আওয়ামী লীগ


কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়ার অপরাধে শোকজ নোটিশ আ. লীগ নেতা কে

কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়ার অপরাধে শোকজ নোটিশ আ. লীগ নেতা কে

আওয়ামী লীগের থানা সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা, কর্মীদের অশালীন বক্তব্য দেওয়ায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কর্মীদের অশালীন ভাষা ব্যবহার ও চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে সমাবেশ করার পর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরকে শোকজ করা হয়েছে। পনের দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।"আজ শুক্রবার রাতে তিনি নিজে দপ্তরে এসে শোকজ এর চিঠি গ্রহণ করেছে।"বুধবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের লালবাগ থানা ইউনিটের সম্মেলনে আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতেই বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের চার পক্ষ। এসময় বিশৃঙ্খলা থামাতে গিয়ে মাইক হাতে নিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ হুমায়ুন কবির ‘শুয়োরের বাচ্চা’ বলে গালি দেন বিশৃঙ্খলাকারীদের।সম্মেলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে মোট পাঁচ দফায় হাতাহাতি মারামারি হয়েছে।মাইকে বারবার নির্দেশ দেওয়া হলেও থামেনি বিশৃঙ্খলা। রাজধানীর লালবাগের এ থানাতেই বাড়ি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের।এসময় বিশৃঙ্খলা থামাতে গিয়ে মাইক হাতে নিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, স্লোগান বন্ধ করো। স্লোগান বন্ধ কর 'শুয়োরের বাচ্চারা'।ভিডিও দেখুন লিংকে: https://fb.watch/fJD3hirvaO/

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২


বিএনপির সাথে জনগণের যোজন-যোজন দুরত্ব দাবি ওবায়দুল কাদেরের

বিএনপির সাথে জনগণের যোজন-যোজন দুরত্ব দাবি ওবায়দুল কাদেরের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন আন্দোলনের নামে রাজপথে আবারও সহিংসতা ও সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বিএনপি।তিনি বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন রেখে বলেন আজকাল বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতে বাঁশের লাঠির সাথে জাতীয় পতাকা দেখা যাচ্ছে, এটা কিসের আলামত? এতে কি জাতীয় পতাকার অবমাননা নয়?ওবায়দুল কাদের আজ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।বিএনপির দুর্নীতি বিশ্ব বিদিত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে নিজেদের দলকে দুর্নীতিবাজদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত করেছে বিএনপি।তিনি আরও বলেন বিএনপি কখনো কোনো দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সাহস দেখাতে পারেনি।বিএনপি যখন দুর্নীতি নিয়ে বড় বড় কথা বলে তখন মানুষ হাসে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।বিএনপি নেতারা নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই প্রহসনের নির্বাচন জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছিল, হ্যা-না ভোটের মাধ্যমে সামরিক উর্দি পরে, আবার কখনো ভোটারবিহীন নির্বাচন করে,কখনো গায়েবি ভোটার তৈরি করে জনগণের নির্বাচনের অধিকার হরণ করেছিল । কাজেই বিএনপির মুখে নিরপেক্ষ নির্বাচন ভূতের মুখে রাম নাম বলে জানান ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন বিএনপি সেসব অপকর্ম ভুলে থাকতে চাইলেও জনগণ কিন্তু তাদের অতীত অপকর্ম ভুলে যায়নি।সরকার নাকি জণগণ থেকে দুরে সরে গেছে, আসলে সরকার নয়, বিএনপির সাথে তৈরি হয়েছে জনগণের যোজন-যোজন দুরত্ব দাবি ওবায়দুল কাদেরের।এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকার প্রধান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় জাইকার অর্থায়নে বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২


শেখ হাসিনা কখনো পরাজিত হবেন না : কাদের

শেখ হাসিনা কখনো পরাজিত হবেন না : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কখনো পরাজিত হবেন না, তিনি পরাজিত হলে বাংলাদেশ পরাজিত হব।তিনি আজ ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনের লক্ষ্যে দলের সম্পাদকমন্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের এক যৌথ সভায় একথা বলেন। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বিএনপিসহ একটি চিহ্নিত মহলের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন তারা দেশ-বিদেশে শেখ হাসিনার উন্নয়ন, জনপ্রিয়তা ও সততার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।বিএনপি মহাসচিব তার মনের কথা গোপন রাখতে পারে নাই, তাই তিনি পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলেন বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন আমরা পাকিস্তান পন্থিদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে পারি না,এটাই আমাদের শপথ। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন ৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কাজেই মির্জা ফখরুল পাকিস্তানের পক্ষে নিলে তো আওয়ামী লীগের গাত্রদাহ হবেই।আওয়ামী লীগ কখনো আক্রমণকারীর ভূমিকায় নয়, আওয়ামী লীগ সংযমি তবে সতর্ক থাকবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। দলের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন কেউ যদি হামলা মামলায় জড়িত হয় তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং তিনি এবিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২


মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত মনে করেন তথ্যমন্ত্রী

মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত মনে করেন তথ্যমন্ত্রী

পাকিস্তান সরকার থেকে বর্তমান সরকার আরও নিকৃষ্ট, আমরা পাকিস্তান আমলে আর্থিক ও জীবনযাত্রার দিক থেকে এর চেয়ে ভালো ছিলাম- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়া দরকার বলে মনে করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে 'বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে সংসদে ভাষণ' গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে হতাশাজনক বলে মনে করছে। তারা এই হতাশা থেকে আন্দোলনে নামবে। এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন-প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির সব কিছুতেই হতাশা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পাকিস্তানই ভালো ছিলো। অতএব তাদের বাংলাদেশ নিয়েই হতাশা। মির্জা ফখরুল কীভাবে বলেন? আমি তো মনে করি এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়া দরকার। তিনি কীভাবে বলেন পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলো বা পাকিস্তান ভালো ছিলো। বাংলাদেশ নিয়ে তো তাদের হতাশা।প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে ভারতের রাষ্ট্রদূতও বলেছেন, এ সফর অত্যন্ত সফল হয়েছে। এটা বলাতে তারা আরো হতাশ হয়েছেন। বাস্তবতা হচ্ছে এই।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২


বিদেশীদের কাছে সাহায্য চাওয়াই মেরুদন্ডহীন বিএনপির রাজনীতির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ : কাদের

বিদেশীদের কাছে সাহায্য চাওয়াই মেরুদন্ডহীন বিএনপির রাজনীতির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ : কাদের

বিদেশীদের কাছে নালিশ আর প্রকাশ্যে বিভিন্ন দূতাবাসে সাহায্য চাওয়াই বিএনপির মেরুদন্ডহীন রাজনীতির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আজ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন। দেশ পরিচালনায় নতজানু হওয়ার নজির আওয়ামী লীগের নেই, নতজানু হওয়ার নজির রয়েছে বিএনপির উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন তারা কথায় কথায় দেশের বিরুদ্ধে বিদেশীদের কাছে নালিশ করে আর দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশীদের হস্তক্ষেপের অনুরোধ করে। তিনি বলেন বিএনপিই নতজানু, ভঙ্গুর, পরনির্ভর একটি রাজনৈতিক দল।বিএনপি দেশকে পরনির্ভরশীল ও নতজানু দেখতে চায় তাঁবেদার হয়ে থাকতে চায় দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন অন্যদিকে আওয়ামী লীগ চায় দেশকে একটি মর্যাদাশীল, সমৃদ্ধ অবস্থানে উন্নতি করতে। বাংলাদেশের সীমানায় মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় শুরুতেই বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছে জবাব চেয়েছিল এবং এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে এবং প্রতিবাদ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। তখন মিয়ানমার জানিয়েছিল মর্টার শেলটি ভুলক্রমে বাংলাদেশের সীমানায় গিয়ে পড়ে। ভবিষ্যতে তারা সতর্ক থাকবেন বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছিলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন আবারও একই ঘটনা ঘটায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইন ও প্রটোকলের আলোকে খতিয়ে দেখছে। এ ঘটনা মিয়ানমারের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সাথে তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের ফলে ভুলক্রমে ঘটেছে নাকি উস্কানিমূলক তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র, এদেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি শেখ হাসিনা সরকারের কাছে নিজের অস্তিত্বের মতো। বাংলাদেশ চায় যে কোন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকালও লন্ডনে এ বিষয়ে কথা বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে, জানান সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন নানান অপকর্মের জন্য দেশের মানুষ এখনো বিএনপির উপর ক্ষুব্ধ , তারা আবারও সন্ত্রাসের পথে হাঁটছে, উস্কানি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এবং উস্কানী দিচ্ছে পুলিশকে।বিএনপি নেতারা একদিকে বলছে তাদেরকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না,আবার যখন সুযোগ পায় তখন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন না করে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিচ্ছেন, পুলিশকে আক্রমণের টার্গেট করে নিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি থেকে সরে আসার আহবান জানান। এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিস্কি। এসময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে সড়ক উন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেন।সাক্ষাতকালে বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং দু'দেশের মধ্যকার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়েও আলোচনা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২


জগা খিচুড়ির ঐক্য করে কোন লাভ নেই, বিএনপিকে ওবায়দুল কাদের

জগা খিচুড়ির ঐক্য করে কোন লাভ নেই, বিএনপিকে ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জগা খিচুড়ির ঐক্য করে কোন লাভ নেই, বিএনপির গতবার ঐক্যের যে পরিনতি হয়েছে এবারও সেই পরিনতি অপেক্ষা করছে।তিনি আজ নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তাঁর বাসভবন থেকে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।যারা ইতিহাসের অবাঞ্ছিত সত্যের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে তাদের স্বরুপ উন্মোচিত করতে হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন আজকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন বলে পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম - তখন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টার মাইন্ড ছিলেন সেটাও আজ তাহলে সত্য? বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন আজ প্রমাণিত হয়েছে বিএনপির রাজনীতি পাকিস্তান ধারার রাজনীতি, বিএনপির রাজনীতি দ্বিজাতিতত্ত্বের রাজনীতি। তিনি বলেন বিএনপির রাজনীতি সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি।বিএনপি যদি কখনো ক্ষমতায় যেতে পারে তাহলে এদেশকে আবার পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যাবে এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন সেটাই এখন বিএনপির টার্গেট, সেজন্যই আজকে বিএনপি ঐক্যের নামে টালবাহানা করছে, সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে জোট করে।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন উচ্চ আদালতের নির্দেশে মিউজিয়ামে।আপনাদের নেত্রীই একসময়ে বলেছিলেন নিরপেক্ষ বলে কিছু নেই, নিরপেক্ষ হচ্ছে পাগল ও শিশু।নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জি এম তালেব হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডক্টর আবদুর রাজ্জাক , এডভোকেট কামরুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট নজীবুল্লাহ হিরু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, এমপি এবং নরসিংদী জেলা আওয়ামী ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলীসহ সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২


