আওয়ামী লীগ


রাষ্ট্রপতি হিসাবে আ. লীগ কেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে বেঁছে নিলেন

রাষ্ট্রপতি হিসাবে আ. লীগ কেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে বেঁছে নিলেন

রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় চুপ্পুই হচ্ছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থী হিসেবে তার নাম চূড়ান্ত করেছেন। রোববার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি করার কারণস্বরূপ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি মাঠেই রাজনীতি করতেন। তিনি ছাত্রলীগের জেলার শাখার সভাপতি ছিলেন, তিনি যুবলীগের জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন এবং তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ২০ আগস্ট গ্রেফতার হয়েছিলেন, তিন বছরের বেশি কারাগারে ছিলেন।প্রসঙ্গত, সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৭৫ সালে সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারাবরণ করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা তদন্তে পরবর্তী সময়ে গঠিত কমিশনের প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন তিনি।তিনি ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের মৃত্যুতে খালি থাকা প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান পদে তাকে মনোনীত করা হয়।এজে/

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩


আমি হিরো আলমকে নিয়ে কিছুই বলিনি : ওবায়দুল কাদের

আমি হিরো আলমকে নিয়ে কিছুই বলিনি : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিনি হিরো আলম সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেন নাই, তিনি শুধু বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন।বগুড়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি তাকে (হিরো আলম) কিছুই বলিনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাব দিয়েছি। সে (হিরো আলম) প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচন করেছে। ভালো ভোটও পেয়েছে। তাঁর সম্পর্কে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি যা বলেছি সেটা মির্জা ফখরুলের মন্তব্যের জবাব।’আজ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদের নামাজে জানাজা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।বিএনপি ছেড়ে দেওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হন আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনের আওয়ামী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনের কাছে প্রায় হাজারখানেক ভোটে পরাজিত হন হিরো আলম। জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন হিরো আলম।গত শনিবার বিকেলে কামরঙ্গীচরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘ফখরুল সাহেব বলেন রাষ্ট্রতন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারানো হয়েছে। হায়রে মায়া। হিরো আলমের জন্য এত দরদ উঠল ফখরুলের।ফখরুল সাহেব ভেবেছিল হিরো আলম জিতে যাবে। হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। তারা তো নির্বাচন চায় নাই। হিরো আলমকে বিএনপি দাঁড় করিয়েছে। সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে বিএনপি। অবশেষে ফখরুলের স্বপ্নভঙ্গ।’গত রোববার ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে হিরো আলম বলেন, ‘হিরো আলমের সঙ্গে একটা নির্বাচনে আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ও আপনি দলীয়ভাবে দাঁড়ান। এরপর আপনি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেখেন খেলা হয় কি-না। খেলার জন্য নাকি উনি মাঠে প্লেয়ার খুঁজে পান না!’এজে/

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩


উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৫ শতাংশ, ফখরুলের এই দাবি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন: কাদের

উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৫ শতাংশ, ফখরুলের এই দাবি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন: কাদের

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল বলেছেন, উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৫ শতাংশ, ফখরুলের এই দাবি মিথ্যা ভিত্তিহীন।৩ ফেব্রুয়ারী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বুধবার অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনগুলোয় ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছেন।তিনি বিএনপির এক হিসাব তুলে ধরে বলেন, উপ-নির্বাচনগুলোয় ভোটার উপস্থিতি ৫ শতাংশের বেশি হয়নি। যা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে এ ধরনের নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রচণ্ড শীত ও প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে ভোটাররা ভোট দিতে এসেছিলেন। সবগুলো উপ-নির্বাচনে ২৫ শতাংশের বেশি ভোটাররা ভোট প্রদান করেছেন। এমনকি ঠাকুরগাও-৩ আসনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪৫ শতাংশের মতো। উপ-নির্বাচনে যেহেতু সরকার পরিবর্তনের কোন বিষয় থাকে না সেহেতু জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় এটা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ কম থাকে। স্পষ্টভাবে বলা যায়, জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষ ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোট প্রদান করবে।বিবৃতিতে সাধারণ সম্পাদক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করে। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে দুর্নীতি বিএনপির মজ্জাগত বিষয়।দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তাদের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ছিল উন্নয়ন ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সরকার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যেখানে সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে সেটা বিবেচনায় না নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অর্বাচীনের ন্যায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দায় সরকারের উপর চাপানোর অপচেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, দেশবাসী ভালো করেই জানে, যাদের রাজনৈতিক উত্থান গণবিরোধী পন্থার সিঁড়ি বেয়ে তারা সবসময় গড়যন্ত্রের মাধ্যমে ফায়দা নেওয়ার অপচেষ্টা করবে। হত্যা-ক্যু-গড়যন্ত্রের মাধ্যমে যারা গণতন্ত্রের কফিনে পেরেক ঠুকেছে তাদের মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা শোভা পায় না।তিনি বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে। মানবাধিকার হরণ, সংখ্যালঘু হত্যা, বিরোধী মত দমন বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র; মিথ্যাচার তাদের একমাত্র হাতিয়ার। আন্দোলনে জনগণের সাড়া না পেয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ ষড়যন্ত্রের নীলনকশা সাজাচ্ছে। দেশের জনগণ সেটা বুঝতে পেরেই তাদের আন্দোলনে সাড়া দেয়নি।বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং দুর্নীতি ও জবাবদিহিহীনতার চৌহদ্দি ডিঙ্গিয়ে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বর্তমান সময়কে ধারণ করেই ভবিষ্যতের দিক-নির্দেশনা দেন। তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। একইসাথে এই দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে জাতির সামনে তিনি রূপরেখা তুলে ধরেছেন। ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ'-এর ঘোষণা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশবাসী। ঐক্যবদ্ধ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩


