বিএনপি নেতাদের অহংকার না করার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “আপনাদের জেলা উপজেলা থেকে যোগাযোগ করছে, দরজাটা খোলে দিলে দেখবেন আওয়ামী লীগে যোগদানের লাইন কত বড়।”শনিবার বিকালে রাজধারি বিএনমএ অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের শোক দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা যাদের প্রতিপক্ষ ভাবি তারা আমাদের শত্রু ভাবে। পচাত্তরের হত্যা কান্ডে তাদের দোষররা, এর পর তেশরা নভেম্বর। এটা কি প্রতিপক্ষের? না শত্রুর? শত্রুর মত ব্যবহার তারা আমাদের সঙ্গে করে। কোকোর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শোকার্ত মাকে শান্তনা দিতে ছুটে গেছে, মুখের উপর ঘরে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে, মূল ফটক বন্ধ করে দিয়েছে। এই দুর্ব্যবহারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেয়েছেন।“২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে টেলিফোন করেছেন, আসুন গণভববনে ডিনার করুন, আমরা কথাবার্তা বলি। কি দুর্ব্যবহারটা করেছে। বারে বারে দেয়াল তুলছেন আপনারা, সম্পর্কের সেতুটা আপনারাই ধ্বংশ করে দিয়েছেন এদেশের রাজনীতিতে।”বিদেশে আওয়ামী লীগের কোন প্রভু নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা বঙ্গবন্ধু, জননেত্রী শেখ হাসিনা, তাদের আদর্শ ধারণ করি এবং সেটাই আমাদের বড় অস্ত্র। আমাদের ক্ষশমতার উৎস বাংলাদেশের জনগণ, অন্য কেউ না। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে প্রভু নেই। আপনাদের মত আমাদের প্রভু নেই। আমরা বন্ধুত্ব করি আমাদের সার্থে, আমরা বন্ধুত্ব করি আমাদের অতীতে, খারাপ সময়ে কে আমাদের সঙ্গে ছিল। এটা আমরা স্বরণ করি।“কিন্তু আমি কারও দয়ায় তো ক্ষমতায় আসি নি। আমার দেশের জন্যগণ আমাদের সমর্থন করেছে। আল্লাপাকের অশেষ রহমত আছে সেজন্যই আমরা ক্ষমতায় আছি। ইনশাআল্লাহ ফখরুল সাহেব তাদের সহকর্মীরা জনমতে তলানীতে।”বিএনপি নেতাদের অহংকার না করার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সারা দুনিয়া এখনও বলে, শেখ হাসিনা জনপ্রিয় নেত্রী। জনপ্রিয়তার প্রমান আপনারা বার বার ডাক দিয়েও মাঠে নামাতে পারেন নি, ইনশাল্লাহ পারবেন না। নির্বাচনটা আসুক তখন প্রমান পাবেন শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা অপ্রতিরোদ্ধ, তুঙ্গে। কত উচুতে নির্বাচনে টের পাবেন। আমাদের প্রমান করতে হবে না।“বড় বড় কথা বলবেন না, বড় বড় কথা বললে আসল কথা বেড়িয়ে আসবে। একটা মিছিল হলে খোলা মাঠে মারা মারি, সেই দল কলহ কোন্দলে ভরা কেউ কাউকে মানে না। কারও প্রতি কারও কোন আস্থা নেই। প্রস্তাব তো আমাদের কাছেও আসে জেলা পর্যায়ের, কেন্দ্রীয় পর্যায়ের। অনেকে যোগ দিতে চায়। দরজাটা খুলে দিলে টের পাবেন লাইন কতটুকু, আওয়ামী লীগে যুগদানের লাইন। আপনারা আপনাদের দোষত্বের পক্ষ থেকে। কাজেই এক অহংকার ভালো নয়। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি মানুষের সঙ্গে থাকবো।”বিএমএ এর সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বিএমএ এর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ আগস্ট ২০২২
শরীয়তপুর- ১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. ইকবাল হোসেন অপু বলেছেন, এই মাস শোকের মাস, এই মাসে আমরা হারিয়েছি বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই শোককে শক্তিতে পরিণত করে আগামীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবার ও রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে।শনিবার (২০ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কাজির হাটে দোয়া মাহফিল ও গণভোজ এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হলেন সেই ব্যক্তি যিনি জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন বাঙালির অধিকারের জন্য। বাঙালির অধিকারের কথা বলতে গিয়ে ১৪ টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। গণতন্ত্র, স্বাধীনতাসহ সব আন্দোলনে নেতৃত্বের সম্মুখ সারিতে ছিলেন তিনি। এদিকে তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কাজ করে যাচ্ছেন। ডুবিসায়বর বন্দর সভাপতি এম এ ওয়াহাব মাদবরের সভাপতিত্বে এসময় সাবেক সংসদ সদস্য মাস্টার মজিবর রহমান ও জাজিরা উপজেলা চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার, জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার জিএম নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেবসহ উপজেলা- পৌরসভা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ আগস্ট ২০২২
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম বলেছেন আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখাবেন না, আওয়ামী লীগের সৈনিকরা যদি মাঠে নামে আপনারা আবার ঘরের ভেতর ঢুকে যাবেন, রাজপথে আপনাদের খুঁজে পাওয়া যাবেনা।"আমরা মাঠে নামলে আপনাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা যদি মনে করি ঢাকা শহরে আগামীকাল বিএনপি রাস্তায় নামবে না... সেটিই সত্য। কিন্তু আমরা হিংসার রাজনীতি করিনা। প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন আপনারা"।শনিবার (২০ আগস্ট) রাজধানীতে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনেক ক্ষতি করেছেন, তার দলের ক্ষতি করেছেন, তারপরও তিনি আপনাদের চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছেন এর অর্থ হলো আপনারা ভালো হয়ে যান, রাজনীতিতে ফিরে আসুন । জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি থেকে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসুন। গণতন্ত্র চর্চা করেন গণতন্ত্র কাকে বলে শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখুন ।তিনি আরো বলেন, 'বিএনপি-জামাত সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষা করেছিলেন। এদেশে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উল্টো পথে পরিচালিত করেছিল বঙ্গবন্ধুর নাম এদেশ থেকে চিরতরে মুছে ফেলার জন্য। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় আমরা বঙ্গবন্ধুর শোক দিবস পালন করতে পারিনাই। পুলিশ দিয়ে আমাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে । এমন কোন রাত নেই যে আমরা শান্তিতে ঘুমোতে পেরেছি। নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে ছোট্ট মেয়ে পূর্ণিমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে'।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ আগস্ট ২০২২
চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে আজ শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করা নিয়ে দেওয়া বক্তব্য পরিষ্কার করতে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি, আমরা চাই শেখ হাসিনার স্থিতিশীলতা থাকুক। এই ব্যাপারে আপনারা (ভারত) সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হব।’এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’এ বক্তব্যের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কালকে (বৃহস্পতিবার) আমি যে জিনিসটা বলেছি, শেখ হাসিনা, উনি আছেন বলেই আমাদের দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। উনি আছেন বলেই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে। আমি বলেছি, বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর মধ্যে একটি দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন, যে অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুললে সবার মঙ্গল হয়। আর এ দেশে যত নাগরিক আছে, সে যেকোনো ধর্মের হোক, তার সমান অধিকার। সে বাঙালি, আমাদের বাংলাদেশের নাগরিক। আর আমি বলেছি, শেখ হাসিনা যদি সরকারে থাকেন, তাহলে স্থিতিশীলতা থাকে। আর স্থিতিশীলতা থাকলেই আমাদের উন্নয়নের যে মশাল...’জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরভারতের আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ভারতে গিয়ে আমি যেটা বলেছি, আপনাদের আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, শেখ হাসিনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কেন? উনি বললেন, শেখ হাসিনার সেই জিরো টলারেন্স টু টেররিজম (সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা) এটা ঘোষণার পরে। আর দ্বিতীয়ত উনি বলেছেন, বাংলাদেশ ক্যান নট বি আ হাব ফর টেররিস্ট (বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের আস্তানা হতে পারে না)। এরপর আসাম, মেঘালয়—সব কটি জেলায় (রাজ্য) আর সন্ত্রাসী তৎপরতা নেই। সন্ত্রাসী তৎপরতা না থাকায় তাদের দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। উনি বললেন, আমার এখানে বহু হাসপাতাল, বহু ইনভেস্টমেন্ট (বিনিয়োগ) আসছে। যেহেতু এখন আমাদের এই আসামে কোনো সন্ত্রাসী নেই, এই জন্য শেখ হাসিনা, তাঁর আহ্বানে এটা হয়েছে।’রাজধানীর পলাশীর মোড়ে কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরআব্দুল মোমেন আরও বলেন, ‘আমি ভারত সরকারকে বললাম, আপনার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, শেখ হাসিনা থাকায় স্থিতিশীলতা এসেছে। স্থিতিশীল হওয়ায় আমাদের দেশেরও মঙ্গল হচ্ছে, আপনার দেশেরও মঙ্গল হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সুতরাং স্থিতিশীলতা সবচেয়ে ইমপর্ট্যান্ট (গুরুত্বপূর্ণ)। রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা খুব দরকার। তাতে আপনার দেশেরও মঙ্গল হবে, আমাদের দেশেরও মঙ্গল। আমরা চাই, এই অত্র এলাকায় স্থিতিশীলতা। কোনো ধরনের অশৃঙ্খলতা চাই না এবং সেটা যদি আমরা করতে পারি, এই সোনালি অধ্যায় যথার্থ হবে।’পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি, কিছু কিছু লোক সময়-সময় অনেকগুলো উসকানিমূলক কথাবার্তা বলে। আপনার (ভারত) দেশেও কিছু দুষ্টু লোক আছে, আমার দেশেও দুষ্টু লোক আছে। তারা তিলকে তাল করে। আপনার (ভারত) সরকারের একটা দায়িত্ব হবে এবং আমার সরকারেরও দায়িত্ব আছে যে তিলকে তাল করার সুযোগ সৃষ্টি না করে দেওয়া। আমরা যদি এটা করি, তাহলে আমাদের এই সম্প্রীতি থাকবে। আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের আনসার্টেনিটি, অস্থিরতা থাকবে না। আমি বলেছি, ...আমরা চাই শেখ হাসিনার স্থিতিশীলতা থাকুক। এই ব্যাপারে আপনারা (ভারত) সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হব।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ আগস্ট ২০২২
"ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক আছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ভারত সফর করবেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেখানে অনেক অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে"ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে বৈরিতা চাই না। ২১ বছর বৈরিতা করে আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু। ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভারতকে অনুরোধ করেনি আওয়ামী লীগ। জনগণ আমাদের ক্ষমতার উৎস। বাইরের কেউ আমাদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পারে না। যিনি বলেছেন, এটা তার ব্যক্তিগত মত।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সরকার, এই সরকার সংখ্যালঘু বান্ধব সরকার বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া। ইদানীং যারা মন্দিরে হামলা করে, তারা দলের নয় দুর্বৃত্ত। তারা সবার শত্রু। এদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিজেদের মাইনরিটি ভাববেন না। সমান অধিকার আছে আপনাদের। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের মুখে মায়াকান্না মানায় না। আমরা আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজমান। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে বহু দিনের সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের ছিটমহল বিনিময় হয়েছে। কয়েকটি সমস্যার অগ্রগতি আসবে। সেপ্টেম্বরে আরও কিছু বিষয়ে সমাধান হবে।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জেএমসেন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলে, ভারতের নয়াদিল্লিতে গিয়ে অনেকের সঙ্গে আমার দেখা হয়। আমি দেশটিতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। আজকে অনেকের বক্তব্যতে সেটাই এসেছে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে এবং সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত একটা দেশ হবে। অনেকেই আমাকে ভারতের দালাল বলেন। কারণ অনেক কিছু হয়, আমি স্ট্রং স্টেটমেন্ট দিই না। কিন্তু আমারও তো একটি কনস্টিটিউয়েন্সি আছে। সেটাকে তো আমি ইগনোর করতে পারি না।এ বক্তব্য প্রসঙ্গে আজ গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কিছু লোক আছে, যারা তিলকে তাল বানায়। আমি গতকাল ভারতের সঙ্গে আলোচনায় তাদের বলেছি যে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশ স্থিতিশীল আছে। আমরা কোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশ চাই না। আপনার ও আমাদের দেশে কিছু দুষ্ট লোক আছে, যারা তিলকে তাল করে। আপনাদের কিছু সাংবাদিক দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় বলেই এসব সংবাদ প্রচার করছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ আগস্ট ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। "আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে," বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জেএম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাকে টিকিয়ে রাখতে পারলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে এবং সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক একটা দেশ হবে। শেখ হাসিনার সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।’সম্প্রতি নিজের ভারত সফরের প্রসঙ্গ টেনে মোমেন বলেন, ‘আমি বলেছি, আমার দেশে কিছু দুষ্ট লোক আছে, কিছু উগ্রবাদী আছে। আমাদের দেশ সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন না। আপনার দেশেও যেমন দুষ্টু লোক আছে, আমাদের দেশেও আছে। কিছুদিন আগে তাদের দেশেও এক ভদ্রমহিলা কিছু কথা বলেছিলেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে একটি কথাও বলিনি। বিভিন্ন দেশ কথা বলেছে, আমরা বলিনি। এই ধরনের প্রটেকশন আমরা আপনাদের দিয়ে যাচ্ছি।সেটা আপনাদের মঙ্গলের জন্য, আমাদের মঙ্গলের জন্য। আমরা যদি একটু বলি, তখন উগ্রবাদীরা আরও সোচ্চার হয়ে আরও বেশি বেশি কথা বলবে। তাতে ক্ষতিটা হবে কী? আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হবে। স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হবে।’