আওয়ামী লীগ


আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে অভাব থাকে না : এমপি নুরুল

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে অভাব থাকে না : এমপি নুরুল

চাঁদপুর- ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মো. নুরুল আমিন রুহুল বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। দেশে কোন অভাব অনটন থাকে না। বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিল থেকে গরীব, অসহায় ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।এমপি নুরুল বলেন, দেশের গরীব, অসহায় ও অস্বচ্ছল মানুষের পাশে শেখ হাসিনা সরকার সবসময় ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। বর্তমান সরকারের আমলে তাদের কোন কষ্ট নেই। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকবে না।এসময় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।তিনি বলেন, আপনারা শেখ হাসিনা সরকারের পাশে থাকবেন, শেখ হাসিনা সরকারও আপনাদের পাশে থাকবে।উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাসের সভাপতিত্বে ও বিআরডিপির চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএইচএম কবির আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মবিন সুজন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী বেগম রুনু, অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন প্রধান, কাউন্সিলর সারোয়ার সরকার লিখন, মৎস কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জানুয়ারি ২০২৩


বিয়ে করলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জয়

বিয়ে করলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জয়

বিয়ে করলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান জয়। শুক্রবার বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার আকদ সম্পন্ন হয়।এসময় তার স্বজনদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নসহ অনেকে।জয়ের স্ত্রীর নাম কাকন ভুঁইয়া। তিনি ইডেন কলেজ থেকে অনার্স, মাস্টার্স করেছেন বলে জানা গেছে।আকদ অনুষ্ঠানে ঘিয়া রঙের পাঞ্জাবি, হালকা গোলাপি কটি পরেছিলেন জয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জানুয়ারি ২০২৩


খালেদা যদি সংলাপে যেতেন গণতন্ত্রের নতুন দুয়ার খুলে যেত-কাদের

খালেদা যদি সংলাপে যেতেন গণতন্ত্রের নতুন দুয়ার খুলে যেত-কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে খালেদা জিয়া যদি গণভবনে সংলাপে যেতেন তাহলে গণতন্ত্রের পথে নতুন দুয়ার খুলে যেতে পারত। আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে বিষোদ্গার, পাল্টাপাল্টি চায়না। সুষ্ঠু রাজনীতি চর্চায় সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।’ আজ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এই দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে শুধু দেয়াল তুলেছে, সেতু তৈরির চেষ্টা করেনি।সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছি। তারপরও খালেদা জিয়ার ছেলের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা তার বাড়িতে গেছেন। ঘরের দরজা, বাইরের গেট সব বন্ধ করে দিয়েছে। ইস ইট ডেমোক্রেসি? (এটা কি গণতন্ত্র)। অপমান করে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দোষটা কোথায়?’নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের আরেকটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আগামী নির্বাচন। সেটা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে হবে বলে নির্বাচন কমিশন আভাস দিয়েছে। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে করণীয় সম্পর্কে গত বৃহস্পতিবার এমপিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদানের সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। তার নির্দেশ আমরা পালন করছি। একইসঙ্গে আমরা বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলা করছি। জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ রাজপথে সতর্ক অবস্থানে থাকবে বলেও জানান তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমদের পাঁচ মাস আমদানি করার মতো রিজার্ভ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা আছে। আমাদের মুদ্রাস্ফীতি ৯-এর ওপর চলে গিয়েছিল। এখন ৮ এর নিচে নেমে গেছে। আইএমএফের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর ৩৫তম অর্থনীতির দেশ।’এসময় চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রায় শেষ বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।সভায় আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জানুয়ারি ২০২৩


রাষ্ট্রপতি হবার যোগ্যতা আমার নেই-কাদের

রাষ্ট্রপতি হবার যোগ্যতা আমার নেই-কাদের

পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদে নিজের নাম আলোচনায় থাকার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাষ্ট্রপতি হবার যোগ্যতা আমার নেই।‘সামনে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ হবে, সেখানে আপনার নাম শোনা যাচ্ছে’— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার তিনি এমন মন্তব্য করেন।বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আমরা সতর্ক থাকব। তারা যাতে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করিনি। আমরা রাজপথে আছি। রাজপথ আমরা ছাড়বো না। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব পালন করবো। গতকাল বিএনপির বৈঠক অনেক বড় হয়েছে। আমাদের আলোচনা সভাও বড় সমাবেশে রূপ নিয়েছে।বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরের নির্বাচনে আমাদের নেতৃত্ব দেবেন শেখ হাসিনা। কিন্তু তাদের নেতা কে? গত নির্বাচনে তারা কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচন করেছে।তিনি বলেন, বিএনপির জগাখিচুরি ঐক্যের পরিণতি হয়েছে। অর্থহীন ঐক্য কতটা টেকসই হয় সেটা সময় গড়ালে বোঝা যাবে। গতবার ২১ দল ছিলো, নির্বাচনের সময় তারা এলোমেলো হয়ে গেছে।জামায়াত নিষিদ্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, এটা আদালতের বিষয়। এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেইনি। আদালতের বিষয়ে দলীয় ভূমিকা যুক্তিসঙ্গত হবে না। তবে জামায়াত ছাড়া বিএনপি শক্তিহীন। বিএনপি-জামায়াত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জানুয়ারি ২০২৩


বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজন নেই : ড. হাসান মাহমুদ

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজন নেই : ড. হাসান মাহমুদ

নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ প্রশ্ন করেছেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজন কী?বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করা হবে কি না? তার উত্তরে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন শিল্পীদের সংগঠন ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’ নেতাদের সাক্ষাৎ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন সংলাপের প্রয়োজনীয়তা কী? নিবার্চনের আয়োজক সংস্থা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তারা প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসতে পারে। যদিও নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তারপরও যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেটা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে।বিএনপি বলছে, আমরা ক্ষমতা চাচ্ছি না, আমরা চাচ্ছি শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়। সাংবাদিকদের এ ধরনের আরেক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো অস্থিরতা তৈরি করতে চায়। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের কর্মসূচি সেটিই প্রমাণ করে। তারা ১০ তারিখ ঘিরেও আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছে। আগামী ১১ তারিখ আবার তারা অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে। সেখান থেকেও আবার অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। আমরা ১০ তারিখ যেমন সতর্ক পাহারায় ছিলাম, ৩০ তারিখও আমরা সতর্ক অবস্থানে ছিলাম। ভবিষ্যতেও যদি তারা এ রকম বিশৃঙ্খলা করতে চায়, তাহলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে উচিত জবাব দেবো।তিনি বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে কোনো বাধা নেই। সরকার সেক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে এবং করবে। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যদি সহিংসতা করার অপচেষ্টা চালায়, সেক্ষেত্রে সেটি জনগণ প্রতিহত করবে। জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা থাকবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ জানুয়ারি ২০২৩


আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ, নতুন মুখ চারজন

আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ, নতুন মুখ চারজন

নতুন চার মুখ এনে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ।আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সদস্যদের মধ্য শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক, একজন সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও একজন সদস্য ছাড়া বাকি সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করেছে দলটি।নতুন ঘোষণা দেওয়া ২৮টি সদস্য পদের মধ্যে ২৭ টির মধ্যে নতুন মুখ হিসেবে এসেছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আরাফাত, দীলিপ কুমার চ্যাটার্জি, তারিক সুজাত।এছাড়া আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক হয়েছেন গত কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম।আর গত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন শফিককে কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।বৈঠক শেষে গণভবনের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে আওয়ামী লীগের নতুন নির্বাহী কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষনা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তারা হলেন–আবুল হাসনাত আবদুল্লাহনুরুল ইসলাম ঠান্ডুবিপুল ঘোষদীপংকর তালুকদারআমিনুল আলম মিলনবেগম আখতার জাহানডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী মেরিনা জামান পারভীন জামান কল্পনাঅ্যাড. সফুরা বেগম রুমিঅধ্যাপক মো. আলী আরাফাততারানা হালিম সানজিদা খানমহোসনে আরা লুৎফা ডালিয়াআনোয়ার হোসেনআনিসুর রহমানশাহাবুদ্দিন ফরাজিইকবাল হোসেন অপুগোলাম রব্বানি চিনুমারুফা আক্তার পপিরেমন্ড আরেং গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণাসাঈদ খোকনআজিজুর রহমান ডনসাখাওয়াত হোসেন শফিক দীলিপ কুমার চ্যাট্টাজীতারিক সুজাতপ্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে টানা দশমবারের মতো নতুন সভাপতি শেখ হাসিনা এবং তৃতীয়বারের মতো ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। ওই দিন ৮১ সদস্যের কমিটির মধ্যে ৪৯টি পদে মনোনীত নেতাদের নাম ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নির্বাচিত করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ জানুয়ারি ২০২৩


বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস-ভাঙচুর করবে, সেখানে কি আমরা দাঁড়িয়ে থাকব, ললিপপ খাব? - কাদের

বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস-ভাঙচুর করবে, সেখানে কি আমরা দাঁড়িয়ে থাকব, ললিপপ খাব? - কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ তারিখের মতো আমরা সারাদেশে সতর্ক পাহারায় থাকবো। ওইদিন যেমন ছিলাম একই অবস্থানে থাকবো।বিএনপির পূর্বঘোষিত ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিলের দিন আওয়ামী লীগ সতর্ক পাহারায় থাকবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন,তারা অগ্নিসন্ত্রাস করবে, ভাঙচুর করবে, সেখানে কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকব, ললিপপ খাব?মেট্রোরেলের ভাড়া নিয়ে মোটেও সমস্যা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।মেট্রোরেলের ভাড়া অনেকেই বেশি বলছেন-এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, মোটেও সমস্যা হবে না। রিকশায় উঠলেই ২০ টাকা। তাহলে?

