আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন নির্বাচনে আসা না আসা যে কোন দলের নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যাপার, কিন্তু নির্বাচন হতে না দেওয়ার আস্ফালন করে লাভ নেই । তিনি বলেন যতই বাধা আসুক সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।ওবায়দুল কাদের আজ সকালে তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে একথা বলেন।সরকার নাকি আন্দোলনে ভীত, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য কমেডি ক্লাবের জন্য যুৎসই হতে পারে কিন্তু দেশের বাস্তবতার সাথে কোন মিল নেই এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন দেশে কোথায় তাদের আন্দোলন? কোথায় তাদের উত্তাপ? জনগণতো কিছু দেখছে না।তিনি আরও বলেন একবার শুনি রাজপথ দখলে নিবে,আবার শুনি সরকারকে টেনে নামাবে,কখনো শুনি নির্বাচন হতে দিবে না।আসলে বিএনপির সক্ষমতা কতটুকু তা আমাদের জানা আছে।বিএনপি নেতাদের প্রতিদিন অভিন্ন বক্তব্য, হুমকি-ধামকি শুনতে শুনতে জনগণ এখন হাসে বলেও মনে করেন তিনি।বৈশ্বিক সংকটের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির সরবরাহে অস্থিতিশীলতা ও মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন এ সংকট কোন দেশের নয়,এ সংকট সারা বিশ্বের। মন্ত্রী বলেন এ বাস্তবতা অনুধান না করে বিএনপি ও তার দোসররা শুধু বাংলাদেশ সরকারকে দায়ী করছেন।বিএনপি নেতাদের কথায় কথায় দুর্নীতি আর লুটপাটের কথা বলা বিষয়ে ওবায়দুল কাদের তাদের উদ্দেশে বলেন অন্ধকারে ঢিল না ছুঁড়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিয়ে বলুন, কোথায়,কারা, কে দুর্নীতি করছে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন দুর্নীতির প্রশ্নে শেখ হাসিনা সরকারের শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির কোন নড়চড় হয়নি।জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পরিবহন ভাড়া সমন্বয় করা হয়েছে কিন্তু কোন কোন পরিবহন বাড়তি ভাড়া আদায় করছে এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন পরিবহন মালিক শ্রমিকগণ সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকছেন,তারাসহ বৈঠক করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা বাস্তবে প্রয়োগ করবেন।মন্ত্রী বলেন যারা সমন্বয়কৃত ভাড়ার বেশি আদায়ের চেষ্টা করছেন - আমাদের মনিটরিং এর আওতায় তারা রয়েছেন, তাই আবারো তাদের সহযোগিতা চাচ্ছি, অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পরিবহনে যারা পরিকল্পিত ভাবে ধর্ষণ ও ডাকাতির মত ঘটনা ঘটায় তাদের গণশত্রু আখ্যায়িত করে বলেন তারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করছে। এদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ আগস্ট ২০২২
পঁচাত্তরের পনোরো আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কুশীলবদের বের করতে তদন্ত কমিশণ গঠনের দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। একই সঙ্গে ওই হত্যাকাণ্ডে বিদেশে পালিয়ে থেকে আত্মস্বীকৃত ও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের বাংলাদেশের কাছে তুলে দিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।সোমবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে বাঙালির গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামের নেপথ্যের সংগঠক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।বঙ্গমাতার ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এর আয়োজন করে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটি। হানিফ বলেন, "পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের শিকার হননি বঙ্গমাতাও হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিলেন। তার হথ্যকারী যারা তাদের যারা দণ্ডপ্রাপ্ত বিদেশে পালিয়ে আছে তাদের বাংলাদেশের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ঐ সকল রাষ্ট্রগুলোকে অনুরোধ করবো।“যারা কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলেন, মানবতার কথা বলেন, মানবতার পক্ষে অবস্থান নিতে বলেন; তাদের কাছে জাতির পক্ষ থেকে আমাদের অনুরোধ, আপনারা তো সবচেয়ে মানবাধিকারের দেশ হিসেবে চিহ্নিত, আপনারা তো গণতন্ত্রের বড় দেশ হিসেবে চিহ্নিত, আপনাদের মতো দেশে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত এবং দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের অবস্থান বিশ্বের কাছে এবং বাঙালি জাতির কাছে সবচেয়ে বড় বেমানান।”বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, কিন্তু এই হত্যকান্ডের নেপত্যে কুশীলবদের মুখোশ এখনো উন্মেচন হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, "পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলো, যাদের জন্য সমাজ ও দেশ বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলো; এই বিভক্ত দুর করতে হলে পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের যারা কুশীলব ছিলো, সেই জিয়াউর রহমনাসহ তাদের মুখোশ উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন।“এজন্য তদন্ত কমিশন গঠন করে পঁচাত্তরের এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নেপথ্যে থেকে যারা ভুমিকা রেখেছিলো, তাদের মুখোশ উন্মেচন করা হোক। তাহলে আমাদের ভবিষ্যতে যুব সমাজ ইতিহাস জানতে পেরে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে এবং এই জাতি আস্তে আস্তে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।”পচাত্তরের হত্যাকাণ্ডেরর পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়ার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, "জিয়াউর রহমানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিলো, যারা আত্মস্বীকৃত ঘাতক তাদের বিচার করতে গেলে নেপথ্যে খলনায়কদের নাম বেরিয়ে আসবে। আর এতে জিয়াউর রহমানের নাম সবার আগে চলে আসবে। এজন্য তিনি ঘাতকদের বিচার বন্ধ করেছিলো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার কারনেই এই বিচার করা সম্ভব হয়েছে।"বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, কিন্তু এই হত্যকান্ডের নেপত্যে কুশীলবদের মুখোশ এখনো উন্মেচন হয়নি জানিয়ে করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, "পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলো, যাদের জন্য সমাজ ও দেশ বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলো; এই বিভক্ত দুর করতে হলে পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের যারা কুশীলব ছিলো, সেই জিয়াউর রহমনাসহ তাদের মুখোশ উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন।“এজন্য তদন্ত কমিশন গঠন করে পঁচাত্তরের এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নেপথ্যে থেকে যারা ভুমিকা রেখেছিলো, তাদের মুখোশ উন্মেচন করা হোক। তাহলে আমাদের ভবিষ্যতে যুব সমাজ ইতিহাস জানতে পেরে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে এবং এই জাতি আস্তে আস্তে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।”পচাত্তরের হত্যাকাণ্ডেরর পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়ার কথা স্বরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, "জিয়াউর রহমানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিলো, যারা আত্মস্বীকৃত ঘাতক তাদের বিচার করতে গেলে নেপথ্যে খলনায়কদের নাম বেরিয়ে আসবে। আর এতে জিয়াউর রহমানের নাম সবার আগে চলে আসবে। এজন্য তিনি ঘাতকদের বিচার বন্ধ করেছিলো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার কারনেই এই বিচার করা সম্ভব হয়েছে।"