সম্পত্তি নষ্ট করার সুযোগ দেব না।"ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য শেষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণ করে দলটির নেতা কর্মীরা। মিছিলটি মৎস্য ভবন, প্রেসক্লাব, পল্টন, গুলিস্তান হয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ আগস্ট ২০২২


'খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের ৩ মাস আগে জামিন দিন, তারপরে দেখবেন দেশে কী হচ্ছে'

'খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের ৩ মাস আগে জামিন দিন, তারপরে দেখবেন দেশে কী হচ্ছে'

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের তিন মাস আগে জামিন দিন। তাকে হাত নাড়ার সুযোগ দিন। তারপরে দেখবেন দেশে কী হচ্ছে। তবে আপনার প্রতিও কোনো অবিচার করা হবে না। সেদিনও আমি আপনার পাশে থাকব। তিনি বলেন, ‘বিনা অপরাধে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি টাকা চুরি করেননি, এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্ট নেওয়াই তার অপরাধ। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনুন। তাকে মুক্ত করতে পারলে সরকারের পতন ঘটাতে ৩ মাসও সময় লাগবে না।’ইভিএমকে প্রতারণার আরেকটি পদ্ধতি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। তার ভয় যদি ওই মসনদ থেকে তাকে সরে যেতে হয়, তাহলে কী অবস্থা হবে।’বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে জনতার অধিকার পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, দেশে ১৮ কোটি মানুষ। সরকারের কলমের এক খোঁচায় তা সাড়ে ১৬ কোটি হয়ে গেল। আমাকেও আদমশুমারিতে ধরেনি। আমার বাড়িতে আদমশুমারি যায়নি। এসবের জন্য দরকার সরকার পরিবর্তন, সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচন। সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নেতৃত্ব দিতে পারবে মাহমুদুর রহমান মান্না। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিরোধীদল আজ জেগেছে, প্রধানমন্ত্রী চা খাওয়ার দাওয়াত দিলেন আর পরের দিনই ভোলায় কর্মী হত্যা। আসলে প্রধানমন্ত্রীর হাতে কোনো ক্ষমতা নেই, ক্ষমতার চাবিকাঠি অন্য জায়গায়। সবাই আজ ভীত-সন্ত্রস্ত। পুলিশ যেখানে লাঠিচার্জ করার কথা সেখানে গুলি করছে, ফলে কেউই আজ নিয়মের তোয়াক্কা করছে না। পুলিশরা কখন কাপড় খুলে পালাবে সেই চিন্তায় আছে। ফলে তারা এখানে সেখানে গুলি চালাচ্ছে নিয়মের তোয়াক্কা করছে না। এসব সমস্যার সমাধান হবে বিরোধী দলের দাবি মেনে নিলে যে এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।তিনি বলেন, সরকারের পতন হলে ওষুধের দাম অর্ধেকে নেমে আসবে। যেটি আমরা ১৯৮২ সালে করে দেখেয়েছি। একেকটা ওষুধ কোম্পানি কিছু ডাক্তারকে ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিয়ে বেড়ায় তার ক্ষতি বহন করতে হয় জনগণকে। মাহমুদুর রহমান মান্নাদের হাতে শাসনভার দিলে দেশে সুশাসন আসবে। তাদের কাছে কিছু বলা যাবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সমুদ্র জয় করেছেন কিন্তু এটার এক্সপ্লোর করেননি। বাপেক্সকে দিয়ে তেল গ্যাস উত্তোলন করাননি। কারণ তিনি সবসময় ভীত জীবন নিয়ে। ‘র’ তাকে বুঝিয়েছে বঙ্গবন্ধু যদি আমাদের সঙ্গে থাকতেন তাহলে তিনি মারা যেতেন না। ফলে দেশে এই জ্বালানি সংকট। নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ ব্যবহারের করিডোরটি ভারত ব্যবহার করতে দেয়নি। সেই ভারত নাকি আমাদের মহা বন্ধু। জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করলে এই সংকট হতো না। জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ হয় তিন টাকা আর গ্যাসের উৎপাদন খরচ হয় ৩০ টাকা। গণস্বাস্থ্যের এ ট্রাস্টি আরও বলেন, পরিবেশের কথা বলে আমরা দেশের কয়লা ব্যবহার করছি না। কেন করছি না কারণ ভারতের কয়লা আসতে হবে, ভারতের রামপাল ব্যবহার করতে হবে। সেটাই কাল হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ আগস্ট ২০২২


