আওয়ামী লীগ


বিএনপি নেতাদের কথায় সরকারের পতন হবে না : কাদের

বিএনপি নেতাদের কথায় সরকারের পতন হবে না : কাদের

`সরকার পতনের যে অলীক স্বপ্ন বিএনপি নেতারা দেখছেন ও কর্মীদের দেখাচ্ছেন তা বাস্তবে কখনো ঘটবে না। জনগণ যতদিন চাইবে, শেখ হাসিনা সরকার ততদিন ক্ষমতায় থাকবে। বিএনপি নেতাদের কথায় সরকারের পতন হবে না।’শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিবের ‘ভিত্তিহীন, আজগুবি ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, অপরিণামদর্শী বিএনপি নেতারা বৈশ্বিক সংকটের বাস্তবতা অনুধাবন না করেই গলার জোরে কথা বলছেন ও জনগণের কষ্টকে পুঁজি করে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছেন।‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট সংকট বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের সব দেশই এ সংকট মোকাবিলা করছে ও আগামীতে সংকট গভীরতর হলে তা কীভাবে মোকাবিলা করবে তার দিশা খুঁজছে, অথচ বিএনপি মহাসচিব এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করছেন।সরকারের পদত্যাগের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করেন- এ সংকটে কি তাহলে বিশ্বের সব দেশের প্রধানমন্ত্রীই পদত্যাগ করবেন?তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে বিশ্বমন্দার আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। বিশ্বব্যাপী এ সংকট আমাদের সৃষ্ট না হলেও, তার প্রভাব আমাদের দেশের ওপর পড়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দূরদর্শী বলেই, আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। বেশি করে খাদ্য উৎপাদনের কথা বলেছেন।আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন হবে- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, একযুগেরও বেশি সময় ধরে বিএনপি মহাসচিব তাদের হতাশ নেতাকর্মীদের চাঙা করতে এমনটা বলে যাচ্ছেন। কিন্তু শকুনের দোয়ায় যেমন গরু মরে না, তেমনি বিএনপির দোয়াতেও সরকারের পতন হবে না।‘সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’ ঘোষণা করায় বড় সর্বনাশ হয়েছে। জনগণের বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে’- বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে বলেন, ফখরুল সাহেব হয়তো জানেন না, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, কোরিয়া ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো চিহ্নিত করা আছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ অক্টোবর ২০২২


বিএনপি এখন গণঅভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্ন দেখছে : ওবায়দুল কাদের

বিএনপি এখন গণঅভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্ন দেখছে : ওবায়দুল কাদের

নির্বাচনে হেরে যাবার ভয়ে বিএনপি এখন আন্দোলনের নামে সরকার হঠানোর চক্রান্ত করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিএনপি এখন গণঅভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্ন দেখছে।আগুন নিয়ে খেললে এর পরিণতি শুভ হবে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ রাজধানীর সেতু ভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে একথা বলেন।বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশের ডাক দেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের যে কোন শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন তবে আন্দোলনের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করলে মানুষের জান-মাল রক্ষায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দিবে।তিনি বলেন আওয়ামী লীগ সংযমী তবে রাজপথে সতর্কতার সাথে প্রস্তুত রয়েছে । গণঅভ্যুত্থান আর আন্দোলনের ভয় বিএনপি গত ১৪ বছর ধরে দেখিয়ে আসছে এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন তাদের এসব তর্জন-গর্জন মিডিয়া আর ফেসবুকে সীমাবদ্ধ। একথা বাংলাদেশের জনগণ ভালোই জানে।বাস্তবতার সাথে বিএনপি নেতাদের কোন সম্পর্ক নেই উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের, বলেন বস্তুত দেশে গণঅভ্যুত্থানের মত বস্তুগত পরিস্থিতি বিদ্যমান নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ অক্টোবর ২০২২


‘জনগণই নির্ধারণ করবে কে ক্ষমতায় থাকবে আর কে থাকবে না’

