আওয়ামী লীগ


১০ বছরেও তৃতীয় বর্ষের গণ্ডি পার হতে পারেননি তিলোত্তমা

১০ বছরেও তৃতীয় বর্ষের গণ্ডি পার হতে পারেননি তিলোত্তমা

২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগে ভর্তি হয়ে এখন পর্যন্ত তৃতীয় বর্ষের গণ্ডি পার হতে পারেননি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও ঢাবির সিনেট সদস্য তিলোত্তমা শিকদার।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থীরাই ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের প্রথম ব্যাচ। এক বছরের সেশনজটসহ এই ব্যাচের নিয়মিত অনার্স শেষ হয় ২০১৮ সালে। তিলোত্তমা শিকদার সেই ব্যাচের সাথে সর্বশেষ ২০১৬ সালে তৃতীয় বর্ষের পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু পঞ্চম সেমিস্টারের রেজাল্ট শিটে তার নাম না আসায় তিনি ষষ্ঠ সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি।এই বিষয়ে বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতি ইয়ারের দুই সেমিস্টারের কোনো কোর্সে ফেল গিয়েও যদি কারো গড় সিজিপিএ ২.২৫ এর উপরে হয় তাহলে সে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারবে। আর যেগুলোতে সে ফেল করেছে পরবর্তী দুইটি ব্যাচের সাথে সেই কোর্সগুলোর ইম্প্রুভমেন্ট দিতে পারবে। আর যদি দুইটা ব্যাচ ওভার করে ফেলে তাহলে তাকে স্পেশাল পারমিশন নিয়ে সেই কোর্সের পরীক্ষা দিতে হবে। তিনি বলেন, তার (তিলোত্তমা) প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের গড় সিজিপিএ ২.২৫ এর উপরে না আসায় তার নাম রেজাল্ট শিটে আসেনি। আর তার প্রথম সেমিস্টারের একটি, দ্বিতীয় সেমিস্টারের দুইটি আর চতুর্থ সেমিস্টারে একটি কোর্সে ফেল আছে। সুতরাং গড় সিজিপিএ ২.২৫ এর উপরে না আসার এটাও একটা কারণ হতে পারে। এখন তিনি যদি চতুর্থ বর্ষে উত্তীর্ণ হতে চায় তাহলে তাকে আগের বাকি থাকা চার কোর্সের মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে হবে। এসব পরীক্ষা দিয়ে সেসব পরীক্ষার রেজাল্ট মিলিয়ে যদি তার সিজিপিএ ২.২৫ এর উপরে হয় তাহলে তিনি চতুর্থ বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারবেন। আট সেমিস্টারের সব কোর্সের মধ্যে যদি একটা কোর্সেও কোনো শিক্ষার্থী ফেল করেন। সেই কোর্সে পাস না করা অবদি কেউ অনার্স পাস করতে পারবে না।এর মধ্যে তিলোত্তমা শিকদার ২০১৯ সালে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে সদস্য পদে ডাকসু নির্বাচন করে নির্বাচিত হন। এরপর জুন মাসে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে ভিসি অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামান তাকে সিনেট সদস্য পদে মনোনয়ন দেন। এই সময়ে অনুষ্ঠিত সিনেটের বিভিন্ন অধিবেশনে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।এ বিষয়ে তিলোত্তমা শিকদার বলেন, রোল না আসায় আমি থার্ড ইয়ারের চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে পারিনি। রোল না আসার কারণ হলো, আমার সিজিপিএ ২.২৫ এর উপরে ছিল না। আমি সে সময় কয়েকটি কোর্সে ফেল করেছিলাম। তবে এখন আমিসহ একই সেশনের আরো কয়েকটি বিভাগের মোট ছয়জন পরীক্ষা দেয়ার স্পেশাল অনুমোদন পেয়েছি।এ ব্যাপারে বিভাগের ওই কর্মকর্তা বলেন, তার আবেদন ইম্প্রুভ হয়েছে। এখন তার এই পরীক্ষাগুলো কবে নেয়া হবে সেটি বিভাগের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে এটা ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তিলোত্তমা বলেন, আসলে ব্যাপারটা হলো দীর্ঘ দিন ধরে আমি রাজনীতি করছি। ২০১৩ সালে হলের সেক্রেটারি হওয়ার পর থেকে নিজের জন্যে একটা দিনও ব্যায় করিনি। সামনে সম্মেলন চলে আসছে। তাই এখন আমার ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করার উদ্দেশ্যেই অনেকে এগুলো করছে। আরো তো অনেকেই এমন আছে, তাদের নিয়ে তো কেউ কিছু বলছে না। আমাকে মানসিক চাপে রেখে, চরিত্র হননের উদ্দেশ্য ছাড়া আর এটা কিছু না।সুত্রঃ নয়া দিগন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ ডিসেম্বর ২০২২