বিএনপির পিপীলিকার মতো জোট ভাঙা নিয়ে আ.লীগের মাথাব্যথা নেই : হানিফ

বিএনপির পিপীলিকার মতো জোট ভাঙা নিয়ে আ.লীগের মাথাব্যথা নেই : হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন যে সরকার নাকি তাদের জোট ভাঙার চেষ্টা করছে। ফখরুল সাহেব, আওয়ামী লীগ দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগের আপনাদের ওই পিপীলিকার মতো জোট ভাঙা নিয়ে মাথাব্যথা নেই। আপনাদের জোট এমনিতেই ভেঙে যাবে, যদি নির্বাচনে না আসেন।আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।সমাবেশে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আজ এখানে বক্তব্য দিতে এসে মনে পড়ে যাচ্ছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কথা। আজ বিএনপি কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে, আইনের শাসনের কথা বলে। কোথায় ছিল আপনাদের মানবাধিকার বোধ ২১ আগস্ট হামলার সময়।’হানিফ বলেন, বিএনপি আন্দোলন আন্দোলন খেলা শুরু করেছে, তারা চায় নির্বাচনের মাধ্যমে না, আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে দেশে ক্ষমতা পরিবর্তনের। কারণ তারা জানে তাদের জনপ্রিয়তা নেই। নির্বাচনে জয়লাভের কোনো সম্ভাবনা নেই বিধায় তারা নির্বাচন চায় না।‘আপনাদের দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে আগামী নির্বাচন, যেটি সংবিধান মেনে হবে, তাতে অংশগ্রহণ করুন। আর না হয় আপনারা অস্তিত্ব সংকটে পড়বেন,’ বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামাতকে প্রতিরোধ করতে এবং আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় নিশ্চিত করতে আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন।’সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘পদযাত্রা করে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করবেন, এ রকম চিন্তা মাথায় আসে কীভাবে? গণঅভ্যুত্থান করবেন, এর মানে জানেন? গণঅভ্যুত্থান একটাই হয়েছিল ৬৯ সালে, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে।’তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় যেতে পারবেন নির্বাচনের মাধ্যমে, নির্বাচনে আসেন, তারপর দেখেন জনগণ ভোট দেয় কি না আপনাদের। উল্টাপাল্টা রাস্তা দিয়ে ক্ষমতায় যাবেন সে উপায় নাই।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জানুয়ারি ২০২৩


বিএনপির আন্দোলনের মরণযাত্রা শুরু হয়েছে : কাদের

বিএনপির আন্দোলনের মরণযাত্রা শুরু হয়েছে : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ,পথ হারিয়ে বিএনপি পদযাত্রা শুরু করেছে। তাদের রাজনীতি ভুলের চোরাগলিতে আটকে গেছে। পদযাত্রা করে উদ্ধার করা যাবে না। তাদের আন্দোলনের মরণযাত্রা শুরু হয়েছে। ডোনাল্ড লু-এর (মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী) ঢাকা সফর শেষে বিএনপি হতাশায় ডুবে গেছে। বিএনপি ভেবেছিলো ডোনাল্ড লু তাদের পক্ষে কথা বলবে, তাদের আশা পূরণ হয়নি। হতাশায় ডুবতে ডুবতে বিএনপি নেতারা হাসপাতালে। শেখ হাসিনা সরকার পালায়নি, আওয়ামী লীগের নেতারা জেলে ছিলো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপি নেতারা দালালি করে জেলের বাইরে ছিলো। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো পালিয়ে যায়নি। ওয়ান ইলেভেনে পালানোর গল্প শুধু বিএনপির আছে। রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে আছে। রিমোট কন্ট্রোলে অদৃশ্য নির্দেশে চলা আন্দোলন করে বাংলাদেশে জয়ী হওয়া যাবে না। তিনি বলেন, মানু‌ষের ম‌নের জোর যখন ক‌মে যায় তখন গলার জোর বে‌ড়ে যায়। বিএন‌পি ও ফখরুলেরও গলার জোর বে‌ড়ে গে‌ছে। আ‌গে সুর ছিল গরম এখন নরম কে‌নো। পথ হা‌রি‌য়ে বিএন‌পি পদযাত্রা শুরু ক‌রে‌ছে। আ‌ন্দোলনের মরণযাত্রা শুরু হ‌য়ে গেছে। ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না আওয়ামী লীগ, তাই বিএনপিকে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আহ্বান জানাই।আওয়ামী লীগের নেতকর্মীদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগে বিভক্তি নয়, শৃঙ্খলা থাকতে হবে। গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনার কানের শ্রবণশক্তি কমে গিয়েছিলো, তাই চিকিৎসার জন্য সাময়িক সময়ের জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন।ফখরুলকে মিথ্যাচার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে আটকাতে কত আয়োজন করেছিলো বিএনপি সেটা ভুলে গেলে চলবে না। ওয়ান ইলেভেনের পালানোর গল্প বিএনপির, মুচলেকা দিয়ে তারা লন্ডন পালিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জানুয়ারি ২০২৩