তিনি বলেন, ‘ভারতকে বলেছি, আমরা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড কখনও প্রশ্রয় দেব না। এটা যদি আমরা করতে পারি, ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ের মঙ্গল। শেখ হাসিনা আছেন বলে ভারতের যথেষ্ঠ মঙ্গল হচ্ছে। বর্ডারে অতিরিক্ত খরচ করতে হয় না। ২৮ লাখ লোক আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর ভারতে বেড়াতে যায়। ভারতের কয়েক লাখ লোক আমাদের দেশে কাজ করে। এটি সম্ভব হয়েছে আমাদের সুন্দর অবস্থানের কারণে। সুতরাং আমরা উভয়ে এমনভাবে কাজ করব যাতে কোনো ধরনের উসকানিমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। ভারত সরকারকে বলেছি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকবে যদি আমরা উভয়ে শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিই।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ আগস্ট ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা জাতির পিতার হত্যাকারীদের রক্ষা করেছিল ও সরকারি চাকরি দিয়েছিল তারা এখনও বাংলাদেশের রাজনীতিতে রয়েছে। এখনও তারা ধ্বংস হয়নি। এখন তারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মোহে রয়েছে। তারা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান চায়। এখন শুধু তারা বঙ্গবন্ধুকন্যার বিরোধিতা করে না তারা তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। তারা যে কোন উপায়ে যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় আসতে চায়। এর জন্য তারা দেশে ও আন্তর্জাতিক ভাবে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারা মিথ্যাচার ও গুজব রটিয়ে দেশ অস্থিতিশীল করতে চায়। এরাই দেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, শুধু গণতন্ত্রের লেবাস ধরে থাকে। দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুনবৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৭ তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। আজ বিশ্বে বাংলাদেশ মর্যাদার আসন রয়েছে। এই বিএনপি-জামাত আমাদের এই মর্যাদার আসন থেকে ছিটকে ফেলে দিতে চায়। তারা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কোন কর্মসূচি দিতে পারে না। তারা উন্নয়ন ও গঠনমূলক সৃজনশীল কোন কর্মকাণ্ড করতে পারে না। তারা উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে উস্কে দিয়ে দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটাতে চায়। তারা জঙ্গিদের সাথে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এই বিএনপি-জামাত ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর হাজার হাজার গণতান্ত্রিক ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের হত্যা করেছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর আঘাত এনেছে। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছু উচ্চাভিলাসী অফিসার জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেসময় কিছু সংখ্যক সেনা অফিসার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিল না তারাই এ ঘটনা ঘটায় এবং তাদের সাথে দেশে ও আন্তর্জাতিক শক্তি মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এখানে মূল সেনাবাহিনী সংযুক্ত ছিল না। এরা মহান স্বাধীনতাকে মেনে নেয়নি। জাতির পিতার নেতৃত্বে যখন মুক্তিযুদ্ধ চলেছে তখন এই অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যুদ্ধের নামে পাকিস্তানীদের সহায়তা করেছিল। ১৫ ই আগস্ট সকল অপশক্তি এক হয়ে জাতির পিতাকে হত্যা করে। তারা আমাদের বাঙালি জাতির সংস্কৃতি, সত্তা, ভাষা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। তারা চায়নি বাংলাদেশে কোন মুক্তিযুদ্ধের শক্তি থাকুক।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ আগস্ট ২০২২
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী জিয়া ও তার দল। জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছিলেন, খুনিদের পুনর্বাসিত করেছিলেন।তিনি বলেন, ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে হাজারো সেনাসদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিলেন জিয়া। ২০১৩-১৪-১৫ সালে তার তৈরি করে রেখে যাওয়া দল বিএনপি ও তাদের দোসর জামায়াত হরতাল-অবরোধের নামে শতশত নিরীহ মানুষকে পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে মেরেছে।বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট তার সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ সফরকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যে কথা বলেছেন, সে পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এই আইন। আমাদের এ আইন নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন, তাদের বলব অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুরের আইনের দিকে তাকাতে। সেখানকার আইনে আমাদের চেয়েও কঠিন ধারা আছে। আমাদের যে ধারাগুলো নিয়ে কথা হয়, ভারত ও পাকিস্তানেও একইরকম ধারা আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফ্রেমওয়ার্ক ‘ল' করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। সেটির আলোকে সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের আইন করেছে। কই, সেগুলো নিয়ে তো কোনো কথা বলেন না। ‘অনেক সময় আইন না পড়ে, না বুঝেও নানা ধরনের কথা বলা হয়’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, এই আইনের যাতে কোনো অপপ্রয়োগ না হয়, সে জন্য আমরা সতর্ক আছি, কেউ যাতে নিগৃহীত না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ আগস্ট ২০২২
বর্তমান সংকটের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন ‘আমরা দোষী না, আমরা অপরাধীও না। আমাদের আর্থিক সংকটের বৈশ্বিক পরিস্থিতির মূল্য দিতে হচ্ছে। শেখ হাসিনাকে মূল্য দিতে হচ্ছে। রাত জেগে জেগে দেশের মানুষের কথা ভাবতে হচ্ছে। ধৈর্যহারা হবেন না কেউ, ইনশা আল্লাহ এই দিন থাকবে না।’বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে ঢাবি ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘পিতার শোক, কন্যার শক্তি : বাংলার অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা মানুষের কষ্ট বোঝেন। সরকার প্রধান হয়ে তিনি প্রকাশ্যেই বলেছেন, ‘মানুষ কষ্ট করছে’। এই কষ্ট লাঘবে তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কষ্ট সাময়িক, এই দুর্দিন চলে যাবে। সুদিন আবার আসবে।তিনি আরও বলেন, ১৩ বছর ধরে কত শুনলাম, রোজার ঈদের পরে, কোরবানির ঈদের পরে, দেখতে দেখতে ১৩ বছর। দিন যায়, সপ্তাহ যায়, মাস যায়, পদ্মা-মেঘনা নদীতে কত পানি গড়িয়ে যায়। কিন্তু, ফখরুল সাহেবদের আকাঙ্ক্ষিত আন্দোলনের সোনার হরিণ দেখা যায় না। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন দিল্লি দূর অস্ত।খালেদা জিয়ার জন্মদিন কয়টা?- এমন প্রশ্ন তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই দিন আগে দেখলাম, বেগম জিয়ার জন্ম দিবসে এবার কেক কাটা হচ্ছে না। ১৫ তারিখে কেক কাটা হয়নি। কিন্তু ১৬ তারিখে দোয়া মাহফিল করা হয়েছে। বেগম জিয়া অসুস্থ, দোয়া মাহফিলে আমাদের আপত্তি থাকার কথা না। কিন্তু দোয়া মাহফিলের উপলক্ষ্য কী? উপলক্ষ্য খালেদা জিয়ার জন্মদিন। এখনো ভুয়া জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। একটা মানুষের কয়টা জন্মদিন? এ পর্যন্ত সর্বশেষ করোনা টেস্টে ষষ্ঠ জন্ম দিবস পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে এ তামাশার নাটক আর কতদিন করবেন তিনি।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে তিনি বলেন, কষ্ট প্রকাশ করে কী করবেন? শেখ হাসিনাকে আল্লাহ ক্ষমতা দিয়েছেন। তিনি ভাগ্যবতী। আল্লাহ এই দেশে একজনকে সৃষ্টি করেছেন স্বাধীনতার জন্য, আরেকজনকে সৃষ্টি করেছেন মুক্তির জন্য। শোককে শক্তিতে পরিণত করে মুক্তির লড়াইয়ের আপসহীন কাণ্ডারি শেখ হাসিনা।বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান আলোচক ছিলেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ আগস্ট ২০২২