ছাত্রলীগের সনজিত-সাদ্দামের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ

ছাত্রলীগের সনজিত-সাদ্দামের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির মেয়াদ এক বছর। কিন্তু সেই কমিটি চলেছে চার বছরের বেশি সময় ধরে। তবে কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়েছে মেয়াদ শেষের দুই মাস আগে। আর হল কমিটি হয়েছে মেয়াদ শেষ হওয়ার আড়াই বছর পর। সেই কমিটিতে স্থান পেয়েছে চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত, ছাত্র নির্যাতনকারী, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের দায়ে বহিষ্কৃত এবং মাদকসেবীরা। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কমিটির মেয়াদকালে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলা, হলে শিক্ষার্থী নির্যাতন এবং ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।২০১৮ সালের জুলাই মাসে দায়িত্বে আসা সনজিত-সাদ্দাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এক বছরের মধ্যে করলেও হল সম্মেলন করেন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। দীর্ঘ এই সময়ে ঝরে যায় অসংখ্য নেতাকর্মী। তবে হল কমিটি হওয়ার প্রায় ৮ মাস পর হয় হলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এসব কমিটিতে প্রায় অর্ধশত বিতর্কিতদেরকে পদায়ন হয়েছে।২০১৭ সালে ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থী এহসান রফিক নির্যাতনে বহিষ্কৃত আহসান উল্লাহকে সিনিয়র সহসভাপতি, ফারদিন আহমেদ মুগ্ধকে ৩ নম্বর সহসভাপতি, সামিউল ইসলাম সামিকে ৪ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং রুহুল আমিন বেপারিকে ৫ নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। বিজয় একাত্তর হলে সহ-সভাপতি পদ পেয়েছেন আয়ান হোসেন জজ। যার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে ছিনতাই মামলা রয়েছে। ছিনতাই মামলার আসামি তুষার হোসেন পান সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদ।২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন শেখ মারুফ হোসেন সুজন। সূর্যসেন হলের ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাকে দেওয়া হয়েছে সহ-সভাপতির পদ। একই হল থেকে সহসভাপতির পদ পেয়েছেন মাহমুদ অর্পণ; যার বিরুদ্ধে নারী ও ছেলে শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার হন তিনি। এমন প্রায় অর্ধশত ব্যক্তিকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদ দেওয়া হয়েছে।জানা যায়, হল কমিটি গঠনের ৮ মাস পর পূর্ণাঙ্গ করা হলেও সেখানে পেয়েছে এলাকার প্রাধান্য। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ কয়েকজন নেতৃত্ব যুগান্তরকে জানান, হল কমিটি গঠনের সময় কেন্দ্রীয় দুই শীর্ষ নেতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শীর্ষ নেতার অনুসারীরাই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করেন। এদের মধ্যে একমাত্র সনজিত ছাড়া অন্য তিন নেতা বিভিন্ন অঞ্চলের সক্রিয়দেরকে দায়িত্ব প্রদান করেন। একমাত্র সনজিত চন্দ্র দাস ১৮ হলের ৮ জনকে ময়মনসিংহ থেকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এছাড়া অধিকাংশ হলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে ময়মনসিংহের শিক্ষার্থীদেরকে পদায়ন করার জন্য সনজিত চন্দ্র দাস কমিটি আটকে রাখেন।বিভিন্ন হল সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি হলে ময়মনসিংহের বড় একটা অংশের শিক্ষার্থীকে কমিটিতে পদায়ন করা হয়েছে। তাদেরকে হল কমিটিতে না রাখলে সনজিত চন্দ্র দাস কমিটির অনুমোদন দিতেন না। সূত্র জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স কমিটির সময় হলগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হতো। তবে সনজিত-সাদ্দামের ৪ বছরের কমিটিতে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। স্টুডেন্ট এগেইনেস্ট টর্চারের হিসাবমতে, গত চার বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করেছে। গত এক বছরে এ ঘটনা সবচেয়ে বেশি। অধিকাংশ নির্যাতনকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী।বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর ও ছাত্রলীগ নেতাদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, সনজিত-সাদ্দামের সময়ে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে হামলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পহেলা বৈশাখী কনসার্ট, কনসার্ট ফর অয়ন, কাওয়ালিসহ বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে টিএসসিতে কাওয়ালি গানের আসরে হামলা হয়। এর আগে গত বছরের মার্চ মাসে শহিদ মিনারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা বিদেশি অতিথিদের আগমনকে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠানে ঢাবি ও মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অনুষ্ঠানের সাউন্ড সিস্টেম ভাঙা হয়। ওই হামলার জন্যও অভিযোগের তির সাদ্দাম ও তার অনুসারীদের দিকে। অন্যদিকে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তুচ্ছ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকে সনজিত চন্দ্র দাসের উপস্থিতিতে মারধর করা হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভবনের ভেতরে হামলার শিকার হন তৎকালীন ভিপি নুরুল হক নূর ও তার অনুসারীরা। এ ঘটনায় সনজিত চন্দ্র দাস ও সাদ্দাম হোসাইনসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসাইন। এছাড়া বিগত কয়েক দিনে একের পর এক ইনস্টিটিউট, অনুষদের কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সম্মেলনের মাধ্যমে এসব কমিটির বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা করা হয়নি।এদিকে দায়িত্ব পালনকালে সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে সনজিত চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে। চার বছরের বড় একটা সময় অসুস্থতাসহ নানা কারণ দেখিয়ে বাড়িতে কাটিয়েছেন তিনি।জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস যুগান্তরকে বলেন, মানুষ তো অসুস্থ থাকতেই পারে। এতে আমার কোনো হাত নেই। তবে আমি সব সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলাম। মূলত আমরা যারা মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অপপ্রচার থাকবেই।কমিটিতে বিতর্কিতদের পদায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, করোনার কারণে আমাদের কমিটি করতে একটু সময় নিতে হয়েছে এটা সত্য কথা। তবে আমাদের কমিটিতে কোনো বিতর্কিতদের পদায়ন করা হয়নি। যেসব জায়গায় আমাদের সমস্যা মনে হয়েছে সেখানে আমরা গোয়েন্দা সাহায্য নিয়ে তথ্য যাচাই-বাছাই করেছি।ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলা করার বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বলেন, শিক্ষার্থীদের চাহিদা মেটানো এবং তাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করার জন্য কাজ করছি। সে কারণে বিভিন্ন সময় মৌলবাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছে। ওদের বিরুদ্ধে ছাত্রীলীগের নেতা-কর্মীরা কখনোই পিছপা হননি।শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রকৃতভাবে যারা হলগুলোতে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন তাদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হৃদয়ের বন্ধন রয়েছে। যাদের রাজনৈতিক দুর্বলতা রয়েছে এবং মৌলবাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তারা তা লুকাতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করেন। সূত্র- যুগান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ ডিসেম্বর ২০২২