স্বৈরাচারী সরকারকে রাজপথের গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: মির্জা ফখরুল

স্বৈরাচারী সরকারকে রাজপথের গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ সরকারের জনগণের কাছে কোনো দায়বদ্ধতা নেই, বিধায় তারা জনগণের কল্যাণের তোয়াক্কা না করে নিদারুণভাবে নিষ্ঠুর ও নির্দয় হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরাচারী সরকারকে রাজপথের গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশে সত্যিকার অর্থে জনমানুষের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।যারা সম্পদের পাহাড় গড়েছে সুইজারল্যান্ডের (সুইস) ব্যাংকসহ কানাডার বেগমপাড়ায়, টাকা পাচার করেছেন, তারা জনগণের কষ্ট অনুভব করতে পারে না।দেশের অর্থনীতির অস্থিতিশীলতায় সরষেতে ভূত থাকলে ভূত তাড়াবে কে। সরকারের মধ্যেই ভূত রয়েছে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বুধবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।মির্জা ফখরুল বলেন, নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির মাঝেই রাতের আঁধারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। জনগণ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। অর্থনীতির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে সরকার।দেশের জনগণ এ দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়। লুটপাট, দুর্নীতি, অর্থপাচার আর অপশাসন দেশেটাকে সত্যিকার অর্থেই অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে এ কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকেই বাকশালীরা ধ্বংসের শেষ প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। বাগাড়ম্বর আর কাল্পনিক উন্নয়নের গল্প দেশের জনগণ আর শুনতে চায় না।তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর যত অন্যায় অপকর্ম করেছে তার প্রায়শ্চিত্ত তাদের করতে হবে। সম্প্রতি জ্বালানির দাম বাড়িয়ে তারা জনগণের বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছে।বর্তমান ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের কিছু সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী চক্রের হাতে দৈনন্দিন ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনা জিম্মি হয়ে আছে বলে জানান তিনি।iiiiiমির্জা ফখরুল বলেন, আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে বিদায় করি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ আগস্ট ২০২২


বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই এই দেশ সোনার বাংলা হতো: সালমান এফ রহমান

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই এই দেশ সোনার বাংলা হতো: সালমান এফ রহমান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে দেশ অনেক আগেই সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হতো। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, যারা এই বাংলাদেশের শত্রু, তারা রাতের অন্ধকারে আমাদের স্বপ্নদ্রষ্টাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।সালমান এফ রহমান বলেন, জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার পরও শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তেই জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশে পদার্পণ করেছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র এখনও চলছে বলে মন্তব্য করে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে দলের নেতা কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা-১ (নবাবগঞ্জ-দোহার) আসনের সংসদ সদস্য নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলায় খাবার বিতরণ ও বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতি শ্রদ্ধা জানান।সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমি প্রায়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যাই। যখনই যাই, তখনই দেখি প্রধানমন্ত্রী কোনো না কোনো কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। একদিন প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেন, আমি যখনই সরকারিভাবে কোনো নতুন কাজের উদ্যোগ নিই, তখনই দেখি আমার আব্বা কাজটি আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছেন, যা সরকারিভাবে রেকর্ড রয়েছে। আমি শুধু আব্বার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি।'সালমান এফ রহমান মনে করেন, স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু যে পরিকল্পনা করেছিলেন সে অনুযায়ী দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।এছাড়া শোক দিবস উপলক্ষে নবাবগঞ্জে তার নিজস্ব তহবিল থেকে ৬২ জনকে ১০ হাজার ও যুব উন্নয়নের পক্ষ থেকে ২৬ জনকে কর্মসংস্থানের ৪০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন সালমান এফ রহমান।পরে সালমান এফ রহমান এমপি দোহার উপজেলা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাঝে খাবার বিতরণ করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ আগস্ট ২০২২


