বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ‘ খালেদা জিয়া অসুস্থ তাকে বিদেশে পাঠাও, আহ্লাদের আর শেষ নেই' । মেকআপ নিয়ে ভ্রু এঁকে হাসপাতালে যান। আর তার চিকিৎসকরা বলেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা খুবই খারাপ। ওনার নাকি লিভার পচে গেছে। লিভার কেন পচে যায়, সেই কথা মুখে আনতে চাই না।’তিনি বলেন, দেশে আজ গুম-খুনের কথা বলা হয়, ভোট কারচুপির কথা বলা হয়। কিন্তু এদেশে গুম-খুন, ভোট কারচুপির সৃষ্টি করেছিল জিয়াউর রহমান। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।তিনি বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা ১৫ আগস্টের খুনি, তাদের স্বজন ও কিছু অপরাধী দেশের বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র করেছে। তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বিএনপির ক্ষমতার সময়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কী হয়েছিল ঢাকা শহরে, বিদ্যুতের জন্য হাহাকার, পানির জন্য হাহাকার। সারের জন্য মাঠে নামায় ১৮ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে গেলাম, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সে উৎপাদন কমিয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।জ্বালানি তেলের দাম কমানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তেল পাচার বন্ধ হওয়ায় লিটারে ৫ টাকা দাম কমানো হয়েছে। আমরা কখনও ধার করে ঘি খাই না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের যে ঋণ তাতে আমরা কখনও কারো কাছে আটকে যাব না। বাংলাদেশ সেই অবস্থায় নেই।শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে বন্যা হচ্ছে। সেখানকার নারী-শিশুরা চরম দুর্দশায় রয়েছে। বাংলাদেশ যুদ্ধে বিজয়ী জাতি। আমরা সেখানে সাহায্য পাঠাব।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সারাদেশে আন্দোলনের নামে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে যাচ্ছে । বিএনপির রাজনীতিই হলো ষড়যন্ত্র -চক্রান্ত-হত্যা-ক্যু ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা । আজ সোমবার তিনি এক বিবৃতিতে একথা বলেন।বিএনপি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে একটি সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের তাঁর বিবৃতিতে বলেন তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণ ও গণতান্ত্রিক ঔদার্য নিয়ে সহনশীল আচরণ করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন, আর এই সুযোগে বিএনপি তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী মাঠে নামিয়ে ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে রাজনৈতিক ফয়দা লোটার অপতৎপরতা চালাচ্ছে।অন্ধকারে অপশক্তি বিএনপি সরকারে থাকা অবস্থায় যেমন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সৃষ্টি করেছিল, তেমনি বিরোধীদলে থেকে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও শান্তি - শৃঙ্খলা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ আগস্ট ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম বলেছেন, বিএনপি এখন গণতন্ত্রের কথা বলছে অথচ নির্বাচন ঠেকানোর নামে ২০১৪ সালে পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে।তিনি বলেন, 'আপনারা দেখেছেন কিভাবে তারা পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। বিএনপির গায়ে হত্যা সন্ত্রাস, ধর্ষণ ও দুর্নীতি ও ভোট ডাকাতির গন্ধ লেগে আছে অথচ তারা এখন গণতন্ত্রের কথা বলে, যা হাস্যকর'।রবিবার (২৮ আগষ্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী হকার্স লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বছরের পর বছর ঘিরে রাখা হয়েছিল। দলের নেতাদের সেখানে যেতে দেয়া হয়নি, কোন মিছিল, কোন প্রোগ্রাম, কোন সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। অথচ তারা এখন গণতন্ত্রের কথা বলে।আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার অপরাধে কেরানীগঞ্জে পিতার সামনে কন্যাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল, বিএনপি নেতারা ভুলে গেছেন বোধহয় সে কথা, তিনি যোগ করেন। তিনি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন এবং তখন বঙ্গবন্ধুর হত্যার সংবাদ পাওয়ার পরে এই জিয়াউর রহমান বলেছিলেন ''so what, Vice-president will take over". কিন্তু সে সময়ে বাংলাদেশ সংবিধানে উপরাষ্ট্রপতির কোন পদ ছিল না। এ থেকে প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে যারা পর্দার অন্তরালে থেকে সহযোগিতা করেছিল তাদের মুখোশ উন্মোচন করে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে তাদের বিচারের দাবীও জানান এই আওয়ামী লীগ নেতা। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন বিএনপি-জামাত এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, এবং ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের মোকাবেলা করতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ আগস্ট ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচানোর সকল চেষ্টাই করেছে সে। তাদের রক্ষায় জিয়া ইনডেমনিটি আইন জারি করেছিলো। জিয়া দেশের সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি জঘন্যতম এক অধ্যায়।জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আগমনের মধ্য দিয়ে তিনি খুনিদের বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে এসেছেন। তাদের বিচার কার্যকর করেছেন এবং তাদের একটি অংশ এখনো পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অচিরেই তাদের ধরে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে।রবিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ খামারবাড়িতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে 'শোষিত মানুষের কণ্ঠস্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা' শিরোনামে প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমাদের ভিতরে কখনো কখনো দিক ভ্রষ্ট হওয়ার বিষয়টি বারবার প্রতিফলিত হয়েছে। আমাদের ভিতরেও বেইমান এর সংখ্যা কম নয়। এদের প্রতি লক্ষ্য রেখে আমাদের জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যেতে হবে এবং শেখ হাসিনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এর মধ্যে যারা বাধা সৃষ্টি করবে তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে।তিনি আরও বলেন, জাতির পিতাকে আমরা কখনো ফিরে পাবোনা। তবে তার অসম্পূর্ণ কাজ আমারা সম্পূর্ণ করতে পারি। এতে তার আত্মা শান্তি পাবে। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আমরা জাতির পিতার আত্মাকে শান্তি দিতে চাই এবং তার হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিশোধ নিতে চাই। প্রতিশোধ হলো মানুষের হৃদয়ে তাদের জন্য ঘৃণা। আজ বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আশার আলো দেখছে। দেশে উন্নয়ন ও অগ্রগতি হচ্ছে। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে ও বাংলাদেশ আজ বিশ্বের সম্মানিত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এই সবকিছু সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ আগস্ট ২০২২
বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি নেতারা যদি তাদের দলের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে চায় তাহলে তাদের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।“আগামী জাতীয় নির্বাচনে আসুন, দেখুন কার জনপ্রিয়তা কত বেশি রয়েছে। জনগণ আগুন সন্ত্রাসের পক্ষে রায় দিবে নাকি শেখ হাসিনার উন্নয়নের পক্ষে রায় দেবে। সেটি প্রমাণ হবে আগামী নির্বাচনে,” তিনি বলেন।রোববার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপি এবং জামায়াতের সম্পার্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপিকে ছেড়ে জামাত চলে গেছে, না জামাতকে ছেড়ে বিএনপি চলে গেছে, তা বোধগম্য নয়। আসলে রসুনের গোড়া এক জায়গায়। তিনি বলেন, ওদের চরিত্র এক, ওদের লক্ষ্য এক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে তারা মুছে ফেলতে চায়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করাই তাদের উদ্দেশ্যে।বিএনপিকে হুশিয়ারী দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগে ভোট দেওয়ার অপরাধে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি নেতারা ভাইয়ের সামনে বোনকে ধর্ষণ করেছে, পিতার সামনে কন্যাকে ধর্ষণ করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এসব কিছুই করেনি।‘আমরা তো ইচ্ছে করলে গত সাড়ে ১৩ বছরে আপনাদেরকে পিষে দিতে পারতাম। কিন্তু নেত্রী শেখ হাসিনার গণতন্ত্র বিশ্বাস করে বলেই আমাদেরকে সেটা করতে দেননি। করতে দেয়নি বলেই যারা আমাদেরকে রাজনৈতিক অফিসে ঢুকতে দেয় নাই, তারা আজকে গণতন্ত্রের কথা বলে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কথা বলতেই থাকে। তার পরেও বলে আমাদেরকে(বিএনপি) কথা বলতে দিচ্ছে না। এতটা নির্লজ্জ- বেহায়া। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।‘তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারনী ফোরামে এই নেতা বলেন, এই প্রজন্ম ১৫ আগস্ট দেখেনি, এই প্রজন্ম ২১ আগস্ট দেখেনি, ১৭ই আগস্ট সারাদেশে এক যুগে সিরিজ বোমা হামলা দেখেনি। এ প্রজন্ম জিয়াউর রহমানের অত্যাচার দেখেনি। এই প্রজন্ম হাওয়া ভবনের কর্তা দন্ডিত পলাতক তারেক রহমানের রক্তের হোলি খেলা দেখেনি। এই তরুণ প্রজন্মকে বুঝতে হবে সমাজের শত্রু কারা, দেশের সার্থবিরোধী কারা এ বিষয়গুলো জানতে হবে। তরুণ প্রজন্মের উপরে বিরাট দায়িত্ব রয়েছে জানিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, দিন-রাত পরিশ্রম করে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা এবং তাকে নিরাপদ রাখা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব এবং কর্তব্য।ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ আগস্ট ২০২২
জনগণ আর বিএনপির সেই দুঃশাসনের কাছে এদেশকে ফিরিয়ে দিতে চায় না,কোনদিন ফিরিয়েও দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপি ও তার দোসররা টাকার বিনিময়ে নানা ধরনের ফ্রন্ট করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পায়তারা করছে তিনি আজ সকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন।ওবায়দুল কাদের তাঁর বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।বিএনপি জানে নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে না, সেজন্য তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন এদেশে আর ক্ষমতার পরিবর্তন পেছনের দরজা দিয়ে হবে না, নির্বাচন করেই জনগণ যাকে চাইবে সেই ক্ষমতায় যাবে।তিনি বলেন নির্বাচনের মাধ্যমেই ফয়সালা হবে কে ক্ষমতায় থাকবেএদেশে আর ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন ৭৫ এর ১৫ আগস্ট ও ২১ শে আগস্ট রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, আমরা এখন অনেক সতর্ক। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিলো, তাদের হাতে এখন সেই রক্তের দাগ দগদগ করছে।ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি লুন্ঠনের মাধ্যমে হাওয়া ভবন তৈরি করেছিলো, দুর্নীতিতে ৫ বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।তিনি আরও বলেন কোটি কোটি টাকা কালো টাকার মালিক যারা হয়েছিল, বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা যারা বিদেশে পাচার করেছিল, সেই অপশক্তি বিএনপি নির্বাচনে জনগণের ভোট পাবে না।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন গুজবে কান দিবেন না,বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্ট দুঃসময় কেটে যাবে,সুদিন ফিরে আসবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন।রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ভারপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে শোক সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এবং রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, আমার সত্যি খালেদা জিয়ার জন্য কষ্ট লাগে। আমি তার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করি। শেখ হাসিনা বলেছিলেন- মানুষ অসুস্থ হলে সে যদি শত্রুও হয়, তার জন্য দোয়া করবে। লন্ডন থেকে নির্দেশ আসছে আর আপনারা বাংলাদেশে বসে লাফাচ্ছেন।শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে নারায়ণগঞ্জে ২নং রেলগেট এলাকায় আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।খেলার জন্য তারিখ চেয়ে শামীম ওসমান বলেন, আপনারা খেলতে চান, আমরাও খেলতে চাই। আপনারা আমাদের সঙ্গে কবে খেলবেন বলেন। তারিখ দিন কবে খেলবেন।তিনি বলেন, আপনারা ধ্বংসের পক্ষে, আমরা খেলবো ধ্বংসের বিপক্ষে। আপনারা খেলবেন সাম্প্রদায়িকতার ক্ষেত্রে, আমরা খেলবো অসাম্প্রদায়িকতার ক্ষেত্রে। সারা দেশে ঝামেলা করার দরকার কী? আসুন নারায়ণগঞ্জে খেলি। তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজনীতি করার কথা ছিল না বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে। বঙ্গবন্ধু আর পনেরো বছর পেলে বাংলাদেশ জাপানের মতো উন্নত দেশ থাকত। শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের স্বপ্ন না, তিনি আগামী দিনের সুন্দর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। জাতির পিতার কন্যাকে বলতে চাই- হতে পারেন আপনি নীলকণ্ঠী, চেষ্টা করেছি আপনার মতো হওয়ার। আমাদের ভুল থাকলে ভুল ধরিয়ে দেন। আপনারা তা করছেন না।আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আপনাদের টার্গেট সরকার ফেলে দেওয়া নয়, শেখ হাসিনাকে ফেলে দেওয়া। ওরা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায়। ওরা ওদের জায়গায় ঠিক আছে। আমরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বিভক্ত। বলেছিলাম- আমি স্লোগান দেব, আপনারা বক্তৃতা দিয়েন। সবাই তো বুঝল না। অনেকেই বুঝে না বোঝার ভান করেন। তারা আমাদের হুমকি দেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়েছেন। আল্লাহ তাকে সুস্থ রাখুক। তাদের সময় আমার বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছিল, আমার বহু লোককে হত্যা করা হয়েছিল। আমি যদি দোয়া করি আল্লাহ অবশ্যই দোয়া কবুল করবেন। লন্ডন থেকে যিনি হুকুম দিচ্ছেন, ছেলে হয়ে তো আসলেন না বাংলাদেশে। বুকে কলজে নাই নাকি সাহস নাই? আপনি লন্ডনে আরামে থাকেন নিজের ছেলের বউ তো বড় নামকরা ডাক্তার। শাশুড়ি তো মায়ের মতোই। তিনিও তো আসতে পারতেন, আসলেন না। তাদের একজন মেয়েও আছে। দাদীকে দেখতে তো একবারও আসলেন না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ আগস্ট ২০২২
বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ করলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের কথা বলে না অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে নালিশ করে। কোথাও কি রোহিঙ্গাদের কথা বলেছে? গতকাল (বৃহস্পতিবার) শুনলাম, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, তারা রোহিঙ্গাদের কিছু লোককে পুনর্বাসিত করবেন। এভাবে বাংলাদেশে নিযুক্ত ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূতেরা আশ্বাস দিয়েছেন, তারাও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন। এদের কাছে নালিশ করে (বিএনপি), কিন্তু রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে একটা কথাও বলে না।’এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন— ‘শুরু থেকেই এই সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।’রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের আসার পর কক্সবাজারের কুতুপালং শিবিরে ত্রাণসামগ্রী দেওয়ার নামে ফটোসেশন করেছিলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে বিএনপি এই রোহিঙ্গাদের নিয়ে কথা বলেনি। একদিনও বলেনি। এখন এই বিশ্ব সংকটে কথা বলে। ভাসানচরে পুনর্বাসনসহ তাদের জন্য কিনা করেছে সরকার। সাড়ে ১১ লাখ লোক আমার ঘাড়ে, মাথার ওপর। এত কিছু করার পরেও তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে লিপ সার্ভিস দেয়। এখনও সরকারবিরোধী বিষোদ্গার করছে।’১৫ আগস্টের ঘটনা প্রবাহ বর্ণনা করে কাদের বলেন, ‘কে জড়িত, কে জড়িত নয়, যখন তাঁর বাড়িটি ঘেরাও করে, বঙ্গবন্ধু ওপরে উঠে গিয়ে কয়েকজনকে টেলিফোন করেছিলেন। তাদের মধ্যে সেনা কর্মকর্তা ও তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মী ছিলেন। কে সাড়া দিয়েছিল জানি না। শুধু জানি, টেলিফোন যাদের করেছিলেন, তাদের মধ্যে সাড়া দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল। তিনি ছাড়া আর কেউ ছুটে আসেনি বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে।’তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যেমন তার সহধর্মিণী সহযোগিতা করেছিলেন। ঠিক তেমনিভাবে শেখ রেহানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।’দেশবাসীকে আরও কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘আমরা কোনও বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা না। এই বৈশ্বিক বৈরী পরিস্থিতি আমরা সৃষ্টি করিনি। কিন্তু তারপরেও মূল্য দিতে হচ্ছে আমাদের।’বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি ও সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন— মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন,১৫-ই আগস্টের কুশিলব রা পরবর্তীতে বিএনপি নামক দল গঠন করে। তিনি বলেন, এই কুশীলব যারা পরবর্তীতে বিএনপি নামক দল গঠন করেছে, জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি উন্মুক্ত করেছে। সেই অপশক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়নি। তারা এখনো বেঁচে আছে। তারা এখনো বারবার বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সন্তান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে নিঃশেষ করার জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা চাই সেই অপশক্তির মূলোৎপাটন করতে, তাদেরকে পরাজিত করতে।পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে যারা সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে সেই ঘাতকদের বিচার হয়েছে কিন্তু যারা ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল, সমর্থন ও সহযোগিতা করেছে সেই কুশীলবদের বিচার হয়নি। এদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।আজ ২৬ আগস্ট শুক্রবার সকালে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তন, রমনায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য আমদের কাজ করতে হবে। জাতির পিতার আদর্শের প্রতি বিশ্বস্ত হয়ে তার আদর্শ বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার পাশে থেকে আমাদের নীতিবান হতে হবে, আদর্শবান হতে হবে, নৈতিক শক্তিতে বলিয়ান হতে হবে। জাতির পিতার অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ আগস্ট ২০২২
বিএনপি নির্বাচনে আসলে,বাংলার জণগণ উচিত শিক্ষা দিবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহিলা বিষয়ক উপ কমিটির শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন ।নানক বলেন, লন্ডনে থেকে নির্দেশ দিয়ে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চান। আসেন না খেলার মনোভাব নিয়ে, আসেন না নির্বাচনে, দেখি বাংলার জনগণ কাকে রায় দেয়। উন্নয়নের পক্ষে রায় দেয় নাকি ধ্বংসের পক্ষে রায় দেয়। মির্জা ফখরুল সাহেবরা আগামী বছর ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারীর নির্বাচনে আসে। আমি জানি আপনারা আসতে পারবেন না। কারণ পলাতক ও দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান দেশে আসতে পারবেন না। সেহেতু মির্জা ফখরুল সাহেব, তারেক রহমান আপনাদের নির্বাচনে আসতে দিবে না। আসেন নির্বাচনে, বাংলার জনগণ আপনাদের শিক্ষা দিয়ে দিবে।নানক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের অনুচর জিয়াউর রহমানকে ঢুকিয়ে দিয়ে, খন্দকার মোশতাকদের ঢুকিয়ে দিয়ে আমাদের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে চেয়েছিলো। ব্যর্থ হয়ে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ ষড়যন্ত্র শুরু করে। সেদিন আমাদের দলের ভেতরে অস্থিরতা ছিলো, সেই অস্থিরতা শুভফল বয়ে আনে নাই। তিনি বলেন,“জেনারেল জিয়াউর রহমানরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মানতে পারে নি। মোশতাকরা মানতে পারে নাই বলে বাংলাদেশ মুসলিম বাংলা নামে সংগঠন প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৯৭২ সালে। এরা সারাদেশে আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। সেসময় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছিলো। ইতিহাস আলোচনা করতে গেলে সত্য কথা আমাকে বলতেই হবে। সেদিন জাসদ সৃষ্টি, গণবাহিনী সৃষ্টি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের আড্ডা খানায় পরিণত হয়েছিলো। সেদিন আমাদের বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার করা হয়েছিলো।”বামজোটের হরতাল দেশের জনগণ টের পায়নি বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নানক বলেন, আজকে যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। তখন কিছু অপশক্তি মাঠে নেমেছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য জনগণের মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে। গতকাল একটি হরতাল পালন হয়ে গেলো বাংলাদেশ, কেউ টেরই পেলো না। রাস্তায় যানজট ছিলো। দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে নানক বলেন, “আমাদেরকে খুব সর্তক হতে হবে। ওরা আবার নেমেছে। ওরা বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিবে না। সে কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা নেমেছে। আপনারা পাকিস্তানি প্রেসক্রিপশনে চলছেন। এদেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেট হামলা হয়েছে, কোথায় ছিলো মানবতা? এই দেশে ৭৫ এ ১৫ আগস্ট হত্যার পরে সুশীল সমাজরা কথা বলে নি, তাদের প্রতি ধিক্কার দেই। তারা আজকে বড়-বড় কথা বলে। আজকে সেই সুশীলদের বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে। আর জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বাড়াতে হবে।”
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,আমরা সিল মারামারির নির্বাচন চাই না, সেজন্যই ইভিএম চাই। যারা সিল মারামারির নির্বাচনে অভ্যস্ত; যারা নির্বাচন বলতে কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপারে সিল মারা এটা বোঝে; যারা নির্বাচন বলতে ভোট কারচুপি বোঝে, ভোট জালিয়াতি বোঝে তারা ইভিএমকে সমর্থন করে না।‘পরীক্ষামূলকভাবে অনেকগুলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন এই ইভিএমে হয়েছে। এগুলো কি প্রশ্নবিদ্ধ ছিল? সিটি করপোরেশনগুলোতেও হয়েছে, সিলেটে হয়েছে, বরিশালে হয়েছে, কুমিল্লাতে হয়েছে। কেউ কি কোনো প্রশ্ন করেছে? বিএনপিকে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আগামী নির্বাচনে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।সরকারকে টিকিয়ে রাখতে নির্বাচন কমিশন ইভিএম নিয়েছে, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব সরকারের পরিবর্তন যদি চান, সোজাসুজি কথা হলো—নির্বাচনে আসতে হবে। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের আর কোনো সুযোগ নেই।’বিএনপির মনে আসলে কী, তা জানতে চেয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা একদিকে বলে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে নির্বাচনে আসবে না; আবার বলে, ইভিএমে আসবে না, ইভিএম চান না। তাহলে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে কেন গেলেন না? ওখানে গিয়ে বলতেন।’