পার্টি অফিসে সমাবেশ করার জন্য বিএনপির এতো দৃঢ়তা কেন, প্রশ্ন কাদেরের

পার্টি অফিসে সমাবেশ করার জন্য বিএনপির এতো দৃঢ়তা কেন, প্রশ্ন কাদেরের

বিএনপি সমাবেশকে ঘিরে আন্দোলনের নামে যদি সহিংসতার উপাদান যুক্ত করে তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দিবে। পার্টি অফিসে সমাবেশ করার জন্য বিএনপির এতো দৃঢ়তা কেন? এখানে তাদের কি কোন বধ উদ্দেশ্য আছে? কোন মতলবে কি তারা এটা চায়?আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে বিএনপির উদ্দেশে একথা বলেন।বিএনপি কেন তাদের সমাবেশকে ঘিরে ১০ ডিসেম্বর বেছে নিয়েছে তাদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি কি জানে না বাংলাদেশের ইতিহাস? ১৯৭১ সালে ১০ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা নীল নকশা বাস্তবায়নে প্রক্রিয়া শুরু হয়।১০ ডিসেম্বর সিরাজ উদ্দিন হোসেন এবং সাংবাদিক সৈয়দ নাজমুল হক - এই দুই জনকে পাক-হানাদার বাহিনী দেশের আলবদর বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে যায় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বুদ্ধিজীবি হত্যার মতো নৃশংসতম ঘটনা বাংলাদেশে সংগঠিত হয়। জ্ঞান, গরিমা যাদেরকে ঘিরে সেই সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, সাংবাদিক, চিকিৎসকদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয় স্মরণ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য কেন বিএনপি বেছে নিলো এটাই প্রশ্ন? সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন বিএনপি যেতে চায় না, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাক-হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে, সেই ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ ভাষণ বিএনপির পছন্দ নাও হতে পারে - যদিও জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে সর্বকালের সেরা ভাষণ হিসেবে।সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক স্থান,যেখানে স্বধীনতা,মুক্তিযুদ্ধ,১৬ ডিসেম্বর যারা বিশ্বাস করে, সেখানে পাক-হানাদার মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন - সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন বিএনপির অপছন্দ তা জানতে চেয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক উদ্যান। বিশাল জায়গা এখানে,আওয়ামী লীগ সব সমাবেশ, জাতীয় সম্মেলন করে এখানে। তাহলে বিএনপি কেন তাদের পার্টি অফিসের সামনে ছোট এলাকায়, যেখানে ৩৫ হাজার স্কোয়ারের ফিটের মতো একটা ছোট জায়গায় তাদের সমাবেশের বেছে নিলো প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের।আওয়ামী লীগ সতর্ক পাহারায় থাকবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ ডিসেম্বর ২০২২


আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্ত করেছিল বিএনপি

আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্ত করেছিল বিএনপি

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন,২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার গঠন করে সারা দেশে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্ত শুরু করে। খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ মদদে সারা দেশে ছাত্রলীগ যুবলীগের অসংখ্য দক্ষ নেতাকর্মীকে বেছে বেছে হত্যা করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। গতকাল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-পাঠাগার সম্পাদক ও ওমরগণি এম.ই.এস. বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মহিম উদ্দিন মহিমের ১৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিমের সভাপতিত্বে ওমরগণি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন আবুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। শিক্ষা উপ-মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন ধরনের সরকারবিরোধী কার্যকলাপের সাথে জড়িত। তারা এদেশে অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসগুলোতে ধর্ণা দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচারে জড়িত। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা গোষ্ঠী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের লিপ্ত রয়েছে। এসকল চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতাকর্মীদের সজাগ ও সচেতন থেকে রাজপথে দাঁত ভাঙা জবাব দিতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ নভেম্বর ২০২২


বিএনপির কোনো নেতার রাষ্ট্র পরিচালনা করার কোনো যোগ্যতা নেই : পরশ

বিএনপির কোনো নেতার রাষ্ট্র পরিচালনা করার কোনো যোগ্যতা নেই : পরশ

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে ও বোমাবাজি করে দেশ চালোনো যায় না। বিএনপির উদ্দেশ্য হাসিল করতে দেবে না যুবলীগের নেতাকর্মীরা। তাই আমি আমাদের নেতাদের নির্দেশ দিচ্ছি আপনারা রাজপথে থাকবেন। আপনাদের সাথে নিয়েই এই সন্ত্রাসীদের আমরা শায়েস্তা করব। তিনি আরও বলেন, বিএনপির কোনো নেতার রাষ্ট্র পরিচালনা করার কোনো যোগ্যতা নেই। না আছে খালেদা জিয়ার, না আছে তার গুণধর পুত্র তারেকের। দক্ষতা নেই বলে আজ তারা এ দেশকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এ দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে, হয়তো তাদের বিদেশি প্রভুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে। কিন্তু কোনো বিদেশি প্রভুর নির্দেশনায় বা হস্তক্ষেপে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না। সরকারও পরিবর্তন হবে না। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে বিভাগীয় সমাবেশের আয়োজন করে যুবলীগ।পরশ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজ অতুলনীয় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, এমন কোনো গোত্রের মানুষ নাই যেখানে তার সেবার সুফল পৌঁছায়নি। আজ পদ্মা সেতুর পর চট্টগ্রামবাসীর স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল দৃশ্যমান এবং চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষমান। এই টানেল দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে। দেশের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করবে। টানেল নির্মাণ শেষ হলে চট্টগ্রাম শহর চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ এর মডেলে গড়ে তোলা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ নভেম্বর ২০২২


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণতান্ত্রিক সরকার : আহমদ হোসেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণতান্ত্রিক সরকার : আহমদ হোসেন

