আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির সাথে তত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনার কোন সুযোগ নেই। ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন করে তত্বাবধায়ক সরকারের যে কথা বলছেন সেটা একটা মীমাংসিত বিষয়, সুতরাং এ নিয়ে নতুন করে আলোচনার কোন সুযোগ নেই’ তিনি বলেন।তিনি আজ সকালে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে ব্রিফিংকালে বিএনপি মহাসচিবের নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে যে সংকটের কথা বলেছেন তার জবাবে একথা বলেন। কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দেশে কোন সংকট নেই, সংকট আছে বিএনপিতে এবং তাদের নেতৃত্বে ও সিদ্ধান্তে। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারও বলেন নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকারের অধীনে নয়, সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আন্দোলন - সংগ্রামের মধ্য দিয়েই এই দল গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে কিভাবে আন্দোলন মোকাবিলা করতে হয়।.কাদের বলেন রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয় নি, আওয়ামী লীগ রাজপথে ছিলো,আছে এবং থাকবে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ যে কোন কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণের জানমাল রক্ষায় জনগণকে সাথে নিয়ে সমুচিত জবাব দিতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে, - বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যে দেশের জনগণ হাসে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন যে দল তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য রাজপথে একটা মিছিল পর্যন্ত করতে পারে না তারা আবার আন্দোলন করে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে - এমনটা জনগণ বিশ্বাস করে না।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারও স্পষ্ট করে বলেন সরকার নয়, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে বিএনপি নেতাদের দল থেকে পদত্যাগ করা উচিত। রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ ও নির্বাচন কমিশনের ডাকে সংলাপে না গিয়ে বিএনপি এবং তার দোসররা এখন নিজেদের মধ্যে সংলাপ করছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের তাঁর বক্তব্যে বলেন এটা আসলে সংলাপ নয়, সংলাপের নামে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জুলাই ২০২২
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে চাইলেও বিএনপিকে বাধা দেওয়া হবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি চা খাওয়াবেন, কথা বলতে চাইলে শুনবেন।শনিবার বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, “তারা সারাদিন এত কথা বলছে, আমি বলি বলুক, কারও না কারও তো কথা বলতে হবে। কথা যত পারুক বলুক, যদিও সারাদিন কথা বলে..., বলে আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না।“মিছিল করে লোক হয় না, বলে আমাদের লোক আসতে দেওয়া হয় না। এই রকম অভিযোগ তো তারা করে। তাদের কাছে আসবে কেন? কোন আশায় আসবে? সেটা হলো বাস্তব কথা। সেটা তো চিন্তা করতে হবে।"গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ঘেরাও করলেও পুলিশ বাধা দেবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি তো বলে দিয়েছি, তারা যদি, এমনকি প্রাইম মিনিস্টার অফিসও যদি ঘেরাও করতে আসে, তাদের পুলিশ যেন বাধা না দেয়।"বিশেষ করে বাংলামোটরে বাধা দেওয়া হত, সেটা বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যতদুর আসতে পারে আসুক। আমি চা খাওয়াব, বসাব, কথা বলতে চাইলে শুনব। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।"তবে সতর্ক করে তিনি বলেন, "যদি বোমাবাজি করে, ভাঙচুর করে, সেটা করলে বাধা দেব, সেটা করলে উপযুক্ত জবাব দেব, এটা বাস্তবতা। কিন্তু গণতান্ত্রিকভাবে করতে চাইলে কোনো অসুবিধা নেই। তারা তো আন্দোলন করেই যাচ্ছে।”সমালোচকদের কাছে গত নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা।“২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলে তাদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন, বাংলাদেশে তিনশ সিটের মধ্যে সাংবাদিক বুাদ্ধিজীবী যারাই লেখেন, আমাদের জ্ঞানী-গুণী যারাই কথা বলেন। তারা কী একটা কথা চিন্তা করেন?"তিনশত সিটে একটা দল যদি সাড়ে সাতশ নমিনেশন দেয়, সেখানে নির্বাচন কী করে হয়? পার্টি অফিস থেকে একজন দিচ্ছে, আবার আরেকজন লন্ডন বসে দিচ্ছে, গুলশান অফিস থেকে দিচ্ছে একজন। যারা এইভাবে নির্বাচন করেছে তারা জিতবে কী করে?বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নেতা কে হবেন এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “আপনারা বিএনপিকে জিজ্ঞাসা করেন, তাদের নেতা কে? ক্ষমতায় গেলে কাকে বসাবে?"অর্থ আত্মসাৎকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরা কারবারি? ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারী? হত্যাকারী? খুনি? এই হচ্ছে তাদের নেতা। বাংলাদেশে একটা মানুষ পায়নি তারা নেতা বানাবে?"দলটির গঠনতন্ত্রের উল্লেখ করে তিনি বলেন, "বিএনপির গঠনতন্ত্রের সাত অনুচ্ছেদে আছে, কেউ যদি সাজাপ্রাপ্ত হয়, তাহলে দলের নেতা হতে পারবে না। কিন্তু বিএনপি তাই করছে।"
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জুলাই ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নামসর্বস্ব নানা দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা চরম রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে।শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত করোনা ও দ্বিতীয়ত ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবী আজ সংকটের মুখে। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারের জন্য সবাইকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইউরোপের অনেক দেশে যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়নি, সেখানেও কোথাও কোথাও লোডশেডিং হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথা বলা হচ্ছে।মন্ত্রী বলেন, ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি যুক্তরাষ্ট্রে ৮.৬ শতাংশ ও যুক্তরাজ্যে ৯.১ শতাংশ, তুরস্কে ৭৩.৫ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৩৯.১ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৩.৮ শতাংশ, ভারতেও ৭ শতাংশের ওপরে। সমগ্র পৃথিবী আজ সংকটের মুখে। বাংলাদেশ তো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। সমগ্র পৃথিবী সংকটে থাকলে বাংলাদেশে তার কিছুটা আঁচড় পড়বে সেটা স্বাভাবিক। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক দেশের চেয়ে পরিস্থিতি অনেক ভালো সামাল দিচ্ছেন। সেজন্যই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত অর্থনীতিবিদদের গবেষণায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই।বিএনপি চরম রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, গত নির্বাচনে তারা বাম-ডান, অতিবাম-অতিডান সব দলের ঐক্য করে মাত্র পাঁচটি সংসদীয় আসন পেয়েছে। এবার দেখি কিছু কিছু দলের সঙ্গে তারা বৈঠক করছে, যেসব দল অণুবীক্ষণযন্ত্র দিয়ে দেখার বিষয়। এ ধরনের নামসর্বস্ব দল যে আছে, সেটি আমরা বিএনপির বৈঠকের পর জানতে পারছি। এদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা চরম রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জুলাই ২০২২