আন্দোলন করে লাভ নেই, বিএনপিকে হানিফ

আন্দোলন করে লাভ নেই, বিএনপিকে হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘বিএনপির আর আন্দোলন করে লাভ নেই। বিএনপিকে এখনো আহ্বান জানাই, নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনেই ফয়সালা হবে এই দেশ কারা চালাবে।’রবিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এই জনসভার আয়োজন করে।আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল সরকারের পতন হয়ে যাবে। কিন্তু সরকারের পতন হয়নি। বিএনপির পতন হয়েছে। বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দেশের সর্বক্ষেত্রে আজ উন্নয়ন। এ জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি এই রাজশাহীকে অনন্য নগরীতে পরিণত করেছেন। এ জন্য মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনকেও ধন্যবাদ জানাই। ১০ বছর আগে যা ছিল, সেই রাজশাহী এখন আর নেই। কিন্তু বিএনপি উন্নয়ন দেখে না। তারা দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চায়।’নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘আসুন সবাই অঙ্গীকার করি, আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনব। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে।’জনসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় অন্য নেতারা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জানুয়ারি ২০২৩


প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠবো, তবুও পালাবো না - কাদের

প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠবো, তবুও পালাবো না - কাদের

বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের সূত্র ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'পালাবো না, প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠবো।'আজ রোববার দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে আয়োজিত জনসভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজশাহী নগরী ও জেলা ইউনিট এ জনসভার আয়োজন করছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিএনপির মরণযাত্রা হচ্ছে এখন। তারা এখন সরকারকে পালাতে বলে; পালানোর পথ নাকি খুঁজে পাবেন না। ফখরুল সাহেব, পালিয়ে তো আছেন আপনারা। তারেক রহমান আর রাজনীতি করবে না; মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছে লন্ডনে। ৭ বছরের দণ্ডিত পলাতক আসামি আপনাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পালিয়ে যায়, আমরা পালাতে জানি না।''আমরা এই দেশে জন্মেছি, এই দেশে মরবো। পালাবো না। কোথায় পালাবো! পালাবো না, প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠবো। জায়গা দেবেন? না হলে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়ি আছে না! ওই বাড়িতে গিয়ে উঠবো,' বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন কাদের।খেলা হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'বিএনপির এখনো শিক্ষা হয়নি। শিক্ষা হবে যখন আগামী নির্বাচনে আবারও পরাজয়ের মুখ দেখবে।'

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জানুয়ারি ২০২৩


আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে বিএনপিকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না - ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে বিএনপিকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না - ওবায়দুল কাদের