বিএনপি দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় : হানিফ

বিএনপি দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় : হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, কিছুদিন আগে মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন, বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা নাকি পাকিস্তান আমলেই ভাল ছিল। তার এ কথার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় যে, তিনি পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী। তারা যে সব রাজাকারের বংশধর, তা তাদের কথাবার্তাতেই প্রমাণিত হচ্ছে।‘তারা এখনো আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখতে পারে না। তারা চায়, বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক। দলটির অধিকাংশ নেতাই পাকিস্তানী আদর্শের অনুসারী। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নতুন করে রাজপথে নেমেছে। সভা-সমাবেশের নামে তাণ্ডব চালাচ্ছে। তারা উস্কানি দিচ্ছে, পায়ে পা দিয়ে গন্ডগোল করার চেষ্টা করছে। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ তাদের ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়ে যায়নি।শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, গোলযোগ সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির লক্ষ্য। তারা যেকোনো মূল্যে সরকারের পতন ঘটাতে চায়। তারা বলে তারা নির্বাচনে যাবে না। কারণ তারা জানে, তাদের দলের দুই শীর্ষ নেতা দুর্নীতি, সন্ত্রাসী ও হত্যার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত। জনগণ তাদের ভোট দেবে না।তিনি বলেন, বিএনপির লক্ষ্য সরকারের পতন ঘটানো। তাদের ধারণা, এমনটি করতে পারলেই অন্য কোনো সামরিক সরকার এসে সব দণ্ড মওকুফ করে নির্বাচন করার সুযোগ দেবে। কিন্তু বাংলাদেশে এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের কোনো সুযোগ নেই।হানিফ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আশা করি, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে। তারপরও যদি কোনো দল অংশ না নেয়, তাহলে সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই।অতীতে আন্তর্জাতিক পরিসরে বঙ্গবন্ধুকন্যার মতো অন্য কোনো বাংলাদেশি রাষ্ট্রনায়ক এমনভাবে মূল্যায়িত হননি উল্লেখ করে হানিফ বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচক মূল্যায়ন সম্মান-গৌরবের। শেখ হাসিনার ওপর দেশের মানুষের আস্থা আছে, বর্হিবিশ্বেরও আস্থা আছে।তিনি বলেন, শ্রীলংকা দেউলিয়া হওয়ার কারণে সে দেশের সরকারের পতন হয়েছে। সে সময় আমাদের দেশের কিছু রাজনীতিবিদ, বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের নেতারা বলেছিলেন, দেশের অবস্থা খুব খারাপ, শ্রীলংকার পথে হাঁটছে। তখন আমরা বলেছি, বাংলাদেশ কখনো শ্রীলংকা হবে না।বিএনপির শাসনামলে দেশে ভয়াবহ খাদ্যঘাটতি ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রথমে গুরুত্ব দিয়েছেন কৃষিকে। তিনি কৃষকের দোরগোড়ায় সার পৌঁছে দিয়েছেন। ভালো বীজ, সারের সুষম বণ্টনের কারণে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।হানিফ বলেন, করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। নেদারল্যাণ্ডসে ৩০ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে ২০-৩০ শতাংশ দাম বেড়েছে। বাংলাদেশ এ বিশ্বব্যবস্থার বাইরে নয় বলেই কিছু জিনিসের দাম বেড়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২


বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যকে আবারো দেশবিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহী বললেন কাদের

বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যকে আবারো দেশবিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহী বললেন কাদের

