গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি. নাটোরের গুরুদাসপুরে চাকরি নেওয়ার সময় নিয়োগদানকারী প্রতিষ্ঠানে জমা রাখা শিক্ষা সনদপত্র ফিরে পেতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন এক ভুক্তভোগী। তাঁর নাম সুপ্রকাশ পাল। পৌরশহরের বীরমুক্তিযোদ্ধা সত্য রঞ্জন পালের ছেলে তিনি। ১৯ অক্টোবর নাটোর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন (মামলা নম্বর ৫০৭ পি/২২) সুপ্রকাশ পাল। মামলায় সিধুলাই স্বনির্ভর সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবুল হাসনাত মোহাম্মদ রেজোয়ান সহ ৯জনকে অভিযুক্ত করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে শিক্ষা সনদপত্রগুলো উদ্ধারে গত ৬ নভেম্বর সার্চওয়ারেন্ট দিয়েছেন থানা পুলিশকে। একই সাথে মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আগামী ২২ নভেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ আদালতের আদেশটি বাস্তবায়নে গত ৯ নভেম্বর থেকে নিয়োগদানকারী প্রতিষ্ঠানের ৫টি দপ্তরে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে শিক্ষা সনদগুলো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।ভুক্তভোগী সুপ্রকাশ ও আদালতের নথিসুত্রে জানাগেছে, ২০ বছর আগে সিধুলাই স্বনির্ভর সংস্থায় শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন তিনি। যোগদানের সময় এসএসসি,এইচএসসি, অনার্স ও মাষ্টার্স পাসের মূল সার্টিফিকেট ও নম্বরপত্র জমা রাখে নিয়োগদানকারী প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ পদোন্নতি পেয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর আঞ্চলিক অফিসে কর্মরত ছিলেন সুপ্রকাশ পাল। ২০২২ সালের ২৭ মার্চ ব্যক্তিগত কারনে চাকরি থেকে অব্যহতি নেন তিনি। এজন্য বিধিমেনে প্রতিষ্ঠানটির প্রোগ্রাম হেড কোয়াটারে নিবার্হী পরিচালকের কাছে অব্যহতিপত্র জমাদেন সুপ্রকাশ পাল।ভুক্তভোগী সুপ্রকাশ পাল অভিযোগ করে আরো বলেন,—অব্যহতিপত্র জমা দেওয়ার পর বেতনভাতা বাবদ প্রতিষ্ঠানটির কাছে ৮ লাখ ৫১৭ টাকা প্রাপ্য হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বকেয়া টাকা পরিশোধ না করে তাঁর শিক্ষা সনদপত্রগুলো আটকে রাখেন নিবাহীর্ পরিচালক আবুল হাসনাত মোহাম্মদ রেজোয়ান।দীর্ঘ সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে বকেয়া বেতনভাতার টাকা না পাওয়াসহ শিক্ষা সদনপত্রগুলো আটকে রাখায় অমানবিক জীবন যাপন করছেন তিনি। এনিয়ে ব্যক্তি পযার্য়ে দেনদরবার করেও ব্যর্থ হয়ে আদালতের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান সুপ্রকাশ পাল।—এব্যাপারে সিধুলাই স্বর্নিভর সংস্থার নিবাহীর্ পরিচালক আবুল হাসনাত মোহাম্মদ রেজোয়ান শনিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে দাবি করে বলেন, ‘ ৮ লাখ নয়, ৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা প্রাপ্য রয়েছেন সুপ্রকাশ পাল। শিক্ষা সনদপ্রত্রগুলো জমা রাখার অভিযোগটি সত্য নয়। এনিয়ে মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তথ্য—প্রমানের অভাবে সেই অভিযোগটি খারিজ হয়ে যায়। তাছাড়া আদালতের সার্চ ওয়ারেন্টে দাবিকৃত আলামত উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ নভেম্বর ২০২২
রাজিবুল ইসলাম রক্তিম: বগুড়ায় কিশোর গ্যাং ও বার্মিজ চাকু ব্যবহার একটা সামাজিক মরন ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। একটি আরেকটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।বর্তমানে বগুড়া জেলায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, জমিদখল, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, ধর্ষণ এবং খুন-খারাবি ইত্যাদি সংগঠিত হচ্ছে যার অধিকাংশ কিশোর সন্ত্রাসীরা জড়িত। অপরাধকর্ম ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার বা দলগত সেরা হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া হিসাবে এইসব কিশোর সন্ত্রাসীরা পাড়ায় পাড়ায় প্রথমে ছোট ছোট গ্রুপ তৈরি করে। ধীরে ধীরে ছোট গ্রুপ তৈরি হয় বিশাল বাহিনীর। অন্য দল বা অন্য এলাকার কিশোরদের ওপর প্রভাব খাটিয়ে এইসব কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীরা রোমাঞ্চকর স্বাদ পেয়ে যায়। আর এই রোমাঞ্চকর স্বাদ থেকে শুরু হয় তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ড। তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ডের কারণে মানুষ অস্বস্তিকর অশান্তির মধ্যে দিনাতিপাত করছে।বগুড়া শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও এলাকাবাসী নির্যাতনের শিকার হওয়া অনেকই জানান, আমরা সবসময় এইসব কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিজেদের সহায়-সম্পদ, উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে উৎকণ্ঠায় দিন কাটায়। কখন কারা জায়গা-জমি দখল করতে আসে বা চাঁদা দাবি করতে আসে, স্কুল-কলেজে পড়ুয়া মেয়েটিকে কখন কোন বখাটে বিরক্ত করে বা স্কুলে যাওয়া ছেলেটিকে তাদের দলে ভিড়িয়ে ফেলে। সমাজের নিরীহ অংশ বিশেষ করে যাদের কোনো প্রভাব প্রতিপত্তি নেই বা প্রভাবশালী মহলের সাথে কোনো ধরনের সম্পর্ক ও যোগাযোগ নেই তাদের আতঙ্ক সবচেয়ে বেশি। এলাকাবাসী আরও জানান, অনেক সময় আমরা এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করলে গ্যাং এর সদস্যরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। কোন কোন সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে আসার আগে এসব গ্যাং সদস্যরা সেখান থেকে সড়িয়ে পরে।সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম তুহিন জানান, বগুড়ায় কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম ও বার্মিজ চাকু ব্যবহার একটা সামাজিক মরন ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এই কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি বর্তমানে তরুণদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে যার মূল কারণ হলো সামাজিকভাবে দায়বদ্ধতার অভাব। পারিবারিক দায়বদ্ধতার অভাব, সঠিক শিক্ষা ও শিষ্টাচারের অভাব, ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাবের পথভ্রষ্ট হয়ে তরুণরা কিশোর গ্যাংয়ে নাম লেখাচ্ছে। নিজেদেরকে হিরোইজম বা বাহাদুরি, বাবার অবৈধ আয়ের কাঁচা টাকা-পয়সা, মাদকাসক্তি, সাংস্কৃতিক চর্চার নামে সস্তা ছেলে-মেয়েদের অবাধে মেলামেশার ফলে সমাজের ভেতরে ভেতরে উইপোকার মতো বিস্তার লাভ করছে কিশোর গ্যাং ও তাদের অপরাধ। এসব গ্যাংয়ের উৎপাতে পাড়ায় পাড়ায় মারামারি হানাহানি লেগেই আছে। তিনি আরও জানান,অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে খেলাধুলা করার কোন মাঠ নাই। পুকুর, নদী-নালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা বা পুকুর-নদীতে ঝাঁপাঝাঁপি করার সুযোগ নিঃশেষ হয়ে গেছে। এই সব থেকে বঞ্চিত হয়ে আড্ডা দিয়ে সময় কাটাতে গিয়েই গ্যাং সৃষ্টি করেছে। আগে অঞ্চলভিত্তিক, পাড়ায় পাড়ায় বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ও খেলাধুলার প্রতিযোগিতার আয়োজন হতো, যাতে সবার মধ্যে সৌহার্দ্যরে বন্ধন এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি হতো। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের সাথে নিয়ে সমাজে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা কিশোর গ্যাং রোধে কাজ করবে। যাতে সামাজিক ভাবে দায়বদ্ধতা থেকে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে স্কুল পড়ুয়া বাচ্চারা যাতে কোনোভাবেই রাজনীতির সাথে জড়িয়ে না পড়ে। তারা কোথায় যাচ্ছে কার সাথে মিশতেছে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।এই বিষয়ে জেলা পুলিশের মিডিয়া ও মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম জানান, কিশোর গ্যাং এবং কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট অপরাধসমূহ নির্মূলের জন্য জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তবে কিশোর গ্যাং নির্মূল করতে মূখ্য ভূমিকা পালনের জন্য পরিবারের লোকজন হতে পারে অন্যতম মাধ্যম। পরিবার থেকেই তাদের বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে। পুলিশের একার পক্ষে অপরাধ কর্মকাণ্ড দমন করা সম্ভব নয় তাই সামাজিক ভাবে দায়বদ্ধতা থেকে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ নভেম্বর ২০২২
রাজিবুল ইসলাম রক্তিম (বগুড়া) : গত ১১ নভেম্বর রাত্রী অনুমান পৌনে নয়টার সময় বগুড়া নামাজগড় এলাকায় তালুকদার মতি ম্যানশনের চতুর্থ তলায় "ব্রেক এন রান" নামক বিলিয়ার্ড ক্লাবে পুল খেলাকে কেন্দ্র করে জুনায়েদ আল-হাবিব বিপুল (২১) নামে একজনকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন বিপুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।জেলা পুলিশ জুনায়েদ আল-হাবিব বিপুলের হত্যাকাণ্ড আমলে নিয়ে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের যৌথ টিম গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ১২ নভেম্বর বগুড়া জেলার সদর ও শিবগঞ্জ থানা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর বিপুল হত্যাকান্ডে জড়িত ৫ জন আসামি ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ১ বার্মিজ চাকুসহ ১২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হল সদরের শিববাটি শাহী মসজিদ এলাকায় মৃত কমল রায়ের পুত্র দীপংকর রায় (১৯), নামাজগড় ভূষিপট্টি এলাকার ফটিক হোসেন পুত্র মোঃ আরিফ হাসান (৩২) "ব্রেক এন রান" এর মালিক, দক্ষিন কাটনারপাড়া এলাকার মনোয়ার হোসেন পুত্র শাকি আল মামুন (২৭), ফুলবাড়ি দক্ষিনপাড়া এলাকার মাহমুদুন নবী পুত্র শোহাইব নবী (২২) এবং শিববাটি শাহী মসজিদ এলাকার হাবিবুর রহমানের পুত্র সাহিল (২০)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুনায়েদ আল-হাবিব বিপুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ডের কথা তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করে।এই বিষয়ে জেলা পুলিশের মিডিয়া ও মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম জানান, ছুরিকাঘাতে ঘটনার খবর পেয়ে আমি সহ পুলিশের বেশ কয়েকটা টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এরপর বগুড়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী (বিপিএম) মহোদয়ের নির্দেশনায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের সনাক্ত করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বার্মিজ চাকু সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।তিনি আরও জানান, পলাতক অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যহত আছে। আমরা খুব দ্রুত অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করতে করতে সক্ষম হব।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ নভেম্বর ২০২২