‘জনগণই নির্ধারণ করবে কে ক্ষমতায় থাকবে আর কে থাকবে না’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন ভোটের রাজনীতিতে হেরে যাবার ভয়ে বিএনপি দেশের উন্নয়ন নিয়ে মিথ্যাচার করছে।তিনি আজ তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে একথা বলেন।শেখ হাসিনা সরকার নাকি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চেয়ে বলেন পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল, গভীর সমুদ্র বন্দর, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এক্সপ্রেসওয়ে, ছয় লেন মহাসড়ক নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, সমুদ্র বিজয়, সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান - এসব করে কি সরকার দেশের ক্ষতি করেছে?ওবায়দুল কাদের বলেন আসলে এতসব উন্নয়ন ও অর্জনে দেশের ক্ষতি হয়নি, ক্ষতি হয়েছে বিএনপির।শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনে বাংলাদেশের মর্যাদা এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিএনপির রাজনীতিতে সংকটের কালো ছায়া ফেলেছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদাক।ক্ষমতার পরিবর্তন চাইলে বিএনপিকে নির্বাচন প্রতিরোধ ও প্রতিহতের ঘোষণা না দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে বলেন অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যাবার ষড়যন্ত্র পরিহার করুন এবং আগামী নির্বাচনে জনগণই নির্ধারণ করবে কে ক্ষমতায় যাবে আর কে যাবে না।ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আরো বলেন আপনাদের কাউকে সরিয়ে দিতে হবে না, জনগণ না চাইলে নির্বাচনই ঠিক করবে কে সরবে আর কে সরবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ অক্টোবর ২০২২


অগণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চায় বলেই বিএনপি অপতৎপরতা চালাচ্ছে : কাদের

অগণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চায় বলেই বিএনপি অপতৎপরতা চালাচ্ছে : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন অনির্বাচিত ও অগণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চায় বলেই বিএনপি নেতারা নির্বাচনী ব্যবস্থা এবং সংবিধান নিয়ে তাদের অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক ও বেআইনি বক্তব্য প্রদান করছে, আর জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে ।তিনি আজ এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে একথা বলেন। তিনি বলেন বাংলাদেশের স্বৈরতান্ত্রিক জিয়াউর রহমান ও এরশাদ নিজেদের স্বার্থে দখলকৃত ক্ষমতাকে সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়ার জন্য সংবিধান সংশোধন করেছিলো।সংবিধানের সেই সমস্ত সংশোধনী দেশের উচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন তাঁর বিবৃতিতে বলেন এখন সেই জায়গায় যাওয়ার আর কোন সুযোগ নেই। বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন এখন সংবিধান বিরোধী বক্তব্য যারা দিচ্ছে তারা একটি অগণতান্ত্রিক এবং অনির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা দেখতে চায়।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন , সংবিধান এবং নির্বাচনী ব্যবস্থা ব্যক্তি বিশেষের খেয়াল খুশি মতো চলে না, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশের পন্থা অনুসরণ করেই নির্বাচনী ব্যবস্থা নির্ধারণ করা হয়েছে।ওবায়দুল কাদের বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সবসময় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থা প্রত্যাশা করে।শেখ হাসিনা সর্বদা নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়ে আসছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন আওয়ামী লীগ কখনো ফাঁকা মাঠে মাঠে গোল দিতে চায় না। আওয়ামী লীগ চায় দেশের সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুক, এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন পাশাপাশি ভোটের রায় গ্রহণ করার মানসিকতা গড়ে তুলুক।তিনি আরও বলেন ভোটের রায় পক্ষে না গেলে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মানসিকতা পরিহার করতে হবে।বিএনপি তো হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না,আর করলেও তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে অংশগ্রহণ করে এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশ্য যদি এমন হয় তাহলে তো কখনোই গণতন্ত্র টেকসই হবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ অক্টোবর ২০২২


১০ ডিসেম্বরের পরে তারেক রহমানের কথায় দেশ চলবে : আমান উল্লাহ আমান

১০ ডিসেম্বরের পরে তারেক রহমানের কথায় দেশ চলবে : আমান উল্লাহ আমান

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায় দেশ চলবে। আর কারো কথায় দেশ চলবে না।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে সেগুনবাগিচায় আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।নেতা-কর্মীদের প্রাণ দিতে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে আমরা শহীদ হবো কিন্তু বাংলাদেশে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। এই সরকারের বিদায় ঘটিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো।আমান উল্লাহ বলেন, নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো, লোডশেডিং বন্ধ ও জনগণকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে আমাদের ঘোষিত কর্মসূচিতে আমাদের ৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে গুলি করে।রাজপথে ফয়সালা হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ৫ জন রক্ত দিয়েছে। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে তারা বলেছে, 'আমাদের রক্তের ঋণ তখনই শোধ হবে যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে, যখন জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।' ৫ জন কেন, যদি ৫ হাজারও শহীদ হতে হয়; এই দেশে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আমান বলেন, প্রস্তুতি নিন, কর্মসূচি আসছে; কাঁচপুর ব্রিজ, টঙ্গী ব্রিজ, মাওয়া রোড, আরিচা রোড, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া—সারা বাংলাদেশ বন্ধ করে দেবেন। এই বাংলাদেশ চলবে না। আগামী ১০ ডিসেম্বরের পরে বাংলাদেশ চলবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায়। এর বাইরে দেশ চলবে না কারো কথায়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ অক্টোবর ২০২২