বাংলাদেশের অগ্রগতি,সাফল্য, উন্নয়ন ও অর্জন যখন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত তখন বিএনপি মহাসচিবের পাকিস্তান আমলের প্রশংসা করা অত্যন্ত দুঃখজনক। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিবের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহীমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একথা বলেন। এখনকার তুলনায় পাকিস্তান আমল নাকি ভালো ছিল, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিএনপির চিরাচরিত বাংলাদেশ বিরোধী অবস্থান ও স্বাধীনতা বিরোধী অপরাজনীতির গোপন অভিসন্ধির আবারও বর্হিপ্রকাশ ঘটেছে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিবৃতিতে আরও বলেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, প্রগতি ও দেশপ্রেম বিশ্বাসী কোন ব্যক্তি কিংবা সংগঠন এ ধরনের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী মন্তব্য করতে পারে না। বিএনপি নেতাদের এধরণের পাকিস্তান প্রীতি বক্তব্য প্রমাণ করে মহান স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে তারা এখনও বাংলাদেশে পাকিস্তানি ধারার রাজনীতি প্রবর্তন করতে চায় বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন পাকিস্তান পার্লামেন্ট ও গণমাধ্যমে যখন বাংলাদেশের অগ্রসরমান অর্থনীতির উচ্চশিত প্রশংসা করা হচ্ছে, তখন বিএনপি মহাসচিব নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের দালালি করছে।বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন স্বাধীন বাংলাদেশে যারা রাজনৈতিক ভাবে এবং পারিবারিক ভাবে পাকিস্তানি দর্শনের রাজনীতিকে লালন করে তারা স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এখনও "পেয়ারে পাকিস্তান" মন্ত্র জপছে।বিএনপি মহাসচিবের এ ধরনের বক্তব্য শুধু রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিলই নয়,৩০ লাখ শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

যেকোনো অপশক্তিতে রুখে দিতে নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহবান নানকের

যেকোনো অপশক্তিতে রুখে দিতে নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহবান নানকের

যেকোনো অপশক্তিতে রুখে দিতে নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলাদেশের মাটিতে আগুন সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদের সৃষ্টি করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনা এসবকে কখনোই প্রশ্রই দেয় নি। কিন্তু এই অপশক্তি এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাই যেকোনো অপশক্তিতে রুখে দিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকতে হবে।বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের অন্তর্গত ওয়ারী থানা এবং ৩৮, ৩৯ ও ৪০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমরা এখন গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় পার করছি। বাংলাদেশের বুকে কিছু অপশক্তি ঘাপটি মেরে বসে আছে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে। আমাদের এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এই অপশক্তিই গ্রেনেড হামলা করে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তারা আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিতে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলো। এখন তারাই আবার গণতন্ত্রের কথা বলে বেড়ায়। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন একটি রোডম্যাপ দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সকলকে নির্বাচনে আসতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী দেশে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কোন হাগডাগ দিয়ে লাভ হবে না।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, তারা পল্টনে বসে হুংকার দেয়, তাদের এই হুংকার গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেলের মত। তাদের হুংকারে জনগণ ভয় পাবে না। এই বাংলার জনগণ তাদের জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির কথা ভূলে নাই। আবার কোনো দেশবিরোধী কাজ করতে আসলে জনগণই তাদের ঠেকাবে।ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান লাভলুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হাজী আবুল হোসেনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহিসহ প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২


বিএনপির সমাবেশস্থলে লাঠিসোঁটা নিয়ে ক্ষমতাসীনদের অবস্থান

বিএনপির সমাবেশস্থলে লাঠিসোঁটা নিয়ে ক্ষমতাসীনদের অবস্থান

রাজধানীর মিরপুরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।বিএনপি নেতাদের দাবি, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিরপুরে তিনটি স্থানে সমাবেশ করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুপুর ১টার দিকে মিরপুর-৬ কাঁচাবাজারের সামনে মঞ্চ তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। অনুমতি পাওয়ার পর মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চারদিক থেকে হামলা শুরু করে। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে পুলিশ থাকলেও তারা আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলা ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির সমাবেশের জন্য অস্থায়ী মঞ্চ তৈরিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এ ঘটনায় মিরপুর-৬ সড়কে ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে ধীরে-ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে দাবি করে আমিনুল হক বলেন, ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ও গুলি নিক্ষেপ করেছে।ঘটনার বিষয়ে জানাতে ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতারা ডিএমপি কমিশনারের অফিসে যাচ্ছেন বলেও জানান আমিনুল হক।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২


বিএনপি পরাজয়ের ভয়ে আক্রান্ত, তাই নির্বাচনে আসতে চায় না : কাদের

বিএনপি পরাজয়ের ভয়ে আক্রান্ত, তাই নির্বাচনে আসতে চায় না : কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনও খালি মাঠে গোল দিতে চায় না। আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। সরকার সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিশ্বাসী। নির্বাচনে অংশ নেয়া সব দলের রাজনৈতিক অধিকার। কিন্তু বিএনপি পরাজয়ের ভয়ে আক্রান্ত, তাই নির্বাচনে আসতে চায় না।সরকার জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চায় না, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই নির্বাচনকে ভয় পায়। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা নিয়ে তাদের যত ভয়। বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দ্বিধাগ্রস্ত।বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।বর্তমানে খালেদা জিয়া, তার অবর্তমানে তারেক রহমান বিএনপির সর্বোচ্চ নেতা- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সেতুমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত, আর যার নেতৃত্বে বিএনপি সুসংগঠিত বলে মির্জা ফখরুল দাবি করেন সেই তারেক রহমান তো দুর্নীতির বরপুত্র, দণ্ডিত পলাতক আসামি।কাদের বলেন, রাজনীতি না করার শর্তে যিনি (তারেক রহমান) মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন, দলের বিপদ দেখেও এমন পলায়নপ্রিয় আর পলাতক আসামি কীভাবে বিএনপির নেতা হয়?আওয়ামী লীগ নাকি সন্ত্রাসী দল, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশ-বিদেশে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল। কানাডার আদালতেও বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সংগঠন এবং জনগণের আস্থার ঠিকানা, এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকার এবং আওয়ামী লীগের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। সন্ত্রাস তারাই করে, যারা জনবিচ্ছিন্ন এবং আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ। জনকল্যাণে যাদের কোনো ইতিবাচক কর্মসূচি থাকে না তারাই সন্ত্রাস-ষড়যন্ত্রকে ক্ষমতার যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়। বিএনপিও তাই করছে।নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিশনকে তারা বিতর্কিত করতে চায়। নির্বাচন ব্যবস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যমূলক অপতৎপরতা চালায় বিএনপি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২


তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই, এটি এখন জাদুঘরে : কাদের

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই, এটি এখন জাদুঘরে : কাদের

বিএনপি আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করবে কিন্তু তাদের আন্দোলনের নেতা কে এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির আন্দোলনেরও নেতা নেই, নির্বাচনেও নেতা নেই।বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আগামী জাতীয় নির্বাচন পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মত বাংলাদেশেও যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।তত্তাবধায়ক সরকারের দুঃস্বপ্ন দেখে কোন লাভ নেই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।বিএনপি জাতীয় সরকার গঠন করবে কিন্তু ঐ সরকারের নেতা কে তা কেউ জানে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন মির্জা ফখরুল বড় বড় কথা বলেন, ঢাল নাই, তলোয়ার নাই, নিধিরাম সর্দার।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিএনপির সকল বিষোদগার আর অপপ্রচারের জবাব দেওয়া হবে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের মাধ্যমে।বিএনপি যদি আবারও আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নামে তাহলে জনগণকে নিয়ে কঠোরভাবে তার জবাব দেওয়া হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন আওয়ামী লীগ কখনো আক্রমণ করবে না কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত আক্রান্ত হই,আক্রান্ত হলে এর জবাব দিতে প্রস্তুত।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন দলের মধ্যে অন্তঃকলহ দুর করতে হবে, দলের দুঃসময়ের ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে।তিনি আরো আওয়ামী লীগে বসন্তের কোকিলদের নেতা বানানো যাবে না।দলের দ্বন্দ্ব চিরতরে পরিহার করতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন দল যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকে তাহলে নির্বাচনে সফলতা আসবে না, তাই অবশ্যই দলের ভিতরে দ্বন্দ্ব দুর করতে হবে।আওয়ামী লীগ রাজপথ থেকে এসেছে, রাজপথে আসে - যতই দুঃসময় আসুক রাজপথে থাকবে এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন কাজেই আওয়ামী লীগকে রাজপথের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২


আ.লীগের সকল পদ থেকে বাদ পড়লেন পঙ্কজ দেবনাথ

আ.লীগের সকল পদ থেকে বাদ পড়লেন পঙ্কজ দেবনাথ

বরিশাল জেলা শাখা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বরিশাল-৪ আসনের (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।শনিবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরে একটি অব্যাহতিপত্র পঙ্কজ দেবনাথকে দেয়া হয়েছে।অব্যাহতিপত্র পাওয়ার তথ্য রবিবার সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন নানা অনিয়মে দলের মধ্যে কোণঠাসা হয়ে পড়া এমপি পঙ্কজ দেবনাথ।তিনি বলেন, আমাকে বহিষ্কার করা হয়নি। আমাকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। এই চিঠি আমিও পেয়েছি। কিন্তু কেন দিয়েছে তা আমি জানি না। জানার চেষ্টা করছি।পঙ্কজ দেবনাথকে দেয়া চিঠিতে লেখা হয়-‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অর্পিত ক্ষমতাবলে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আপনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বরিশাল জেলা শাখার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদসহ দলীয় অন্যান্য সকল পদ হতে অব্যাহতি প্রদান করেছে। উক্ত বিষয়ে আপনার লিখিত জবাব আগামী পনের (১৫) দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তর বিভাগে জমা প্রদান করার জন্য সাংগঠনিক নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’এর আগে ক্যাসিনোকাণ্ডে নাম আসার পর ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথকে সংগঠনের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৭ বছর ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন তিনি।গেল জুলাই মাসে বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের সঙ্গে এক পুলিশ কর্মকর্তার কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে তাকে প্রয়োজনে মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কামাল উদ্দিন খানকে কোপানোর নির্দেশনা দিতে শোনা যায়।এছাড়াও সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও নৈরাজ্যের অভিযোগও আছে। ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য, দুর্নীতি, দখল সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, জমি দখল এবং অবৈধভাবে অর্থ সম্পদ অর্জনসহ ১৬টি অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন সঞ্জয় চন্দ্র নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা।এর এক বছর আগে ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যোগসাজশসহ নানা অনিয়ম-নৈরাজ্যের অভিযোগ আনেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সাগরসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২


মির্জা ফখরুলের ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও উস্কানিমূলক’ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ