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেছেন, বিএনপির যদি প্রকাশ্যে কথা বলতে হয় তাহলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কথা বলতে পারে। নয়াপল্টন ছোট জায়গা। সেখানে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলা মানেই তাদের মধ্যে দুরভিসন্ধি আছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আশঙ্কা করছি।মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ঢাকা পোস্টের এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।আহমদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার হচ্ছে গণতান্ত্রিক সরকার। জনগণের নির্বাচিত সরকার এবং নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। এখানে গণতন্ত্র অক্ষুণ্ন আছে। যেকোনো রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করবে, কারণ দেশে সবার বাক স্বাধীনতা আছে। সেক্ষেত্রে বিএনপিও স্বাধীনভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকার রাখে। সেই অধিকারকে সরকার সংরক্ষণ করে। এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তারা (বিএনপি) যদি শান্তিভঙের কারণ হয়, অশান্তি সৃষ্টি করে, জনজীবনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাহলে আইনগতভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ওপর সাংবিধানিক দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবে।তিনি বলেন, আমরা কারো সঙ্গে গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে চাই না। রাজনৈতিকভাবে পাল্টা কোনো কর্মসূচি আমাদের নেই, আমরা দেবও না। আমরা আশা করি বিএনপি তার উগ্রবাদ, মতলবাজ সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসবে। বিএনপি সন্ত্রাসের পথে না গিয়ে, জনজীবন বিশৃঙ্খল সৃষ্টি না করে, শান্তির পথে আসবে।আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির চিপাগলি, ফুটপাত, রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথার বলার মধ্যে কোনো মতলব থাকতে পারে। যা জনগণের জানমালের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সমস্যার কারণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব তারা সক্রিয়ভাবে পালন করবে এবং তারা সর্তক থাকবে। আমরা কোনো পাল্টা কর্মসূচি দিতে চাই না। তারা যদি মনে করে যে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে না করে গায়ের জোরে যেখানে ইচ্ছা সেখানে মিটিং করবে, সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। সাংবিধানিক সরকার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে কোনো দ্বিধা করবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ নভেম্বর ২০২২


মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না : কাদের

মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না, মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে, শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী হতে হবে।মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) নোয়াখালী শহর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার রাজধানীর বাসভবন থেকে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।তিনি বলেন, শেখ হাসিনা শাসক নন, তিনি জনগণের সেবক। মির্জা ফখরুল সাহেবদের অপপ্রচারের বিপরীতে আমরা গঠনমূলক সত্য প্রকাশ করব এবং কাজ দিয়ে প্রমাণ করব।আন্দোলনের মাধ্যমে নির্যাতনের জবাব দেওয়া হবে— মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন রেখে বলেন, নির্যাতন কাকে বলে, বিএনপি কত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে? ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড।আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে বিএনপি হত্যা করেছে— উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন বিএনপি নেতারা ঘরে আছে অথচ আমরা তাদের শাসনামলের পাঁচ বছরে পাঁচ দিনও ঘরে থাকতে পারিনি।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আন্দোলন করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে।বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করুক কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আগুন নিয়ে খেললে, সহিংসতা করতে এলে আমরা সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুত। জনগণের জানমাল রক্ষায় তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন, সহিদ উল্লাহ খান সোহেল এবং সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ নভেম্বর ২০২২


মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈঠক

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈঠক

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। গতকাল সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের বাসায় নৈশভোজের আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন পিটার হাসসহ মার্কিন দূতাবাসের কয়েকজন কর্মকর্তা। সেখানেই বৈঠকটি হয়।এ সময় শাম্মী আহমেদ ছাড়াও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাথিউ বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।শাম্মী আহমেদ আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, পিটার হাস নৈশভোজে যোগ দিতে এসেছিলেন। এ সময় কিছু সাধারণ বিষয়ে যেসব আলোচনা হয়, তা–ই হয়েছে।বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের বাসায় নৈশভোজের দাওয়াত ছিল এটি। কোনো দাওয়াতে গেলে যেসব কথাবার্তা হয়, তা–ই হয়েছে। এর বেশি কিছু নয়।’মাহবুব উল আলম হানিফ জানান, বৈঠকে পিটার হাসের সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করা, ব্যবসা–বাণিজ্য প্রসারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ হয়। বৈঠকের পর তাঁরা একসঙ্গে রাতের খাবার খান।হানিফ বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের ইপিজেডে মার্কিন বিনিয়োগের বিষয়ে কথা বলেছি। রাষ্ট্রদূত এসব বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। আমরা সব বিষয়ে সহযোগিতার কথা জানিয়েছি।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ নভেম্বর ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আর নির্বাচন হবে না : ওবায়দুল কাদের

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আর নির্বাচন হবে না : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল এখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের খোয়াব দেখছেন। কিন্তু বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আর নির্বাচন হবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। রোববার পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জেলার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আয়োজিত সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করে। গ্রেনেড হামলা করে তাকে হত্যাসহ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। আগুন সন্ত্রাস ও বোমাবাজি করে তারা অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে তাদের হত্যার রাজনীতি শুরু হয়। সেই রক্তের দাগ এখনো এ দেশের মানুষ ভুলে যায়নি।জাতীয় ও দলীয় পতাকা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি। বক্তা ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সিনিয়র সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহম্মেদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিল্প ও বাণিজ্যিকবিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম এমপি, অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম এমপি, কেন্দ্রীয় সদস্য আনিসুর রহমান ও গোলাম কবীর রাব্বানী চিনু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএমএ আউয়াল। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এমএ হাকিম হাওলাদার। সম্মেলন সকাল ১০টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় দুপুর ১২টায়।আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনা ’৭১-এর রাজাকারদের বিচারের আওতায় এনে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে এ দেশকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। এখন আবার তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ নভেম্বর ২০২২


ভয় পাবেন না, আওয়ামী লীগের কর্মীরা আপনাকে পাহারা দেবে : হুইপ স্বপন

ভয় পাবেন না, আওয়ামী লীগের কর্মীরা আপনাকে পাহারা দেবে : হুইপ স্বপন

ক্ষমতা না ছাড়লে দেশ ছেড়ে পালানোর পথ পাবেন না বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের হুমকির জবাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন আজ( রোববার) ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, পলায়নের ইতিহাস আওয়ামী লীগের নেই। আওয়ামী ক্ষমতার অবৈধ দখলদার কোন ডাকাত সরদারের পকেট থেকে জন্ম নেওয়া অবৈধ রাজনৈতিক দল নয়। এদেশের মাটি ও মানুষের দল আওয়ামী লীগ বাঙালির আপন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। আপনার দলের দন্ডমুন্ডের কর্তা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১/১১- র পর তার মামার বন্ধুদের থেরাপি গ্রহণ শেষে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আরেক ৯/১১-এ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। পলাতক নেতার মহাসচিবের এমন আস্ফালন মানায় না। ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা এদেশের যে কোন মতালম্বী কোন নাগরিককে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করি না বা দেশ ছাড়ার পরামর্শ দিই না। আওয়ামী লীগ সরকার এদেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্মগত নাগরিক অধিকার সমুন্নত রাখতে বদ্ধ পরিকর। প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ কর্মীরা পাহারা দিয়ে মির্জা ফখরুলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কারন অচিরেই আস্ফালন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়ার বিএনপির কর্মীদের দ্বারা মির্জা সাহেবদের নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীনগর পাইলট স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী এমপি। ফয়েজুর রহমান বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ বি তাজুল ইসলাম এমপি, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, এবাদুল করিম বুলবুল এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, ঢাকা মহানগর নেতা মোর্শেদ কামাল প্রমুখ।সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে বিদায়ী সভাপতি ফয়েজুর রহমান বাদল সভাপতি এবং বিদায়ী যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী শাহান সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ নভেম্বর ২০২২