বিএনপির আন্দোলন ও কর্মসূচির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা। খেলা এখনো শুরুই করিনি আমরা, কেবলমাত্র সুচনা করেছি। বিএনপির আন্দোলনের নেতাকর্মী ছাড়া কোনো জনগণ নেই।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে বিএনপিকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না। খেলা যখন শুরু হবে তখন বিএনপির গনজোয়ারের নামে আন্দোলন ভেস্তে যাবে।ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল লালকার্ড দেখাতে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরেছেন। সরকার পতন আন্দোলন, ৫৪ দল, ১০ দফা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সবই ভুয়া।বুধবার ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী উদ্যোগে গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি এখন পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা। খেলা এখনো শুরুই করিনি আমরা, কেবলমাত্র সুচনা করেছি। বিএনপির আন্দোলনের নেতাকর্মী ছাড়া কোনো জনগণ নেই।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে বিএনপিকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না। খেলা যখন শুরু হবে তখন বিএনপির গনজোয়ারের নামে আন্দোলন ভেস্তে যাবে।সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি'র আন্দোলন জোয়ার থেকে ভাটার দিকে যাচ্ছে। ভুয়া জোটের মাধ্যমে গঠন করা বিএনপি ভুয়া, তাদের জনগণ বিশ্বাস করে না। তাদের হাঁকডাক, লোটাকম্বল, মশার কয়েল, ৭ দিন আগ থেকে সমাবেশের প্রস্তুতি সবই ব্যার্থ।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতা লাখো শহীদের রক্ত,মা-বোনেট সম্ভ্রম, বিনিময়ে আশা এক সংগ্রামের নাম। স্বাধীনতা একদিনে আসেনি হাজার বছরের আন্দোলন সংগ্রাম আর লড়াইয়ের মাধ্যমে এসেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৩ বছর সংগ্রাম করে এদেশের স্বাধীনতা এসেছে।বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয় না। এটা গনঅভ্যুত্থানের কর্মসূচি। বিএনপি এসব দিবস পালন করে না। আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে বিএনপির কেনো অন্তর জ্বালা?’ বাকশাল ‍সম্পর্কে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে কাদের বলেন, বাকশাল ছিল জাতীয় দল যেদলে বঙ্গবন্ধুর কাছে জিয়াউর রহমান দরখাস্ত করে সদস্য হয়েছিলো। কৃষক শ্রমিক আন্দোলন করেছিলো, তাদেরকে আপনারা গুলি করে হত্যা করেছিলেন। কৃষক শ্রমিককে বিএনপির পছন্দ নয়। দেশের উন্নয়নের জ্বালায় জ্বলছে বিএনপি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ জানুয়ারি ২০২৩


সর্বাধিক পঠিত

বিএনপি  আমাদের বিশ্ব দরবারে কলঙ্কিত ও অসম্মানিত করেছিল : নাছিম

বিএনপি আমাদের বিশ্ব দরবারে কলঙ্কিত ও অসম্মানিত করেছিল : নাছিম

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, আজ যারা দেশে দুর্নীতির কথা বলে তারা পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এরাই বিশ্ব দরবারে আমাদের কলঙ্কিত ও অসম্মানিত করেছিল। শেখ হাসিনার অনন্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে সম্মানিত। শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার। এ সরকার উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ২৫ বছর আগের বাংলাদেশের সঙ্গে বর্তমান বাংলাদেশের তুলনা করার কোনো সুযোগ নেই।রোববার (২২ জানুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও তার সহধর্মিণী ডা. সুলতানা শামিমা চৌধুরী রিতাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় দেশের মানুষের কথা ভাবতেন। তিনি ৭ কোটি বাঙালির মুক্তির জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত করার জন্য যতদিন বেঁচে ছিলেন, কাজ করেছেন। তিনি কৃষি শিক্ষা ও কৃষি বিজ্ঞান শিক্ষায় দেশের মেধাবীদের আকৃষ্ট করে সম্মানিত করেছেন। যার কারণে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা কৃষি শিক্ষায় আগ্রহী হয়েছে।কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি কৃষিবিদ ড. আব্দুস সাদেকের স্বাগত ভাষণের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অস্ট্রেলিয়ার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ হোসেন বিপু।অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার, জাতীয় চার নেতাসহ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহীদদের এবং প্রয়াত কৃষিবিদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বাহাউদ্দিন নাছিম অস্ট্রেলিয়া কেআইবির কর্মকর্তাদের এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কেআইবির লাইফ মেম্বার কৃষিবিদ মনোয়ার হোসেন, কৃষিবিদ আনোয়ারুল ইসলাম বকশী, কৃষিবিদ রনি, কেআইবি অস্ট্রেলিয়ার কার্যকরী সদস্য কৃষিবিদ নির্মল পাল, কৃষিবিদ ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ ও কৃষিবিদ আব্দুল জলিল। অতিথিদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন এমিরিটাস অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, ড. সিরাজুল হক, প্রকৌশলী আব্দুল মতিন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক গামা আব্দুল কাদেরসহ অন্যান্য অতিথিরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জানুয়ারি ২০২৩


আ.লীগের উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ও কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন যারা

আ.লীগের উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ও কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন যারা