অনুপ্রবেশকারীরা প্রকৃত আওয়ামী লোকদের কোণঠাসা করে রেখেছে: লিটন

অনুপ্রবেশকারীরা প্রকৃত আওয়ামী লোকদের কোণঠাসা করে রেখেছে: লিটন

অনুপ্রবেশকারীরা সত্যিকারের আওয়ামী পরিবারের লোকদের ‘কোনঠাসা’ করে রেখেছে বলে জনিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডরীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।তিনি বলেছেন, “এই অবস্থা চলতে দেয়া যাবে না।”রবিবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মিলনায়তনে আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ উপ কমিটির আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।লিটন বলেন, “আমার সামনে যারা আছেন তরুণ প্রজন্ম, অনেক কাজ সামনে। পনের বছর সরকার একটানা ক্ষমতায়, দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আমার আগেও আমাদের প্রয়াত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আমার শ্রদ্ধাভাজন বড় ভাই তিনি তখনই বলেছেন দলে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। সত্যই অনেক জায়গায় ঢুকেছে। তাদেরকে আমরাই ঢুকিয়েছি, পদ পদবি দিয়েছি, আসন দিয়েছি।“তারা আজকে ঐখানে যারা অরজিনাল আওয়ামী লীগার, বংশগত ভাবে আওয়ামী লীগ করে তাদেরকে একদম গোল করে ঘিরে রেখেছে। তাদের আলাদা করে রেখেছে, যে তারা আওয়ামী লীগ নয়। যারা অনুপ্রবেশ করেছে তারাই বলছে আমরা আওয়ামী লীগার, আর যারা আসল আওয়ামী লীগের তাদের বাইরে রেখেছে। এই অবস্থা চলতে দেয়া যাবে না। আমি জানি আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সমস্ত খবর রাখেন তিনিও এবার এই সমস্ত বিষয়ে অনেক বেশি নজরদারি করছেন এবং করবেন।”মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের শক্তিই লড়াই সংগ্রামে আগে আসে জানিয়ে লিটন বলেন, “সামনের লড়াইলে লড়তে হলে আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং সন্তান আমরাই রাজপথে লাঠি নিয়ে যাবে। ঐ হাইব্রিডরা যাবে না। আমাদেরকেই যেতে হবে। এই দেশের স্বাধীনতা আমাদের বাবার, আমাদের জাতির পিতা, আমাদের প্রত্যেকের বাবা চাচা, তারা নিয়ে এসেছেন।“আমাদের দরদ বেশি আমরা এই বাংলাদেশকে ওউন করি। এই বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে এতে আমরা খুশি হচ্ছি। আমরা দেখতে চাই বাংলাদেশ আরও উন্নত হবে। কোন চোরার দলকে ক্ষমতায় গিয়ে বোমাবাজি আতঙ্ক লুটপাট, হাওয়া ভবন বানানো, এটা করতে দিতে চাই না। আপনারা তরুন প্রজন্ম সেই ভাবে প্রস্তুতি রাখবেন।”এ সময় বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল বলছেন, সুনামিতে আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাবে। কে পালায় সেটা দেখা যাবে।“তবে আপনাদের নেত্রী আজ থেকে ছয়-সাত বছর আগে, ঐ যে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছিলেন, সেই আন্দোলন কিন্তু বাতিল করেন নি বা স্থগিত করেন নি। সেই কর্মসূচি চলছে, এর মধ্য দিয়ে সরকার গঠন হলো, নির্বাচন হলো, উন্নয়ন হচ্ছে, পদ্মা সেতু হলো, কর্ণফুলী টানেল হচ্ছে, সেই রকম আন্দোলন যদি করেন করতে পারেন। কোন সমস্যা নেই। আমরা এটা মোকাবেলার জন্য তৈরি আছি।”আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বন ও পরিবেশ উপ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দ আবদুল আওয়াল শামীম, রবিন্দ্র ভারতী বিশ্বদ্যিালয়ের সাবেক উপ উপাচার‌্য শ্রী পবিত্র সরকার, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য নাসরীন আহমেদ, কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, সাংবাদিক আবেদ খান।আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক এবং বন ও পরিবেশ উপ কমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ আগস্ট ২০২২