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৩ জুলাই) জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন এবং বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন। শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমেরিকা রাশিয়ার ওপর ডলার আদান-প্রদানে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এতে শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক উন্নত দেশও ভুক্তভোগী।তিনি বলেন, এই একটা সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের সার কেনা, খাদ্য কেনা অথবা জ্বালানি তেল কেনা, সব ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। শুধু আমরা নই, সারা বিশ্বই একটা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছে। এটা হলো বাস্তবতা।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার প্রভাব সবাই ভোগ করছে। এতে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের দেশে যেমন মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, ঠিক একইভাবে উন্নত দেশগুলোতে অনেক অনেক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। সঙ্গে জ্বালানি তেলের দামও।তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলোও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। আমি উন্নত দেশগুলোর কথা বেশি বলব। কারণ আমরা তো অনেক দূরে রয়ে গেছি কিন্তু তাদের অবস্থাই হচ্ছে করুণ। সেখানে আমরা কোথায়। তারপরও বলব প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সবাই স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করছে বলেই আমরা এখনও ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। তবুও ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আমাদের সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে। অহেতুক অপচয় যাতে না হয়, সেই দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি এ ক্ষেত্রে পত্রপত্রিকা নানা কথা লিখবে। টকশোতে অনেক কথা বলবে। বিরোধী দলও কথা বলবে। এটা বলাই তাদের কর্তব্য। তারা বলে যাক। আমাদের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে এবং দেখতেহবে আমরা সঠিক পথে আছি কি না, সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করছি কি না, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি কি না, দেশের সাধারণ মানুষ সঠিক সেবা পাচ্ছে কি না? আমরা যদি সেভাবে চিন্তা করি, তাহলে কে কী বলছে, সেদিকে খুব বেশি নজর দিতে হবে না।তিনি বলেন, কে কী বলল সেটা শুনে হয়ত দেখতে পারি কোথাও আমাদের কোনো ঘাটতি আছে কি না। ওইটুকু আমরা নেব। কিন্তু ওই কথায় যেন বিভ্রান্ত না হন, কেউ যেন হতাশ না হন। এটুকু বলব। কেউ যেন হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়েন সে ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। যখন যে অবস্থা হবে, সেই অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে আমাদের চলতে হবে। তারপরও আমাদের নিজেদের যা কিছু আছে, তা নিয়ে চলব।সরকারপ্রধান বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারির সময়েও দেশের অর্থনৈতিক গতি ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার সক্ষম হয়েছে। এটা ঠিক আজ বিশ্বের কোনো দেশ এককভাবে চলতে পারে না। বর্তমান বিশ্ব হচ্ছে গ্লোবাল ভিলেজ। একে অপরের ওপর আমরা অনেক ক্ষেত্রে নির্ভরশীল।দেশের মানবসম্পদ ও মাটি কাজে লাগাতে পারলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, জনগণের অর্জিত অর্থ দিয়ে সবার বেতন-ভাতা, আরাম, আয়েশ সবকিছু। তাই কাজ করতে হবে তাদের জন্য, তাদের স্বার্থে এবং কল্যাণে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জুলাই ২০২২
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীশনিবার (২৩ জুলাই) সুজিত রায় নন্দী এক শোকবার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।শোকবার্তায় তিনি বলেন, এডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ হিসেবে বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাসে তিনি ছিলেন একজন জ্ঞানতাপস পার্লামেন্টেরিয়ান। একজন সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার হিসেবে তাঁর সংসদীয় ভূমিকা ছিল অনন্য। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে।এরআগে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২২ জুলাই) দিনগত রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান। যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে দীর্ঘ নয় মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।এসময় তার বড় মেয়ে ফাহিমা রাব্বী রিটা এবং একান্ত সচিব তৌফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের এই সংসদ সদস্য দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জার রহমান এবং মাতার নাম হামিদুন নেছা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জুলাই ২০২২