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন বিভাগীয় উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ও কো-চেয়ারম্যান মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা গঠনতন্ত্রের ২৫(৬) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অর্পিত ক্ষমতাবলে এই মনোনয়ন দেন।রোববার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।উপ কমিটিতে মনোনীত নেতারা হলেন-অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ড. মসিউর রহমান, কো-চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, আইনবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান কৃষিবিদ ড. মির্জা জলিল। তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর সাইদুর রহমান খান, কো-চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম, দপ্তর উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. অনুপম সেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান একেএম রহমত উল্লাহ, কো-চেয়ারম্যান চৌধুরী খালেকুজ্জামান।ধর্মবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন খন্দকার গোলাম মওলা নকশবন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, কো-চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সাদেকা হালিম, বন ও পরিবেশবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর খন্দকার বজলুল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুর, মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সুলতানা শফি, কো-চেয়ারম্যান মাজেদা রফিকুন্নেছা। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রশিদুল আলম, যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন পল্টু, কো-চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ।শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাহিদ, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দীন আহমদ, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আব্দুল হাফিজ মল্লিক পি.এস.সি (অব.), কো-চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সিরাজ, সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. আফম রুহুল হক এমপি।গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগীয় উপ-কমিটি হয়। তাতে চেয়ারম্যান ও কো-চেয়ারম্যান মনোনয়ন দেন শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সম্পাদক সেই কমিটির সদস্য সচিব। বাকি ৩৩ সদস্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞ ও সাবেক ছাত্রনেতাদের থেকে মনোনীত করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জানুয়ারি ২০২৩


মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তিকারী জাহাঙ্গীরকে শর্ত সাপেক্ষে ক্ষমা করলো আ.লীগ

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তিকারী জাহাঙ্গীরকে শর্ত সাপেক্ষে ক্ষমা করলো আ.লীগ

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বহিষ্কৃত মেয়র এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে আওয়ামী লীগ।গত ১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তাকে ক্ষমা করা হয়। সেই চিঠিটি (২১ জানুয়ারি) হাতে পায় বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত জাহাঙ্গীরকে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য এর আগে আপনাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার/অব্যাহতি প্রদান করা হয়।’‘আপনার বিরুদ্ধে আনিত সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ স্বীকার করে আপনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কোনো কার্যকলাপে সম্পৃক্ত হবেন না মর্মে লিখিত অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।’‘এ অবস্থায়, গত ১৭ ডিসেম্বর গণভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৭(৬) এবং ৪৭(২) ধারা মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনা করে আপনার প্রেরিত লিখিত আবেদন পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে আপনার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করা হলো।’‘ভবিষ্যতে কোনো প্রকার সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে, তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।’আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আগে অনুষ্ঠিত জাতীয় কমিটির সভায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে অব্যাহতিপ্রাপ্তদের ক্ষমা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক দলের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠিতে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জাহাঙ্গীর আলমের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই অডিওতে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ লোক শহীদ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে শোনা যায় জাহাঙ্গীর আলমকে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৯ নভেম্বর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে বেশকিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ নভেম্বর তাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জানুয়ারি ২০২৩


আমাদের গণতন্ত্র আমরাই চালাবো বিদেশি কারও ফরমায়েশে চলবে না- কাদের

আমাদের গণতন্ত্র আমরাই চালাবো বিদেশি কারও ফরমায়েশে চলবে না- কাদের

আমাদের (বাংলাদেশের) গণতন্ত্র আমরাই চালাবো। বিদেশি কারও ফরমায়েশে চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, গণতন্ত্র নষ্টকারী বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের বুলি শোভা পায় না। শত বাধা-বিপত্তির মধ্যেও শেখ হাসিনা গণতন্ত্র বিকাশে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের প্রধান কার্যালয়ে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে মৃত ইস্যু উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন হবে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশীদারত্বমূলক। সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।সরকারের পরিবর্তন চাইলে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আরও বলেন, যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকা আওয়ামী লীগের সাত দশকের ইতিহাস। এটাই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, কিন্তু বার বার হত্যার রাজনীতির শিকার হয়। এটাই বাস্তবতা। আজ বিএনপি কখন যে কী বলে! তাদের ভেতরে গণতন্ত্র নেই। সম্মেলন হয় না কতদিন তাদের। নিজেরাই কমিটি দেয়। তারা কীভাবে গণতন্ত্র শেখাবে আওয়ামী লীগকে?তিনি বলেন, বিএনপির আমলে ভোটচুরির রেকর্ড হয়েছে। এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল, ওয়ান ইলেভেনের জন্য এটা অন্যতম কারণ। তারা গণতন্ত্রের বস্ত্রহরণ করেছে। তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি মানায় না। এ দেশে গণতন্ত্রের যত অর্জন, ৭৫ পরবর্তী গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে তার অগ্রভাগে ছিলেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জানুয়ারি ২০২৩


