জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এই রকম কোনো সংকট স্বাধীন বাংলাদেশে হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বুধবার সকালে ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ কেন মধ্যস্থতা করতে যাবে— প্রশ্ন করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশে এমন কোনো রাজনৈতিক সংকট হয়নি যে জাতিসংঘের এখানে ইন্টারফেয়ার করতে হবে। জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এই রকম কোনো সংকট স্বাধীন বাংলাদেশে হয়নি।সেতুমন্ত্রী বলেন, সংকটে সমাধান হলো আমাদের সংবিধান। সংকটে আর কোনো সমাধান নেই। সংবিধানই যদি কোনো দেশের সমাধান না দিতে পারে তা হলে সে দেশে গণতন্ত্র হবে কি করে?তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমাদের আলোচনার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমাদের দেশে আমরা আলোচনা করব, এটা নিজেদের সমস্যা, নিজেরাই সমাধান করব। বিগত নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী সংলাপের আহ্বান করেছিলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উদ্যোগে নির্বাচন কমিশন আরও গণতান্ত্রিক হয়েছে। নির্বাচনব্যবস্থা আরও গণতান্ত্রিক হয়েছে। গণতন্ত্র হঠাৎ করে রাতারাতি প্রতিষ্ঠা পায় না। প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সময় লাগে। একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়।মন্ত্রী বলেন, আমাদের গণতন্ত্র এখন অনেক পরিপূর্ণ হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এগিয়ে চলছে। কাজেই এখানে বাইরের কোনো মধ্যস্থতা, বাইরের কোনো হস্তক্ষেপের দরকার নেই। আমাদের নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করব। সময় বলে দেবে কখন কী হবে। আপাতত আলাপ-আলোচনার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) আমাদের নেত্রীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমরা কী আলোচনা করব? তারা আজ নালিশের রাজনীতি করছে। কি পেয়েছে? তারা আমেরিকায় নালিশ করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে নালিশ করে তারা কি পেয়েছে? পেয়েছে ঘোড়ার ডিম। এখন তারা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান চায়। এই তত্ত্বাবধানে আবার নতুন সূত্র তুলে ধরছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ জুন ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচন চাই। এই নির্বাচনে যারা বাধা দেবে তাদেরকে আমরা অবশ্যই প্রতিহত করব। যারা আন্দোলনের নামে নির্বাচনকে সামনে রেখে বাসে আগুন দেয়, বাস ভাঙচুর করে। এরাই সহিংসতায় আছে। কাজেই ওদের খবর আছে।’বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে কবির জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানান ওবায়দুল কাদের। এরপর তিনি সাংবাদিককদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে, একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করব। আমরা নির্বাচন চাই। একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য সরকার হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করব। সব ধরনের সহযোগিতা করব।’কবি নজরুলকে নিয়ে কাদের বলেন, ‘নজরুল প্রেমের, বিদ্রোহ, বেদনার কবি। সাহিত্যের সব শাখাতেই তাঁর বিচরণ। তিনি অসাম্প্রদায়িক ও মানবতার কবি। নজরুলের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আমরা উজ্জীবিত হতে চাই। এখনও অনেক বাধা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমরা লড়াই করব। আজকে সেটাই আমাদের অঙ্গীকার।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ স্মৃতি হচ্ছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও আমাদের আদর্শ সবকিছুর সঙ্গে নজরুল জুড়ে আছে।’'অগ্নিবীণার শতবর্ষ: বঙ্গবন্ধুর চেতনায় শাণিতরূপ’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জাতীয় কবির সমাধিসৌধে কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে। অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমবেত হয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা শোভাযাত্রা নিয়ে সমাধিতে গমন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন।এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ মে ২০২৩
ভারতের সঙ্গে মুখ দেখা দেখি বন্ধ করলে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগোতে পারবে না, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে, এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (২৪ মে) সকালে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় সড়ক ভবনে এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশ ও ভারতের পারস্পরিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেশী দেশ ভারত আরও বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশে আসলে বাংলাদেশকে বিনিয়োগকারী খুঁজতে আর দূরে যেতে হবে না।ওবায়দুল কাদের আরও জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ মে ২০২৩
