বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে বিএনপি নেতাদের অপপ্রচারের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যেটুকু খরচ করেছি তা জনগণের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে। আওয়ামী লীগ সরকার কখনো রিজার্ভ থেকে এক পয়সাও নষ্ট করে না, বরং দেশ ও জনগণের স্বার্থে এই টাকা ব্যবহার করে।শনিবার সকালে ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে দেয়া ভাষণে একথা বলেন।তিনি গণভবন থেকে সাভারের আশুলিয়া বাজার সংলগ্ন কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা সব সময় রিজার্ভের টাকা খরচ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।তিনি বলেন, রিজার্ভের টাকা থেকে কোনো অর্থ অপব্যবহার হয় না। বিএনপি নেতারা সব সময় বিষয়টি নিয়ে কথা বলে, কারণ তাদের নেতা তারেক রহমানকে মানি লন্ডারিং মামলায় সাত বছরের কারাদন্ড এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তিনি এখন পলাতক আসামী।তাদেরকে আমি বলতে চাই বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন রিজার্ভ ছিল মাত্র ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত সময়ে এটি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার হয়। সেই জায়গা থেকে আমরা এই রিজার্ভ প্রায় ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হই।শেখ হাসিনা বলেন, এই টাকা যদি তার সরকার অন্যদেশের ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে নিতো তাহলে সুদ সমেত টাকা পরিশোধ করতে হতো। আর আমাদের ব্যাংক থেকে দিলে যেটা সোনালী ব্যাংক থেকে আমরা দিচ্ছি তাহলে ঐ সুদ সমেত টাকা দেশের টাকা দেশেই থেকে যাচ্ছে এবং সেদিকে লক্ষ্য রেখেই প্রায় ৮ বিলিয়নের মত আমরা খরচ করছি। এখান থেকে কিছু ডলার শ্রীলংকার অর্থনৈতিক দুরবস্থায় ধার হিসেবে দেয়া হয়েছে।শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, কাজেই এখানকার টাকা কেউ তুলে নিয়ে চলে যায়নি, যেটা তাদের মনে সবসময় ভয় থাকে তারা ঐরকম বলে। মানি লন্ডারিং যাদের অভ্যাস তারা খালি এটাই জানে যে, টাকা বোধহয় সব নিয়েই যেতে হয়।সরকার প্রধান বলেন, আজকে আমরা একযোগে একশ’ সেতু উদ্বোধন করেছি। পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি, যমুনার ওপর সেতু করাসহ সারা বাংলাদেশে যোগাযোগের যে নেটওয়ার্কটা করতে পেরেছি তার ফলাফলটা দেশের মানুষ পাচ্ছে। কাজেই আমরা রিজার্ভের টাকা কেউ চিবিয়ে খাইনি, গিলেও খাইনি বা কেউ নিয়েও যায়নি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে হ্যাঁ, বিএনপিতো এসব বলবেই, এটা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কারণ, তারেক রহমান নিজেই যে মানি লন্ডারিং করেছে এটা আমরা নয়, আমেরিকার তদন্তেই বেরিয়েছে। এফবিআই থেকে অফিসার এসে এখানে তারেকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। এটা জনগণের জানা উচিত। দুর্ভিক্ষের ধাক্কা এড়াতে সবাইকে সাবধান থাকার বিষয়ে আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদেরকে ফসল উৎপাদন করেতে হবে এবং পুষ্টি নিশ্চয়তার ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের সাবধানতা আমাদেরই নিতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ নভেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন— খেলা হবে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও লুটপাটের বিরুদ্ধে। খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে, আগুন সন্ত্রাস, ভোটচুরি ও ভুয়া ভোটার কেন্দ্রে আনার বিরুদ্ধে।যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত যুবমহাসমাবেশে এ কথা বলেন সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতারা।যুবমহাসমাবেশে বিএনপির উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘প্রস্তুত হয়ে যান, জবাব দেবো। ‘ঘি খাওয়ার জন্য ঋণ নিয়েছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, বিএনপিই ঋণ নিয়েছিল ঘি খাওয়ার জন্য।তিনি বলেন, বিএনপি আরেকবার এলে সব খাবে। বিদেশি ঋণ গিলে খাবে। গণতন্ত্র গিলে খাবে। নির্বাচন গিলে খাবে। সুযোগ পেলে বাংলাদেশও গিলে খাবে। ঠিক আছে? এসময় স্লোগান ধরেন কাদের। কাদেরের সঙ্গে সমবেত জনতা কণ্ঠ মেলান- আরেকবার দরকার, শেখ হাসিনার সরকার। নৌকা, শেখ হাসিনা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ নভেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ক্ষুদ্র, গ্রামীণ বা জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসতে বলেছেন।আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মেগাপ্রজেক্ট করা যাবে না, তবে ক্ষুদ্র, গ্রামীণ প্রকল্প বা কল্যাণমুখী প্রকল্পে কোনো আপস করা যাবে না।'একনেক সভাপতি শেখ হাসিনা যে কোনো বড় প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে পুঙ্খানুপুঙ্খ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।তিনি দেশের সর্বত্র অনাবাদী জমি চিহ্নিত করে চাষের জন্য প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেন।'প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'উৎপাদন বাড়াতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না' উদ্ধৃতি দিয়ে মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় অনাবাদী জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী চলমান বিশ্ব মন্দার মধ্যে সবাইকে মিতব্যয়ী হতে এবং অপচয় বন্ধ করতে বলেছেন।একনেক সভায় মোট তিন হাজার ৯৮১ দশমিক ৯০ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়ের সাতটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে (শুধু ৩টি সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় এখানে গণনা করা হয়েছে)।ব্যয়ের মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে ৩ হাজার ৩৯২ দশমিক ৩৩ কোটি টাকা, সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২৬৭ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ৩৩২ দশমিক ২১ কোটি টাকার যোগান আসবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ নভেম্বর ২০২২