জেলা প্রতিনিধি (বগুড়া): বগুড়ায় ফের ৫ দিনেরব্যবধানে যুবক খুন হয়েছে। এবার বিলিয়ার্ড (পুল) খেলার দ্বন্দ্বে দূর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে বগুড়া শহরের নামাজগড়ে হাবিবুর রহমান বিপুল (২১) নামে যুবক নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নামাজগড় এলাকার তালুকদার মতি ম্যানশনের ৩য় তলায় অবস্থিত ব্রেক এন্ড রান নামের প্রতিষ্ঠানে। শুক্রবার রাত পৌণে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।নিহত বিপুল শহরের বাদুড়তলা এলাকার মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে। বিপুল দোকানের কর্মচারি বলে জানা গেছে।নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম।নিহতের বড় ভাই শামিম সাংবাদিকদের জানান, বিপুল শহরের নামাজগড়ের ব্রেক এন্ড রান নামের একটি প্রতিষ্ঠানে বিলিয়ার্ড খেলছিলো। এসময় ৭/৮ জন যুবক খেলার জন্য সেখানে যায়। তারা এ সময় বিপুলকে সরে যেতে বলেন। কিন্তু বিপুল সরে না যাওয়ায় বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে তাঁরা বিপুলকে ছুরিকাঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় বিপুলকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওই বিলিয়ার্ডের মালিক আরিফ জড়িত আছে বলে নিহতের ভাই দাবি করেন। এঘটনায় অতিঃ পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম জানান জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ নভেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি: নাটোর: গুরুদাসপুরে খেলতে গিয়ে মীর ফাহিম নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি মাদ্রাসার পেছনের বাগানে খেলতে খেলতে লিংকোটন ঢালাইয়ের নিচে পরে মৃত্যু হয়েছে ফাহিমের। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের ধানুড়া গ্রামে। নিহত শিক্ষার্থী ওই এলাকার মীর চান আলীর ছেলে।জানা যায়, ধানুড়া দারুস ছালাম ক্বওমি হাফিজিয়া মাদ্রাসার নাহমীর শ্রেণীর শিক্ষার্থী মীর ফাহিম। মাদ্রাসার পেছনের বাগানে ২টি সুপারী গাছের সাথে প্রায় ১৫-১৬ মণ ওজনের একটি পুরাতন টয়লেটের লিংকোটন ঢালাই হেলনা দিয়ে রাখা ছিলো। শুক্রবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে ওই লিংকটোন ঢালাইয়ের ওপরে গিয়ে খেলছিলো মীর ফাহিম। হঠাৎ করেই ১৫ মণ ওজনের ওই ঢালাই তার শরীরের ওপরে পরে যায়। পরে সহপাঠীদের চিৎকারে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎস তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। নিহত মীর ফাহিমের শরীরে তেমন কোনো গুরুত্বর ক্ষত চিহ্ন দেখা যায়নি।এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার চেষ্টা চলছে। এছাড়াও আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ নভেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর (নাটোর)প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে বিরল প্রজাতির বড় একটি পাখি ও দুইটি বালিহাস পাখিকে উদ্ধার করে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করেছেন ডা.মোঃ আমিরুল ইসলাম সাগর। বৃহস্পতিবার বিকেলে ডাক্তারের ব্যক্তিগত ক্লিনিকের ছাদে ওই পাখি গুলোকে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করেছেন। এছাড়াও পাখি উদ্ধার করে দেওয়া এক ভ্যানচালক কে দুই হাজার টাকা পুরুস্কুত করেছেন তিনি। জানা যায়, চাঁচকৈড় হাজেরা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা.মোঃ আমিরুল ইসলাম সাগর। ডাক্তারি পেশার সুবাদে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে সম্পর্ক তার। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের ভ্যান চালক শামীম আহমেদ ডাক্তার সাগরকে ফোন করে বলে তার বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে এক ব্যক্তি বিরল প্রজাতির একটি বড় পাখি ও দুইটি বালিহাঁস পাখি বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলো। পরে ডাক্তার সাগর তাকে শিকারীর কাছ থেকে পাখি গুলো উদ্ধার করতে বলে এবং শিকারীকে আটক করতে বলে এছাড়াও পাখিগুলোকে উদ্ধার করে তার কাছে নিয়ে আসতে পারলে তাকে দুই হাজার টাকা পুরুষ্কার দেওয়া হবে বলে ভ্যান চালককে জানান। পরে ভ্যান চালক পাখি শিকারীকে ধরার পর গতিবিধি লক্ষ্য করে ঘটনাস্থল থেকে পাখি গুলো রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায় শিকারী। পাখিগুলোকে উদ্ধার করে ডাক্তার সাগরের কাছে নিয়ে আসে ভ্যান চালক শামীম। ভ্যান চালক শামীমকে দুই হাজার টাকা পুরুষ্কার দিয়ে পাখি গুলো বিল্ডিংএর ছাদে গিয়ে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করেন ডাক্তার আমিরুল ইসলাম সাগর। ডা.মোঃ আমিরুল ইসলাম সাগর বলেন, ছোট বেলা থেকেই আমি পাখি প্রেমি। আর বিশেষ করে এই সময়ে আমাদের গ্রাম গুলোতে অতিথি পাখির আগমণ ঘটে। এই পাখিগুলোকে রক্ষা করা দায়িত্ব আমাদের সকলের। তাছাড়াও পাখি শিকার দন্ডনীয় অপরাধ। নিজের দায়িত্ব বোধ ও পাখির প্রতি ভালবাসা থেকেই মাঝে মাঝে এমন কাজ করে থাকি আমি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ নভেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি: শ্রীলঙ্কার শীর্ষস্থানীয় কাঠের কোটিং কোম্পানি জাট হোল্ডিংস পিএলসি সম্প্রতি দেশে ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেছে। সাভারের বিরুলিয়ায় একটি বিশেষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে তাদের প্রথম ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট, গুদামঘর এবং পরীক্ষাগার উন্মোচন করেছে। বাজারে ব্যাকওয়ার্ড ভার্টিকাল ইন্টিগ্রেসন পদ্ধতির সর্বোন্নত মানের কোটিং পণ্য সরবরাহ করতে এই প্ল্যান্টটি তৈরি করা হয়েছে।