রাজিবুল ইসলাম রক্তিম ( বগুড়া প্রতিনিধি) - কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে অভিনন্দন জানিয়েছে আনন্দ মিছিল করেছে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ।(২১ ডিসেম্বর) বুধবার বিকাল সাড়ে চারটায় বগুড়ার সাতমাথা জেলা আওয়ামী লীগ পার্টি অফিস থেকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসে এসে শেষ হয়।উক্ত আনন্দ মিছিল উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়, শাহ সুলতান কলেজ শাখার সভাপতি আতিকুল রহমান আতিক, পৌর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাকিবুল হাসান, শাহজাহানপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা তানভির হোসেন রিফ। আজিজুল হক কলেজের ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত হোসাইন, জেলা ছাত্রলীগ নেতা সফল খান সহ অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আনন্দ মিছিল শেষে তার বক্তব্যে তিনি বলেন, নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান নির্বাচিত হয় বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের এই আনন্দ মিছিলের আয়োজন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ ডিসেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে জাহিদুল ইসলাম ও মারুফ আহম্মেদ নামের দুই যুবককে বেধরক পিটিয়ে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার(২১ ডিসেম্বর)রাত সাড়ে ৮ টার দিকে চাঁচকৈড় রসুন হাট নতুন ব্রীজ এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। আহত এক যুবককে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত যুবকরা পৌরসদরের আনন্দ নগর মহল্লার বাসিন্দা। অভিযুক্তরা আনন্দ নগর ও খলিফা পাড়ার বাসিন্দা। এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।অভিযোগের কপি ও ভুক্তভোগী যুবক জাহিদুল ইসলাম জানান, তিনি চাঁচকৈড় বাজারের স্বনির্ভর সিড্স এর ম্যানেজার। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তিনি ও তার সহযোগী মারুফ আহম্মেদ বিদ্যুৎ রসুন হাট নতুন ব্রীজের মাঝখানে পৌছালে ১০/১১ জনের একটি সংঘবদ্ধচক্র তার কাছে থাকা টাকা বের করে দিতে বলে। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে ছিনতাইকারীচক্র আতর্কিত হামলা চালিয়ে ১লক্ষ টাকা ও দুজনের দুটি ফোন ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ছিনতাইকারীচক্র পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।অপর যুবক মারুফ আহম্মেদ জানান,ছিনতাইকারীর দল জাহিদুল ও তার পথরোধ করলে তিনি প্রায়ভয়ে দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করেন। এসময় ওই চক্রটি ব্রীজের খলিফাপাড়া প্রান্তে এসে তাকে আটকিয়ে পিটিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। ব্রীজের মাথার রঙ্গিন আলোয় মাহাবুর,ফেরদৌস,জুয়েল রানাকে তিনি সনাক্ত করেছেন। তারা আনন্দনগর ও খলিফা পাড়ার বখাটে যুবক। তিনি স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারহানা জানান, রাত নয়টার দিকে জাহিদুল ইসলাম নামের এক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আাসেন। তার শরীরের বেশ ক’জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।গুরুতর আহত জাহিদুল ইসলামের বড়ভাই সাজেদুর রহমান বাদী হয়ে রাতেই গুরুদাসপুর থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪/৫ জনের নাম অজ্ঞাত রেখে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন।গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মতিন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহণ হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ ডিসেম্বর ২০২২
বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে অগ্নি সংযোগ ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতাকর্মী।গত (১৯ ডিসেম্বর) ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা দলীয় কার্যালয়ের তালা খুলে ছাত্রলীগ কার্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করে কার্যালয় ত্যাগ করেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করার পর পদবঞ্চিত ছাত্রলীগের কিছু উশৃংখল নেতাকর্মী কার্যালয়ে প্রবেশ করে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করেন কমিটির সভাপতি সজীব সাহা সাধারণ সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম।এ ভাঙচুরো অগ্নিসংযোগ এর প্রতিবাদে (২০ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতা কর্মীরা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি নিয়ে সাতমাথা এলাকা থেকে শুরু করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে আলোচনা সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ ডিসেম্বর ২০২২