বিএনপি যেভাবে আন্দোলনের নামে লাফালাফি ও বাড়াবাড়ি করছে তাতে তাদের আন্দোলনের পতন ধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘উদীয়মান ভবিষ্যতের জন্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লব’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।আওয়ামী লীগ নয়, দেশ ছেড়ে পালানোর রাজনীতি বিএনপি করে, এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পালানোর রাজনীতি করে। আমাদের জন্ম এদেশে, প্রয়োজনে মরবো, জেলে যাবো- তবুও দেশ ছেড়ে পালাবো না।তিনি বলেন, মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি করবে না বলে লন্ডনে পালিয়ে গেছে বিএনপির নেতা। আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস নেই।বর্তমান সরকার দেশেকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছে, আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে বলেও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বিএনপি মুক্ত করেনি, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দণ্ড স্থগিত করে বাসায় রেখেছেন।প্রতিহিংসার রাজনীতি শেখ হাসিনা করেন না, প্রতিহিংসার রাজনীতি করে বিএনপি- এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর ঘটিয়েছে তাদের মুখে প্রতিহিংসার কথা মানায় না।তিনি বলেন, আজ ৫০তম পবিত্র সংবিধান দিবস, দিবসটি জাতীয়ভাবে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। এখন থেকে জাতীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ নভেম্বর ২০২২
বঙ্গবন্ধু হত্যা-জেলহত্যা-২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড বিএনপিরই কাজ বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।আজ বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ৩ নভেম্বর আমাদের জাতীয় ৪ নেতাকে নিষ্ঠুরভাবে কারা অভ্যন্তরে হত্যা করা হয়। আসলে বাংলার রাজনীতিতে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের যে রাজনীতি এর হোতা হলো বিএনপি। বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা, ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড তাদেরই কাজ।তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের পতাকাকে আমরা আমাদের চেতনায় লালন-পালন করি, এ জন্য আমাদের আজ চিরতরে বাংলার রাজনীতিতে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের লড়াই চলছে। এই দিবসে আমাদের অঙ্গীকার যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই বর্বর রাজনীতি হত্যা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই আমরা আরও জোরদার করবো।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ নভেম্বর ২০২২
স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যেখানে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো আছেন।’তিনি ২ নভেম্বর বিকেলে সোনারগাঁওয়ে সনমান্দী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ওই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্টাকালীন সভাপতি ও সাবেক ইউ.পি চেয়ারম্যান আমিনুল হক।কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন এ সরকারের আমলে যে শিল্পায়ন হয়েছে এবং এই শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বাঁচিয়ে রাখতে করোনাকালীন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রণোদনা প্রদান করেছেন যাতে গার্মেন্টস শিল্পগুলো লোকশানের কবলে পড়তে না হয়।তিনি আরও বলেন, বিদ্যুতের সংযোগ ও ব্যবহার বেড়েছে, দেশে প্রায় ৫০ লাখ অটো – রিক্সা ব্যাটারী চালিত, এগুলোর জন্য ১ কোটি ব্যাটারী সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ দ্বারা চার্জ দেয়া হয়, তাতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয় তাতে বিএনপি- জামাত জোট সরকারের আমলে যে ৩১ হাজার মেগওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হতো তারও দ্বিগুনের বেশী বিদ্যুৎ খরচ হয়।সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. সামসুল ইসলাম ভুইয়া, নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এস. এম জাহাঙ্গির প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ নভেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মুচলেকা দিয়ে দিয়ে পালানোর রাজনীতি।তিনি আজ রাজধানীর সেতু ভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আওয়ামী লীগ বিশ্বাসী নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন প্রতিহিংসার রাজনীতির জনক হচ্ছে বিএনপি।তিনি বলেন ৭৫' এর আগস্ট স্বাক্ষ্য দিচ্ছে কারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে,২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রমাণ করে কারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন বিএনপির এসব প্রতিহিংসার রাজনীতির বিপরীতে সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াসের নাম হচ্ছে আওয়ামী লীগ।সকল কষ্ট ভুলে উদার রাজনীতির ধারা সৃষ্টি করতে চায় বলেই পুত্র বিয়োগের শোকে সান্তনা দিতে বেগম খালেদা জিয়ার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি নেতাদের এমন উদারতা স্মরণ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন তখন কি অমানবিক আচরণ করেছিলেন আপনারা?