বঙ্গবন্ধুর জীবনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসার অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, "বেগম মুজিবের বিচক্ষনতা ছিলো প্রখর। রাজনীতিতে তিনি যুক্ত ছিলেন না কিন্তু নেপথ্যে থেকে রাজনীতিতে সহায়তা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তার যে পরামর্শগুলো ছিলো তা ছিলো অবিস্মরনীয়। তিনি অনেক অনুপ্রেরণাময়ী ছিলেন।"ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনে অনেকে অনেক পরামর্শ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকে। কিন্তু বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে নিজের মনে যা আসবে তা বলতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে যখন কারগারে থাকতেন তখন তার সাথে দেখা করে তার নির্দেশনা দলের নেতাকর্মীদের জানাতেন।"দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা,কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, ইতিহাসবিদ ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক সুভাষ সিংহ রায়। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও উপ কমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন , বেগম মুজিবের আত্মত্যাগের অবদানকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।বঙ্গবন্ধুর কর্মীবান্ধব গুণাবলির শতভাগই আমরা বেগম মুজিবের মধ্যে দেখতে পাই। দলীয় কর্মীদের সুখ-দুঃখের সাথী ছিলেন তিনি। হোক সে রাজনৈতিক কর্মী অথবা সাধারণ নিম্নবিত্ত মানুষ, তার কাছ থেকে সাহায্য চেয়ে কেউ কখনও খালি হাতে ফিরে যেত না।সোমবার (৮ আগস্ট) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের ৭২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অসহায় দুস্থ নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।নানক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদীর্ঘকাল বাঙালির জাতির অধিকার আদায়ের অঙ্গীকার ও দৃঢ় প্রত্যয়ের নেপথ্যে আড়াল থেকে প্রচ্ছন্ন ভূমিকায় ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী। কাল থেকে কালান্তরে জাতির পিতার বর্ণিল সময়, কারান্তরিত সময় কিংবা উত্তাল ছাত্র জীবনের বিদগ্ধ সময় সকল রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক দিনযাপনের ব্যবচ্ছেদ করলে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সর্বংসহা ভূমিকা বেরিয়ে আসবে।তিনি বলেন, খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু এবং সবশেষে বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে যে নারীর অবদান অনস্বীকার্য তিনি আর কেউ নন, তিনি আমাদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধু তার জীবনের পুরোটা সময় ব্যয় করেছেন জনগণের সেবায়, দেশের কল্যাণে, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সংকল্প ও স্বাপ্নিক সাহসে।সেই সাহসের অন্তমিলে যে নামটি জুড়ে রয়েছে তা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধুর সাহসের অভিযাত্রায় দিগ্বিজয়ী দৃঢ়চেতা সুরে একটি নাম বারবার তিনি উচ্চারণ করেছেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে নামটি রেণু, আমাদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। মানুষের ভালোবাসার কাঙ্গাল ছিলেন বঙ্গবন্ধু। নেতা-কর্মীদের প্রাণ উজাড় করে ভালোবাসতেন তিনি।নানক জানান, ১৯৪৬ সালে দাঙ্গার সময় বেগম মুজিব নিজে অসুস্থ থাকা অবস্থায়ও বঙ্গবন্ধুকে দাঙ্গা উপদ্রুত এলাকায় যেতে বারণ করেন নি। সেই সময় বেগম মুজিব বঙ্গবন্ধুকে চিঠিতে লিখেছেন - “আপনি শুধু আমার স্বামী হবার জন্য জন্ম নেননি, দেশের কাজ করার জন্য জন্ম নিয়েছেন। দেশের কাজই আপনার সবচাইতে বড় কাজ। আপনি নিশ্চিন্তমনে সেই কাজে যান। আমার জন্য চিন্তা করবেন না। আল্লাহর উপর আমার ভার ছেড়ে দিন।” এভাবে নিজের জীবনটা উনি দিয়ে গেছেন। সবাইকে নিয়ে চলে গেলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে মহাপ্রয়াণের পরও বঙ্গমাতা আজও স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর আত্মত্যাগের অবদানকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার দায়িত্ব আমাদের সকলের।সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বধীনতা এনে দিয়েছেন। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপ্রেরণার উৎস। সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে থেকে অনুপ্রাণিত করেছেন। বঙ্গবন্ধু রাজনীতির করেছিলেন দেশের জনগণের জন্য এবং বেগম মুজিবের কর্মকাণ্ডও ছিল এ দেশের মানুষের জন্য। তিনি ছায়ার মতো বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে দলের নেতাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ আগস্ট ২০২২
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর যেকোনো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি রাজপথে মোকাবিলা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা রাজপথের পুরাতন খেলোয়াড়। বিএনপি তো এই পথে নতুন। আসুন, রাজপথে মোকাবিলা হবে, ফয়সালা হবে।’বিএনপিকে আগুন নিয়ে না খেলার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আগুন নিয়ে খেলতে এলে পরিণাম হবে ভয়াবহ।সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির জনক হতে পেরেছেন তাঁর পাশে সহযোদ্ধা-সহযাত্রী হিসেবে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের মতো মহীয়সী নারী ছিলেন বলেই। তাঁর মতো প্রজ্ঞা ও ধৈর্যশীল নারী না থাকলে একটি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দেওয়া জাতির জনকের জন্য অত্যন্ত দুরূহ হতো।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বঙ্গমাতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ওবায়দুল কাদের। পরে দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বঙ্গমাতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বঙ্গমাতাসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময়ে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, আবদুর রহমান ও এ এইচ এম খাইরুজ্জমান লিটন; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম; সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম; মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান প্রমুখ।বঙ্গমাতা ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাকনাম ছিল রেণু। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক। মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির জনকের হত্যাকারীদের হাতে নির্মমভাবে শাহাদাতবরণ করেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ আগস্ট ২০২২