ভারত ও চীনের ক্ষমতাসীন দলের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দুই দেশেই জ্যেষ্ঠ নেতাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে আওয়ামী লীগ।দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল শিগগিরই ভারতে যাবে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল চীনের উদ্দেশে গতকাল রোববার রাতে ঢাকা ছেড়েছে।আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পক্ষ থেকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এটিকে ‘পার্টি টু পার্টি’ সফর বলা হচ্ছে।এখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই ভারত সফরের ব্যাপারে অল্প সময়ের মধ্যে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিনিধিদলের সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করা হবে বলে দলটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।তাঁরা বলেছেন, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভারত সফরের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।অন্যদিকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বেইজিংয়ের উদ্দেশে গতকাল রাতে ঢাকা ছেড়েছে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক খানের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল।আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করাসহ চীনের সহায়তার প্রশ্ন গুরুত্ব পাবে তাঁদের প্রতিনিধিদলের এই চীন সফরে।এ ছাড়া রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে তাঁদের দলের পক্ষ থেকে ভারত ও চীন সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ মে ২০২৩
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হত্যার হুমকি দাতাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি এই দেশের উপর কোন স্যাংসন হবে না। এটা নিয়ে খুশি হওয়ার কারণ নেই। সোমবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ৭১ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী চলবে,সসংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজেদা শওকত আলীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. খালেদ শওকত আলী।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ মে ২০২৩
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। তিনি বলেছেন, দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।মির্জা আজম বলেছেন, ‘গত পরশু দিন আমরা মিটিং করেছি। গাজীপুর ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই একমত, নেত্রী দেশে এলেই জাহাঙ্গীরের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, অথবা প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নেবেন, তাঁর বিষয়ে কখন কী করবেন।’গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের আমতলী ছুটি রিসোর্টে আয়োজিত গাজীপুর সদর মেট্রো থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ কর্মিসভায় এসব কথা বলেন মির্জা আজম।জাহাঙ্গীরকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে জানিয়ে দলের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম বিরাট পাপ করার পরেও শেখ হাসিনা তাঁকে সাধারণ ক্ষমা করেছেন। ক্ষমা পেয়ে আবেদনে উল্লেখ করেছিল তাঁর বাদবাকি জীবনে আওয়ামী লীগের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো কাজ করবেন না। সেটির ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। শুধু প্রার্থী হলেও ৯ তারিখ পর্যন্ত তাঁকে মাফ করতাম। ভাবতাম সে প্রার্থী হয়েছে পরে প্রত্যাহার করবে, কিন্তু সে মিডিয়ায় যে বক্তব্য দিয়েছে, সেটা শুধু দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেনি। বিরাট অপরাধ করে ফেলেছে।’গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে একটি বিজয়ের নির্বাচন হিসেবে উল্লেখ করে মির্জা আজম বলেন, যিনি প্রার্থী হয়েছেন তিনি যেমন স্বচ্ছ, তেমনি এখানকার সাংগঠনিক কাঠামোও শক্তিশালী। সবকিছু নজরদারিতে রাখা হবে। যেসব কাউন্সিলর শুধু নিজেদের ভোট চাইবেন, নৌকার ভোট চাইবেন না, তাঁরা ওয়ার্ড, থানা, মহানগর কোথাও কোনো পদ পাবেন না।’সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি নির্বাচনের নৌকা মনোনীত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান। উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা–কর্মীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ মে ২০২৩
আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে চিঠি দিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে ‘পার্টি টু পার্টি’ এই সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।বিজেপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিভাগের প্রধান বিজয় মুরলিধর চৌথাইওয়াল স্বাক্ষরিত ওই চিঠি ইতোমধ্যে ওবায়দুল কাদেরের কাছে পৌঁছেছে। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র যুগান্তরকে এসব তথ্য জানিয়েছে। সূত্র জানায়, আমন্ত্রণ পেলেও আওয়ামী লীগের ভারত সফরের জন্য প্রতিনিধি দল এখনো চূড়ান্ত হয়নি।এ নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠকও হয়নি। দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে তার সঙ্গে আলোচনা করে সম্ভাব্য পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ভারত সফরের জন্য চূড়ান্ত করা হতে পারে। চলতি মাসের শেষের দিকে বা আগামী মাসের শুরুর দিকে এই সফর অনুষ্ঠিত হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ মে ২০২৩
নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে জননেত্রী শেখ হাসিনা তৃর্ণমূলের কর্মীদের আকাঙ্খা অনুযায়ী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আজীবন বহিষ্কার করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। সোমবার বিকালে গাজীপুরে মে দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসএম কামাল হোসেন বলেন, জাহাঙ্গীর যদি নৌকাকে সমর্থন না করে তাহলে সে জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্রকারীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে বলে আমি মনে করি। তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি জাহাঙ্গীর নৌকার পক্ষে কাজ না করলে তাকে আজীবন বহিষ্কার করা হোক। জননেত্রী শেখ হাসিনার তৃণমূল নেতাকর্মীদের চোখের ভাষা বুঝে, তাদের মনের কথা উপলব্ধি করতে পারেন। শেখ হাসিনা তৃণমূলে কর্মীদের দাবীর প্রতি, তাদের আকাঙ্খার প্রতি গুরুত্ব দেন। সেই ক্ষেত্রে তৃণমূলের কর্মীদের আকাঙ্খার বাইরে, জননেত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্তের বাইরে যদি আমিও কাজ করি, আমাকেও ছাড় দেবেন না।আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আমি মনে করি তৃণমূলের দাবি অনুযায়ী, জাহাঙ্গীর যদি নৌকার পক্ষে কাজ না করে, তৃণমূলের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে আজীবন বহিষ্কার করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, মহান মে দিবসে আজকে আমরা বলতে চাই যে, আওয়ামী লীগ যখন পররাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকে, শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে আওয়ামী লীগ কাজ করে। বঙ্গবন্ধুর সমযোজীবী মানুষের কল্যাণে বড় বড় শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের ১ মে অনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ শ্রমিক কৃষকদের মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করেছেন। তুমি কর্মচারীর মুক্তির লক্ষ্যে জীবন উৎসর্গ করেছেন। এসএম কামাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করছেন। বিএনপির আমলে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ছিল ১৬০০ টাকা৷ শেখ হাসিনা সেই সৌমিত্রের বেতন বৃদ্ধি করেছেন ৮ হাজার টাকা। করো না মহামারী সময় কর্মক্ষম শ্রমিকদের জন্য ৩৩০০ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন তিন মাস পর্যন্ত। বৈশ্বিক মহামারি সময় শ্রমিকদের বেতনের জন্য শ্রমিকরা যাতে সঠিক সময় বেতন পায় সেজন্য ৫ হাজার কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। গার্মেন্টস শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য গার্মেন্টস মালিকদের অনুদান দিয়েছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা আছেন বলে আজ বাংলা অর্থনীতির উপর দাঁড়িয়ে আছেন। শ্রমিকদের সন্তানরা আজ বছরের শুরুতেই এক সেট বই পায়। তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং মহামারী করোনার কারণে দ্রব্যমূলক বৃদ্ধ পায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব দুখী মানুষের পাশে থাকতে ১ কোটি পরিবারকে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প মু্ল্যে তো নিত্যপণ্য জিনিসের ব্যবস্থা করেছেন। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে, ষড়যন্ত্র করে, তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে মানুষের জন্য তারা কিছু করেনি। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট করেছেন, কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছেন। বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের রাষ্ট্রে, খুনিদের রাষ্ট্রে ও দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। তারা দেশটাকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে নিয়ে গেছিল। এই বিএনপি জামায়াত আজকে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি আরও বলেন, আসন্ন সিটি করব নির্বাচনের নৌকা মার্কা ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে উপহার দিবেন। নৌকায় ভোট দিলে বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকে, শান্তিতে থাকে। নৌকা ভোট দিয়ে বিএনপি-জামাত ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ মে ২০২৩