বিএনপি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের অভিন্ন প্লাটফর্ম: কাদের

বিএনপি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের অভিন্ন প্লাটফর্ম: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের অভিন্ন প্লাটফর্ম। তিনি আজ তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন। বিএনপি এদেশের জন্য রক্ত দেয়নি বরং তারা মানুষের রক্ত নিয়েছে, শোষণ করেছে স্বস্তি দেয়নি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপির হাতে এদেশ নিরাপদ নয়, দেশের মানুষকে মুক্ত করার নামে তারা শৃংখল পরানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি বলেন বিএনপি অতীতে গণতন্ত্রকে শৃংখলিত করেছে,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার আদর্শকে শৃংখলিত করেছে। দেশের স্বাধীনতাকে বিএনপি ক্ষমতার জন্য ব্যবহার করেছে। হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর রক্তে রঞ্জিত বিএনপির হাত এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন বিএনপি এখন গণতান্ত্রের কথা বলে, গণতন্ত্র আর স্বাধীনতার শত্রুদের নিয়ে নাকি তারা দেশ উদ্ধার করবে।আসলে বিএনপি দেশ ধ্বংসের এজেন্ডা নিয়ে এসেছে, তারা সকল পরাজিত অপশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে- এমন জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন কিন্তু দেশপ্রেমিক জনগণ আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি ও তার দোসরদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিবে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ।আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে জেলা পরিষদ নির্বাচন, এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলার জন্য দলীয় সাংসদ সদস্য ও নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ অক্টোবর ২০২২


বিএনপি জাতির জন্য বড় বোঝা : কাদের

বিএনপি জাতির জন্য বড় বোঝা : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার নয়, বিএনপিই দেশের জন্য বড় ধরনের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে । তিনি আরও বলেন, একটি দায়িত্বহীন এবং ব্যর্থ বিরোধীদল হিসেবে বিএনপি জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে আছে।তিনি আজ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ব্রিফিংকালে এ একথা বলেন। বিদ্যুৎতের জাতীয় গ্রীডে ট্রিপ করা একটি টেকনিক্যাল বিষয়,যে কোন সময় এমন ঘটতে পারে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও গ্রিড ট্রিপ করে।কিন্তু দেখার বিষয় হচ্ছে কত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়।তিনি বলেন গ্রিড বিপর্যয়ের পর গত মঙ্গলবার কয়েক ঘন্টার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয় সরকার। ২০০৩ সালে বিএনপির শাসনামলে ন্যাশনাল গ্রিডে বিপর্যয় ঘটলে তা পুনরুদ্ধারে কয়দিন সময় লেগেছিল? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিবের কাছে এর জবাব দেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন ঘন্টার পর ঘন্টা,দিনের পর দিন বিএনপির শাসনামলে বিদ্যুৎ ছিল না,সে ইতিহাস কি বিএনপির মনে আছে? বিদ্যুৎখাতে বিএনপি জাতিকে দীর্ঘমেয়াদী অমানিশার আঁধার উপহার দিয়েছিল, উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি দুর্নীতির অভিযোগ করে,সরকারের অন্ধ সমালোচনা করে - অথচ বিদ্যুৎ খাতে বিভিন্ন প্রকল্পে দাতা সংস্থার অর্থায়নে থাকায় সরকারের পাশাপাশি দাতা সংস্থাও এ বিনিয়োগ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রাখেন।এতে অনিয়ম দুর্নীতির কোন সুযোগ নেই। যারা অন্তরে যা ভাবেন,তা মুখে প্রকাশ পায় বলে বিএনপি'র মুখে সব সময় অনিয়ম, দুর্নীতির কথা শোভা পায় বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন বিএনপির কাজ হলো বাঁকা পথে চলা,অসত্য তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়ানো। বিএনপির রাজনীতি বিদ্যুৎবিহীন খাম্বার মতো আশাহীন ও অন্তঃসারশূন্য । ওবায়দুল কাদের বলেন আওয়ামী লীগ নয়, প্রকৃতপক্ষে বিএনপির হাতে দেশ নিরাপদ নয়, তারাই দেশকে এবং দেশের সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবছর শারদীয় দুর্গোৎসব অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন শেখ হাসিনা সরকারের নিবিড় তদারকির কারণে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি কোন অঘটন ঘটাতে পারেনি।তিনি বলেন একারণেই বিএনপির মনের জ্বালা আরো বেড়ে গেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ অক্টোবর ২০২২


আ.লীগ ভোটের অধিকার ও কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে : মির্জা ফখরুল