ভোলায় পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,আগস্ট মাস এলেই বিএনপির ঘাতক চরিত্র বেপরোয়া হয়ে উঠে। এই মাসে দলটি সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পায়।আওয়ামী লীগ প্রস্তুত রয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখলে বোঝা যাবে কারা অস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। হামলা করলে পুলিশ কি আঙুল চুষবে- প্রশ্ন করেন তিনি।শুক্রবার (৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো পর এসব কথা বলেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোলার ঘটনা কে ঘটিয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখুন। কীভাবে ঘটেছে, কারা আক্রমণ করেছে, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কারা মিছিল করেছে, কারা সেই অস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ কি করবে? আঙ্গুল চুষবে? ভোলায় বিএনপির ঘাতক চেহারা স্পষ্ট হয়েছে। তারা চেয়েছে নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও অস্থির, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে। আগুন সন্ত্রাস করে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে।কাদের বলেন, শেখ কামালের জন্মদিনে আবাহনী মাঠে ও বনানী কবরস্থানে এত মানুষ, এত তরুণের সমাবেশ। এতে প্রমাণ হয়, আমরা প্রস্তুত। হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি আমরা রুখবই। এটা আমাদের শপথ। জন্মদিনের আনন্দ হারিয়ে গেছে পঁচাত্তরের রক্তাক্ত বিদায়ের মাধ্যমে। শহীদ শেখ কামালের কাছে বাংলাদেশের তরুণ সমাজের অনেক কিছু শেখার আছে। বহুমাত্রিক প্রতিভা ও মেধার অধিকারী ছিলেন।তিনি বলেন, ক্রীড়াঙ্গনে ক্রিকেট ও ফুটবল, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রতিদিন দেখা যেত শেখ কামালকে। আবার মধুর ক্যান্টিনে এসে ছাত্রলীগ সংগঠন করতেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল হতে পারেন দেশের তরুণ সমাজের কাছে রোল মডেল।প্রসঙ্গত, সারা দেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৩১ জুলাই ভোলায় আয়োজিত বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বাধা দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। ওই ঘটনায় পুলিশ ছাড়াও বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী নিহত হন। একই ঘটনায় গত বুধবার বিকেলে মারা যান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম।বনানী কবরস্থানে দলীয় নেতাদের নিয়ে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানান ওবায়দুল কাদের। পরে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।পরে বনানী কবরস্থান মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ আগস্ট ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব:) ফারুক খান এমপি বলেছেন, আমি আর শেখ কামাল একসাথে ঢাকা কলেজে লেখাপড়া করেছি। ঢাকা কলেজের সব থেকে জনপ্রিয় ছাত্র ছিলেন শেখ কামাল। তার ব্যবহার ছিল অমায়িক। তার মাঝে ছিল নেতৃত্বের সকল গুণাবলী। শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সাহসিকতার সাথে মুক্তিবাহিনীকে পরিচালনা করেছেন। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে শেখ কামাল সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদেরকে শেখ কামালের মতো সাহসী ও দেশ প্রেমিক হতে হবে। তিনি বলেন, ঢাকা কলেজে থাকা অবস্থায় পাকিস্তান শিক্ষা সাপ্তাহের অনুষ্ঠান ছিল ঢাকা কলেজে। আমরা জানতে পারি মোনায়েম খান ঢাকা কলেজে আসবেন। তখন শেখ কামাল আমাকে বলে মামা মোনায়েম খানের অনুষ্ঠান আমরা ঢাকা কলেজে হতে দিব না। সেদিন হাতে কালো পতাকা নিয়ে শেখ কামাল মোনায়েম খানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। সে থেকে আমরা বুঝতে পারি শেখ কামাল কি পরিমান সাহসী নেতা ছিলেন। শুক্রবার (৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ শেখ কামাল এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১০ টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরস্থ ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।ফারুক খান বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের বাংলাদেশ সারা বিশ্বের রোল মডেল। বিশ্বের সকল বড় বড় প্রতিষ্ঠান বলছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এভাবে যদি আরো ৪/৫ বছর এগিয়ে যায় তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৩ তম অর্থনৈতিক দেশ হবে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশের উন্নয়ন চায় না। বিএনপি নেতারা প্রতিদিন অর্থনীতি নিয়ে গুজব রটাচ্ছে, জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।স্বেচ্ছাসেবক লীগকে উদ্দেশ্য করে কর্নেল ফারুক খান বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ আজ একটি শক্তিশালী সহযোগী সংগঠন। আপনারা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত শেখ কামালের মতো সাহসিকতার সাথে বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। শেখ হাসিনাকে ২০০৭ সালে আটকের পর আপনারা যে আন্দোলন করেছেন সেটা সারাদেশ দেখেছে। আপনাদের শেখ কামালের মতো সাহসিকতার সাথে সকল কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এই আগস্ট মাসে আমরা এমন একজনের জন্মদিন পালন করছি যে তরুণ প্রজন্মের কাছে আইকন। শহীদ শেখ কামাল একজন বিনয়ী ও নিষ্ঠাবান মানুষ ছিলেন। ছাত্রজীবনে তিনি সফলতার সাথে পড়াশোনা শেষ করেছেন। কিন্তু ঘাতকদের বুলেটের আঘাতের কারনে তিনি তার সফলতাটুকু দেখিয়ে যেতে পারেননি। আজকের এ দিনে আমরা তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। এছাড়াও ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা সহ তার পরিবারের যে ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে তাদের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তিনি বলেন, এ আগস্ট মাসে আমরা যা হারিয়েছি তা কোনদিন আমরা ফিরে পাবোনা। বাঙালি জাতি হারিয়েছে তাদের পিতাকে। আমরা হারিয়েছি আমাদের আদর্শকে। যাকে নিয়ে বাঙালি জাতি স্বপ্ন দেখতো। যিনি স্বপ্ন দেখতেন বাঙালি জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে নিয়ে। খুনি জিয়া মোস্তাক গংরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট তাকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকারীদের প্রতি রয়েছে আমাদের তীব্র ঘৃণা। আমরা জাতির পিতার আদর্শ বুকে নিয়ে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জেগে আছি। যতদিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রেতাত্মাদের শেষ করতে না পারব ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তিনি আরও বলেন, শহীদ শেখ কামালের আদর্শ আজকের তরুন প্রজন্মের গ্রহণ করা উচিত, কারণ শহীদ শেখ কামাল শুধু একজন ভালো ছাত্রই ছিলেন না, একজন ভালো ছাত্রনেতা ও দক্ষ সংগঠক ছিলেন। তিনি শুধু ছাত্র রাজনীতি করেননি তিনি একজন ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। তিনি ক্রীড়াকে নিয়ে ব্যাপক কাজ করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি মজিবর রহমান স্বপন, ফারুক আমজাদ খান, আব্দুল সালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, খায়রুল হাসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা, আব্দুল্লাহ আল সায়েম, আ ফ ম মাহবুবুল হাসান, প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বিটু, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ আগস্ট ২০২২