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ট্রাকচাপায় আফসার আলী (৪৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের মহেশপুর বিটিসি মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আফসার লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বেতগ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেল আরোহী দুই ব্যক্তি রংপুর থেকে বগুড়ার দিকে যাচ্ছিল। পথে মহেশপুর বিটিসি মোড় এলাকায় পিছনে বসে থাকা আফসার আলী আচমকা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। এসময় রংপুরগামী একটি ট্রাক তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আফসারের মৃত্যু হয়।পলাশবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের সাব-স্টেশন অফিসার লোকমান হোসেন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ ডিসেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি..নাটোরের গুরুদাসপুরে দুই সাংবাদিকের দায়িত্ব পালনে বাধা ও ভিডিও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে কৃষক হাবিবুর রহমানসহ তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে । এবিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক গুরুদাসপুর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ বলছে আসামী গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে।ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও মামলার নথিসুত্রে জানা গেছে,গত শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) গুরুদাসপুর উপজেলায় কর্মরত দৈনিক ঢাকা প্রতিদিনের উপজেলা প্রতিনিধি জনি পারভেজ ও এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান তানিম সরিষা আবাদের ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরীর জন্য উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের বিলশায় সরেজমিনে কৃষি জমিতে যান। সে সময় তারা কিছু স্থিরচিত্র ও ভিডিও ধারন করেন। এরইমধ্যে সরিষা জমির মালিক বিলশা গ্রামের মৃত সুফিদ সরদারের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৫) ও আরও ৪/৫ জন সহযোগী সাংবাদিকদের ছবি ও তথ্যচিত্র মুছে ফেলতে বলে। সাংবাদিকরা তা অস্বিকার করলে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে হাবিবুর ও তার সহযোগীরা ধস্তাধস্তি করে এশিয়ান টেলিভিশনের ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেন। তারা সাংবাদিকদের দেখে নেবার হুমকিও দেন।এবিষয়ে দৈনিক ঢাকা প্রতিদিনের উপজেলা প্রতিনিধি জনি পারভেজ বাদী হয়ে হাবিবুর রহমানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নম্বর ২০- ১৭/১২ ২২)। ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক জানান,তাদের দায়িত্ব পালনে বাধাসৃষ্টি করে গালাগালি করে ভিডিও ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও ছিনিয়ে নেয়া সামগ্রী ফিরে পেতে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা চান তিনি।অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বড়ভাই ইউপি সদস্য হাসান আলী জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ফসল নষ্টের অভিযোগ করে তিনি দাবী করেন, ক্যামেরা ছিনতায়ের বিষয়টি সত্য নয়,তবে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ও সাংবাদিক সংগঠনের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চলছে। খুবজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম দোলন জানান,বিষয়টি তিনি শুনছেন। স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে।গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আব্দুল মতিন জানান,এ বিষয়ে একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতার ও তাদের ব্যবহৃত ক্যামেরা ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।১৯/১২/২২শরিফুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ ডিসেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস ২০২২ পালিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে এ উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে উপজেলা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।এরপরে সকাল সাড়ে ৮ টায় গুরুদাসপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পায়রা অবমুক্ত ও বেলুন উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি স্বানীয় সাংসদ মোঃ আব্দুল কুদ্দুস। দিবসটি উপলক্ষে কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত প্রার্থনা ও দুস্থদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়া রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়।উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায়ের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, পৌর মেয়র মো. শাহনেওয়াজ আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলাল শেখ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাকিল, ওসি মো. আব্দুল মতিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. আনিসুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আব্দুল মতিন, । এছাড়াও উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ,সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, উপজেলার সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী. রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ নানা শ্রেণি পেশার হাজারো জনতা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ ডিসেম্বর ২০২২