নতুন এই প্রোডাকশন প্ল্যান্টটি পরিচালনা করবে এশিয়া কোটিংস (প্রাইভেট) লিমিটেড। যা জাট হোল্ডিংস পিএলসি-এর পূর্ণ মালিকানাধীন একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বিখ্যাত জাট কোটিংস সল্যুশনস্ -এর অধীনে কাঠের কোটিং পণ্য তৈরি করে। জলবায়ু-নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় এই প্ল্যান্ট থেকে বিশ্বমানের পিইউ, ইউভি, এবং ওয়াটার-বেসড কোটিং-এর মতো পণ্য তৈরি করা যাবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাট হোল্ডিংস গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক নিশাল ফার্দিনান্দো, ডিরেক্টর-সেলস অ্যান্ড টেকনিক্যাল ওয়াসান্থা গুনারত্নে, বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড রাঙ্গা আবেয়াকুন এবং জেনারেল ম্যানেজার-মার্কেটিং দিলশান রডরিগো সহ আরো অনেক সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্যরা।নতুন ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাসিলিটি চালু করার সময়, সিইও নিশাল ফার্ডিনান্দো বলেন, "ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বমানের কাঠের কোটিং-য়ের পণ্য তৈরির জন্য একত্রিত হয়েছে শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দঘন একটি মুহূর্ত। শ্রীলঙ্কার বাইরে এই প্রথম আমরা অন্য কোনো দেশে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন এবং স্বাধীনভাবে ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাসিলিটি নিয়ে পরিচালনা শুরু করলাম। দক্ষিণ এশিয়ার একটি অন্যতম ব্র্যান্ড হিসেবে জাট হোল্ডিংস পিএলসি-কে প্রতিষ্ঠিত করার আনুষ্ঠানিক শুরু এখানেই।”বাংলাদেশ কান্ট্রি হেড রাঙ্গা আবায়াকুন বলেন, “ঢাকাতে এই ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট চালু করার সঙ্গে সঙ্গে, এশিয়া কোটিংস বাংলাদেশে ১০০জনেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। দেশের কাঠের কোটিং বাজারকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এটি একটি উল্লেখযোগ্য অবদান।”উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে বাংলাদেশে পদার্পণ করে জাট। এরপর ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসার প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ নভেম্বর ২০২২
কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুরে অবৈধ খনন যন্ত্র ভেকু মেশিন দিয়ে পাকা সড়ক সংলগ্ন স্থান থেকে মাটি কাটা বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। অবৈধ মাটি কাটা বন্ধ করায় এলাকার মানুষ তাঁকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৮টায় উপজেলা সদরের চকগোবিন্দ গ্রামের প্রবেশমুখে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভেকু মেশিন দিয়ে পাকা সড়ক সংলগ্ন ভিটে মাটি কেটে পুকুর খনন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রায় পাঁচ ফুট গর্ত করে মাটি কাটা হয়েছে। অসংখ্য ট্রাক্টর দিয়ে সে মাটি অন্যত্র পরিবহণ করা হচ্ছে। তারা ওই সড়কের মাটিও কেটে ফেলেছেন।সেখানে কাজ করা শ্রমিকরা জানান, সদর ইউপির সাবেক মেম্বার উফসের আলী ওই মাটি অন্যত্র বিক্রি করেছেন। জানতে চাইলে সাবেক মেম্বার উফসের আলী জানান, কয়েক বছর আগে তিনি ওই মাটি অন্যত্র থেকে কিনে এনে এখানে ফেলেছেন। এখন তা সরিয়ে নিচ্ছেন।বিষয়টি মোবাইলফোনে সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ হাসান তরফদার শাকিলকে জানালে তিনি জানান যে, ওই রাস্তা ইউনিয়ন পরিষদের নয়, এলজিইডির। তিনি এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ারকে জানানোর পরামর্শ দেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মহাদেবপুর উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মাহমুদের মোবাইলফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। রাতেই বিষয়টি মোবাইলফোনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হোসেনকে জানালে তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান।পরে জানা যায়, তাঁর নির্দেশে সদর ইউপি চেয়ারম্যান চৌকিদার পাঠিয়ে মাটি কাটার কাজটি বন্ধ করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ নভেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা থেকে স্ত্রী হত্যা মামলায় পলাতক আসামি এক ব্যক্তিকে তিন বছর পর গ্রেপ্তার করা হেয়ছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার খামার পাথুরিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৫ সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন জানান।গ্রেপ্তার মো. বেলাল হোসেন (৩৫) নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নওদা জোয়ারি এলাকার বাসিন্দা। মামলার বরাত দিয়ে র্যাব বলেন, বেলাল বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ ভোরে স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন। পরিবারের সদস্যরা এসে, মৃতদেহের জিহ্বা বের হওয়া অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় বেলাল দ্রুত স্ত্রীকে দাফন করে ফেলেন। পরে তিনি পালিয়ে যান। তাদের দুই কন্যাসন্তান রয়েছে।এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। আসামিকে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।র্যাব কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, “সংসারের সচ্চলতা ফেরাতে স্ত্রী একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে বেলালকে মাছের ব্যবসা করতে দিয়েছিলেন। পরে আসামীকে বড়াইগ্রাম পুলিশের কাছে হস্তান্ত করা হয়েছে।বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক বলেন, গ্রেপ্তার কৃত আসামীকে আদালতে মাধ্যমে নাটোর জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ নভেম্বর ২০২২