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ ডিসেম্বর ২০২২


রংপুর সিটি নির্বাচনে জামানত হারালেন আ.লীগের মেয়র প্রার্থী

রংপুর সিটি নির্বাচনে জামানত হারালেন আ.লীগের মেয়র প্রার্থী

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা (ডালিয়া) জামানাত হারিয়েছেন। তাঁকে মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হতো। অর্থাৎ তাঁকে অন্তত ৩৪ হাজার ৩৯৩ ভোট পেতে হতো। কিন্তু তিনি পেয়েছেন ২২ হাজার ৩০৬ ভোট।রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবদুল বাতেনের সই করা ভোটার তালিকা থেকে জানা গেছে, মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৬।এই নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নেন মোট ৯ প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মেয়র নির্বাচিত হন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট পেয়ে জামানত টিকিয়ে রেখেছেন। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীসহ সাত প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফাসহ আর যাঁরা জামানত হারিয়েছেন, তাঁরা হলেন বাংলাদেশের কংগ্রেসের আবু রায়হান (১০ হাজার ৫৪৯ ভোট), জাকের পার্টির খোরশেদ আলম (৫ হাজার ৮০৯ ভোট), খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল (২ হাজার ৮৬৪ ভোট), স্বতন্ত্র মেহেদী হাসান (২ হাজার ৬৭৯ ভোট), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র লতিফুর রহমান (৩৩ হাজার ৮৮৩ ভোট) ও জাসদের শফিয়ার রহমান (৫ হাজার ১৫৬ ভোট)।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ ডিসেম্বর ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জানা যাবে আজ

কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জানা যাবে আজ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে— তা নিয়ে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। গত শনিবার জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের নাম ঘোষণা করার পর এ ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, 'যারা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তারাই থাকবেন... ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও দীপু মনি...।'ঘোষণা অনুযায়ী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের আগের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা হাছান মাহমুদ এক নম্বরে চলে আসায় দ্বিতীয় অবস্থানে চলে গেছেন মাহবুবউল আলম হানিফ।শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতাদের নাম প্রকাশ করা হয়, এতে হাছান মাহমুদকে এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তবে এর এক ঘণ্টা পর ওয়েবসাইট থেকে তালিকাটি সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে শুধু শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের নাম রয়েছে। এতে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তির তৈরি হয়। এর আরও এক ঘণ্টা পর পুনরায় পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়। যেখানে এক নম্বরে হাছান মাহমুদের নাম ছিল, কিন্তু আধা ঘণ্টা পর আবারও সেটা উধাও হয়ে যায়।গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওয়েবসাইটে শুধু শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের নাম উল্লেখ ছিল। আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বার বার এই পরিবর্তনের কারণে এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন তা নিয়ে বিভ্রান্তি আরও গভীর হয়েছে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে একটি ধারার কারণে বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, যদি সাধারণ সম্পাদক 'অনুপস্থিত' থাকেন, তাহলে তালিকায় থাকা নামের ক্রম অনুসারে দায়িত্ব যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের ওপর ন্যস্ত হবে।যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। তিনি যা বলেছেন তাতেই সবকিছু ঠিক আছে। ডা. হাছান মাহমুদ এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া বাকি তালিকা একই থাকবে।'ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'একমাত্র শেখ হাসিনাই বিভ্রান্তি দূর করতে পারেন।' প্রেসিডিয়াম বৈঠকের পর বিষয়টি পরিষ্কার করা হবে বলেও জানান তিনি।আজ সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থার নবনির্বাচিত সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। সেখানে কেন্দ্রীয় কমিটির ২৮ সদস্য নির্বাচিত হবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ ডিসেম্বর ২০২২


