গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগে নজরুল ইসলাম (৫২) ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ্দিনের (৫৫) বিরুদ্ধে আদালতে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত নজরুল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত আমির আলীর ছেলে ও মফিজ একই ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মৃত উম্বরের ছেলে।গত বুধবার (৩০ নভেম্বর) নাটোরের গুরুদাসপুর আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী জয়নব বেগম (৩২) ও ময়না খাতুন (৪১)। জয়নব নাজিরপুর বৃন্দাবনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের স্ত্রী ও ময়না লক্ষীপুর গ্রামের আলাল বেপারির মেয়ে।মামলার আবেদনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, গোপিনাথপুর গ্রামের মধ্যমপাড়ার পরিত্যাক্ত নদীর পাড়ে আশ্রয়ন প্রকল্প করা হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে সেখানে জমিসহ ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছে থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেয় নজরুল ও মফিজ। তবে এখনো পর্যন্ত তারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ পায়নি। তাই তাদের টাকা ফেরত চাইলে অভিযুক্তরা টাকার বিষয় অস্বীকার করে বাকবিতন্ডা করে ও ভয়ভীতি দেখায়।ভুক্তভোগীরা বলেন, নজরুল ও মফিজ প্রভাবশালী এবং বিত্তশালি। আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে রয়েছে তাদের সংশ্লিষ্টতা। টাকা ছাড়া ঘর পাওয়া যাবেনা বলে টাকা নিয়েছে। অনেক পরিশ্রম ও কষ্টের টাকা। তবে ঘর পায়নি তারা। তাদের পিছনে অনেক ঘুরেছি কিন্ত টাকাও ফেরত দেয়নি ঘরও দেয়নি। তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। দ্রতই সঠিক বিচার দাবী করেছেন তারা।এবিষয়ে অভিযুক্তরা বলেন, তাদের কাছে থেকে কোনো টাকা নেয়নি তারা। ঘর পায়নি বলে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। মামলার জবাব আমরা আদালতেই দিব।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে অনেক মানুষের কাছে থেকেই টাকা নিয়েছেন নজরুল ও মফিজ। ঘর না পেয়ে অনেকেই আদালতে মামলা করছেন। আদালতে মামলা সত্য প্রমানিত হলে বাদিকে টাকা দিয়ে মিমাংসা করে মামলা তুলে নেওয়াচ্ছেন অভিযুক্তরা।উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায় বলেন, এবিষয়ে আমি অবগত নই। এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন হতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ ডিসেম্বর ২০২২
বগুড়ার গাবতলীতে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিন ফসলে কৃষি জমির মাটি কেটে ইটভাটা সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে একটি চক্র। গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে কৃষি জমির মাটি কর্তন করা হচ্ছে। এতে করে জমির টপ সয়েল চলে যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়, জমি হারাচ্ছে উর্বরতা। দিনরাত মাটি বহনকারী ট্রাক ও ভেকু চলাচলের ফলে অন্যান্য যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে ওই এলাকার রাস্তাঘাট। জেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, 'উপরিভাগের মাটি বিক্রি করা কৃষির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। এতে কমে যাচ্ছে আবাদি জমির উৎপাদন। ফলে অধিক চাষাবাদেও ফলন কম হচ্ছে। একবার টপ সয়েল কেটে নিলে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে কমপক্ষে এক যুগ সময় লাগে। অথচ থামছে না মাটি কাটার মচ্ছব'।সরেজমিনে মহিষাবান ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে ভূমি দস্যুদের বর্বরতা। ওই এলাকার ভূমি দস্যুরা এক একটা বড়সড় সিন্ডিকেট। মহিষাবান ইউনিয়নের বকরি ভিটা গ্রামের ইউ পি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ওরফে (চিকে রাজ্জাক) দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ মাটির ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। সে এলাকার মানুষকে জিম্মি করে ভয় ভীতি দেখে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। তার ভয়ে এলাকার কেউ প্রতিবাদ ও মুখ খোলার সাহস করে না।নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে ওই এলাকার প্রায় অর্ধশত কৃষক বলেন, আমরা যেসব জমিতে ফসল চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করি সেই সব জমির পাশে জোরপূর্বক এক্সেভেটর (ভিকু) মেশিন দিয়ে জমির মাটি কাটার ফলে হুমকির মুখে পড়ছে আমাদের আবাদি জমিগুলো। আমরা বাধা দিতে গেলে সে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায়। আমরা অসহায় মানুষ তাই জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসে অভিযোগ দেওয়ার সাহস পাচ্ছি না নাম প্রকাশের ভয়ে। কেননা এই ব্যবসায়ীরা এতটাই ক্ষমতাশালী যে উপজেলার প্রতিটা দপ্তরে এদের আসা-যাওয়া আছে। এরা পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অসাধু কর্মকর্তার সাথে সম্পর্ক রেখে নিজেদের ফায়দা লুটে। দ্রুত মাটি কর্তন বন্ধ করে কৃষকদের ফসল উৎপাদনে সহয়াতা করতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকার জনসাধারণ।উপজেলার মাটি সিন্ডিকেটের আরেক হোতা মহিষাবান ইউনিয়নের মড়িয়া ছয়মাইল এলাকার হাম্বি। হাম্বি মাটির সিন্ডিকেটের সদস্য ছাড়াও এলাকাতে তাকে সবাই বড় জুয়াড়ী হিসেবে চিনে। নিজের এলাকা ছাড়াও উপজেলার বাইরের অন্যান্য এলাকাতে সে জুয়া খেলা পরিচালনা করে থাকে। হাম্বির ভাগিনা মাসুদ সে সরাসরি মাটি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। সে মরিয়া ছয় মাইল এলাকাতে একক অধিপত্য স্থাপন করেছে। সোর্সের সূত্র ধরে মাসুদের সাথে কথা হলে সে জানান, আমি থানা পুলিশ ম্যানেজ করে এবং সব ধরনের ঝুরঝাট এড়াতে রাতের আঁধারে মাটি কেটে থাকি। তারপরেও হালকা কিছু ঝুর ঝামেলা থাকলেও সেগুলো আমি মুহূর্তেই ম্যানেজ করে ফেলি।মাটির সিন্ডিকেটের আরো সদস্য হলেন রানীর পাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ, চকমড়িয়া গ্রামের আব্দুল হান্নান, কর্নিপাড়া গ্রামের আবু সাঈদ, মাহিষাবান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহজাহান আলী।মহিষাবান ইউনিয়নের প্রবীণ বয়োজ্যেষ্ঠ মোকসেদুর রহমান জানান, আমরা মূর্খ মানুষ অফিস আদালত সম্পর্কে খুব একটা জ্ঞান না থাকলেও যতটুকু জানি।উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে স্থানীয় প্রশাসন ম্যানেজ করে এই এলাকার মাটি সিন্ডিকেটের সদস্যরা অবৈধ ভাবে তিন ফসলি আবাদি জমি পুকুরের পরিনত করছে। এই অবৈধ পুকুর খননে সহযোগীতা করছেন এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি। এসব পুকুর খননের কারণে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছে এলাকার কৃষি জমি। এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে ১০-১২ ফিট গভীর করে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইট ভাটায়। যার ফলে মাটির সংকটের কারণে চাইলেও কখনোই আর পুকুরকে জমিনের রুপ দেওয়া যাবে না। আমরা জনসাধারণ কঠোরভাবে মাটি কর্তন রোধে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।মাটি কর্তনের বিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান আল-ইমরান জানান, অত্র এলাকার ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ ডিসেম্বর ২০২২
কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের রসুলপুর উ”চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী সন্তোষ কুমারের বিরুদ্ধে ৬০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) অভিযোগের তদন্ত করা হবে।ওই বিদ্যালয়ের ৪০ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর দেয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, প্রধান শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য তার আত্মীয়সহ প্রার্থীদেরকে উৎসাহীত করে নিয়োগ দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে পাঁচজন প্রার্থীর কাছ থেকে মোট ৬০ লাখ টাকা উৎকোচ নিয়েছেন। সেই অনুযায়ী কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে প্রধান শিক্ষকের ভাগিনা সুকান্ত ভৌমিক (সুইট), নৈশ্য প্রহরী পদে হরে মণ্ডলের ছেলে মৃদুল মণ্ডল, নিরাপত্তা কর্মী পদে মৃত শ্রীচরণ বৈরাগীর ছেলে অর্জুন কুমার বৈরাগী, অফিস সহায়ক পদে নকুল কুমার পালের ছেলে বিমান কুমার পাল, আয়া পদে রসুলপুর গ্রামের জাকির হোসেনের স্ত্রী শাহানাজ আক্তার সুমিকে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তু‘তি সম্পন্ন করেছেন।অভিযোগকারীদের মধ্যে শ্রী কালিপ্রসাদ কুমার মন্ডল জানান, তারা অবিলম্বে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে মেধাবী ও যোগ্যদের নিয়োগ দেয়ার দাবী জানান।জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার প্রামাণিক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান অভিযোগ পাবার কথা নিশ্চিত করে জানান, আগামী সোমবার দুপুর ১২ টায় ওই বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মহাদেবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাবীবুর রহমান অভিযোগটির তদন্ত করবেন। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
গত (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আসামি শাকিল ও ফরিদের ভাজা পড়ার দোকানে নাস্তা করতে যায় ফাহিম। উক্ত দোকানের খাবারে নোংরা থাকলে ফাহিম তাদেরকে অভিহিত করলে আসামিরা ফাহিমের সাথে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। তর্ক বিতর্কর এক পর্যায়ে আসামি শাকিল দোকানের ব্যবহৃত ছুরি দিয়ে ফাহিমকে আঘাত করলে ফাহিম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন এবং ফাহিমের বন্ধুরা মিলে ফাহিমকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ফাহিমের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা এভার কেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ফাহিম শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ২৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিল।এই বিষয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডাঃ আব্দুল ওয়াদুদ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ছুরিকাঘাতে ঘটনায় আহত ফাহিমের অবস্থা অবনতি হলে (২৮ নভেম্বর) ঢাকা এভার কেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে আটটায় ফাহিম মৃত্যু বরণ করে।ফাহিমের মৃত্যু ঘটনা নিয়ে বগুড়া জেলা পুলিশের (মিডিয়া ও মুখপাত্র) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শরাফত ইসলাম জানান, ফাহিমের ছুরিকাঘাতের ঘটনা বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ২৪ নভেম্বর আসামি শাকিল ও ফরিদ কে গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়। আসামিরা এখন জেলে হাজতে রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে করা মামলা এখন হত্যা মামলায় পরিবর্তিত হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
সোমবার রাত সোয়া নয়টায় বগুড়া শহরের পুরান বগুড়ায় নর্থ বেঙ্গল পেট্রল পাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পেট্রল পাম্পটি বিস্ফোরিত হয়ে আশেপাশে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করছে পাম্প চত্বরে থাকা কয়েকটি ট্রাকও আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।বিস্তারিত আসছে...
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ নভেম্বর ২০২২
রাজিবুল ইসলাম রক্তিম (বগুড়া প্রতিনিধি): কোন ভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না বগুড়া-ঢাকা এবং বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের অবৈধ লাগামহীনভাবে চলা নিষিদ্ধ সিএনজি চালিত অটোরিকশা। মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা, ভটভটি, ব্যাটারি চালিত অটো-রিক্সাসহ কমগতির যান চলাচল বন্ধে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের জারি করা নিষেধাজ্ঞার পরও বন্ধ হচ্ছে না এসব যান চলাচল। মহাসড়কে দুর্ঘটনার পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির জন্য ড্রাইভারের অনুপস্থিতে হেলপার দিয়ে বেপয়ারা গাড়ি চালানো এবং ধীরগতি সম্পন্ন সিএনজি অটোরিক্সা, ভটভটি, ব্যাটারি চালিত অটো-রিক্সা, নসিমন, করিমন সবচেয়ে বেশি দায়ী। দাবড়ে বেড়ানো সিএনজিচালিত অটোরিকশা হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করেই মহাসড়কে এসব সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করছে বলে জানা গেছে। বগুড়া-ঢাকা এবং বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের বনানী স্ট্যান্ড ও মাটিডালি স্ট্যান্ড এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞাকে রীতিমত বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিদিন লাগামহীনভাবে দূরপাল্লার দ্রুতগতি যানবাহনের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে এসব অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সা, ভটভটি, ব্যাটারি চালিত অটো-রিক্সা, নসিমন, করিমন। বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের সিএনজি চালক রহিম উদ্দিন বলেন, এই মহাসড়কটিতে তিনি অবাধেই সিএনজি চালাচ্ছেন। কোথাও কোন পুলিশ কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের কেউ তাকে বাধা দেয় না। মহাসড়কের চলাচলের জন্য প্রতিটি অটোরিকশা থেকে প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে হাইওয়ে পুলিশকে দিতে হয়। টাকা না দিলে অটোরিকশা ধরে মামলা দিয়ে দেয়া হয়। তাই বাধ্য হয়েই পুলিশকে টাকা দিয়ে মহাসড়কে অটোরিকশা চালাতে হচ্ছে। এইদিকে ভটভটি চালক আমিরুল বলেন, আমরা প্রতিদিন কোন না কোন হাট থেকে পন্য বোঝাই করে সময় বাঁচানোর জন্য মহাসড়কে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করি এতে করে আমাদের পণ্যবাহী ভটভটি যথা সময়ে পৌঁছাতে পারি। ভটভটি চলার কারণে মহাসড়কে যানবাহন মালিক সমিতি ও পুলিশের ঝামেলা থাকলেও তেমন সমস্যায় পড়তে হয় না। প্রতিদিন বিভিন্ন স্ট্যান্ডে ১০ টাকা থেকে ১০০ টাকা হারে মাসোহারা দিয়ে মহাসড়ক গুলোতে চলাচল করি। তাছাড়াও পুলিশ ধরলেই প্রতিদিন ১০ টাকা করে আদায় করে। সে কারণে তাদের চলাচলে বেগ পেতে হয় না হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শেরপুর সরকারী কলেজের একজন প্রভাষক বলেন, 'আমি তিন বছর হলো সিএনজিতে করে বগুড়া থেকে শেরপুর যাতায়াত করি। এই দীর্ঘ তিন বছরে কোনদিন কোথাও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচলে বাধা বাঁধা দিতে দেখিনি হাইওয়ে পুলিশকে। আমি যতদূর জানি এই মহাসড়কে সিএনজিসহ ধীরগতির যান চলাচল নিষিদ্ধ। তিনিও আরও জানান, সিএনজি, অটোরিক্সা এবং ভটভটির কারণে এই মহাসড়কে দুর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ। সময় বাঁচানোর জন্য সিএনজি চালিত অটোরিকশায় নিরুপায় হয়ে চলাচল করছি। তবে আমিও মনে প্রানে চাই এই মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে স্থায়ীভাবে এসব যান চলাচল বন্ধ হওয়া দরকার।এই বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুর ইসলাম এরসাথে কথা হলে তিনি জানান, 'মহাসড়কে ধীরগতি সম্পন্ন সিএনজি অটোরিক্সা, ভটভটি, ব্যাটারি চালিত অটো-রিক্সা, নসিমন, করিমন চলাচল বন্ধে আমরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, সামাজিকভাবে সচেতন হতে হবে। তবে মাশোয়ারা বিষয় নিয়ে কথা হলে তিনি জানান, এরকম কোন ঘটনা আমার হাইওয়ে থানা এলাকায় ঘটেনি ভবিষ্যতে ঘটবে না। তবে সঠিক তথ্য প্রমাণ পেলে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ নভেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধিরজব আলী, মোস্তফা ও আজাদ তিন বন্ধু। একসময় কৃষিশ্রম বিক্রি করে চলতো ওদের সংসার। অন্যের দেখে তিনবন্ধু মিলে বছর খানেক আগে আড়াই লক্ষ টাকায় ভ্রাম্যমাণ ধান মাড়াই মেশিন কিনে আনেন। শ্রমিকও তারাই। নিজগ্রাম ছাড়াও আশপাশের গ্রামগুলোতে মাড়াইয়ের ডাক পেলেই মেশিন নিয়ে ছুটে যান তাঁরা। মাড়াই করে কৃষকের উৎপাদিত ধানের নির্ধারিত অংশ পান তারাও। এতেই সাবলম্বী তিন পরিবার। তিন বন্ধু নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের পিপলা গ্রামের বাসিন্দা।গুরুদাসপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সোনা রঙা পাকা ধানের ক্ষেত। সেই ধান কাটা ও মাড়াইয়ের মহোৎসবে ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষকের। কৃষকের ধান মাড়াই ও ঝাড়াই এবং বস্তাবন্দির কাজকে দ্রত ও সহজ করতে উপজেলার সর্বত্র ভাড়ায় মিলছে মাড়াই মেশিন। সময় ও খরচ সাশ্রয়ী মাড়াই মেশিন অনেকেরই জীবিকার উৎসে পরিণত হয়েছে।গুরুদাসপুর পৌরসদরের আনন্দ নগর মহল্লায় সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকরা ক্ষেত থেকে ধান কেটে বাড়ির উঠানে গাঁদা করে রেখেছেন। খবর দিলেই ভ্রাম্যমাণ ধান মাড়াই মেশিন কৃষকের বাড়িতে চলে যাচ্ছে। এতে অবশ্য কৃষকের পরিশ্রম ও খরচ দুটোই কমেছে। ধানের বোঝা মেশিনে দিলেই খড় ও ধান আলাদা হয়ে বের হচ্ছে।মাড়াই মেশিনের মালিক রজব আলী বলেন, এক বিঘা (৩৩ শতক) জমির ধান মাড়াই করতে ক্ষেত্রভেদে সময় লাগছে এক ঘণ্টা থেকে দেড় ঘন্টা। এরজন্য তারা নিচ্ছেন ৩০ থেকে ৩৫ কেজি ধান। যার বাজার মুল্য ১ হাজার টাকার ওপরে। এতে কৃষকের যেমন সময় ও খরচ দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে তারাও লাভবান হচ্ছেন।আরেক বন্ধু মোস্তফা বলেন, ধান মাড়াইয়ের জন্য বছরে দুটি মৌসুম। দুই মৌসুম মিলে তারা ২৫০ মন ধান সংগ্রহ করেছেন। যার বাজার মুল্য ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার মতো। বছরে ধান মাড়াই করেই তারা অন্তত ১ লাখ টাকা আয় করেন। শুধু ধান নয়, গম, ডাল ও তেল জাতীয় ফসলও এ মেশিনে মাড়াই করেন তারা। এক মেশিন তাদের সাবলম্বী করেছে।আনন্দ নগর মহল্লার কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, তিনি ৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। এক সাথে ধান পেঁকেছে। সনাতন পদ্ধতিতে গরু দিয়ে ধান মাড়াই, ধান মাড়াইয়ের সময়, পরিশ্রম ও খরচ বেশি লাগতো। কিন্তু শ্যালো ইঞ্জিনচালিত মাড়াই মেশিন সময় ও অর্থ দুটোই বেঁচে যাচ্ছে।গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মতিয়র রহমান বলেন, উপজেলাজুড়ে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ তাদের কাজকে সহজ করেছে। ব্যক্তি মালিকানায় অনেকেই ভাড়ায় চালিত মাড়াই মেশিন কিনে লাভবান হচ্ছেন। আবার সরকারীভাবেও ভর্তুকি মূল্যে হারভেস্টার মেশিনে সরবরাহ করা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ নভেম্বর ২০২২
বগুড়া প্রতিনিধি: শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকাল চারটায় বগুড়া শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক সড়কের শালফা এলাকায় বাঁশ বোঝাই ভটভটির চাকায় পিষ্ট হয়ে শিমরুল(৫) নামের এক শিশু ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।স্থানীয়রা জানান, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শালফা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে শিমরুল বাড়ি থেকে শালফা হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে খেলার যাওয়ার জন্য শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক সড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় ধনুট থেকে আসা শেরপুরগামী একটি দ্রুত গতির বাঁশ বোঝাই ভটভটি শিশুটির উপর দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়। বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক ভটভটির চালক কে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, আমার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত লাশ উদ্ধার করি। নিহতের লাশ সুরতহাল করার পর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ নভেম্বর ২০২২