নড়াইলে লোহাগড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, ‘অপরাধীদের এমন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে এ ধরনের অপকর্ম করতে না পারে।’নড়াইলের লোহাগড়ায় সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি, দোকানপাট পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘২০১১ সালে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম শুরু হয় তখন থেকেই হঠাৎ করে ধর্মীয় উসকানি দিয়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। রামু থেকে শুরু করে নাসিরনগর প্রত্যেকটি ঘটনার একটি যোগসূত্র পাওয়া যায়। দেখে মনে হয় ঘটনাগুলো পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। এগুলো ঘটানোর উদ্দেশ্য একটাই, সমাজের মধ্যে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে সংঘাত সৃষ্টি করে সরকারকে বিব্রত করা। দেশের জনগণকে অস্থিতিশীল করাটাই মূল লক্ষ্য।’লোহাগড়ার হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা-অগ্নিসংযোগ অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, দোষীদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ শুরু থেকেই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছেন। দুর্ভাগ্যক্রমে দুষ্কৃতিকারীরা আগুন দিয়ে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কেউ কোথাও ধর্মকে আঘাত করে কথা বললে বিক্ষুব্ধ হলে দেশের আদালতে মামলা করতে পারেন। কেউ ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছে এই দোহাই তুলে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই। এই ক্ষমতা কাউকে দেওয়া হয়নি। যে আইন নিজের হাতে তুলে নেবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’হানিফ বলেন, ‘আমাদের দেশে রাজনীতির ধারা দুটি। একটি পক্ষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বাধীনতার পক্ষের, যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ চার মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই আদর্শে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের জাতীয় চার মূলনীতির অন্যতম।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জুলাই ২০২২
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ায় সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি ও মন্দির পরিদর্শনে এসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, নড়াইলে হামলাকারীরা একটি অভিন্ন গোষ্ঠী। এরা আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যকে ধ্বংস করতে চায়।‘এ দেশে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টান সকলেই এক সাথে হাজার বছর ধরে বসবাস করছে। এটা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। একটি গোষ্ঠী আমাদের এই সম্পর্কের বন্ধন নষ্ট করতে চায়’ ।বুধবার (২০ জুলাই) সকালে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের সকল অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কঠোর অবস্থানের বার্তা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের নেতৃত্বে ঢাকা থেকে সড়কপথে দিঘলিয়ার সাহাপাড়ায় পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি, দোকানপাট ও মন্দির পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় লোকজনদের সাথে কথা বলেন।নাছিম বলেন, নড়াইলে যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে এর কারণে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। সেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ভাই বোনদের মন্দির, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সহিংসতা হয়েছে। একটি সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এই ঘটনা ঘটিয়েছে।তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এই ঘটনা শুরু হওয়ার পরপরই যখনই বিষয়টা জানতে পেরেছেন তিনি খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। মতবিনিময় সভায় নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা বলেন, শান্তি প্রিয় নড়াইলে যারা এ ঘৃণিত ঘটনার সাথে জড়িত তাদের অবশ্যই বিচার হবে। আপনাদের সাহস বাড়াতে হবে। মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়লে হবে না । আমরা আপনাদের পাশে সবসময় ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতে থাকবো। সভা শেষে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে নগদ টাকা প্রদান করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জুলাই ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অল্প সময়ের মধ্যেই এ সংকটের সমাধান হবে।আজ সকালে রাজধানীর সেতু ভবনে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, পদ্মাসেতু হয়ে যাওয়ায় বিএনপি নেতাদের যে অন্তর জ্বালা বেড়েছে তা এখনো কমেনি বরং দিনদিন বাড়ছে এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন সমনেই আসছে তরুণ প্রজন্মের মেট্রোরেল, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ অনেক মেগা প্রকল্প, তাই বিএনপি নেতারা চোখে শুধু সর্ষে ফুলই দেখতে পাচ্ছেন। সামেনে যখন এসব প্রকল্পের উদ্বোধন হবে তখন বিএনপি নেতারা চোখে সর্ষে ফুল ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবেন না বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিদ্যুৎ নিয়ে সাময়িক যে সংকট সেটা নাকি সীমাহীন দুর্নীতির কারণে হয়েছে এবং এ সংকট নাকি সরকারের পতনের দিকে নিয়ে যাবে, - বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের আবারও বলেন সরকার পতনের যে দিবা স্বপ্ন বিএনপি দেখছে সেটা অচীরেই দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।দুর্নীতিতে সিদ্ধহস্ত বিএনপি নেতারা সব কিছুতেই দুর্নীতির গন্ধ খুঁজে বেড়ান, এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন সবকিছু নিয়ে মিথ্যাচার করা বিএনপির এখন দৈনন্দিন রুটিন হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন দেশবাসী জানেন বিশ্বব্যাপী এখন জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে এবং ইউক্রেন - রাশিয়া যুদ্ধ এ সংকটকে আরো প্রকট করেছে। যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি মার্কেট চরম অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে, এ পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি যাতে বড় ধরনের কোন ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে লক্ষ্যে সরকারকে আগেভাগেই কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ বিশ্বব্যাপী এ সংকটের কোন সমাধানের কথা না বলে বরং দুর্নীতির কাল্পনিক অভিযোগ তুলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে এবং দুরভিসন্ধিমূলক শান্ত জনগণকে উস্কে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বিএনপির এসব মিথ্যাচার আর ষড়যন্ত্র জাতির কাছে এখন স্পষ্ট। বিএনপির কথা মানুষ এখন আর বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন যে কোন সংকট ও দুর্যোগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আজ পরীক্ষীত। তিনি বলেন করোনা সংকট মোকাবিলায় যেখানে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ হিমশিম খেয়েছে সেখানে শেখ হাসিনা সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করোনা সংকট মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন দেশবাসী ভালো করেই জানেন, যে কোন সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অন্য যে কোন দলের থেকে অনেক অনেক এগিয়ে। কাজেই মিথ্যাচার আর অপপ্রচার করে জনগণকে উস্কে দেওয়ার যে ষড়যন্ত্র বিএনপি করছে সে ফাঁদে দেশবাসী পা দেবে না।তিনি বলেন অতীতেও জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের ওপর আস্থা রেখেছে এবং এখনো রাখছে।বিশ্ব পরিস্থিতি ও বাস্তবতা বিএনপি অনুধাবন করতে না পারলেও জনগণ ঠিকই বিষয়টি অনুধাবন করে সরকারকে সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওবায়দুল কাদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জুলাই ২০২২