মির্জা ফখরুলের ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও উস্কানিমূলক’ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীকে এখন নতুন করে প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে বিএনপি। তারা এখন পুলিশ বাহিনীকেও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘৃণ্য মিথ্যাচার, রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও উস্কানিমূলক মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই বিবৃতিটি দেওয়া হয়।ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীকে এখন নতুন করে প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে বিএনপি। পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে মর্মে মির্জা ফখরুল যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন- এই থেকে প্রমাণ হয়, তারাই তথাকথিত নিষেধাজ্ঞা ষড়যন্ত্রের হোতা। তারাই র‍্যাবের কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছিল। এখন পুলিশ বাহিনীকেও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।বিএনপি অতীতের ভুলের মাশুল দিচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, পুলিশের ওপর হামলা করবে আর পুলিশ কি চেয়ে থাকবে? রাষ্ট্রের জনগণ ও জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ কি বিধিবদ্ধ দায়িত্ব পালন করবে না? হত্যা, ষড়যন্ত্র আর সন্ত্রাসের রাজনীতির প্রতিফল ভোগ করছে বিএনপি। তারা এখনও অতীত থেকে শিক্ষা নেয়নি। অতীতের ভুলের মাশুল দিচ্ছে। এখনও যদি গণতন্ত্রের পথে ফিরে না আসে, তাহলে ব্যালটের মাধ্যমে জনগণ তার জবাব দেবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২


বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের স্থিতিশীলতা একান্ত অপরিহার্য- হুইপ স্বপন

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের স্থিতিশীলতা একান্ত অপরিহার্য- হুইপ স্বপন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, বাংলাদেশ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এখন প্রধান লক্ষ্য। এই লক্ষ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সকল রাষ্ট্রকে প্রধান এজেন্ডা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ সমগ্র বিশ্বের মানব সমাজের ওপর এক অভিশাপ হিসেবে নেমে এসেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এতোবড় আপদ মানব জাতির ওপর নেমে আসে নি। উদ্ভুত টালমাটাল পরিস্থিতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য টিকে থাকার সংগ্রাম অত্যন্ত কষ্টকর ও চ্যালেঞ্জিং। এই অবস্থায় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের স্থিতিশীলতা একান্ত অপরিহার্য। স্থিতিশীলতা ব্যতীত বিশ্ব সঙ্কট মোকাবেলা করে টিকে থাকা এবং মানবকল্যাণের অগ্রযাত্রা এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী মিয়ানমার তাদের অভ্যন্তরীণ সঙ্কট মোকাবেলা করতে গিয়ে আমাদের সীমান্তে গুলি ছুড়েছেন। তারা সংযত না হলে এহেন কর্মকান্ড আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবে। মগের মুল্লুকের এই ধরণের উস্কানি এই অঞ্চলের জনগণের জন্য ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনবে। বাঙালি জীবন দিয়ে রক্তবিধৌত স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বাঙালী প্রতি ইঞ্চি মাটির সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সক্ষম। বাঙালীর ধৈর্য্য ও সহনশীলতাকে দূর্বলতা না ভেবে সম্মান করুন।স্থানীয় মডেল স্কুল খেলার মাঠে জনাব মাস্টার জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনাকীর্ণ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, উপ প্রচার সম্পাদক আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম আমিন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, আব্দুর রহমান বদি সাবেক এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা সাইমুম সারোয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, ব্যরিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া, এডভোকেট রঞ্জিত দাস, মাহবুবুর রহমান, ইউনুস বাঙালী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন আলহাজ্ব নুরুল বশর।সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সর্বসম্মতিক্রমে বিদায়ী কমিটির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল বশর সভাপতি এবং বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জনাব মাহবুব মোর্শেদ সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২


আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতার জন্য বিদেশিদের কাছে ধর্না দেয়না : কাদের

আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতার জন্য বিদেশিদের কাছে ধর্না দেয়না : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতার জন্য বিদেশিদের কাছে ধর্না দেয়না।বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আস্থাপূর্ণ হওয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আজ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন। বিএনপি দেশ ও জনগণের স্বার্থে প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি নেতারা এই ব্যর্থতা আড়াল করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে নানান অপপ্রচারে লিপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাকি আবারও ক্ষমতায় থাকতে ভারতে গিয়েছিলেন,- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে বলেন বিদেশি কোনো রাষ্ট্র বা সংস্থা কাউকে ক্ষমতায় বসাবে এমন উদ্ভট কথা আপনারা বিশ্বাস করলেও আমরা করি না। তিনি বলেন ক্ষমতায় কে থাকবে সেটা নির্ভর করে দেশের জনগণকে ওপর, জনগণই আমাদের আস্থার ঠিকানা এবং ক্ষমতার উৎস। আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতার জন্য বিদেশিদের কাছে ধর্না দেয়না এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে, কোনো প্রভু নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন আওয়ামী লীগ দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে, জনকল্যাণই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য।জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের ওপর খুশি, সেকারণেই জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের, বলেন জনগণের ওপর আওয়ামী লীগের আস্থা শতভাগ। জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সাথে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।ভারত নাকি আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর খুশি নয়, বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য কি তিনি শুনেছেন? ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত এবং ৭১'এর চেতনায় বিশ্বাসীদের সাথে থাকবে ভারত।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব কি বুঝলেন? এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দুঃসময়ের, ভারত আমাদের দুঃসময়ের পরীক্ষীত বন্ধু। ২১ বছর বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ভারতের সাথে বৈরি সম্পর্ক বিএনপিসহ যারা করেছিল তারা বাংলাদেশেরই বেশি ক্ষতি করেছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা অনুভব করেছিলেন যে ভারতের সাথে বৈরিতা করে আমাদের ক্ষতি হয়েছে বেশি এবং সে কারণেই ২১ বছরের যে সংশয়, অবিশ্বাসের দেয়াল- তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিমান্ত সমস্যার বাস্তবায়ন এবং ছিটমহল বিনিময়সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২