রাজিবুল ইসলাম রক্তিম, বগুড়া। বগুড়া থেকে প্রকাশিত “দৈনিক দৃষ্টি প্রতিদিন” পত্রিকার সাহসের পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে (১৯ নভেম্বর) শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সাড়ে তিন টায় ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন স্থানীয় প্রতিনিধিগন। বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ সদস্য, মোস্তাফিজার রহমান ভুট্টো, শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি দীপক কুমার সরকার প্রমুখ।বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে দৈনিক দৃষ্টি প্রতিদিন পত্রিকার বস্তুনিষ্ঠতার প্রশংসা করে, সাংবাদিকতাকে একটি মহৎ পেশা উল্লেখ করে বলেন, সাংবাদিকরা সামাজিক দর্পণ তাদের উচিত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করা। সংবাদপত্রকে সিভিলাইজেশনের অন্যতম স্তম্ভ।দৈনিক দৃষ্টি প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক জনাব আমিনুল মমিন তার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বাণীতে জানিয়েছেন ২০২০ সালের আজকের এই দিনে উন্নয়নের ধারা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে দৈনিক দৃষ্টি প্রতিদিন পত্রিকাটি। ইতোমধ্যে পাঠকের ভালবাসা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আগামী দিনে সকলের সহযোগিতা পেলে দেশের উন্নয়ন মূলক কাজে সহযোগী হয়ে আরো বেশি নিরপেক্ষ ও পাঠকপ্রিয় হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। সেই সাথে তিনি তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে দৈনিক দৃষ্টি প্রতিদিন পরিবারের জেলা উপজেলার সকল সদস্য, শিশু সংবাদ পাঠক ফোরাম সহ অগণিত পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, পত্রিকা বিলিকারক, সাংবাদিক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মো.জিয়াউদ্দিন লিটন। উপস্থিত ছিলেন দৈনিক দৃষ্টি প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিনিধিগণ যথাক্রমে জিয়াউদ্দিন লিটন, আবুবকর সিদ্দিক, জিয়াউল হক, রাজিবুল ইসলাম রক্তিম, আবু রায়হান, রাশেদুল হক। এছাড়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি সবুজ চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রতিনিধি জাহাংগীর আলম, শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি নাহিদ হাসান রবিন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শরীফ,সাহিত্য সাংস্কৃতিক ও প্রচার সম্পাদক আরিফুজ্জামান হীরা, দপ্তর সম্পাদক বাধন কৃষ্ণ কর্মকার, উত্তম সরকার, শফিকুল ইসলাম বাবলু, সাংবাদিক মেজবাহুল হাসান উজ্জ্বল, সাংবাদিক শাহ আলম, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান হীরা, সাংবাদিক রঞ্জন কুমার দে প্রমূখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ নভেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধিনাটোর: বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা উপলক্ষে নাটোরের গুরুদাসপুরে বিশাল আনন্দ র্যালি করেছে আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর)) বিকেল ৪টায় উপজেলা পৌর শহরের বিলচলন শহিদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এ র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।আর্জেন্টিনা সমর্থক শিক্ষার্থী মাজেদুর রহমানের নেতৃত্বে র্যালিতে সবার কণ্ঠে ছিল আর্জেন্টিনা আর মেসির স্লোগান। বাঁশি বাজিয়ে ও গায়ে আর্জেন্টিনার জার্সি পরে সবাই র্যালিতে অংশগ্রহণ করে। এ সময় আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের পতাকা প্রদর্শন করা হয়।আর্জেন্টিনা সমর্থক মুন্না, রিকো, নাইম ও রাজিব বলেন, শুক্রবার আর্জেন্টিনা সমর্থকদের র্যালিতে অংশগ্রহণ করার জন্য বৃহস্পতিবার উপজেলাব্যাপী মাইকিং বের করা হয়েছিলো। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সমর্থকরা কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত হতে শুরু করে। পরে সবাই একত্রিত হওয়ার পর বিকেল ৪টার সময় মোটরসাইকেল যোগে আনন্দ র্যালি বের করা হয়। প্রায় ৪ শতাধিক যুবক অংশগ্রহণ করেছিলেন।আর্জেন্টিনা সমর্থক সজল নামে আরেক সমর্থক বলেন, মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকায় এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা টিম বেশ উজ্জীবিত যা বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা রাখবে।এদিকে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের এমন বিশাল আনন্দ মিছিল দেখে ব্রাজিল সমর্থকেরা আনন্দ মিছিলের পরিকল্পনা করছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ নভেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধিনাটোর: গুরুদাসপুরে ট্রাকচাপায় আদরী খাতুন ও তৈফুল ইসলাম নামে ইজিবাইকের ২ যাত্রী আহত হয়েছে। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে পৌরশহরের চাঁচকৈড় চাকারমোড়ে ওই দূর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত আদরী খাতুন ও তৈফুল ইসলাম বাড়ি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের জুমাইনগর গ্রামে।পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ট্রাকটি একটি অটোরাইস মিল থেকে বের হচ্ছিল। ইজিবাইকটি সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় ট্রাকটি ইজিবাইকটিকে চাপাদেয়। এতে ভেতরে থাকা ২ যাত্রী ভেতরে চাপা পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, জুয়েল হার্ডয়্যারর্স নামে ট্রাকটির মালিক জুয়েল হোসেন। চালকের সহকারি ইব্রাহিম হোসেন ট্রাকটি চালাচ্ছিলে। অদক্ষতার কারনেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।ট্রাকটির মালিক জুয়েল হোসেন তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, আহত ব্যক্তিদের যাবতীয় চিকিৎসার খরচ দেয়া হয়েছে। গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন, আহত ব্যক্তির সাথে ট্রাক চালকের সমঝোতা হওয়ায় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ নভেম্বর ২০২২
কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : অপহরণ করে মেয়েদের সাথে নগ্ন ছবি তুলে মুক্তিপণ আদায় চক্রের চার সদস্যকে নওগাঁ থেকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব। এসময় একজন ভূক্তভোগিকে উদ্ধার করা হয়।আটককৃতরা হলেন, নওগাঁ শহরের পাটালির মোড় এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে দুলাল হোসেন (৩৮), লুৎফর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন হিরা (৩৬), সদর উপজেলার কাঠখৈইর গ্রামের তাহের আলীর ছেলে হুজুর আলী (৪০) ও হাট-নওগাঁ এলাকার আক্তারুল জামানের ছেলে মেহেদী হাসান রনি (২০)। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সিন্ডিকেটের ৮-১০ জন সদস্য দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে সিন্ডিকেটের মূল হোতা দুলাল হোসেনের ভাড়া বাসায় আটকে রেখে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে নগ্ন ছবি তুলে মুক্তিপণ দাবি আদায় করতো। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ভিকটিম আব্দুস সামাদকে জমির কাগজ দেখানোর নাম করে দুলাল হোসেন ও হুজুর আলী ওরফে ভুনা অপহরণকারী দুলালের বাসায় নিয়ে আসে। এরপর ভিকটিমকে এক নারীর সাথে নগ্ন ছবি তুলে ও ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া এবং ভিকটিমের আত্মীয় স্বজনের কাছে বিলিয়ে দেওয়ার নাম করে তার কাছে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।এরপর মুক্তিপণ হিসেবে ভিকটিম তার পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে অপহরণকারীদের প্রদান করে। অপহরণকারীরা আরও ৭৫ হাজার টাকা দাবি করে এবং টাকা না দিলে অপহরণকারী দুলালের বাসায় আটকে রাখে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এমন সংবাদের ভিত্তিতে জয়পুরহাট র্যাব-৫ ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল অভিযান চালিয়ে মূলহোতাসহ চার অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে। এসময় ভিকটিমকে উদ্ধারসহ ভিকটিমের দেওয়া ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ নভেম্বর ২০২২
কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন লাইসেন্স ছাড়া কেউ ধান-চালের ব্যবসা করতে পারবেন না। লাইসেন্স নেই এমন অনেক ব্যক্তি ধান-চাল কিনে মজুত করেন। এতে বাজারে ধান-চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়ে থাকে। লাইসেন্স ছাড়া কেউ যদি অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদ করে সেসব ব্যাবসায়ীদেরকে মজুদদার হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গত বোরো মৌসুম থেকে ধান-চাল ব্যবসায়ীদের প্রতি সপ্তাহের রিটার্ন দাখিলের নিয়ম চালু করা হয়েছে। যারা ধানের ব্যবসা করছেন, প্রতি সপ্তাহে কতটুকু ধান কিনছেন, কতটুকু ধান কোন মিলে বিক্রি করছেন, সেই হিসাব তাদের সরকারকে দিতে হবে। চালকল মালিকদেরও এই নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে। যারা এই হিসাব দেবেন না, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। ব্যবসায়ীদের প্রতি সপ্তাহের রিটার্ন দাখিলের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। যে মিলাররা করপোরেট গ্রæপের কোনো ব্রান্ডের নামে চাল বাজারজাত করার চেষ্টা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রী নওগাঁ, কুষ্টিয়া, নেত্রকোণা ও দিনাজপুর জেলার সরকারি কর্মকর্তা, কৃষক, চালকল মালিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নওগাঁয় চলতি বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন ও সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। এ সময় নওগাঁর পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারীসহ সরকারি কর্মকর্তা, কৃষক, চালকল মালিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবছর আমন মৌসুমে নওগাঁ জেলার ১১ উপজেলায় ২৮ টাকা কেজি দরে ১১ হাজার ৪৫৪ মেট্রিক টন ধান এবং ৪২ টাকা কেজি দরে ২২ হাজার ১৩৬ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে আগামী ২৮ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত ধান এবং ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত চাল কেনা হবে।নওগাঁ সদর, মহাদেবপুর, নিয়ামতপুর, রানীনগর ও পোরশাসহ পাঁচটি উপজেলায় কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করা হবে। অন্য উপজেলাগুলোতে সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির নির্বাচিত কৃষকদের তালিকা অনুযায়ী ধান সংগ্রহ করা হবে। নওগাঁ সদর, মহাদেবপুর ও নিয়ামতপুর উপজেলায় ‘ডিজিটাল চাল সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা’ এর মাধ্যমে মিলারদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করা হবে।নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নওগাঁয় চলতি বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন ও সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। এ সময় নওগাঁর পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারীসহ সরকারি কর্মকর্তা, কৃষক, চালকল মালিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য মন্ত্রী বলেন, সরকারি গুদামে ধান বিক্রির সময় কোনো কৃষক বা মিলার যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হন এবং মধ্যস্বত্বভোগীরা যাতে গুদামে ধান দিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ধান-চাল সংগ্রহের সময় অপচয় না করে ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।খাদ্য নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলে উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্য সঙ্কট হতে পারে বলে আভাস দেওয়া হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে খাদ্যশস্য আমদানি করা হচ্ছে। তবে কৃষকদেরও এই পরিস্থিতিতে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। নিজেদের যে সব জমি আছে তার সবটুকুতে ফসল আবাদ করলে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে খাদ্য আমদানি করতে হবে না।কৃষকদের সরকারি গুদামে ধান বিক্রির আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষকদের চাষাবাদে উৎসাহিত করতে সার ও বিদ্যুতে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষকদের দায়িত্ব তাদের উৎপাদিত ধানের কিছুটা সরকারি গুদামে দেওয়া। ২০১৮-১০১৯ সালে ধানের দাম বাজারে অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যায়। তখন কৃষকেরা হা-হুতাশ করতে শুরু করেন। সেই পরিস্থিতিতে সরকার কৃষকদের ধানের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে মৌসুমের শুরুতেই ধান-চাল ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ নভেম্বর ২০২২