'আওয়ামী লীগ নয় বিএনপির প্রধান টার্গেট হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'

'আওয়ামী লীগ নয় বিএনপির প্রধান টার্গেট হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির প্রধান টার্গেট হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ নয়।’তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট দুই বোন (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা) দেশে ছিলেন না। ভাগ্যের কারণে বেঁচে গেলেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হলো। সেদিনও উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে শেষ করা।’শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা না থাকলে পদ্মা সেতু হতো না। আজ কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন করা হয়েছে। এটাও হতো না। এসব দেখে বিএনপি নেতাদের অন্তর জ্বালা। মির্জা ফখরুলদের বুকে বড় জ্বালা।’প্রধানমন্ত্রী জনগণের জন্য রাত জেগেও কাজ করেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে আমি জিজ্ঞেস করেছি, রাতে কতক্ষণ ঘুমান? তিনি জানালেন, রাতে তিন ঘণ্টা ঘুমান। দেশের জনগণের জন্য রাত জেগে তিনি কাজ করেন।’মহিলা আওয়ামী লীগের এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ নভেম্বর ২০২২


দেশের যা অর্জন সবই আ.লীগের নেতৃত্বে: হানিফ

দেশের যা অর্জন সবই আ.লীগের নেতৃত্বে: হানিফ

বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশের নামে ষড়যন্ত্র করলে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।আজ শনিবার দুপুরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।হানিফ বলেন, ‘যাঁরা সমাবেশের নামে বিভিন্ন স্থানে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, তাঁদের ধারণা ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের পর এই সরকারই থাকবে না। ডিসেম্বর মাসে রাজাকারদের হুমকি বাংলাদেশের মানুষ কখনো পরোয়া করে না। আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি যদি কোনো ষড়যন্ত্রের পথ খোঁজে, তার উচিত জবাব দেওয়া হবে।’হাজীগঞ্জ পৌর বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন মিয়াজী। সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. মাঈনুদ্দিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নূরজাহান মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির আহমেদ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ নভেম্বর ২০২২


বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই নয়াপল্টনে সমাবেশ চায় বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই নয়াপল্টনে সমাবেশ চায় বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

তামাক-ইলেকট্রনিক সিগারেট-সীসায় আসক্তি রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা আহবানতামাক, তামাকজাত পণ্য, সিগারেট, ইলেকট্রনিক সিগারেট ও সীসায় আসক্তি রোধে ভূমিকা রাখতে গণমাধ্যমের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর দুপুরে রাজধানীতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনে 'উন্নয়ন সমন্বয়' সংস্থা আয়োজিত 'তামাকজাতপণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপ ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে গণমাধ্যমের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময়' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। সংস্থার চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।আজীবন অধূমপায়ী তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সিগারেটের পাশাপাশি এখন উচ্চ মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ছেলেমেয়দের বিভিন্ন ক্যাফেতে সীসাবারে গিয়ে সীসা পান, ইলেক্ট্রনিক সিগারেট পান একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তরুণ ছেলেমেয়েরা এগুলোতে প্রচন্ডভাবে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। এটা রোধ করতে গণমাধ্যম নানাভাবেই ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, এখন ৩৬টির মতো টিভি চ্যানেল। তারা ভেপিং মেশিন, ইলেক্ট্রনিক সিগারেট ও সীসার ক্ষতিকর প্রভাবের ওপর নিয়মিত প্রতিবেদন করতে পারে। অন্য গণমাধ্যমও এটি করতে পারে। অপকারিতা ছাড়া এগুলোর কোনো উপকারিতা নাই। সুতরাং এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। তামাকজাত পণ্য আমদানি ও বিপণন নিয়ন্ত্রণ এবং বিশেষ করে অনলাইনে অর্ডার বন্ধ করতে এ সব বিষয়ে কর্মরত বেসরকারি সংস্থাগুলোকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দেওয়ার পরামর্শ দেন ড. হাছান মাহমুদ। উন্নয়ন সমন্বয় সভাপতি ড. আতিউর রহমান বলেন, নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে, জাতিকে সুস্থ রাখতে হলে তামাকজাত পণ্য নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। গণমাধ্যমকে এর সহযাত্রী হতে হবে। আয়োজক সংস্থার গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নদভী মূল প্রবন্ধ ও জ্যেষ্ঠ প্রকল্প সমন্বয়ক শাহীন উল আলম স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপির উদ্দেশ্য ভালো না। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই তারা ময়দান ছেড়ে নয়াপল্টনের রাস্তায় সমাবেশ চায়।'মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর রাজধানীতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয় এনজিও'র তামাকবিরোধী মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। উন্নয়ন সমন্বয় চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন। 'আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি তাদের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ মাঠে নয়, নয়াপল্টনের রাস্তায় করতে চায়' প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ঢাকা শহরে এবং আশেপাশে এতো মাঠ থাকতে উনারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, উদ্দেশ্যে কি! নয়াপল্টনে সমাবেশ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে গাড়িঘোড়া ভাংচুর করা যাবে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে, জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে। এই উদ্দেশ্যে তারা নয়াপল্টনে পার্টি অফিসের সামনে ব্যস্ত রাস্তায় সমাবেশ করতে চায়! এর পেছনে হীন উদ্দেশ্য আছে।' মির্জা ফখরুলের মন্তব্য 'কোনো বাধাই বিএনপির ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে ঠেকাতে পারবে না' এর প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমরা তো কাউকে কোনো বাধা দিতে চাইনি এবং বাধা দিলে তারা সমাবেশ করতে পারতো না। বরং বাধা তারা আমাদের দিয়েছিল উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, আমাদের বিভিন্ন সমাবেশে সারাদেশব্যাপী বোমা হামলা চালিয়েছে, বহু মানুষকে হত্যা করেছে। অথচ তাদের মিটিংয়ে কি আজ পর্যন্ত একটি পটকা ফুটেছে! একটা মিটিং পন্ড করতে দু'টি পটকাই যথেষ্ট। যে দিন সভা হয় তার দু’-তিনদিন আগে তিন-চারটা পটকা ফুটলেই তো মিটিং পন্ড। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে সর্বোতভাবে সহায়তা করছি যাতে করে তারা ভালোভাবে সমাবেশ করতে পারে এবং তারা ভালোভাবে সমাবেশ করছে।' জঙ্গিবাদ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'এদেশে জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও অর্থদাতা হচ্ছে বিএনপি। বেগম জিয়া জঙ্গিদের গ্রেফতারের বিরোধিতা করেছিলেন এবং বিএনপির জোটের মধ্যেই জঙ্গিগোষ্ঠি আছে। আজকে জঙ্গিদের আস্ফালনের সাথে মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য একসূত্রে গাঁথা।তারা দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চায় কারণ তারা চায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে।''কিন্তু বিশ্বে যখন যুদ্ধ চলছে, বিশ্ব অর্থনীতি যখন টলায়মান তন্মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এবং মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব, গয়েশ্বর বাবু তারা যাই বলুক না কেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বলে গেছেন- বাংলাদেশ এই সংকটের মধ্যেও যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি অন্য দেশের জন্য উদাহরণ' জানান ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'ফখরুল সাহেব তো শিক্ষিত মানুষ। আমি আশা করবো, তিনি একটু পড়াশোনা করবেন, বিশ্ব প্রেক্ষাপট দেখবেন আর বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সম্পর্কে কি বলছেন সেটাও শুনবেন।'