দেশবাসীকে বিএনপির-জামায়াতের মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, যতদিন শেখ হাসিনা আছেন ততদিন বাংলাদেশের মানুষের কোনো চিন্তার কারণ নেই।তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলেই বিএনপির গা জ্বালা শুরু হয়ে যায় কারণ তাদের প্রভু দেশ পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার পথে তাই বাংলাদেশকে নিয়ে গুজব অপপ্রচার মিথ্যার করছে বিএনপি। তিনি বলেন, রাশিয়ার ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি এটা নিয়েও মিথ্যাচার করছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশের কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি, দেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল। তাই তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি চায় না।বিএনপির দুর্নীতিবাজ দল সেটা বার বার প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি মিথ্যাবাদী দল তারা মিথ্যা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লজ্জা হওয়া উচিত কারণ আপনি মিথ্যাবাদী দুর্নীতিবাজ দলের মহাসচিব। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী দলকে সন্ত্রাসী বললে তাদের গা জ্বালা করে। এই বিএনপি শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করেছিলো এবং হামলা চালিয়েছিল কিন্তু আল্লাহ রক্ষা করেছেন।দেশের রিজার্ভ তলানিতে এসে ঠেকেছে বিএনপির নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির আমলে রিজার্ভ ছিলো ৫ বিলিয়ন ডলার আর এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ আছে। তারপরও বিএনপি এটা নিয়ে মিথ্যাচার করছে।আওয়ামী লীগের কোনো নেতার বিরুদ্ধে কটুক্তি, চরিত্র হরণ, অপপ্রচার করলে বিএনপি জামায়াতকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ কামাল, মহিউদ্দিন মহি সহ সহস্রাধিক নেতৃবৃন্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুলাই ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, শুধু মাত্র এক তারেক রহমানের জিভ আমরা কেটে নেব না, যারা জাতির পিতা ও জাতির পিতার কন্যাকে নিয়ে অন্যায় ভাষায় কথা বলবে, কটুক্তি করবে, অসম্মান করবে তাদের সকলের জিভ আমরা কেটে নিবো। তাদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না এবং কোন সন্ত্রাসীকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ আমরা দেবনা। তিনি বলেন, বিএনপি জানেনা কিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান করতে হয়। তাদের সে শিক্ষা নাই। কিভাবে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের পাশে দাড়াতে হয় তাদের সে শিক্ষা নেই। দেশের মানুষ জানে তাদের দলের লোকজনের মধ্যে মানবিক কোন গুন নেই। একটি দল পরিচালনা করতে যে গুনাগুন প্রয়োজন সেটাও তাদের নেতাদের নেই।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফীর বিএনপি কর্তৃক কুশপুত্তলিকা দাহ ও কুটক্তি করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ( ১৯ জুলাই) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ তিনি এ কথা বলেন।বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যাকে নিয়ে বিএনপি খারাপ মন্তব্য করেছে তিনি বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান মহান মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফী। তিনি একদিনে গড়ে উঠেননি, তিলে তিলে গড়ে উঠেছেন। তিনি হাওয়া ভবন থেকে হাওয়ার মধ্যে দিয়ে তৈরি হননি।তিনি বলেন, হাওয়া ভবনে বসে যিনি চাঁদা খাওয়া জন্য বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে কুখ্যাত হয়েছেন সেই সন্ত্রাসী দেশের বাহিরে বসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে চায়।এ কারনে তারা পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া বিবাদ করার কর্মকাণ্ড করছে। তাদের একটাই লক্ষ্য দেশকে অস্থিতিশীল করা। দেশের মানুষ আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে কোন দূর্যোগ মোকাবিলা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর তখন তারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। তারা শেখ হাসিনাকে উৎখাত ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তারা জাতির পিতার খুনিদের পক্ষ নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি এটা নিয়েও মিথ্যাচার করছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশের কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি, দেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল। তাই তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি চায় না। বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলেই তাদের গা জ্বালা শুরু হয়ে যায় কারণ বিএনপির প্রভু দেশ পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার পথে তাই বাংলাদেশকে নিয়ে গুজব অপপ্রচার মিথ্যার করছে বিএনপি। যতদিন শেখ হাসিনা আছে ততদিন বাংলাদেশের মানুষের কোনো চিন্তার কারণ নেই। বিএনপির জামায়াতের মিথ্যাচারে দেশের মানুষ বিভ্রান্ত হবে না।দেশের রিজার্ভ তলানিতে এসে ঠেকেছে বিএনপির নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির আমলে রিজার্ভ ছিলো ৫ বিলিয়ন ডলার আর এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ আছে। তারপরও বিএনপি এটা নিয়ে মিথ্যাচার করছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুলাই ২০২২