তিনি আরও প্রশ্ন রেখে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন বেগম জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নির্বাচনকে সামনে রেখে, তখনও কি ভাষায় জবাব দিয়েছিলেন আপনারা? তারপরও বিএনপির সাথে দু'দফা সংলাপে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি যখন আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ তখন দেশের ও জনগণের স্বার্থে বিএনপিকে উদারতা দেখিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছে।সরকার নাকি জিয়া পরিবারকে নিয়ে আতংকে ভুগছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন সবাই জানে জিয়া পরিবারের দুঃশাসন আর দুর্নীতির ইতিহাস।দুর্নীতি, লুটপাট, অপকর্মের জন্য এখন বিএনপির নেতাই নির্বাসনে, দেশে আসার সৎ সাহসও নেই।সবকিছুতে সরকারের দোষ খোঁজা আর দায় চাপানো বিএনপির চিরকালের অভাস ও সংস্কৃতি এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন দুদকের মামলায় স্বস্ত্রীক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত, এটি আইনগত প্রক্রিয়া, এখানে সরকারের কোন হস্তক্ষেপ নেই।ওবায়দুল কাদের আরো বলেন সরকার ও সরকারি দলের অনেকের বিরুদ্ধেও দুদক মামলা করেছে, কারো কারো বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে- এ ব্যাপারে দুদক স্বাধীন ভূমিকা পালন করছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২
জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডে নির্মমতার শিকার হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল। এমন নির্মমতা পৃথিবীর আর কোনো শিশুকে দেখতে হয়নি।তিনি বলেন, ঘাতকরা মুজিব পরিবারকে পরিকল্পিতভাবে নিশ্চিহ্ন করার জন্য নির্মম এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। তারা শিশু রাসেলের সামনেই বাবা-মা ভাই-বোনসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করে অপশক্তির বীজ বপন করার চেষ্টা করেছিল।সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা কলেজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মবার্ষিকী ও শেখ রাসেল দিবস- ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।হুইপ মাহমুদ স্বপন বলেন, শেখ রাসেলকে হত্যা করার মাধ্যমে ঘাতকরা ঘৃণ্য কাজ করেছে। ছোট রাসেল কোনোভাবেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু পরিবার যখন গৃহবন্দি ছিল, তখনো তার বাড়ির দিকে কেউ গুলি ছোড়ার সাহস করেনি। কিন্তু স্বাধীনতার পর ঘাতকরা সেই সাহস দেখিয়েছে।তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ঘাতকের গুলিতে শহীদ হওয়ার আগে জেনেছেন তার পুত্র শেখ কামাল ও শেখ জামালকে হত্যা করা হয়েছে। তবে শেখ রাসেল ও তার স্ত্রীকেও যে হত্যা করা হয়েছে তা দেখেননি। কিন্তু শেখ রাসেল দেখেছেন তার সামনেই পরিবারের সব স্বজনকে হত্যা করা হয়েছে। এত ছোট শিশুর কাছে এটি কত বড় রক্তক্ষরণ, তা বলে বোঝানো যাবে না।তিনি আরও বলেন, শেখ রাসেল যখন বলেছেন- আমি মায়ের কাছে যাব, তখনো নির্মম ঘাতকদের মন গলেনি। উপহাস করে তাকে টেনে-হিঁচড়ে দোতলায় নেওয়ার সময় তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বলেছে- আয় তোকে তোর মায়ের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। মায়ের মৃতদেহের সামনেই তাকে দাঁড় করিয়ে মাথায় রাইফেল তাক করে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর চেয়ে নির্মমতা আর কী হতে পারে?আলোচনা সভায় ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম ও গোলাম রব্বানী চিনু।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ টি এম মইনুল হোসেন, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার, শেখ রাসেল দিবস-২০২২ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক পুরঞ্জয় বিশ্বাসসহ অন্য শিক্ষকরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ নভেম্বর ২০২২
৩০ অক্টোবর ২০২২ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে দলের বিভিন্ন প্রস্তুতি সভা ও ধারাবাহিক কর্মসূচি হচ্ছে, বিএনপির সঙ্গে এটা কোন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ ধানমন্ডিতে দলটির সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে প্রস্তুতি সভায় একথা বলেন। তিনি বলেন আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বিশ্বাসী নয়। দলের এসব কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত। বিএনপি আবারও আগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোরভাবে প্রতিরোধের হুঁশিয়ারি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সহযোগিতা ছাড়া বিএনপির সভা-সমাবেশ এখনো অচল ।তিনি আরও বলেন বিএনপি এখনো জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বড় পৃষ্ঠপোষক।জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির গুটিকয়েক সংসদ সদস্যের পদত্যাগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন তাতে কি সংসদ অচল হয়ে যাবে?তিনি বলেন এটা বিএনপির দলের সিদ্ধান্ত, সরকারের নয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগেই দলের মেয়াদ উত্তীর্ণ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর কাজী জাফর উল্লাহ, ডক্টর আবদুর রাজ্জাক, মোঃ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও এডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডাক্তার দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডক্টর আবদুস সোবহান গোলাপ ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।এদিকে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতীয় জনতা পার্টি - "বিজেপি'র সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব।সাক্ষাৎ শেষে রাম মাধব বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু'দেশের কল্যাণে কাজ করছেন এবং দু'দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিনিময় করছি।তিনি আরও বলেন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভারতের একজন ভালো বন্ধু।