পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নিখোঁজ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।তিনি বলেছেন, কপর্দকহীন এবং উদ্ভ্রান্তের মতো কথা বলা বিএনপির মজ্জাগত হয়ে গেছে। পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় সারাদেশের মানুষ যখন উল্লসিত তখন বিএনপি খেই হারিয়ে ফেলেছে, কী বলবে। বিএনপি এবং পদ্মা সেতু নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের যখন মানুষ ধিক্কার দিচ্ছে, তখন তারা খেই হারিয়ে নানা ধরনের উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিচ্ছেন।শনিবার (২ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের বাসায় প্রেস ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।‘সরকার পদ্মা সেতু নিয়ে সংসদে গান করছে। এটার পরিবর্তে বন্যায় দুর্গত মানুষের সহায়তায় যেন আওয়ামী লীগ ঝাঁপিয়ে পড়ে’ রিজভীর এমন বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পর রিজভী সাহেব কয়েকদিন নিখোঁজ ছিলেন, হঠাৎ বের হয়ে তিনি এখন নানা ধরনের কথা বলছেন।হাছান মাহমুদ বলেন, বন্যা হওয়ার পর সেখানে বিএনপির কেউ যায়নি এবং বিএনপি বলেছে, ত্রাণ দেওয়া তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য নয়। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখন বন্যা, জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন দুর্যোগ দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ সবসময় দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের নেত্রী ছুটে গেছেন দুর্গতদের পাশে। এবার তারা কিন্তু যায়নি।মন্ত্রী বলেন, সংসদে এমপি মমতাজ যখন বক্তব্য শেষ করতে যাচ্ছিলেন তখন বিএনপির সংসদীয় দলের নেতা হারুনুর রশীদ আরেকটি গান গাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন মমতাজকে। তার অনুরোধে মমতাজ আরেকটি গান গেয়েছিলেন। সেটি মনে হয় রিজভী সাহেব জানেন না।‘পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে তাই সরকারকে বিএনপি ধন্যবাদ দেবে না’ দলটির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে সারাদেশের মানুষ উল্লসিত, বিএনপি এবং পদ্মা সেতু নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের যখন দেশের মানুষ ধিক্কার দিচ্ছে, তখন তারা খেই হারিয়ে উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিচ্ছেন।‘আওয়ামী লীগের গাফিলতির কারণে দেশে করোনা বাড়ছে’ বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এমন বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে তাহলে কী জন্য বাড়ছে করোনা? ভারতে কী জন্য বাড়ছে? ভারতে বিজেপির কারণে বাড়ছে কি না বিএনপির কাছে এমন প্রশ্ন রেখে সেটার ব্যাখ্যা দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী।তিনি আরও বলেন, বিএনপি বন্যা হওয়ার পর বলেছে সরকারের কারণে বন্যা হয়েছে। আসাম এবং মেঘালয়ে দুই হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি কি আমাদের সরকারের কারণে হয়েছে? নাকি আওয়ামী লীগের কারণে হয়েছে? সিলেটে একদিনে প্রায় এক হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সেটি কী কারণে হয়েছে। ১২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেজন্যই বন্যা হয়েছে।‘বন্যা হওয়ার পর আমাদের সরকার এবং দল সর্বাগ্রে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। দল এবং সরকারের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে এবং সাপের কামড়ে কয়েকজন মারা গেছে- সেটা সত্য। কিন্তু অনাহারে কোনো মানুষ মৃত্যুবরণ করেনি।’ড. হাছান বলেন, নিজেরা বন্যার্ত হবার পরও সেখানে আমাদের দলের নেতারা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের নিজেদের বাড়ির নিচ তলা পানিতে ডুবে গেছে। দ্বিতীয় তলায় নিজেরা আশ্রয় নিয়েছেন। তৃতীয় তলায় বন্যার্ত মানুষদের আশ্রয় দিয়ে খাবার দিয়েছেন। এ ধরনের বহু ঘটনা সিলেট অঞ্চলে হয়েছে।পদ্মা সেতুর ব্যাপারে যারা বাংলাদেশে থেরিজভী নিখোঁজ ছিলেন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর: তথ্যমন্ত্রী নেবে কি-না এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টের একটি রায় আছে। পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের খুঁজে বের করার জন্য কমিশন গঠন করতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কী করা যায় সরকার বিবেচনা করবে।