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ নভেম্বর ২০২২


বিএনপির মুখে রক্ষাণাত্বক হলেও অন্তরে রয়েছে আক্রমণাত্মক শোডাউন: কাদের

বিএনপির মুখে রক্ষাণাত্বক হলেও অন্তরে রয়েছে আক্রমণাত্মক শোডাউন: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই, বিএনপির মুখে রক্ষাণাত্বক হলেও অন্তরে রয়েছে আক্রমণাত্মক শোডাউন। তিনি আজ রাজধানীর কেবিআই অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। ১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে বিএনপি এখন ডিফেন্সিভ কেন?এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন মনে হচ্ছে যেন তারা ক্ষমতায় এসে গেছে, হাওয়া ভবন ফিরে পেলো, ঢাকার রাজপথে বিজয় মিছিল করবে- সরকারের পতন ঘটাবে, এমন অনেক কথা এর আগেও তোতাপাখির মতো বুলি আউলিয়ে গেছে ।প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতা হচ্ছে বিএনপি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন জিয়াউর রহমানই প্রতিহিংসার রাজনীতি সূচনা করেছে। সারাদেশে শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জনে বিএনপির অন্তরজ্বালা বাড়ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন তারা দিনের বেলায় রাতের অন্ধকার দেখে,তাই তারা সরকারের কোন উন্নয়ন দেখতে পায় না। বাংলাদেশ কখনো অনিশ্চয়তার দিকে যাবে না, বিএনপি যেভাবে অনিশ্চয়তার দিকে চলছে তাতে বিএনপিই অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের আহবায়ক শিরীন আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডক্টর আবদুস সোবহান গোলাপ ও বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি হারুনুর রসীদ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ নভেম্বর ২০২২


এই মুহূর্তে ওবায়দুল কাদেরের বিকল্প খুঁজছে না আওয়ামী লীগ

এই মুহূর্তে ওবায়দুল কাদেরের বিকল্প খুঁজছে না আওয়ামী লীগ

আগামী ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রাচীনতম দল আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওই সম্মেলনেই ঠিক হবে আগামী তিন বছরের জন্য কারা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেবেন। দলীয় সূত্র বলছে, এবারের সম্মেলন খুব একটা জাকজকমপূর্ণ হবে না। সাদামাটা ভাবেই অনুষ্ঠিত হবে ২২তম আসর।আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক বাক্যে মেনে নেন দলের কাউন্সিলর-প্রতিনিধিরা । দু-একবার নিজ থেকে অবসরে যাওয়ার প্রস্তাব তুললেও দলের নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনাকে ছুটি দিতে রাজি হননি। সুতরাং সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনাই থাকছেন—এটা প্রায় নিশ্চিত। এই জন্য এবারও আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মূল আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদটি।আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের টানা দ্বিতীয় মেয়াদে এই দায়িত্বে আছেন। এখন পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনায় যেটা শুনতে পাওয়া যাচ্ছে সেটি হলো- এই মুহূর্তে ওবায়দুল কাদেরের বিকল্প খুঁজছে না দলটির সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।তিনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন তাকেই আবার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিতে পারেন শেখ হাসিনা। তাছাড়া আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসাবে তিনি ভালোই করছেন। তিনি এখন পর্যন্ত সফলতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।ওবায়দুল কাদের দলের প্রতিটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করছেন কখনো স্ব-শরীরে কখনো ভার্চুয়ালি এবং তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের বুদ্ধিভিত্তিক ও দাঁতভাঙ্গা জবাবে তার জুরি নেই। যোগ্যতার দিক থেকেও তিনি দলের অন্যন্য নেতাদের তুলনায় এগিয়ে। সবকিছু মিলিয়ে তিনিই আগামী সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের দৌড়ে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন বলে জানা গেছে।অসমর্থিত একটি সূত্র বলছে- ওবায়দুল কাদেরের দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পিছনে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের ক্ষমতাসীন দলের জোড়ালো ভুমিকা ছিল, এবারও সেই ক্ষমতাসীন দলটি তাঁর জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে সুপারিশ করতে পারেন।উল্লেখ, দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরে দলের ধানমন্ডি কার্যালয়ে তিনি এই প্রতিবেদকের সামনে বলেছিলেন ‘নেত্রী (হাসিনা) আমাকে আবারো দলের সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন কারণ নেত্রী আসলে আমার বিকল্প খুঁজে পাননি। অন্যথায় আমি হতাম না’।এদিকে ভেতরে-ভেতরে এক ডজনের মতো নেতা সাধারণ সম্পাদক পদের দাবিদার হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন। করোনা মহামারির মধ্যে দীর্ঘদিন দৃশ্যত বাইরে না আসা ওবায়দুল কাদেরের এই রাজনৈতিক তৎপরতা আশা যোগাচ্ছে তাদের ।গত দুই সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের পাশাপাশি দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের নামও আলোচনায় ছিল। এর বাইরে সাধারণ সম্পাদক হতে আগ্রহী আরও কয়েকজন নেতা নানাভাবে সক্রিয় আছেন। তাঁরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। কেউ কেউ দলের বিভিন্ন জেলার বিভেদ মেটাতে উদ্যোগী ভূমিকা রাখছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, দীপু মনি ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।নতুন করে আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন দুই সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ ও মির্জা আজম। এর বাইরে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সম্ভাবনাও দেখছেন কেউ কেউ।আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র বলছে আর সাধারণ সম্পাদক ঠিক করেন সভাপতি নিজেই। এবার কে হতে পারেন সাধারণ সম্পাদক—এ বিষয়ে দলীয় সভাপতি এখন পর্যন্ত তাঁর মনোভাব প্রকাশ্যে বা ঘনিষ্ঠ নেতাদের কাছে প্রকাশ করেননি। সাধারণত তিনি জাতীয় সম্মেলনের তিন থেকে সাত দিন আগে বিষয়টি খোলাসা করেন। এবারও এমনটাই হওয়ার কথা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ নভেম্বর ২০২২


বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন বিবৃতিতে : কাদের

বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন বিবৃতিতে : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন্ অতীতের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্যই বিএনপি ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে জনগণ দ্বারা মারাত্মক ভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে । তিনি আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিবের মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একথা বলেন। জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত বিএনপি প্রতিশোধের নেশায় বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসের উত্তাপ ছড়িয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে বলেন সরকার সেই সন্ত্রাসের উত্তাপ থেকে জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেই বলেছেন তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তাদের সমাবেশে সরকার কোন ধরনের বাধা প্রদান করেনি, - বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন সরকার শুধু সতর্ক ছিল, এই সুযোগে বিএনপি যেন কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড না করতে পারে।তিনি আরও বলেন বিএনপি বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় এসে অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করে রাখতে দেশের জনগণের উপর সীমাহীন অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, ২১ আগস্টের মত নারকীয় গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে গণহত্যা সংঘটিত করেছে অথচ বিএনপি মিথ্যা তথ্য উপাত্ত দিয়ে গুমের বানোয়াট ও মনগড়া পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেছে বলে স্মরণ করে দেন ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ নভেম্বর ২০২২


আ. লীগ সম্পর্কে মিথ্যা সংবাদ প্রচার না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ কাদেরের

আ. লীগ সম্পর্কে মিথ্যা সংবাদ প্রচার না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ কাদেরের

দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের আওয়ামী লীগ সম্পর্কে মিথ্যা সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, 'আমাদের সম্পর্কে মিথ্যা খবর দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এটা আমার অনুরোধ।'আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয় জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৯তম সভার শুরু হওয়ার আগে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনস্থলে দলের ২ পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে ঢিলের আঘাতে আহত হয়ে আজমল হোসেন চৌধুরী ওরফে আরমান (৩৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।নিহত সেই ব্যক্তি সম্মেলনের ধারে-কাছে ছিলেন না দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সে বাড়িতে ছিল। বাড়ি থেকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সে মৃত। এটাকে এখন বলা হচ্ছে আমাদের সম্মেলনে মারামারি হয়ে একজন মারা গেছেন।'তিনি বলেন, 'আমাদের একটা উপজেলা সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ওখানে ছোটখাটো একটা ঘটনা ঘটেছিল। বিদ্রোহীরা মঞ্চে বসা, কিন্তু পরবর্তীতে সম্মেলন সুন্দরভাবে শেষ হয়েছিল। সকালে পত্র-পত্রিকায় দেখলাম ১ জন মারা গেছে। এটা মৃত হওয়ার সুবাদে প্রথম পাতায় উঠে আসছে। সম্মেলনের আশেপাশে কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটে নাই। আমি পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলছি। এভাবে সম্মেলন নিয়ে নিউজ করা...।''একটা ঘটনা ঘটেছে। একটা লোক দুবাই থাকে। সে দেশে আসছে৷ সে তার বাড়িতে ছিল। বাড়ি ওখান থেকে অনেক দূরে। সম্মেলনে ঘটনা ঘটেছে ১টায়৷ ৩টা বাজে তার পরিবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। স্ট্রোক করে মারা গেছে। এর সঙ্গে সম্মেলনের কোনো রিলেশন (সম্পর্ক) নেই। কোনোভাবেই সম্মেলনের সঙ্গে এ ঘটনা যুক্ত না', বলেন তিনি।সাংবাদিকদের বন্ধু আখ্যায়িত করে তাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'এভাবে যদি নিউজ করেন, পুরোপুরি অবহিত না হয়ে। যদি কেউ মারা যায় সম্মেলনে, সেক্ষেত্রে তো প্রমাণ থাকবে। স্ট্রোক করেছে আপনারা (সাংবাদিক) খবর নেন।'সম্প্রতি ৬টি জেলা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'কোথায় কোন সম্মেলনে আমাদের এ প্রকার গোলমাল হয়েছে? একটা জেলা সম্মেলন, কুমিল্লায় যেটা হয়েছে, সেটা সম্মেলন থেকে অনেক দূরে। ওই চৌরাস্তার মোড়। তাও তো সেখানে মারামারিও হয় নাই। কিছুই হয় নাই। পটকা-পাটকা ফুটাইছে। তাও সম্মেলন ভেনু থেকে দূরে। এগুলো আপনারা একটু খেয়াল রাখবেন।'বিরোধী দল বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, 'বিরোধী দল হলে ৪ দিন আগে আসতেছে, লঞ্চে আসতেছে, নৌকায় আসতেছে, পায়ে হেঁটে আসতেছে। দেন এটা আপনাদের ইচ্ছা। আমাদের এগুলো বারণ নাই। এগুলো আপনাদের ব্যাপার। পত্রিকার পলিসির ব্যাপার। কিন্তু আমাদের সম্পর্কে মিথ্যা খবর দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এটা আমার অনুরোধ। ইটস এ ফলস (মিথ্যা)। এটা ভুল। এখন আপনারা খবর নিতে পারেন, কী কারণে লোকটার মৃত্যু হয়েছে।'অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ নভেম্বর ২০২২