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী জুলুম সরকারের হাত থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হবে। ‘পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ। এর চেয়ে যন্ত্রণার কিছু নেই। আমাদের ছেলে নুরে আলম ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি। তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাহিনী। গুলি করে হত্যা করেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিমকে। আরও ১৯ জন ঢাকায়, বরিশাল হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।’ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ভোলা জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নুরে আলমের জানাজায় এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জানাজা হয়।নুরে আলমের জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকে বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত হন। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তাঁরা। রাস্তা বন্ধ করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের জমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিলের কারণে নয়াপল্টনের ভিআইপি রোডের এক পাশে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।জানাজার পর মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে নতুন নয়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর একদলীয় শাসন পোক্ত করার জন্য ১৫ বছর ধরে ৬০০ নেতা–কর্মীকে গুম করেছে। ৩৫ লাখ নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন আর ক্রন্দন নয়, আমাদের জেগে উঠতে হবে। এই ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী জুলুম নির্যাতনকারী সরকারের হাত থেকে এই জাতিকে মুক্ত করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। শান্তিপূর্ণভাবে গণ–আন্দোলন শুরু করে নুরে আলম এবং রহিমের হত্যার প্রতিশোধ নেব।’বক্তব্যের একপর্যায়ে বিএনপি মহাসচিব আজ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আগামী ৫ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত শোক পালন করার জন্য বিএনপি সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করবে, কালো পতাকা উত্তোলন করবে। ৬ আগস্ট ছাত্রদল ঢাকায় সমাবেশ করবে, ৭ আগস্ট কৃষকদল সমাবেশ করবে, ৮ আগস্ট যুবদলের উদ্যোগে সমাবেশ হবে।গত ৩১ জুলাই ভোলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে আহত হন নুরে আলম। পরে তাঁকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার তিনি মারা যান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছেন আগামী নির্বাচনে আপনাদের ইমাম কে, জনগণ তা জানতে চায়। তিনি আজ সকালে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ব্রিফিংকালে ২০১৮ সালে গণফোরাম প্রধান ডক্টর কামালকে ইমাম মেনে ভুল করেছেন, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে একথা বলেন।আগামী নির্বাচন জয়ী হলে জাতীয় সরকার গঠন করবেন বিএনপি, - বিএনপি এবং তার সহযোগীরা এ বিষয়ে নাকি একমত হয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এই প্রসঙ্গে বলেন স্বপ্নতো তারা বারবার দেখেন,গত নির্বাচনেও ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলেন, তাদের স্বপ্নে দেখা জাতীয় সরকার এবারও জাতির সাথে জাতীয় তামাশা কিনা তা দেখা যাবে।ওবায়দুল কাদের বলেন আগে বিএনপি নির্বাচনে আসুক, জনগণ চাইলে জয়লাভ করুক।বিএনপি তো নির্বাচন প্রক্রিয়াই বিশ্বাস করে না, তারা চায় চক্রান্ত করে যে কোন উপায়ে ক্ষমতায় যেতে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি এখন সরকার গঠনের দিবাস্বপ্নে জনসম্পৃক্ততাহীন কিছু নেতাদের নিয়ে ঐক্য করছে।কথিত এ ঐক্য ভোটের মাঠে কোন প্রভাব ফেলবে বলে জনগণ মনে করে না। তিনি বলেন ঐক্যের নামে বিএনপি এবং তার দোসররা মূলত শেখ হাসিনা সরকারকে হটানোর জন্য দেশ-বিদেশে চক্রান্ত করছে, তাদের এ চক্রান্ত প্রতিরোধ এবং প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না, - বিএনপি নেতাদের এমন কাল্পনিক বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া না দেওয়ার বিএনপি কে? ক্ষমতার উৎস এ দেশের জনগণ এবং ক্ষমতা দেওয়ার মালিক মহান আল্লাহ। জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং আছে, জনগণ যতদিন চাইবে ততদিনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে এমন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপির চাওয়া না চাওয়ায় কোন কিছু আসে যায় না।এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি ডানা এল ওল্ডস।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ আগস্ট ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি লাশের ওপরে প্রতিষ্ঠিত, সেই কারণে তারা লাশ সৃষ্টি করতে চায়। আর আগস্ট মাস এলেই তাদের এ প্রবণতাটা আরও বেড়ে যায়।তিনি বলেন, ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপি। সারা বাংলাদেশে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে লাশ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের গত কয়েকদিনের উসকানিমূলক বক্তব্য এটিই প্রমাণ করে। তবে জনগণ তাদের সেই সুযোগ দেবে না।বুধবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান লাশের ওপর পা দিয়েই ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তিনি ক্রমাগতভাবে বহু সৈনিকের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে দেশ পরিচালনা করেছেন। ১৯টি ক্যু হয়েছে। সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর কয়েক হাজার অফিসার ও জওয়ানকে হত্যা করেছেন জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকেও হত্যা করেছেন তিনি। ড. হাছান বলেন, খালেদা জিয়াও একইপথ অনুসরণ করেছেন। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে কীভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে লাশ বানিয়ে সেই লাশ আবার পুড়িয়ে অঙ্গার করে ফেলেছেন! লাশের ওপর দাঁড়িয়েই তাদের রাজনীতিতিনি বলেন, ভোলায় তারা (বিএনপি) যে মিছিল ও সমাবেশ করবে, তা পুলিশকে জানায়নি। এরপরও পুলিশ তাদের সহযোগিতা করেছে। তারা দোকানপাট ভাঙচুর ও পুলিশের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। বিএনপির সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর গুলি ছোড়া হয়েছে। সেই গুলিতে পুলিশের একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। আরেকজন কনস্টেবলকে ধরে নিয়ে গিয়ে বিএনপি অফিসে মারধর করা হয়েছে।তিনি বলেন, আত্মরক্ষার্থে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। সেখানে তাদের দুজন কর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন। আগে যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন, ডাক্তারের রিপোর্ট হচ্ছে তার হেড ইনজুরিতে মৃত্যু হয়েছে। হেড ইনজুরি ইট-পাটকেলের আঘাতেই হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। ইট পাটকেল তো বিএনপিই ছুড়েছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর দায় দায়িত্ব হচ্ছে বিএনপির। প্রকারান্তরে তাদের মৃত্যুর জন্যও দায়ী বিএনপি।নাম ও সাইনবোর্ড সর্বস্ব বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপি মিটিং করছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের এ মিটিং দেখে অনেকে আবার নতুন দল গঠন করতে উৎসাহিত হচ্ছেন, বিএনপি কখন তাদের ডাকে। এ ধরনের পরিস্থিতি হয়েছে।এ সময় বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের পরিচালক এ এস এম আবুল হোসেন, সিনিয়র প্রকৌশলী ভাস্কর দেওয়ান, আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক হীরক খান উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির হুমকি-ধামকি যতটা গর্জে বাস্তবে ততটা বর্ষে না।