আ.লীগ ভোটের অধিকার ও কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে : মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে প্রথম থেকেই দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন,আওয়ামী লীগ ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই অবস্থার মধ্যে আজ দুর্গোৎসব উদযাপিত হচ্ছে। দেবী দুর্গার আবির্ভাবে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক। তারা (আওয়ামী লীগ) গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করার কাজ করেছে। গত কয়েক বছরে দেশের অনেক গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে।সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাসভবনে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।ফখরুল বলেন, সারা দেশের মানুষকে একটি দানব সরকার নির্যাতন করছে। অনেক দুঃখ কষ্টের মধ্যেও আমরা আজ এই অশুভ শক্তিকে পরাজিত করার শপথ নেব।আমরা বাংলাদেশের মানুষরা সব সময় অসাম্প্রদায়িক দেশ নির্মাণে কাজ করেছি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই একযোগে যুদ্ধ করেছিলাম। পরবর্তীতে সেটার জন্য কাজ করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমাদের সেই যে আশা-আকাঙ্ক্ষা, তা আর দেখছি না।খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে দাবি করে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করা হয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ অক্টোবর ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

'ইডেন কলেজকে ছাত্রলীগের হাতে ছেড়ে দিয়েছে, যা ইচ্ছে করো'

'ইডেন কলেজকে ছাত্রলীগের হাতে ছেড়ে দিয়েছে, যা ইচ্ছে করো'

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘যারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে অবৈধভাবে কবজা করে, যারা দিনে ভোট করার সাহস পান না, তারা তো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শান্তিপূর্ণভাবে চলুক সেটা চান না। তারা ইডেন কলেজকে ছাত্রলীগের হাতে ছেড়ে দিয়েছে, যা ইচ্ছে করো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে ছেড়ে দিয়েছে। তারা সেখানে হলগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। সেখানে কোনো ভবন নির্মাণকাজ হলে সেগুলো থেকে চাঁদা দাবি করে ছাত্রলীগ।’ সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।‘ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের নজিরবিহীন কেলেঙ্কারি ও সারা দেশে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে’ আয়োজিত এ মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।রুহুল কবির রিজভী বলেন, অনেকেই বলেন এই আওয়ামী লীগ আর সেই আওয়ামী লীগ নেই। তাঁর প্রশ্ন, আওয়ামী লীগ কবে ভালো ছিল?’বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে দেখেছি লাল বাহিনী, নীল বাহিনী, সবুজ বাহিনী। রক্ষী বাহিনীর কথাও জানি। এখন আমরা দেখছি ছাত্রলীগ বাহিনী, যুবলীগ বাহিনী, হেলমেট বাহিনী, হাতুড়ি লীগ। সঙ্গে পুলিশ-র‌্যাব তো আছেই। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ইডেন কলেজে যা হচ্ছে তা অবর্ণনীয় ও ন্যক্কারজনক।’ সরকার ছাত্রলীগকে খুনি বানাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ অক্টোবর ২০২২


অশুভ চক্র ভারত সরকারকে বার্তা দিতে চায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা আ.লীগ করে : কাদের

অশুভ চক্র ভারত সরকারকে বার্তা দিতে চায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা আ.লীগ করে : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি অশুভ চক্র হিন্দুদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভারত সরকারকে বার্তা দিতে চাইছে যে কাজটা আওয়ামী লীগ করে। আওয়ামী লীগের হাতে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়। এই অশুভ চক্রের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।আজ রোববার সকালে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠে পূজামণ্ডপে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা।ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালান, তারা কোনো দলের নয়, তারা দুর্বৃত্ত। তিনি বলেন, ‘পূজা কমিটি আমাদের বলেছে, সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হয় না। কেন বিচার হবে না? বাংলাদেশে কত অপরাধীর বিচার শেখ হাসিনা করেছেন। এমনকি নিজের দলের লোকেরাও জেলে আছে। কাজেই যারা হিন্দুদের মন্দির, বাড়িঘর, মণ্ডপে হামলা করে, যে পরিচয়ই হোক, এই দুর্বৃত্তদের ক্ষমা নেই। এদেরকে বিচারের সম্মুখীন করতেই হবে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির স্বার্থে।’ওবায়দুল কাদের মনে করেন, দশমী পর্যন্ত দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার ব্যাপারে সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলেরও ভূমিকা আছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান, শান্তিপূর্ণভাবে ধর্ম পালন করতে দিন। সংলাপ করছেন, করুন। আমি বলব, রাজনীতি আমরা করব, কিন্তু দুর্গোৎসব নিয়ে কোনো রাজনীতি নেই।’শেখ হাসিনার সরকার টানা ১৩ বছর ক্ষমতায় আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই ১৩ বছরে মাত্র একটিবার দুর্গাপূজা সহিংসতা–সাম্প্রদায়িকতার শিকার হয়েছে, দুর্বৃত্ত দলের টার্গেট হয়েছে। একাধারে ১১টি দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে হয়েছে। গতবার দুর্ভাগ্যজনক কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। ১১টি যখন শান্তিপূর্ণ হয়েছিল, ওইবারও এ রকম হবে চিন্তাভাবনা থেকে সতর্কতার কিছুটা অভাব ছিল। রাজনৈতিকভাবেও আমরা অসতর্ক ছিলাম।’ওবায়দুল কাদেরের ভাষ্য, এবার এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদ্‌যাপিত হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ অক্টোবর ২০২২