দুয়ারে কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২তম আসর। কাতারের মাটিতে এবারের বিশ্বকাপ ট্রফি যাবে ম্যারাডোনার দেশ আর্জেন্টিনার ঘরে, এমন আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হয়ে বগুড়ায় ৩০ ফুট লম্বা পতাকা নিয়ে বর্ণাঢ্য র্যালি করেছে আর্জেন্টিনা সমর্থক গোষ্ঠী।বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ র্যালিটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে প্রায় কয়েকশ আর্জেন্টিনা ভক্ত অংশ নেয়।আয়োজক কমিটির সদস্য সজল শেখ জানান, আগামী ২২ তারিখ আর্জেন্টিনা দলের খেলা। প্রিয় দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমরা আনন্দ র্যালি করেছি। যেহেতু এবার মেসির শেষ বিশ্বকাপ তাই এ বিশ্বকাপটি খুব স্পেশাল।তিনি আরও জানান বিশ্বকাপ ফুটবলের এ উন্মাদনা দেশের ফুটবলের জন্য খুবই ইতিবাচক। আর এ উন্মাদনাকে কাজে লাগিয়ে একদিন আমাদের দেশের ফুটবলও এগিয়ে যাবে এটাই বিশ্বাস করি।এসময় সমর্থকদের শরীরে নীল-সাদা রং দিয়ে আর্জেন্টিনার পতাকা অঙ্কন করা ছিল। তাদের গায়ে ছিল আর্জেন্টিনার জার্সি ও হাতে ছিল খেলোয়ারদের নামের ফেস্টুন ও প্লে কার্ড। এ মিছিলে ছিল বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র। এ মিছিলে অংশ নেয় ছাত্র-শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবির আর্জেন্টটাইন সমর্থকরা। আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে কাতার বিশ্বকাপ। এ আসরে ৩২টি দল অংশ নেবে।।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ নভেম্বর ২০২২
কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুরে দাদন ব্যবসায়ীর দায়ের করা মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে দুজন ব্যবসায়ী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা সদরের ইসলামী ব্যাংক এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের ভালাইন গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ইউপি মেম্বার ভূক্তভোগি শামীম হাসান।লিখিত বক্তব্যে মেম্বার শামীম বলেন, তার প্রতিবেসী সোহেল রানাকে একটি এনজিও থেকে ঋণ তুলে দেয়ার সময় উপজেলা সদরের ভাড়াটিয়া মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে আবু নৈয়ম মো: মাসুম গ্যারান্টার হিসেবে মেম্বার শামীমের কাছ থেকে একটি ফাঁকা চেক নেন। সোহেল রানা সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করলেও মেম্বার শামীমের চেক ফেরৎ না দিয়ে সেখানে ১০ লাখ ৮ হাজার টাকার অংক বসিয়ে তা ডিজঅনার করে কোর্টে মামলা (৩৭৪সি/২০১৯ মহা:) দায়ের করে। এছাড়া সোহেল রানার নামে ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকার (৩২১সি/২০১৯) ও তার স্ত্রী শাহনারা খাতুনের নামে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকার (৩১৭সি/২০২৯ মহা:) পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করে।অপর ভূক্তভোগি খাজুর ইউনিয়নের কুঞ্জবন বাটুলতলী গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল মতিন বলেন, মাসুম খাজুর ইউনিয়নের বিলমোহাম্মদপুর গ্রামের মকবুল হোসেন সরকারের ছেলে নুরুজ্জামান সরকারের নামে নওগাঁ মাল্টিপারপাস সোসাইটি নামক এনজিও থেকে ঋণ তুলে দেওয়ার সময় গ্যারান্টার হিসেবে আব্দুল মতিনের কাছ থেকে একটি ফাকা চেক নেন। পরবর্তীতে মাসুম সে চেকে এক কোটি দশ লাখ টাকার অংক বসিয়ে কোর্টে মামলা (৯৯৪সি/২০১৯ নওগাঁ) দায়ের করে। এই দুই মিথ্যা মামলায় জামিন নিয়ে কোর্টে হাজিরা দিতে দিতে তারা নি:স্ব হয়ে পড়েছেন। মামলার ভয়ে তারা সারাক্ষণ তটস্থ থাকেন।চেকের মামলা করেই মাসুম খান্ত হয়নি। বরং আব্দুল মতিনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মারপিটের মিথ্যা অভিযোগে আরও একটি মামলা (১৩৮পি/২০২২ মহা:) দায়ের করে হয়রানী করে। মামলাটির তদন্ত রিপোর্টে মহাদেবপুর থানার এসআই বেলাল হোসেন উল্লেখ করেন যে, এনজিও থেকে ঋণ তুলে দেয়ার সময় আব্দুল মতিন গ্যারান্টার হিসেবে একটি ফাকা চেক দেন। মাসুম কৌশলে সে চেক নিয়ে আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। পরবর্তীতে মারপিটের মামলাটি নথিজাত হয়। আবু নৈয়ম মাসুমের মিথ্যা মামলার দায় থেকে বাঁচতে ভূক্তভোগিরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দাদন ব্যবসা বিরোধী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।জানতে চাইলে মোবাইলফোনে মাসুম জানায়, টাকা ঋণ দিয়ে ফেরৎ না দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবু নৈয়ম মো: মাসুম মহাদেবপুরের স্থায়ী বাসিন্দা নয়। কখনো কুঞ্জবন, কখনো ঘোষপাড়া আবার কখনো বাজারে ভাড়া বাসায় থাকে। কখনো সে নিজেকে পত্নীতলা আবার কখনো সাপাহার উপজেলার বাসিন্দা বলে পরিচয় দেয়। ৬২সি/২০১৫ সাপাহার, ৮৫সি/১৫ সাপাহার, ২০৩সি/১৫ সাপাহার প্রভৃতি মামলায় বাদি মাসুম তার ঠিকানা সাপাহার শিমুলতলী, ৩৮৯সি/২১৮ মহা:, সিআর ৩৯১/২০১৮ মহা:, ৩৬৫সি/২০১৯ মহা:, ৩৭১সি/২০২০ মহা:, সিআর ৩২৬/২০২০ মহা: প্রভৃতি মামলায় মহাদেবপুর, আর বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের একটি পত্রে ফতেপুর, পত্নীতলা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে কৌশলে চেক সংগ্রহ করে একের পর এক মামলা করে আসছে সে। তার মামলার খপ্পরে পড়েছেন মহাদেবপুর, পত্নীতলা, সাপাহার, ধামইরহাটসহ কয়েকটি উপজেলার শতাধিক মানুষ। কোন কোন মামলায় অসহায় মানুষের জেল খেটেছেন আবার কেউ কেউ পলাতক রয়েছেন। এখনও তার দায়ের করা শতাধিক চেকের মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এসব মামলায় টাকা দাবির পরিমাণ কয়েক কোটি। সে এত টাকার মালিক কিভাবে হলো, এসব টাকার আয়কর, ভ্যাট দেয়া হয় কিনা এসব নানা প্রশ্ন এখন মহাদেবপুরের ট্যক অব দ্য টাউন।