হাওয়া ভবন ফিরে পেতে বিএনপি টেকব্যাক আন্দোলন করছে : কাদের

হাওয়া ভবন ফিরে পেতে বিএনপি টেকব্যাক আন্দোলন করছে : কাদের

হারানো হাওয়া ভবন ফিরে পেতে বিএনপি টেকব্যাক আন্দোলন করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আরো বলেন, দল বা সংগঠন করার জন্য তাদের কোন লোক দরকার নেই, লোক দরকার বিদেশিদের কাছে নালিশ করার জন্য।সোমবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ২২ তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির প্রস্তুতি সভায় এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ দেখে বিএনপি ঈর্ষান্বিত। বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টিতে নেই আওয়ামী লীগ। যারা দলের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা করেনা, তারা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে কিভাবে। আগামী নির্বাচনে প্রমাণ হবে কারা বেশি জনপ্রিয়।বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল কবে হয়েছিল, প্রশ্ন করেন? বিএনপির জনপ্রিয়তা দেখে নাকি আওয়ামী লীগ ঈর্ষান্বিত। দৃশ্যমান কোন কাজ বিএনপি দেখাতে পারেনি তাদের শাসনামলে। অপপ্রচার চলছে, তাদের জবাব দিতে হবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন অতি উৎসাহী হয়ে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।তিনি বলেন, বিশ্ব সংকটের কারণে দলের এবারের সম্মেলন জাঁকজমকপূর্ণ হবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ নভেম্বর ২০২২


বিএনপি বাংলাদেশকে জঙ্গী রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যেতে চায়: হানিফ

বিএনপি বাংলাদেশকে জঙ্গী রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যেতে চায়: হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশ বিশ্বে দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার এক নম্বর রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। জঙ্গীবাদের দেশ বানিয়েছিল। এখন বিএনপি নেতারা বলছে- টেক ব্যাক বাংলাদেশ। তারা বাংলাদেশকে আবারও জঙ্গীবাদের রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশকে পিছনে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির নেতৃত্বে অন্ধকারের দিকে যেতে চায় না। শেখ হাসিনা অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়া দেশকে আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন। শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও গত ১০ মাসে ৩৬ বিলিয়ন ডলার রফতানি হয়েছে। সংকট মেকাবেলা করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশ ছিল হতাশা, ব্যর্থতার রাষ্ট্র। বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তারেক রহমান ১২৫টি জঙ্গীগোষ্ঠীকে পৃষ্টপোষকতা করেছিল। তারা বাংলাদেশকে উগ্র, মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই বিএনপি-জামায়াত নিজেরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে কোনো উন্নয়ন করেনি বরং দেশকে পিছিয়ে নিয়েছে। এখন আবার পিছনে নেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ পিছনে ফিরে যেতে চায় না।হানিফ বলেন, বিএনপি নেতারা শ্লোগান দেন ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’। বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলারের নিচে। আজ মাথাপিছু আয় ২৯০০ ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ চরম দরিদ্র দেশ থেকে আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।বিএনপি-জামায়াত দেশের উন্নয়ন দেখতে চায় না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, শেখ হাসিনার নেতত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ কাজ করছে। বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো। ঠিক এই সময়ে একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত, তাদের দোসর বিএনপি দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি। সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদীর চৌধুরী এমপি’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর ও কেন্দ্রীয় সদস্য পারভীন সুলতানা কল্পনা।এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক এমপি, কাপ্টেন অব. এবি তাজুল ইসলাম এমপি, বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি, এবাদুল করিম বুলবুল এমপি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম এমপি। সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ নভেম্বর ২০২২


বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি কে লাল কার্ড দেখাবে : কাদের

বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি কে লাল কার্ড দেখাবে : কাদের

আগামী ডিসেম্বরে শেখ হাসিনার ডাকে খেলা হবে। বিএনপি বেশি লাফালাফি করছে। বেশি ফাউল করছে। তাদের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে বাংলাদেশের জনগণ।আজ শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি।দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে আলোচিত ‘খেলা হবে’ স্লোগান ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাকে মনোনয়ন দেবেন, এই বাণিজ্য করছেন। এমপি ও মন্ত্রী বানাবেন বলে বস্তা ভরে টাকা নিচ্ছেন। খেলা হবে, খেলা হবে, বাণিজ্যের বিরুদ্ধে খেলা হবে।’নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ইসদাইর এলাকায় ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামেওবায়দুল কাদের বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা সুইচ ব্যাংকে পাচার করেছেন তারেক রহমান। আমেরিকা থেকে এফবিআই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তারেক রহমান অর্থ পাচারকারী। তারেক রহমান গোপনে মুচলেকা দিয়েছেন যে ‘আর রাজনীতি করব না’।সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ১৫ আগস্টের ‘মাস্টার মাইন্ড’ (মূল পরিকল্পনাকারী) ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকতেন, তাহলে এই হত্যাকাণ্ড হতো না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন বিদেশে চাকরি দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বন্ধ করতে পঞ্চম সংশোধনী করেছেন। খন্দকার মোশতাক আহমদ তাঁর সেনাপতি ছিলেন।সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজুলল করিম সেলিম। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ নভেম্বর ২০২২