সরকার পতনে বিএনপির আন্দোলন রাজপথে মোকাবিলার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নেতারা বলছে, হুমকি-ধামকি এবং বিদেশিদের কাছে নালিশ দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে নামাতে পারবে না বিএনপি। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে।বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন গেটে ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা এবং বিএনপি-জামায়াত জোট গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে দাবি করে তার প্রতিবাদে আয়োজিত মিছিল বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন দলটির নেতারা।বিএনপিকে রুখতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, "আজকে বোমাবাজির দিন শেষ, গ্রেনেডবাজির দিন শেষ। আগুন সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় আসার দিন শেষ। আপনারা অনেক দেশ প্রেমিক বীরের রক্তে হাত রঞ্জিত করেছেন।"বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের ঠিকানা পৃষ্ঠপোষক বিএনপি উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এদের রুখতে হবে। মোকাবিলা করতে হবে এবং আগামী নির্বাচনে প্রমাণ করে দিতে হবে, এই দেশ বঙ্গবন্ধুর দেশ। এই দেশ মুক্তিযোদ্ধার দেশ। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।"আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, "এই সরকারের অধীনে বিএনপিকে নির্বাচন আসতে হবে। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৫ সালে যেভাবে লেজগুটিয়ে খালেদা জিয়া বাড়ি ফিরে গিয়েছিল, আজকের সমাবেশ প্রমাণ করে আরেকবার বিএনপিকে আমরা ঘরে তুলে দেব। দেশের জনগণ আবারও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে।"জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, "বিএনপির কিচ্ছু করার ক্ষমতা নেই। আওয়ামী লীগকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা রাজপথের দল।"তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কখনো আসবে না, আসতে দেওয়া হবে না জানিয়ে আবদুর রহমান বলেন, "ওরা বলে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে আসবে না। আগামী নির্বাচন এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে। সেই সরকারের প্রধান হবেন শেখ হাসিনা। নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলে যারা দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করতে চায় তাদের মোকাবিলায় নেতা কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।"বিএনপিকে রাজপথে মোকাবিলার করার নেতা কর্মীদের শপথ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, "আগস্ট মাসের পরে সেপ্টেম্বরে মাস থেকে সারা বাংলাদেশ থেকে জামায়াত, শিবির ও বিএনপিকে বঙ্গোপসাগরে ফেলব।"বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে হাওয়া ভবন বানিয়ে দেশের সম্পদ লুট করেছে উল্লেখ করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, "আজকে আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতা-কর্মী মাঠে নেমেছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই, যেকোনো মূল্য সকল চক্রান্ত প্রতিরোধ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে উন্নয়ন অগ্রগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।"আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা মাঠে নেমেছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, "পেট্রল বোমা বাহিনীকে (বিএনপি) আমরা জনগণকে সঙ্গে এ রাজপথ থেকে তাড়িয়ে দেব। । আমাদের নেতা কর্মীরা বেঁচে থাকতে জনগণকে আবারও পেট্রল বোমা কেউ মারতে পারবে না।"বিএনপির বর্ষাকালের প্রথম বৃষ্টির পানির পুঁটি ও মলা মাছের মতো লাফাচ্ছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, "তাদের হাঁকডাক ওই বর্ষাকালের ব্যাঙের ডাকের মত। তাদের জনগণের সহায় সম্পত্তি নষ্ট করার সুযোগ দেব না।"ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য শেষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণ করে দলটির নেতা কর্মীরা। মিছিলটি মৎস্য ভবন, প্রেসক্লাব, পল্টন, গুলিস্তান হয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ আগস্ট ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে দেশ অনেক আগেই সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হতো। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, যারা এই বাংলাদেশের শত্রু, তারা রাতের অন্ধকারে আমাদের স্বপ্নদ্রষ্টাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।সালমান এফ রহমান বলেন, জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার পরও শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তেই জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশে পদার্পণ করেছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র এখনও চলছে বলে মন্তব্য করে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে দলের নেতা কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা-১ (নবাবগঞ্জ-দোহার) আসনের সংসদ সদস্য নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলায় খাবার বিতরণ ও বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতি শ্রদ্ধা জানান।সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমি প্রায়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যাই। যখনই যাই, তখনই দেখি প্রধানমন্ত্রী কোনো না কোনো কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। একদিন প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেন, আমি যখনই সরকারিভাবে কোনো নতুন কাজের উদ্যোগ নিই, তখনই দেখি আমার আব্বা কাজটি আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছেন, যা সরকারিভাবে রেকর্ড রয়েছে। আমি শুধু আব্বার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি।'সালমান এফ রহমান মনে করেন, স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু যে পরিকল্পনা করেছিলেন সে অনুযায়ী দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।এছাড়া শোক দিবস উপলক্ষে নবাবগঞ্জে তার নিজস্ব তহবিল থেকে ৬২ জনকে ১০ হাজার ও যুব উন্নয়নের পক্ষ থেকে ২৬ জনকে কর্মসংস্থানের ৪০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন সালমান এফ রহমান।পরে সালমান এফ রহমান এমপি দোহার উপজেলা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাঝে খাবার বিতরণ করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ আগস্ট ২০২২