নির্বাচন পর্যন্ত গণসংযোগ ও শান্তি সমাবেশ করবে আ. লীগ : কাদের

নির্বাচন পর্যন্ত গণসংযোগ ও শান্তি সমাবেশ করবে আ. লীগ : কাদের

গণতন্ত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক আগেই শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। বিএনপির নতুন করে গণতন্ত্র উদ্ধার করার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেতুভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জঙ্গিবাদ আপাতদৃষ্টিতে নিষ্ক্রিয় মনে হলেও বিএনপি তলে তলে সক্রিয়। তারা বড় ধরনের হামলা ও নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে।কাদের বলেন, জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে এবং থাকবে। নির্বাচন পর্যন্ত গণসংযোগ ও শান্তি সমাবেশ করবে।তিনি বলেন, গণতন্ত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক আগেই শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। বিএনপির নতুন করে গণতন্ত্র উদ্ধার করার প্রয়োজন নেই।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয় না। আওয়ামী লীগ অবিরাম কর্মসূচিতে আছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বিএনপির সঙ্গে সংঘাত করার কোনো ইচ্ছা আওয়ামী লীগের নেই।এজে/

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জানুয়ারি ২০২৩


সেন্টমার্টিনে বীচ ক্লিনিং কর্মসূচী করেছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ

সেন্টমার্টিনে বীচ ক্লিনিং কর্মসূচী করেছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্য নিয়ে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকতে বীচ ক্লিনিং কর্মসূচী পালন করেছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ।বুধবার সকালে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উদ্যোগে সেন্টমার্টিন দ্বীপের উত্তর পশ্চিম সমুদ্র সৈকতে এ কর্মসূচী করে।এসময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইন বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশের প্রতিটি জনপদ ও পর্যটন স্পটসমূহ পরিপাটি ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের ইউনিয়ন সেন্টমার্টিন থেকে আমাদের এই কর্মসূচী শুরু করি। ধাপে ধাপে কক্সবাজারের প্রতিটি ইউনিয়নে আমাদের এ কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।”এসময় টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল আলম মুন্না বলেন, “কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইন ভাইয়ের নির্দেশে দেশী বিদেশি পর্যটকদের কাছে আমাদের কক্সবাজারকে আরো আকর্ষিত করে তুলতে আমাদের এ উদ্যোগ।”জেলা ছাত্রলীগ নেতা মঈন উদ্দিন জনি, মুরাদ মাহমুদ চৌধুরী, মোঃ মুবিন, রফিক উল্লাহ, টেকনাফ পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম বাবলু,পৌর ছাত্রলীগ নেতা কেফায়েত উল্লাহ,সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আবদুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান সহ টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জানুয়ারি ২০২৩


জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের হিংস্র থাবা দৃশ্যমান হচ্ছে : কাদের

জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের হিংস্র থাবা দৃশ্যমান হচ্ছে : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের হিংস্র থাবা দৃশ্যমান হচ্ছে। তাদেরকে যেকোন মূল্যে রুখতে হবে। তিনি বলেন, এই অপশক্তিকে রুখতে হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।আজ বুধবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন আয়োজিত লোকজ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল-আব্বাস সাহেবরা আন্দোলনের ডাক দিয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যায়। এই অসুস্থতা কি রাজনৈতিক অসুস্থতা নয়? কেন আন্দোলনের ডাক দিয়ে তারা হাসপাতালে যায়? অসুস্থ রাজনীতি করতে করতে ফখরুল সাহেবরা অসুস্থ হয়ে গেছেন। বিএনপির সঙ্গে আমাদের কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নেই। আমরা ক্ষমতায় আছি, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই, কোনো ধরনের অশান্তি আমরা চাই না। বিশেষ কোনো দিনে নয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা প্রতিদিনই সতর্ক অবস্থানে আছি, এটাই আমাদের কর্মসূচি।বিএনপির চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যা করণীয় তাই করা হবে। এখানে কোনো আপস নেই। মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রশ্নে কোনো আপস নেই। যারা এর বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, তাদের আমরা প্রতিরোধ করবো।অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে মেলায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী হাসেম খান, স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব আবুল মনসুর, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক এস এম রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত মো: শহীদ বাদলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।এজে/