আওয়ামী লীগের সম্মেলন/ সভাপতি হাসিনা, সাঃ সম্পাদক কাদের

আওয়ামী লীগের সম্মেলন/ সভাপতি হাসিনা, সাঃ সম্পাদক কাদের

আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দলটির বর্তমান সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সাধারণ সম্পাদক পদে টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। এই অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন দলটির নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে।আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক বাক্যে মেনে নেন দলের কাউন্সিলর এবং নেতাকর্মীরা । দু-একবার নিজ থেকে অবসরে যাওয়ার প্রস্তাব তুললেও দলের নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনাকে ছুটি দিতে রাজি হননি। সুতরাং সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনাই থাকছেন—এটা প্রায় নিশ্চিত। এই জন্য এবারও আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মূল আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদটি।এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের টানা তৃতীয় মেয়াদে এই পদে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন।তারা বলছেন, যেহেতু ওবায়দুল কাদের শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন তাকেই আবারও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিতে পারেন শেখ হাসিনা। তাছাড়া আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসাবে তিনি ভালোই করছেন। তিনি এখন পর্যন্ত সফলতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।করোনাকালীন সময়েও ওবায়দুল কাদের দলের প্রতিটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করছেন কখনো স্ব-শরীরে কখনো ভার্চুয়ালি এবং তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের বুদ্ধিভিত্তিক ও দাঁতভাঙ্গা জবাবে তার জুরি নেই। সবকিছু মিলিয়ে তিনিই আগামী সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের দৌড়ে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন বলে জানা গেছে।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বাংলা ওয়্যার কে বলেন, 'সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তনের কোন আভাস আমি দেখছি না কারন গতকাল গণভবনে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ রকম আভাসও পায়নি'এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ওবায়দুল কাদেরের পাশাপাশি দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর কবির নানকের নামও জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। এদিকে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড় ধরনের রদবদল চান না আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি নির্বাচনে বিজয় অর্জনে দলের অভিজ্ঞ ও পুরনো নেতাদের উপরই আস্থা রাখবেন। তবে কয়েকটি পদে নতুন মুখ দেখা যাবে। কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে। সেগুলো আমলে নিয়ে কয়েকটি পদে পরিবর্তন আসবে।বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আওয়ামী লীগ এবার সাদামাটা সম্মেলন করছে। কাউন্সিলের সয়মও কমিয়ে একদিনে আনা হয়েছে। বিদেশি অতিথিদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। থাকছে না ঢাকা জুড়ে আলোকসজ্জা।আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের স্লোগান ঠিক করা হয়েছে, ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’। এ স্লোগান লেখা পোস্টার ছাপার কাজও শেষ হয়েছে।এবার সম্মেলনের মঞ্চ পদ্মা সেতু ও নৌকার ডিজাইনে হচ্ছে। পদ্মা সেতুর ওপরে নৌকার আদলে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ। মঞ্চের আয়তন হবে দৈর্ঘ্যে ৮০ ফুট ও প্রস্থে ৪৪ ফুট এবং উচ্চতা হবে সাত ফুট। মঞ্চে ১২০ জনের বসার চেয়ার রাখা হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য পাশেই আলাদা মঞ্চ থাকবে।দলের কাউন্সিল অধিবেশন পরিচালনার জন্য তিন সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্যরা হলেন ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মশিউর রহমান ও সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।জাতীয় সম্মেলনে অতিথি ও কাউন্সিলর মিলিয়ে লক্ষাধিক লোক উপস্থিতির আয়োজন করা হয়েছে। এবারের সম্মেলনে সারা দেশে দলের ১৫ হাজার কাউন্সিলর ও প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। দুপুরে ৫০ হাজার নেতাকর্মীর খাবারের আয়োজন থাকবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ ডিসেম্বর ২০২২


"দায়িত্ব বদলালেও আ.লীগের সাথেই আছি, আ.লীগের জন্যই কাজ কাজ করবো"

"দায়িত্ব বদলালেও আ.লীগের সাথেই আছি, আ.লীগের জন্যই কাজ কাজ করবো"

দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ দিনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “দায়িত্ব বদলালেও এই দলেই আছি, দলের জন্যই কাজই করবো।”শুক্রবার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কতটুকু সফল হয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “ব্যর্থতা থেকে শিক্ষাও নেবো, যেখানে ভুল আছে আমরা সম্মিলিত ভাবে আমগামীতে চেষ্টাও করবো। কে কোন দায়িত্বে সেটা ব্যপার না। দায়িত্ব বদলালেও তো আমরা এই দলেই আছি। দলের কাজই করবো।”ওবায়দুল কাদের বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন দল, একাধারে ক্ষমতাসীন দল। ক্ষমতাসীন দলে কিছু সমস্যা থাকে। আজ কেউ আছেন, তিনি আবারও থাকতে চাইবেন। আবার নতুন কেউ আকাঙ্খা থাকতে পারে। এখানে দুই আকাংখার মধ্যে একটা সাংঘর্ষিক অনেক সময হযে যায়, সেটাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে একটা প্রতিক্রিয়া থাকে। এই বিষয়টা পৃথিবীর সব দেশেই আছে, আমাদের এখানেও আছে। এসব আছে, ছোট সমস্যা আছে।” নিজেকে মুল্যায়নের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “মুল্যায়ন, কাজ করতে গেলে ভুল ত্রুটি হবেই। আই এম নট পার্ফেক্ট লিডার, আমি মনে করি একেবারে পারফেক্ট হওয়া খুবই সম্ভব না। ভুল ত্রুটি তো থাকবেই। সাফল্য আছে, ভুল ত্রুটিও আছে।“তবে মহামারির জন্য আমরা একটা বছর কাজ করতে পারি নি। এর মধ্যে আমার সহকর্মীরা অনেক সহযোগিতা করেছে, কাজ করেছেন। আমাদের সহযোগী সংগঠন, মহানগর আওয়ামী লীগ কাজ করেছে। আমি মনে করি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি উদযাপন, বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এবারই প্রথম উপজেলা, তৃণমূল পর‌্যায়ে সবচেয়ে বেশি সম্মেলন হয়েছে।” আওয়ামী লীগের প্রতি তরুন ও নারীদের আকর্ষণ বেড়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আওয়ামী লীগ তার স্বকীয় ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রতি তরুনদের আকর্ষণ আগের চেয়েও বেড়েছে, নারীদের আকর্ষন আগের থেকে বেড়েছে। নারীরা আজকে, গ্রামেও দেখবেন আমি আমার এলাকায় দশজন মহিলা পাবলিক মিটিংয়ে দেখি নি, এখন শত শত। এটা সারা বাংলাদেশে। তরুণদের এখন স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতি আকর্ষণ, তরুনরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে।”এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক শামসুর নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য পারভীর জামান কল্পনা, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ ডিসেম্বর ২০২২


ডেলিগেট ও কাউন্সিলর কার্ড বিতরণ শুরু করেছে আ.লীগ

ডেলিগেট ও কাউন্সিলর কার্ড বিতরণ শুরু করেছে আ.লীগ

২২তম জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিলর ও ডেলিগেট কার্ড বিতরণ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে এ কার্ড বিতরণ শুরু হয়।এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও এসএম কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে সারাদেশ থেকে ৭ হাজার কাউন্সিলর এবং লক্ষাধিক ডেলিগেট অংশ নেবেন। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) মঞ্চ সাজ সজ্জা উপ-কমিটির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছিলেন, আমাদের কাউন্সিলে প্রবেশের জন্য ৫টি গেট থাকবে। তার মধ্যে একটি ভিআইপি ও চারটি গেট থাকবে ডেলিগেট ও কাউন্সিলরদের প্রবেশের জন্য।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ ডিসেম্বর ২০২২


বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে যুব মহিলা লীগের নতুন কমিটির শ্রদ্ধা

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে যুব মহিলা লীগের নতুন কমিটির শ্রদ্ধা

যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নতুন নেতৃত্ব। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখার নতুন নেতৃত্ব এ শ্রদ্ধা জানান।বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা শেষে যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারওয়ার ডেইজি সাংবাদিকদের বলেন, আজকে আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করলাম। আমরা আমাদের নেত্রীর সঙ্গে দেখা করব। কিভাবে কমিটি করা হবে সেটা পরবর্তী সবাই মিলে আলোচনা করব। যেটা ভালো হবে সেভাবে আমরা কমিটি করব। আমাদের দেশে নারী ভোটার অনেক বেশি, জামায়াতপন্থী মহিলা গ্রাম গঞ্জের মহিলাদের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে। আমরা আমাদের মেয়েদের নিয়ে আমাদের উন্নয়নকে সবার কাছে তুলে ধরব। তিনি আরও বলেন, যুব মহিলা লীগের জন্ম হয়েছিল দেশের খুবই ক্রান্তিলগ্ন সময়ে, তখনও আমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম নেত্রীকে মুক্ত করে ঘরে ফিরবো, আমরা তাই করেছিলাম। আমরা মাঠে ছিলাম, মাঠে আছি, আগামীতেও মাঠে থাকব। সদ্য নতুন সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি বলেন, আমাকে যে বিশ্বাস করে সাধারণ সম্পাদক করেছেন সেজন্য জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার মাধ্যমে আমরা আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করলাম। খুব দ্রুত সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করার জন্য আমরা চেষ্টা করব।তিনি আরও বলেন, বিগত দিনের মতো রাজপথ যুব মহিলা লীগ থেকে জামায়াত, বিএনপির যে অরাজকতা, তারা যে দেশকে ধ্বংস করার জন্য চেষ্টা করছে, আমরা এ সম্পর্কে সর্তক থাকব। এ সময় যুব মহিলা লীগের সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ ডিসেম্বর ২০২২