আওয়ামী লীগের লড়াকু নেতাকর্মীদের রাজপথ দখলের হুমকি দিয়ে কোন লাভহুমকি দিয়ে কোন লাভ নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের ব্রিফিংকালে আরও বলেন আওয়ামী লীগ রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেই সরকারে এসেছে।তিনি আজ সকালে রাজধানীর সেতু ভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের রাজপথ দখলের হুমকি দেওয়া প্রসঙ্গে এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন রাজপথ কোন ব্যক্তি বা দলের সম্পত্তি নয়, রাজপথ জনগণের সম্পত্তি, কাজেই জনগণের সম্পত্তি সুরক্ষার দায়িত্ব সরকারের।তিনি বলেন রাজপথে ত্যাগ-তিতিক্ষার অভিজ্ঞতা আমাদের ( আওয়ামী লীগের) আছে।আওয়ামী লীগ নয়,বাংলাদেশ থেকে পালানোর ইতিহাস বিএনপির এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি, রাজনীতি করবেনা বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছে। আওয়ামী লীগের পালানোর কোন ইতিহাস নেই। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা আওয়ামী লীগের শিকড় এদেশের মাটি ও মানুষের অনেক গভীরে এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন যত সংকট আর ষড়যন্ত্রই হোক না কেন আওয়ামী লীগ এদেশেই থাকবে।দেশের মাটি ও মানুষের মাঝে থাকবে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন রাজপথ দখলের নামে তারা যদি আবারও জ্বালাও পোড়াও এবং আগুন সন্ত্রাসের পথ বেছে নেয় তাহলে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে জনগণকে সাথে নিয়ে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে। এর আগে সেতু ভবনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত চায়না রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় পিরোজপুর জেলার কচা নদীর উপর নবনির্মিত অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু ( বেকুটিয়া) হস্তান্তর ও এর উদ্বোধন এবং এ বছরের শেষ দিকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের বিষয়ে আলোচনা হয়।এছাড়াও চীনের সহায়তায় অন্যান্য প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ আগস্ট ২০২২
ইভিএমে ভোট গননা সম্পর্কে আমার দেওয়া বক্তব্যকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিকৃতভাবে প্রকাশ করে আমার চরিত্রহনন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পটুয়াখালীর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জোবায়দুল হক রাসেল।বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবার আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে উঠান বৈঠক হয়। তাঁতেরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।রাসেল বলেন, "২৪ জুলাই আমি বলেছি, ২৭ তারিখের পরদিন দেখা হবে, ভোট কোন সেন্টারে কয়টা ভোট পরে। ভোট গুনবে ইভিএমে কে কোথায় ভোটে দেয় সব আমাদের কাছে চলে আসবে। অতএব, ভয় পাওয়ার কোন কারণ নাই, টেনশনের কোন কিছু নাই, যারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন ইনশাআল্লাহ নৌকায় ভোট দিবেন। আপনাদের প্রতি কোন দাবী দাওয়াও নাই। ২৭ তারিখের পরে ২৮ তারিখে দেখা হবে।""কিন্তুবক্তবের আগের অংশ থেকে কেটে বিভিন্ন পত্রিকায় এবং ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় আমার বক্তব্য বিকৃতভাবে ভোট গুনবে জায়গায় ভোট হবে সহ মনগড়া বক্তব্য উপস্থাপন করে আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। এ নিয়ে আমি গণমাধ্যমে প্রতিবাদ লিপি দিয়েছি।"রাসেল বলেন, আপনাদের জ্ঞাতার্থে ২৪ জুলাই আমার দেয়া সম্পূর্ণ বক্তব্য হলো:আমার নাম অনেকেই শুনেছেন। ছোটবেলায় শৈশব কৈশর আমার এখানেই কেটেছে, আমি এই ফফির বাড়ি স্কুলে পড়েছি। আমি ৮৫/৮৬ সালের দিকে এইখানে আমার শৈশব কৈশরের স্মৃতি আছে। এইখানে আমার যারা আছেন আমার এই এলাকায় মুরব্বিরা যারা আছেন। তাদের কাছে যেহেতু আমি এসেছি, আপনাদের এখানে যেহেতু আমি এসেছি আপনাদের কাছে শুধু আমার একটাই দাবী বলতে পারেন যেহেতু আমি বর্তমানে না ব্যবসায়ী বড় ইঞ্জিনিয়ারও না বড় কোন ডাক্তারও না যেহেতু আমি রাজনীতির সাথে জড়িত আমি যেহেতু রাজনীতি করি শেখ হাসিনার কর্মী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক নৌকার একজন কর্মী, যেখানেই নৌকার নির্বাচন হয় সেখানেই আমাদের নেতা জনাব ওবায়দুল কাদের তিনি আমাদের পাঠান নৌকার নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য। আর এটা আমার ইউনিয়ন, এটা আপনাদের ইউনিয়ন এটা আমাদের সকলের ইউনিয়ন। আমরা একটা সুন্দর উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা যারা কেন্দ্রে যাব তারা নৌকায় ভোট দিব। আমি আবারও বলি এই ইজ্জত আপনাদের, আপনার বাড়ির, আপনার ঘরের, আপনাদের সম্মানের। এখানে কিছু ভাই ব্রাদার আছেন, কিছু আত্মীয় স্বজনেরা আছেন, কালকের বক্তব্যের পরে তাদের মন টোন খুব খারাপ হয়ে গেছে। অনেক ধরণের কথা বলতেছে। আমার ফোনে ফোন দিয়ে বিভিন্ন ধরণের কথা বলা হচ্ছে। আমি শুধু বলতে চাই একটা কথাই, যে ভাবেই ফারুক আপনাদের কাছে যদি খারাপ হয় আপনারা ফারুক ভাইকে কোন ভোট দিয়েন না, আপনার ভোট দিবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মার্কা নৌকাকে। আপনারা ভোট দিবেন পদ্মা সেতুর রুপকার শেখ হাসিনার মার্কা নৌকাকে। আপনারা ভোট দিবেন এই এলাকার এই জনগণের আপনাদের প্রিয় ভাই ইব্রাহিম ফারুককে। আমার বয়সী যারা আছেন, আমার ছোট বড় মুরব্বিরা যারা আছেন, এইখানে বসে ওইখানে বসে বিভিন্ন ধরণের কথা বার্তা হয়। ভোট আসলে আপনাদের এত দাম বাইড়া যায়, আমি একটা জিনিস বুঝি না, এই সরকার থেকে নুন্যতম একটা সাধারণ মানুষও ৫০ টাকা নেয়। এ টাকায় তার দৈনন্দিন জীবন-যাপনের জন্য, এই আপনার ঘরের বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে আপনি যে রাস্তার উপরে হাটেন, আপনাদের চিকিৎসা ভাতা, আপনাদের আপনারা যদি দৈনিক ৫০ টাকা করে ধরেন আপনার নিজেদের জন্য, তাহলে মাসে আপনার ১,৫০০/- টাকা, বছরে আপনার ৯,০০০/- টাকা, পাঁচ বছরে ৪৫,০০০/- টাকা। একজন যদি পান ৪৫,০০০/- টাকা আপনি সরকার থেকে নেন, আপনার পরিবারে যদি ৫ জন থাকে, তাহলে কত টাকা আপনি সরকার থেকে পাচ্ছেন হিসাব করেন। এখন নির্বাচন আসলে নতুন টাকার ছড়াছড়ি এখন তো টাকা দিতে পারছে না, বিকাশ নাম্বারে, আকাশ নাম্বারে, পাতাল নাম্বারে, যা আছে দিয়ে দেন। অসুবিধা নাই টাকা নেন সমস্যা নাই, কেন্দ্রে কিন্তু নৌকা নিয়ে যেতে হবে। নৌকার প্রার্থী আমি আবারও বলি জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। এটা কিন্তু আমার স্বাধীনতার মার্কা। এটা কিন্তু আমাদের স্বাধীনতার কথা। এই স্বাধীনতার মার্কা হলো নৌকা। এই নাজিরপুরে এই এলাকায় বিগত ১৫ টি বছর অনেকে অনেক দলের সাথে জড়িত, বুকে হাত দিয়ে বলুন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আমি ছাত্রলীগ করতাম, আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী আমি আওয়ামী লীগের নেতা, কোনদিন যারা বিএনপি করেন বা অন্য দলের সাথে জড়িত তাদের নামে একটা মামলা দিয়েছি আমরা বা কোন বাড়িতে হামলা করেছি তাহলে বলেন যারা বিএনপি করেন, বিএনপি তো ভোট করতেছে না, তাহলে আপনি কার পিছে ঘোরেন। ২৭ তারিখের পরদিন দেখা হবে ভোট কয়টা সেন্টারে পরে ভোট গুনবে ইভিএমে কে কোথায় ভোটে দেয় সব আমাদের কাছে চলে আসবে। অতএব, ভয় পাওয়ার কোন কারণ নাই, টেনশনের কোন কিছু নাই, যারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন ইনশাআল্লাহ নৌকায় ভোট দিবেন। আপনাদের প্রতি কোন দাবী দাওয়াও নাই। ২৭ তারিখের পরে ২৮ তারিখে দেখা হবে।সবাই ভাল থাকবেন, বাসায় থাকবেন, শান্তিতে থাকবেন, সুখে থাকবেন। জয়া বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।"