'বাংলাদেশে রাজনৈতিক হত্যা শুরু করেছে জিয়াউর রহমান'

'বাংলাদেশে রাজনৈতিক হত্যা শুরু করেছে জিয়াউর রহমান'

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম বলেছেন বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে 'রাজনৈতিক হত্যা' শুরু করেছে। তিনি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার পরিবারসহ নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশে রাজনৈতিক হত্যা শুরু হয়।তিনি বলেন, জিয়া'র পরিবার খুনি পরিবার। তারই ধারাবাহিকতায় তার স্ত্রী এবং তার ছেলে ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেলেও, প্রাণ দিতে হয়েছিল আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকে এবং আহত হয়েছিলেন শত শত নেতাকর্মী।রবিবার (১৪ আগস্ট) আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত '১৫-ই আগস্ট জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ষড়যন্ত্র ও সহায়তাকারী জিয়াসহ অন্যান্যদের খুঁজতে তদন্ত কমিশন চাই' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।আওয়ামী লীগের এই নেতা অভিযোগ করেন ১৫-ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের খুনের পেছনে ছিল জিয়াউর রহমান এবং সামনে ছিল খন্দকার মোশতাক।বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তৎকালীন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যার পরে কোথায় ছিল আপনাদের মানবাধিকার বিষয়ক স্টেটমেন্ট। কোন আইনে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল?বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি সর্বপ্রথম এদেশে নির্বাচনী ব্যবস্থা কে ধ্বংস করেছিল '১৫-ই ফেব্রুয়ারি' নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। যে নির্বাচনের এক কোটি ২৭ লাখ ভূয়া ভোটারের তালিকা করা হয়েছিল সুতরাং সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বিএনপি'র মুখে মানায় না।তিনি বলেন বিএনপি কোনোভাবেই এ দেশকে ভালবাসতে পারে না কারণ ওরা মনেপ্রাণে পাকিস্তানকে ভালোবাসে, ওরা এদেশের স্বাধীনতাকে আজও মেনে মেনে নিতে পারেনি।১৫-ই আগস্ট জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত কমিশন গঠন করার দাবিও জানান তিনি। সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নামক দলটি আবারো ষড়যন্ত্র শুরু করেছে, সুতরাং তাদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ আগস্ট ২০২২


খালেদা জিয়ার জন্মদিনের পরের দিন কর্মসূচি ঘোষণা হবে

খালেদা জিয়ার জন্মদিনের পরের দিন কর্মসূচি ঘোষণা হবে

১৫ আগস্ট (সোমবার) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৭৮ বছরে পা দিচ্ছেন। দলীয় চেয়ারপারসনের জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে ১৫ আগস্ট নয়, ১৬ আগস্ট পালন করা হবে এসব কর্মসূচি। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দেশব্যাপী দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে বিএনপি।রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন।রিজভী জানান, খালেদা জিয়ার ৭৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার রোগমুক্তি ও আশু সুস্থতা কামনা করে আগামী ১৬ আগস্ট দেশব্যাপী জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সেই সঙ্গে দেশব্যাপী চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত ও যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হবে।সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি শুরু হয়েছে। ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে নিজের সন্তান বিক্রি করে দিচ্ছে মানুষ। খাগড়াছড়ির পারুল চাকমা তার একমাত্র সন্তানকে মাত্র ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করতে বাজারে তুলেছেন। পৃথিবীতে মনে হয় এর চেয়ে সস্তা আর কিছুই হতে পারে না। এত সস্তা মানুষের জীবন তাও বিক্রি করতে পারছে না।তিনি আরও বলেন, ইতিহাসের অমানবিক দাসপ্রথা বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী। বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট এমন ঘনীভূত হয়েছে যে, নিরুপায় হয়ে ছিনতাই করতে নেমে পড়েছে কেউ কেউ। ডিমের ট্রাকও ছিনতাই হচ্ছে। ভর্তা আর কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাত খাওয়ার সামর্থ্য হারাচ্ছে মানুষ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ আগস্ট ২০২২