বিএনপির দ্বিমুখী আচরণের কারণে জনগণ তাদের ওপর আস্থা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একদিকে বলছেন যে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। অন্যদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপি নেতাকর্মীরা আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন। এই দ্বিমুখী আচরণের কারণে জনগণ দ্বারা বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পায়। একই সঙ্গে তারা নির্বাচন ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারায় লিপ্ত থাকে।রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর অ্যাডভোকেট সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বিএনপি মহাসচিবের মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আজ নির্বাচন নিয়ে কথা বলে কোন মুখে? বিএনপির হাত ধরেই এদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। সামরিক শাসন জারি রেখে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ/না ভোট, সেনা প্রধানের দায়িত্বে থেকে ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিল। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য ১৯৯৬ সালে ১৫ই ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। তাদের সময়ে অনুষ্ঠিত মিরপুর ও মাগুরা উপ-নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক ঘটনা হিসেবে স্থান পেয়েছে।বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ নাকি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করেছে। এই দলের হাত ধরেই এদেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিশ্চিতভাবে বিএনপির কাছ থেকে গণতন্ত্রের পাঠ নেবে না। আওয়ামী লীগ বিএনপির চর্চিত গণতন্ত্রে বিশ্বাস বা আস্থা রাখে না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষকে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিল। গণতন্ত্রের লেবাসে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের ভূত এদেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। বিএনপি এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে; মানুষের ভোটাধিকারকে বারবার বাধাগ্রস্ত করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে জনগণের হৃদয়ের অনুরণন প্রতিফলিত হয় তা প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পথকে মসৃণ করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। সফলরাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকার কারণে বর্তমানে শেখ হাসিনাকে সমীহের দৃষ্টিতে দেখে বিশ্বের সব নেতৃবৃন্দ। শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণেই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দেশের সব স্তরের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন জোরদার হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেছে। যা দেখে বিএনপি ও তার দোসরদের গাত্রদাহ হচ্ছে। তাই তারা এই অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এসব ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে এবং কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ এপ্রিল ২০২৩
নির্বাচনে বাধা দিতে এলে প্রতিহত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সবাইকে বলছি— এই নির্বাচনে আসতে। তবে যারাই বাধা দেবে তাদের প্রতিহত করব।শুক্রবার বনানী কবরস্থানে শহিদ শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আমরা করব।বিএনপির আন্দোলনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি করতে যাচ্ছি না। বিএনপি কখনো দ্রুত, কখনো ধীরগতির আন্দোলন, মানববন্ধন, পদযাত্রা, গণঅভ্যুত্থান করছে। এ জন্য অপরাজনীতি থেকে এ দেশের জনগণের জানমাল রক্ষা করার জন্য আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। আমরা সময়সীমা দিয়ে কোনো কর্মসূচি দিচ্ছি না। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকব। জনগণকে শান্তির ডাক জানিয়ে দিতে চাই। এ সময় সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ‘৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। এই তিনটি ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা।ওবায়দুল কাদের বলেন, হত্যা, যড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতার বদলে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হবে। একই সঙ্গে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলব, তাদের পরাজিত করব, পরাভূত করব।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ এপ্রিল ২০২৩