যুব মহিলা লীগের সম্মেলন আজ / নাজমা-অপুকে আর দেখতে চায়না নেতাকর্মীরা

যুব মহিলা লীগের সম্মেলন আজ / নাজমা-অপুকে আর দেখতে চায়না নেতাকর্মীরা

আজ ১৫ ডিসেম্বর যুব মহিলা লীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ।এবারের সম্মেলনে সংগঠনটির নেতৃত্বে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করছেন সংগঠন সংশ্লিষ্টরা। ২০০৪ সালের ৫ মার্চ নাজমা আক্তার ও অপু উকিল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবার পর থেকে দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তাদের নেতৃত্বই চলছে সংগঠনটি।দলীয় সুত্র বলছে, এবার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সহযোগী সংগঠনের জন্য নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। দীর্ঘদিন একই নেতৃত্ব থাকায় যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সংগঠন বিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়ছেন।দলীয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় অর্ধেক পদেই পরিবর্তন আসতে পারে। এছাড়া পাপিয়া কান্ডে সংগঠনটি আরও বিতর্কিত হয়ে পড়ে। সেজন্য মার্জিত ও সুসংগঠিত নেতৃত্ব আসবে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।সংগঠনের কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় নেত্রী জানিয়েছেন, এবারের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন-পুরনো মিলিয়ে ভালো একটি কমিটি আসবে। এটাই তাদের প্রত্যাশা। আর যারা মাঠের রাজনীতি করেন, সক্রিয় ও ত্যাগী তাদের মূল্যায়ন হবে বলেও আশা করেন তারা। আবার কমিটিতে জায়গা পেতে অনেকে তদবিরে ব্যস্ত বলেও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।সংগঠনটির বর্তমান সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি বলেন, ‘আমি সভাপতি পদপ্রার্থী, কমিটিতে কোন পরিবর্তন আসবে কিনা বলতে পারিনা এটা একমাত্র শেখ হাসিনা জানেন। তবে আশা করি নতুন নেতৃত্ব আসবে।’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় এক নেত্রী বলেন, ‘যুব মহিলা লীগ মাঠের রাজনীতি করে। এটাকে শক্তিশালী হিসেবে দেখতেই পছন্দ করেন শেখ হাসিনা। কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব আসবে এটাই প্রত্যাশা করি।’বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতির বয়স ৫৫ বছর, সাধারণ সম্পাদকের বয়স ৫০ বছর। এছাড়া অন্যান্য পদেও পঞ্চাশোর্ধ ও পঞ্চাশ বছর বয়সের কাছাকাছি অনেক নেত্রীরা রয়েছেন। যুব মহিলা লীগের গঠনতন্ত্রে কোনো বয়সসীমা উল্লেখ না থাকার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। অনেকের আক্ষেপও রয়েছে। আবার দীর্ঘদিন রাজপথে যারা আন্দোলন-সংগ্রাম, লড়াই করেছেন তারা বঞ্চিত হয়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেউ কেউ। তাই এবার শীর্ষ পদে পরিবর্তনের প্রত্যাশা করেন যুবনেত্রীরা।মাস ছয়েক আগেও অনেকে এ পদের জন্য হাক ডাক দিলেও শেষ পর্যন্ত তারা তেমন আলোচনায় উঠে আসতে পারেনি। জানা গেছে, সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল সভাপতি পদের জন্য জোর চেষ্টা ও তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া সংগঠনের কয়েকজন সভাপতির ও সহ-সভাপতি পদ পাওয়ার জোর দাবি নিয়ে এগোচ্ছেন।এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপু উকিল সভাপতি হলে তার স্থলাভিষিক্ত হতে চান বর্তমান কমিটির কয়েকজন সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সাধারণ সম্পাদকের পদের জন্য আলোচনায় আছেন দুইজন। তারা হলেন— সংগঠনটির সহ-সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের ছোট বোন আফরোজা মনসুর লিপি।এছাড়া বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে শাহনাজ পারভীন ডলি, শারমীন আক্তার নিপা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি ও মাহফুজা রিনাও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ডিসেম্বর ২০২২


'আন্দোলন অনেক হয়েছে, এবার বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নেন'

'আন্দোলন অনেক হয়েছে, এবার বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নেন'