‘তাহলে আপনাদের মনে কী? আপনাদের মনে কোন খেলা? কোন চক্রান্তের খেলা? কী চান আপনারা? নির্বাচন চান না? তত্ত্বাবধায়ক সরকার উচ্চ আদালতের রায়ে বিদায় নিয়েছে, আবার সেখানে যেতে চান? দুনিয়ার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, এখানেও রুটিন দায়িত্ব নিয়ে সরকার নির্বাচনে সহযোগিতা করবে। আর নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।’বিএনপি নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনে আসবে, দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আসবেন (নির্বাচনে), আসতে হবে, অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চাইলে আসতে হবে। আমরা কারও দয়ায় টিকে থাকতে চাই না। জনগণ আমাদের ক্ষমতার উৎস। জনগণ ভোট দিয়ে আমাদের নির্বাচিত না করলে আমরা কী দায় নেব। কারও দয়ায় বা নির্বাচন কমিশনের ইভিএম দিয়েছে, এইসব দেখে আমরা রাজনীতি করি না।’বর্তমান সরকারের কাছ থেকে জনগণ মুক্তি চায়, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ মুক্তি চায় না, মুক্তি চায় বিএনপি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। একটা পদ্মা সেতুতেই কাত হয়ে গেছে। একটা পদ্মা সেতুতেই আপনাদের বুকের ব্যথা বেড়ে গেছে। সামনে মেট্রো রেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, আরও কত প্রকল্প।’স্বাচিপের বিএসএমএমইউ শাখার সভাপতি আবু নাসার রিজভীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন—আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও বিএমএ’র সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় স্বাচিপের সভাপতি ইকবাল আর্সেনাল ও সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ আগস্ট ২০২২
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ১৯৭১, ৭৫, ২০০৪ এর খুনি ও ২০১৩, ১৪ সালের অগ্নি সন্ত্রাসরা একই আদর্শে বিশ্বাসী। অগ্নি সন্ত্রাসরা দেশে ১৫ আগস্টের মতো আরেকটি ঘটনা ঘটাতে চায়।বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ আইভী রহমানের স্মরণে আইভী রহমান পরিষদ সভাটির আয়োজন করে।‘শিক্ষকরা ক্লাসে না পড়িয়ে কোচিং সেন্টারে পড়ান’- এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য কোচিংয়ের দরকার হতে পারে। বিদেশেও এ ধরনের কোচিং আছে। কিন্তু শিক্ষকরা ক্লাসে ভালোভাবে না পড়িয়ে নম্বর কম দেওয়ার ভয় দেখিয়ে যদি কোচিংয়ে পড়ান তাহলে এটি বৈষম্যজনক এবং অনৈতিক। এটি অপরাধজনক। সেটি যেন না করতে পারে সেজন্য নতুন শিক্ষা আইনে এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দীপু মনি বলেন, আমাদের সচেতন থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দলের পথ কখনো কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। সবসময়ই এটি কাঁটা বিছানো ছিল। আমাদের সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনে প্রাণে ধারণ করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও অসাম্প্রদায়িক শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যাবে।আইভী রহমানের সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বেগম আইভি রহমান রাজনীতিতে শুদ্ধাচার ও শিষ্টাচারের অন্যান্য দৃষ্টান্ত। জিল্লুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনে তার অনেক অবদান ছিল। তিনি স্বামীকে অনুপ্রাণিত করেছেন। নিজেও সোচ্চার ছিলেন। পুরো রাজনৈতিক জীবনে তিনি কর্মীবান্ধব নেতা ছিলেন। জন সভায় তিনি কর্মীদের পাশে বসেছিলেন।আইভী রহমানের রক্তাক্ত শরীর কোনোভাবে ভুলতে পারি না। তৎকালীন সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশেও যেতে দেয়নি। তার সন্তানদের ঠিকমতো দেখতে দেওয়া হয়নি। নাটক করেছে, বলেছে জানাজা পড়ানো যাবে না। তারা গোপনে দাফন করতে চেয়েছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ আগস্ট ২০২২
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রাখতেই আগামী সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচনে কমিশন (ইসি)। তিনি বলেন, সরকার ৩০০ আসনে ইভিএম চেয়েছিল, কমিশন সমঝোতার মাধ্যমে অর্ধেক আসনে সরকারের সঙ্গে রফা করেছে। এর মাধ্যমে এটিই প্রমাণিত হলো, নির্বাচন কমিশন সরকারের হয়েই কাজ করছে।১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (২৪ আগস্ট) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ফখরুল।বিএনপি নির্বাচন কমিশন নিয়ে ভাবছে না- জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, অবৈধ এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।তিনি বলেন, অনেক চড়াই-উতরাই গেছে বিএনপির। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্নভাবে দেশের জাতীয়তাবাদকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। বিএনপি আবার খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জেগে উঠেছে। কিন্তু তিনি কারান্তরীণ হয়ে আছেন। বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে আর ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে- যারা বলেন, তারা অসত্য বক্তব্য দিচ্ছেন, বরং তারাই সে পথ ধরে নিজেরা আসছেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের অধিকার হরণ করে সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে জবরদখল করে ক্ষমতায় টিকে আছে বর্তমান আওয়ামী লীগ। তারা কথা বলে একরকম, কাজ করে অন্যরকম। প্রধানমন্ত্রী একদিকে বললেন, সভা-সমাবেশ করতে দেবেন, কিন্তু অন্যদিকে ভোলায় দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হলো।বর্তমান সরকারের হাত থেকে জনগণ মুক্তি চায়- উল্লেখ করে সাবেক তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই। আমাদের মূল দাবি, সরকার পরিবর্তন না হলে কোনো কমিশনের অধীনেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তিনি আরও বলেন, সরকারের সঙ্গে ইসির সমঝোতা হয়েছে। যার মাধ্যমে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে৷ ইভিএমে ভোটের মাধ্যমে ইসি সরকারের ইচ্ছার চূড়ান্ত প্রতিফলন ঘটাবে। বিএনপি এসব ইভিএম মানে না। সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে, তবে তা হতে হবে ব্যালটে- দাবি করেন ফখরুল।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ আগস্ট ২০২২