গাবতলী ইউনিয়নের পাঁচবার নির্বাচিত সাবেক সফল চেয়ারম্যান, সোন্দাবাড়ী আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, আরেফুর রহমান বাদশা অদ্যই পনে বারোটায় ইন্তেকাল করেছন। আরেফুর রহমান বাদশা সোন্দাবাড়ী তালুকদার বাড়ির মরহুম আজাদুর রহমান তালুকদারের বড় ছেলে।বর্নাঢ্য এ জীবনে তিনি ৪ ছেলে ও ৯ মেয়েসহ অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গিয়েছেন। তিনি সোন্দাবাড়ী দারুল হাদিস রহমানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার সাবেক সভাপতি,রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক সদস্য ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ছিলেন।তার নামাজে জানাজা আগামীকাল বাদ জুম্মা সোন্দাবাড়ী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সবাইকে শরীক হওয়ার জন্য জানানো হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ ডিসেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি : দারিদ্র্যতাকে জয় করে পরিবারে আনবেন স্বচ্ছলতা। মায়ের নামে বানাবেন সুন্দর একটি বাড়ি। পাঠাবেন রেমিট্যান্স। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে দেশের অর্থনীতিতে রাখবেন ভূমিকা। কান্না জড়িতকণ্ঠে সন্তানের এমনই অনেক আশার কথা জানালেন হত দরিদ্র মা ছবেদা বেগম (৬০)। কারণ ভাগ্য বদলের আশায় জমিজমা বন্ধক, স্বর্ণালংকার বিক্রি ছাড়াও ঋণের টাকায় সৌদি আরব গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন তার ছেলে শরিফুল ইসলাম (২০)। শরিফুল নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ইমাদারপাড়া গ্রামের রমজান মোল্লার ছেলে।ছবেদা বেগম বলেন, ভালো চাকরি দেয়ার কথা বলে নাজিরপুরের রানীনগর গ্রামের রাজ্জাক মোল্লার ছেলে জুয়েল মোল্লা (৩০) সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়ে সাত মাস আগে তার ছেলে শরিফুলকে কাজের কথা বলে ৯০দিনের টুরিস্ট ভিসায় সৌদি আরব পাঠায়। কথা ছিল ভালো বেতনের চাকরি দেওয়া হবে শরিফুলকে। সেখানে গিয়ে কোনো চাকরি দেওয়া হয়নি তার ছেলেকে। তাই ছেলের জন্য ধার-দেনা করে দেশ থেকে টাকা পাঠাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এদিকে গত চার মাস আগে শেষ হয়েছে ভিসার মেয়াদ। তাই থাকতে হচ্ছে লুকিয়ে। সেখানে ভয় আর কষ্ট নিয়ে মানবেতর জীবন পার করছেন তার ছেলে। রহিমা আরও বলেন, এ বিষয়ে জুয়েল ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বললে তারা খারাপ আচরণ করে এবং হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় শরিফুলের চাচা আবু তালেব বাদী হয়ে জুয়েলসহ চার জনকে আসামি করে গুরুদাসপুর থানায় একটি জিডি করেন।একইভাবে জুয়েলের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হয়েছেন, নাজিরপুর ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের রহিম আলী (৩২), রশিদপুর গ্রামের ইয়াছিন আরাফাত (২৬) ও ইমাদারপাড়া গ্রামের রইছ উদ্দিন (২৫)। চাপিলা ইউনিয়নের বৃ-পাথুরিয়া গ্রামের কামরুল ইসলাম (২২) এবং তাড়াশ উপজেলার ধামাইচ গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৩২)।ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের অভিযোগ, চাকরি না পেলে দেশে ফিরিয়ে দেবার আনুরোধ জানান। বেতন না পেলে জুয়েল দেশ থেকেই বেতনের টাকা দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদেশ পাঠিয়েছেন তিনি। তাদের কাছ থেকেও নেওয়া হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ করে টাকা। তবে কারো কপালেই জোটেনি চাকরি। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় পালিয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। ঠিকমতো খাবার ওথাকার জায়গা পাচ্ছে না সবাই। খাবারের অভাবে একটি রুটি ছয় জন মিলে ভাগাভাগি করেও খাচ্ছেন তারা। কিন্ত জুয়েল এখন কোনো কথাই শুনছেন না। উল্টো বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। এ ব্যাপারে সঠিক তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ও যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারসহ এলাকাবাসী।অভিযুক্ত জুয়েল বলেন, আমার কাজ শুধু তাদেরকে বিদেশে পাঠানো। চাকরি না পাওয়ার জন্য আমি দায়ী নই। এটা তাদের ভাগ্যের দোষ।নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, জুয়েলের বিরুদ্ধে এসব বিষয় নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদেও একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ভুক্তভোগীর পক্ষে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন বলেন, এ বিষয়ে একটি এনজিআর মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদনটি বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : সারা দেশের ন্যায় নাটোরের গুরুদাসপুরেও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায়ের সভাপতিত্বে উপজেলা চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা ভবন কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর মোড়ালসহ উপজেলার বিভিন্ন শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় সহকারী কমিশনার (ভুমি) মেহেদী হাসান শাকিল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাল শেখ, গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মতিন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ওয়াহেদুজ্জামান, কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মিলন হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।আলোচনা সভায় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙালি জাতিকে মেধা শূণ্য করার লক্ষ্যে তারা তাদের এ দেশীয় দোসরদের নিয়ে শিক্ষক, শিল্পী, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, প্রকৌশলী, চিন্তক, আইনজীবী, সরকারী কর্মকর্তাসহ বহু মানুষকে হত্যা করে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