এর আগে তথ্যমন্ত্রী রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) তৃতীয় সম্প্রচার সম্মেলনে চট্টগ্রাম থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ঢাকা প্রান্তে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ জুলাই ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অশুভ শক্তি মেনে নিতে পারছে না। দেশে তারা মাথা চাড়া দিয়ে দাঁড়াতে পারেনি শুধু মাত্র শেখ হাসিনার কারণে। সন্ত্রাসীদের কোনো জায়গা বাংলাদেশে হবে না। বাংলাদেশ হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গণতান্ত্রিক দেশ।বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকালে রাজধানীর গুলশান লেকশোর হোটেলে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই) কর্তৃক আয়োজিত তরুণ নেতৃত্ব গঠন ফেলোশিপ প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন।সুজিত রায় নন্দী বলেন, গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু আমাদের মর্যাদার প্রতীক, সক্ষমতার প্রতীক, সাহসিকতার প্রতীক। এর সফল নায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, শান্তি, মানবতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার কখনই অশুভ শক্তির কাছে মাথা নত করবে না।আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা থাকবে কিন্তু প্রতিহিংসা নয়। আমরা কেউ হিংসাত্মক মনোভাব পোষণ করব না। মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই কাজ করতে হবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল পার্টির প্রধান ডানা ওল্ডস, ক্রিস্টিন ওয়াল, ডিরেক্টর অফিস অফ ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড গভর্নেন্স, ইউএসএআইডি, লেসলি রিচার্ডস,ডেপুটি চিফ অফ পার্টি, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদনান এমপি, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জুন ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উল্লেখ্যযোগ্য হারে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বাড়াতে হবে। রাখঢাক করার কিছু নেই। দিস ইজ লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার।মঙ্গলবার (২৮ জুন) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন দলগুলোর সঙ্গে কারিগরি বিষয়ে ভোটদান নিয়ে আলোচনার আয়োজন করেছে। আমাদের আমন্ত্রণ জানানোয় আওয়ামী লীগে সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসির গ্রহণযোগ্যতা, নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ইসির দায়িত্বশীল নিরপেক্ষ আচরণ, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ইভিএমে ভোটগ্রহণের পদ্ধতি বৃদ্ধি করতে হবে।ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের বক্তব্য লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার। আগেও আমরা ইসিকে এসে বলেছিলাম। এখানে রাখঢাক করার কিছু নেই। আগামী নির্বাচনে উল্লেখযোগ্যহারে ইভিএম বৃদ্ধি করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়া তিনি বিতর্কিত কাউকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়া, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের রিটার্নিং অফিসার থেকে পোলিং অফিসার নিয়োগসহ একগুচ্ছ দাবির কথা বলেন।১৩ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করতে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে দুই ধাপে ২৬টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি। গত ১৯ ও ২১ জুন ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের ইভিএম যাচাই বিষয়ক সভা করেছে সংস্থাটি। তবে এতে বিএনপিসহ আটটি দল সাড়া দেয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ জুন ২০২২
পদ্মা সেতু শুধু যোগাযোগের মেলবন্ধন নয়, শরীয়তপুর জেলাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের প্রবেশদ্বার। যোগাযোগের দ্বার উন্মুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠার আগ মুহূর্তে সড়কে চুম্বন করেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। সেই চুম্বনের ছবি সোমবার (২৭ জুন) রাত থেকে ফেসবুকে ভাইরাল।ছবিতে এমপি ইকবাল হোসেন অপুর সঙ্গে সড়কে চুম্বন করেন তার কর্মী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক মুজাফফর জমাদ্দার ও আরেকজন। এছাড়া পেছনে কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।সোমবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ১০টায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর প্রথম সেতু দিয়ে ঢাকা যাওয়ার সময় শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের টোলপ্লাজায় ঢোকার আগে গাড়ি থেকে নেমে পদ্মা সেতুর সড়কে চুম্বন করেন অপু। পরে কর্মীদের নিয়ে দুই হাত তুলে মোনাজাত করতে দেখা যায় তাকে।