বিএনপি আমলে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মী হত্যার শিকার হয়েছিল উল্লেখ করে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ৭১ এর গণহত্যা এবং ২০০১-০৬ পর্যন্ত ২৬ হাজার নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ড দুটো একই সূত্রে গাঁথা। ৭১ এর ঘটনায় জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে, বিএনপিরও রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত।বুধবার (২৪ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে আইভি রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।হানিফ বলেন, ২১ আগস্টের ঘটনা সুপরিকল্পিত। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর, মুফতি হান্নানসহ অন্যান্য জঙ্গিদের নিয়ে হাওয়া ভবনে মিটিং করেন তারেক জিয়া। মুফতি হান্নানের ভাই মাওলানা তাইজুদ্দিন পাকিস্তান থেকে হামলার গ্রেনেড নিয়ে এসেছিলেন। সরকারের ইন্ধন ছাড়া একটি দেশে কীভাবে এই বোমা নিয়ে এসেছে।তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা একটা নিকৃষ্ট, বর্বরোচিত ঘটনা। ৭৫ পরবর্তী সময়ে এটি সবচেয়ে কলঙ্কময় একটি দিন। মূলত এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগকে দমন করা। যাতে বিএনপির আমলের লুটপাটের কোনো জবাবদিহিতা না করতে হয়। মির্জা ফখরুল নাকি শিক্ষক ছিলেন। উচ্চ শিক্ষিত লোক কীভাবে বিএনপির মত দলের রাজনীতি করে, আমার বুঝে আসে না।হানিফ বলেন, কয়েকদিন আগে ফেসবুকে দেখলাম লন্ডনে বসে তারেক জিয়া বলছেন, ২১ আগস্টের ঘটনা আওয়ামী লীগই ঘটিয়েছে। তিনি থিউরি দিলেন কী, সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল মুক্তাঙ্গনে। শুরু হওয়ার মাত্র দেড় ঘণ্টা পূর্বে সেটি ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন নেওয়া হলো। মুক্তাঙ্গনে নাকি ইঞ্চি-ইঞ্চি জায়গার নিরাপত্তা ছিল। কী রকম মশকরা, মিথ্যাচার। এই তারেক রহমান একজন মিথ্যাবাদী, কুলাঙ্গার ও নির্লজ্জ। ন্যূনতম রাজনৈতিক শিষ্টাচার থাকলে এ ধরনের মিথ্যাচার করা সম্ভব না।হানিফ বলেন, ২১ আগস্টের মতো এরকম ঘটনা পৃথিবীতে আর ঘটেছে বলে মনে হয় না। ওই দিন দেখলাম মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির অনেক নেতা এই ঘটনার সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করলেন। অবাক হয়ে যেতে হয়। ২১ আগস্টের ঘটনায় রাজনীতি করার অধিকার তারা হারিয়ে ফেলেছেন। তাদের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন আগস্ট মাস এলেই ষড়যন্ত্রকারিরা বিচলিত হয়ে ওঠে কারণ তখন তাদের ষড়যন্ত্রের মুখচ্ছবি ভেসে উঠে।তিনি আজ বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সচিবালয় প্রাঙ্গণে সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন। ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে বিএনপি আর আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে জনগণের জন্য উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে, নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে পরাজিত করা সম্ভব না তাই তাঁকে সরিয়ে দিতে হত্যার বিকল্প নেই, এজন্যই বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে,তবে এবার আর পার পাবে না, আওয়ামী লীগ সতর্ক আছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন কে কোথায় ষড়যন্ত্র করছে, বিদেশে কি ষড়যন্ত্র হচ্ছে সব খবর আমাদের কাছে আছে।আমরা এবার সতর্ক। রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে বসে টেমস নদীর তীরে কলকাঠি নাড়ছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন সেখানে বসে শ্লোগান দিচ্ছে টেক ব্যাক, আর বিএনপি মহাসচিব দেশে শ্লোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ।তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন কাদেরকে টেক ব্যাক করছেন, সেদিন হারিয়ে গেছে, সেদিনের স্বপ্ন দেখেও লাভ নেই।আগস্ট মাস হলো বিএনপির চক্রান্তের মাস এমনটা দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন সারা দুনিয়ার ছবি চোখে ভাসে না শুধু বাংলাদেশের ছবি চোখে ভাসে বিএনপির। নির্বাচনের দরকার নেই, দরকার সরকার পতনের, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন আমরা আছি রাজপথে, সকল অশুভ শক্তিকে মোকাবেলা করা হবে,সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়া হবে।বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামের সভাপতিত্বে শোক দিবসের আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম এবং বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের মহাসচিব মোঃ রুহুল আমিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ আগস্ট ২০২২
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধীদল বিএনপি ইতিমধ্যে রাজপথে বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্যে দিয়ে তাদের নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ইতিমধ্যে বলেছে সারাদেশে তাদের নেতাকর্মীরা আগেই থেকেই মাঠ দখলে রাখবে। অন্যদিকে বিএনপি নেতারা বলছে, তারাও আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবে এবং শেখ হাসিনা সরকারের অনিয়ম, দুর্নীতি, দুঃশাসন নিয়ে কথা বলবে এবং জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করবে।তারই ধারাবাহিকতাই আজ মঙ্গলবার পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একই স্থানে একই সময়ে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়ায় সংঘাত এড়াতে উপজেলা প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।উপজেলা বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মঙ্গলবার (আগস্ট ২৩) সকাল ১০টার দিকে গ্রামীণ ব্যাংক সড়ক এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বলে ঘোষণা দেয়। এ অবস্থায় গতকাল সোমবার রাতেই দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল-ইমরান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আজ সকাল ১০টায় গ্রামীণ ব্যাংক সড়কে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজনের কথা ছিল।