আগষ্ট মাস যাইতে দেন তারপর টের পাবেন: বিএনপি নেতাদের নানক

আগষ্ট মাস যাইতে দেন তারপর টের পাবেন: বিএনপি নেতাদের নানক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন,আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাকাল থেকে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামরিকতন্ত্রকে পদাঘাত করার জন্য এই আওয়ামী লীগ লড়াই করেছে, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।তিনি বলেন, আমাদেরকে রাজপথের ভয় দেখান, রাজপথের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। নৈরাজ্যের পথ ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনের পথে হাঁটুন, নির্বাচনকে মোকাবিলা করুন। আগস্ট মাসটা যাইতে দেন তারপর টের পাবেন কত ধানে কত চাল।শনিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে ‘‘ইতিহাস কথা কয়’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।সরকার পতনে বিএনপি নেতাদের হুমকি-ধমকির প্রসঙ্গে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, মির্জা ফখরুল সাহেব নৈরাজ্যের পথ ছেড়ে দেন। নৈরাজ্য সৃষ্টি করে শব্দবোমা ব্যবহার করে হুমকি-ধমকি দিয়ে এই আওয়ামী লীগকে ভয় দেখানো যাবে না। আওয়ামী লীগ আপনাদের প্রতিরোধ করেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঘাড় ধরে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিয়েছে। আর এই আওয়ামী লীগকে ভয় দেখান? নৈরাজ্যের পথ ছেড়ে দেন, নির্বাচনের পথে হাঁটুন। নির্বাচনকে মোকাবিলা করেন।নানক বলেন, কাজেই মির্জা ফখরুল সাহেব রাজপথের ভয় দেখান, রাজপথের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আগস্ট মাসটা যাইতে দেন তারপর টের পাবেন কত ধানে কত চাল।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের বিচার করেছেন, আর যারা এই হত্যাকাণ্ডে এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কলকাঠি নেড়েছে, প্লট তৈরি করেছে, পূর্বের পরিস্থিতি তৈরি করেছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করে বাংলার মানুষের কাছে তাদেরকে চিহ্নিত করা এখন আমাদের নৈতিক এবং পবিত্র দায়িত্ব।আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, এই বাংলাদেশে আবার ওই হায়েনারা যে হায়েনারা ২১ আগস্ট, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে ক্ষান্ত হয়নি। তারা আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সেই হায়েনাদের আর বাংলাদেশের মানুষ চায় না। তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ আগস্ট ২০২২


আমাদের যথেষ্ট রিজার্ভ রয়েছে, ‘বেহেশতে আছি’র ব্যাখ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আমাদের যথেষ্ট রিজার্ভ রয়েছে, ‘বেহেশতে আছি’র ব্যাখ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী

শুক্রবার সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পে 'ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ক' মতবিনিময় সভা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, 'বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। আমরা সুখে আছি, বেহেশতে আছি।'এ বক্তব্য ঘিরে অনেকে সমালোচনা করলে আজ শনিবার নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন মন্ত্রী। একইসঙ্গে তার বক্তব্যকে সাংবদিকরা টুইস্ট করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে- একটি পক্ষ এমন প্যানিক ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। আমরা বৈশ্বিক মন্দার কারণে কিছুটা সংকটে আছি ঠিক, কিন্তু আমাদের যথেষ্ট রিজার্ভ আছে। আগাম সতর্কতা হিসেবে আমরা কিছুটা সাশ্রয়ী হওয়ার চেষ্টা করছি।'মোমেন বলেন, 'আমি বলেছি, কম্পারেটিভ টু আদার কান্ট্রি (অন্য দেশের তুলনায়) ভালো আছি। আর আপনারা সব জায়গায় লিখেছেন 'বেহেশত বলেছেন'। মানে টুইস্ট করা হয়েছে।'তিনি বলেন, 'মুদ্রাস্ফীতি ইংল্যান্ডে ১২ ভাগ, তুরস্কে ৬৭ ভাগ, পাকিস্তানে ৩৭ ভাগ, শ্রীলংকায় ১৫০ ভাগ, আর আমাদের মুদ্রাস্ফীতি মাত্র ৭ ভাগ। সেই দিক দিয়ে আমরা ভালো আছি। আপনারা কিন্তু এই কথাগুলো বলেননি। এসব তুলনা করলে আমরা অনেক ভালো আছি। বিষয়টি না বুঝে টুইস্ট করা ঠিক হয়নি।'অন্যদিকে যৌথ নদী বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবুল মোমেন বলেন, 'চলতি মাসের শেষের দিকে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেই বৈঠকে ৬টি নদীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।'তিনি আজ দুপুরে সিলেটে জেলা পরিষদের আয়োজনে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ নদী খননের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'দেশের সবকটি নৌপথ আগের মতো সচল করতে চাই, সেই বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে।'তিনি আরও বলেন, 'সিলেটের আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয় উজানের পাহাড়ি ঢলে। তাই, সেখানকার বন্যার পূর্বাভাস বাংলাদেশকে আগাম জানানো ও ড্যামগুলো উন্মুক্ত করার আগে বাংলাদেশকে অবহিত করার কথাও ভারতকে প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব বিষয়ে ভারত নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।'ভারত সরকারের আমন্ত্রণে আগামী মাসের ৪-৫ তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যাবেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর সফরের আলোচ্যসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে, সেই সফরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়গুলো প্রধান্য পাবে। সেখানে বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনায় আসবে।'এ সময় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ রাজনৈতিক ও প্রশাসনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ আগস্ট ২০২২