গ্রামে ঠিকমতো কাজ পাওয়া যায় না। মজুরিও কম। তাই পরিবারের অভাব-অনটন মেটাতে কাজের সন্ধানে নিজের জেলা ছেড়ে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীর বালিগাঁও বাজারে জড়ো হন অনেক শ্রমিক। এ থেকে যা আয় হয়, তা দিয়েই সংসার চালান তাঁরা।এমন এক শ্রমিক সুভাষিণী। তিনি কুড়িগ্রামের বাসিন্দা। কাজ খুঁজতে স্বামী-সন্তানসহ তিনি এক মাস ধরে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীর শ্রমের হাটে আসেন। শুধু সুভাষিণী নন, তাঁর মতো এমন সাত থেকে আট শ নারী ও পুরুষ শ্রমিক রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে আসেন কাজের সন্ধানে।সুভাষিণী বলেন, ছয় বছর ধরে এই হাটে তাঁরা শ্রম বিক্রির জন্য আসেন। কৃষিজমি পরিষ্কার, আলু লাগানোসহ দিন চুক্তিতে সব ধরনের কৃষিকাজ করেন তাঁরা। ছয় মাস চলে তাঁদের কাজ। যে টাকা আয় হয়, সেটা দিয়ে সারা বছর সংসার চালান তাঁরা।স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে মুন্সিগঞ্জ আলুর জন্য নাম করেছে। প্রতিবছর কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলুর আবাদ টঙ্গিবাড়ী উপজেলায়। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আলু আবাদ ও উত্তোলন করতে হয়। এ জন্য অনেক শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। তবে মুন্সিগঞ্জে চাহিদার তুলনায় শ্রমিকের সংখ্যা ছিল কম। আর উত্তরাঞ্চলের মানুষের ছিল কাজের অভাব। ২০ বছর আগে চাহিদা ও জোগানের একটা সমন্বয় হয়। উত্তরাঞ্চলের শ্রমিকেরা এদিকে আসতে শুরু করেন শ্রম বিক্রির জন্য। প্রথম দিকে ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রমিক এখানে আসতেন। পরে এই সংখ্যা বাড়তে থাকে। ১০ বছর আগে এই সংখ্যা বেড়ে দুই থেকে তিন হাজার হয়ে যায়। তবে কৃষিজমি ও কাজ কমতে শুরু করায় হাটে শ্রমিক আসা কমে গেছে। এখন সাত থেকে আট শ শ্রমিক প্রতিদিন এখানে শ্রম বিক্রি করতে আসেন।বালিগাঁওয়ের অদূরেই আউটশাহী ইউনিয়ন। সেই ইউনিয়নের বরুন্ডা গ্রাম থেকে শ্রমিক নিতে এসেছেন আলী আজগর। তিনি বলেন, আলুর জমি প্রস্তুত করার জন্য ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক দরকার। একসঙ্গে এত শ্রমিক শুধু এই হাটেই পাওয়া যায়। দিনপ্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পারিশ্রমিকে একেকজন শ্রমিক পাওয়া যায়। তাই ১০ বছর ধরে ৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এই হাটে এসে শ্রমিক নিয়ে যান তিনি।আজ বুধবার ভোরে বালিগাঁও বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাজারের সামনে মুন্সিগঞ্জ-বালিগাঁও-লৌহজং সড়কের দুই পাশে অন্তত ৪০০ থেকে ৫০০ জন শ্রমিক সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী। স্থানীয় কৃষকেরা এসব শ্রমিকদের মধ্য থেকে দরদাম করে জমির কাজের জন্য শ্রমিক নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেক শ্রমিক দিন চুক্তিতে কাঙ্ক্ষিত মূল্যে কাজ করতে দর–কষাকষি করছেন।কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর নভেম্বর থেকে পরবর্তী বছরের এপ্রিল পর্যন্ত তাঁদের কাজের চাহিদা থাকে। এই সময় তাঁরা বালিগাঁও ও আশপাশের খুপরি, স্কুলের বারান্দা, নদীর পাড়ে অস্থায়ী বসতি করে থাকেন। আলুর জমি প্রস্তুত, আলু লাগানো ও আলু তোলার কাজ শেষ করে মুন্সিগঞ্জ থেকে চলে যান।রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মঞ্জু রানী বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেশি। পেটের দায়ে কাজ করতে মুন্সিগঞ্জে এসেছি। এখানেও কাজের চাহিদা কমে গেছে। গত বছর দিনভিত্তিক ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা মজুরি পেলেও এবার ৩০০ টাকার বেশি পাওয়া যাচ্ছে না।’গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর এলাকার বাসিন্দা রাসেল। সস্ত্রীক বালিগাঁওয়ে কাজের সন্ধানে এসেছেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার আগে তাঁরা শ্রম বিক্রির হাটে এসে বসে থাকেন। কখনো কাজ পান, কখনো পান না।সূত্র- প্রথম আলো
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
রাজিবুল ইসলাম রক্তিম: বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের পোড়াদহ, ছয়মাইল এলাকায় কৃষি জমিতে এক্সভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে চলছে পুকুর খননের কাজ। এরপরে ঢাকনাবিহীন ট্রলি ও ট্রাকে করে বিক্রি করা হচ্ছে সেই মাটি। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পুকুর খনন ও মাটি বহনে নষ্ট হচ্ছে রাস্তার স্থায়িত্ব। এছাড়া খোলা যানবাহন বহনের কারণে রাস্তার ওপর পড়ে জমছে মাটির আস্তরণ। এতে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। সেইসাথে ধুলা উড়ে পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকসহ যাত্রীরা দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন।এলাকাবাসীরা জানান, পুকুর খনন ও মাটি ব্যাবসায়ী মহিষাবান ইউনিয়নের রানীর পাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ, ছয়মাইল এলাকায় কুখ্যাত জুয়ারু হাম্বি, একই এলাকার হাম্বির ভাগিনা মাসুদ, চকমড়িয়া গ্রামের আব্দুল হান্নান, কর্নিপাড়া গ্রামের আবু সাঈদ, মাহিষাবান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহজাহান আলী ও আব্দুল রাজ্জাক ওরফে চিকে রাজ্জাক। শীত মৌসুম এলেই ফসলি জমির মাটিকে প্রধান টার্গেট করে বছর শুরু করে চলে তাদের মাটি বিক্রির রমরমা ব্যবসা। এতে হারিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে অভিযান পরিচালনা করেও কিছুতেই বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ভূমি দস্যুরা সরকার দলীয় এবং এলাকার প্রভাবশালী হওয়াতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নির্বিচারে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশের জমির এক কৃষক বলেন, এ পুকুর খননের জন্য তাদের ফসলসহ জমিও নষ্ট হচ্ছে। পুকুর খননের কারণে জলাবদ্ধতাও সৃষ্টি হবে। আমার জমি ভেঙ্গে পুকুরের মধ্যে চলে যাবে। আমরা বাধা দিয়ে বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি যাতে করে আমরা কৃষকেরা বাঁচতে পারি।এ বিষয়ে ভূমি দস্যুদের কথা বললে তারা জানান, সব কিছু ম্যানেজ করেই পুকুর ও মাটি খননের কাজ করেছি। আর ট্রলিতে করে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণাধীন ভবন, ডোবা, পুকুর ও ভরাটসহ বিভিন্ন কাজে এই মাটি বিক্রি করছি।তারা আরো জানান, আপনারা পত্রিকাতে রিপোর্ট করে কি করবেন যেখানে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কোন মাথা ব্যাথা নাই আপনাদের কেন এত মাথাব্যথা?মহিষাবান ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ জানান, 'আমার ইউনিয়নের মধ্যে এমন কাজ কেউ করে থাকলে অবশ্যই দ্রুত বন্ধ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করবো'।গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান আল-ইমরান জানান, 'সরকারি সম্পদ বা জনগনের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজন সরেজমিনে গিয়ে মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলায় আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।আজ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সন্দ্বীপ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতার আপন ছোট ভাই, বাউরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে শতাধিক লোকের মিছিল নিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা।হামলাকারীরা ফাউন্ডেশনের চেয়ার, টেবিল, প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত ফ্রেম ভাঙচুরসহ নগদ টাকা লুটপাট করেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।কর্মকর্তারা আরও জানান, হামলার প্রতিরোধ করতে গেলে ফাউন্ডেশনের দুইজন কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে হামলাকারীরা। বর্তমানে তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হচ্ছে ।সন্দ্বীপ থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে অবস্থান করে ঘটনা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।আত্মমানবতার সেবায় প্রতিষ্ঠিত, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আব্দুল কাদের মিয়ার অর্থায়নের এই ফাউন্ডেশনটি পরিচালিত।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি. নাটোররের গুরুদাসপুর উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন হাজী মো. মোশারফ হোসেন, সাধারন সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম বিপ্লব ও আবু আহসান টগর কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন।মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩ টায় চাঁচকৈড় বাজারের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন- মো. জাহিদুল ইসলাম, হাজী জাকির হোসেন সোনার, হাজী জুমির উদ্দিন মন্ডল, হাজী আমজাদ হোসেন, হাজী আজাহার আলী, আল মামুন, হাজী মো. রানা, ছাবেদুল ইসলাম ও মো. শাহজাহান আলী।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরের নাজিরপুর ইউনিয়নের লক্ষিপুর মৌজায় কৃষি জমিতে এক্সভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে চলছে পুকুর খননের কাজ। এরপরে ঢাকনাবিহীন ট্রলিতে করে বিক্রি করা হচ্ছে সেই মাটি। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পুকুর খনন ও মাটি বহনে নষ্ট হচ্ছে রাস্তার স্থায়িত্ব। এছাড়া খোলা যানবাহনে বহনের কারণে রাস্তার ওপর পড়ে জমছে মাটির আস্তরণ। এতে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। সেইসাথে ধুলা উড়ে পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকসহ যাত্রীরা দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন।এলাকাবাসীরা জানান, পুকুর খনন ও মাটি ব্যাবসায়ী নাজিরপুর ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে মো. শাহীন আলী। শীত মৌসুম এলেই ফসলি জমির মাটিকে প্রধান টার্গেট করে বছর শুরু করে চলে তার মাটি বিক্রির রমরমা ব্যবসা। এতে হারিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। প্রশাসনের পক্ষ হতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হলেও কিছু দিন বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয় কাজ। তারা আরও জানান, রাস্তার সাথে বাড়ি হওয়ায় ছোট শিশুদের নিয়ে তারা সবসময় ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এছাড়া পাশেই রয়েছে একটি বিদ্যালয়। কখন বুঝি একটা দুর্ঘটনা ঘটে যায়। সেইসাথে মাটি বহনে অপরিচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে তাদের বাড়িঘর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশের জমির এক কৃষক বলেন, এ পুকুর খননের জন্য তাদের ফসলসহ জমিও নষ্ট হচ্ছে। জলাবদ্ধতাও সৃষ্টি হবে। আমরা বাধা দিয়ে বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হয়েছি। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।এবিষয়ে শাহীন আলী বলেন, সুবকিছু ম্যানেজ করেই পুকুর খননের কাজ শুরু করেছেন তিনি। আর ট্রলিতে করে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ বা ডোবা, পুকুর ভরাটসহ বিভিন্ন কাজে এই মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, এমন কাজ কেউ করে থাকলে তা দ্রুত বন্ধ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় বলেন, সরকারি সম্পদ বা জনগনের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ বরদাস্ত করা হবে না। সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ সামিট (এসএপিএস) ও বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডসে দুটি পুরস্কার জিতেছে জ্যাট হোল্ডিংস পিএলসি। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে শীর্ষস্থানীয় কাঠের কোটিং কোম্পানিটির বাজারে অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে। বাংলাদেশের ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়া এসএপিস বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠান ২০২২-এ “সেরা পেইন্ট ও কোটিং প্রস্তুতকারক (লার্জ)” এবং “সেরা পেইন্ট ও কোটিং রপ্তানিকারক (লার্জ) — এই দুই বিভাগে এসএপিএস বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। দক্ষিণ এশিয়ার সেরাদের সম্মাননা ও পুরস্কার দিয়ে থাকে সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড। এর মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক এই বাজারে বিভিন্ন শিল্পের ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি জানানো হয়। এ বছর জ্যাট হোল্ডিংসের পক্ষে পুরস্কার নেন সিইও/এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নিশাল ফার্দিনান্দো। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সেলস অ্যান্ড টেকনিক্যাল বিভাগের ডিরেক্টর ওয়াসান্থা গুনারত্নে, বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড রাঙ্গা আবায়াকুন এবং মার্কেটিং বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার দিলশান রডরিগো। এই অর্জনে আনন্দ প্রকাশ করে সিইও নিশাল ফার্দিনান্দো বলেন, “বৈশ্বিক মহামারি থেকে শুরু করে বর্তমান অর্থনৈতিক ও জ্বালানি সংকটের মতো চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আমরা আমাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা, সাবলীলতা ও দৃঢ়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। এসব স্বীকৃতি এরই প্রমাণ দেয়। পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থা দ্বারা বিবেচিত সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা এবং নতুন পণ্য তৈরি ও বাজারে আনার সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। এসব নতুন পণ্যের মধ্যে আছে হোয়াইট বাই জ্যাট, মাস্টার্স অল-ইন-ওয়ান উড কোটিং এবং অল-ইন-ওয়ান সিলিং কোটিং। একইসাথে সেয়ারল্যাক, জে কেম ও ব্রাশ মাস্টার-এর মতো আমাদের প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডগুলোর বৃদ্ধিও আমরা নিশ্চিত করছি। ব্যাকওয়ার্ড ভার্টিক্যাল ইন্টিগ্রেশনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার ফলে আমরা আরও প্রতিযোগিতামূলক পণ্য অফার করতে পারছি। পাশাপাশি, টেকসই ব্র্যান্ড বিল্ডিং নিয়েও কাজ করতে পারছি। আমাদের এমন প্রচেষ্টাগুলো এসএপিএস বিজনেস এক্সেলন্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২২ দ্বারা স্বীকৃতি পেয়েছে। এবং এই স্বীকৃতি অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে বাংলাদেশে পদার্পণ করে জ্যাট। এরপর ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসার প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
নাটোর গুরুদাসপুর প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদর এলকায় বিশেষ ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ভেজাল গুড় তৈরী, সংরক্ষণ ও বিক্রয় করার অপরাধে ০২ জন গুড় ব্যবসায়ীকে ১,২০,০০০/-(এক লক্ষ বিশ) হাজার টাকা জরিমানা।র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি অপারেশন দল ১১ ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখ ১৮:৩০ ঘটিকা হইতে ১৯:৪০ ঘটিকা পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিক্তিতে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানাধীন চাচকৈড় বাজার এলাকায় কোম্পানী অধিনায়ক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন, কোম্পানী উপ-অধিনায়ক, সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং জনাব মোঃ মেহেদী হাসান তানভীর, সহকারী পরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নাটোর জেলা কার্যালয় এর সহিত একটি ভেজাল বিরোধী বিশেষ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ভেজাল গুড় তৈরী, সংরক্ষণ ও বিক্রয় করা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য-দ্রব্য উৎপাদন