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ আগস্ট ২০২২
বিদ্যুৎ নিয়ে যারা দুর্নীতির কথা বলেন-তারাই প্রকৃতপক্ষে দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ এক বিবৃতিতে বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপির অব্যাহত মিথ্যাচারের জবাবে এ কথা বলেন।শেখ হাসিনা সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে দুর্নীতি করলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত করা সম্ভব হতো না, শিল্পায়নের বিকাশ ঘটতো না,অর্থনীতির সমৃদ্ধি এবং প্রবৃদ্ধি ঘটতো না বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন বরং শেখ হাসিনা সরকার বিএনপির বেসামাল দুর্নীতি ও লুটপাটের পথ বন্ধ করে দেশের জন্য এনার্জি সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন বিদ্যুতের আলো।বিএনপি নেতারা সহজেই তাদের অতীত ভুলে যেতে চাইলেও জনগণ ঠিকই তা মনে রাখেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন তাদের সময়কালে দেশে দিনে ১৩ থেকে ১৪ ঘন্টা লোডশেডিং চলতো।বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরে শেখ হাসিনা সরকার বৈপ্লবিক সাফল্য দেখিয়েছেন এমন দাবি করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে দেশে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিলো ২২০ কিলোওয়াট, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৫৬০ কিলোওয়াট। মন্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেন ২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতাভুক্ত ছিলো মোট জনসংখ্যার ৪৭ শতাংশ, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে শতভাগ। ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিলো ৩ হাজার ২৬৭ মেগাওয়াট, বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে বলেন শুধু তাই নয়, ২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুেৎ গ্রাহক সংখ্যা ছিলো ১ কোটি ৮ লক্ষ। তিনি জানান ২০২২ সালের এপ্রিলে এসে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৭ লক্ষ। সরকারের এ সাফল্যে বিএনপি ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার আশঙ্কা কাটাতে আগাম ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশকেও কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের, বলেন এর অংশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে রেশনিং করা হচ্ছে, যা একটি সাময়িক পদক্ষেপ। বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন একটি মহল ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ভুঁয়া জিগির তুলছেন, প্রকৃতপক্ষে ভারত থেকে দেশে আমদানিকৃত বিদ্যুতের পরিমাণ মোটের উপর মাত্র ১০ শতাংশ। আবার কেউ কেউ বলছেন, দেশে নাকি ১৩ দিনের অকটেন এবং ১৭ দিনের পেট্রোলের রিজার্ভ আছে।অথচ প্রকৃত সত্য হচ্ছে, সামান্য পরিমাণে বুস্টার ছাড়া দেশে অকটেন ও পেট্রোল আমদানিই করা হয় না উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বিবৃতিতে বলেন প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রের কনডেনসেট থেকে রিফাইন করে পেট্রোল ও অকটেন তৈরি করা হয়।আবার কেউ কেউ বলছেন, দেশে তেল মজুদ আছে ৩৭ দিনের, তারা এ কথা বলছেন জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য। প্রকৃত সত্য হচ্ছে দেশে তেল মজুদের সক্ষমতা রয়েছে ৪০ দিনের। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে বিএনপি যে অব্যাহত অপপ্রচার আর মিথ্যাচার করছে, তা নিজেদের ব্যর্থতা আড়ালের অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয় - এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন তাদের সময়ে দেশ ছিলো অন্ধকারে নিমজ্জিত। তিনি বলেন তারা দেশের মূল্যবান খনিজ সম্পদ ক্ষমতায় আসার জন্য বিদেশি প্রভুদের হাতে তুলে দিয়েছিলো।বিদ্যুতের পরিবর্তে স্থাপন করেছিলো খাম্বা। বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন বিকল্প ক্ষমতা কেন্দ্র হাওয়া ভবন আর খোয়াব ভবন আলোকিত রাখতে গিয়ে সারা দেশকে অন্ধকারে রেখেছিলো বিএনপি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ আগস্ট ২০২২
প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট ডাকাতি বন্ধ করতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন ইভিএম ব্যবহারে প্রথম দিকে কিছু কিছু ভোটারের অনিচ্ছা থাকলেও সময়ের পরিক্রমায় প্রমাণিত হয়েছে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল বন্ধ করে স্বচ্ছ নির্বাচন পদ্ধতি বাস্তবায়ন সম্ভব।রোববার (৩১ জুলাই) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে বিকেল ৩টায় এ সংলাপ শুরু হয়।ভোটকেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতি বন্ধ, ভোট জালিয়াতির মতো অপসংস্কৃতি রয়েছে। ভারতের মতো আমরাও মনে করি প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট ডাকাতি, কারচুপির বন্ধ করতে ইভিএম এর কোনো বিকল্প নেই।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক পদে দলীয় আনুগত্যের লোক নিয়োগ দিয়েছিলো। সেই সময়ে কর্মকর্তা পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ সকল দলীয় ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনের আওতাভুক্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। নির্বাচনকে নিরপেক্ষ এবং প্রভাবমুক্ত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দলীয়করণের অংশ হিসেবে যাদের নিয়োগ দিয়েছিলো তাদের অনেকেই জেলা পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আবার অনেকে দায়িত্ব পাওয়ার জন্য অপেক্ষমান। এ সকল কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদেরকে নির্বাচনের সকল ধরনের কার্যক্রমের বাইরে রাখার দাবি জানান তিনি।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ১২ জন কেন্দ্রীয় নেতা সংলাপে অংশ নিচ্ছেন।আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে আছেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহ, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপপু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন নাহার।এদিকে সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ২০২১ পঞ্জিকা বছরের নিরীক্ষিত হিসাব প্রতিবেদন দাখিল করে আওয়ামী লীগ।প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রবিবার (১৭ জুলাই) থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রবিবার (৩১ জুলাই) ধারাবাহিক সংলাপের শেষ দিন। সংলাপে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জুলাই ২০২২