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: কায়সার রেজা লাবণ্যঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে হোসাইন আলী নামের এক শিক্ষক হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ার প্রতিবাদে এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে।আজ রবিবার দুপুরে রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদের সামনে ধর্মগড় ইউনিয়নের ভরনিয়া সম্পদবাড়ী দক্ষিণপাড়া গ্রামের ও বিভিন্ন এলাকার প্রায় কয়েক হাজার মানুষ এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, রানীশংকৈল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী,ধর্মগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কাসেম,সাবেক চেয়ারম্যান মুকুল হোসেনসহ আরও অনেকে।বক্তারা বলেন,হত্যার ঘটনার ১০দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ মামলা না নিয়ে কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করেও ছেড়ে দিয়েছেন। সেই সাথে ৭২ঘণ্টার মধ্যে মামলা নিয়ে আসামিদের গ্রেফতারেরও আল্টিমেটাম দেন তারা।উল্লেখ্য যে,গত মাসের (২৭'অক্টোবর) বৃহস্পতিবার উপজেলার ভরনিয়া বামনদিঘির পাশে এক আলু ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।শিক্ষক হোসাইন আলী রাণীশংকৈলের ধর্মগড় ইউনিয়নের ভরনিয়া সম্পদবাড়ী দক্ষিণপাড়ার নুরুল ইসলাম ছেলে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ নভেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারে ভোক্তা অধিকার মোবাইল কোর্ট পরিচালানা করেছে।আজ শনিবার বিকেলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে।কৃষি অফিস সূত্রে জানাজায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে মেসার্স শান্তা বীজ ভান্ডার ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে গমের বীজ বিক্রয় করছে। গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিটেন্ড শ্রাবনী রায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মের্সাস শান্তা বীজ ভান্ডার বেশি দামে গমের বিজ বিক্রয় করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ ধারা-৪০। মের্সাস শান্তা বীজ ভান্ডারের পরিচালক মোঃ বাবুল আকতার বাবুকে ৩০০০ টাকা জরিমানা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিটেন্ড শ্রাবণী রায়, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মতিয়র রহমান গুরুদাসপুর থানা পুলিশ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ নভেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্কীনিংয়ে কর্মসুচীতে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেরা ভায়া ও সিবিই কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য শ্রেনীতে (বিভাগীয়) দেশের দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে। গত ২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানাগেছে,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ অডিটরিয়ামে আরম্বরপুর্ন অনুষ্টানে জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্কীনিংয়ে কর্মসুচীতে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেরা ভায়া ও সিবিই কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য শ্রেনীতে (বিভাগীয়) সাফল্যের সম্মাননা স্বরক তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোঃ শরফুদ্দিন আহমেদ ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক,অতিরিক্ত সচিব আশরাফী আহমদ,স্বাস্থ্যঅধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা.আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদআলম,মহাপরিচালক রাসেদা আলম (নার্সিং)উপস্থিত ছিলেন। নাটোরের সিভিল সার্জন ডা.রোজী আরা,গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.মোজাহিদুল ইসলাম,সিনিয়র স্টাফ নার্স লাকি খাতুন স্বমাননা স্বারক গ্রহন করেন।এ উপলক্ষ্যে রবিবার(৬ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অডিটরিয়ামে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমান,উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্রাবনী রায়,পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী,জেলা সিভিল সার্জন ডা.রোজী আরা,গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.মোজাহিদুল ইসলাম,ডাক্তার,নার্স,কর্মকর্তা,কর্মচারীসহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান,পরিচ্ছন্নতা,সামগ্রীক পরিবেশ নিয়ে মতবিনিময় করা হয়। উল্লেখ্য সেবার মান শ্রেনীতে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থান দেশের মধ্যে ১৩ তম।