একই সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও একই এলাকায় পাল্টা বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এর পর থেকে দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ অবস্থায় উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় ও যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ওই এলাকায় সভা, সমাবেশ, মিটিং, মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।এদিকে ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় একই স্থানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি সভা আহ্বান করায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।গতকাল সোমবার রাতে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা শামসাদ বেগম স্বাক্ষরিত এ–সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়।এতে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পরশুরাম উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে পরশুরাম দলীয় অফিসসংলগ্ন স্টেশন রোডে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা করা হয়। একই দিনে ও একই সময়ে পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা পরশুরাম বাজার ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে পরশুরাম উপজেলা এলাকায় ২৩ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ আগস্ট ২০২২
সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবেলায় নেতাকর্মীদের রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্লজ্জ ভাবে বলছে, দেশের মানুষ না কি জ্বলছে? দেশের মানুষ কোথায় জ্বলছে? আপনাদের মন জ্বলছে। কারণ আপনাদের ক্ষমতাটা দখল করা দরকার।সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ২১ আগস্ট উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ষড়যন্ত্র হচ্ছে, যদি দেশে আন্দোলনের নামে কোন নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাহলে তাদেরকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।কারণ বাংলাদেশের এই জনগণ সত্যিকারের ইতিহাস জানতে পারছে। ১৯৭৫’র ১৫ আগস্টের ইতিহাস জানতে পেরেছে। ৭ই মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলেন, সেই ৭ই মার্চের ভাষণ এখন সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের প্রাণের স্পন্দন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজেই অনেক জ্বালা আপনাদের আছে। কারণ আপনি আপনার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে কোন দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। সব নির্দেশনা আসে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারী যাকে দেশের আদালত যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে, অর্থলোভী লুটপাটকারী তারেক রহমানের কাছ থেকে। লন্ডন থেকে আপনাকে নির্দেশ দেয়, তাই জ্বালা আপনাদের রয়েছে।সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপির আগুন সন্ত্রাস, পেট্রোল বোমার মাধ্যমে মানুষকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মারার প্রসঙ্গ টেনে জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, নির্বাচন ও আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যারা করেছেন আপনারা।আপনাদের পলাতক তারেক রহমানের নির্দেশে এই দেশে ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা হয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৩ সালে ক্লিনহার্ট অপারেশনের নামে আমাদের শতাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিলেন আপানারা। আওয়ামী লীগকে পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়াতে দেন নাই। আর আপনারা একদিকে কথা বলবেন আরেকদিকে বললেন কথা বলার অধিকার নাই।আমাদেরকে ক্ষমতা থেকে টেনে হেঁচড়ে নামানোর কথা বলবেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কথা বলবেন। তারপরও বলবেন আপনাদের কথা বলার স্বাধীনতা নাই।বিএনপি-জামায়াতের দিকে ইঙ্গিত করে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরা একাত্তরে যারা পরাজিত হয়েছিল সেই চক্রের উত্তরাধিকার। ওরা বাংলাদেশকে মানতে পারে না। ওদের ভিতরে চরম প্রতিশোধ রয়ে গেছে।কাজেই ওদের মনের জ্বালা পোড়ার কারণে মাঝে মধ্যে দেশের মানুষকে জ্বালাতে চায়।দলের নেতাকর্মীদের স্বাধীনতার ইতিহাস রক্ষার ব্রত নিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমরা পরিস্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের দলের নেতাকর্মীরা দেশের সকল কঠিন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আপনাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এই দেশে যদি আন্দোলনের নামে কোন নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাহলে তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা মাথা ছাড়া দিয়ে উঠলেই প্রতিহত করতে হবে। এজন্য আমাদের সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের ইতিহাসের সঙ্গে অবিচ্ছিত অংশ।তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।নির্বাচনে বিজয় ছাড়া কোন বিকল্প নাই। আগস্ট মাসের এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ওই পরাজিত অপশক্তিকে আগেও প্রতিহত করা হয়েছে এবারও প্রতিহত করতে হবে। আমাদের নেতাকর্মীদেরকে বলব- আপনারা সবাই সজাগ থাকুন।যেখানে ষড়যন্ত্র হবে সেখানেই প্রতিহত করতে হবে। দেশবিরোধী এ ধরনের ষড়যন্ত্রকারীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে। এই হোক আজকের দিনে আমাদের শপথ।আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের সেকেন্ড হোম রাজপথ। সুতরাং আওয়ামী লীগের কর্মীদের রাজপথের ভয় দেখিয়ে লাভ নাই । আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ রাজপথে প্রস্তুত। বিএনপি জামায়াত যত বার এদেশে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করবে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ রাজপথে তার সঠিক জবাব দিবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে বিএনপি কখনো হৃদয়ে ধারণ করে না।বিএনপি এদেশের হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্র- দুর্বৃত্তায়ন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক।তিনি আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদের দুরভিসন্ধিমূলক মিথ্যা অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একথা বলেন। বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিএনপি নেতারা তাদের চিরায়ত মিথ্যাচারের রাজনীতি অব্যাহত রেখে নানামুখী ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও অন্তরে তাদের ১৫ আগস্টের নির্মম-নিষ্ঠুর পাশবিক মানসিকতা এবং ২১ শে আগস্টের বর্বরতা ও পৈচাশিকতাকে ধারণ করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের তাঁর বিবৃতিতে বলেন ঐতিহাসিক ভাবেই বিএনপি স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ এবং জঙ্গি-সন্ত্রাস ও প্রতিহিংসার রাজনীতিকে লালন করে আসছে। তিনি বলেন গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে বিএনপি কখনো হৃদয়ে ধারণ এবং রাজনৈতিক কার্যক্রমে চর্চা করে না।করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে যখন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে তখন এই বৈশ্বিক সঙ্কটকে পুঁজি করে জাতীয় রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন আর এই ষড়যন্ত্রের মূলে রয়েছে ২১ শে আগস্টের মাস্টার মাইন্ড খুনি তারেক রহমান ও তার দল বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ আগস্ট ২০২২
কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেছেন ১৫ আগষ্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারসহ যে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে তা কারবালার হত্যাকান্ডকেও হার মানায়।রবিবার (২১ আগষ্ট) দুপুর ১টায় ইস্পাহানি কলেজ মাঠে ১৫ আগষ্ট ও ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্বরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, কারবালার প্রান্তে যে হত্যাকান্ড হয়েছিলো সেখানে কোন শিশু ও নারী নিহত হয়নি, কিন্তু ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের শিশু ও অন্ত্বসত্তা নারীসহ সকল সদস্যকে ঘাতক বাহিনী নির্মম ভাবে হত্যা করে যা কারবালার হত্যাকান্ডকে হার মানায়।২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার স্মৃতি চারণ করে শাহীন বলেন কিছু পাকিস্তানিদের দোসর, কুচক্রী মহল বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় তিনি বেঁচে যান। মারা যান আইভি রহমানসহ শতশত নেতাকর্মী।কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমাম হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।অনুষ্ঠানে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ী দের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়।সবশেষে ইস্পাহানি কলেজ ছাত্রলীগের আয়োজনে গরীব অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।ইস্পাহানি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ জালাল অপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাকুর হোসেন সাকু, ঢাকা জেলা (দক্ষিণ) ছাত্রলীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এহসান আরাফ অনিকসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
Harun Ur Rashid । ২১ আগস্ট ২০২২
বিতর্কিত’ বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ এবং সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।রোববার (২১ আগস্ট) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. এরশাদ হোসেন রাশেদ এ নোটিশ পাঠান।নোটিশে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আপনি ভারত সরকারকে যে অনুরোধ করেছেন, এটা আপনি করতে পারেন না। কারণ সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আপনি সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি মন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদ বলেন, ১৯ আগস্ট বিকেলে গণমাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত বিষয়ক বক্তব্যের তথ্য পান। ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। এর মাধ্যমে তিনি তার শপথ ভঙ্গ এবং সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তার এ বক্তব্য সার্বভৌমত্মকে আঘাত করেছে। তাই নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলেছি। অন্যথায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেটি করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছে। তিনি বলেন, আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) গোপালগঞ্জের টুঙ্গি পাড়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে। সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করার ব্যাখ্যায় ড. মোমেন বলেন, আমি বলেছি, আমরা চাই শেখ হাসিনার স্থিতিশীলতা থাকুক। এই ব্যাপারে আপনারা (ভারত) সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হব।এর আগে, গত ১২ আগস্ট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। দেশের মানুষ ‘বেহেশতে’ আছে।মন্ত্রীর এমন বক্তব্যে দেশজুড়ে প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা হয়। এর দুই দিনের মাথায় গত ১৪ আগস্ট রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাশেলের সঙ্গে বৈঠকের পর ড. মোমেন গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, আমি তো ট্রু সেন্সে ‘বেহেশত’ বলিনি। কথার কথা। কিন্তু আপনারা সবাই আমারে খায়া ফেললেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ আগস্ট ২০২২