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জানুয়ারি ২০২৩


আওয়ামী লীগ কোটি টাকা দিয়ে রাজনীতি করে না : মতিয়া চৌধুরী

আওয়ামী লীগ কোটি টাকা দিয়ে রাজনীতি করে না : মতিয়া চৌধুরী

জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোটি টাকা দিয়ে রাজনীতি করে না। সবাই হালাল রুজিতে, পরিশ্রম করে চলে এবং পার্টি করে। দলকে দিন দিন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মা বোনেরা যদি উৎসাহ না দেন, বাড়িতে তারা সহযোগী না হলে আমার ভাইয়েরা, চাচারা কি শান্তিতে রাজনীতি করতে পারবেন? কাজেই মা বোনদেরও সালাম জানাই। শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাই।বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে লালবাগ শহীদ নগর খেলার মাঠে কম্বল বিতরণ কর্মসূচির অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা আছে সেটা না, আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে থাকে তখনও তারা জনগণ থেকে দূরে সরে যায় না। সামর্থ্য অনুযায়ী তারা জনগণের মাঝে থাকে। শুধু রিলিফের সময় তা নয়, রোজা বলেন, ঈদ বলেন, সব সময় তারা তাদের ছোট উপহারের ব্যবস্থা করেন। আজকের এই কম্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার। তিনি আরও বলেন, রসূলে পাক দান খয়রাতের উৎসাহ করেছেন। একদিকে রসূলে পাকের শিক্ষা, অন্যদিকে মানবতার শিক্ষা, সব মিলে জনগণের সেবা করা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ সেটাই গ্রহণ করেছে।সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও মোবারকবাদ জানিয়ে সংসদ উপনেতা বলেন, আপনারা দোয়া করবনে আরও যেন তৌফিক দেয় বঙ্গবন্ধুকন্যারে, আমরা সবাই মিলে দেশটাকে একে অপরের সাহায্য করতে পারি। সহযোগিতা করতে পারি এবং হাতে হাত ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মো. জামিল হোসেনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকতার হোসেন।অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু, লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান জামাল প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জানুয়ারি ২০২৩


হতাশার জোট দিয়ে হাসিনাকে হটানো দূরাশার বানী : কাদের

হতাশার জোট দিয়ে হাসিনাকে হটানো দূরাশার বানী : কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এ পর্যন্ত তাদের আন্দোলনে নদীর ঢেউও তুলতে পারেনি তারা কিভাবে সুনামি নামিয়ে সরকার হটাবে। তিনি বলেন, হতাশায় বিএনপি'র জোটের বাজার ভেঙে যাচ্ছে, এ হতাশার জোট দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে হটানো দূরাশার বানী।মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।কাদের বলেন, “আসল নেতাগুলো হাসপাতালে পাতিনেতারা বলছে সুনামি নামিয়ে সরকার হটাবে। আন্দোলনের সাগরের উত্তাল তুলে নদীর ঢেউও তুলতে পারলো না। আসলে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা শুনে বিএনপি অসুস্থ হয়ে গেছে। বিএনপি'র হতাশা থেকে অসুস্থতার শুরু হয়েছে। ৫৪ দলের ৫৪ মতে বিভক্ত।”আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারের পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসুন। সরকার নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাবে না নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া কোথাও নেই, অহেতুক তত্ত্বাবধায়কের কথা ভুলে যান, আইন দ্বারা ঘঠিত নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ প্রশ্নই আসেনা।কাদের বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের টাকা আসে কোথা থেকে সেটা আমরা জানি, যারা শেখ হাসিনা সরকারকে হটানো জন্য টাকা দিচ্ছে তাদের খবর আছে।’ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি বেনজির আহমেদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল,সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।এজে/

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জানুয়ারি ২০২৩


গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

গুরুদাসপুর (নাটোর)প্রতিনিধি- নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা ও সকল অঙ্গসংগঠনের উদ্দোগে কেন্দ্রিয় কর্ম সূচির অংশ হিসাবে ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।আজ সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলার পৌর সদরের শাহ পাড়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূনরায় শাহপাড়া মোড়ে এসে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলহাজ ওমর আলী শেখ। প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্হিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আাব্দুল আজিজ। সমাবেশটি পড়িচালনা করেন গুরুদাসপুর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম শেখ।প্রধান অতিথির বক্তব্যবে আব্দুল আজিজ বলেন,আওয়ামীলীগ সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে আছে।তাই সাধারন মানুষের কথা তিনারা ভাবেন না। তিনারা ভাবেন তাদের দলিয় লোকদের কথা। নিত্যপন্য দ্রব্য চাল,তেল, ডাল সহ সকল পন্যর দাম আকাশ ছোয়া।তার সাথে আবার যোগ হয়েছে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এট এ দেশের জনগন মেনে নেবে না।বিএনপি ১০ দফা দিয়েছে এটা সরকারকে মানতে বাধ্য করা হবে। এই সরকারে অধিনে কোন দল নির্বাচনে জাবে না। আমাদের দাবি মেনে নির্বাচন কালীন সরকার গঠন করে আগামী নির্বাচন হতে হবে। যতদিন সরকার আমাদের দাবি না মানবে রাজপথ থেকে আমরা ঘরে ফিরে জাবো না। এই সরকারের অধিনে এ দেশে আর কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। অবিলম্বে বিদ্যুতের দাম কমাতে হবে। এই সরকার দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। দেশের মানুষকে মুক্ত করাই আমাদের লক্ষ।সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্হিত ছিলেন,মশিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক,ধারাবাড়িষা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান হেনা,সম্পাদক শাহীন কাওছার,চাপিলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজি রেজাউল করিম,বিয়াঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম,খুবজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দোরাপ সরকার। এছাড়া বিএনপি নেতা দোলাল শেখ বজলুর রশিদ ছাড়াও যুবদল,ছাত্রদল সেচ্ছাসেবকদল প্রমূখ।০১৭১৩৭০৯৮৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ জানুয়ারি ২০২৩