অনুপ্রবেশকারীরা সত্যিকারের আওয়ামী পরিবারের লোকদের ‘কোনঠাসা’ করে রেখেছে বলে জনিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডরীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।তিনি বলেছেন, “এই অবস্থা চলতে দেয়া যাবে না।”রবিবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মিলনায়তনে আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ উপ কমিটির আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।লিটন বলেন, “আমার সামনে যারা আছেন তরুণ প্রজন্ম, অনেক কাজ সামনে। পনের বছর সরকার একটানা ক্ষমতায়, দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আমার আগেও আমাদের প্রয়াত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আমার শ্রদ্ধাভাজন বড় ভাই তিনি তখনই বলেছেন দলে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। সত্যই অনেক জায়গায় ঢুকেছে। তাদেরকে আমরাই ঢুকিয়েছি, পদ পদবি দিয়েছি, আসন দিয়েছি।“তারা আজকে ঐখানে যারা অরজিনাল আওয়ামী লীগার, বংশগত ভাবে আওয়ামী লীগ করে তাদেরকে একদম গোল করে ঘিরে রেখেছে। তাদের আলাদা করে রেখেছে, যে তারা আওয়ামী লীগ নয়। যারা অনুপ্রবেশ করেছে তারাই বলছে আমরা আওয়ামী লীগার, আর যারা আসল আওয়ামী লীগের তাদের বাইরে রেখেছে। এই অবস্থা চলতে দেয়া যাবে না। আমি জানি আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সমস্ত খবর রাখেন তিনিও এবার এই সমস্ত বিষয়ে অনেক বেশি নজরদারি করছেন এবং করবেন।”মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের শক্তিই লড়াই সংগ্রামে আগে আসে জানিয়ে লিটন বলেন, “সামনের লড়াইলে লড়তে হলে আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং সন্তান আমরাই রাজপথে লাঠি নিয়ে যাবে। ঐ হাইব্রিডরা যাবে না। আমাদেরকেই যেতে হবে। এই দেশের স্বাধীনতা আমাদের বাবার, আমাদের জাতির পিতা, আমাদের প্রত্যেকের বাবা চাচা, তারা নিয়ে এসেছেন।“আমাদের দরদ বেশি আমরা এই বাংলাদেশকে ওউন করি। এই বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে এতে আমরা খুশি হচ্ছি। আমরা দেখতে চাই বাংলাদেশ আরও উন্নত হবে। কোন চোরার দলকে ক্ষমতায় গিয়ে বোমাবাজি আতঙ্ক লুটপাট, হাওয়া ভবন বানানো, এটা করতে দিতে চাই না। আপনারা তরুন প্রজন্ম সেই ভাবে প্রস্তুতি রাখবেন।”এ সময় বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল বলছেন, সুনামিতে আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাবে। কে পালায় সেটা দেখা যাবে।“তবে আপনাদের নেত্রী আজ থেকে ছয়-সাত বছর আগে, ঐ যে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছিলেন, সেই আন্দোলন কিন্তু বাতিল করেন নি বা স্থগিত করেন নি। সেই কর্মসূচি চলছে, এর মধ্য দিয়ে সরকার গঠন হলো, নির্বাচন হলো, উন্নয়ন হচ্ছে, পদ্মা সেতু হলো, কর্ণফুলী টানেল হচ্ছে, সেই রকম আন্দোলন যদি করেন করতে পারেন। কোন সমস্যা নেই। আমরা এটা মোকাবেলার জন্য তৈরি আছি।”আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বন ও পরিবেশ উপ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দ আবদুল আওয়াল শামীম, রবিন্দ্র ভারতী বিশ্বদ্যিালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য শ্রী পবিত্র সরকার, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য নাসরীন আহমেদ, কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, সাংবাদিক আবেদ খান।আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক এবং বন ও পরিবেশ উপ কমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম বলেছেন বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে 'রাজনৈতিক হত্যা' শুরু করেছে। তিনি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার পরিবারসহ নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশে রাজনৈতিক হত্যা শুরু হয়।তিনি বলেন, জিয়া'র পরিবার খুনি পরিবার। তারই ধারাবাহিকতায় তার স্ত্রী এবং তার ছেলে ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেলেও, প্রাণ দিতে হয়েছিল আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকে এবং আহত হয়েছিলেন শত শত নেতাকর্মী।রবিবার (১৪ আগস্ট) আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত '১৫-ই আগস্ট জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ষড়যন্ত্র ও সহায়তাকারী জিয়াসহ অন্যান্যদের খুঁজতে তদন্ত কমিশন চাই' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।আওয়ামী লীগের এই নেতা অভিযোগ করেন ১৫-ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের খুনের পেছনে ছিল জিয়াউর রহমান এবং সামনে ছিল খন্দকার মোশতাক।বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তৎকালীন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যার পরে কোথায় ছিল আপনাদের মানবাধিকার বিষয়ক স্টেটমেন্ট। কোন আইনে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল?বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি সর্বপ্রথম এদেশে নির্বাচনী ব্যবস্থা কে ধ্বংস করেছিল '১৫-ই ফেব্রুয়ারি' নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। যে নির্বাচনের এক কোটি ২৭ লাখ ভূয়া ভোটারের তালিকা করা হয়েছিল সুতরাং সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বিএনপি'র মুখে মানায় না।তিনি বলেন বিএনপি কোনোভাবেই এ দেশকে ভালবাসতে পারে না কারণ ওরা মনেপ্রাণে পাকিস্তানকে ভালোবাসে, ওরা এদেশের স্বাধীনতাকে আজও মেনে মেনে নিতে পারেনি।১৫-ই আগস্ট জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত কমিশন গঠন করার দাবিও জানান তিনি। সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নামক দলটি আবারো ষড়যন্ত্র শুরু করেছে, সুতরাং তাদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ আগস্ট ২০২২
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন,আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাকাল থেকে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামরিকতন্ত্রকে পদাঘাত করার জন্য এই আওয়ামী লীগ লড়াই করেছে, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।তিনি বলেন, আমাদেরকে রাজপথের ভয় দেখান, রাজপথের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। নৈরাজ্যের পথ ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনের পথে হাঁটুন, নির্বাচনকে মোকাবিলা করুন। আগস্ট মাসটা যাইতে দেন তারপর টের পাবেন কত ধানে কত চাল।শনিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে ‘‘ইতিহাস কথা কয়’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।সরকার পতনে বিএনপি নেতাদের হুমকি-ধমকির প্রসঙ্গে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, মির্জা ফখরুল সাহেব নৈরাজ্যের পথ ছেড়ে দেন। নৈরাজ্য সৃষ্টি করে শব্দবোমা ব্যবহার করে হুমকি-ধমকি দিয়ে এই আওয়ামী লীগকে ভয় দেখানো যাবে না। আওয়ামী লীগ আপনাদের প্রতিরোধ করেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঘাড় ধরে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিয়েছে। আর এই আওয়ামী লীগকে ভয় দেখান? নৈরাজ্যের পথ ছেড়ে দেন, নির্বাচনের পথে হাঁটুন। নির্বাচনকে মোকাবিলা করেন।