রাম মাধব ওবায়দুল কাদেরকে ভারত সফরের আহবান জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ অক্টোবর ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেছেন, দেশে স্বাধীনতাবিরোধীরা যেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তাতে রাজনৈতিক শক্তি ও সামর্থ্য প্রদর্শন করা এখন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগের নেতাদের নিয়ে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির প্রস্তুতি সভায় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নিক্সন চৌধুরী এ কথা বলেছন। শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবলীগ নেতারা এই সভা করেন। নিক্সন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল। যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভোট ও ভাতের অধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রধান শক্তি হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে যুবলীগ। সমাবেশে সশরীর উপস্থিত হওয়ার সম্মতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের ওপর সর্বোচ্চ আস্থা রেখেছেন। তাঁর আস্থার মর্যাদা দিতে হবে আমাদের।’ফরিদপুর-৪ আসনের এ সংসদ সদস্য বলেন, আগামী নির্বাচন কেন্দ্র করে বিএনপি–জামায়াত পুরো বাংলাদেশে যে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে, তার জবাব যে যুবলীগ সংগঠন হিসেবে যেকোনো সময় দেওয়ার সক্ষমতা রাখে, সেই প্রমাণ এই সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। স্বাধীনতাবিরোধীরা যেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তাতে রাজনৈতিক শক্তি ও সামর্থ্য প্রদর্শন করা এখন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের মোকাবিলা করার জন্য যুবলীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নেতৃত্বে যুবলীগ একাই এক শ। এ ছাড়া সারা দেশে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যাঁরা লালন ও ধারণ করেন, তাঁদের এই মহাসমাবেশ উৎসাহিত করবে এবং অনুপ্রেরণা দেবে।নিক্সন চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগামী ১১ নভেম্বর আপনাদের প্রিয় সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুব মহাসমাবেশে দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দেবে যুবলীগ। যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উৎসব যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উৎসব।সভায় আরও বক্তব্য দেন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম জোয়ার্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম, জহির উদ্দিন খসরু, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী, মশিউর রহমান, প্রচার সম্পাদক ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্য জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্য সাদ্দাম হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্য বিপ্লব মোস্তাফিজ, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্য হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্য সরিফুল ইসলাম।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ অক্টোবর ২০২২
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে ১১টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার (৩০ অক্টোবর) সকালে এক বৈঠকে এ উপ-কমিটিগুলো গঠন করা হয়। রোববার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত খসড়া কমিটিগুলো হলো, সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক শেখ হাসিনা; সদস্য সচিব ওবায়দুল কাদের, অভ্যর্থনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সদস্য সচিব দীপু মনি, অর্থ উপ-কমিটির আহ্বায়ক কাজী জাফরউল্লাহ; সদস্য সচিব এইচএন আশিকুর রহমান, ঘোষণাপত্র উপ-কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম; সদস্য সচিব আব্দুর রহমান, দপ্তর উপ-কমিটির আহ্বায়ক ড. অনুপম সেন; সদস্য সচিব ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মঞ্চ ও সাজসজ্জা কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির নানক; মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপপু; সদস্য সচিব ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ; সদস্য সচিব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, গঠনতন্ত্র সংশোধন উপ-কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক; সদস্য সচিব সেলিম মাহমুদ, স্বাস্থ্য উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন; সদস্য সচিব রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির আহ্বায়ক আতাউর রহমান; সদস্য সচিব অসীম কুমার উকিল, খাদ্য উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ অক্টোবর ২০২২
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সোয়া দুইটায় এ সম্মেলন শুরু হয়েছে।আগত নেতা–কর্মীদের বেশির ভাগই আগে থেকে ঠিক করে দেওয়া সবুজ, হলুদসহ বিভিন্ন রঙের টি–শার্ট পরে এসেছেন। সম্মেলনে কোন উপজেলার নেতা–কর্মীরা কোথায় বসবেন, তা–ও আগেই ঠিক করে রাখা হয়। নেতা–কর্মীরাও সম্মেলনস্থলে এসে নির্ধারিত চেয়ারে বসেছেন।জেলা আওয়ামী লীগের এ সম্মেলনে বেলা পৌনে একটা থেকে দলটির নেতা–কর্মীরা আসা শুরু করেন। ঢোল বাজিয়ে, ব্যান্ড পার্টি নিয়ে অনেক ইউনিটের নেতা–কর্মীরা এতে অংশ নেন। সরেজমিনে দেখা যায়, দলীয় ও জাতীয় পতাকা, বেলুন উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় পরিবেশন করা হয় জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত। গানের তালে তালে নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতা –কর্মীরা দাঁড়িয়ে দেশের পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।