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিএনপি জামাত কখনো বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কিছু করেনি। তারা দেশ ও দেশের মানুষকে কিছুই দিতে পারেনি। তারা উন্নয়ন না করে শুধু দুর্নীতি করেছে। তারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্ব দরবারে দুর্নীতিবাজ জাতি ও দেশ হিসেবে আমাদের কপালে কলঙ্কের কালিমা লেপন করেছিল। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ দুর্নীতিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে। রবিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ কালে তিনি এসব কথা বলেন। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি জামাত সব জায়গায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। ইতিপূর্বে মাদারীপুরেও তারা নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছে। ভবিষ্যতে তারা যেন মাদারীপুর কেনো দেশের কোথাও এমন কোন কর্মকান্ড না করতে পারে আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। সন্ত্রাসীদের অপকর্মকে আমাদের যে কোন মূল্যে প্রতিহত করতে হবে এবং দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সবসময় মানুষের পাশে থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের শান্তির জন্য কাজ করবে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সে অনুযায়ী যার যতটুকু সামর্থ্য আছে সেইটুকু নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে আপনাদের যেতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ সুখে ও শান্তিতে থাকলে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জনগনের ভোটে চতুর্থবারের মত আবার নির্বাচিত হবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসলে দেশের ভাগ্যের আরো পরিবর্তন হবে। তিনি সব সময় দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেন এবং মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করে থাকেন। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন। বঙ্গবন্ধু সব সময় মানুষের কথা চিন্তা করতেন এবং মানুষের পাশে থাকতেন। আমাদের সে অনুযায়ী সব সময় মানুষের পাশে থাকতে হবে।মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে শতাধিক মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ সহ জেলা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ এপ্রিল ২০২৩
আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান।শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের প্রায় অধিকাংশ সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। চুলচেরা বিশ্লষণ শেষে এ প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।এদিকে খুলনায় তালুকদার আবদুল খালেক, সিলেটে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, রাজশাহীতে খায়রুজ্জামান লিটন, বরিশালে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।এর আগে বুধবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে শেষ দিনে গাজীপুর সিটির আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১৭ নেতাকর্মী মেয়র পদে নৌকা পেতে আওয়ামী লীগের সদর দপ্তরে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। এবং মেয়র পদে নৌকা চেয়ে পাঁচ সিটিতে মোট ৪১ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ এপ্রিল ২০২৩
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস করেছে বিএনপি। তাদের গণতন্ত্র বিরোধী রাজনীতির কারণেই এদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বার বার হোঁচট খেয়েছে।সোমবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্লজ্জ মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেন! নির্বাচনে না গিয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তীব্র সমালোচনা আর মিথ্যাচারের তীর ছুঁড়ে এবং দলীয়ভাবে আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রেখে তারা না-কী দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে! জনগণ কী তা বিশ্বাস করে?’তিনি বলেন, জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মাগুরা ও মিরপুর মার্কা উপ-নির্বাচন, ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়েছিল বিএনপি। নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারায় আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন এবং ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি কারা করেছিল তা দেশবাসীর অজানা নয়।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বন্দুকের নলের মুখে অবৈধ ও অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে গঠিত অবৈধ দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের মুখে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকারের কথা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ মার্চ ২০২৩
তত্ত্বাবধায়ক সরকার কখনো ফিরে আসবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি তথ্য অধিদপ্তরের গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা শাহেনুর মিয়া।বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তারা এ আন্দোলন করেছে। ২০১৪ সালে তাদের আন্দোলনের নমুনা আমরা দেখেছি। যখন বিএনপি আন্দোলনের কথা বলে, তখন পেট্রোল বোমার কথা মনে পড়ে, তখন মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মহোৎসবের কথা মনে পড়ে। তাদের সেই কাজ আবার বাংলাদেশের মানুষ করতে দেবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারও কখনো ফিরে আসবে না।ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়েছে। এতে বিএনপি নেতারা বলেছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপিই নাকি কূটনৈতিকদের বাসায় ধরনা দেয়। তাহলে আওয়ামী লীগ নেতারা কেন গেল? এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মধ্যাহ্নভোজের। সেখানে আমাদের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল গেছে। আমরা বিএনপির মতো তো রাত-বিরেতে গিয়ে ধরনা দিই না। তাদের আমন্ত্রণে আমরা গেছি। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র। গত ৫১ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে তাদের অবদান আছে। নিরাপত্তা থেকে জঙ্গি দমনে তারা আমাদের সহযোগিতা করছে। বহুমাত্রিক সহযোগিতা তাদের সঙ্গে আছে। সেই দেশের রাষ্ট্রদূত যখন আমন্ত্রণ জানায়, সেখানে তো যেতেই হয়। সেজন্যই আমাদের প্রতিনিধি দল সেখানে গেছে। বিএনপির মতো রাত-বিরেতে গিয়ে আমাদের কেউ পদলেহন করে না, বলেন মন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ মার্চ ২০২৩
পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মাতামাতি করে না, সেখানে বিএনপির নির্লজ্জের মতো এটা নিয়ে কথা বলে। একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে এতিম খানায় খাবার বিতরণ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, সারাবিশ্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা নেই দেশের সর্বোচ্চ আদালত এ ব্যবস্থা চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে, সেটা নিয়ে বিএনপির মাতামাতি করছে। তাদের লজ্জা থাকা উচিত।তিনি বলেন, ইতিহাসের বেঈমানদের মতো কিছু বিশ্বাসঘাতকের ষড়যন্ত্রের কারনে পরাজয়ের খেসারত দেন বঙ্গবন্ধু। যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে না তারা এদেশের জন্ম চেতনাকে বিশ্বাস করে না।কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন গুরুত্বও দিয়েছেন অনেক আগামীর ভবিষ্যৎ হিসেবে। বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা মুক্তির সংগ্রামের রোল মডেল।বঙ্গবন্ধু আদর্শ লালন করেই দেশকে বিশ্বের রোল মডেল করে এগিয়ে যাচ্ছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা।ড. ইউনুসকে নিয়ে ৪০ বিশ্ব নেতার চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে মানুষ বাংলাদেশ নিয়ে ভাবে না, তাকে নিয়ে আমাদের ভাবার প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের কোন দুর্যোগে তিনি ভাবেননি। যিনি নিজেই আইন ভাঙ্গেন। ৬০ বছরের পর জোর করে এমডি পদে থেকে নিজেই আইন ভেঙেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ মার্চ ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাউকে আলোচনার জন্য ডাকা হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আমরা যা করি প্রকাশ্যে করি। ব্যাকডোরে আলোচনা হবে না। আলোচনা হলে প্রকাশ্যেই হবে। তবে সেই সুযোগ এখন দেখছি না। কাউকে আলোচনার জন্য ডাকছি না।’সেতুমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে এ ধরনের সংকট আমাদের দেশে নতুন নয়। কালো মেঘ ঘনীভূত হলেও তা কেটে গেছে। আমি মনে করি এ সংকট কেটে যাবে।’তিনি বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করে কারও সাথে আপস করতে হবে, এমন বিপদে পড়েনি সরকার। সংবিধান প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতোই নির্বাচন হবে বাংলাদেশে।তিনি বলেন, দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র আছে, নির্বাচন আছে। সরকার আছে, বিরোধী দল আছে। কিন্তু বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেনি, যার জন্য যে সংবিধান আছে সেই সংবিধান পরিবর্তন করে, কোনো বিকল্প প্রস্তাব কারো অনুকূলে আনার সুযোগ নেই। আমরা কোনো পরিস্থিতিতে সংবিধানের প্রশ্নে ছাড় দেব না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংবিধানের মধ্যেই সমাধান খুঁজতে হবে। এর বাইরে কোনো প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করব না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবে এখানেও হবে। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া হবে। তখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে পরিচালিত হবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে তারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পঞ্চগড়ের ঘটনা খতিয়েদেখা হচ্ছে। কারা উসকানি দিয়েছে, এর মধ্যে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের নেতাও আছে। এই ঘটনায় কারা উসকানি দিচ্ছে?তিনি বলেন, এখন বিএনপি যে স্বাভাবিক পথে যেতে চায় না, তাদের আন্দোলনে ভাটা নেমেছে। সে কারণে তারা এখন নাশকতার দিকে যাচ্ছে কি-না সেটা কিন্তু আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগল কেন? একসঙ্গে এই ঘটনাগুলো ঘটছে। আর সব দোষ আওয়ামী লীগের ওপর চাপায়। ওখানে অক্সিজেন ব্লাস্ট হয়ে অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে গেছে, দোষ কার? আওয়ামী লীগের। সীতাকুন্ডে কার্বন ডাই অক্সাইড আর নাইট্রোজেন একই জায়গায় রাখাতে সংঘর্ষ হয়ে ব্লাস্ট হয়েছে। দোষ কার? আওয়ামী লীগের।ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন আমার কাছে মনে হচ্ছে; মির্জা ফখরুল যেভাবে বলছেন, দেশে এ মুহূর্তে যদি খুব বেশি গরম পড়ে তিনি বলবেন দোষ আওয়ামী লীগের! হঠাৎ খুব বেশি শীত হলে দোষ আওয়ামী লীগের! হঠাৎ করে বন্যা এলে দোষ আওয়ামী লীগের! তারপরে বলবেন যে, বাংলাদেশে বজ্রপাতে এত লোকের মৃত্যু, এটার দোষও আওয়ামী লীগের! এটা বিএনপি বলতে পারে। বিএনপির মুখে কোনো কিছু বাধে না।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আন্দোলন বাস্তবে যত গর্জে তত বর্ষে না। তারা গণঅভুত্থানের কথা বলে এখন নিঃশব্দ মানববন্ধনের কথা বলছে। তাদের আন্দোলনের গতি প্রকৃতি দেখে বোঝা যায়, তাতে জনগণ অংশগ্রহণ করছে না। নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণও কমে গেছে। তাদের আন্দোলনকে আমরা চ্যালেঞ্জ মনে করছি না। তারা সহিংসতা করলে আমরা মোকাবিলা করবো।সেতুমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক সংকট আছে, এটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। যুদ্ধ অচিরেই থেমে যাবে বলা যায় না। নিষেধাজ্ঞা আছে। এর ফলে সারা দুনিয়াতেই পণ্যের দাম বেড়েছে। বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছে। এরপরও পণ্যের দাম বেশি। সরকার চিন্তিত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া নিয়ে। তবে এক্ষেত্রে জনগণ সরকারের সঙ্গে আছে। সে কারণে বিএনপির আন্দেলনের সঙ্গে জনগণ এখন পর্যন্ত নেই।তিনি বলেন, বিএনপি কথা বললেই সরকার মামলা দেয় না। এর প্রমাণ কী? প্রমাণ হলো, তারা প্রতিদিন সরকারকে আক্রমণ করছে, উসকানিমূলক কথা বলছে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এরপরও তাদের নেতারা কি জেলে আছে? তারা সমাবেশ করছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ মার্চ ২০২৩
‘মূল্যবৃদ্ধির পরও অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুতের মূল্য কম’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। এ সময় দেশে মূল্যস্ফীতি ও বিদ্যুতের মূল্য ৫ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সাম্প্রতিক সংবাদ সম্মেলনের প্রেক্ষিতে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী।বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি যুক্তরাজ্যে অনেক আগেই ১০০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতেও এই মূল্যবৃদ্ধি ২০ থেকে ১০০ শতাংশ। যেমন জার্মানিতে ২১ শতাংশ আবার বেলজিয়ামে ৯৫ শতাংশ। সেই তুলনায় আমাদের দেশে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি অনেক কম। সাম্প্রতিক সময়ে ৫ শতাংশ হারে দু’বার বাড়ানো হয়েছে।’সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুতের ইউনিট মূল্য বাংলাদেশে ৭ টাকা ৩২ পয়সা, ভারতের দিল্লীতে ১১ টাকা ১৫ পয়সা, মহারাষ্ট্রে ১১ টাকা ৩৩ পয়সা, পাঞ্জাবে ৮ টাকা ৬৩ পয়সা। যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ টাকা ৩১ পয়সা, জার্মানিতে ৪১ টাকা ৯৩ পয়সা, বেলজিয়ামে ৪৬ টাকা ৪৬ পয়সা, জাপানে ২৫ টাকা ৭৪ পয়সা। জাপানসহ অন্য দেশের কথা বাদ দিলাম, ভারতের তুলনায়ও আমাদের বিদ্যুতের মূল্য কম।’হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবীতে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। ২৭টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি কোনো কোনো দেশে সেটি ২০-২২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাজ্যে সার্বিক মূল্যস্ফীতি অনেক আগেই ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। রাশিয়াতে ১১.৮ শতাংশ, তুরস্কে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত গিয়েছিল বর্তমানে সেটি প্রায় ৬০ শতাংশ। পাকিস্তানে ৩২ শতাংশ আর আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে সাড়ে ৮ শতাংশ। অর্থাৎ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এবং আশেপাশের দেশের তুলনায়ও আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি কম।’‘অথচ বিরোধীদল বিএনপি পৃথিবীর মানচিত্রের এই তথ্যগুলো মানুষের সামনে আড়াল করে এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালায় এমন কি বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সাথে দুর্নীতিকে যুক্ত করার চেষ্টা করে’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার তারা বাংলাদেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল, দুর্নীতির দায়ে বেগম খালেদা জিয়া শাস্তিপ্রাপ্ত বন্দি হয়েছিলেন এখন প্রধানমন্ত্রীর কৃপায় জেলখানার পরিবর্তে ঘরে অবস্থান করছেন। আর দুর্নীতির কারণেই বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের কারণে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাস্তিপ্রাপ্ত। বেগম জিয়ার আরেক পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর বিদেশে পাচার করা টাকা সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে। এভাবে যাদের সারা গায়ে দুর্নীতির গন্ধ, তারা যখন দুর্নীতির কথা বলে তখন তাদের গায়ের দুর্নীতির দুর্গন্ধই শুধু ছড়ায় অন্য কোনো কিছু নয়।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ মার্চ ২০২৩