নানক বলেন, কাজেই মির্জা ফখরুল সাহেব রাজপথের ভয় দেখান, রাজপথের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আগস্ট মাসটা যাইতে দেন তারপর টের পাবেন কত ধানে কত চাল।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের বিচার করেছেন, আর যারা এই হত্যাকাণ্ডে এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কলকাঠি নেড়েছে, প্লট তৈরি করেছে, পূর্বের পরিস্থিতি তৈরি করেছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করে বাংলার মানুষের কাছে তাদেরকে চিহ্নিত করা এখন আমাদের নৈতিক এবং পবিত্র দায়িত্ব।আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, এই বাংলাদেশে আবার ওই হায়েনারা যে হায়েনারা ২১ আগস্ট, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে ক্ষান্ত হয়নি। তারা আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সেই হায়েনাদের আর বাংলাদেশের মানুষ চায় না। তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ আগস্ট ২০২২
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রত্যেককে কথা-বার্তা, আচার-আচরণে দায়িত্বশীল হতে হবে। এ সময় দায়িত্বজ্ঞানহীন কোনো কথা বলা সমীচীন নয়। ক্ষমতার দাপট দেখানো সমীচীন নয়। ঠান্ডা মাথায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।আজ শনিবার দুপুরে মহিলা শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনে বিশ্বাসঘাতক যে রাজনৈতিক শক্তি, ওই শক্তির সবার নাম আমরা জানি না। সবার ভূমিকা এখনো পরিষ্কার নয়। জুলিয়ার সিজার থেকে মহাত্মা গান্ধী; কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে অবলা নারীকে হত্যা করা হয়নি। অবুঝ শিশুকে হত্যা করা হয়নি। অন্তঃস্বত্বা নারীকে হত্যা করা হয়নি। পঁচাত্তরে অবলা নারী, অবুঝ শিশু, অন্তঃস্বত্বা নারী রেহাই পায়নি।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু খুনীরা থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে। কে পাঠিয়েছে? জেনারেল জিয়াউর রহমান। থাইল্যান্ড থেকে আরও কয়েকটি দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে চাকরি দেন জিয়াউর রহমান। পুনর্বাসন করেন, পুরস্কৃত করেন। সবচেয়ে জঘন্য কাজটি জিয়াউর রহমান করেন।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি আমাদের শত্রু ভাবে। অথচ ইতিহাস বলে আমাদের সঙ্গে শত্রুতা তারাই করেছে বারেবারে। আমরা শত্রুতা করিনি। ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীকে টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা করার পরও তিনি কোকোর মৃত্যুর পর বেগম জিয়ার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন শোকাহত মাকে সান্ত্বনা দিতে। ঘরের দরজা বন্ধ, বাইরের গেট বন্ধ শেখ হাসিনার মুখের ওপর। প্রতিপক্ষের মতো আচরণ আমরা করতে চেয়েছি, গণভবনে সংলাপ করেছি কিন্তু তারা আমাদের শত্রুই ভেবে এসেছে, শত্রুতাই করছে।সারা বিশ্বের নেতিবাচক প্রভাব আজ বাংলাদেশ মোকাবিলা করছে। আমরা জানি অনেক মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কস্ট অব লিভিং যেভাবে বেড়ে গেছে, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে এটা ঠিক। গরিব মানুষ, প্রান্তিক মানুষ। কিন্তু আমাদের সামনে কোনো উপায় ছিল না, বলেন তিনি।পশ্চিমা দেশগুলোর পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, কেউই তো আজকে আরামে নেই। বাংলাদেশের জনগণ যাদের কষ্ট হচ্ছে, আপনাদের শুধু এটুকু বলবো, চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। শেখ হাসিনা; আজকে তার ঘুম নেই। আন্তরিকভাবে আপনাদের এই সংকট উত্তরণের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। করোনাকালেও তিনি রাতে ঘুমাতে পারেননি। এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কীভাবে মানুষকে একটু আরাম দেওয়া যায়, স্বস্তি দেওয়া যায় সেটাই আমাদের নেত্রী করে যাচ্ছেন। তিনি মানুষকে স্বস্তি দিতে চান।তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর বহু দেশ আজকে সমস্যায় জর্জরিত। এটাকে কেন্দ্র করে ফ্রান্স, আমেরিকার বিরোধী দল সরকার উৎখাতে নামেনি। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপানের বিরোধী দল সরকার উৎখাতে প্রোটেস্ট করেনি। আমাদের প্রশ্ন সেখানে, সহযোগিতা চেয়েছিলাম আমরা। এই সংকটে সারা দুনিয়া সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আর বাংলাদেশে তারা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। নিজেরা ইচ্ছা মতো মিছিল করছে পল্টন-প্রেসক্লাবের সামনে। এতদিন বলতো, আওয়ামী লীগ আমাদের মিছিল-মিটিং করতে দেয় না। এখন যখন নেত্রী বলেছেন, ওরা করুক। যখন মিছিল মিটিং করতে পারছে তখন তাদের সাহসের ডানা বিস্তারিত হয়ে গেছে। এখন তারা বলে বিদেশি শক্তির চাপে বাধা দিচ্ছে না। তাহলে এখন স্বীকার করলেন পুলিশ বাধা দিচ্ছে না।বিদেশি শক্তির চাপে মাথানত করার মতো লোক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নয়। মনে রাখবেন কোনো শক্তির কাছে মাথানত করি না আমরা। শেখ হাসিনা আপন শক্তিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যান। আমাদের সমস্যা, আমাদের সংকট, আমাদেরকেই সমাধান করতে হবে, বলেন ওবায়দুল কাদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ আগস্ট ২০২২
বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।শুক্রবার সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পের 'ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ক' মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, 'একটি পক্ষ থেকে এমন প্যানিক ছড়ানো হচ্ছে যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই।'সুইজারল্যান্ডের কাছে অর্থ পাচারকারীদের তথ্য আবারও চাওয়া হবে কি না, এর জবাবে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়, তাদের কাছে তথ্য চাওয়া হলে তারা তথ্য দিতে চায় না। এটা তাদের মজ্জাগত সমস্যা।''অতীতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৬৭ জনের নামোল্লেখ করে সুইস ব্যাংকে তাদের অর্থের তথ্য চাওয়া হয়েছিল, সেসময় তারা শুধু একজনের তথ্য দিয়েছিল। আরও কয়েকবার তথ্য চাওয়া হলেও রাষ্ট্রদূত বলছেন তথ্য চাওয়া হয়নি।'তিনি সুইজারল্যান্ডকে বাংলাদেশের বন্ধু দেশ উল্লেখ করে তথ্যের বিভ্রাট না করার আহ্বান জানান।এর আগে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী।উপস্থিক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে রিজিওনাল হাব হিসেবে ব্যবহার করতে এ বিমানবন্দরে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। রানওয়ে বড় করাসহ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নতুন টার্মিনাল ভবনের কাজ চলছে। আগামীতে সিলেট থেকে নিউইয়র্কে সরাসরি ফ্লাইট যাবে।'
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ আগস্ট ২০২২