লোডশেডিং এর কারণে সরকারের পতন হবে,- বিএনপি নেতাদের এমন রঙিন খোয়াব অচীরেই দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।তিনি আজ সকালে তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে এ মন্তব্য করেন। বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি নেতাদের কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি কোন মুখে বড় কথা বলে? তাদের কি বিন্দুমাত্র লাজ-শরম নেই? যারা দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিলো, দিনের পর দিন যাদের শাসনামলে দিনের অর্ধেক সময় লোডশেডিং চলতো,শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো, তারা আজ বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলে-বিএনপি নেতাদের স্মরণ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন জনগণ বিদ্যুৎ সংযোগহীন খাম্বা দুর্নীতির কথা এখনো ভুলে যায়নি। ভুলে যায়নি বিদ্যুৎ এর দাবিতে মিছিলে গুলির কথা, হারিকেন-কুপি নিয়ে বিক্ষোভ এবং বিদ্যুৎ ভবব ঘেরাও করার কথা।তিনি বলেন বিএনপি আমলে জনগণ বিদ্যুৎ পায়নি, পেয়েছিলো খাম্বা।করোনার কারণে সারা পৃথিবীর অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যাহত হয়েছে, বাংলাদেশেও করোনার করাল গ্রাসের সঙ্গে সংগ্রাম করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে নিজেদের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন সাম্প্রতিকালে রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর আন্তর্জাতিক পরিণতি বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আবারও কিছুটা হুমকির মুখে ফেলেছে। ওবায়দুল কাদের জানান যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি মার্কেট চরম অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে, - এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি যাতে বড় কোন ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে লক্ষ্যে সরকারকে আগেভাগেই কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।জাপানের মত উন্নত ও অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ দেশও তাদের সাড়ে তিন কোটির বেশি মানুষকে নিয়মিত বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে পারছে না, একই অবস্থা অস্ট্রেলিয়ারও এমনটা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন তাই সবাইকে এই সংকটকালীন সময়ে রেশনিং করতে হচ্ছে। তিনি বলেন যুক্তরাজ্যে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, উন্নত রাষ্ট্র আমেরিকাতেও এসএমএস এর মাধ্যমে জনগণকে এনার্জির ব্যবহার লিমিট করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১৩০০-১৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন,সেখানে শিল্প ও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে সম্ভব হবে বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানকে চাঙা রাখার লক্ষ্যে সরকার শিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন বিশ্বব্যাপী পরিবর্তিত সংকটময় পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় সরকার ও জনগণের সাধ্যের মধ্যে রাখার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে এবং রেশনিং এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে সরকার কর্তৃক গৃহীত এবং গৃহীতব্য ব্যবস্থার সঙ্গে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সাময়িক এ অসুবিধায় ধৈর্য ধরার এবং সহযোগিতা করার জন্য দেশবাসীকে আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দেন তাঁর উপর অতীতে যেমন আস্থা রেখেছেন, এখনও রাখুন।ওবায়দুল কাদের কারো কথায় কান না দেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অল্প সময়ের মধ্যেই এ সংকট থেকে উত্তরণ হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুলাই ২০২২
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের সকল অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কঠোর অবস্থানের বার্তা দিতে আগামীকাল ২০ জুলাই বুধবার সকালে নড়াইল যাচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে থাকছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ। ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টকে কেন্দ্র করে গত ১৫ জুলাই শুক্রবার নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় দীঘলিয়া সাহা পাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি, দোকান ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই নড়াইলে ফেসবুকে এক কলেজ ছাত্রের পোস্টকে কেন্দ্র করে কলেজটির অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনা ঘটে।নড়াইলে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করা কঠোর অপরাধ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপরাধে যেই অপরাধী হোক তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। নড়াইলে নিরপরাধ মানুষের উপর সংঘবদ্ধভাবে হামলা, দোকানপাট লুট, ভাঙচুর, উপাসনালয়ে হামলা করা হলো। যারা ক্ষতিগ্রস্ত তারা তো কোনো অপরাধ করেনি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সুস্পষ্ট কঠোর অবস্থান। বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সকল ধর্ম ও মতের লোকজন এদেশে শান্তিতে বসবাস করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রত্যয়ে আমরা সেখানে যাচ্ছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে জনগণের নিকট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নড়াইলের এই ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের চেতন বিরোধী, বাংলাদেশ বিরোধী। যারা সম্পৃক্ত তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচার করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুলাই ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণের ভোটে নয়,বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে চায় বিএনপি।আজ সকালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ - বিআরটিএ'র প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কিত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কোন ক্ষমতা নেই, - বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ ধরনের বক্তব্য দেশের গণতন্ত্র, সকল সংসদ সদস্য এবং সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি নির্মম উপহাস ছাড়া আর কিছুই নয়।তিনি বলেন আসলে দেশের সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি বিএনপির কোন বিশ্বাস নেই।