ফেসবুকে এম নুর হোসেন নয়ন লিখেছেন,‘আজ জননেতা ইকবাল হোসেন অপু এমপি মহোদয় পদ্মা সেতু পার হওয়ার সময় টোল দেওয়ার আগ মুহূর্তে রাস্তায় নেমে চুমু খেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।’স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সুমন পাহাড় জানান, ‘আমাদের শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ভাই করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শরীয়তপুরে তার নিজ বাড়িতে ছিলেন। পদ্মা সেতু উদ্বোধনে জনসভায় যোগদানের জন্য করোনা টেস্ট করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এজন্য তিনি উদ্বোধনীর জনসভায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। পরে আবার করোনা টেস্ট করালে গতকাল তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাই তিনি স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড় হয়ে ঢাকাতে গেছেন।’এমপি ইকবাল হোসেন অপু বলেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু পার হতে এসে আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই। গর্বে আমার বুকটা ভরে যায়। শত বাধা, ষড়যন্ত্র আর দুষ্কৃতকারীদের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজের টাকায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করেছেন। এ যে কী গর্বের, কী আনন্দের ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। তাই আমি সেতুতে ওঠার আগেই সড়কে চুম্বন করেছি এবং মহান আল্লাহতালার কাছে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ তার পরিবার এবং সকল শহীদদের জন্য দোয়া করেছি। আমি কৃতজ্ঞতার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না, কী করবো, কী করলে এই ঋণ শোধ হবে আমাদের। আসলে এই ঋণ কখনো শোধ হওয়ার নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ জুন ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির রাজনীতি ভুলের চোরাবালিতে ঘুরপাক খাচ্ছে, তবুও বিএনপি আত্নবিশ্বাসী ও অপরিণামদর্শী রাজনীতি চর্চা করে যাচ্ছে।বিএনপি দেশবিরোধী ও উন্নয়ন বিরোধী প্রচার - প্রচারণা এবং গুজবে বিশ্বাসী বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন প্রকৃতপক্ষে বিএনপি ষড়যন্ত্রপ্রিয় জনবিরোধী অপশক্তি। তিনি আজ এক বিবৃতিতে একথা বলেন।তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির কারণে বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতি এখন পদ্মার গহীন অতলে নিমজ্জিত।সরকার নাকি অজানা আতঙ্কে সবসময় উদ্বিগ্ন, - বিএনপি মহাসচিবের এমন কাল্পনিক ও অসার বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন এমন বক্তব্য বিএনপির হতাশা এবং রাজনৈতিক দীনতা উন্মোচিত হয়েছে।শেখ হাসিনা সরকারের সাথে জনগণ রয়েছে, আছে আস্থা ও আত্মবিশ্বাস, তাই সরকারের কোন উদ্বেগ নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন আর বিএনপি নেতারা এখন নির্বাচন আতঙ্কে ভুগছেন এবং প্রবল জনরোষের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন। বিএনপি পদ্মাসেতুর বিরোধিতা করেছিলো কিন্তু শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে পদ্মাসেতু নির্মিত হয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন বিএনপির ষড়যন্ত্র আর পদে পদে বাধা শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নকে একটুও বাধাগ্রস্ত করতে পারে নি। মন্ত্রী বলেন এ থেকেই বিএনপি নেতারা দিন দিন গভীর থেকে গভীরতর হতাশায় আক্রান্ত। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন গনতন্ত্রের বিকাশে শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল বিরোধীদলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু বিএনপির দায়িত্বহীনতা, দ্বিচারিতা গণতন্ত্রের বিকাশের পথে অন্তহীন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।বিএনপি কখনো বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ায় না দাবি ওবায়দুল কাদেরের, বলেন বানভাসী মানুষের পাশে যখন সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কাজ করছে তখন বিএনপি নেতারা লোকদেখানো ফটোসেশনে ব্যস্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জুন ২০২২