‘বর্তমান বাস্তবতায় জনগণের বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই দিয়েছে ভারত’

‘বর্তমান বাস্তবতায় জনগণের বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই দিয়েছে ভারত’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান বাস্তবতায় জনগণের বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই দিয়েছে ভারত।তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার ভারত সফরকে কেন্দ্র করে বিএনপি গুজব ছড়াচ্ছে। বিএনপি নেতারা যদি হাতের তালু দিয়ে চোখ ঢেকে রাখে তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কোন অর্জন দেখতে না পাওয়ারই কথা বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) তাঁর বাসভবনে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন ।তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হলেও বিএনপির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি, কারণ তারা চায় প্রতিবেশীর সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে।প্রকাশ্যে বৈরিতা দেখিয়ে আবার দূতাবাসের দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকাই বিএনপির রাজনীতি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন তারা দু-দেশের মধ্যে গড়ে তুলেছে সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল,ছড়িয়েছে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প।বিএনপি তাদের শাসনামলে দ্বিপাক্ষিক কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেনি এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে রচনা করেছেন উভয় দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন।তারই ধারাবাহিকতায় এবারের সফরও পারস্পরিক বন্ধুত্ব এবং উন্নয়নের পথরেখায় সম্ভাবনার নতুন আলো ছড়িয়েছে।বিএনপি নাকি সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না, - মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন প্রকৃতপক্ষে দেশের মানুষ জানে বিএনপির বসবাস সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্রের সাথে।বন্ধুকের নলের মুখেইতো বিএনপির জন্ম।আন্দোলনের নামে জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা, পেট্রোল বোমা আর সন্ত্রাস কাদের সৃষ্টি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন সন্ত্রাস সাম্প্রদায়িকতা আর ষড়যন্ত্র এই তিনটি নিয়েই বিএনপির রাজনীতি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২


আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলায় সব ফয়সালা হবে : ওবায়দুল কাদের

আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলায় সব ফয়সালা হবে : ওবায়দুল কাদের

আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলায় ফয়সালা হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলন আন্দোলন করতে করতে মির্জা ফখরুল সাহেবের গলা শুকিয়ে ফেলছেন। কিন্তু মরা নদীতে জোয়ার আসে না। জোয়ার কি আসবে কখনও? নেতাকর্মীর আন্দোলন দিয়ে ইতিহাসে সরকার হটানো যায় না। এখনও আপনাদের সঙ্গে নেতাকর্মীর বাইরে জনগণ যোগদান করেনি, কোন মুখে বলেন ফয়সালা হবে। হবে, হবে, ফয়সালা হবে। ফয়সালা হবে আগামী নির্বাচনে। তখন দেখা যাবে কে হারে কে জেতে।শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতিতে একটা সংকটময় অবস্থা চলছে। সারা বিশ্বেই অস্থিরতার মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনিই প্রথম সরকার প্রধান যিনি বলেছেন আমাদের মানুষ কষ্টে আছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কষ্টে আছে। তার মানে বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তারপরও এখানে আন্দোলনের হাঁক ডাক শোনা যায়। । তিনি বলেন, রাজপথে এখন কি চক্রে আছেন আমরা জানি। ট্যামস নদীর ওপার থেকে দণ্ডিত অর্থপাচারকারী, অপরাধী যুবরাজ হাঁক ডাক দিচ্ছে। সেই ডাকে ট্যামস নদীতে ঢেউ উঠেছে কি-না? জানি না। তবে পদ্মা মেঘনা, যমুনায় ঢেউ নেই। বিএনপির শুকন নদীতে জোয়ার আর আসে না। চিৎকার যত পারেন করুন ফয়সালা হবে। আমিও বলছি ফয়সালা হবে। ফয়সালা হবে নির্বাচনে। আগামী নির্বাচনে ফয়সালা হবে।বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, রাজপথে হুমকি দিয়ে লাশ ফেলতে চান? আপনারা লাশ ফেলার দুষ্ট চক্রে আবদ্বিত। লাশ ফেলে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো আন্দোলনে ফয়সালা বিরোধী দল করতে পারেনি। সরকার হটাবেন? জনগণ সাড়া দেক, দেখি না। এখনও কোথাও জনগণ সাড়া দেওয়ার কেউ নেই। জনগণ কারো সাথে মারামারি করে না। আপনাদের আন্দোলন মানেই হচ্ছে নিজেরা নিজেরা মারামারি। আপনাদের বিক্ষোভ মানেই হচ্ছে পুলিশের দোষ, পুলিশের ওপর হামলা। পুলিশের ওপর হামলা পুলিশ আত্মরক্ষা করবে না?তিনি বলেন, আপনাদের হাতে রক্তের দাগ। মির্জা ফখরুল আপনাকে সতর্ক করে দিতে চাই। আপনাদের হাতে রক্তের অনেক দাগ। ২১ হাজার আওয়ামী লীগ কর্মী, আহসান উল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, শাহ এ এম এস কিবরিয়া, এদের রক্তে আপনাদের হাত রঞ্জিত। আমরা আপনাদের কাউকে হত্যা করিনি। হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না। আমাদের নেত্রী ২০ বার হত্যার টার্গেটে পড়েছেন, কিন্তু খালেদা জিয়াকে কেউ মারতে যায়নি। কাকে অপবাদ দেন?তিনি বলেন, যখনই আইনমন্ত্রী বললেন কমিশন হবে, সঙ্গে সঙ্গেই বলে কি জিয়াউর রহমান হত্যার কমিশন হবে। এ কমিশন ক্ষমতায় গেলে হবে, কবে? ক্ষমতায় যখন ছিলেন তখন কেন করলেন না? তাহলে নিশ্চই আপনাদের মধ্যেও অনেকেই আছেন জিয়াউর রহমানকে হত্যার পেছনে দূরবিসন্ধিও আছে, চক্রান্তও আছে। তানা হলে কেন কমিশন করলেন না। লাশের কাহিনীও সবাই জানে। আমার প্রশ্নের জবাবে ফখরুল সব সময় নিরুত্তর।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২