সাপাহার উপজেলার সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদিগুন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মাসুমের দায়ের করা একটি মামলার (সিআর ১৬৪/১৬ ধাম) তদন্ত রিপোর্টে পত্নীতলা সার্কেলের তদানিন্তন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উল্লেখ করেন সাপাহার থানা এলাকায় মাসুমের জমজম ক্লথ স্টোর, জমজম ফিসারিজ এবং জমজম সমবায় সমিতি নামে একটি এনজিও ছিল। ওই এনজিওর সভাপতি হিসেবে ঋণ দানের সময়, চাকরি দেয়ার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ফাকা চেক নেন। এছাড়া সমিতির সদস্যদের নামে বিবিন্ন ব্যাংকে ভূয়া একাউন্ট খুলে নিজেই ভূয়া স্বাক্ষর দিয়ে ব্যাংক থেকে চেক বই তুলে সেসব চেকে মোটা অংকের টাকা বসিয়ে ডিজঅনার করে কোর্টে মামলা দায়ের করে। মামলায় সাজাভোগের ভয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিমাংশা করে নিরিহ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায় করাই তার প্রতারণার ধরণ। তার এ প্রতারণার পদ্ধতি এবং সাধারণ মানুষ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিকে হয়রানি অপরাধ বিজ্ঞানে নতুন অধ্যায়ের সংযুক্তি ঘটিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। অসংখ্য মানুষকে কোন জামানত ছাড়াই কিভাবে মাসুম এত মোটা অংকের টাকা ঋণ দেয় তাও সন্দেহজনক বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ নভেম্বর ২০২২
কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি :নওগাঁর মহাদেবপুরে একটি বহুতল মার্কেট নির্মাণের জন্য হাটের সরকারি খাস জায়গার দখল নিতে গিয়ে দোকানীদের বাঁধার মুখে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করা হয়েছে। দোকানীরা বলছেন উচ্ছেদের জন্য তাদেরকে কোন নোটিশ দেয়া হয়নি। আর নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় এই স্থানে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫টি পাকা শেড থাকার কথা গোপন করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুসরাত জাহান থানা পুলিশ, প্রয়োজনীয় শ্রমিক, ভেকু মেশিনসহ উপজেলা সদরের হাটের পিঁয়াজ হাটি এলাকায় গিয়ে দোকানীদের উচ্ছেদ শুরু করেন। তারা সেখানকার সুলতান হোসেনের পিঠার দোকানের অস্থায়ী শেড খুলে ফেলে চুলা ভাঙচুর করলে ওই এলাকার ৯৯ জন দোকানী এর প্রতিবাদ জানান। মহাদেবপুর উপজেলা সদরের আত্রাই নদীর বাঁধের বস্তি এলাকার বাসিন্দা পিঠা বিক্রেতা সুলতান হোসেন কান্নাজড়িত কন্ঠে অভিযোগ করেন যে, উচ্ছেদের জন্য তাকে কোন নোটিশ দেয়া হয়নি। তিনি সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে প্রতিবছর সরকারি ঘরে নানান কর জমা দেন। হঠাৎ করে তার ক্ষুদ্র দোকান বন্ধ করা হলে তাকে পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।অন্য দোকানীরা অভিযোগ করেন, প্রতিযোগিতার বাজারে অনেকেই মোটা টাকার বিনিময়ে পজিশন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এখানে ক্ষুদ্র ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছেন। এই অবস্থায় হঠাৎ করে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হলে পরিবার পরিজন নিয়ে তারা পথে বসবেন। উচ্ছেদের আগে তাদেরকে পূণর্বাসনের দাবি জানান। নতুন মার্কেট নির্মিত হলে সেখানে তাদেরকে পজিশন দেয়ার বিষয়ে একটি চুক্তিনামা স্বাক্ষরেরও দাবি জানান।এক পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের বাঁধার মুখে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফিরে যান। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের ইতিপূর্বে কয়েকবার মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। এছাড়া ওই জায়গা খালি করে দেয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের অনুযোগ থাকতেই পারে। তাদের কথা শোনার জন্য অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছে।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মহাদেবপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের হাটের ৫৭৭ নং দাগে ২৪ শতক জায়গার উপর একটি চারতলা ভীত দিয়ে দোতলা গ্রামীণ মার্কেট ভবন নির্মাণ করা হবে। এজন্য ৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, এই জায়গার উপর ইতিপূর্বে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে হাটের ৫টি বড় শেড নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু নতুন মার্কেট ভবন নির্মাণের সাইট সিলেকশন, প্লান, ডিজাইন, এস্টিমেট কোথাও সে ৫টি শেড থাকার কথা উল্লেখ নাই। শেডগুলো কিভাবে ভেঙ্গে ফেলা হবে তারও কোন পরিকল্পনা নেয়া হয়নি। সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারি স্থাপনা ভেঙ্গে নতুন স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে যেসব নিয়ম কানুন পালন করার বিধান রয়েছে সেগুলো মানা হচ্ছেনা। সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুসরাত জাহান জানান, উর্ধতন কর্মতর্কার নির্দেশে তিনি ওই জায়গা খালি করবেন। সেখানে যা কিছুই থাক না কেন সেগুলো ভাঙ্গা হবে।উপজেলা প্রকৌশলী সৈকত দাশ জানান, উপজেলা প্রশাসন জায়গা খালি করে দিলে তবেই তারা নির্মাণ কাজ শুরু করবেন। তিনি বলেন, উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারের দেয়া নক্সায় প্রকল্প এলাকায় সরকারি ৫টি হাট শেড থাকার কথা উল্লেখ নাই।উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান জানান, ওই স্থানে সরকারি হাট শেড আছে কিনা, থাকলে সার্ভেয়ার কেন তা উল্লেখ করলেন না, এসব বিষয় তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।স্থানীয়দের দাবি, কোটি টাকার সরকারি স্থাপনা থাকার কথা গোপন করে এখানে বহুতল মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্য গোপন করে সরকারের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ও সরকারি শেড না ভেঙ্গে অন্য কোন স্থানে নতুন মার্কেট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।কিউ, এম/সাঈদ টিটো
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ নভেম্বর ২০২২