গৌরবময় মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হতে শরীয়তপুরের লাখো মানুষ এরই মধ্যে বাংলাবাজার ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ঘাটের জনসভাস্থলে পৌঁছেছেন। কিন্তু করোনা পজিটিভ হওয়ায় জনসভায় যোগ দিতে পারছেন না শরীয়তপুরের তিন সংসদ সদস্য।শনিবার (২৫ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে করোনা পজিটিভের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারা নিজেই।তারা হলেন, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ও শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক।ইকবাল হোসেন অপু তার নিজের ফেসবুকে লেখেন,"আমাদের সপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের লক্ষে বিগত ১ মাস ধরে সকল নেতাকর্মী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তার প্রতিফলন ঘটবে আজ হাজার হাজার জনতার সমাগমে মুখরিত হবে এই পদ্মাপাড়ে আমাদের অভিবাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের মাধ্যমে" ।আরো লেখেন "দুরভাগ্যক্রমে আমার বন্ধু পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী এ.কে.এম. এনামুল হক শামীম এম.পি, ভাতিজা শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক এম.পি, আমি সহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু অনল কুমার দে কোভিটে আক্রান্ত হয়েছি বিধায় আপনাদের সাথে অংশগ্রহণ করতে পারছি না"সবশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জয়বাংলা, জয়বঙ্গবন্ধু ও জয় শেখ হাসিনা শ্লোগানে শুভেচ্ছা এবং স্বাগত জানানোর জন্য সকলকে বিনীত অনুরোধ জানান এই সাংসদ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ জুন ২০২২
আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ যখন দিশেহারা ঠিক সেই সময়ে দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। ১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেন। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতা-কর্মীর পাশাপাশি দেশের মানুষ আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করলো। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরুর মধ্য দিয়ে দেশকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের করে নিয়ে আসেন তিনি।বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন ভিশনারি লিডার। ১৯৪৭ সালে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান সৃষ্টির পরই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এই রাষ্ট্র বাঙালির জন্য নয়। তখন থেকেই তিনি বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন পূরণে বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশ চরম দারিদ্র্যের দেশ থেকে উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি নতুন করে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখছে। আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের আস্থা, ভরসার জায়গায় পরিণত হয়েছেতিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য আজীবন লড়াই, সংগ্রাম করেছেন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছিলাম। তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে একাত্তরের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে সেই স্বপ্নকে হত্যা করেছিলো। পাকিস্তানের দোসররা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগকে খন্ড-বিখন্ড করার ষড়যন্ত্র করেছিলো।হানিফ বলেন, ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একাত্তরের দোসররা আবারো ক্ষমতায় আসে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আবার শুরু হয়েছিলো তান্ডব। এরপর আন্দোলন, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে আজ আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায়। বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জুন ২০২২
পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে বিএনপি এ দেশের জনগণকে প্রত্যাখ্যান করেছে, জনগণের স্বপ্নকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে জাজিরা প্রান্তে সমাবেশস্থল পরিদর্শনে এসে এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে নানক বলেন, তারা এদেশের স্বাধীনতাকে মানতে পারেনি, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের সোনার বাংলা মানতে পারেনি, তাই তারা পদ্মা সেতু কেউও মানতে পারছে না। তাই তারা স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করতে পারে না। এই কারণে এই দেশের জনগণ তাদেরকে বার বার প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী নির্বাচনেও জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করবে।বিদেশ থেকে দেশে আসার টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে নানক বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন আগামী ২৫ জুন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১০ লক্ষ মানুষের জনশ্রুতি হবে এই সমাবেশ স্থলে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য থাকবে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ মানুষের সমাগম করা। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, বিদেশ থেকে দেশে আসার টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ বিদেশে থাকা প্রবাসী আমাদের ভাইয়েরা দেশে আসতে শুরু করেছে । স্বপ্নের সোনার পদ্মা সেতু দু'চোখে দেখতে চায় , তারাও সমাবেশস্থলে যোগ দিতে চায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ জুন ২০২২