বর্তমান সরকার যদি পরিবর্তন না হয় এবং নিরপেক্ষ সরকার যদি না আসে তাহলে দেশে কোন নির্বাচন হবে না,- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিএনপি সরকার পরিবর্তন চায় অথচ নির্বাচনে আসেন না, সরকার পরিবর্তন চাইলে তো নির্বাচনে আসতে হবে। তিনি বলেন নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে বিএনপি নেতাদের বারবার কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন জনগণ বিএনপির তথাকথিত নিরপেক্ষ নির্বাচন আগেই দেখেছে। বিএনপি নেতাদের কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সবক মানায় না, তাদের নেত্রী এক সময়ে বলেছিলেন শিশু ও পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়,- কাজেই বিএনপি নেতাদের নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা দ্বিচারিতার যে রাজনীতি তা আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি উচ্চ আদালত কর্তৃক মীমাসিংত ইস্যু, এনিয়ে নতুন করে আলোচনার কোন সুযোগ নেই। শেখ হাসিনা থাকলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, ওবায়দুল কাদের আবারও বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন শেখ হাসিনা নির্বাচনে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ হোক এটা চান না।সরকার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মত কমিশনকে একটা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা দিয়ে যাবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন সরকার ক্ষমতায় থাকলেও নির্বাচন সংক্রান্ত সবকিছু নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে।।ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপির কাছে নিরপেক্ষতা হলো নির্বাচন কমিশন তখনই নিরপেক্ষ যখন বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হবার শতভাগ গ্যারান্টি পাবে।তিনি বলেন এ নিশ্চয়তা নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে দিতে পারে না।নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ হতে হলে বিএনপির ভাষায় তাদেরকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার গ্যারান্টি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিআরটিএ'র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরি ও বিআরটিএ'র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।মতবিনিময় সভায় যানজট ও দুর্ঘটনা রোধে শতভাগ মনযোগ দিয়ে কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জুলাই ২০২২
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বক্তব্য সকালে এক বিকেলে আরেক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র যেসব দেশে আছে সেখানে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও একইভাবে নির্বাচন হয়। ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইউকে এবং ইউরোপের দেশগুলোতেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংসদীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। সেসব দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় অর্থাৎ যে সরকার দেশ পরিচালনা করে আসছিল তারাই নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও তাই হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্লোগান দিয়ে, স্বপ্ন দেখে কোনো লাভ হবে না ওই সময় সিইসির বক্তব্যের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিইসি সকালে এক কথা বলে, বিকেলে এক কথা বলে। একটি বক্তব্য দেওয়ার পরে আবার পরে সেটি তিনি (সিইসি) প্রত্যাহার করেন। সুতরাং এ নিয়ে আমি ব্যাখ্যা দিতে পারব না, উনি ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জুলাই ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতার দরকার নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দরকার। এই দেশকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছানোর জন্য শেখ হাসিনাকে দরকার আছে।শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবরণ দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেনা সমর্থিত তৎকালীন ১/১১ সরকারের সব অন্যায়, অবিচার এবং দুর্নীতির একমাত্র আপসহীন প্রতিবন্ধক ছিলেন বলেই তাকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেদিন প্রকৃতপক্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে শুধু একজন ব্যক্তি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল। গণতন্ত্রের পায়ে সেদিন শেকল পড়ানো হয়েছিল।তথ্যমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে অন্যায় কাজগুলো করছিল, দুর্নীতির সঙ্গেও তাদের অনেকেই যুক্ত হয়ে গিয়েছিল। এই অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে তখন একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনাই কথা বলেছেন। বিএনপি ও তাদের নেতারা সেভাবে প্রতিবাদ করেনি।তিনি বলেন, তখন আমাদের দলের অনেক বড় নেতা বেসুরে কথা বলেছেন, কিন্তু তৃণমূলে দলীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিল। যারা বেসুরে কথা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন তারা অনেকে ভয়ে দলীয় প্রোগ্রামেও যেতেন না, কেউ কেউ গেলেও অপদস্থ হয়েছেন। নেত্রী গ্রেপ্তার হবে আমরা বুঝতে পেরেছিলাম। নেত্রীও জানতেন, তিনি প্রস্তুত ছিলেন, আমি নিজেও ঘরে থাকতাম না। রাতে জায়গা বদল করে করে থাকতাম। নেত্রীকে গ্রেপ্তারের সময় সুধাসদনে সবকিছু তছনছ করা হয়েছিল। ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছিল।তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা গ্রেপ্তার হওয়ার পর মতিয়া চৌধুরীর মাধ্যমে দলের সভাপতির দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ওপর। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর নেত্রীর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গুলশানে তার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেদিন জিল্লুর চাচার সঙ্গে আমার প্রথম বাক্য বিনিময় ছিল ‘নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এখন দলটা ভাঙার চেষ্টা করা হবে। দল যদি তারা ভাঙতে পারে তাহলে নেত্রীকে মুক্ত করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ জুলাই ২০২২