( কায়সার রেজা লাবণ্য)ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: হরেক রকম শীতকালীন আগাম সবজির সমারহ ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন হাট-বাজারে। আর স্থানীয়দের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এসব সবজি যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। আর ভোক্তারা পাচ্ছেন শীতের বিভিন্ন ধরণের আগাম সবজি। ঠাকুরগাঁও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৮৯৫ হেক্টের জমি। এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬৩৭ হেক্টর জমিতে।জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, মাঠে-ঘাটে আগাম জাতের শীতকালীন সবজির ব্যাপক চাষ। আগাম সবজির মধ্যে বাজারজাত করা হচ্ছে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বেগুন, লাউ, করল্লা, পেঁপে, বোরবটি, সীমসহ বিভিন্ন জাতের শাক সবজি।এসব সবজির মান ভালো হওয়ায় পাইকারি দরে কিনে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গতবার এমন সময় এক থেকে দুইটা করে সবজির গাড়ি লোড হতো আর এবার আগাম সবজির চাষ ও ফলন বেশি হওয়ায় দৈনিক ৪-৫টা করে সবজির গাড়ি লোড করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠাচ্ছেন। এতে যেমন লাভবান হচ্ছেন কৃষক তেমনি তারাও বেশ লাভবান হচ্ছেন বলে জানান সবজি ব্যবসায়ী ওহায়েদ মুরাদ ও সুজন মিয়া।বর্তমান সবজির যে বাজার দর, এমন দাম থাকলে লাভবান হবেন বলে জানান কৃষক হানিফ। তিনি বলেন, আমি দেড় বিঘা জমিতে বেগুন আবাদ করেছি। এতে প্রতি সপ্তাহে ১০-১৫ হাজার টাকার বেগুন বিক্রয় করছি। আশা করছি মৌসুম শেষে দেড় বিঘার বেগুনে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা লাভ হবে। সদর উপজেলার নারগুন কহরপাড়া গ্রামের ক্ষুদ্র সবজি চাষী আব্দুল মালেক চাষ করেছেন বিভিন্ন প্রকার সবজি। এর মধ্যে পালং শাক তুলে বাজারজাত করছেন তিনি। তিনি জানান, পালং শাক শুধু ৭ কাঠা জমিতে করেছি। খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকা। ৩ কাঠা জমির শাক বিক্রি করেছি সাড়ে ৬ হাজার টাকা। আরও বাকি যেটা শাক আছে সেটা বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রায় ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারব। আর যদি এর থেকে দাম বেশি হয় তাহলে আশা করছি ২০-২৫ হাজার টাকা বিক্রয় হবে।কৃষকদের কাছে পাইকারি দরে ভালো মানের ফুলকপি ৩৫ টাকা, করল্লা ৪০, বেগুন ২২-২৫, লাউ প্রতি পিচ ২৪, মুলা ৭-৮ টাকা কেজি দরে কিনছেন বলে জানান সবজি ব্যবসায়ীরা মনির হোসেন।তবে এবার মূলা চাষ করে খরচের তুলনায় দাম না পেয়ে হতাশ মূলা চাষীরা। চাষী আল-আমীন বলেন, এবার ফুলকপি, লাউসহ অন্যান্য সবজির দাম ভালো হলেও মূলার তেমন দাম নেই। মজুর দিয়ে জমি থেকে মূলা তুলতে মূলা বিক্রয় করে সেই মজুরের টাকায় হয় না। এখনো আমার ৫ একর জমির মূলা বিক্রি করতে পারিনি। এতে আমরা মূলা চাষীরা খুব হতাশায় আছি।ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আব্দুল আজিজ বলেন, সবজি চাষে সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আগাম সবজি চাষে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন বলে আগাম সবজি চাষে ঝুঁকছেন অনেক কৃষক। আশা করি আবহাওয়া ভালো থাকায় সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ নভেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বাণিজ্যনগরী চাঁচকৈড় বাজারের পাট ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক মোল্লার পাটের গুদামে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সোমবার দুপুর ১টার দিকে ওই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হলে বিকেল ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক মোল্লা বলেন, তার গুদাম ঘরে ১ কোটি ৫ লাখ টাকার ৩ হাজার ১শ মণ পাট মজুদ করা ছিল। সোমবার দুপুরে তিনি গুদাম ঘর বন্ধ করে নামাজ পড়তে যান। এর কিছুক্ষণ পরই তার পাটের গুদামে অগ্নিকান্ডের ধোঁয়া উড়তে দেখে স্থানীয়রা।খালেক মোল্লাসহ স্থানীয়রা আরো বলেন, পাশের আব্দুল হালিম মুন্সির নির্মানাধীন গোডাউনে ওয়ার্কশপের ওয়েল্ডিং কাজ চলছিলো। ওই ওয়েল্ডিংয়ের আগুন ছিটে পাটের গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে প্রায় ২ ঘন্টা ধরে চেষ্টা চালানোর পর আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। আগুন নেভানোর সময় গুদামের সব পাট বাইরে বের করা হয়। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ পাট ব্যবসায়ী।ফায়ার সার্ভিস গ্রুপ লিডার আলম হোসেন বলেন, অগ্নিকান্ডের খবরে আমাদের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২ ঘন্টা সময় লেগেছে। অগ্নিকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা তদন্ত চালাচ্ছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ নভেম্বর ২০২২
(কায়সার রেজা লাবণ্য ) ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে প্রেস কনফারেন্স করেছেন পীরগঞ্জ ডায়াবেটিস হাসপাতাল কতৃপক্ষ। শনিবার সকালে ডায়াবেটিস হাসপাতালের সভাকক্ষে এ সাংবাদিক সম্মেলন হয়। পীরগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির সহ সভাপতি ও পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য দেন, পীরগঞ্জ ডায়াবেটিস হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও উপাধ্যক্ষ ফয়জুল ইসলাম, রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব (পুরাতন) সভাপতি আনারুল ইসলাম, পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদীন বাবুল, সাবেক সভাপতি মেহের এলাহী, সহসভাপতি কাজী নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নসরতে খোদা রানা, পীরগঞ্জ ডায়াবেটিস সমিতির অর্থ সম্পাদক সোলেমান আলী, রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক হোসেন, সাবেক সভাপতি মোবারক আলী, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশ।সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার সকালে র্যালী, পথসভা এবং তিন জন করে বীরমুক্তিযোদ্ধা, আদর্শ শিক্ষক, সাংবাদিক ও আদর্শ ডায়াবেটিস রোগীকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।প্রেস কনফারেন্সে পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ নভেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় উপকমিটির সদস্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক দুরন্ত বিপ্লবের অকস্মাৎ মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি।তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গ ও স্বজন- শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। সাবেক মেধাবী ছাত্রনেতা দুরন্ত বিপ্লবের মৃত্যু যেহেতু অস্বাভাবিক, সুতরাং ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করার জন্য তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ নভেম্বর ২০২২