এর অপরাধে (ক) ভেজাল গুড়- ৯০০০ কেজি, (খ) ভেজাল চিনির সিরাপ -১৮,০০০ লিটারসহ “মেসার্স ভাই ভাই” গুড় কারখানার মালিক ১। মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৫৫) কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন-২০০৯ এর ৩৭ এবং ৪৩ ধারায় ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা এবং “মেসার্স আজিজ সোনার” গুড় কারখানার মালিক ২। মোঃ সুজন সোনা (২৬) কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন-২০০৯ এর ৪৩ ধারায় ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা জরিমানা করেন। পরবর্তীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নাটোর এর নির্দেশক্রমে জব্দকৃত ভেজাল আলামতসমূহ উপস্থিত সাক্ষীগনের সম্মুখে ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও জরিমানাকৃত ১,২০,০০০/-(এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা সরকারী কোষাগারে জমা করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
জেলা প্রতিনিধি (বগুড়া): বগুড়ার সোনাতলায় অনাড়ম্বর পরিবেশের মধ্যদিয়ে শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার বিকেলে সোনাতলা উপজেলার উত্তর বয়রায় (ইলশামারীতে) রফিকুল ইসলাম মাস্টারের সভাপতিত্বে যুবসংঘের উদ্যোগে সোনাকানিয়া যুবসংঘ বনাম নওয়ানা যুবসংঘের মধ্যে শর্টপিস ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা হয়েছে। টানটান উত্তেজনা আর উপচেপড়া দর্শকের প্রতিধ্বনিতে মূখর এ খেলায় নাওয়ানা যুবসংঘ ৫ উইকেটে জয়লাভ করে। খেলা শেষে বিজয়ীদলের মধ্য পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি সোনাতলা উপজেলা শাখার সভাপতি মোকাররম ফাউন্ডেশন'র চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সাদা মনের মানুষ জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ)।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কামরুজ্জামান কমেল সানোয়ার হোসেন ভুট্টা, সৌরভ হোসেন, সোহান মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল (জিম), সৌজন্যে আদিল, সৌরভ, প্লাবন, লাবন, মোহন, সুফল, তাইফুল প্রমুখ।প্রধান অতিথি এসময় বলেন, যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, এবং অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে খেলাধুলায় পারে বিরত রাখতে যুব সমাজকে। তিনি এসময়, আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে যুবসমাজের পাশে দাঁড়াতে হবে। জাহিদ তাঁর সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ ডিসেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি :সবুজ পাতার ফাঁকে মাথা উঁচু করে ডাকছে হলুদ পাপড়ি, সবুজের বুকে কাঁচা হলুদের আলপনা আঁকা। মাঠে মাঠে হলুদ ফুলে মৌ মৌ গন্ধ। মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিস্তীর্ণ সরিষা মাঠ। সেই মৌমাছি থেকে মধু আহরণে ব্যস্ত মৌয়ালরা। দূর থেকে অতিথিদের হাত বাড়িয়ে ডাকছে হলুদ ফুলের সেই মাঠ। ফুলের সঙ্গে ছবি তুলছে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ। আর সেই সরিষার ফুলে ফুলে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। সব মিলিয়ে যেন এক অপরূপ রূপে সেজেছে নাটোরে গুরুদাসপুর অধ্যুষিত চলনবিলের অবারিত সরিষার মাঠ। গত বছরে উপজেলায় সরিষা চাষ হয়েছিলো ৭৯০ হেক্টর জমিতে। এবছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৯৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হচ্ছে।সরেজমিনে চলনবিলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বাণিজ্যিকভাবে মৌ-চাষিদের মধু আহরণের এমনই দৃশ্য দেখা মিলে। সারিবদ্ধভাবে বাক্সগুলো সরিষা ক্ষেতের পাশে একটি ফাঁকা জায়গায় রাখা হয়েছে। প্রত্যেকটি বাক্স সরিষা জমিতে এক সপ্তাহ রাখা হয়। এরপর বাক্স খুলে মধু সংগ্রহ করা হয়। এ পদ্ধতিতে একেকটি বাক্স থেকে সপ্তাহে ৬-৮ কেজি হারে মধু পাওয়া যায়।বর্তমানে চলনবিলে এ পদ্ধতি অবলম্বন করে বিভিন্ন এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক মৌ-চাষি বাণিজ্যিকভাবে মধু আহরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মধু আহরণে চলনবিলের বিভিন্ন এলাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা এসব মৌ-চাষিরা সরিষা ক্ষেতের পাশে বাক্স রেখে অস্থায়ীভাবে ঘর উঠিয়ে অবস্থান করছেন।উপজেলার বামনবাড়িয়া গ্রামের কৃষক নাজমুল হক জানান, এ বছর ৩ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন তিনি। সরিষা গাছে প্রচুর ফুল এসেছে। তিনি আশা করছেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার বাম্পার ফলন হবে এবং দামও ভালো পাওয়া যাবে।উপজেলার উদবাড়িয়া গ্রামের কৃষক হাজী মো. জবতল্লাহ বলেন, এ বছরে আমি ১ একর জমিতে সরিষার চাষ করেছি। কৃষি অফিসের পারামর্শ নিয়েছি। জমিতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হয়নি। গত বছর ফলন ভালো হয়নি। আবহাওয়া অনুকূলে আছে। তার মতে এবার ফলন খুব ভালো হবে।মধু চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, মৌ মাছি চাষের কারণে সরিষার ফলন আরো ভালো হয়। কারণ মৌ মাছিরা সরিষার ফুলে ফুলে বিভিন্নভাবে পরাগায়ন করে থাকে।কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বলেন, বর্তমান বাজারে ভোজ্য তেলের চাহিদা বাড়ায় কৃষকরা সরিষা চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। গত বছরের তুলনায় এবার ১৯০ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।#৮-১১-২০২২শরিফুল ইসলাম০১৭১৩৭০৯৮৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ ডিসেম্বর ২০২২
বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় গোস্ত ব্যবসায়ী সোহাগ মোল্লা (৩৮) কে ছুরিকাঘাত করেছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। সোহাগ মোল্লা বগুড়া সদরের গোপালবাড়ী এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার মোল্লার পুত্র।স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন জানান, সোহাগ মোল্লা দীর্ঘ দিন ধরে গোস্ত ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ব্যবসার বেশ কিছু টাকা ক্রেতা সাধারণের মধ্যে বাকি পরে যায়। সেই বাকি টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সোহাগ মোল্লাকে ছুরিকাঘাতে আহত করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী আবু তালেব (৪০) । গত ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধা সাড়ে ৫টায় সোহাগ মোল্লা গাবতলী উপজেলার তরনীহাট হাট থেকে গরু বিক্রি করে ফেরার পথে বগুড়া সদরের পল্লীমঙ্গল শাখারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পৌঁছালে সন্ত্রাসী আবু তালেব এর কাছ থেকে পাওনা টাকা চায়। এতে সন্ত্রাসী আবু তালেব ক্ষিপ্ত হয়ে সোহাগ মোল্লাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে। সন্ত্রাসী আবু তালেবকে তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সহযোগিতা করে তার আরো দুই সহযোগী বাতাস (৩৩) এবং শফিফুল ইসলাম (৩২)। কিল ঘুষি এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী বাতাস ও শফিফুল ইসলাম সোহাগ মোল্লাকে ঝাপটে ধরে তখন সন্ত্রাসী আবু তালেব এর কাছে থাকা বার্মিজ চাকু দিয়ে সোহাগ মোল্লার মাথায় আঘাত করে।এজহারে উল্লেখ করা হয়, সন্ত্রাসী বাতাস সোহাগ মোল্লার গরু বিক্রির এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা ও অপর আরেক আসামী শফিকুল ইসলাম সোহাগ মোল্লার জ্যাকেটের পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। উল্লেখিত ২জন বাতাস ও শফিকুল ইসলাম সন্ত্রাসী সদরের গোপালবাড়ী এলাকার বাসিন্দা ও তালেব শাখারিয়া কামার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ।স্থানীয় লোকজন আরো জানান, ছুরিকাঘাতের পর সোহাগ মোল্লা রাস্তায় পড়ে থাকলে আমরা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই।এই বিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ছুরিকাঘাতের ঘটনার থানায় আহত সোহাগ মোল্লার স্ত্রী একটা লিখিত আকারে এজাহার দায়ের করেছে। এই এজাহারের ভিত্তিতে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ ডিসেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগে নজরুল ইসলাম (৫২) ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ্দিনের (৫৫) বিরুদ্ধে আদালতে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত নজরুল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত আমির আলীর ছেলে ও মফিজ একই ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মৃত উম্বরের ছেলে।গত বুধবার (৩০ নভেম্বর) নাটোরের গুরুদাসপুর আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী জয়নব বেগম (৩২) ও ময়না খাতুন (৪১)। জয়নব নাজিরপুর বৃন্দাবনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের স্ত্রী ও ময়না লক্ষীপুর গ্রামের আলাল বেপারির মেয়ে।মামলার আবেদনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, গোপিনাথপুর গ্রামের মধ্যমপাড়ার পরিত্যাক্ত নদীর পাড়ে আশ্রয়ন প্রকল্প করা হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে সেখানে জমিসহ ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছে থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেয় নজরুল ও মফিজ। তবে এখনো পর্যন্ত তারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ পায়নি। তাই তাদের টাকা ফেরত চাইলে অভিযুক্তরা টাকার বিষয় অস্বীকার করে বাকবিতন্ডা করে ও ভয়ভীতি দেখায়।ভুক্তভোগীরা বলেন, নজরুল ও মফিজ প্রভাবশালী এবং বিত্তশালি। আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে রয়েছে তাদের সংশ্লিষ্টতা। টাকা ছাড়া ঘর পাওয়া যাবেনা বলে টাকা নিয়েছে। অনেক পরিশ্রম ও কষ্টের টাকা। তবে ঘর পায়নি তারা। তাদের পিছনে অনেক ঘুরেছি কিন্ত টাকাও ফেরত দেয়নি ঘরও দেয়নি। তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। দ্রতই সঠিক বিচার দাবী করেছেন তারা।এবিষয়ে অভিযুক্তরা বলেন, তাদের কাছে থেকে কোনো টাকা নেয়নি তারা। ঘর পায়নি বলে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। মামলার জবাব আমরা আদালতেই দিব।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে অনেক মানুষের কাছে থেকেই টাকা নিয়েছেন নজরুল ও মফিজ। ঘর না পেয়ে অনেকেই আদালতে মামলা করছেন। আদালতে মামলা সত্য প্রমানিত হলে বাদিকে টাকা দিয়ে মিমাংসা করে মামলা তুলে নেওয়াচ্ছেন অভিযুক্তরা।উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায় বলেন, এবিষয়ে আমি অবগত নই। এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন হতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ ডিসেম্বর ২০২২