শোকের মাসকে ঘিরে আগস্টের প্রথম প্রহর থেকে পুরো মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।রোববার (৩১ জুলাই) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি জানানো হয়।৩১ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ধানমণ্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর অভিমুখে আলোর মিছিল করবে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। একই সময়ে ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করবে মহিলা আওয়ামী লীগ৷সোমবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে কৃষক লীগের আয়োজনে রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এভাবে পুরো মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ এবং দলের সহযোগী সংগঠনগুলো।৩১ আগস্ট ছাত্রলীগ ও কৃষকলীগের আয়োজনে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শোকের মাস আগস্টের কর্মসূচি শেষ করবে আওয়ামী লীগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জুলাই ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন,যেভাবে বিএনপি হারিকেন নিয়ে মিছিল করছে, মনে হচ্ছে তাদের প্রতীক বদলে গেছে। বিএনপির মধ্যে নির্বাচনী ভীতি শুরু হয়েছে, সে কারণে নির্বাচন নিয়ে তারা নানা কথা বলছে।শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিএনপিকে নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসেছে। কারণ ২০১৮ সালে বিএনপি মাত্র পাঁচটি আসন পেয়েছিল। এজন্য তারা নির্বাচনে আসতে ভয় পায়।এর আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা সভায় যোগ দেন তিনি।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সাখাওয়াত হোসেন শফিক, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও সাফুরা বেগম রুমী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হকসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনকে ঘিরে সকাল ১০টা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কলেজ মাঠে আসতে শুরু করে। সম্মেলনে প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জুলাই ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বদলে গেছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী তার মেধা ও চিন্তার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।শুক্রবার (২৯ জুলাই) শরীয়তপুর শিল্পকলা মাঠে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক এই সহ-সভাপতি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এবং মানুষের ভাগ্য পারিবর্তনের জন্য আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন, তার কাছে চাওয়ার আর কিছু নেই। তিনি আমাদের না চাইতেই অনেক দিয়েছেন। এই বাংলাদেশের মানুষ যেন ভবিষ্যতে কোনো সংকটে না পড়ে, সরকার সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।ইকবাল হোসেন অপু বলেন, দলের মধ্যে যারা পোড় খাওয়া লোক, পরীক্ষিত লোক এবং বহু অভিমানী কর্মী আছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে নেতৃত্বে বসাতে হবে। অনেক জ্যেষ্ঠ্য নেতা আছেন যারা বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে গেছেন, তারা দলের জন্য রক্ত, ঘাম, শ্রম এবং যৌবনের সোনালী দিনগুলো উৎসর্গ করেছেন, তাদেরও খোঁজ-খবর রাখা প্রয়োজন।এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলি সিকদার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর, পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান জন, সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন খান, জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাস্টার জি এম নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌকিদার, সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিনা ইয়াসমিন জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামান রাশেদ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জুলাই ২০২২
মানুষকে জেগে উঠতে বিএনপি নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন মানুষ ঠিকই জেগে আছে, কেউ ঘুমিয়ে নেই বরং বিএনপি নেতারাই জেগে জেগে ঘুমাচ্ছেন। যে দল নিজেদের নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করতে পারে না তারা নাকি আবার সরকার পতন ঘটাবে- এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।তিনি আজ সকালে তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের সরকার পতনের আন্দোলন প্রসঙ্গে একথা বলেন।আন্দোলনের ফানুস উড়িয়ে তারা গভীর শীত নিন্দ্রায় চলে যাচ্ছেন এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিএনপির সরকার পতন আন্দোলন মানে নিজ দলের নেতাকর্মীদের মাঝেই এক গভীর দীর্ঘশ্বাস আর হতাশার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন কিছু একটা বলতে হবে তাই এসব হাই সাউন্ডিং শব্দ তারা ব্যবহার করে, বাস্তবে তাদের সক্ষমতা কতটুকু তা আমরা জানি, আন্দোলনের বস্তগত পরিস্থিতিও বিরাজমান কিনা সেটাও বিএনপি নেতারা জানে না । বিএনপি এখন কুম্ভকর্ণ, তাদের কুম্ভকর্ণের নিন্দ্রা ভাঙ্গানো দরকার সবার আগে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগকে নাকি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবে,- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন ধাক্কা দিয়ে কাকে ফেলে দিবেন? আওয়ামী লীগকে? আওয়ামী লীগ কি অত ঠুনকো দল? বন্দুকের নল থেকে আওয়ামী লীগ জন্ম নেয়নি। আওয়ামী লীগের শিকড় এদেশের মাটি ও মানুষের অনেক গভীরে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিলে নিজেরাই খাদের কিনারায় আছেন,আপনাদেরই খাদে পড়ে যেতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন যারা এদেশে বসে ফরমায়েশি রাজনীতি করে তারা জনপ্রত্যাশা থেকে যোজন যোজন দূরে অবস্থান করছে এবং তাদের অবস্থানই জনগণের কাছে ঠুনকো ও ভঙ্গুর।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জুলাই ২০২২
বিএনপির বিদ্যুৎ নিয়ে বিক্ষোভ বছরের সেরা কৌতুক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আজ সকালে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন। বিএনপি নেতারা বিশ্ব অর্থনীতির সাম্প্রতিক গতিধারা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব, কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার দেখছে না , তারা দেখে শুধু শেখ হাসিনা সরকারের তথাকথিত ব্যর্থতা আর স্বপ্ন দেখে ক্ষমতার মসনদ উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি'র রাজনীতি এখন উটপাখির নীতিতে চলছে।তিনি বলেন বিএনপি বিশ্ব-সংকটে বালুতে মাথা গুঁজে আছে আর চিরাচরিত সরকার বিরোধী বিষোদগার অব্যাহত রেখেছে। তাদের রাজনীতিতে নূতনত্ব নেই,জনমানুষের কল্যাণে নেই কোন ভাবনা।বিশ্ব বাজারে তেল,গ্যাস,ভোজ্যতেল,সারের দাম এখনও অস্থির জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন সরকার জনকল্যাণে ভর্তুকি দিয়ে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখার অব্যাহত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের বলেন অন্যদিকে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে ভালো কথা, তারা বিক্ষোভ করুক, মিছিল করুক - এটা বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকার। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুঁশিয়ার করে বলেন বিক্ষোভের নামে জনশান্তি বিঘ্ন ঘটানোর অপপ্রয়াস চালালে জনস্বার্থে সরকার তা কঠোর হস্তে দমন করবে।বিএনপি নেতাদের নির্বাচনী গণতন্ত্রের কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চান-নির্বাচিত হয়ে সংসদে না যাওয়া কোন নির্বাচনী গণতন্ত্র? তিনি বলেন যাদের নিজেদের সর্বাঙ্গে পংকিলতা তাদের গণতান্ত্রের সবক দেওয়া হাস্যকর এবং অর্থহীন। গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলার আগে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের ব্রিফিংকালে আরো বলেন আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে নিন, নিজ দলে গণতন্ত্র চর্চা করুন।