সম্মেলন শুরুর আগে মঞ্চ থেকে জানানো হয়, আগত নেতা –কর্মীদের জন্য পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ২২ হাজার চেয়ার বসানো হয়েছে। চেয়ার পরিপূর্ণ হলে সুশৃঙ্খলভাবে পেছনে দাঁড়াতে দলের নেতা–কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।এ ছাড়া সম্মেলন শুরুর আগে মঞ্চ থেকে জানানো হয়, গাবতলী এলাকায় প্রচুর যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য ওই পথ হয়ে নেতা–কর্মীরা আসতে পারছেন না। নেতা–কর্মীরা যাতে সম্মেলনে আসতে পারেন, এ জন্য ট্রাফিক পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলেও জানানো হয়।ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এ সম্মেলনের জন্য দলীয় প্রতীক নৌকার আদলে বড় আকৃতির মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মূলমঞ্চের সামনে আরেকটি ছোট মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সম্মেলনের চারপাশ ছাড়াও মঞ্চের দক্ষিণ পাশে একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রধান বক্তার বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। বিশেষ বক্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ।সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদ। সঞ্চালনায় থাকবেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ অক্টোবর ২০২২
বিকাল ৪টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এই সভায় মূলত আগামী জাতীয় নির্বাচন, দলের সাংগঠনিক অবস্থা বিশেষ করে দলের আগামী সম্মেলন এবং সমসাময়িক রাজনীতির বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।তাছাড়া বিএনপি একের পর এক সমাবেশ কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। জমায়েতও চোখে পড়ার মতো। বিএনপির এসব কর্মসূচি, সমমনা দলগুলোর সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক, বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ, তাছাড়া বিএনপি ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ করতে চায় সেসব বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে শুক্রবারের বৈঠকে।এদিকে ক্ষমতাসীন দলের আরেকটি সূত্র বলছে, এই মুহূর্তে বিএনপিকে খুব একটা চাপে ফেলবে না আওয়ামী লীগ কারণ বিদেশি শক্তিগুলো বিভিন্নভাবে এই সরকারের কর্মকান্ডের ওপর নজর রাখছে। ইতিমধ্যে বর্তমান সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে উপস্থিত থাকার জন্য দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনুরোধ জানিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ অক্টোবর ২০২২
বিএনপি এমন একটি দল যাদের নেতাদের মুখে মধু অন্তরে বিষ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি কিন্তু চর্চায় লুটপাট আর সুবিধাবাদ। তিনি আজ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ব্রিফিংকালে এ আহবান জানান। বিএনপি স্বাধীনতার কথা বলে কিন্তু লালন ও পোষণ করে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি আর পৃষ্ঠপোষকতা করে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বলে মন্তব্য করেন তিনি।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন বিএনপি ভোটাধিকারের কথা বলে অথচ ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন আর সোয়া এককোটি বেশি ভূয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিলো। তাই তাদের মুখে মুখে কথামালার মধু ছড়ালেও অন্তরে বিধ্বংসী বিষবাষ্প।আওয়ামী লীগ তত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিলো, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন হ্যাঁ করেছিলো,আর তা হচ্ছে মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভাতের অধিকারের জন্য, কিন্তু বিএনপি তো তখন তত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করেছিলো।বিএনপি নেত্রী তখন বলেছিলেন শিশু আর পাগল ছাড়া নিরপেক্ষ কেউ নন,কিন্তু বিএনপি নেতারা এখন এখন একথা কেন বলে না - প্রশ্ন করেন ওবায়দুল কাদের।তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে বিএনপি, এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন এখন তাদের কেন এ পশ্চাদযাত্রা, আসলে বিএনপি ভবিষ্যৎমূখী নয়,তারা পশ্চাদমূখী।তিনি বলেন অন্ধ বিরোধিতাই বিএনপির একমাত্র হাতিয়ার। বিএনপি নেতারা বিশ্ব পরিস্থিতি অনুধাবন না করে শুধু সরকারের অন্ধ সমালোচনায় ব্যস্ত। তারা রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে - এ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন ৪ বিলিয়নের কিছু বেশি ছিলো বিএনপির আমলে রিজার্ভের পরিমাণ, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ দেখেছে দেশবাসী।বর্তমানে যা প্রায় ৩৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার।ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আরও বলেন তাদের সময়ে রেখে যাওয়া ৪ বিলিয়নের কিছু বেশি রিজার্ভের সাথে এখনকার রিজার্ভের সংখ্যাটা মিলিয়ে নিন।তারপর না হয় রিজার্ভ নিয়ে কথা বলুন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ অক্টোবর ২০২২