সহ্যের বাধ ভেঙে গেলে তার ফল ভালো হবে না, বিএনপিকে নানক

সহ্যের বাধ ভেঙে গেলে তার ফল ভালো হবে না, বিএনপিকে নানক

বিএনপির সাম্প্রতিক সময়ের আন্দোলনে সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আমাদেরও সহ্যের সীমা আছে। সেই সহ্যের বাধ যদি ভেঙে যায় তার ফল ভালো হবে না।সম্প্রতি রাজধানীর হাজারীবাগে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন দলীয় কর্মীদের খোঁজখবর নিতে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের পঙ্গু হাসপাতালে (জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে যান নানকসহ আওয়ামী লীগের নেতারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম।দলের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করা হবে বলে তাদের আশ্বস্ত করেন নেতারা। এ ধারাবাহিকতায় আহতদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।হাজারীবাগে বিএনপির কর্মসূচি থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, শাহ আলমের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। আইরিনের দুই হাত ভেঙে দিয়েছে এবং আবদুল্লাহ এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। আবদুল্লাহর শরীরে ১৮টি সেলাই লেগেছে এবং তার কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে।তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী এ অবস্থা চালাচ্ছে। শুধু আওয়ামী লীগকে লক্ষ্য করে নয়, তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পুলিশ বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা করছে। এদের খাসলত কোনো দিনই ভালো হলো না। এরা ২০০৯ সাল থেকেই একই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষ হত্যা করেছে। রাজনীতির নামে এরা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। সরকারি অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছে। ট্রেন লাইন উপড়ে ফেলেছে।‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগেরও সহ্যের সীমা রয়েছে। সেই সহ্যের বাধ যদি ভেঙে যায় তার ফল ভালো হবে না। আমরা চাই দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে। শেখ হাসিনার সরকার দেশের সব রাজনৈতিক দলকে মিছিল-মিটিং করার অধিকার দিয়েছে। কিন্তু সেই অধিকারকে যদি মনে করা হয় যে, তারা যা ইচ্ছা তাই করবে, জনগণের ওপর হামলা করবে, লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করবে, পুলিশের ওপর হামলা করবে। জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা ও জানমালের নিরাপত্তার জন্য সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভূমিকা পালন করবে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ অক্টোবর ২০২২


‘বিএনপি নিজেদের কর্মীদের নিজেরাই মারছে এবং দায়ভার পুলিশের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে’

‘বিএনপি নিজেদের কর্মীদের নিজেরাই মারছে এবং দায়ভার পুলিশের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নিজেদের কর্মীদের নিজেরাই মারছে এবং সেগুলোর দায়ভার সরকার এবং পুলিশের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতেও তাদের কর্মীদের তারাই মারবে।তিনি বলেন, ‘তারা তো এই রাজনীতি করে। তারা আগেও হত্যার রাজনীতি করেছে এখনো করছে। ওনারা আসলে সংঘাতময় রাজনীতিটা করে। সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়’।শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৬-২০০৭ সালে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসন পাবে। ২০০৮ সালে দেশের ইতিহাসে অত্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। ভাগ্যের এমনই নির্মম পরিহাস বিএনপি ২৯টি আসন পেয়েছে। ৩০টি আসনও পায়নি। ভবিষ্যতে যে নির্বাচন হবে আবারও ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করবেন।তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না— এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটা বিএনপি স্বপ্ন দেখতে পারে। স্বপ্ন দেখতে তো অসুবিধা নেই। তবে এই স্বপ্ন এখন তাদের জন্য দুঃস্বপ্ন। এটা কখনও বাস্তবায়িত হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ অক্টোবর ২০২২


বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত মাথা থেকে নামিয়ে ফেলার আহবান কাদেরের

বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত মাথা থেকে নামিয়ে ফেলার আহবান কাদেরের

বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত মাথা থেকে নামিয়ে ফেলার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন বিএনপির আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ভীত নয়, আওয়ামী প্রস্তুত ও সতর্ক আছে,রাজপথ থেকেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে- কাজেই আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই। ওবায়দুল কাদের আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন দলের পরিচয়ে যারাই অপকর্ম করবে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না । বিএনপিকে আবারও হুঁশিয়ার করে ওবায়দুল কাদের বলেন লাঠির সাথে জাতীয় পতাকা নিয়ে নামলে খবর আছে, জাতীয় পতাকার অবমাননা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।বিএনপি নেতাদের নতুন করে অবরোধ ঘোষণা দেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন তারা তাদের আগের অবরোধ না তুলে নতুন করে কেন আবার অবরোধ ঘোষণা করেছে তা জানতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জিজ্ঞাসা করতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দেন।তিনি বলেন আগামী নির্বাচন যথাসময়ে সংবিধানে অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে, নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার শুধুমাত্র রুটির দায়িত্ব পালন করবে।স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, নাট্য শিল্পী লাকী ইনাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো- ভিসি অধ্যাপক ডাক্তার ছায়েফ উদ্দিন আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আতিকুর রহমান এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু।পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বর যেসব শিশু জন্মগ্রহণ করেছেন সেইসব শিশুদের প্রতিনিধিদের মাঝে বিশেষ উপহার প্রধান করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২


'টেলিভিশন-সংবাদপত্র দেখলে মনে হয় বিএনপি বাংলাদেশ  দখল করে নিয়েছে'

'টেলিভিশন-সংবাদপত্র দেখলে মনে হয় বিএনপি বাংলাদেশ দখল করে নিয়েছে'

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,টেলিভিশন-সংবাদপত্র দেখলে মনে হয় বিএনপি বাংলাদেশ দখল করে নিয়েছে । হাটুভাঙ্গা বিএনপি এখন লাঠির ওপর ভর করেছে। তাঁরা সমাবেশে লাঠির ওপর বাংলাদেশের পতাকা বেঁধে আওয়ামী লীগ ও পুলিশকে উসকানি দিচ্ছে। কিন্তু এই লাঠিখেলা চলবে না। রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। খেলা হবে, রাজপথে মোকাবিলা হবে।আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘অগ্নিস্নানে শুচি হয়ে বারবার আসো তুমি ভূমিকন্যা, তোমারই হোক জয়’ শিরোনামে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার বেলা ৩টায় এ আলোচনা সভা শুরু হয়।আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২২–দলীয় জোটের নামে বিএনপি আবারও জগাখিচুড়ি আন্দোলন শুরু করেছে। তাঁরা হাজারীবাগে আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। ইচ্ছা করেই বিএনপি সংঘাতে জড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগ ও পুলিশকে উসকানি দিচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতি আস্থা রাখুন। তিনি আপনাদের আস্থার মর্যাদা দেবেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সজীব ওয়াজেদ জয়কে সঙ্গে নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন। তাঁর এবারের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ করা। আগামী নির্বাচনে যত বাধাই আসুক, তিনি এগিয়ে যাবেন।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। সভায় আওয়ীমী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২


ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা

ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসীকে রুম থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নির্যাতনের অভিযোগে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক মোছা. রাজিয়া সুলতানাসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি লালবাগ থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইডেন কলেজের নুজহাত ফারিয়া রোকসানা, আয়েশা ইসলাম মিম, নূরজাহান, ঋতু আক্তার, আনিকা তাবাসুম স্বর্ণা ও কামরুন নাহার জ্যোতি। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূরের আদালতে এ মামলা করেন জান্নাতুল ফেরদৌসী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রাজধানীর লালবাগ থানাকে তদন্ত করে আগামী ২৩ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।আদালতের পেশকার তহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নূর-ই আলম। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী আমির আলী, আনোয়ার হোসেন মনির, সরকার রাশেদুল ইসলাম, আবুল কালাম ও মাজেদুর রহমান।মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, সিট বাণিজ্য, অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জান্নাতুল, মামলার সাক্ষী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। এতে আসামিরা ভুক্তভোগী জান্নাতুলের ওপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে রিভা ও রাজিয়ার নির্দেশে আসামি আনিকাসহ অজ্ঞাতনামা ৩ থেকে ৪ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগীর রুমে প্রবেশ করেন। তবে, তাকে রুমে না পেয়ে তার ব্যবহারিক আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত ল্যাপটপ নিয়ে যান। এসময় ভুক্তভোগী রুমে আসার পথে তাকে ঘিরে ফেলেন আসামিরা। তাকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে আসামিরা ভুক্তভোগী জান্নাতুলকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি ও মাথি মেরে বিভিন্নস্থানে জখম করেন।গত কয়েকদিন আগে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সিট বাণিজ্য ও নানা অসঙ্গতি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুন ফেরদৌসী। এ ঘটনার পর শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় হলের কক্ষে গিয়ে তাকে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনেন কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নুজহাত ফারিয়া রোকসানা, আয়েশা ইসলাম মিম, কামরুন নাহার জ্যোতি, শিরিন আকতার, রিতু, স্বর্ণা, নূরজাহান, ফেরদৌসী, লিমা, পপি, বিজলীসহ আরও কয়েকজন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২


বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দেশের কি হতো প্রশ্ন কাদেরের

বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দেশের কি হতো প্রশ্ন কাদেরের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সারাবিশ্বে জ্বালানি তেল ও বিদ্যুৎ সংকট, কিন্তু আজ বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দেশের কি হতো? তিনি বলেন, লাঠির সাথে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে মারামারি করে বিএনপি পতাকার অবমাননা করেছেন। দলটির মধ্যে কোন দেশপ্রেম নেই। তারা পাকিস্তানকেই ভালোবাসে, যা মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে প্রমাণ হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল, জনমানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংকট শুধু বাংলাদেশের একার নয়, পুরো বিশ্বের। বিএনপি এনিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে মিথ্যাচার করছে।পঁচাত্তরে পরে বাংলাদেশে সবচেয়ে সৎ, যোগ্য ও সাহসী নেতার নাম শেখ হাসিনা, উল্লেখ করে কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজের ভাগ্য ও সুখের জন্য রাজনীতি করে না। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন কাজ করে এদেশে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের মানুষের জন্য কেউ কাজ করেনি, বলেন কাদের। অনুষ্ঠানে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে জিতে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে হবে।যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২


আমরা কারো সমাবেশে বা বাড়িঘরে হামলা করবো না : কাদের

আমরা কারো সমাবেশে বা বাড়িঘরে হামলা করবো না : কাদের

ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ কেন অশান্তি করবে- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে কেন নৈরাজ্য করবে? অশান্তি করলে তো আমাদের ক্ষতি। আমরা কারো সভা সমাবেশে হামলা করবো না, কারো বাড়িঘরে হামলা করবো না। তবে সতর্ক থাকবো।সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় রাজধানীর শ্যামপুর বালুর মাঠে কদমতলী থানা এবং ৫২, ৫৩, ৫৮, ৫৯,৬০ ও ৬১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজপথ থেকে এসেছেন, শেখ হাসিনা রাজপথ থেকে এসেছেন। আমরা বিএনপির আস্থা চাই না, আমাদের আস্থা দরকার জনগণের। শেখ হাসিনার প্রতি জনগণের আস্থা আছে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় আছি, বন্দুকের নলের মুখে কেউ আমাদের ক্ষমতায় বসায়নি। আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথ থেকে ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বলেন, শৃঙ্খলা মেনে দল করতে হবে। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে যত লাফালাফি করুক আওয়ামী লীগের ঐক্যবদ্ধ শক্তির কাছে বিএনপি হারবে। যারা বিশৃঙ্খলা করবে তাদের প্রয়োজন নেই। যেখানে কলহ, খারাপ আচরণ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নেত্রী কাউকে ছাড় দিবেন না।সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যতবড় সমাবেশ হোক সরকারি দলের ছবি পত্রিকায় দেখবেন না। ছয়টি ওয়ার্ডের সমাবেশে হাজার হাজর মানুষ ফখরুল সাহেবের সমাবেশ কি এর থেকে বড়? তবু আমাদের ছবি ছাপে না। আমরা নিজের প্রচারের জন্য রাজনীতি করি না। মুক্তিযু্দ্ধের চেতনা বাঁচাতে রাজনীতি করি। স্বাধীনতা বাঁচাতে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে, স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমরা রাজনীতি করি।কাদের বলেন, বিএনপি এখন উভয় সংকটে। বিএনপির সামনে বিপদ, আন্দোলনেও বিপদ, নির্বাচনেও ভয়। নেতাও তো ঠিক নেই। কে হবে নেতা? কে হবে তাদের প্রধানমন্ত্রী? সম্মেলন উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী। ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আপয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২


নির্বাচন ও জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই : কাদের

নির্বাচন ও জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'নির্বাচন ও জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ যখন রাজপথে নামবে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই নামবে'।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে একথা বলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথায় কথায় সরকারের পদত্যাগ চাওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন করে তাঁর উদ্দেশে বলেন সরকার কেন পদত্যাগ করবে? আর কার কাছে পদত্যাগ করবে? সরকার একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত হয়েছে, যাথাসময়ে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, - সরকার পরিবর্তন চাইলে বিএনপিকে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সরকার পরিবর্তনের দুঃস্বপ্ন দেখে কোন লাভ নেই।তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি মীমাংসিত ইস্যু,এ নিয়ে মাতামাতি করে কোন লাভ নেই বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও অর্জনের সাথে এদেশের জনগন রয়েছে, কাজেই অগণতান্ত্রিক পথে বিএনপির ক্ষমতা দখলের খোয়াব অচিরেই ভেঙে যাবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২


'সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে দমন করতে পারলে রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত আরও মজবুত হবে'

'সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে দমন করতে পারলে রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত আরও মজবুত হবে'

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, যে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র রচিত হয়েছে, সেই ভিত্তি মজবুত করতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে। আজ রোববার রাজধানীর বনানী পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার সূচনা পর্ব শুভ মহালয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। এদিন ভোর ৬টা ২ মিনিটে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন অতিথি ও আয়োজকেরা। শিল্পী মানষ সেনগুপ্তের সঞ্চালনায় ফাউন্ডেশনের সভাপতি পান্না লাল দত্ত, সাধারণ সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ ঘোষ, শিল্পী লাল দত্ত প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।নিরবচ্ছিন্নভাবে বনানীতে পূজা আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইসলাম সব ধর্মের মূল মর্মবাণী মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি স্থাপন এবং মানুষের কল্যাণকে চেতনায় ধারণ ও অনুশীলন করলে দেশ, সমাজ, পৃথিবী অনেক শান্তিময় হতো, ধর্মের ভিত্তিতে হানাহানি থাকত না। আমাদের দেশে যে অপশক্তি সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে চায়, মাঝেমধ্যে ফণা তুলে দাঁড়াতে চায়, ছোবল মারতে চায় সেই অপশক্তিকে সবাই মিলে দমন করতে হবে। তাহলেই যে চেতনার ভিত্তিতে রাষ্ট্র রচিত হয়েছে, সে রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত আমরা আরও মজবুত করতে পারব।’তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ রচিত হয়েছে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার মিলিত সংগ্রাম এবং মিলিত রক্তের স্রোতের বিনিময়ে। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্যই আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই একযোগে লড়াই করেছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, যার নেতৃত্বে এই দেশ রচিত হয়েছে, সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ’৭৫ সালে হত্যা করার পর যে চেতনার ভিত্তিতে দেশ রচিত হয়েছিল, সেই চেতনায় আঘাত হানা হয়েছে, ভূলুণ্ঠিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। রাষ্ট্রকে আবার সাম্প্রদায়িক বানানোর অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার রাষ্ট্রের যে মূল চেতনার ওপর যে আঘাত হানা হয়েছিল, সেটিকে পুনরুদ্ধার করে মূল চেতনায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এ রাষ্ট্রকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে চেয়েছে, তারা এখনো সাম্প্রদায়িক হানাহানি ছড়ায়, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ায় এবং তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সরকার কঠোর ব্যবস্থা সব সময় গ্রহণ করেছে। দেশে একটি রাজনৈতিক পক্ষ আছে, যারা সাম্প্রদায়িকতাকে নিয়ে অপরাজনীতি করে। তাদের ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২


বিএনপি লাশ ফেলে আন্দোলন জমানোর অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে : কাদের

বিএনপি লাশ ফেলে আন্দোলন জমানোর অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপি লাশ ফেলে আন্দোলন জমানোর অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে। তিনি আজ গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তাঁর বাসভবন থেকে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।সরকারের বিদায় সাইরেন নাকি বেজে গেছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন গত ১৪ বছর ধরেই বিএনপি মহাসচিবের কানে সরকার বিদায়ের সাইরেন বাজছে, জনগণের কানে নয়।শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জন দেশের জনগণ ঠিকই দেখতে পায় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি নেতারা চোখে কালো চশমা পড়ে থাকে বলে তারা দিনের আলোয় রাতের অন্ধকার দেখতে পায়, এজন্যই বিএনপি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কোন উন্নয়ন-অর্জন দেখতে পায় না।কমিটিতে দলের দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের গুরুত্ব দিতে হবে, বসন্তের কোকিলরা দুঃসময়ে থাকবে না এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র বিশ্বাসী যে কোন শিক্ষিত লোকের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা সবসময় খোলা।ওবায়দুল কাদের দলের নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা শেখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন আমাদের সবার নেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, আর আমরা সবাই তাঁর কর্মী। তিনি আবারও নেতাকর্মীদের বলেন বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগ কে বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে।জাতিসংঘে বিশ্ব মানবতা এবং মানব সভ্যতার পক্ষে কথা বলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২