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ নভেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে স্যালো মেশিনের সঙ্গে গলার মালা পেঁচিয়ে মহিরুল আকন্দ (৫২) নামের এক জেলে মারা গেছেন। শনিবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের সাহাপুর এলাকার আত্রাই নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মহিরুল ওই এলাকার মৃত-পিয়ার আকন্দের ছেলে। স্বানীয় সূত্রে জানা যায়, সাহাপুর এলাকার নদীতে স্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে মাছ শিকার করছিলেন মহিরুল আকন্দ। মাছ শিকারের এক পর্যায় নৌকার ইঞ্জিনের কাছে পৌঁছালে গলায় থাকা মালা মেশিনের পাখার সঙ্গে পেঁচিয়ে যায়। পরে নৌকায় থাকা অন্য জেলেরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল মতিন বলেন, একটি ইউডি মামলা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ নভেম্বর ২০২২
আব্দুর রাজ্জাক রাজশাহী: দীপাবলির প্রদীপ জ্বালাতে গিয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থী মৌমিতা সাহা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর)দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) সকালে ওই ছাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন রুয়েট ছাত্রকল্যাণের সহকারী পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ।রুয়েট সূত্র জানা যায়, গত সোমবার (২৪ অক্টোবর) দীপাবলির প্রদীপ জ্বালাতে গিয়েওই শিক্ষার্থী আগুনে পুড়ে যান। ওইদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়টির অস্থায়ী মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে। তিনি রুয়েটের ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি খুলনা জেলা সদরের নগর ভবনের বিপরীত পাশে। ওইদিন রাতেই (২৪ অক্টোবর) রাতেই মৌমিতাকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। দীর্ঘদিন থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিল।শোক জানিয়ে রুয়েটের ম্যাটেরিয়াল স্যায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের লেকচারার পবিত্র প্রসাদ মণ্ডল বলেন, বৃহশ্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালে মৌমিতার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তার লাশ খুলনায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দীপাবলির প্রদীপের আগুন কাল হলো তার। এরকম অনাকাঙ্খিত ঘটনায় বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শোকাহত।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ নভেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্ভুল জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করব, শুদ্ধ তথ্যভাণ্ডার গড়ব’ জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে এবছর জেলার সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এছাড়া গত বছর জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দেশ সেরা হওয়ায় পুরষ্কার অর্জন করে বিয়াঘাট ইউনিয়ন। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আবারো গত সেপ্টেম্বর মাসে জেলার সেরা ইউনিয়ন নির্বাচিত হয়েছেন।ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানাযায়, প্রতি মাসে ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনে টার্গেট ছিলো ৩৭ অর্জন হয়েছে ১০৯, ৪৫ দিন থেকে ১ বছরের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনে টার্গেট ছিলো ৩৭ অর্জন হয়েছে ১৪৮।বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান সুজা বলেন, জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য একটি বিষয়। জন্ম ও মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করেছেন সরকার। সেই সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়ন করতে পরিষদের সদস্য, সচিব, উদ্যোক্তা ও গ্রাম পুলিশের প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের এই সফলতা অর্জন হয়েছে।গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্রাবণী রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় জেলার ৭টি উপজেলা, ৮ টি পৌরসভা ও ৫২টি ইউনিয়নের মধ্যে বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদ প্রথম স্থানে রয়েছে। মাঠপর্যায়ে জেলা প্রশাসক, ইউএনও, স্থানীয় সরকার শাখার সব কর্মকর্তার প্রচেষ্টায় এই সফলতা এসেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ নভেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি: ম্যালচিং পদ্ধতিতে মিশ্র ফল বাগান করে অভাবনীয় সফলতা লাভ করেছেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কুসুমহাট্টি গ্রামের প্রভাষক মাসুদ রানা। প্রথম দিকে শুরু বারো মাসী থাই গোন্ডেন পেয়ারা ও দুই ধরনের কুল চারা দিয়ে। অতঃপর হরেক রকমের ফল ও সবজি চাষে সাফল্য আসায় ফিরেছে ভাগ্য। কৃষিতে নতুন দ্বার উন্মোচন করা দৃষ্টিনন্দন বিশাল ফল বাগান দেখতে ভিড় করছেন ফল প্রেমিকরা।উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে জানা যায়, উপজেলায় মোট ২১০ হেক্টর জমিতে রয়েছে ফল বাগান । এর মধ্যে ১৯০ হেক্টর জমিতে রয়েছে একক ফলের বাগান। বাকি ২০ হেক্টর জমিতে মিশ্র ফলবাগান। আধুনিক প্রযুক্তিতে অল্প খরচে স্বল্প জমিতে হরেক রকমের ফল চাষে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। ক্রমেই বাড়ছে মিশ্র ফল বাগান।