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ২৫ জুন যে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে সেটি হবে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ জনসভা। এটি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে, এটি হবে ঐতিহাসিক। তিনি বলেন, এটি শুধু মাত্র শেখ হাসিনার জনসভা নয়।দল মত নির্বিশেষে সকলে এ জনসভায় অংশগ্রহণ করতে হবে। তার জন্য আমাদের সবাইকে উৎসাহ দিতে হবে।সেদিন যেন শ্রমিক, মেহনতি মানুষ,ছাত্র সহ সকল মানুষ সমাবেশে অংশগ্রহণ করে। সে দিন শুধু পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন নয়,সে দিন বাঙালি জাতির জন্য এক অনন্য দিন। সে দিন শেখ হাসিনা সারাদেশের মানুষকে আমাদের সক্ষমতা ও দক্ষতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা যা বলেন তা করেন এবং তিনি পারেন।সোমবার (২০ জুন) সকালে মাদারীপুরে আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন ও জনসভা সফল করার লক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। অনেক অপপ্রচার ও মিথ্যাচার হয়েছে। এখনও অপপ্রচার ও মিথ্যাচার হচ্ছে। একদল প্রচার করছে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে না, বন্ধ হয়ে গেছে, উদ্বোধনের টাকা দিয়ে এম্বুলেন্স কিনতে হবে। পদ্মা সেতু উদ্বোধন জন্য অনেক লক্ষ কোটি টাকার প্রয়োজন নেই। দেশের জনগণ এটিকে সফল করবে। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এর উদ্বোধনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। সেদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে লাখ লাখ মানুষ আসবে। আমরা তাদের পাশে দাড়াবো, এটা আমাদের দায়িত্ব। মাদারীপুরের মানুষ স্বাগতিক জেলা হিসেবে সবার পাশে থাকবে।বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা মুজিব আদর্শের সৈনিক,জাতির পিতার আদর্শ আমরা ধারণ করি।জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছেন কিভাবে পদ্মা সেতু করা যায়। তিনি যমুনা সেতুর জন্য তখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ও জাইকার প্রধানের সাথে আলোচনা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা আজ পদ্মা সেতু করেছেন। বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসার পর পদ্মা সেতু যাতে না হয় সব চেষ্টাই তারা করেছে।সেই বিএনপি জামাত আজ বলে খালেদা জিয়া নাকি পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছে। এটা শতাব্দীর সেরা মিথ্যা কথা।তিনি বলেন, ড. ইউনুস ও খালেদা জিয়া দেশে বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র করেছে।তারা অপ্রচার ও মিথ্যাচার করেছে।তাদের কারনে বিশ্ব ব্যাংক সহযোগিতার কথা বলেও আর সহযোগিতা করেনি।তারা বলেছে দূর্নীতি হয়েছে।অথচ সময়ের ব্যবধানে কানাডার আদালতে রায় হয়েছে পদ্মা সেতু নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র ও দূর্নীতি হয়নি। বিএনপি জামাতি ও কতিপয় তথাকথিত অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশের ভালো চায় না।আমরা নিজস্ব অর্থায়নে আজ পদ্মা সেতু করেছি কারও কোন সহযোগিতা ছাড়াই।আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সাজাপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়া বলেছে জোড়া তালি দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি হচ্ছে। সেখানে গাড়ি চলবেনা।এ সেতু দিয়ে পার হওয়া যাবে না। এটা দেশের জন্য লজ্জাজনক।বিএনপি জামাতিদের রাজনীতি হলো যা দেখতে না পারি তার চলন বাঁকা। এরাই এক সময় বলেছিলো এই পদ্মা চুক্তি হলে পদ্মায় পানি আসবে না।আসলেও দূষিত পানি। এই পানিতে কোন মাছ থাকবে না। মিথ্যাচার,অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র হলো এদের একমাত্র রাজনীতি। এরা দেশে অপরাজনিতি করে।তিনি বলেন, জাতির পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করে সামনে যাওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন আজ পূরন হতে চলেছে।