দেশের চলমান পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা এখন সারা রাত জেগে থাকেন বাংলাদেশের মানুষ যাতে ঘুমাতে পারে।তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত পরিস্থিতি তিনি সামাল দিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত করোনা, বন্যা অতিক্রম করে; এই যুদ্ধের ইমপ্যাক্ট সেটাও তিনি মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। শক্ত করে হাল ধরে আছেন। তাকে শক্তি দিতে হবে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে। শক্তি দিতে হবে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে।আজ শনিবার দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের দিনটি যখন আমাদের সামনে আসে তখনই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে ওয়ান-ইলাভেন নামে অমাবশ্যার অন্ধকার। বাংলাদেশে ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ রাজনীতিতে হঠাৎ করে বিরাজনীতিকরণের একটা ঝড় এলো। এই দিন শুধু শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস নয়, এই দিন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বন্দি দিবস। এ দিন শেখ হাসিনাকে বন্দি করে আমাদের বিকাশমান গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল।তিনি বলেন, অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করতেই বঙ্গবন্ধু হত্যার ৬ বছর পর তার সুকন্যা শেখ হাসিনা এসেছিলেন জন্মভূমিতে পিতার রক্ত ভেজা মাটিতে। তার প্রথম কাজ ছিল গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে সমস্ত শক্তিকে, গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা। শেখ হাসিনা পণ নিয়ে এসেছেন, পিছু হটেননি। ভয়কে জয় করতে এসেছেন, ভয় করেননি। প্রতি বিল্পবী শক্তির ভ্রুকুটির সামনে মাথানত করেননি।রাজনীতির অনেকেই জেলে গেছেন, আমাদের নেত্রী বন্দি হয়েছিলেন। ক্ষমতায় ছিল বিএনপি কিন্তু প্রথম বন্দি হন শেখ হাসিনা। তারা এসে বিরোধী দলকেই প্রথম বন্দি করে। সরকারি দলের নেতা তখনো বাইরে। এত অপমান করেছে তারা। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সামান্য শ্রদ্ধা তারা দেখাতে পারেনি, দেখায়নি—বলেন কাদের।নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, চলার পথে শত্রু-মিত্র চিনতে হবে। একটা কথা আছে—ওয়ানস বিট্রেয়ার, অলওয়েজ বিট্রেয়ার। আওয়ামী লীগের কর্মীদের হুঁশিয়ার থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কথায় কথায় অন্তঃকলহ করবেন না। খুব খারাপ সময়, খুব ঝুঁকিপূর্ণ সময়। এ সময় ঐক্যের বিকল্প নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন, কেউ কিছু করতে পারবে না।বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি বলে আমাদের পতনের নাকি সাইরেন বাজে; কোথা থেকে শুনলেন? রাস্তায় যখন গাড়ি চলে ওই সাইরেন শুনেছেন? শুনবেন, শুনতে পাবেন আপনাদের বিদায়ের ঘণ্টা যখন বাজবে। নেতিবাচক রাজনীতি আপনাদের অপ্রাসঙ্গিক করে ফেলেছে। আপনাদেরই বিদায়ের ঘণ্টা দূরে বাজছে, আওয়ামী লীগের বিদায় নয়। খেলা হবে, রাজনীতি-নির্বাচনের মাঠে খেলা হবে। খেলায় আসুন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ জুলাই ২০২২
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সক্রিয় থাকলেই আওয়ামী লীগ শক্তিশালী থাকবে।তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা সর্বদা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, তাদের কথা ভাবেন।কালকিনির নিজ বাসভবনে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ( ১২ জুলাই) মঙ্গলবার বিকেলে তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তাঁদের উদ্দেশে তিনি একথা বলেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাদারীপুর পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন, ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক কাজী মাহমুদুল হাসান দোদুল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদার, ডাসার উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক সাহাবউদ্দিন মিঠু, কালকিনি উপজেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব মো. ইকবাল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. ফরিদ সরদার, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আমিন মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন বেপারী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান বাকামিন খান, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম খলিলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জুলাই ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল। এমনকি স্বৈরাচার জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষায় প্রথমে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ এবং পরে তা আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথকে রুদ্ধ করেছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা দ্বিতীয় আর একটি নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তিত হবে। বুধবার দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে সরকার পতনের হুমকি দিয়ে কোনো লাভ নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তিত হবে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তার কোনো ব্যত্যয় ঘটাতে চাইলে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে দাঁত ভাঙা জবাব দেবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে মিথ্যাচারনির্ভর এবং বিভ্রান্তিমূলক দাবি করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বিবৃতিটি বিএনপির প্রতিদিনের চিরাচরিত ভাষায় দেওয়া মিথ্যাচারে ভরপুর অপরাজনীতির অংশ ছাড়া আর কিছু নয়। যশোর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেওয়া বিএনপি মহাসচিবের বিবৃতিতে যে বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তা সত্যের অপলাপ।তিনি বলেন, বিচারাধীন কোনো বিষয়ে মন্তব্য করা আইন সিদ্ধ নয়। কারও রাজনৈতিক পরিচয় কোনো হত্যাকারীর অপরাধকে আড়াল করতে পারে না। হত্যাকারী/অপরাধী যেই হোক তার বিচার হবেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও অপরাধীদের শাস্তি ভোগ সেটাই প্রমাণ করে। এমনকী সরকার দলীয় পদে থেকেও বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার কারণে অনেকেই আজ সাজাভোগ করছে।