সরকারের মন্ত্রীরা জনগণের সঙ্গে তামাশা করছেন: মির্জা ফখরুল

সরকারের মন্ত্রীরা জনগণের সঙ্গে তামাশা করছেন: মির্জা ফখরুল

‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এমন বক্তব্য দিয়ে জনগণের সঙ্গে তামাশা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ যখন প্রতিমুহূর্তে ভোগান্তিতে, কষ্ট করছে এবং তারা হিমশিম খাচ্ছে, জীবন দুর্বিষহ হচ্ছে সেই সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেহেশতে থাকার কথা বললেন। আমি দুঃখিত ব্যক্তিগত পর্যায়ে কথা বলছি- বর্তমানে উনার চেহারায় ফুটে উঠেছে তিনি স্ফীত হয়েছেন এবং বেশির ভাগ মন্ত্রীদের চিটনাই বেড়ে গেছে।তিনি বলেন, এসবের কারণটা হলো প্রচুর লুটপাট হচ্ছে। যে কারণে তারা জনগণের সঙ্গে পরিহাস, তামাশা শুরু করেছে। জন দুর্ভোগের সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এহেন বক্তব্য প্রদানের অধিকার নেই বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।‘মন্ত্রী মহোদয় এর আগেও এমন এমন সব উক্তি করেছেন যে, উক্তিগুলো দেশের মানুষের কাছে কিছুটা হাস্যকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে উনার এরকম পরিহাস করার কোনো অধিকার নেই।’সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।শুক্রবার (১২ আগস্ট) সিলেট ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসন সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা সুখে আছি, বেহেশতে আছি। করোনার পর যুদ্ধে সারাবিশ্বে মন্দা ভাব আসছে। যুদ্ধের ফলে স্যাংশনের মুখে পড়তে হয়েছে। সাপ্লাই চেঞ্জে ব্যাঘাত হচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন দেশে মন্দা এসেছে। আমরা সেদিক থেকে অত্যন্ত ভালো অবস্থানে আছি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ আগস্ট ২০২২


এ সময় দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলা ও ক্ষমতার দাপট দেখানো সমীচীন নয়: কাদের

এ সময় দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলা ও ক্ষমতার দাপট দেখানো সমীচীন নয়: কাদের