গণতান্ত্রের মুখোশের আড়ালে বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে বর্ণচোরা ফ্যাসিবাদ আর লুটপাটতন্ত্রের সমন্বিত কদর্য রুপ বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।এর আগে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী কার্যালয়ের শান্তি ও উন্নয়ন উপদেষ্টা রেবেকা আদ্দা - দনতো।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জুলাই ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, আমাদের দেশের কিছু হতাশ রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের আয়েশী ব্যক্তি আছেন যারা কোন কিছুতেই দেশের মঙ্গল কিছু দেখতে পান না। তারা সব সময়ই শুধু নেতিবাচক প্রচারণায় মগ্ন রয়েছেন, অনেকেই দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত আছেন। তাদের হায় হায় পার্টি বলা হয়। হায় হায় পার্টির নাই নাই আহাজারীতে ভয়ের কিছু নেই।আজ (মঙ্গলবার) কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।তিনি বলেন, কিছু দিন পূর্বে তারা বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মত ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে অর্থনীতিতে অরাজকতা এবং সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে সফল হতে পারেন নি। এখন বিশ্ব বাজারে জ্বালানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন উর্ধগতির প্রভাবে বর্ধিত আমদানী ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার ওপর কিছুটা চাপ পড়ার পর তারা আবার হায় হায়, নাই নাই রোগাক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, ২০০৬ সালে জামাত- বিএনপির শেষামলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৬ বিলিয়নের নীচে, ২০০৯ সালে বাঙালির আপন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব গ্রহণকালে রিজার্ভ ছিল মাত্র ৭.৪ বিলিয়ন। এরপর তাঁর প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে ২০১০ সালে রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন অতিক্রম করে, এরপর ২০১৪-তে ২০, ২০১৬-তে ৩০, ২০১৯ -এ ৩৩ এবং ২০২২- এ ৪৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ সৃষ্টি হয়। বর্ধিত আমদানী ব্যয়ের চাপ সামলাতে আপাতত রিজার্ভ ৪০- এর সামান্য নীচে দাঁড়িয়েছে। এখোনো জামাত- বিএনপির মত ৬ অথবা সুশীল তত্ত্বাবধায়ক আমলের মত ৭ বিলিয়ন থেকে যোজন যোজন উপরে অবস্থান করছে। এই সময়ে আমাদের ১০ বিলিয়ন ডলার বিদেশের বিভিন্ন বাংলাদেশী শাখা ব্যাংকে গচ্ছিত এবং বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানীর নিকট পাওনা রয়েছে। সুতরাং হায় হায় পার্টির নাই নাই বিলাপ এবারও উন্নয়ন ও মানব কল্যাণের সুবাতাসে হারিয়ে যবে। আজ সকালে পেকুয়া কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। উদ্বোধন করেন জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলামের চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারন সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান মুজিব, আলহাজ্ব জাফর আলম এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, সাইমুম সারোয়ার কমল এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ রেজাউল করিম, এডভোকেট রঞ্জিত দাস, মাহবুবুর রহমান, লায়ন কমর উদ্দিন আহমেদ, এডভোকেট জিয়া উদ্দিন জিয়া, এডভোকেট উম্মে কুলসুম মিনু, আমিনুর রশীদ প্রমুখ। সম্মেলন পরিচালনা করেন আলহাজ্ব আবুল কাশেম।সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আলোচনার ভিত্তিতে সর্বসম্মতিভাবে জনাব মোঃ শহীদুল্লাহ বিএ সভাপতি, জনাব সাইফুদ্দিন খালেদ, জনাব একেএম মহিউদ্দিন বাবর, জনাব ফরহাদ ইকবাল, জনাব নজরুল ইসলাম বাবুল সহ সভাপতি, আলহাজ্ব আবুল কাশেম সাধারন সম্পাদক, জনাব মোঃ মফিজুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক এবং জনাব আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জনাব মোঃ ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেসী, এডভোকেট উম্মে কুলসুম মিনু সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ জুলাই ২০২২
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, গত এক যুগেরও বেশি , বিএনপি এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের রাজনীতিতে কখনোই আস্থা রাখেনি। তাদের রাজনৈতিক দর্শনই ছিল লুটপাটতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।যারা তাদের শাসনামলে হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন খুলে পাহাড় সমান দুর্নীতি আর লুটপাটে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিল, দেশের মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়িত মেগাপ্রকল্পগুলো তাদের গাত্রদাহের সৃষ্টি করবে, সেটাই স্বাভাবিক ।মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের রাজনীতিতে কখনোই আস্থা রাখেনি। তাদের রাজনৈতিক দর্শনই ছিল লুটপাটতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। পাহাড় সমান প্রতিবন্ধকতা ও অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। শুধু মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে তা নয়, আজকে দেশের শতকরা ২৯ শতাংশ পরিবারের মানুষ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় কোনো না কোনো ভাতার আওতাভুক্ত হয়েছে। আজকের বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সফল রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি আজ বিশ্ব সভায় প্রশংসিত। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যারা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাদের মনে রাখা উচিত, তাদের শাসনামলে দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণেই দেশের অর্থনৈতিক ভীত অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তাদের শাসনামলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কোনোদিন ৫ বিলিয়নের উপরে ছিল না। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সুশাসনের কারণেই বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সাময়িকী নিউজ উইক যখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করে, তখন আমাদের দেশের একদল হতাশাবাদী ব্যর্থ রাজনীতিক হায় হায় রব তোলে। তাদের মনে রাখা উচিত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত রাষ্ট্রগুলো যেখানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না, সেখানে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববাজারে ক্রমাগতভাবে জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেক উন্নত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে।বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান সংকট একটি বৈশ্বিক সংকট। বাংলাদেশ যাতে এই সংকটের অভিঘাতে জর্জরিত না হয় সেজন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার সামনের সংকট মোকাবিলার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনে করে, জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস থাকলে কোনো সংকটই মোকাবিলা করা কঠিন নয়। আমরা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাব, আসুন সবাই দায়িত্বশীল হই, সবাই মিতব্যয়ী এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হই।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ জুলাই ২০২২