দেশ আজ অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ। আজ বাঙালি জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাড়িয়েছে। আজ আমরা আর যাই হোক ভিক্ষুকের জাতি না। আমরা ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত ও ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা আর্জন করেছি সেটা আমাদের গৌরব। আজ আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার দেশ গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।শেখ হাসিনা দেশের মানুষের সঙ্গে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন মোল্লা বলেন, জনসভা যাতে সফল না হয় সেজন্য নানা কুচক্রী মহল সক্রিয় আছে। তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে জনসভা সফল করতে হবে। বর্ধিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, সংসদ সদস্য তাহমিনা সিদ্দিকী, মাদারীপুরের পাঁচটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, পৌরসভার মেয়রসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জুন ২০২২
বিএনপিকে নির্লজ্জ দল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বিএনপির নেতারা কথা বেশি বলেন, কিন্তু কাজ করেন না। আর আওয়ামী লীগ কাজ বেশি করে, কথা কম বলে। এটাই আমাদের আদর্শ।তিনি বলেন, সিলেটে ভয়াবহ বন্যায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারারাত ঘুমাতে পারেন না। তিনি সারারাত জেগে থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সকল সংস্থাকে নির্দেশ করেছেন বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে। শুধু তাই নয়, দলীয় নেতাকর্মী ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের রাতের বেলায় নির্দেশ করেছেন- এক মুঠো খাবার নিয়ে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াও। এখনও সেই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।সোমবার রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আদাবর থানা এবং এর অন্তর্গত ৩০ ও ১০০ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।‘আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু নিয়ে ব্যস্ত’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একটা বাড়ি একটা ক্যাম্প পরিণত হয়েছে। সেখানেই বানভাসিদের জন্য তারা রান্না করছে। নৌকা দিয়ে সেই খাবার বানভাসি মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিচ্ছে। অথচ বিএনপির নেতারা ‘এসি’ রুমে বসে সরকারের এবং আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে। ঠিক একইভাবে মহামারী করোনাকালেও তারা মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেছিল। আসলে বিএনপির নেতাদের লজ্জা নেই।সাবেক প্রতিমন্ত্রী নানক বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন- এই পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার সরকার করে যেতে পারবেনা, কেউ পদ্মা সেতুতে উঠবেন না, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে। আরো অনেক ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে। কী মূর্খ এক প্রধানমন্ত্রী ছিল এই দেশে। একটা সেতু পাট বাই পাট করেও তৈরী করতে হয় এটাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জানেই না। এই মূর্খ নেতৃত্বের কাছে দেশ তখন মুখ থুবড়ে পড়েছিল।সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ওই বিজয়ের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। যদি তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন তাহলে বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হয়ে যাবে। এদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, পদ্মাসেতু যাতে উদ্বোধন না হয় সেজন্য একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আগামী ২৫ তারিখ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন শামীমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি , স্থানীয় সংসদ সদস্য সাদেক খান প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জুন ২০২২
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফ আবারও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ জুন) নমুনা পরীক্ষার পর তার করোনা শনাক্ত হয়। বর্তমানে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ও দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।মাহবুবুল আলম হানিফের ব্যক্তিগত সহকারী তারিকুল ইসলাম টুটুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষার জন্য শুক্রবার সকালে নমুনা জমা দিয়েছিলেন মাহবুবুল আলম হানিফ। সন্ধ্যায় করোনা শনাক্তের ফল জানা গেছে। করোনা টেস্টের ফলাফল পজিটিভ এসেছে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি নিজ বাসায় সম্পূর্ণ বিশ্রামে আছেন।