সরেজমিনে গতকাল বৃহস্পতিবার গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কুসুমহাট্টি গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে মাসুদ রানা। পেশায় একজন শিক্ষক। তার ১৫ বিঘা জমির উপর ম্যালচিং প্রদ্ধতিতে করেছেন মিশ্র ফল বাগান। তার বাগানে রয়েছে বারোমাসি থাই গোন্ডেন পেয়ারা গাছ ৫হাজার,বলসুন্দরী ও কাশমেরী কুল গাছ ২হাজার,রিড লেডি পেঁপে গাছ ১৫০টি,মালটা গাছ ১৫০টি,বিভিন্ন ধরনের আম গাছ ২০০টি, ছফেদা ফল ১৫টি,১হাজারটি কাঁচা মরিচ ,হলুদ গাছ আর ১বিঘা জমিতে রয়েছে ফিলিপাইন জাতের ব্লাক সুগারকেইন। ফল গাছে মাঝে মাঝে দেখা যায় সবজি গাছ। বাগান মালিক মাসুদ রানা বলেন, শৈশব কালের ইচ্ছা পূরণে ২০২০সালে কৃষি অফিসের পরামর্শে নিজ ৫বিঘা জমি উপর ১০০০টি থাই গোন্ডেন-৮ জাতের পেয়ারা ও ১১০০টি বলসুন্দরী ও কাশমেরী কুল চারা শুরু করেন এই ফল বাগান। এতে খরচ হয় ২ লক্ষ ৫০হাজার টাকা। এক বছরের মাথায় বাগানে ফল ধরতে শুরু করে। সেই বছরেরই আসে সাফল্য। ফল বিক্রিতে লাভ হয় ৬ লক্ষ টাকা। পরে ১০বছরের জন্য বিঘাপ্রতি ১৫ হাজার বিনিময়ে লিজ নেন আরও ১০ বিঘা জমি। বাগান পরিচর্যা ও যত্ন নেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে ১০জন শ্রমিক।১৫বিঘার এই মিশ্র বাগান করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫লক্ষ টাকা। কিছু কিছু ফল গাছে ফল ধরেছে। পরিপক্ক ফল বিক্রি শুরু হয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকায় ভাল দামে বিক্রি হচ্ছে ফল। তিনি আশা করছেন প্রতিদিনের শ্রমিকসহ আনুসাঙ্গিক ধরে প্রতিবছর খরচ হবে ১৫লক্ষ টাকা। আর ফল বিক্রি হবে ৪০লক্ষ টাকা। তিনি আরও জানান,পরিবারে মা ছাড়া অন্য সদস্যদের মত্ত ছিল না। পরবর্তীতে বাগান ও আয় দেখে আমার সাহসের প্রশংসা করেছেন তারা।ফজলু হোসেন ও সুমন রহমান বলেন , এক বাগানে হরেক রকমের ফল গাছ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে কৃষি অফিস ও মাসুদ রানার পরামর্শে দুই বিঘার উপর এই ধরনের বাগান করেছি। সাফল্য আসলে বড় আকারে করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে।কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বলেন,মাসুদ রানার মিশ্র বাগানে কৃষি বিভাগ হতে মালচিং প্রযুক্তি সরবরাহ করেছি। এতে তার বাগানে খরচ কমেছে এবং বেড়েছে ফলন। আগ্রহী অনেক কৃষক যোগাযোগ করছেন। তাদের কৃষিবিভাগ থেকে পরামর্শ ও প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে।#৩-১১-২০২২শ/ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ নভেম্বর ২০২২
আজ সকালে ১০:০০ টার সময় বাংলাদেশ স্কাউটস্ এর সহযোগিতায় জীবননগর উপজেলা স্কাউটস্ এর উদ্দ্যোগে উপজেলা প্রশাসন সংলগ্ন মাঠে উপজেলা কাব হলিডে আয়োজন করা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার ,জীবননগর ও উপজেলা স্কাউটস্ এর আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃহাফিজুর রহমান,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্কাউটস্ এর কমিশনার আবু মোহাম্মদ আবদুল লতিফ অমল,উপস্থিত ছিলেন উথলী ইউপি চেয়ারম্যান ও সহকারী কমিশনার আবুল কালাম আজাদ সহ উপজেলা পর্য্যায়ের কর্মকর্তা ,উপজেলা স্কাউটস্ কর্মকর্তাবৃন্দ ও কাব স্কাউটস্ ও শিক্ষকবৃন্দ। কাব হলিডেতের উপজেলা ২৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাব স্কাউটরা অংশ নেয়।এমকে/হো
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি:নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় কলা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। অনেক কৃষকের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ফিরেছে কলাচাষে। কলার বাম্পার ফলন সেই সাথে ন্যাযমুল্য পাওয়ায় এই অঞ্চলের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে শ্রম ও খরচ খুবই কম। জৈব সার ব্যবহার করে কলা চাষ করার ফলে স্থানীয় বাজারে এ কলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।ছোট ভ্যান, ট্রলি, নছিমন-করিমনে যে যার মতো করে কলা নিয়ে আসছেন হাটে। সাজিয়ে রাখা হচ্ছে কলার হাটজুড়ে। দুরদুরান্ত থেকে ফরিয়া মহাজনরা আসছেন সেই কলা কিনতে। যাবে বিভাগীয় শহর থেকে দেশের নানাপ্রান্তে। উৎসুক কৃষান কৃষানীদের ব্যস্ততার যেন শেষ নেই। ভোররাত থেকেই চলছে কলা কাটা আর গাড়িতে সাজানোর কাজ। যতদুর চোখ যায় শুধু কলা আর কলা। পাশেই দাড়িয়ে রয়েছে সারি সারি কলাবাহী ট্রাক।শুক্র ও শনিবার বাদে সপ্তাহে ৫ দিনই হয় কলা বেচা কেনা। এমন চিত্র দেখা যায় চলনবিল অধ্যুষিত গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর হাটে।গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামের কলাচাষী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, মাছের পাশাপাশি পুকুর পাড়ে কলাচাষ করেছি। মাছে লাভ কম হলেও কলায় প্রচুর লাভ হয়েছে। একবার কলার গাছ লাগালে ৩ থেকে ৪ মৌসুম বিক্রি করা যায়। এবছর ৩০ বিঘার পুকুর পাড়ে কলার চাষ করেছিলাম। খরচ বাদে শুধু কলাতেই চার লাখ টাকা লাভ হয়েছে।শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজের প্রভাষক কৃষিবিদ জহুরুল হক সরকার বলেন, আমি এক একর জমিতে কলাচাষ করেছি। বিঘাপ্রতি ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা খরচ করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার কলাবিক্রি করেছি। এই এলাকার মাটি অত্যন্ত উর্বর। তাই ফসলের পাশাপাশি সব ধরনের ফল, যেমন- ভাঙ্গি, তরমুজ, লিচু, আম ও কলা ভালো হয়। একারণে এই এলাকার কৃষকরা ফসলের সাথে ফলচাষেও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে।নাজিরপুর হাট ইজারাদার নজরুল ইসলাম জানান, গুরুদাসপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ছাড়াও নাটোরের সিংড়া ও বড়াইগ্রাম থেকে প্রচুর পরিমানে কলা আসে এই হাটে। এখানে প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ ট্রাক কলা দেশের নানা প্রান্তে যাচ্ছে। প্রতি কাইন কলা আকার ভেদে ৩শ থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। চলনবিলের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন গড়ে দুই শতাধিক ট্রেন কলা আসে এই হাটে।কলা চাষে সফল চাষী মজিবর রহমান বলেন, জৈব সার ব্যবহার করার কারণে এখানে ফলন ভালো হয়। এছাড়াও অন্যান্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশি এবং খরচ কম হওয়ায় আমাদের এলাকার কৃষকরা এখন কলাচাষে ঝুকছে বেশি। আমি ৫ বছর যাবত কলাচাষ করছি। এ বছর ১০ বিঘা জমিতে সাগর কলা, অমৃত সাগর, মেহর সাগরসহ বিভিন জাতের চারা রোপণ করেছিলাম। প্রতি বিঘা জমিতে ৩শ থেকে ৪শ চারা রোপণ করা যায়। বছর খানেকের মধ্যেই রোপণকৃত গাছ থেকে কলা পাওয়া যায়। আমার কলাচাষে সফলতা দেখে এলাকার কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মতিয়র রহমান বলেন, গত বছর উপজেলায় ২৫০ হেক্টও জমিতে কলাচাষ করা হয়ে ছিলো। এবছর আরও ৫০ হেক্টর কলাচাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কলা চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ অক্টোবর ২০২২
মো কামাল হোসেনঃওয়েভ ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় লিড বাংলাদেশ প্রকল্পের মিট আপে আন্দুলবাড়ীয়ার তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মিতুল হোসেন ও তার টিম এর উদ্যোগে গড়া সোসাইল একশন প্লান ফ্রেশ ফুড এগ্রো'র সাথে ভেজালমুক্ত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা, সামাজিক ব্যবসার বিস্তার, নায্য মূল্যে বিপণন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সঠিকভাবে বাজারজাত করণের প্রয়োজনীয়তা তুলে আন্দুলবাড়ীয়ার যুবদের নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকাল ৪ টায় আন্দুলবাড়ীয়ার যুবদের নিয়ে আন্দুলবাড়ীয়া কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এ কমিউনিটি ফলো আপ মিটিং সম্পন্ন করা হয়।এসময় বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন লিড বাংলাদেশ প্রকল্পের চুয়াডাঙ্গা প্রকল্প কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, ইয়ুথ টিম লিডার মোঃনাঈমুর রহমান খান,মোঃ মিতুল হোসেন ,তাছলিম উদ্দীন, আরিফুল ইসলাম, মোঃ রিয়াদ মন্ডল, আসামুল, মোঃহিরণ, রুমন হোসেন, আরাফাত,সাইফুজ্জামান,হাবিব শেখ, শাওন, আশিক হোসেন,সামাল, প্রান্ত,শীতল, আসাদ সহ স্থানীয় আরও অনেকেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ অক্টোবর ২০২২
গুরুদাসপুর (নাটোর)প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় ধানক্ষেতে উপকারী ও ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি শনাক্তকরণ ও দমনে আলোর ফাঁদ প্রযুক্তির ব্যবহারে কাজ করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। গুরুদাসপুরে ইতিমধ্যে কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ধান ক্ষেত সুরক্ষাকারী উদ্ভাসিত এই প্রযুক্তির ব্যবহার। আলোর ফাঁদ ব্যবহারে নিরাপদ ফসল উৎপাদনের সুফল পেতে শুরু করেছে এখানকার কৃষকরা।কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, নাটোর জেলার এক তৃতীয়াংশ ধান উৎপাদন হয় এই গুরুদাসপুর উপজেলাতে। ফলে ধানের ক্ষেতের আলোর ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে পোকা শনাক্ত করণে কাজ করছেন এখানকার কৃষি বিভাগ আলোক ফাঁদ তৈরিতে হারিকেন, বৈদ্যুতিক চার্জার বাল্ব ও বাঁশ অথবা স্টিলের খুটি দরকার হয়। সন্ধ্যার আগ মূহুতে ধানখেত থেকে ৫০ থেকে ১০০ মিটার দূরে ফাঁকা জায়গায় বাঁশের খুঁটি অথবা স্টিলের সাহায্যে মাটি থেকে ২-৩ ফুট ওপরে একটি বাল্ব জ্বালিয়ে এর নিচে পাত্রে মিশ্রিত ডিটারজেন্ট পাউডার অথবা কেরোসিন মিশ্রিত পানি রাখতে হয়।উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ক্ষেতের পোকা শনাক্ত করণ জানা ছিল না। কৃষি অফিসের মাধ্যমে আলোর ফাঁদ এ প্রযুক্তির স্থাপন ও এর উপকারিতা নিজ চোখে দেখলাম। ব্যবহারে জানলাম ধান ক্ষেতের পোকা উপস্থিতি নির্ণয়। স্বল্প খরচে খুব সহজেই এ আলোর ফাঁদ তৈরির কৌশল ।গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রারণ কর্মকর্তা মতিয়র রহমান বলেন, আলোর ফাঁদ একটি পরিবেশ বান্ধব, পোকামাকর উপস্হিতি টের পাওয়া ও পর্যবেক্ষক পূর্বক ব্যাবস্হা নেওয়া যায়। নিরাপদ ফসল উৎপাদনের অন্যতম বিষমুক্ত প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি ব্যবহারে করে পোকামাকড় শনাক্ত যেমন সহজ হচ্ছে কীটনাশক ব্যাবহার কমে আসবে । কমে আসবে কৃষকদের উৎপাদন খরচ। বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন করা সহজ হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ অক্টোবর ২০২২