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ইভিএম হচ্ছে ভোট জালিয়াতির মেশিন, নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনেই ইভিএম চেয়েছে। এই মেশিন তারা চেতনায় ধারণ করে। কারণ ইভিএম মেশিন ছাড়া তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো উপায় নেই। ভোট দেবেন ধানের শীষে, ভোট চলে যাবে নৌকায়। এ কারণেই তারা ইভিমএম মেশিন চায়। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে তারা আবারও নতুন করে পাঁয়তারা করছে।নির্বাচন সামনে রেখে সরকার বিদেশি চাপে আছে। তাই বেশ কিছুদিন ধরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে কোনো ঝামেলা করছে না।আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দেশের চাপ, বিভিন্ন চাপ যে তোমরা বিরোধী দলকে সভা সমিতি করতে দাও না। এখন তারা দেখাচ্ছে যে বিরোধী দলকে সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছি। গতকালকেও আমরা সমাবেশ করেছি, খুব বেশি ঝামেলা করেনি। আজকেও চারদিকে পুলিশ আছে, কিন্তু ঝামেলা করছে না। কারণ, তারা দেখাচ্ছে, আমরা তো গণতান্ত্রিক দল, আমরা কোনো ঝামেলা করি না। এগুলো প্রতারণা। এই প্রতারণা তাদের চরিত্রের সঙ্গে জড়িয়ে।’ভোলায় সম্প্রতি বিনা কারণে দুজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল। গত ১৫ বছরে সরকার বিএনপির ৬০০–এর বেশি নেতা–কর্মীকে গুম করেছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ব্যাংকগুলো খালি হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে সরকার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। কিন্তু এখন রিজার্ভ কমছে। সরকার ঋণ চেয়ে বেড়াচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বে জ্বালানির দাম কম, কিন্তু দেশে দাম বাড়ছে। সরকার তাহলে সমন্বয় কীভাবে করছে, সে প্রশ্ন তোলেন।’মির্জা ফখরুল দেশকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তিনি আন্দোলন করতে আহ্বান জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগ কর্মীরা মাঠে নামলে বিএনপি অলিগলিও খুঁজে পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগকে অচিরেই রাজপথে দেখা যাবে এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, বিএনপির হাঁকডাক লোক দেখানো। কর্মীদের চাঙ্গা রাখার অপকৌশল মাত্র। শুক্রবার (১২ আগস্ট) নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পরিকল্পিতভাবে অপরাজনীতির মাধ্যমে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। আওয়ামী লীগ কর্মীরা মাঠে নামলে রাজপথ নয়, বিএনপি অলিগলিও খুঁজে পাবে না।বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার সুযোগ নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়াই বিএনপির জন্য মঙ্গল। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া- এসব দিবাস্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই। বিএনপি নেতারা কর্মীদের রাজপথ দখলের নির্দেশ দিয়েছে- এ প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজপথ কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়, রাজপথ জনগণের সম্পদ। কাজেই অতীতের মতো আবারও যদি রাজপথ দখলের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিএনপি চায় সরকারে গিয়ে আবার লুটপাটের অবাধ সুযোগ সৃষ্টি করতে। আবার হাওয়া ভবন তৈরি করে দেশের অমিত সম্ভাবনার পথ রুদ্ধ করে অন্ধকার পথে হাঁটতে। জনগণ তাদের সে সুযোগ আর কখনো দেবে না। এদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যর্থ বিরোধীদল হিসেবে বিএনপি নিজেরাই চাচ্ছে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে, দেশকে সংকটে ফেলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে।আওয়ামী লীগের এ শীর্ষ নেতা বলেন, জনগণের প্রতি আস্থাহীন এক রাজনৈতিক দল বিএনপি। তাদের রাজনৈতিক মেরুদণ্ড অত্যন্ত ভঙ্গুর। বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায় কিন্তু নির্বাচনে যেতে ভয় পায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ আগস্ট ২০২২
পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন,বঙ্গবন্ধুর কাছে মানুষের মানুষের অধিকার রক্ষায় দেশ স্বাধীন করাই ছিলো লক্ষ্য-উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। আসলে তিনি স্বাধীণতা চেয়েছিলেন। অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সংগ্রাম করেছিলেন।’ বঙ্গবন্ধু হচ্ছে পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র নেতা, যিনি প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি না হয়েও যা বলতেন তৎকালীণ পূর্ব বাংলার সাড়ে ৭ কোটি মানুষ তাই করতেন। একটি রাজনৈতিক দলকে তিলে তিলে গড়ে তুলে সেই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে একটি দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। সেই দেশের নাম হচ্ছে বাংলাদেশ।শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘নজরুল হামিদ’ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।১৫ আগস্ট ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি।এনামুল হক শামীম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে অনেকেই মহাত্মাগান্ধী, কায়েদ-ই-আজমসহ অনেক বিশ্ব নেতার সঙ্গে তুলনা করেন। মহাত্মগান্ধী কিন্তু কংগ্রেস সৃষ্টি করেন নাই। কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। কায়েদ-ই-আজমও মুসলিম লীগ সৃষ্টি করেন নাই। মুসলীম লীগে যোগ দিয়েছিলেন। আর বঙ্গবন্ধু হচ্ছে পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল একজন নেতা, যিনি একটি রাজনৈতিক দল গড়ে তুলে সেই দলের নেতৃত্বে একটি দেশ স্বাধীন করেছিলেন।’“প্রধানমন্ত্রী তিনি হতে পারতেনই। মন্ত্রীত্বকে তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার জন্য। কারন তার লক্ষ্য নির্ধারিত ছিলো। তার লক্ষ্য ছিলো আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে তিলে তিলে গড়ে তুলে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে এবং পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের বিজয়ী হতে হবে।”বঙ্গবন্ধু অগ্নিঝরা সেই ৭ মার্চের ভাষনের আবেদন তুলে ধরে এনামুল হক শামীম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষনের আব্রহাম লিংকনের গেটিসবার্গের ভাষনের সঙ্গে তুলনা করেন, আরো অনেক ভাষনের তুলনা করেন। আসলে এই ভাষনের সঙ্গে অন্য কোনো ভাষনের তুলনা হয় না।’“একটি জাতিকে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে মুক্ত করার জন্য স্বাধীন করার জন্য যা কিছু করার দরকার তিনি তা করেছিলেন। চিন্তা করেন একটি বাক্য যদি ভুল হতো সেখানে অনেক কিছুই হয়ে যেতে পারতো।”তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের নামও আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন। তিনি ছাত্রলীগকে দিয়ে আগেই পতাকা উড়িয়েছিলেন সবুজের বুকে লাল। রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ জাতীয় সংগীত করার বিষয়ে আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন।এ সময় দেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের অবদান স্বীকার করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জেলে, সেই সংকটকালে সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু সঙ্গে কারাগারে দেখা করে তার বার্তা আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে পৌঁছে দিতেন শেখ ফজিলাতুন্নেসা।