সহিংস রক্তপাতের মধ্য দিয়ে অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার- মির্জা ফখরুলের দেওয়া এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবে আইনের শাসনের প্রতি পরিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধাশীল এবং সাংবিধানিক বিধি-বিধান অনুযায়ী নির্বাচন ছাড়া আওয়ামী লীগ কখনও দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেনি। স্বাধীন বাংলাদেশে সাংবিধানিক পন্থায় স্বেচ্ছায় শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের একমাত্র নজির সৃষ্টি করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। কাদের বলেন, স্বৈরাচার জিয়ার উত্তরাধিকার বেগম খালেদা জিয়াও অনুরূপভাবে ১৯৯৬ সালে ও ২০০৬ সালে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে অগণিত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী হত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। বিএনপির শাসনামলে হত্যা, ক্যু, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। বিএনপি তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একুশে আগস্টের মতো ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল।বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাই এদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং স্বাভাবিক ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকার্য সম্পন্ন করেছেন। পক্ষান্তরে বিএনপি, স্বাধীন বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায়ন ও পুরস্কৃত করেছে, এমনকী দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকলেও তারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচারের কোনো প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি; এমনকী বিচারের দাবি পর্যন্তও করেনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জুলাই ২০২২
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকুল বোসের মরদেহ ভারত থেকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রোববার বিকেল পৌনে ৬টায় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল মরদেহ গ্রহণ করে শ্রদ্ধা জানান।এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস এমপি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি প্রমুখ।এর আগে ২ জুলাই কিডনি জটিলতা, হৃদরোগে আক্রান্তসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরপারে পাড়ি জমান মুকুল বোস। চেন্নাই অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সোয়া ৫টায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
Harun Ur Rashid । ০৩ জুলাই ২০২২
আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসনির্ভর রাজনৈতিক দল- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ ভালো করেই জানে, কোন দল সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক।রোববার (৩ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা হাস্যকর অভিযোগ করেছেন যে, আওয়ামী লীগ নাকি সন্ত্রাসনির্ভর রাজনৈতিক দল। অথচ দেশের মানুষ ভালো করেই জানে, কোন দল সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক, কাদের রাজনৈতিক দর্শনে সন্ত্রাসনির্ভরতা রয়েছে।বিএনপি এদেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাসের জন্মদাতা ও লালনকর্তা জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের নির্মম-নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারি (লাভবান) বিএনপি। ক্ষমতায় থাকাকালে তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে।‘তাদের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রত্যক্ষ মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট নৃশংস গ্রেনেড হামলা সংঘটিত হয়েছিল। এদেশে আগুন সন্ত্রাস আর জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার ভয়াবহ অপসংষ্কৃতিও তারা চালিয়ে যাচ্ছে।’বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন দল উল্লেখ করে কাদের বলেন, যারা জনবিচ্ছিন্ন, যাদের পায়ের তলায় মাটি নেই, যারা অপরাজনীতির কারণে জনপ্রত্যাখ্যাত, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তাদেরই রাজনৈতিক হাতিয়ার। এই সন্ত্রাসের বিপরীতে দাঁড়িয়ে গণআকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে জনকল্যাণের রাজনীতি করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।‘গণভিত্তির মধ্য দিয়ে কিংবা জনগণের সংগঠিত প্রয়াস হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠা হয়নি। এক নিষ্ঠুর স্বৈরশাসকের বন্দুকের নলের মুখে জনগণকে জিম্মি করে বিএনপির সৃষ্টি হয়েছিল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএনপি একটি সন্ত্রাসনির্ভর ও ষড়যন্ত্রমুখী রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের কাছে চিহ্নিত।’‘শুধু দেশেই নয়, কানাডার আদালতও বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। শুধু সন্ত্রাসনির্ভরতাই নয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিবিরোধী অপশক্তি হিসেবেও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে বিএনপি। তাদের বোঝা উচিত কথামালার বৃষ্টিতে এদেশের জনগণের মন ভেজে না। জনগণ মুখোশের অন্তরালে থাকা তাদের প্রকৃত চেহারা চেনে ও জানে।’বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে দলের রাজনৈতিক শক্তি ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু, তাদের কাল্পনিক অভিযোগ দিন দিন বাড়বে- এটাই স্বাভাবিক। বিএনপি নেতারা বানভাসি মানুষের সঙ্গে লোকদেখানো ফটোসেশন করছে। তাদের এক চিমটি সাহায্য মানুষের ভোগান্তির সঙ্গে নির্মম পরিহাস ছাড়া কিছু নয়। সাহায্যের নামে বিএনপির লোকদেখানো ত্রাণ থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়।‘সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনমানুষের পাশে রয়েছে। অতীতেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। আর যারা রাজনীতিকে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের হাতিয়ার মনে করে, যাদের জন্মই হয়েছিল স্বৈরতন্ত্রকে দীর্ঘস্থায়ী করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য, তারা জনগণের দুর্দশা নিয়েও অপরাজনীতি করে।’তিনি আরও বলেন, ফেনীর সোনাগাজীতে বিএনপি নেতারা ত্রাণ বিতরণের নামে নাটক করেছে। তারা ফেনী থেকে ফেরত এসে সংবাদ সম্মেলন করেছে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সাহস থাকলে নিশ্চয়ই তারা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতো।‘বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রম এক ধরনের ত্রাণ বিলাস। তারা সাহায্য দেওয়ার চেয়ে প্রেস-ব্রিফিংয়ে অধিক মনোযোগী। যতদিন পর্যন্ত বিএনপি অপরাজনীতি ছেড়ে জনকল্যাণে মনোনিবেশ না করবে, ততদিন পর্যন্ত তাদের সকল অপকৌশল জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ জুলাই ২০২২