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ হলো বটবৃক্ষ। ধাক্কা দিয়ে, ঝাঁকি দিয়ে ফেলা যাবে আওয়ামী লীগ এমন দল নয়। এই স্বপ্ন যারা দেখছেন, তারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন। আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের দল। জাতির পিতার হাতে গড়া আওয়ামী লীগকে হুমকি-ধমকি দিয়ে পরাস্ত করা যাবে না।শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে সকাল ১০ টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জাতীয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা-২০২২ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে গৌরব ’৭১।তিনি বলেন, শেখ রাসেল জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র এটা যেমন সত্য; পুরো পৃথিবীর মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এবং নিষ্ঠুর, পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের নির্মম শিকারের প্রতীক হিসেবেও পরিচিত।মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আজ যারা গণতন্ত্র, মানবাধিকারের কথা বলেন শিশু রাসেলের হত্যাকাণ্ড তাদের হৃদয়ে নাড়া দিতে পারেনি। নিষ্ঠুর এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তাদের কোনো কথা নেই কেন?অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির মধ্য দিয়ে এই বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। এটা সকলের জানা উচিত। এতো ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত দেশকে স্বাধীনতার চেতনা থেকে বিচ্যুত হতে দেয়া যাবে না। একাত্তরে যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিলো তারা এক রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইতিহাস বিবকৃত করছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জ্বালাও-পোড়াও করে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। এসব ইতিহাস প্রজন্মকে জানানো প্রয়োজন। কারণ তরুণ প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস না জানলে বিপথগামী হতে পারে।আওয়ামী লীগ দেশের সর্ব প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে হানিফ বলেন, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদেরকে সম্মিলতবাবে মোকাবেলা করার জন্য অভিভাবকদের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে দেশের কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি। তারা এখন ঈর্ষান্বিত হয়ে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে বারবার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। অতীতে হরতাল, অবরোধের নামে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কোনো ষড়যন্ত্র উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।তিনি বলেন, শিশুরা জিপি-৫ পাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বড় হচ্ছে। প্রতিটি শিশুর প্রথম স্কুল তার ঘর, আর শিক্ষক মা-বাবা। শিশুদেরকে নীতি-নৈতিকতা আদর্শে গড়ে তুলতে পারেন মা-বাবা। আমরা সবাই শিশুদের ডাক্তার, ব্যারিস্টার বড় আমলা বানাতে চাই কিন্তু তাদেরকে মানুষ হিসেবে গড়ার চিন্তা নেই। যার কারণে সমাজ থেকে আদর্শ মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে। পড়ালেখার পাশাপাশি শিশুদেরকে মেধা বিকাশের সুযোগ দিন এবং নীতি-নৈতিকতা শিখিয়ে দিন যাতে আদর্শ মানুষ হতে পারে।এসময় তিনি শিশুদেরকে লেখাপড়ার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে পরপূর্ণ ধারণা দেয়ার অনুরোধ জানান।'ভোরের পাখি শেখ রাসেল' শীর্ষক এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগে অন্তত ৭০০ প্রতিযোগী অংশ নেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ অক্টোবর ২০২২
বিএনপি নেতারা মন গড়া বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে তাদের সমাবেশের প্রতিপক্ষ বানানোর অপচেষ্টা করছে ।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ রাজধানীর সেতু ভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন।সরকার বিএনপি'র সমাবেশে বাধাতো দেইনি বরং প্রশাসনিক সহযোগিতা দিচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন তাদের সমাবেশে লোকসমাগম হলে বলে সরকার ব্যর্থ আবার লোকসমাগম না হলে বলে সরকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।তিনি বলেন সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ কখনো বিএনপির সমাবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি, করবেও না।চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে আওয়ামী লীগ বা সরকারের কোন বাধা কি ছিলো,প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের। প্রশ্ন রেখে আরও বলেন - পরিবহন ধর্মঘটও তো হয়নি, তাহলে চট্টগ্রামে তাদের জনসভা স্থলই পূর্ণ হয়নি কেন?খুলনার সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে বাস ধর্মঘটের যে কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব, সে প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন সেখানেও সরকার বা আওয়ামী লীগ কোন হস্তক্ষেপ করেনি,করবেও না।তিনি বলেন ধর্মঘট ডেকেছে পরিবহন মালিক শ্রমিক, তারা যদি তাদের পরিবহন ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার অভাব বোধ করে তাহলে সরকার বা আওয়ামী লীগের কি করার আছে।ওয়ান ইলেভেন নাকি আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করেছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন ওয়ান ইলেভেনের আগে ক্ষমতায় কারা ছিলো?বিএনপিই তখন তাদের দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কে এম হাসানকে তত্বাবধায়াক সরকারের প্রধান করার লক্ষ্যে আইন সংশোধন করে বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলো জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে বিএনপি তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করেছিলো।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন এক কোটি তেইশ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি এবং এম এ আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন করে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলো বিএনপি।