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রত্যেককে কথা-বার্তা, আচার-আচরণে দায়িত্বশীল হতে হবে। এ সময় দায়িত্বজ্ঞানহীন কোনো কথা বলা সমীচীন নয়। ক্ষমতার দাপট দেখানো সমীচীন নয়। ঠান্ডা মাথায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।আজ শনিবার দুপুরে মহিলা শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনে বিশ্বাসঘাতক যে রাজনৈতিক শক্তি, ওই শক্তির সবার নাম আমরা জানি না। সবার ভূমিকা এখনো পরিষ্কার নয়। জুলিয়ার সিজার থেকে মহাত্মা গান্ধী; কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে অবলা নারীকে হত্যা করা হয়নি। অবুঝ শিশুকে হত্যা করা হয়নি। অন্তঃস্বত্বা নারীকে হত্যা করা হয়নি। পঁচাত্তরে অবলা নারী, অবুঝ শিশু, অন্তঃস্বত্বা নারী রেহাই পায়নি।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু খুনীরা থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে। কে পাঠিয়েছে? জেনারেল জিয়াউর রহমান। থাইল্যান্ড থেকে আরও কয়েকটি দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে চাকরি দেন জিয়াউর রহমান। পুনর্বাসন করেন, পুরস্কৃত করেন। সবচেয়ে জঘন্য কাজটি জিয়াউর রহমান করেন।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি আমাদের শত্রু ভাবে। অথচ ইতিহাস বলে আমাদের সঙ্গে শত্রুতা তারাই করেছে বারেবারে। আমরা শত্রুতা করিনি। ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীকে টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা করার পরও তিনি কোকোর মৃত্যুর পর বেগম জিয়ার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন শোকাহত মাকে সান্ত্বনা দিতে। ঘরের দরজা বন্ধ, বাইরের গেট বন্ধ শেখ হাসিনার মুখের ওপর। প্রতিপক্ষের মতো আচরণ আমরা করতে চেয়েছি, গণভবনে সংলাপ করেছি কিন্তু তারা আমাদের শত্রুই ভেবে এসেছে, শত্রুতাই করছে।সারা বিশ্বের নেতিবাচক প্রভাব আজ বাংলাদেশ মোকাবিলা করছে। আমরা জানি অনেক মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কস্ট অব লিভিং যেভাবে বেড়ে গেছে, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে এটা ঠিক। গরিব মানুষ, প্রান্তিক মানুষ। কিন্তু আমাদের সামনে কোনো উপায় ছিল না, বলেন তিনি।পশ্চিমা দেশগুলোর পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, কেউই তো আজকে আরামে নেই। বাংলাদেশের জনগণ যাদের কষ্ট হচ্ছে, আপনাদের শুধু এটুকু বলবো, চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। শেখ হাসিনা; আজকে তার ঘুম নেই। আন্তরিকভাবে আপনাদের এই সংকট উত্তরণের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। করোনাকালেও তিনি রাতে ঘুমাতে পারেননি। এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কীভাবে মানুষকে একটু আরাম দেওয়া যায়, স্বস্তি দেওয়া যায় সেটাই আমাদের নেত্রী করে যাচ্ছেন। তিনি মানুষকে স্বস্তি দিতে চান।তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর বহু দেশ আজকে সমস্যায় জর্জরিত। এটাকে কেন্দ্র করে ফ্রান্স, আমেরিকার বিরোধী দল সরকার উৎখাতে নামেনি। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপানের বিরোধী দল সরকার উৎখাতে প্রোটেস্ট করেনি। আমাদের প্রশ্ন সেখানে, সহযোগিতা চেয়েছিলাম আমরা। এই সংকটে সারা দুনিয়া সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আর বাংলাদেশে তারা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। নিজেরা ইচ্ছা মতো মিছিল করছে পল্টন-প্রেসক্লাবের সামনে। এতদিন বলতো, আওয়ামী লীগ আমাদের মিছিল-মিটিং করতে দেয় না। এখন যখন নেত্রী বলেছেন, ওরা করুক। যখন মিছিল মিটিং করতে পারছে তখন তাদের সাহসের ডানা বিস্তারিত হয়ে গেছে। এখন তারা বলে বিদেশি শক্তির চাপে বাধা দিচ্ছে না। তাহলে এখন স্বীকার করলেন পুলিশ বাধা দিচ্ছে না।বিদেশি শক্তির চাপে মাথানত করার মতো লোক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নয়। মনে রাখবেন কোনো শক্তির কাছে মাথানত করি না আমরা। শেখ হাসিনা আপন শক্তিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যান। আমাদের সমস্যা, আমাদের সংকট, আমাদেরকেই সমাধান করতে হবে, বলেন ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ আগস্ট ২০২২