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বিএনপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, পলাতক আসামির কথায় অনেক আন্দোলন করেছেন, এখন বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নেন। শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে সহায়তা করুন। দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ান।‘বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে’ সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে রেডিও কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।হানিফ বলেন, 'বিএনপি নেতারা মনে করেছেন দুয়েকটা জনসভা করে দেশকে পালটায় ফেলবে। তারা বলেছিল, ১০ তারিখের পর শেখ হাসিনা থাকবে না, দেশ চালাবে খালেদা জিয়া। আমি বলতে চাই, জোশে হুঁশ হারাবেন না। শেষে হাত-পা ধরে না মাফ চাইতে হয়।’জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের ঘোষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা না দিয়ে জনসভায় পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া তাদের রাজনৈতিক ‘স্ট্যান্ডবাজি’।এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ থেকে দলটির নির্বাচিত ৭ জন সংসদ সদস্যই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে সংসদ সদস্যরা এই ঘোষণা দেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ ডিসেম্বর ২০২২


পরাজয় কার হলো, আমাদের নাকি বিএনপির : কাদের

পরাজয় কার হলো, আমাদের নাকি বিএনপির : কাদের

নয়াপল্টন ছেড়ে গোলাপবাগে সমাবেশে রাজি হয়ে বিএনপির অর্ধেক পরাজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।‘নয়াপল্টনে সমাবেশ আমরা করবই, এ কথা যারা বলেছে, তারা এখন গোলাপবাগে’—এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পরাজয় কার হলো, আমাদের নাকি বিএনপির। অর্ধেক পরাজয় হয়ে গেছে।‌ তারা পল্টনে সমাবেশ করতে পারেনি।’আজ শুক্রবার বিকেল রাজধানীর গুলিস্তানে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।সমাবেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ রাস্তায় বের হয়েই বুঝতে পারলাম আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। শেখ হাসিনার কর্মীরা আজ প্রস্তুত। রাতে ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়া আর আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের খেলা হবে কাতারে। আর বাংলাদেশে খেলা হবে অপশক্তির বিরুদ্ধে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, দুঃশাসন ও আগুন–সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। সব অপশক্তি বনাম আওয়ামী লীগ এই খেলা হচ্ছে রাজনীতির মাঠে।বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেক ছাড় দিয়েছি। আর ছাড় দেব না। লাঠি নিয়ে এলে, আগুন নিয়ে এলে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। পুলিশের ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ ডিসেম্বর ২০২২


ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরে ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে বললেন  নানক-নাছিম

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরে ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে বললেন নানক-নাছিম

কমিটির দাবিতে সড়ক অবরোধ করা ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরে ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে বলেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। রোববার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক। এর আগে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে কমিটি ঘোষণার দাবিতে রাজধানীর নিউমার্কেট ও সায়েন্স ল্যাব মোড় এলাকায় জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করেন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এ সময় এই তিন নেতার গাড়ি বহরও নেতাকর্মীদের অবরোধের মাঝে পড়ে। পরে কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ‘কমিটি চাই’ ‘কমিটি চাই’ স্লোগান দিয়ে তাদের গাড়ি বহর ঘিরে ধরেন। নেতাকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে একপর্যায়ে গাড়ি থেকে নেমে আসেন জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারা বলেন, ধৈর্য ধরে ক্যাম্পাসে ফিরে যাও। কমিটির বিষয়টি আমরা পরবর্তীতে দেখব। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তোপের মুখে সামনে গাড়ি নিয়ে এগোতে না পেরে হেঁটেই সড়কের সামনে এগিয়ে গাড়িতে ওঠেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২


শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রগতি যেন বিএনপি জামায়াতের গুজব মিথ্যাচারে থমকে না যায় : কর্নেল ফারুক

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রগতি যেন বিএনপি জামায়াতের গুজব মিথ্যাচারে থমকে না যায় : কর্নেল ফারুক

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেছেন, ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশের ভয় দেখাবেন না। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন জানে কিভাবে গণসমাবেশ করতে হয়।শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের টঙ্গী সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত পূর্ব ও পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপি-জামায়াতের দোসররা এদেশের মানুষের অগ্রগতি চায় না উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এভাবে এগিয়ে গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে ২৩তম অর্থনৈতিক দেশ হবে। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হবে।ফারুক খান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ঢাকার কাছাকাছি হওয়ায় এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি জামায়াত দেশব্যাপী যে অসত্য তথ্য দিয়ে গুজব রটানোর চেষ্টা করছে তা আপনাদের বন্ধ করতে হবে। সঠিক তথ্য জানাতে হবে। কোনোভাবেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে অগ্রগতি তা যেন বিএনপি জামায়াতের গুজব, মিথ্যাচারে থমকে না যায়। এছাড়া প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে এখনই ভোট কেন্দ্র কমিটি গঠন করে নির্বাচনে প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান ফারুক খান।এর আগে ২০০৩ সালে সর্বশেষ টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ ডিসেম্বর ২০২২


বিএনপিকে মোকাবিলা করতে পাড়া-মহল্লায় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বললেন কাদের