সরকারের পতন ঘটাতে ব্যর্থ বিএনপির জনগণের কাছে পতন হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।তিনি বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা গণতন্ত্রকে হত্যার অপচেষ্টায় লিপ্ত। সেই অপচেষ্টার অংশ হিসেবেই তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সব প্রচেষ্টা তারা চালিয়েছেন। তারা আসলে গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চান বলেই সেটিকে ঢাকার জন্য নানা ধরনের বক্তব্য রাখেন। বিএনপি কথায় কথায় বলে- ‘বর্তমান সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরবে না’। তাদের এ কথা গত ১৪ বছর ধরে শুনছি। সরকারের পতন ঘটাতে গিয়ে দেখা গেলো বিএনপিই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জনগণের কাছে তাদের পতন হয়ে গেছে।সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে গণতন্ত্র চর্চার পথে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা আরও গভীরে প্রোথিত করার ক্ষেত্রে বিএনপিকে ‘বড় প্রতিবন্ধকতা’ হিসেবে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। পৃথিবীর অন্য সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে যেভাবে নির্বাচন হয় আমাদের দেশেও ঠিক একইভাবে নির্বাচন হবে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যে, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চলতি সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকালীন ক্ষমতাসীন সরকার পদত্যাগ করে না।বিএনপি নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুধু পাকিস্তানে আছে। উনারা পাকিস্তানকে পছন্দ করেন তো, সেজন্য পাকিস্তানের অনুকরণে বাংলাদেশে নির্বাচন চান। কিন্তু পাকিস্তানি ধারায় এদেশে কোনো কিছু হবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে আসতে চায় না, ওরা আওয়ামী লীগকে ভয় পায় এবং আওয়ামী লীগের উন্নয়নকে ভয় পায়। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয় তাদের, সেই কারণে ভয়ে ভয়ে পথ হারিয়ে তারা এখন পদযাত্রায় মিলেছে।মঙ্গলবার সকালে নিজ নির্বাচনি এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জানে না, আন্দোলনে মানুষ লাগে, তারা সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে আনতে পারেনি। কারণ মানুষ জানে— শেখ হাসিনার উন্নয়ন সারা দুনিয়ায় জেনে গেছে। তাই সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনার উন্নয়নে সাড়া দিয়ে তাদের আন্দোলনে যায়নি। শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটায় মানুষের জন্য, দেশের জন্য।এ সময় তিনি আরও বলেন, রাজনীতির অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন মানেই রাজনীতি নয়। রাজনীতি এখন ভালো মানুষের জন্য আদর্শ নয়। ভালো ও সৎ মানুষের রাজনীতিতে আনতে হবে।মন্ত্রী বলেন, নতুন করে আর নির্বাচনি ওয়াদা করতে চাই না। পূর্বের কাজগুলো শেষ করতে চাই। নতুন কাজ হাতে নিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে চাই না।কাদের বলেন, একজন দক্ষ, সৎ ও গুণী-জ্ঞানী সিনিয়র দায়রা জজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে অবাক করে দিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন।এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ রাহ্বার হোসেন। আরও বক্তব্য রাখেন— জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলসহ অনেকে। এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আমরা এমন কোনো রাষ্ট্রপতি করিনি যার নাম ইয়াজউদ্দিন-কার্যক্রমে ইয়েস উদ্দিন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।তিনি আরও বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী, কোনো অপশক্তিকে মনোনয়ন দেইনি।আজ সোমবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি পদে সাহাবুদ্দিনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক।গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাব ওবায়দুল কাদের বলেন, 'টেররিজমে বিশ্বাস করে, আগুন সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে এমন কোনো ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। সুশিক্ষিত, সৎ, যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তিতে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দিয়েছি। যার ক্যারিয়ার, গোটা জীবনটাই বর্ণাঢ্য—এমন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দিয়েছি।'বিএনপি সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'এখানে তাদের আগ্রহ থাকবে না। দেশের সংবিধান-গণতন্ত্রে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। যদি গণতন্ত্র ও সংবিধানে আগ্রহ না থাকে তাহলে রাষ্ট্রপতি কে হলো-না হলো তা নিয়ে তাদের আগ্রহ না থাকারই কথা। এ নিয়ে আমরা অবাক হইনি।''আমরা প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চাই। বিএনপির মতো দল নির্বাচনে থাকুক এটা আমাদের প্রত্যাশা,' বলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