এ সময় মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য ভারতের তৎকালীণ প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্ধিরা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।এনামুল হক শামীম বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলো..খুনি জিয়া, মোশতাকরা ভেবেছিলো বঙ্গবন্ধুতে হত্যা করে তার নাম মুছে ফেলা যাবে। পোস্টারের বঙ্গবন্ধুকে ছিড়ে পেলা যায়, দেয়ালের বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায়; কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ের শেখ মুজিবুর রহমানকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। কারন বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ এবং স্বাধীনতা এক ও অভিন্ন।সভায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের আংশিক বিচার হয়েছে। যারা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে তাদের দেশে এনে বিচার শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে ওই হত্যাকান্ডে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যে ষড়যন্ত্র ছিলো, তা উন্মেচন করতে তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। তা হলে ইতিহাসের এই অপূর্ন অধ্যায়ের জন্য রাজনীতিবিদদের ভবিষ্যতের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি এম শফিকুল করিম বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীন করার লক্ষ্য ধারন করেছিলেন এবং একটি স্বাধীন জাতি আমাদের উপহার দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত নিজের রক্ত দিয়েছেন এই দেশের জন্য। বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু থেকে এবং বঙ্গবন্ধু থেকে বাংলাদেশকে কখনো আলাদা করা যাবে না।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পেরেছে, কিন্তু দেশের মানুষের হৃদয় থেকে তার নাম মুছে ফেলতে পারে নি। এটা কখনো সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিলো, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আজ বিচার হয়েছে। এর মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মুখচ্ছবি, তিনি চিরঞ্জিব। যারা বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে, তারাই ইতিহাস থেকে মুছে গেছে। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব। এ সময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল কাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক তাপসী রাবেয়া আঁখি, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কামাল মোশারেফ, ক্রীড়া সম্পাদক মাকসুদা লিসা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নাদিয়া শারমীন, আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান, কল্যান সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, কার্যনির্বাহী সদস্য হাসান জাবেদ, এসকে রেজা পারভেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন 'বিএনপিরই রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে'বিএনপি নেতারা বলছেন আওয়ামী লীগ সরকারের নাকি বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে! গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত একটি সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের বক্তব্য শুধু সংবিধান পরিপন্থিই নয়, গণতন্ত্রের নীতি বহির্ভূতও বটে। যা গণতন্ত্রের প্রতি হুমকিস্বরূপ। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস হলো এদেশের জনগণ এবং ক্ষমতা দেওয়ার মালিক মহান আল্লাহ্। বিএনপিরই রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার সময় এসেছেবুধবার (১০ আগস্ট) দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।বিএনপি নেতাদের বক্তব্য উস্কানিমূলক ও মিথ্যা অপপ্রচার দাবি করে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় বিবৃতিতে। বিবৃতিতে আরো বলেন' নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, বিএনপির মতো জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দলের মুখের কথায় জনগণ কখনো আস্থা রাখেনি। বিগত ১৪ বছর লাগাতারভাবে বিএনপি নেতারা এ ধরনের কথা এবং আন্দোলনের হাঁকডাক দিয়েই চলেছে। কিন্তু এদেশের জনগণ বিএনপির ডাকে সাড়া দেয়নি। কারণ জনগণ ভুলে যায়নি, বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দেশবাসীকে কী ধরনের দুঃশাসন ও অপশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট হতে হয়েছিল।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ব্যর্থতা বাংলাদেশকে চরম অনিশ্চয়তা ও দুরবস্থার মুখে ঢেলে দিয়েছিল। তারা সরকার পরিচালনায় যেমন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, বিরোধী দল হিসেবেও চরম দায়িত্বহীনতার নজির স্থাপন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের নয় বরং নেতিবাচক রাজনীতি ও নির্বাচন বিমুখতার জন্য বিএনপির রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে।তিনি বলেন, প্রতিদিনই বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনগুলো মিটিং-মিছিল সভা-সমাবেশ করছে। অথচ তারা অভিযোগ করছে তাদের সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না; রাজনৈতিক অধিকার থেকে নাকি বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে নিজেদের ব্যর্থতা ও নানা অপকর্মের দায় সরকারের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করা বিএনপির চিরাচরিত অভ্যাস। মিথ্যার মোড়কে লুকায়িত তাদের অগণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বরূপ জনগণের কাছে এখন স্পষ্ট। তাদের শাসন আমলেই তো দেশ মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছিল। ওবায়দুল কাদের বলেন, ধর্মীয় উগ্রবাদ, উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছিল। সার ও বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছিল। সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভয়াবহ ও নিকৃষ্টতম নজির স্থাপন করেছিল। আবারও তারা দেশকে সে অরাজকতায় ডুবিয়ে দিতে চায়। কিন্তু জনগণ বর্ণচোরা বিএনপিকে চেনে। সুতরাং সে সুযোগ জনগণ আর তাদের দেবে না।তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। কারণ গত চার দশক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাঙালি জাতি সব সংকট ও চ্যালেঞ্জ জয় করতে সক্ষম হয়েছে এবং এদেশের জনগণের সব স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। এ দেশের যা কিছু মহৎ অর্জন এবং সংকট জয়ের সাফল্য তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা ভরসা ও বিশ্বাস।আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ অভিঘাতের মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সংকট দেখা দিয়েছে এবং আমাদের জনজীবনেও তার অনাকাঙ্ক্ষিত ঢেউ লেগেছে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সবাই ধৈর্য ও দায়িত্বশীল আচরণ করলে অতীতের মতো সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভিশনারি ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বৈশ্বিক এই সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ্। জয় আমাদের হবেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ আগস্ট ২০২২