বিএনপিকে মোকাবিলা করতে পাড়া-মহল্লায় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বললেন কাদের

প্রতিপক্ষকে মোকাবিলায় রাজপথসহ পাড়া-মহল্লায় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। রাজপথ, জনপদ, শহর, গ্রাম, পাড়া-মহল্লা সবখানেই সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুত থাকতে হবে। হামলা হলে পাল্টা হামলা হবে কি না সময়ই বলে দেবে।শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান গতকালও ঢাকার এক ক্যাডারের সঙ্গে কনভারসেশন করেছেন। লন্ডন থেকে বলেছেন, তোমরা রাস্তা ছাড়বে না, শেখ হাসিনা পালানোর পথ খুঁজছে। তার এমপি-মন্ত্রীরাও পালানোর পথ খুঁজছে।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকার সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোহিত উর রহমান শান্তর সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, সদস্য মারুফা আক্তার পপি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মো. শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বাবু, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরুসহ প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ ডিসেম্বর ২০২২


বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, সেটি আমরা হতে দেব না : তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, সেটি আমরা হতে দেব না : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে উপলক্ষ্য করে চট্টগ্রাম জুড়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে, মানুষের মধ্যে সাড়া জেগেছে। আমরা আশা করছি, জনসভায় পলোগ্রান্ড মাঠ পূর্ণ হয়ে বাইরে আরও আট-দশগুণ মানুষ হবে, ইনশাআল্লাহ।শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শন শেষে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জনসভার সার্বিক প্রস্তুতি এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক বলে এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান।হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গতকালও বলেছেন, নয়াপল্টনের সামনেই তাদের জনসভা হবে। আসলে ওদের উদ্দেশ্য জনসভা করা নয়, দেশে একটা গণ্ডগোল লাগানো এবং দেশকে অস্থিতিশীল করা। বিএনপির সুবিধার্থে তাদের আবেদন অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, তারা সেখানে না গিয়ে নয়াপল্টনে জনসভা হবে, এটি বারবার ঘোষণা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে দেশে একটি গণ্ডগোল লাগানো। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশেই তারা এটি বলছে। সরকার দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য কাউকে অনুমতি ও লাইসেন্স দিতে পারে না। তারা তো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, সেটি আমরা হতে দেব না। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড অনেক বড় মাঠ, এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জনসভা করেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও জনসভা করেছেন। কানায় কানায় পূর্ণ জনসভা হয়েছে। অতীতেও মাঠ ছাড়িয়ে মানুষ বাইরে দাঁড়িয়েছে। আমরা যেভাবে সাড়া দেখতে পাচ্ছি, এবার কিন্তু মাঠের তুলনায় আট-দশ গুণ বেশি মানুষ মাঠের বাইরে থাকতে হবে। ক’দিন আগে এখানে বিএনপি জনসভা করেছিল। মাঠের তিন ভাগের একভাগ পেছনে রেখে তারা মঞ্চ বানিয়েছিল। আর সামনে যে মাঠ ছিল তার অর্ধেক পূর্ণ হয়েছিল।জনসভার মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে আওয়ামী লীগ কী বার্তা দিতে চায়?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যেহেতু জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছি, জনগণের সামনে হাজির হওয়া আমাদের দায়িত্ব। দেশ আগে কোথায় ছিল, এখন কোথায় গেছে, আমরা জনগণের জন্য কী করেছি, দেশকে আমরা কোথায় নিয়ে যেতে চাই, এগুলো জনগণের সামনে উপস্থাপন করা আমাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জনগণের নেত্রী, তিনি সেই কথাগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরবেন।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণমানুষের দল, আমরা জনগণের জন্যই কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা গত চৌদ্দ বছরে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছেন। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে উন্নীত হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানকে তো বহু আগেই ছাড়িয়েছে, ভারতেকেও ছাড়িয়ে গেছে। চট্টগ্রামে জনসভার পূর্বে প্রধানমন্ত্রী অনেকগুলো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন করবেন।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি স্লোগান দেয় ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’, বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যাও। অর্থাৎ আবার বাংলাভাই, শাইখ আবদুর রহমানের জমানায় নিয়ে যাও। আবার হাওয়া ভবন ও খোয়াব ভবন সৃষ্টি কর, পাঁচশ’ জায়গায় বোমা ফোটাও, দুর্নীতিতে দেশকে আবার পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বানাও। তাদের স্লোগান অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে পারি না।তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজকে উন্নতির সোপানে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে, আমরা দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে পারি না। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এই জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। তাদের হাতে তো আমরা দেশটা তুলে দিতে পারি না। সেটাও আমরা জনগণের সামনে ব্যাখ্যা দেব।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ ডিসেম্বর ২০২২