এমতাবস্থায় ১/১১ তে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছিলো বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ অক্টোবর ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক : সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ রুখতে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, বিএনপি- জামায়াতের সন্ত্রাসী কার্যক্রম মোকাবেলা করতে প্রয়োজনে একাত্তরের মতো আরও একটি মুক্তিযুদ্ধ হবে। কিন্তু পরাজিত শক্তির কাছে কখনোই মাথা নত করা হবে না। আজ বুধবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগ কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯ তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আজকে বাংলাদেশে মির্জা ফখরুলরা সমাবেশ করে, সেই সমাবেশে ২১ আগস্ট গ্রোনেড হামলার দন্ডিত আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফর জামান বাব’র এবং উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর মুক্তি চায় মির্জা ফখরুলরা। তখন ওদের মতলব ও উদ্দেশ্য আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না। তিনি বলেন, আপনারা (মির্জা ফখরুল) বাংলাদেশকে কোথায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান? যে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল? যে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা যেতো না? যে বাংলাদেশে মতিউর রহমান নিজামীদের গাড়ীতে পতাকা তুলে দেয়া হয়েছিল? সেই বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান? তাহলে আমাদের কথা পরিষ্কার- প্রয়োজন হলে ৭১ এর মতো আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ হবে। কিন্তু কারো কাছে মাথানত করব না। সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি সময় অতিক্রম করছি। যে সময়ে দেশের গণতন্ত্র চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আমাদের স্বাধীনতার মাস চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এবং সার্বভৌমত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকবে, না কি স্বাধীনতা বিরোধীদের ইতিহাস আবার লেখা হবে? মির্জা ফখরুল সাহেব, চট্টগ্রামে আপনার জনসভায় কুক্ষাত সালাউদ্দিন কাদেরের পুত্র হুম্মাম কাদের যখন নারায়ে তাকবির-আল্লাহ হুয়াকবার স্লোগান দেয় এবং বলে, তার বাবা একজন শহীদ। তখন প্রশ্ন জাগে, যারা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল এবং শহীদ হলেন। তারা শহীদ, না কি একাত্তরের ঘাতকরা ওই সাকা চৌধুরী শহিদ? যুদ্ধাপরাধীরা একাত্তরে জঘন্য অপরাধ করেছে কিন্তু তাদের পরিবারের সদস্যরা এখন যে ধরনের কথা বলছে তা দেশদ্রোহিতরা শামিল। তাদের এই সকল বক্তব্যের জন্য জাতি কখনোই ক্ষমা করবে না। কাজের আমরা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি। শহীদ শেখ রাসেলের স্মৃতি চারণ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ৭৫’এর ১৫ আগস্ট আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধী বঙ্গবন্ধুসহ শেখ রাসলকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা। সেদিন শেখ রাসেল নিজেকে বাচাঁনোর আকুতি করেছিলেন, বলেছিলেন আমাকে মেরো না। আমাকে মায়ের কাছে নিয়ে যাও। কিন্তু ঘাতকরা তার বাবা-মায়ের রক্তাক্ত লাশের পাশে নিয়ে গিয়ে গুলি করে বুক ঝাঝরা করে দেয় শেখ রাসেলের। এমন নিষ্ঠুর হত্যা কাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। সেদিন কোথায় ছিলো মানবধিকার সংস্থা! শিশু রাসেল হত্যা নিয়ে কজন সুশিল সামাজ কথা বলেছিল! হত্যা কাণ্ডের বিচার চেয়েছেন! তিনি বলেন, ইতিহাসের খলনায়ক জিয়ার রহমান ক্ষমতায় এসে এই হত্যা কাণ্ডের বিচার ব্যবস্থা বন্ধ করেছিল। আর এরশাদরা চিনদিনের জন্য এই খুনের বিচারকে রুদ্ধ করে দিয়েছিল। এদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যেকটি নির্দেশনা অক্ষর অক্ষরে পালন করার আহ্বান জানান তিনি। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, ৭৫’এর ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাত থেকে অন্তসত্ত্বা নারী, একজন ছোট্ট শিশু রক্ষা পায়নি। সে দিন ঘাতকরা এতো নির্মম ছিল- কাউকে বাঁচতে দেয়নি। একাত্তরের ঘাতকরাই ৭৫’এ এই হত্যা কাণ্ড চালিয়েছে। তারা এখনো সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই তাদেরকে বলবো - বিজয়ের মাস ডিসেম্বর আসার আগেই পাকিস্তানি চলে যান। সেটাই আপনাদের প্রিয় জায়গা। কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষক লীগের সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইট, শরিফ আশরাফ, আব্দুল লতিফ, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ অক্টোবর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় বিএনপি আরেকটি ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির দুঃস্বপ্ন দেখছে। কয়েকটি সমাবেশ করেই সরকার পড়ে যাবে এমনটি যারা ভাবেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বাংলাদেশে ওয়ান ইলেভেনের পুনরাবৃত্তি আর কখনো হবে না।তিনি আজ তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে একথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন আওয়ামী লীগ জলের স্রোতে ভেসে আসা কোন দল নয়,এদেশের মাটি ও মানুষের অনেক গভীরে প্রথিত আওয়ামী লীগের শেকড়।তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে উচ্চ আদালত, এটি আওয়ামী লীগ সরকারের কোন সিদ্ধান্ত নয়, - বিএনপি মহাসচিবকে আবারও মনে করি দিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন ২০৪১ সাল পর্যন্ত কে ক্ষমতায় থাকবে, কে থাকবে না তা একমাত্র আল্লাহ এবং দেশের জনগণ জানেন। তিনি বলেন আওয়ামী লীগ ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী, জনগণের আস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশের মানুষ চাইলে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে, না চাইলে করবে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন এ সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে ক্ষমতা চিরস্থায়ী কোন বিষয় নয়, জনগণের কল্যাণে কাজ করলে জনগণ কখনো কাউকে বিমুখ করে না।