তারিকুল ইসলাম টুটুল আরও জানান, মাহবুবুল আলম হানিফ দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন। এর আগে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বরে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুন ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, সিলেটসহ দেশের কয়েকটি এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় প্রশাসনের পাশাপাশি ঝাঁপিয়ে পড়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। অন্য কোনো দলের নেতা–কর্মীরা বন্যার্তদের পাশে নেই।আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটরিয়ামে উপজেলার স্কুল ও কলেজশিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় বসে বসে কেউ টক শোতে বক্তৃতা দিচ্ছেন। আর ঢাকায় নয়া পল্টনে কিংবা প্রেসক্লাবের সামনে সরকারের বিরুদ্ধে অনেকে বিষোদ্গার করছেন। কিন্তু বন্যার্তদের সাহায্য করার জন্য কেউ ঝাঁপিয়ে পড়েনি। ঝাঁপিয়ে পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা।’পদ্মা সেতু নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কেউ ভাবেনি কখনো নিজের টাকায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবে। পরে যখন আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরু করে দিয়েছি, বিশ্বব্যাংক কানাডা আদালতে হেরে যায়। কানাডার আদালতে তাদের যে অভিযোগ সেটি ভুয়া, মনগড়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল—কানাডার আদালতে সেটি প্রমাণিত হলো। কানাডার আদালতে আমাদের সরকার যায়নি, গিয়েছে বিশ্বব্যাংক। কানাডার আদালত রায় দিলেন, কোনো দুর্নীতি হয়নি, দুর্নীতির চেষ্টাও হয়নি। তাদের দায়ের করা মামলায় তারা হেরে গেছে। এরপর তারা প্রস্তাব দিয়েছিল পদ্মা সেতুতে তারা অর্থায়ন করতে চায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “আমার বিশ্বব্যাংকের অর্থ দরকার নেই।” আজ তিনি বিশ্বমোড়লদের দেখিয়ে দিয়েছেন নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করে। আমাদের দেশের কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী, এমনকি একটি বড় পত্রিকায় হেডিং হয়েছিল, পদ্মা সেতু আর হচ্ছে না। তখন বুদ্ধিজীবীরা বলেছিলেন, এই সরকারের আমলে আর পদ্মা সেতু হচ্ছে না। ড. ইউনূসও বলেছিলেন। আমি ওনার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখে বলতে চাই, সত্যটা হচ্ছে বিশ্বব্যাংক যাতে পদ্মা সেতু থেকে সরে যায়, সে ষড়যন্ত্রের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। একইভাবে টিআইবি, সিপিডিসহ আরও অনেকে বলেছিল, পদ্মা সেতু হবে না। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেখিয়ে দিয়েছেন, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু হয়।’হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ অনন্য উচ্চতায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। যে মানুষের সামনে কোনো লক্ষ্য থাকে না, সে মানুষ বেশি দূর এগোতে পারে না। যার লক্ষ্য নেই, তার স্বপ্নও নেই। জাতীয় জীবনেও এটি সত্য। তাই আমাদের নেত্রীও আজকে জাতিকে আশাবাদী করে তুলেছেন। জাতির সামনে একটি লক্ষ্য তিনি দিয়েছেন। ২০২১ সাল নাগাদ লক্ষ্য দিয়েছেন একটি মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার। সেটি আমরা হয়েছি। ২০৪১ সাল নাগাদ আমাদের লক্ষ্য একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। সেই লক্ষ্য নিয়েই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে।’শিক্ষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধু বস্তুগত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে উন্নত করা নয়। আমরা চাই, মেধা, মূল্যবোধ দেশাত্মবোধ মমত্ববোধের সমন্বয় ঘটিয়ে একটি নতুন প্রজন্ম তৈরি করতে চাই। মেধার সঙ্গে মূল্যবোধের সমন্বয় ঘটিয়ে, মানবিকতার বিকাশ ঘটিয়ে যদি একটি উন্নত জাতি গঠন করতে পারি, তবে তা পৃথিবীর সামনে একটি উদাহারণ হবে।’রাঙ্গুনিয়াবাসীর উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি সাড়ে ১৩ বছর ধরে রাঙ্গুনিয়ার সবার জন্য আমার দরজা খোলা রেখেছি। কে আমাকে ভোট দিয়েছে কিংবা দেয়নি, তা কখনো দেখিনি। কে আওয়ামী লীগ করেছে বা করেনি, তা কখনো জিজ্ঞেস করিনি। আমার বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করেছে, এমন অনেকের চাকরি আমার হাত ধরে হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি সব মানুষের কথা রাখতে। তাই আমি যদি আপনাদের দরজায় যাই, আপনাদের দরজাটিও আমার জন্য খোলা রাখবেন।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুন ২০২২