অসুস্থ রাজনীতি করে বিএনপি নেতারা অসুস্থ হয়ে গেছে - কাদের

অসুস্থ রাজনীতি করে বিএনপি নেতারা অসুস্থ হয়ে গেছে - কাদের

অসুস্থ রাজনীতি করে নেতাদের পাশাপাশি দলও অসুস্থ হয়ে গেছে তাই বিএনপিকে হাসপাতালে পাঠানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, পদ্মা সেতু মেট্রোরেল টানেল সহ উন্নয়নের একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়নে বিএনপি চোখে শর্ষে ফুল দেখছে কারণ তারা এসব উন্নয়ন কখনোই দেখাতে পারেনি।খাদ্য দেশ সয়ং সম্পুর্ণ তাদের মনে জ্বালা। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শত শত সেতু তাদের জ্বালা সামনে ৩১ কিলোমিটার আরেকটি মেট্রোরেল হবে এবং পাতাল রেলের উদ্বোধন হবে।২০৩০ সালের মধ্যে ৬ টি এমআরটি লাইন গড়ে তোলে ঢাকার আশপাশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। এসময় সেতু মন্ত্রী , মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে বলেন তার সাথে মতবিনিময় হয়েছে এবং নির্বাচন নিয়েও কথা তাঁকে বলা হয়েছে ত্রুটিমুক্ত নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার কথা। বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশে ভেসে আসা দল নয়,এদল শেকড়ের অনেক গভীরের দল। সরকার পতন করবেন শেখ হাসিনাকে হটাবেন বাংলার মানুষ চুপ করে বসে থাকবেন না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ জানুয়ারি ২০২৩


বিএনপিকে সারা বছর দেখা যায় না, শুধু নির্বাচন আসলে দেখা যায় : হাছান মাহমুদ

বিএনপিকে সারা বছর দেখা যায় না, শুধু নির্বাচন আসলে দেখা যায় : হাছান মাহমুদ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিকেও সারা বছর দেখা যায় না, শুধু নির্বাচন আসলে দেখা যায়। নেতারা চাঁদা কালেকশন করে, নমিনেশন বাণিজ্য করে আর মোটাতাজা হয়, আর কিছু সমুদ্রের ঐ পারে পাঠিয়ে দেয়, তিনিও মোটাতাজা হন। এই হচ্ছে বিএনপি। সারা বছর খবর নাই।’ ‘বিএনপি হচ্ছে শীতের পাখি। শীতকালে যেমন সাইবেরিয়া ও হিমালয় থেকে পাখি আসে, ধান খায়, বিলের মধ্যে মাছ খায়, মোটাতাজা হয়ে আবার উড়ে চলে যায়।তিনি বলেন, ‘তারা শীতের পাখির মতো ভোটের সময় আসে, চাঁদা কালেকশন-মনোনয়ন বাণিজ্য করে আবার চলে যায়। সুতরাং তারা যদি আসে তাদেরকে বলতে হবে- মেহমান এসেছেন ঘরের মধ্যে যান, ভোট দিতে পারব না।’হাছান মাহমুদ আজ রোববার দুপুরে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে ফাইভ স্টার মাঠে ‘নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি ২০২৩’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।এছাড়াও আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় যোগ দেন। রংপুর বিভাগের সকল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন তারা।হাছান মাহমুদ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে বেশি শীত সে কারণে আমাদের নেত্রীর নির্দেশে অন্য কাজ বাদ দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আমরা এখানে এসেছি। এখানে বিএনপিকে দেখা যায় নাই। মির্জা ফখরুল সাহেবরা এবারে উত্তরবঙ্গ, ঠাকুরগাঁওয়ে একটি কম্বলও বিতরণ করে নাই। করোনার সময়ও তাদের দেখা যায় নাই। পঞ্চগড়ে নৌকাডুবি হয়েছে, বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সেখানে গিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করেছি।’তিনি বলেন, দুর্যোগে মানুষের পাশে কখনো বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না।রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ শীতে কষ্ট পাক সেটি আমাদের নেত্রী চান না বিধায় ইতিমধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ লাখ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং আমাদের দলের পক্ষ থেকেও সমগ্র বাংলাদেশে প্রত্যেক উপজেলায়, প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় হাজার হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে’।উপস্থিত জনতা ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আজকে যারা এখানে এসেছেন আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাবো যে, নির্বাচন বেশি দূরে নাই। আজকে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এসেছি নৌকা মার্কার পক্ষ থেকে এসেছি, শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এসেছি। ’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ জানুয়ারি ২০২৩