আর সেজন্য আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে জনমানুষের রাজনীতি করে আসছে। তিনি আরও বলেন আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, ষড়যন্ত্র, হত্যা, আগুন সন্ত্রাসের রাজনীতি করে বিএনপি। বিএনপিকে একটি অকৃতজ্ঞ দল হিসেবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন তাদের নেত্রীকে নির্বাহী আদেশে মুক্ত করে বাসায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু সেই মানবিকতা ও কৃতজ্ঞতাবোধও তাদের নেই।বিএনপি বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করে এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন সরকার যে কাজই করুক বিচার-বিবেচনা না করে বিএনপি অন্ধ সমালোচনা শুরু করে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আবারও বলেন দুনিয়ার কোথাও যা নেই তা নিয়ে কেন বিএনপি অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি করে, সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হবে পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মত, জনগণের জন্য রাজনীতি করলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে। বিএনপি নেতাদের কথায় কথায় সবার পদত্যাগ ও মুখে গণতন্ত্রের কথা বলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন যাদের দলের অভ্যন্তরেই গণতন্ত্র নেই তারা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে কিভাবে ?ওবায়দুল কাদের বলেন যদি পদত্যাগ করতেই হয় তাহলে আন্দোলন ও নির্বাচনে টানা ব্যর্থতার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরই সবার আগে পদত্যাগ করা উচিত। বিএনপি মহাসচিব বিনা সম্মেলনে কয় বছর ধরে দলের মহাসচিব পদে জেগে বসে আছে, বিএনপির সম্মেলন কবে হয়েছে ফখরুল সাহেবের হয়তো তাও জানা নেই বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। আমার নাকি পদত্যাগ করা উচিত, - মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন আগে বাস্তবতা অনুধাবন করতে শিখুন।দেশে আমার মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কত মেগা প্রকল্প হয়েছে এবং এদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। একথা দেশের মানুষ ভালো করেই জানে - কিন্তু বিএনপি জেনেও না জানান ভান করছে।সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন আমি বিআরটি প্রকল্পের বাস্তবতা তুলে ধরেছি, সত্যকে স্বীকার করার সৎ সাহস আমাদের আছে, মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমি বা আমরা বসে নেই। দ্রুত কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ অক্টোবর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে খাল কেটে কুমির আনার রাজনীতি, তারা গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে দেশকে গণতন্ত্রহীন করে রেখেছিল, এখন আবার তারা সে পথেই হাটতে চায় ।ওবায়দুল কাদের বলেন ,ধর্ম নিয়ে রাজনীতি এবং নির্বাচন এলে ভারত বিরোধিতা বিএনপির পুরানো অপকৌশল।তিনি আজ তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে গুজব সর্বস্ব রাজনৈতিক দল, গোয়েবলসীয় কায়দায় মিথ্যাচারই তাদের একমাত্র হাতিয়ার।বিএনপির এসব কৌশল এখন ভোঁতা হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিএনপিই এখন ধর্মের কার্ড ব্যবহার করে, আওয়ামী লীগ নয়।তিনি বলেন সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহবান বিএনপির অপরিণামদর্শী রাজনীতির পরিচয় বহন করে।দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি নূন্যতম কমিটমেন্ট কোন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল এমন কথা বলতে পরেন না।বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হীন মতলবে একটা বিদেশী রাষ্ট্রকে উসকানি দেওয়ার অপচেষ্টার শামিল বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।তিনি আরও বলেন বিএনপি রাতদিন সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছে,সভা-সমাবেশ করছে - আবার বলছে কথা বলার অধিকার নাই, তাদের অসত্য নিরেট মিথ্যাকেও হার মানায়, মিথ্যাচারকে বিএনপি এখন শিল্পে রূপ দিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ অক্টোবর ২০২২
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ১৩ বছরের সাজা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে খালাস দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ৯৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করেছেন।শনিবার (১৫ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ রায় দেওয়া হয়েছে।২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর এ রায় ঘোষণা হলেও ৪ বছর পর তা প্রকাশ করলেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কী না সে সিদ্ধান্ত নেবে দুর্নীতি কমিশন।আইনজীবী সূত্র বলেছে, দুদক ২০০৭ সালের ১৩ জুন সূত্রাপুর থানায় মায়ার বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করে। এতে সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে ২৯ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। পরের বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত দুই ধারায় মায়াকে মোট ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে তাকে জরিমানাও করা হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন মায়া। শুনানি নিয়ে ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে খালাস দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে, যার শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৪ জুন মায়াকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বাতিল করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টে নতুন করে আপিল শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ অক্টোবর ২০২২