এদেশে জামায়াতের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই : হানিফ

এদেশে জামায়াতের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই : হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বলেছেন, জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে গণহত্যাসহ সব ধরনের অপরাধ করেছিল। বিচারে অনেক শীর্ষ নেতা মৃত্যুদন্ডিত হয়েছেন, রায় কার্যকর হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে অনেক আগেই জামায়াতের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল। এটা না করে অনেক আগেই তারা এ রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। আর কোনোদিনই এই দলটি এ দেশে রাজনীতি করতে পারবে না। তবে এই দলের কোনো নেতা কী নামে রাজনীতি করবে তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু জামায়াতের আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশে আর রাজনীতি করার সুযোগ নেই। আজ সন্ধায় কুষ্টিয়া শহর ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত মাসব্যাপী ১১টি ইউনিয়ন ও ২১টি ওয়ার্ডে শোক সভার সমাপনী দিনে পৌর ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আয়োজিত শোক সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেন, ৭৫’র ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ওই মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা এ দেশে পাকিস্তানের শাসন কায়েম করতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, এ দেশে ধর্মের নামে অধর্মের কাজ করবে, নাশকতা করবে এটাকে বরধাশত করা হবে না। আলোচনা সভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ ১৫ আগষ্ট নিহত সকল শহীদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইনতাজুল ইসলাম ও কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবু।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ আগস্ট ২০২২


বঙ্গবন্ধু কন্যা তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন : কাদের

বঙ্গবন্ধু কন্যা তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বোঝেন । তিনি জনগণের পাশে রয়েছে বলেই তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন।এর আগে গতকাল ডিজেল-অকটেন-পেট্রল-কেরোসিনের দাম লিটারে ৫ টাকা করে কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সোমবার রাত ১২টা থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকালে তার বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।‘সরকার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার কেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে? সরকার চায় জনগণের স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা। প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে।বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দেয়নি, এখনও দিচ্ছে না উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির দুঃশাসনের ভয়াবহতা এখনও দেশ ও জাতি ভুলে যায়নি।তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আবারও দেশে নৈরাজ্য তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তাদের কথিত আন্দোলনে জনসমর্থন না থাকায়, তারা সন্ত্রাস নির্ভর হয়ে পড়েছে।জনগণের সম্পদ এবং স্বস্তি নিশ্চিতে বিএনপিকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের পথ পরিহারের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে। এসব স্বপ্ন দেখে লাভ নেই।কথা দিয়ে কথা না রাখা বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যা বলেন, করেন তার বিপরীত। নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ভোটধিকার নিয়ে কথা বলে— অথচ এর সবকটি তাদের হাতে ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির দ্বিচারিতা দেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট।ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও জনমুখী রাজনীতি বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। তাই বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতা দখলের পায়তারা করছে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি কাকে বলে তা অতীতে প্রমাণ করতে পারেনি, আমরা রাজনৈতিকভাবে সব কর্মসূচি মোকাবিলা করব। কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে তা জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকার কঠোরভাবে দমন করবে।তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন মানে সহিংসতা, জনগণের সম্পদে আগুন দেওয়া, তাই তাদের কোনো অপকর্ম আওয়ামী লীগ বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ আগস্ট ২০২২